পুনর্ভবা নদীর ওপরে নির্মাণ করা একটি সেতু ২০১৭ সালের বন্যায় ভেঙে যাওয়ার ৬ বছর পার হলেও সেতুটি আজও পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। এতে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ১০ গ্রামের মানুষ। উপজেলা সদরে যেতে সাধরণ মানুষকে বিকল্প পথে প্রায় ৮ কি.মি. রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে।
দুর্ভোগ ছাড়াও কৃষকসহ ব্যবসায়ীদের পন্য আনা-নেয়ায় সময় এবং খরচ বেশি হওয়ায় সেতুটির পুনর্নিমাণের দাবি জানিয়েছেন। তবে এলজিইডি জানায়, সেতুটি নির্মাণ বিষয়ে প্রক্রিয়া চলমান। বীরগঞ্জ উপজেলার সিংড়া-মাহানপুরের রাস্তায় এই সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে।
বীরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬ মিটার এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। পরে ২০১৭ সালের বন্যায় সেতুটির উভয় পাড়ের মাটি সরে গিয়ে সেতুটি ভেঙে যায়।
তবে সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর উভয়পাশে রাস্তা পাকা করা হয়েছে। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার কারণে ওই রাস্তায় কোনো ভ্যান, রিক্সা কিংবা ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারে না। শুকনো মৌসুমে মাঝে মধ্যে দুই একজন মোটরসাইকেল আরোহীকে পানির ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল ঠেলে নিয়ে পার হতে দেখা যায়। তবে বর্ষা মৌসুমে ওই রাস্তায় একেবারে মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায় বলে স্থানীয়রা জানায়।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার যতিন্দ্রনাথ সেন জানায়, বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওযায় স্থানীয়দের মাহানপুর ও বটতলীবাজার হয়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার ঘুরে শহরে যেতে হয়। অথচ সেতুটি হলে প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ কমে আসবে।
বীরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ছানাউল্লাহ বলেন, বন্যার পানিতে ভেঙে যাওয়া সেতুটি আমাদের দপ্তর থেকে নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে ওই রাস্তাটি পাকা করা হয়েছে। এবার সেতুটি এলজিইডি থেকে করা হবে।
দিনাজপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিস জানায়, সিংড়া-মাহানপুরের রাস্তাটি এলজিইডি থেকে পাকা করা হয়েছে। ভাঙা সেতুটি পরিদর্শন করা হয়েছে। অনুমোদন ও বরাদ্দ পাওয়ার সাপেক্ষে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল