বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি স্লুইস গেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিভক্ত দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। একটি পক্ষ কম পানিতে মাঠে মাছ ধরার সুবিধার্থে পানি উঠানো বন্ধ করে রাখছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অপর পক্ষ আমন ফসল উৎপাদনের জন্য পানির প্রয়োজনে গেট খুলে দিচ্ছেন। রবিবার বেলা ১০ টার দিকে পূর্ব চিপাবারইখালী খালের গেটটি স্থানীয় ক্ষুব্ধ আমন চাষিরা খুলে দিলে পরে গেট নিয়ন্ত্রণ কমিটির সভাপতি মো. মজনু হাওলাদার আবার বন্ধ করে দেন। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্লুইস গেটটির নিয়ন্ত্রণের জন্য স্থানীয়ভাবে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া থাকলেও তা কাজে আসছেনা। এ বিষয়ে মজনু হাওলাদার বলেন, কিছু জমির বীজতলা রক্ষার জন্য গেটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। অপরদিকে স্থানীয় কৃষক শাজাহান শেখ, মনির হাওলাদার, মোশারেফ হাওলাদার ও মজারাজ হোসেন বলেন, মজনু হাওলাদার অসৎ উদ্দেশে গেটটি বন্ধ করে রেখেছ।
ইউনিয়ন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা কেএম শাহনওয়াজ বলেন, ওই গেটটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে প্রায় ১ হাজার বিঘা জমিতে আমন চাষ চলছে। গেটটি খুলে রাখলে কিছু কৃষকের সমস্য হয় তবে বেশিরভাগ কৃষক উপকৃত হন। তাই একটি পক্ষ আজ বন্ধ করে দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুম হাওলাদার বলেন, পানির অভাবে বিজতলা পুড়ে যাচ্ছে। স্লুইস গেটটি খুলে দেওয়ার পরে আবার একটি মহল বন্ধ করে দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান বলেন, স্লুইস গেট বন্ধ করার ব্যাপারে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ফসল রক্ষার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল