শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা
ইতিহাস

আল মনসুর

ইজ্জুদ্দীন আইবেকের মৃত্যুর পর ১২৫৭ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসন আরোহণ করেন তার নাবালক পুত্র আল-মনসুর। তার অভিভাবক নিযুক্ত হন সেনাপতি সাইফউদ্দীন কুতুয। তিনি বলিষ্ঠতার সঙ্গে আল-কেরাকের আয়য়ূবী সুলতানের আক্রমণ প্রতিহত করেন। এর ফলে কুতুযের প্রভাব ও প্রতিপত্তি বেড়ে যায় এবং মনসুরকে পদচ্যুত করে ১২৫৯ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসন দখল করেন তিনি। কুতুযের রাজত্বকাল মোঙ্গল আক্রমণের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ১২৬০ খ্রিস্টাব্দে হালাকু খান বাগদাদ জয়ের পর মিসর অভিযানের পরিকল্পনা করেন। কেতবগারের নেতৃত্বে মোঙ্গল বাহিনী মামলুক রাজ্য আক্রমণ করে। আইন-জালুত নামক প্রান্তরে মামলুক ও মোঙ্গল বাহিনীর এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম শুরু হয় এবং এ সংঘর্ষে মামলুকরা বীরত্বের সঙ্গে দুর্ধর্ষ মোঙ্গল বাহিনীকে বিধ্বস্ত করে। মোঙ্গলদের শোচনীয় পরাজয়ের ফলে কুতুযের মর্যাদাই বৃদ্ধি পেল না, বরং মামলুক রাজ্য মোঙ্গলদের প্রলয়ঙ্করী ধ্বংসের হাত থেকে নিস্তার পেল। এ যুদ্ধে কুতুযের সেনাপতি বায়বার্স যথেষ্ট সুখ্যাতি অর্জন করেন। আইন-জালুতের যুদ্ধের পর বায়বার্স যথেষ্ট সুখ্যাতি অর্জন করেন। আইন-জালুতের যুদ্ধের পর বায়বার্স সুলতান কুতুযের কাছ থেকে জায়গীর হিসেবে আলেপ্পো লাভের আশা করেন কিন্তু সুলতান তাকে দিতে অস্বীকৃতি জানালে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। ১২৬০ খ্রিস্টাব্দে ২৪ অক্টোবর বায়বার্স কুতুযকে হত্যা করে সিংহাসন আরোহণ করেন।

সর্বশেষ খবর