শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৬

জাসদের রাজনীতি : লজিক কম, ম্যাজিক বেশি

ড. শেখ আবদুস সালাম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
জাসদের রাজনীতি : লজিক কম, ম্যাজিক বেশি

কয়েক দিন আগে আমি বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ জামাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিকের লেখা একটি বই পড়েছি। বইটির নাম : ‘নকশাল বাকশাল টাকশাল’। বইটির ৫৫ থেকে ৬৭ পৃষ্ঠা পর্যন্ত স্বাধীনতার পরপরই সে সময়ের কিছু রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে একটি চমৎকার এবং বিস্তৃত বয়ান রয়েছে।  ১৯৭২ সালের জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ভাগ হয়ে যায়। এ ভাঙনের পেছনে থাকা রাজনীতিক কুশীলবরা তখন থেকেই একটি আলাদা রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে এবং তা পূর্ণতা পায় একই বছর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠনের মধ্য দিয়ে। শুরু থেকেই দলটির মুখ্য স্লোগান এবং দর্শন ঘোষিত হয় ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র’ কায়েম করা। জাসদ নিজেদের দ্রুত তখন সারা দেশে একটি অসাম্প্রদায়িক বাম গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে এবং বেড়ে ওঠার প্রাণান্ত চেষ্টা চালায় এবং এক-দুই বছরের মধ্যেই একটি বড় দলে পরিণত হয়।

গত শতকের ষাট এবং সত্তর দশকে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বাংলাদেশ বর্ডার সংলগ্ন রাজ্যগুলোতে চারু মজুমদারের নেতৃত্বে নকশাল আন্দোলন ব্যাপক জোরদার হয়ে ওঠে। বিশেষত, পশ্চিম বাংলায় এ আন্দোলনে হাজার হাজার মেধাবী ছাত্র তরুণ অংশগ্রহণ করে। ‘বন্দুকের নলই ক্ষমতার উৎস’ মাও সে তুং-এর এমন একটি তত্ত্বের প্রতি আসক্ত হয়ে তরুণেরা সেদিন ওই আন্দোলনে যোগ দিয়ে হাতে বন্দুক-রাইফেল তুলে নিয়ে নির্বিচারে তথাকথিত শ্রেণি শত্রু খতম করার নামে মানুষ হত্যাকে তাদের মূল কর্মকাণ্ড হিসেবে বেছে নেয়। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশেও তখন আবদুল হক ও মোহাম্মদ তোহা এবং সিরাজ শিকদার প্রমুখের নেতৃত্বে সশস্ত্র সংগ্রাম এবং শ্রেণি শত্রু খতম (!) এর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে বহু দল, উপ-দল গড়ে ওঠে। এদের কেউ কেউ ‘চারু মজুমদারের পথ ধর-শ্রেণি শত্রু ক্ষতম কর’ এ ধরনের স্লোগানও মুখে তুলে নেয়। জাসদ শুরু থেকেই মেধা আর তারুণ্যে ভরা সমাজের একটি ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে আকৃষ্ট করে দল গঠনে সাফল্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। এ ব্যাপারে শফিক সিদ্দিক তার বইয়ে বিশিষ্ট আওয়ামী রাজনীতিক ডা. মালেকের একটি পর্যবেক্ষণের উদ্ধৃতি দিয়ে উল্লেখ করেছেন যে, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার আর এক সহযোগী শক্তি হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সশস্ত্র হওয়ার কারণে এদের ভেতর রেডিক্যাল চিন্তাধারার অনুপ্রবেশ ঘটে। কোন আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কী বাস্তব পরিস্থিতির ভিতর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, তা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে ব্যর্থ হয়ে অথবা আন্তর্জাতিক চক্রের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের এ অংশ ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের’ স্লোগান দিয়ে শ্রেণি সংগ্রামের নামে তৎকালীন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করে। ব্যাংক ডাকাতি করে, থানা লুট করে, রেললাইন উপড়ে ফেলে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে হাজার হাজার আওয়ামী লীগ সমর্থককে হত্যা করে তারা বঙ্গবন্ধুর সরকারকে উত্খাত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এ ব্যাপারে তারা স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের পরোক্ষ সমর্থন লাভে সমর্থ হয়।’ এ সময়ে পরাজিত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি যেমন : মুসলিম লীগ, জামায়াত, রাজাকার, আলবদর, আল-শামস তারাও জাসদকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাহায্য করতে থাকে, তাদের অনেকে ছদ্মবেশে এ দলে যোগদানও করে।

এভাবে জাসদ দ্রুতই সারা দেশে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে ওঠে। দলটি শুরু থেকেই সে সময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পরিচালিত সরকারের চরম বিরোধিতার আশ্রয় নেয়। ১৯৭৪ সাল নাগদ জাসদের সরকারবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে ওঠে। সে বছর ১৭ মার্চ পল্টন ময়দানে তারা এক সভা ডাকে। জনসভাকে সফল করার জন্য ঢাকাসহ দেশের সবখানে তারা ব্যাপক প্রচার চালায়। ঢাকায় প্রচার মাইকিংয়ে তারা দলে দলে সেই সভায় যোগদানের জন্য জনগণকে আহ্বান জানায় এবং স্লোগান তোলে— ‘বাংলার মীরজাফর, মুজিবর মুজিবর’। শফিক সিদ্দিক তার বইয়ে লিখেছেন, যে নেতা সারাটি জীবন বাংলা ও বাঙালির স্বাধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন, ফাঁসির মঞ্চে এগিয়ে যেতেও পিছপা হন নাই, যে নেতা না হলে ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতাই পেতাম না সেই নেতাকে কোনো বাঙালি ‘মীরজাফর’ বলে গালি দিতে পারে তা স্বপ্নেও ভাবা যায় না; এমনকি পাকিস্তানিরাও তাকে ‘মীরজাফর’ বলে গালি দিতে পারে নাই। বাঙালিদের জন্য সবচেয়ে ঘৃণিত গালি হচ্ছে ‘মীরজাফর’, যেমনিভাবে মুসলমানের জন্য ‘কাফের’।

যা হোক ১৭ মার্চের ওই জনসভা থেকে এক পর্যায়ে জাসদ নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শহীদ মনসুর আলীর বাসভবন ঘেরাও করতে যায়। সেখানে পুলিশ এবং জাসদ উভয়পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড গোলাগুলি হয়। তখনকার জাসদের তাত্ত্বিকদের বক্তব্য উল্লেখ করে বইটিতে লেখা হয়েছে মাঝে মাঝে তারা বলত ‘শেখ মুজিব উইল বি দ্য প্রিন্স সিহানুক অব বাংলাদেশ’। কাজেই তাকে ক্ষমতা থেকে হঠানো জরুরি। এখন উনিশশ’ সত্তর কিংবা আশির দশকের রাজনীতিকদের অনেকেই বলেন, জাসদ সে সময় শেখ মুজিবের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজানোর কথা বলত। বর্তমান সরকারের খুবই উঁচু পদে কাজ করছেন বা করেছেন সে সময়ের এমন জাসদ ছাত্রলীগ নেতাদের বলতে শুনেছি— ‘শেখ মুজিব ইজ অ্যা বিট্রেয়ার, তার মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত’। যা হোক ১৯৭৪ সালে গোটা সময়টিতে সোভিয়েতবিরোধী আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহল এবং দেশের অভ্যন্তরে অতি উগ্রবাদী কিছু দল, সর্বহারা পার্টি, জাসদ প্রভৃতি একযোগে সরকারের ওপর এক প্রচণ্ড চাপ তৈরি করে। জাসদের হঠকারী কর্মকাণ্ড এমন স্তরে পৌঁছে যে এক সময়ে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে পর্যন্ত ‘কিডন্যাপ’ করতে উদ্যোগ নেয় এবং এটা করতে গিয়ে সেদিন কর্নেল তাহেরের এক ভাই পর্যন্ত সেখানে প্রাণ হারান। কয়েক দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এসব নিয়ে চায়ের টেবিলে বন্ধুদের সঙ্গে আলাপকালে একজন বলে ফেললেন— জাসদের রাজনীতি ছিল থ্রিলে ভরা, ওখানে লজিক ছিল কম। ওই বন্ধুটির সেই বক্তব্য থেকে আমি আমার এ লেখাটির শিরোনাম করেছি। উল্লেখ্য, জাসদের ওইসব কর্মকাণ্ডে সরকারও তখন মরিয়া হয়ে ওঠে। গোটা পরিস্থিতি যেন সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ২৫/৯/১৯৯৯ তারিখ রিয়াজউদ্দিন আহমেদ দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় লেখেন— ‘অনেকটা দিশেহারা হয়ে শেখ মুজিব ১৯৭৪ এর ২৮ ডিসেম্বর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন’। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে রাষ্ট্রপতি পদ্ধতির শাসন চালু করা হয়। ২৬ তারিখ থেকে বহুদলীয় সংসদীয় ব্যবস্থার পরিবর্তে একটি জাতীয় দল বা ফ্রন্ট সৃষ্টি এবং রাষ্ট্রপতির শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন হয়। এর মাত্র কয়েক মাস পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত হয় ইতিহাসের সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ড। জাতির জনকের এ হত্যাকাণ্ডের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মাথায় গঠিত মোশতাক সরকারের সঙ্গে তাহের উদ্দিন ঠাকুর, শাহ মোয়াজ্জেম, ওবায়দুর রহমান, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর প্রমুখ আওয়ামী লীগ নেতাও যোগ দেন। দেশে শুরু হয় ষড়যন্ত্র ও বেইমানির রাজনীতি। একই বছর ৭ নভেম্বর এক সেনাবিদ্রোহ সংঘটিত হয় যাকে জাসদ ‘সিপাহি-জনতার বিপ্লব’ বলে আখ্যায়িত করে। এই বিদ্রোহের মাধ্যমে ক্ষমতা বদলের দাবিদার হন জেনারেল জিয়া এবং জাসদের গণবাহিনীর নেতা কর্নেল (অব.) তাহের। ক্ষমতার দ্বন্দ্বে এতে জিয়াউর রহমান জয়ী হন এবং কর্নেল তাহেরকে তিনিই ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই ফাঁসিতে ঝুলান।

১৯৭৮-১৯৭৯ সালের দিকে এসে জাসদ সম্ভবত উপলব্ধি করে যে এতদিন তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল ভ্রান্ত এবং হঠকারীমূলক। বিশেষ করে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদ তখন থেকে নতুনভাবে তাদের রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করে। হঠকারিতা থেকে তারা গণতান্ত্রিক ধারায় সম্পৃক্ত থেকে রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে চায়। কিন্তু দুঃখজনক সত্য হলো এর পরে জাসদ আর এক থাকতে পারেনি। জাসদ থেকে সৃষ্টি হয়েছে বাসদ এর। এ সময়ে জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর জলিলও একটি আলাদা দল ‘ইসলামিক মুক্তি আন্দোলন’ গঠন করেন। উল্লেখ্য, মেজর জলিলের এ দলটির আদর্শ, উদ্দেশ্য নির্ধারিত হয় মূল জাসদ রাজনীতির সম্পূর্ণ উল্টো অবস্থান নিয়ে। অন্যদিকে এক সময়ে দাপুটে ছাত্রলীগ নেতা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অ স ম আবদুর রবও জাসদ থেকে দলছুট কিছু ব্যক্তি নিয়ে জাসদ (রব) নামে আর একটি পৃথক দল গঠন করেন। এক পর্যায়ে তিনি দলবল নিয়ে স্বৈরাচার এরশাদের সহযোগী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এরশাদ আমলে তারই আনুকূল্যে এক সময় তিনি জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত হন। এরশাদ সরকারের সঙ্গে সখ্যের কারণে সে সময় তাকে মানুষ এরশাদের ‘গৃহপালিত’ বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করত। এভাবে জাসদ এক সময় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। নেতা-কর্মীরা কেউ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, কেউ আবার বিভিন্ন দলে যোগ দেয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে আজও জাসদ নেতাদের ছড়াছড়ি। ঠিক এ মুহূর্তে আওয়ামী লীগেই মন্ত্রী- এমপিসহ রয়েছেন ডজনখানেক নেতা। বিএনপিতে অর্ধশত এবং জাপায় সাবেক তিন মহাসচিবই ছিলেন এক সময়ের জাসদ নেতা।

মোটকথা এভাবে সেদিন হাজার হাজার তরুণ বিভ্রান্ত হয়েছিল জাসদের তথাকথিক ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র’-র স্লোগানে। সমাজতন্ত্র ব্যবস্থাটিই সমাজ সম্পর্কে একটি বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ। সমাজতন্ত্র সমাজের একটি উন্নত স্তর এবং বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাও। কাজেই সমাজতন্ত্রের আগে বৈজ্ঞানিক শব্দটি লাগিয়ে তারা কি বোঝাতে কিংবা কি হাসিল করতে চেয়েছিলেন তা অনেকের কাছে আজও বোধগম্য নয়। সে কারণে অনেকেই জাসদকে ‘রেড ফ্লাগ ইজ টু অপোজ দ্য রেড ফ্লাগ’ তত্ত্বের সৃষ্টি কিংবা ফসল বলে মনে করত। জাসদ নামটির ইংরেজি অনুবাদ হলো ঘধঃরড়হধষ ঝড়পরধষরংঃ চধত্ঃু. জানা যায় হিটলারের দলের নামও ছিল এমনটিই।

সন্দেহ নেই যে সেসময় দেশপ্রেমে টগবগে তরুণেরা অনেকেই রাতারাতি লেখাপড়া ছেড়ে এই দলটিতে যোগ দিয়ে অপরিণামদর্শী নেতৃত্ব আর ভ্রান্ত রাজনীতির কারণে এক পর্যায়ে ব্যাপকভাবে খুনখারাপি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিল। তারা ঈদের জামাতে গুলি চালিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত এমপি-নেতাদের পর্যন্ত হত্যা করেছিল। তারা গঠন করেছিল গণবাহিনী নামে একটি বাহিনী যাদের অনেকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল অবৈধ অস্ত্র। এ বাহিনীর ওপর এক সময় জাসদের নিয়ন্ত্রণও শিথিল হয়ে পড়ে। এদের অনেকের বিচরণ ছিল অন্ধকার ঘিরে। আর এসব অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছিল যত্রতত্র। কর্নেল (অব.) তাহেরের মৃত্যু আর জাসদের বিভিন্ন দল-উপদলে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া জাসদ রাজনীতিতে এক বিরাট হতাশার জন্ম দেয়। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো আজও তাদের পক্ষে আর আগের মতো সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

তবে জাসদের মূল ধারাটি সম্ভবত আবর্তিত হতে থাকে দলটির বর্তমান সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং তার সহযোগী নেতৃত্বকে ঘিরে। এখানে একটি বিষয় বলা দরকার যে, জাসদ তার রাজনীতির পথচলায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিপথগামিতার আশ্রয় (বিভ্রান্ত মেজর জলিল ঘোষিত দলটি ছাড়া) নিলেও দলের আদর্শ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িকতা এসব স্লোগান থেকে সরে যায়নি; সেভাবে জাসদ থেকে সৃষ্ট অন্য কোনো উপদলও নয়। অন্যদিকে তারা জন্ম থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তাদের বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বলেও আমাদের জানা নেই। জাসদ (বিশেষ করে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে) মূলত ১৯৭৯ সাল থেকে ফিরে আসে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত জোটের রাজনীতির ধারায়। এ সময় থেকে জোট এবং যুগপৎ আন্দোলনে থেকে জাসদ তাদের রাজনীতি অব্যাহত রেখেছে। ২০০১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাসদের সখ্য বেড়েছে প্রচুর। এ সময় দেশে খুন, গুপ্তহত্যা যেমন বেড়ে যায় তেমনি উত্থান ঘটে ধর্মীয় উন্মাদনা নিয়ে বিভিন্ন মৌলবাদী ও জঙ্গি সংগঠনের। সে সময়ের ক্ষমতাসীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে এ জন্য অনেকটা দায়ী করা হয়। তাদের জঙ্গি পৃষ্ঠপোষকতার বিপক্ষে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে তখন থেকেই আন্দোলন-সংগ্রামে আওয়ামী লীগ ও জাসদ পরিপূরক ভূমিকা পালন করে আসছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাসদ একাকার হয়ে কাজ করেছে। নির্বাচনে জাসদের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে কিংবা আওয়ামী লীগ জাসদ প্রার্থীকে নৌকা প্রতীক দিয়ে তারা একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে যাওয়ার মতো রাজনৈতিক নৈকট্য প্রদর্শন করতেও কার্পণ্য করেনি। জাসদ এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত সরকারেরই অংশ। জাসদের মূল ভ্রুণের আধার যেহেতু আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের মধ্যে সে কারণেও এই ধরনের নৈকট্য তৈরি হওয়া এমনকি একই কারণে ভবিষ্যতে কখনো দল দুটি মিলিয়ে যাওয়া অসম্ভব কিছু নয়। সেখানে রাজনৈতিক দোষারোপেরও খুব বেশি অবকাশ থাকবে বলেও মনে হয় না।

জাসদের জন্মলাভের পরে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু যখন জাতীয় দল হিসেবে বাকশাল গঠন করেন তখন জাসদ তাতে শরিক হয়নি বরং প্রচণ্ড বিরোধিতা করেছে। বঙ্গবন্ধুর শাসন আমলকে তখন তারা ‘দুঃশাসন’ বলে আখ্যায়িত করেছে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবরণের পর জিয়াউর রহমান এসে পুনরায় বহুদলীয় ব্যবস্থার প্রচলন ঘটান। পলিটিক্যাল পার্টি রেগুলেশনস (চচজ)-এর আওতায় এ সময় এসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষের বহুদল এমনকি জামায়াত, মুসলিম লীগ পর্যন্ত এই পিপিআরের আওতায় এদেশে রাজনীতি করা এবং দল গঠনের সুযোগ পায়। এসব দল ১৯৭৫ সালের পরে একযোগে বঙ্গবন্ধুকে এবং আওয়ামী লীগ, ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি যেসব দল স্বাধীনতার জন্য বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল তাদের এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের পরম পরীক্ষিত বন্ধু দেশ ভারত এবং রাশিয়া (সোভিয়েত ইউনিয়ন)-কে সত্য-মিথ্যার বাদ বিচার না করে কেবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষই নয় বরং রাজনৈতিক শত্রু গণ্য করে রাজনীতি চালিয়ে যেতে থাকে।  এ ব্যাপারে জাসদের ভূমিকাও তখন এই দলগুলো থেকে ভিন্ন কিছু ছিল না বরং কখনো কখনো তাদের বক্তব্য-বিবৃতি ছিল লাগামহীন এবং অধিকতর বিদ্বেষ প্রসূত।

লেখক : অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

ই-মেইল: [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য চেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি
ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য চেয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল

১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ
তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ

৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব

৫ মিনিট আগে | শোবিজ

তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি

৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত

১৫ মিনিট আগে | পরবাস

জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

রাজধানীতে প্রাইভেটকার ভস্মীভূত
রাজধানীতে প্রাইভেটকার ভস্মীভূত

২৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

বাউফলে জাল দলিল তৈরির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
বাউফলে জাল দলিল তৈরির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

৪৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
৪৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

উড়ন্ত ট্যাক্সি নিয়ে দ্বন্দ্ব: আর্চারের বিরুদ্ধে জোবির মামলা
উড়ন্ত ট্যাক্সি নিয়ে দ্বন্দ্ব: আর্চারের বিরুদ্ধে জোবির মামলা

৩৪ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

অন্তর্বর্তী সরকার ভালো দৃষ্টান্ত রেখে যাবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকার ভালো দৃষ্টান্ত রেখে যাবে: পরিবেশ উপদেষ্টা

৩৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

৩৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ার সাতটি রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা, ক্ষতিগ্রস্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ
মালয়েশিয়ার সাতটি রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা, ক্ষতিগ্রস্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

৫৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার আসন ৩৭০১
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার আসন ৩৭০১

৫৭ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশি চিকিৎসক-নার্স নিয়োগে জিটুজি ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তাব সৌদির
বাংলাদেশি চিকিৎসক-নার্স নিয়োগে জিটুজি ফ্রেমওয়ার্ক প্রস্তাব সৌদির

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে ২০ হাজার ৮৬২ প্রবাসীর নিবন্ধন
জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে ২০ হাজার ৮৬২ প্রবাসীর নিবন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প
সৌদি আরব ও ইরাকে ভূমিকম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাত্র ১৬ বাসে ঠাঁই মিলল না জবির অধিকাংশ শিক্ষার্থীর
মাত্র ১৬ বাসে ঠাঁই মিলল না জবির অধিকাংশ শিক্ষার্থীর

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিউজিল্যান্ড টেস্ট দলে ফিরলেন কেন উইলিয়ামসন
নিউজিল্যান্ড টেস্ট দলে ফিরলেন কেন উইলিয়ামসন

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিসরের গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে হামাসের শীর্ষ প্রতিনিধিদলের বৈঠক
মিসরের গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে হামাসের শীর্ষ প্রতিনিধিদলের বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস
সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তানের সিন্ধু আবার ভারতের অংশ হতে পারে: প্রতিরক্ষামন্ত্রী
পাকিস্তানের সিন্ধু আবার ভারতের অংশ হতে পারে: প্রতিরক্ষামন্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুন্সীগঞ্জে ৩৯ কোটি টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ
মুন্সীগঞ্জে ৩৯ কোটি টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া
শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুইজন নিহত
টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুইজন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী
বিএনপিতে যোগ দিলেন খাগড়াছড়ি জামায়াত-শিবিরের ২০ নেতাকর্মী

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সব ধরনের কাউন্টার সেবা বন্ধ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
সব ধরনের কাউন্টার সেবা বন্ধ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ