মাদারীপুরের শিবচরে ডাকাতি শেষে পালানোর সময় গণপিটুনিতে আহত আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ২ জনে। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যায়। এর আগে ভোরে ঘটনাস্থলে গণপিটুনিতে মারা যায় একজন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহতদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার ভোররাতে জেলার শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের বাজিতপুর এলাকায় সাবেক সচিব আব্দুল হাকিমের ভাই হালিমের বাড়িতে ৫ থেকে ৭ জনের একটি ডাকাত দল প্রথমে হানা দেয়। এসময় বাড়ির লোকজন চিৎকার শুরু করলে ডাকাত দলটি পালিয়ে গিয়ে একই এলাকার ভ্যানচালক দেলোয়ার হাওলাদারের বাড়িতে হানা দিয়ে তুষার হাওলাদারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে ডাকাত দলের সদস্য মির্জন খালাসী (৪২) ও হাসমত বেপারীকে (৪৩) আটক করে গলধোলাই দেয়। খবর পেয়ে শিবচর থানা পুলিশের এসআই গোলজার হোসেনসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গুরুতর আহতাবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মির্জন খালাসীকে মৃত ঘোষণা করেন। দুপুরে হাসমত বেপারীকে সদর হাসপাতালে আনার পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মির্জন খালাসী শিবচর উপজেলার সম্ভুক এলাকার মৃত আবু আলী খালাসীর ছেলে। আর হাসমত বেপারী সদর উপজেলার ছিয়ারচর ইউনিয়নের রতন বেপারীর ছেলে। এদিকে সকালে সন্দেহজনক চলাফেরা করায় সাগর হাওলাদার (২৮) ও মোস্তফা কামালকে (৬৫) আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। তবে নিহত হাসমতের মেয়ে তার বাবার মৃত্যুর পিছনে ষড়যন্ত্রের দাবি করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল