বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গণহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আখতারের অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রবিবার সকাল ১১টার দিকে শহরের শহীদ মিনার চত্বরে বিপ্লবী ছাত্র সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচিতে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, গত ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপালে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। কিন্তু সেদিন ঘটনাস্থলে দুজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ বাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি। ফলে গণহত্যার সহযোগী হিসেবে জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আখতারের অপসারণ ও বিচার দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসক শাহীনা আখতারের পদত্যাগ ও অপসারণ, আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ থেকে সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে নিম্ন পদস্থ কর্মকর্তা যারা অন্যায়-অত্যাচার ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে দালালি করেছে; তাদের দ্রুত অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগকে যারা পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে তাদের অচিরেই বিচারের আওতায় আনা ও অনৈতিক সুবিধা নিয়ে যারা হত্যাকারীদের রক্ষা করেছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় এই ডিসি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খুনীদের সহায়তা করেছেন। ৪ আগস্টের ঘটনাতেও তিনি ছিলেন নীরব ভূমিকায়। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার সময়ও ডিসির ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এ সময় শিক্ষার্থীরা ডিসিকে ‘অযোগ্য ও আওয়ামী দলকানা’ আখ্যা দিয়ে দ্রুত তার অপসারণ দাবি করেন। বিপ্লবী ছাত্র সমাজের ব্যানারে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন রেজোয়ানুর রহমান, নাঈম ফরায়েজী, রফিকুল ইসলাম রাতুল, রিদওয়ানুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ ওমায়ের অন্তু প্রমুখ।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল