কুষ্টিয়ায় পিংকী দাস (২৫) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার শ্বশুর-শাশুড়ি, কাকা শ্বশুর ও কাকি শাশুড়ির বিরুদ্ধে। পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি করেছে নিহতের পরিবার।
সোমবার বিকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পিংকী। নিহত পিংকীর মা লিপি দাস হাসপাতালের বারান্দায় আহাজারি করে জানান, কয়েকদিন ধরে স্বামীকে শায়া-ব্লাউজ কিনে দেওয়ার কথা বলছিলেন পিংকী। স্বামী সুমন দাস সময় না পাওয়ায় পিংকী নিজেই সন্তানকে চিকিৎসা দেখিয়ে ফেরার পথে তা কিনে আনেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়িতে শুরু হয় ঝগড়া। একপর্যায়ে শ্বশুর ভৌগি দাস, কাকা শ্বশুর, শাশুড়ি ও কাকি শাশুড়ি মিলে পিংকীকে নির্মমভাবে মারধর করেন।
পিংকী গুরুতর অসুস্থ হয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত রবিবার তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের কাকা সুকুমার দাস জানান, পিংকীর স্বামী তখন বাড়িতে ছিলেন না। তবে পরবর্তীতে স্ত্রীর প্রতি তার কোনো সহানুভূতি দেখা যায়নি। তিনি কোনো খোঁজও নেননি।
জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার ত্রিবেণী গ্রামের সুমন দাসের সঙ্গে পিংকীর বিয়ে হয়। তাদের তিন বছর ও সাত মাস বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি জানান, হাসপাতাল থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ এখনও পাওয়া যায়নি। যেহেতু নির্যাতনের ঘটনা ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানার আওতাভুক্ত, তাই মামলা সেখানে দায়ের করতে হবে। নিহত পিংকীর পরিবার এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল