নেত্রকোনায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ফুফুর বাড়ি বিরোধ মেটাতে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রের হামলায় খাইরুল ইসলাম (৩৮) নামের যুবক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন নারীসহ ৫ জন। এ ঘটনা রবিবার দুপুরে নেত্রকোনা সদর উপজেলার চল্লিমা ইউনিয়নের লাইট গ্রামের। নিহত যুবক ওই ইউনিয়নের বামমোহা গ্রামের আব্দুল মোতালিবের ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লাইট গ্রামের আব্দুল সাত্তারের কেনা জমিতে জোর জবর দখল করতে পারশ^বর্তী আব্দুস সালামের ছেলেরা মরিয়া। ধান পাকা অবস্থায় কদিন ধরেই দখল করতে যাওয়া গ্রুপটি জমির মালিকের বাড়িতে হামলা চালায়। গত দুদিন ধরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সকলেই দরবার করে মীমাংসা করতে চাইলেও আব্দুল সাত্তার ও তার স্ত্রী রোকেয়াসহ সকলের উপর শনিবার রাতে হামলা চালায়। খবর পেয়ে বামনমোহা গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে খাইরুল ইসলাম আহত ফুফা ফুফুকে দেখতে যান। পরিিিস্থতি খারাপ থাকায় রাতে অবস্থান করেন। পরদিন রবিবার সকালে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ গন্যমান্যরা দরবার করে যান। এটি তারাই দেখবেন বলে আম্বাস দেন। এর পরবর্তীতে দুপুরে বাড়ির কাছেই বাজারে ফুফাতো ভাইকে নিয়ে খাইরুল চা খেতে যায়। ফেরার সময় অতির্কিতে প্রতিপক্ষের লোকজন রামদা সহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপাতে থাকে। এসময় ফুপা ও ভাই সহ তারা আহত হলে খ্রাুলকে দ্রুত নেত্রকোনা নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে ফুফু ফুপাসহ ভাইকে ময়মসিংহে প্রেরণ করে।
আহত আবুল সাত্তার ও রোকেয়ার ছেলে এবং নিহত খাইরুলের ফুফাতো ভাই এনামুল হক জানান, আমাদের বাড়িতে কেউ ঝগড়া বিবাদ করার মতো নেই। কিন্তু উচ্ছৃঙ্খল ওই রাখেল, রুমন, সুমন পাপ্পুরা আমাদের জমিনে কুট মেরে রাখে। এটিকে আমরা তুলে ফেলে দিয়েছি। কোন ঝামেলা নেই। কিন্তু রাতে আমার বাড়িঘরে হামলা চালায়। পরে মাতব্বররা বলছে আইনি ব্যবস্থা নেবে আমরা মেনে যাচ্ছি।
পুরে দুপুরে আমার ভাইয়েরা দোকানে চা খেতে গেলে অতর্কিতে ৫ জন হামলা চালিয়ে আমার দুই ভাইকে কুপিয়ে শেষ করে। ফুফাতো ভাই খাইরুল তো মারাই গেছে। ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান জানান, দুজন মারা গেছে। একজন নেত্রকোনা ও পরে একজন ময়মনসিংহে। আইনি ব্যবস্থা চলমান। এদিকে ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকায় অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি আবুল কালাম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা আলামত জব্দ করেছি। আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম