রাজবাড়ী সদর ও পাংশা উপজেলার পৃথক ঘটনায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সকালে পুলিশ ও স্থানীয়রা তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের বকুলের চাটাই ঘরের দোকান থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পাংশা থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তি ভবঘুরে ছিল। গলায় ফাঁস নেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারাণা করা হচ্ছে সে আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ও বানিবহ ইউনিয়ন থেকে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রবিবার সকালে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের দয়ালনগর গ্রামের একটি ডোবা থেকে আয়ান (২) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। সে দয়ালনগর গ্রামের সায়েম সরদারের ছেলে। কয়েকজন শিশুর সাথে খেলার সময় সে পানিতে ডুবে মারা যায় বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, বানিবহ ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রাম থেকে অনিরুদ্র মন্ডল (২) নামে একজন শিশু মারা গেছে। সে লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের ভজন কুমার মন্ডলের ছেলে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার বিকালে প্রতিবেশীর সাথে মায়ের গল্প করার সময় পাশের একটি ঘর থেকে কীটনাশক খেয়ে ফেলে অনিরুদ্র মন্ডল। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। শনিবার দিবাগত রাতে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আয়ান নামে শিশুটির মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হতে পারে। এ ছাড়া অনিরুদ্র মন্ডল বর্তমানে ফরিদপুর রয়েছে। বিধি মোতাবেক ফরিদপুর কোতোয়ালী থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই