গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর ডানতীরে ভাঙ্গন রোধে (নদী শাসন) ব্লক ফেলার সময় ট্রলার থেকে পড়ে গিয়ে ৩ শ্রমিকের নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। একদিন পেরেিয় গেলেও নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধান পাননি ফায়ার সাভিস।
রবিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক জাকির হোসেন। এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাবুর বাজারের নতুন খামারকান্দি এলাকায় তিস্তা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ ৩ শ্রমিক হলেন- গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের বাগুরিয়া এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে আতোয়ার হোসেন (৪০), ওই এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাজু মিয়া (৪৫) ও একই এলাকার অব্দুর যোব্বারের ছেলে আব্দুর রশিদ (৪২)।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের তিস্তা নদীর ডানতীরের ভাঙ্গন রক্ষায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্লক বসানোর একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার দুপুরে একটি ট্রলারে করে ৫০০ পিচ ব্লক নিয়ে নদীতে ফেলার জন্য ২৯ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। এসময় হঠাৎ করে ট্রলারটি ভারসাম্য রক্ষা করতে না পেরে নদীতে ডুবে যায়। পরে ট্রলারের চালকসহ ২৬ জন শ্রমিক সাঁতরে নদীর তীরে উঠে আসলেও এখোনো নিখোঁজ তিন জন শ্রমিক।
তীরে উঠে আসা শ্রমিকদের মধ্যে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন শ্রমিক। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক নিখোঁজ ৩ শ্রমিককে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে রবিবার দিনভর চেষ্টা করেও রংপুর থেকে আসা ডুবুরিদল ও গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস ঘটনার একদিন পেরিয়ে গেলেও তাদের কোন সন্ধান দিতে পারনে নি।
এ ব্যাপারে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল নিখোঁজদের উদ্ধাররে কাজ করছেন। নিখোঁজ তিন শ্রমিকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হবে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এএম