কোটা বিরোধী আন্দোলনে সহিংস ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচটি মামলা করেছে। ১৮ জুলাই থেকে শুরু করে ভাঙচুর, পুলিশকে মারধর, সরকারি কাজে বাধা ইত্যাদি অভিযোগে এসব মামলা হয়। সর্বশেষ গত ২০ জুলাই শেরপুর আনসার এডজুটেন্ড এর হাবিলদার রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আট জনের নামে ও হাজার জনের বেনামে শেরপুর সদর থানায় মামলা করেছে। মোট মামলা ছয়টি। সবগুলো মামলা শেরপুর সদর থানায় হয়েছে।আড়াই শতাধিকের নামে ও সাড়ে পাঁচ হাজার জনের বেনামে এই মামলায় আজ রবিবার পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ১০৪ জনকে। আদালতের কাছে এদের কারও কারও আবার পুলিশ রিমান্ড চেয়েছে। তবে গ্রেফতারকৃতরা সবাই বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মী ও সমর্থক। তথ্য কোর্ট পুলিশ সূত্র।
এদিকে গতকাল বিকালের দিকে শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক হযরত আলীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সদরের কুসুমহাটিস্থ রোজবার্গ অটো চাউল মিলে পুলিশ তল্লাসির নামে ভাঙচুর ও ওই মিলের ১৫ জন কর্মচারিকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেছেন হযরত আলী। এসব কর্মচারিদের বড় একটি অংশের বাড়ি উত্তরবঙ্গে ও কর্মচারিরা রাজনীতি করে না। এদিকে গ্রেফতার আতংকে বিএনপি নেতা সমর্থকরা আতংকে বাড়ি ছেড়েছেন। কাউকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। জন নিরাপত্তায় সর্বত্র পুলিশ, র্যাব, আর্মি টহল অব্যাহত আছে বলে সূত্র জানিয়েছে। সদর থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলামের দাবি ওই বিএনপি নেতার মিলের আশেপাশে থেকে কজন অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের ঘটনা মিথ্যা।
বিডি প্রতিদিন/এএ