'গরুর গোস্তের যেই দাম, হেই দামতো আমাগো কেনা সম্ভব না। ৭শ/৮শ টাকা কেজি। কোরবানীর সময় খাইছি, আল্লায় খাওয়াইছে তারপর আমরা কিন্না খাইতে পারি নাই।' ক্ষোভ ও দুঃখ নিয়ে এ কথাগুলো বলেছেন মাদারপুরের রিক্সা চালক জসিম শেখ। শুধু জসিম শেখই নয় এমন হাজার হাজার মানুষ আছে যাদের খাবার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে গরুর মাংস।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গরুর মাংসের দাম কমলেও প্রভাব পড়েনি মাদারীপুর জেলায়। প্রতি কেজি ৭শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। সরকার গরুর মাংসের প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করলেও তা মানছে না জেলার কোনো মাংস ব্যবসায়ী। তাই মাদারীপুরবাসীর নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে গরুর মাংসের দাম। মাংস ব্যবসায়ীদের সাথে জেলা প্রশাসন আলোচনা করেও নাগালের মাধ্যে আনতে পারেনি গরুর মাংসের দাম। গো-খাদ্যের দাম বেশী হওয়ায় গরুর দাম বেশি, তাই গরুর মাংসের দাম বেশি বলে দাবি মাংস বিক্রেতারা।
জেলার মাংস ব্যবসায়ী মিলন খা’র দাবি যারা কম দামে বিক্রি করে তারা গরুর চার্বি, পা, ফ্যাপসাসহ সবকিছু মিক্সার করে বিক্রি করে। এভাবে মাদারীপুরে গরুর মাংস বিক্রি করা যায় না। গরুর মাংসের দাম খুব শীগ্রই ৮শত টাকা হবে বলে দাবি মিলন খা'র।
গরুর মাংসের দাম না কমায় প্রশ্ন উঠেছে ভোক্তা অধিকার বা জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। মাংস ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন অনেকে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, গরুর মাংস ৬৫০ টাকা বিক্রি করার জন্য মাদারীপুরের মাংস ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমাদের কাছে অনেকে অভিযোগ করেছে বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। তবে যে কোন একটি বিষয় সাথে সাথে বাস্তবায়ন হয় না। আমাদের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন যদি প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে তাহলে দ্রুতই সরকারের নির্ধারিত দামে গরুর মাংস বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের বাধ্য করতে পারব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল