২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:৩৮

দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের ১০টি দরপ্রস্তাব অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের ১০টি দরপ্রস্তাব অনুমোদন

সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ ও স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানিসহ ১০টি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ‘সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’। এ ছাড়া ইতোপূর্বে অনুমোদিত পাঁচটি প্রস্তাবের চুক্তিমূল্যের সংশোধনীর (ভেরিয়েশন) প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশোধিত সব কটি প্রস্তাবেই ব্যয় বেড়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয়-কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শামসুল আরেফিন এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, ‘ঢাকাস্থ আজিমপুর সরকারি কলোনির অভ্যন্তরে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ (জোন-এ)’ শীর্ষক প্রকল্পের ছয়টি পৃথক প্যাকেজের পূর্ত কাজের ঠিকাদার নিয়োগের ছয়টি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ছয়টি প্রস্তাবে মোট ব্যয় হবে ৯৪৪ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্যাকেজ নং ডব্লিউ-৩ ও ডব্লিউ-৪-এর পূর্ত কাজটি পেয়েছে ‘বঙ্গ বিল্ডার্স লিমিটেড’। এতে ব্যয় হবে যথাক্রমে ১৪৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা এবং ১৪৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। প্যাকেজ নং ডব্লিউ-৬ ও ডব্লিউ-৭-এর পূর্ত কাজটি পেয়েছে ‘ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’। এতে ব্যয় হবে যথাক্রমে ১৫৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা এবং প্রায় ১৬২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। প্যাকেজ নং ডব্লিউ-৮ ও ডব্লিউ-৯-এর পূর্ত কাজটি পেয়েছে ‘নূরানী কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’। এতে ব্যয় হবে যথাক্রমে ১৬৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা এবং ১৬৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

অতিরিক্ত সচিব জানান, বৈঠকে পেট্রোবাংলা কর্তৃক স্পট মার্কেট থেকে একটি এলএনজি কার্গো আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স এক্সেলারেট এনার্জি এলপি’ এই এলএনজি কার্গো সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে ৪৪৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ’ কর্তৃক সাতটি বোলার্ড পুল টাগবোট কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত ‘ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস’ এগুলো সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে ৯৭ কোটি টাকা।
তিনি জানান, ‘কোস্টাল এমব্যাংকমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট ফেজ-১ (সিইআইপি-১)’-এর আওতায় সম্ভাব্য সমীক্ষা ও বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যৌথভাবে কানাডা, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশিসহ সাতটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

বৈঠকে ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর কর্তৃক ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (সেসিপ)’ প্রকল্পের জিডি-৫০এ-এর অন্তর্ভুক্ত লট-৩ এর আওতায় শিক্ষা সরঞ্জাম কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো সরবরাহ করবে ‘নাহিদ অ্যাডভারটাইজিং অ্যান্ড প্রিন্টিং বাংলাদেশ’। এতে ব্যয় হবে ১৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এ ছাড়া চুক্তিমূল্য সংশোধনের পাঁচ প্রস্তাবের চারটিতে ব্যয় বাড়ছে ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর