বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে কুতুবদিয়ার লবণবাহী ২টি ট্রলার ডুবে ৮ জন মাঝি মাল্লা ও শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। এ দুটি ট্রলারে ১১ হাজার মণ লবণ ছিল। ঘটনা দুটি ঘটেছে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপকূলের মেঘনায় ঠেঙ্গার চরের পশ্চিমে লাল বয়ার এলাকায়।
এ ঘটনায় জাকের উল্লাহ কোম্পানির ট্রলারে থাকা মাঝিমাল্লা উদ্ধার করেছে নোঙরে থাকা একটি জাহাজ। বাকিদের উদ্ধারের এখনও খবর পাওয়া যায়নি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের সতরুদ্দিন এলাকার ‘এমডি আল্লাহর দান’ নামক লবণবাহী ট্রলারের মাঝিমাল্লাদের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন, কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের মাঝি আবুল কাশেম, আব্দুল কাদের, মো. রুবেল ও জিল্লুর করিম, উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের মো. ইসমাঈল, মোরশেদ আলম, মো. মুবিন ও মো. শফিউল আলম।
ট্রলারের মালিক আজমগীর বলেন, বুধবার সকাল ১০টার দিকে খুলনা যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের মেঘনায় ঠেঙ্গার চরের পশ্চিমে লাল বয়ার কাছাকাছি তার মালিকানাধীন এম.ভি উম্মে হাবিবা নামক লবণবাহী ট্রলার উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এতে মাঝিমাল্লাসহ আট জন নিখোঁজ হয়।
এ দুর্ঘটনায় নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে বলে জানান থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম আজমল হুদা। তিনি বলেন, খুলনা যাওয়ার সময় ঝড়ের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে ট্রলাটি ডুবেছে। আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় নিখোঁজদের উদ্ধার কাজ চালাতে পারছে না কোস্টগার্ড। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই কোস্টগার্ড নিখোঁজ মাঝিমাল্লাদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করবে।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ক্যথোয়াইপ্রু মারমা বলেন, সাগরে লবণের ট্রলার ডুবির বিষয়টি তাকে কেউ অবগত করেননি। তিনি নিখোঁজদের উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট থানা, পুলিশ ফাঁড়িতে খোঁজ নেবেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল