শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ আপডেট:

হিংসার ঘোরপ্যাঁচে আমি ও আমরা

সামিয়া রহমান
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
হিংসার ঘোরপ্যাঁচে আমি ও আমরা

প্রতিবছরের মতো এবারও ঘুরেফিরে ঈদ এলো। ঈদ মানে ত্যাগ, সংযম আর ভালোবাসার দিন। সবার জন্য উৎসব আনন্দের দিন। গত রোজার ঈদটি এসেছিল শোকাবহ ভয়াবহ কষ্ট নিয়ে, আতঙ্ক নিয়ে। আশা করা যায় জঙ্গিবাজরা এবার অন্তত এই ঈদটি আমাদের ছাড় দেবে। ঈদ আসবে এবার উৎসবের আমেজ নিয়ে। আশা করতে দোষ কি। আশা নিয়েই তো আমরা বেঁচে আছি। সেটি হিংসা কাতরতায় অন্যের ক্ষতির আশা?  নাকি পরশ্রীকাতরতার বেদনায় নিজের অযোগ্যতা ঢাকার প্রচেষ্টায় অতি যোগ্যকে হেয় করার আশা— সেটি না হয় ভবিষ্যতের খেরোখাতায় লিখে রাখি। আগে আনন্দের এই মাহেন্দ্রক্ষণ শুরু করছি একটি জোক দিয়েই। অবশ্য সেটিও পরশ্রীকাতরতার জোক।

ডাক্তার রোগীকে জানালেন, আপনার অসুখ তো সিরিয়াস পর্যায়ে চলে গেছে। এতদিন কোথায় ছিলেন? আগে আসেননি কেন আমার কাছে?

রোগীর উত্তর : আপনার কাছে আসার আগে আমি আরেকজন ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম।

ডাক্তার : তো সেই স্টুপিড ডাক্তার কী উপদেশ দিল?

রোগী : সে আমাকে আপনার কাছে আসার পরামর্শ দিল।

আরও একটি জোক বলি। ক্লাসে পরীক্ষা চলছে। খুব মনোযোগ দিয়ে সবাই লিখছে। একটি মেয়ের প্রস্তুতি ছিল খুব খারাপ। মাথায় কিছুই আসছিল না। শিক্ষকের চোখ এড়িয়ে সামনে বসা বান্ধবীকে জিজ্ঞেস করল— এই, হিংসুটে আর স্বার্থপরের ইংরেজি কি রে? বান্ধবী বিরক্ত হয়ে পাত্তা না দিয়ে নিজের লেখায় মগ্ন। রেগে মেয়েটি বলল, তোর মতো জেলাস সেলফিস বন্ধু আমি জীবনে আর দেখিনি।

স্বার্থপরতা আর ঈর্ষা কি এক? নাকি ঈর্ষা থেকে স্বার্থপরতার জন্ম?  হিংসাকে আরবিতে হাসাদ বলা হয়। অন্যের সুখ-শান্তি ও ধনসম্পদ বিনষ্ট বা ধ্বংস করে নিজে এর মালিক হওয়ার কামনা-বাসনাই হচ্ছে হিংসা। ঈর্ষা ও হিংসা প্রায় একই রকম আবেগ, তবে হিংসাকে বলা হয় ঈর্ষার চরম বহিঃপ্রকাশ। ঈর্ষাকাতরতা হিংসার পর্যায়ে চলে গেলে আক্রোশবশত মানুষ হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত ঘটিয়ে ফেলতে পারে।

দৈনন্দিন জীবনে হিংসার বহুবিধ কারণ যেমন পারস্পরিক ঈর্ষাপরায়ণতা, পরশ্রীকাতরতা, শত্রুতা, দাম্ভিকতা, নিজের অসৎ উদ্দেশ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা, নেতৃত্ব বা ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা, অনুগত লোকদের যোগ্যতাবান হয়ে যাওয়া এবং কোনো সুযোগ-সুবিধা হাসিল হওয়া, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নীচুতা বা কার্পণ্য প্রভৃতি দৃশ্যমান। নানা কারণে এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির প্রতি হিংসা প্রকাশ করে থাকে।

হিংসা থেকে ঈর্ষার পার্থক্য দেখাতে গিয়ে বাইবেলের একটি তথ্যগ্রন্থ বলে : ‘ঈর্ষা’ ... অন্যের মতো ধনী হওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে নির্দেশ করে আর হিংসা শব্দটি অন্যের যা আছে, তা কেড়ে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে নির্দেশ করে।’ একজন হিংসুটে ব্যক্তি কেবল অন্যদের যা আছে, সেটা দেখে অসন্তুষ্টই হন না, সেই সঙ্গে তিনি তাদের কাছ থেকে সেগুলো কেড়েও নিতে চান।

হজরত লোকমান (আ.) একবার স্বীয় পুত্রকে বললেন : হিংসুকের তিনটি চিহ্ন রয়েছে : পিঠ-পেছনে গীবত করে, সামনাসামনি তোষামোদ করে এবং অন্যের বিপদে আনন্দিত হয়। (আল খেসাল, পৃষ্ঠা ১২১, হাদিস নং ১১৩)

হিংসা, ঈর্ষা, স্বার্থপরতা কোনটি যে কার আগে বলা মুশকিল। অনেকটা ডিম আগে না মুরগি আগের মতো।

 

কোথায় যেন দেখেছিলাম লেখাটি...

ঈর্ষাতেই ভালো ঈর্ষাতেই মন্দ।

হে মানুষ ঈর্ষা কর তারে

যে তাকে সবাই ভালো বলে।

আমরা মনুষ্য জাতি কি ভালো হওয়ার জন্য, আত্মশুদ্ধির জন্য, সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হওয়ার জন্য ঈর্ষা করি? না কি অন্যের যোগ্যতায় নিজের অযোগ্যতার কথা ভেবে পরশ্রীকাতরতায় দগ্ধ হই! জীবন মানেই অনিশ্চিত ভ্রমণ। আমাদের মনের ধর্মশালায় দুই অন্তরের বসবাস। একটি অভিজাত আর একটি ছোটলোক। না, শ্রেণি বৈষম্য নিয়ে আলোচনা করতে বসিনি। তর্কশাস্ত্রবিদ মনের জটিলতার জটটি খোলার চেষ্টায় আছি। অনেকেই বলেন, জীবন মানেই সাফল্য আর সাফল্য মানেই দুর্ভোগ। সফলতা কিংবা বিফলতা নয়, মানুষ হওয়াটাই বড় কথা। কিন্তু পরশ্রীকাতরতার দগ্ধে জর্জরিত আমরা সাফল্য আর মনুষ্যত্বের তফাৎ করতে পারি কি?

বিখ্যাত দার্শনিক এরিস্টটল বলেছিলেন, ঈর্ষা থেকে আত্মরক্ষা করা উচিত। কিন্তু যে ঈর্ষার আত্মশুদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, তা কিছুতেই পরিত্যাগ করা উচিত নয়। ঈর্ষার আত্মশুদ্ধি! দার্শনিকদের কথা অবশ্যই শিরোধার্য। কিন্তু ঈর্ষা কি আসলেই আত্মশুদ্ধি ঘটাতে পারে? পারে কি আত্মোন্নয়ন করতে? ব্যাপারটি আমার মতো ক্ষুদ্র নগণ্যের পক্ষে বোঝা দায়।

হেরোডেটাস বলেছেন, মানুষের অনুকম্পা পাওয়ার চেয়ে মানুষের ঈর্ষা পাওয়া শ্রেয়। সব ধর্মমতে হিংসা মহাপাপ। হিংসা থেকে নিষ্ঠুরতা-বর্বরতা জন্ম নেয়।

সেই আমলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার সমালোচক ছিলেন অনেকেই। কিছুটা ঈর্ষা থেকে। কিছুটা প্রচলিত ধারাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধারা তৈরির জন্য অথবা তার জনপ্রিয়তার জন্য। এমন কি মোহিতলাল মজুমদার, দীজেন্দ্রলাল রায়সহ বেশ কয়েকজন সমালোচনাও করেছিলেন বলে জানা যায়। তাতে কি রবীন্দ্রনাথের কবি প্রতিভার প্রকাশ ঘটেনি। তিনি কি বিশ্বকবির স্বীকৃতি পাননি? নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির পর রবীন্দ্রনাথের সংবর্ধনা সভায় যোগদান করেছিলেন তার সমালোচকরাই।

গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের লেখা গল্প উপন্যাস ছাপেনি যে পত্রিকাগুলো, সেসব পত্রিকার সম্পাদকরাই মার্কেজের লেখার প্রশংসা করেছেন পরবর্তীতে। মার্কেজ নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তারাই অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছিলেন।

সংস্কৃতে হিংসা মানে বধ, প্রাণীপীড়া, অন্যের হানি বা ক্ষতি করার প্রবৃত্তি। কিন্তু বাংলায় হিংসা মানে ঈর্ষা, পরশ্রীকাতরতা পরিপূর্ণ।

বিষাক্ত এই নগরে অন্যের সৌভাগ্য আমাদের দারুণ ঈর্ষা জাগায়। অন্যের সুখবরে, উন্নতিতে আমরা চোখ-কান উল্টে রাখি। কিন্তু তার ক্ষতির আশঙ্কা বা সম্ভাবনা যাই বলি না কেন, দেখলে হিংসাকে পরম ধর্ম বলে মান্য করি।

শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নারী চরিত্রগুলোর কথা মনে আছে?  উপন্যাসের নারী চরিত্রগুলো যেমন আবেগ ও উচ্ছ্বাসে অসাধারণ ঔজ্জ্বল্যে উপস্থাপিত হয়েছে, তেমনি উনিশ শতকের শেষ দুই দশক এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর ভারতবর্ষের গ্রামীণ সমাজের সামাজিক রীতিনীতি ও সমস্যা,  কলহ, দলাদলি, রক্ষণশীলতা, প্রথানুগত্য, আবার তার মধ্যে প্রগতিশীলতার স্ফূরণ, পরশ্রীকাতরতা সব মিলিয়ে বাংলার সমাজ জীবনের জটিল ক্ষুব্ধ রূপের প্রতিচ্ছবি তার নারী চরিত্রগুলোর মধ্যে প্রভাব পড়েছে প্রত্যক্ষভাবে। একদিকে নারীর জীবনের স্বাভাবিক সুখ-দুঃখকে অপরিসীম সহানুভূতি ও দরদে রাঙিয়ে তুলেছেন। আবার পরশ্রীকাতরতার মোড়কে সাধারণের সুখ-দুঃখকেও ছড়িয়ে দিয়েছেন। শরত্চন্দ্র থেকে আজ এ যুগে এসেও মানব অন্তরের পরশ্রীকাতরতা বা ঈর্ষার চুল পরিমাণ আচরণ বদলায়নি।

যে নারীর হিংসা নেই তাকে এক কথায় বলে অনুসূয়া। কিন্তু হিংসা কি শুধু নারীর ভূষণ? কর্মক্ষেত্রে, পরিবারে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই তো এই বিষে বিষাক্ত। অনেক বেশি গুরুগম্ভীর হয়ে যাচ্ছে লেখাটি কি? বরং কয়েকটি মজার জোকস বলি।

এক মহিলা বহুক্ষণ ধরে তার স্বামীকে ফোনে চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই তাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। ওদিকে ফোনের টাকাও প্রায় শেষ। শেষমেশ মহিলা তার ছেলেকে বললেন তার বাবাকে জরুরি ভিত্তিতে ফোন দিতে। বাচ্চা ছেলেটি বাবাকে ফোন দিয়ে তার মাকে জানাল, মা আমি তিনবার বাবাকে ফোন দিয়েছি। তিনবারই একটি মহিলা বাবার ফোন ধরছে। মহিলা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামীর জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। স্বামী বাড়ির গেটে আসামাত্রই মহিলা দৌড়ে বের হয়ে এসে সপাটে স্বামীর গালে চড় কষিয়ে দিল। একটি চড়েই ক্ষান্ত না হয়ে চড় দিতেই লাগল। হৈচৈ চিৎকার শুনে পাড়া-প্রতিবেশীরা দৌড়ে এলো। মহিলা রাগে ক্ষোভে বলল, আপনারা আমার ছেলের কাছ থেকেই তার বাবার কীর্তি-কাহিনী শোনেন। ছেলেকে ডেকে আনা হলো। ছেলের উত্তর ছিল, যতবার আমি ফোন দেই এক মহিলা বলেন, এই নম্বরটি এখন ব্যস্ত আছে, কিছুক্ষণ পর আবার ডায়াল করুন।

নাহ, সব লেখাতে নারীর ঈর্ষাই প্রাধান্য পাচ্ছে। কিন্তু ঈর্ষা বলি, হিংসা বলি আর পরশ্রীকাতরতাই বলি নারী-পুরুষ কেহ ছাড়ে নাহি ছাড়ে সমানে সমান। বরং আর একটি জোকস বলি। এক স্বামী-স্ত্রী তাদের কন্যার কাছ থেকে একটি চিঠি পেলেন। মেয়েটি দেশের বাইরে পড়াশোনা করে এবং খুব শিগগিরই তার দেশে ফেরত আসার কোনোই সম্ভাবনা নেই। মেয়েটি জানাল, আমার প্রিয় বাবা-মা আমি তোমাদের অনেক ভালোবাসি, অনেক মিস করি। আমি জানি না কবে দেশে ফিরতে পারব। কিন্তু যেহেতু সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, তাই সেটা আমার মনকে ভেঙে দিচ্ছে। আর যখন আমি দেশে ফিরতে পারব হয়তো ততদিনে তোমরা অনেক বৃদ্ধ হয়ে যাবে। তাই তোমাদের কাছে আমার আবিষ্কার করা একটি বোতল পাঠাচ্ছি। এর মধ্যে যে ওষুধটি আছে, এটি খেলে তোমাদের বয়স বাড়বে না। আমি যখন ফিরে আসব তোমরা এই বয়সেই থাকবে। তবে সাবধান এক ফোঁটার বেশি খাবে না। স্বামী-স্ত্রী বোতলটি খুলল। স্বামী প্রথমে অবিশ্বাসের দিকে স্ত্রীর দিকে তাকাল এবং বলল, প্রথমে তুমি খাবে। তারপর আমি। স্ত্রী বোতলটি খুলে ওষুধটি খেল এবং স্বামী দেখল তার স্ত্রীর বয়স প্রায় পাঁচ বছর কমে গেল।

বেশ কয়েক বছর পর মেয়েটি তার বাবা-মা’র সঙ্গে দেখা করতে এলো। দেখল তার মা খুব সুন্দরী হয়ে গেছে এবং বয়স অনেক কমে গেছে। আর মায়ের কোলে রয়েছে একটি ছোট শিশু। মা উচ্ছ্বসিত হয়ে জানাল ওষুধ কীভাবে কাজ করেছে এবং তার বয়স কমে গেছে। মেয়েটি শুনে খুব খুশি হলো আর বাবার কথা জানতে চাইল। মায়ের উত্তর, আমার সুন্দর হয়ে যাওয়াতে আর বয়স কমে যাওয়াতে তোমার বাবার এতই হিংসা হলো যে, পুরো বোতলের বাকি ওষুধ সে একাই সাবাড় করল। বাবা এখন কোথায় মা, মেয়েটির প্রশ্ন। এই যে আমার কোলে, মায়ের উত্তর। 

জোকস জোকসই। এতে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। কিন্তু অনেকেই বলে থাকেন দুর্বলকে করুণা কর। আর ঈর্ষা এমন এক প্রাপ্তি যা অর্জন করতে হয়। অনেকটা কগনিটিভ ডিজোনেন্সের মতো। শেয়ালের গল্পটা মনে আছে? ওই যে আঙ্গুর ফল টক। শেয়াল বেচারা কিছুতেই আঙ্গুরের নাগাল পাচ্ছিল না। শেষমেশ বিরক্ত হয়ে ঘোষণা দিল, ধুর এ ফল খায় কে। আঙ্গুর ফল তো টক।

আমাদের মস্তিষ্কও তেমন। যখনই কোনো বিভ্রান্তির মধ্যে আমরা থাকি, বিশেষ করে আমাদের মধ্যে যখন কোনো দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, তখন ঘটনার সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক যুক্তি খুঁজতে থাকে। এমন যুক্তি যা তার দ্বন্দ্বকে সমর্থন করে। সাধারণভাবে এটাই কগনেটিভ ডিজোনেন্স। হঠাৎ করে কগনেটিভ ডিজোনেন্সের কথা তুললাম কেন? মনে করুন আপনি একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। খুবই ভালো কাজ করেন, খুবই যোগ্য আপনি। অন্তত নিজের কাজের ব্যাপারে আপনি ষোলআনা আত্মবিশ্বাসী। আপনারই আশেপাশে আপনার কিছু সহকর্মী আছে যারা কাজের দিক দিয়ে আপনার যোগ্য নন, আবার আপনার কাজের খুঁত খুঁজে বের করাও তাদের যোগ্যতার বাইরে। কিন্তু আপনার প্রতি সবার প্রশংসা তাদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করে, তারা আপনার কাজের ক্ষেত্রে দোষ খুঁজে না পেলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপনার সমালোচনায় মুখর হয়। কারণ তাদের মস্তিষ্কের দ্বন্দ্ব আপনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, অস্থিরতা তৈরি করেছে। এ অস্থিরতাকে দূর করার জন্য, ডিজোনেন্সকে ব্যালান্স করার জন্য তারা অবশেষে জেলাসির বহিঃপ্রকাশ ঘটায় এবং সে অনুযায়ী আচরণ করে।

তবে আজ যদি দ্বন্দ্ব না থাকে, বিশ্ব চরাচরে কোনো চিন্তাশীল প্রাণী থাকবে না। বলা হয় ডিজোনেন্স ড্রাইভস দ্য ওয়ার্ল্ড।  গণমাধ্যম, শিক্ষা, ব্যবসা সব কিছু আজ পরিচালিত হচ্ছে চিন্তা ও দ্বন্দ্বের জোরে। তবে দ্বন্দ্বকে বাড়াব না কমাব সেটাই মূল বিষয়। যদি পরশ্রীকাতরতার দ্বন্দ্বকে ভালো প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করতে পারি, নিজের উন্নয়ন ঘটাতে পারি, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, সর্বোপরি সমাজের স্বার্থে কাজ করতে পারি তবে অবশ্যই সেটি কল্যাণকর। আর যদি সেটি হয় নিজের অযোগ্যতাকে ঢেকে রাখার স্বার্থে হিংসামী ও নীচহীন কাজ, তবে শেষ পর্যন্ত ক্ষতিকর বিষাক্ত দ্বান্দ্বিক পৃথিবীর আর দশটি বাসিন্দার মতোই হবে আমাদের ক্ষুদ্র জীবন। আমরা প্রত্যেকে যার যার প্রেক্ষাপটে থেকে নিজের কাজের পক্ষে যুক্তি খুঁজি, সেটি ভালো হোক আর মন্দই হোক। যেটিকে আমরা তাত্ত্বিকরা বলি কনফার্মেশন বায়াস।

১৯৬৩ সালে মার্টিন লুথার কিংয়ের সেই বিখ্যাত বক্তৃতার কথা নিশ্চয়ই সবারই ঠোঁটস্থ। আড়াই লাখের বেশি মানুষের সামনে তিনি যা বলেছিলেন তা কাঁপিয়ে দিয়েছিল সমগ্র বিশ্বকে। মার্টিন লুথার কিং তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, আমি জানি, কিছু মানুষ তোমাকে পছন্দ করে না। ব্যাপারটা এমন নয় যে, তুমি তার কোনো ক্ষতি করেছ। তবু তুমি তার কাছে স্রেফ অপছন্দের মানুষ। তোমার হাঁটা-চলা, কথাবার্তা অনেকের কাছেই ভালো লাগবে না। কেউ হয়তো তোমাকে অপছন্দ করে, কারণ তুমি তার চেয়ে ভালো কাজ জান। তুমি জনপ্রিয়, তোমাকে লোকে পছন্দ করে, সেটাও অপছন্দনীয় হওয়ার কারণ হতে পারে। তোমার চুল তার চেয়ে সামান্য বড় বা ছোট, তোমার গায়ের রং তার চেয়ে খানিকটা উজ্জ্বল কিংবা অনুজ্জ্বল— হয়তো কারণটা এমন! কেবল কারও কোনো ক্ষতি করলেই তুমি তার অপছন্দের পাত্র হবে, তা নয়। অপছন্দ ব্যাপারটা আসে ঈর্ষাকাতরতা থেকে। মানুষের সহজাত চরিত্রেই এ অনুভূতির প্রভাব আছে।

আমি বহুবার বলেছি, আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই এক ধরনের সিজোফ্রেনিক চরিত্র আছে। আমরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে বিভক্ত হয়ে আছি। আমাদের সবার মধ্যেই এমন কিছু আছে, আমি দেখি এবং সমর্থন করি ভালো কাজ, কিন্তু করি খারাপ কাজ। আমাদের সবার মধ্যেই এমন কিছু আছে, যার কারণে আমরা প্লেটোর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলি, মানুষের চরিত্র হলো একটা রথের মতো। রথটা টেনে নেয় দুটো শক্তিশালী ঘোড়া। দুটোই একে অপরের বিপরীত দিকে যেতে চায়। আমরা গ্যেটের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলি, আমার মধ্যে ভদ্র এবং অভদ্র দুটো হওয়ার মতোই যথেষ্ট রসদ আছে।

শত্রুকে ভালোবাসার আরও একটা উপায় হচ্ছে, যখন তাকে পরাজিত করার মোক্ষম সুযোগ আসবে, তুমি সেটা কর না। হ্যাঁ, সে তোমার কাছে হারবে, কিন্তু একটু ভিন্নভাবে।

যে মানুষটা তোমাকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে, যে মানুষটা তোমার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি দুর্ব্যবহার করে, যে পেছনে তোমার সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি খারাপ কথা বলে, যে তোমার নামে মিথ্যা গুজব ছড়ায়; একদিন সে-ই হয়তো কোনো প্রয়োজনে তোমার সামনে দাঁড়াবে। হতে পারে চাকরির জন্য তার কোনো সুপারিশ প্রয়োজন, হতে পারে তোমার কাছে তার এমন একটা সাহায্য দরকার, যেটা তার জীবন বদলে দেবে। এটাই হলো তোমার জয়লাভ করার মোক্ষম সময়! কেন শত্রুকে ভালোবাসব? আরও একটা কারণ হলো, তুমি যখন কাউকে ঘৃণা কর, তখন তোমার চরিত্রটাও বিকৃত হয়ে যায়। তুমি অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে শুরু কর। ঘৃণা তোমার চোখে লেগে থাকলে তুমি সোজা তাকাতে পার না। সোজা হাঁটতে পার না। একজন মানুষের হৃদয় ভরা ঘৃণা, এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছুই হতে পারে না!

ওই যে কথায় বলে না, কখনো তাদের ঘৃণা কর না যারা তোমাকে হিংসা করে। বরং তাদের হিংসাকে সম্মান কর। কারণ তারাই সেই মানুষ, যারা বিশ্বাস করে তুমি তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।

ঈদ মৌসুমে আর হিংসা নয়, পরশ্রীকাতরতা নয়, বরং ভালোবাসার শপথ নেই। কিন্তু জোকস তো জোকসই বটে। তাই শেষ করছি যথারীতি জোক দিয়েই।

এক মহিলা তার স্বামীর ব্যাপারে খুবই ঈর্ষান্বিত এবং স্বামী ঘরে ফেরা মাত্রই তার স্বামীর পকেট শার্ট, ফোন সব চেক করে দেখত মেয়েদের কোনো কিছু খুঁজে পাওয়া যায় কিনা।  এক রাতে স্বামীর শার্টের পকেটে কিছুই খুঁজে না পেয়ে মহিলা চিৎকার করে উঠলেন, ওহ তাহলে তুমি এখন টাকমাথা মেয়েদের কাছে যাচ্ছ, তাই না?

 

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও

সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিভাগের আরও খবর
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
সর্বশেষ খবর
সিংড়ায় শীতের আগমনে লেপ–তোষকের দোকানে ভিড়
সিংড়ায় শীতের আগমনে লেপ–তোষকের দোকানে ভিড়

৩ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

ধর্মকে রাজনীতিতে আনবেন না: ডা. জাহিদ
ধর্মকে রাজনীতিতে আনবেন না: ডা. জাহিদ

৩২ সেকেন্ড আগে | ভোটের হাওয়া

ভাল ফলাফলের পাশাপাশি ভাল মানুষ হতে হবে : ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান
ভাল ফলাফলের পাশাপাশি ভাল মানুষ হতে হবে : ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান

৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে ১১ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ১২
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে ১১ জনের প্রাণহানি, নিখোঁজ ১২

৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘‌বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের প্রতিষ্ঠিত করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে’
‘‌বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের প্রতিষ্ঠিত করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে’

১১ মিনিট আগে | রাজনীতি

জাতি একটি সুষ্ঠু সুন্দর অবাধ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে: দুলু
জাতি একটি সুষ্ঠু সুন্দর অবাধ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে: দুলু

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লড়াই এখনো শেষ হয়নি : সেলিমা রহমান
লড়াই এখনো শেষ হয়নি : সেলিমা রহমান

১৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

মিরপুরে বিআরটিএ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ
মিরপুরে বিআরটিএ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ

১৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘আগামী নির্বাচনে নোয়াখালীর ৬টি আসন বিএনপিকে উপহার দেওয়া হবে’
‘আগামী নির্বাচনে নোয়াখালীর ৬টি আসন বিএনপিকে উপহার দেওয়া হবে’

১৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

হাতিরঝিলে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে আগুন
হাতিরঝিলে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে আগুন

২৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

৩১ দফা রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের সার্বজনীন নির্দেশনা: মনিরুল হক
৩১ দফা রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের সার্বজনীন নির্দেশনা: মনিরুল হক

৩১ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

সিলেটে বিপুল পরিমাণ মাদক ধ্বংস
সিলেটে বিপুল পরিমাণ মাদক ধ্বংস

৩২ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

নারায়ণগঞ্জে প্রকাশ্যে গুলি, যুবক আহত
নারায়ণগঞ্জে প্রকাশ্যে গুলি, যুবক আহত

৩৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

নোয়াখালী বিভাগ হলে দেশের চিত্র পাল্টে যাবে : বরকত উল্লাহ বুলু
নোয়াখালী বিভাগ হলে দেশের চিত্র পাল্টে যাবে : বরকত উল্লাহ বুলু

৪১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফজলুর রহমান মেমোরিয়াল কলেজের দুই যুগ পূর্তিতে বর্ণাঢ্য আয়োজন
ফজলুর রহমান মেমোরিয়াল কলেজের দুই যুগ পূর্তিতে বর্ণাঢ্য আয়োজন

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সোনারগাঁয়ে তাঁতী দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
সোনারগাঁয়ে তাঁতী দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

৪৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ জাবিতে রাত ১০টার পর যেকোনো অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ
‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ জাবিতে রাত ১০টার পর যেকোনো অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ

৫০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

‘ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেশকে রক্ষা করুন’
‘ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেশকে রক্ষা করুন’

৫১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মোংলায় জামায়াতে ইসলামীর ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মোংলায় জামায়াতে ইসলামীর ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সরাইলে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, আহত ২০
সরাইলে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, আহত ২০

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কাতারের মধ্যস্থতায় শান্তিচুক্তির পথে কঙ্গো ও এম২৩ বিদ্রোহীরা
কাতারের মধ্যস্থতায় শান্তিচুক্তির পথে কঙ্গো ও এম২৩ বিদ্রোহীরা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বনাথে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পেলেন দুই সহস্রাধিক মানুষ
বিশ্বনাথে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পেলেন দুই সহস্রাধিক মানুষ

১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

বারী সিদ্দিকীর জন্মদিনে কেক কাটলেন হিমু পাঠক আড্ডার সদস্যরা
বারী সিদ্দিকীর জন্মদিনে কেক কাটলেন হিমু পাঠক আড্ডার সদস্যরা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তফসিলের আগে লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে আবারও ঢেলে সাজাবে সরকার
তফসিলের আগে লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে আবারও ঢেলে সাজাবে সরকার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শার্শায় ধানের শীষের প্রার্থী তৃপ্তির উঠান বৈঠক
শার্শায় ধানের শীষের প্রার্থী তৃপ্তির উঠান বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

দিনাজপুরে জামায়াত প্রার্থীর মোটরসাইকেল র‌্যালি
দিনাজপুরে জামায়াত প্রার্থীর মোটরসাইকেল র‌্যালি

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নতুন কুঁড়ির শিশুশিল্পীরা খ্যাতি অর্জন করবে: তথ্য উপদেষ্টা
নতুন কুঁড়ির শিশুশিল্পীরা খ্যাতি অর্জন করবে: তথ্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দলের দুর্দিনে রোজি কবির ছিলেন ভরসা : খসরু
দলের দুর্দিনে রোজি কবির ছিলেন ভরসা : খসরু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো আজও পুনর্নির্মাণ হয়নি
সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো আজও পুনর্নির্মাণ হয়নি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

২৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই

১৯ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী
এবার শাকিবের নায়িকা হচ্ছেন পাকিস্তানের অভিনেত্রী

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে
কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে
আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা