চলমান বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় পাবনার অধিকাংশ বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ভয়ে ঘরছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে পাবনায় বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অর্থ দিয়ে আন্দোলন বেগবান করার অভিযোগে রাজিবুল হাসান রাজিবসহ (৩৮) গত কয়েকদিনে মোট ১৯১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, অন্যায়ভাবে নিরীহ নেতা-কর্মীদের ধরে মারপিট করে জেলে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের হাতে আটক হলেই তার নামে দেওয়া হচ্ছে নাশকতার মামলা। এজন্য তাদের অধিকাংশ নেতা-কর্মী গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের নামে বিভিন্ন ধরনের ভাঙচুর, যানবাহনে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের উপর আঘাত করায় পাবনায় মোট ১৪টি মামলা হয়েছে। এসব মামলা ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতাকারীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
আন্দোলনে অর্থের যোগানদাতা হিসেবে রাজিবুল হাসান রাজিবসহ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল হক বাবু, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর ও জামায়াত নেতা দৌলত মেম্বরসহ এখন পর্যন্ত ১৯১ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পাবনার পুলিশ সুপার মো. আব্দুল আহাদ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ১১টি থানা এলাকা থেকে ৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে পাবনা সদর থানায় ৯, সুজানগর, আমিনপুর ও ঈশ্বরদীতে চারজন করে, আটঘরিয়ায় ও সাঁথিয়া থানায় দুজন করে, চাটমোহরে তিনজন, বেড়ায় দুজন ও ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া ও আতাইকুলা থানায় একজন করে।
নিরাপরাধ কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলেও তিনি দাবি করেন। গোপন প্রতিবেদনে অর্থ সহায়তাসহ নানা সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হওয়ার পর গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই