ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৮৭ কোটি টাকা। এই তেল কিনতে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর টিসিবির জন্য এই প্রথম সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হলো। প্রতি লিটার সয়বিন তেল কেনা হবে ১৫৭ টাকা ৯০ পয়সা করে। আওয়ামী লীগ সরকার সর্বশেষ যে দামে সয়াবিন তেল কিনেছিল এবার তার থেকে লিটারে প্রায় সাড়ে ৭ টাকা বেশি পড়ছে।
রবিবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি বৈঠকে এই সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র (জাতীয়) পদ্ধতিতে ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে এই তেল কিনতে মোট খরচ হবে ৮৬ কোটি ৮৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের মূল্য ধরা হয়েছে ১৫৭ টাকা ৯০ পয়সা।
অন্যদিকে চীন, মরক্কো এবং সৌদি আরব থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে চীন থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার, মরক্কো থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার এবং সৌদি আরব থেকে ৪০ হাজার ডিএপি ও ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চীনের ব্যানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদ দেওয়া হয়েছে। এই সার আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ২৯৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৬১৩.২৫ মার্কিন ডলার। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এই সার কেনার প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি এস.এ এবং বিএডিসি’র মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন ডিএপি সর কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৮৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৯৮.৫০ মার্কিন ডলার।
এছাড়া সৌদি আরবের মাআদেন থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার ২৯০ কোটি ৮৮ লাখ টাকায় আমদানির অনুমোদ দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এই সারও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সই হওয়া চুক্তির আওতায় আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি’র মূল্য ধরা হয়েছে ৬০৬ মার্কিন ডলার। এই সার কেনার প্রস্তাবটিও কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে আনা হয়।
সার আমদানির বাকি প্রস্তাবটি নিয়ে আসে শিল্প মন্ত্রণালয়। সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সার আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ১২৯ কোটি ৩৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ধরা হয়েছে ৩৫৯.৩৩ মার্কিন ডলার।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত