মেহেরপুরে যৌতুক মামলার মীমাংসার পর আদালতের তিনতলার বারান্দা থেকে নিচে পড়ে স্বামী-স্ত্রী দুজন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে দুজনই তিনতলা থেকে নিচে ফেলে দেওয়ার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।
আহতরা হলেন-গাংনী উপজেলার তেতুল বাড়িয়া গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে মামুনুর রশিদ ও একই উপজেলার সাওড়া তলা গ্রামের মো. ফরিদুলের মেয়ে সিমা খাতুন।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আহত আবুল কাসেমের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহত সিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের আদালতে যৌতুকের মামলা চলছিল। আজকে আড়াই লাখ টাকায় মামলাটি মীমাংসা হয়। টাকা নিয়ে আদালতের বারান্দায় মামুনুরের মুহুরীর কাছে আমি সই করার সময় মামুনুর আমাকে কোলে তুলে নিয়ে তিনতলা থেকে নিচে ফেলে দেয়। এসময় আমি মামুনের জামা চেপে ধরলে সেও পড়ে যায়।
আহত মামুনের অভিযোগ, আদালতের তিন তলায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। আকস্মিক সিমা আমাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় আমি সিমার হাত চেপে ধরলে দু’জনে পড়ে যাই।
সিমা খাতুনের অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসের বলেন, ১০ বছরের সংসার সন্তান না হওয়ায় নিজেদের মধ্যে বিবাদ চলছিল। তবে কেউ কাউকে ডিভোর্স দেয় নাই। যৌতুকের একটা মামলায় আজ আদালতে আড়াই লাখ টাকায় আপস মীমাংসা হয়। ছেলে পক্ষ আদালতে দেড় লাখ টাকা জমা দিয়েছে। আদালত থেকে নামার ১০ মিনিট পরে শুনি তারা উপর থেকে নিচে পরে গেছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই