চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষার নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে চষে বেড়াচ্ছে। তবে জালে ইলিশ ধরা না পরায়, পাঙ্গাস পাওয়ার আসায় সুতার গুল্টি জাল নিয়ে শত শত জেলে এখন নদীতে। ছোট সাইজের ইলিশের দামের চাইতে, বড় পাঙ্গাস ও আইড়ে জেলেদের লাভ বেশী। কারণ বড় সাইজের পাঙ্গাস/আইড় বিক্রি হচ্ছে ৮/১০ হাজার টাকা।
শুক্রবার মধ্যরাত থেকে জেলেরা নদীতে নেমেছে। সকালে সদর উপজেলার বিভিন্ন মাছ ঘাটে গিয়ে দেখা গেল, অধিকাংশ আড়তেই বড় সাইজের পাঙ্গাস মাছ। ইলিশ থাকলেও ছোট সাইজের। বড় সাইজের ইলিশ পাওয়া গেলে ডিম ছেড়ে দেয়ায় লেটকা।
হরিণাঘাটে দেখা গেছে, আড়তে জেলেদের আনা ইলিশ ”মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষণা কাজে” নিয়োজিত লোকজন ডিম ছাড়ার পরে মাছের আকার আকৃতি পরীক্ষা করছেন। জেলেদের ধরে আনা বড় সাইজের অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিম নেই। আবার অনেক ছোট সাইজের ইলিশের পেটে ডিম আছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে হরিণা ঘাটের মৎস্য আড়ৎ ১২ অক্টোবর থেকে গতকাল ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর থেকে ইলিশসহ সকল মাছ কেনাবেচা শুরু হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
জেলে রাসেল বেপারী ও রিপন মিয়া জানান, সকাল ৮টায় ঘাটে এসেছি ইলিশ বিক্রি করতে। ৩ হালি ইলিশ ১৪০০ টাকায় বিক্রি করেছি। তবে জ্বালানি খরচ প্রায় ৭০০ টাকা হয়েছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৪শ থেকে ১৫শ টাকায়। ছোট সাইজের ইলিশের হালি ৫০০- ৫৫০ টাকা। ৪শ থেকে ৫শ গ্রাম ওজনের ইলিশ খুবই কম। ছোট এবং বড় সাইজের ইলিশই বেশি পাওয়া যাচ্ছে। অভিযানকালে অসাধু জেলেরা নিষেধাজ্ঞা মানেনি। তারা অবাধে ইলিশ নিধন করেছে। এখন অভিযান শেষে ভাগ্যে থাকলে ইলিশ কিংবা পাঙ্গাস সবই পাবো।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: গোলাম মেহেদী হাসান জানান, নদীতে পানি কমেছে। ২২ দিনের অভিযানও শেষ হয়েছে। কি পরিমাণ ইলিশ ডিম ছেড়েছে তা মৎস্য বৈজ্ঞানিকদের গবেষণায় তথ্য বের হলে জানা যাবে। তবে ইলিশ মাছ বারো মাস ডিম ছাড়ে। জেলা টাস্কফোর্স মা ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ করে দিতে গত ২২ দিন সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ