পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রথমবারের মত লাউ চাষে বাজিমাত করেছেন কৃষক মো. মোস্তফা জামান। উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের কাংকুনিপাড়া গ্রামে তিনি মাত্র ৬০ শতাংশ জমিতে ডায়না জাতের লাউ চাষ করেন। এতে খরচ হয় ৩২ হাজার টাকা। এক মাস যেতে না যেতেই তার আয় হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।
বর্তমানে খেতের মাচায় ঝুলছে অশংখ্য ছোট-বড় লাউ। এমন দৃশ্য দেখে লাউ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এলাকার অন্য কৃষকরা।
স্থানীয়রা জানান, মোস্তফা জামান একজন আধুনিক মনের আদর্শ কৃষক। তার খেতে বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে পাইকাররা পর্যায়ক্রমে খেত থেকে লাউ কেটে বাজারে নিয়ে যাচ্ছে।
কৃষক মোস্তফা জামান বলেন, নিজ জমিতে তিনি ৯৫টি মেদা তৈরি (বীজতলার মাটি) করে ডায়না জাতের লাউ বীজ থেকে চারা তৈরি করেন। এর পর প্রতি মেদায় দু’টি করে লাউয়ের চারা স্থাপন করে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরমর্শে একই সাথে ব্যবহার করছেন ভার্মি কম্পোস্ট, টিএসপি, এমওপি সার। মাসখানেক পরিচর্যা করে পেয়েছেন কাঙ্খিত সাফল্য।
তিনি আরও বলেন, দেড়মাস আগে জমিতে বর্ষার পানি ছিল। তাই বীজ লাগাতে দেরি হয়েছে। না হলে আরও বেশি দামে লাউ বিক্রি করতে পারতাম। এ পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ টাকার লাউ বিক্রি করেছেন।
কলাপাড়া উপসহকারী কৃষি অফিসার সুজন চন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘মোস্তফা জামান একজন আদর্শ কৃষক। আমি তাকে সবজি চাষের জন্য পরামর্শ দিয়েছিলাম। তাই সে এবার দুই বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেছে। বর্তমানে লাউয়ের মাচায় বেশ লাউ ধরেছে। আশা করছি তার এ সাফল্য দেখে এলাকায় লাউ চাষের সম্প্রসারণ ঘটবে’।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন বলেন, ‘তার এ লাউয়ের খেত তৈরি করতে কৃষি অফিস থেকে যত সহযোগিতার দরকার ছিল তা করেছেন’।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ