শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ আপডেট:

হিংসার ঘোরপ্যাঁচে আমি ও আমরা

সামিয়া রহমান
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
হিংসার ঘোরপ্যাঁচে আমি ও আমরা

প্রতিবছরের মতো এবারও ঘুরেফিরে ঈদ এলো। ঈদ মানে ত্যাগ, সংযম আর ভালোবাসার দিন। সবার জন্য উৎসব আনন্দের দিন। গত রোজার ঈদটি এসেছিল শোকাবহ ভয়াবহ কষ্ট নিয়ে, আতঙ্ক নিয়ে। আশা করা যায় জঙ্গিবাজরা এবার অন্তত এই ঈদটি আমাদের ছাড় দেবে। ঈদ আসবে এবার উৎসবের আমেজ নিয়ে। আশা করতে দোষ কি। আশা নিয়েই তো আমরা বেঁচে আছি। সেটি হিংসা কাতরতায় অন্যের ক্ষতির আশা?  নাকি পরশ্রীকাতরতার বেদনায় নিজের অযোগ্যতা ঢাকার প্রচেষ্টায় অতি যোগ্যকে হেয় করার আশা— সেটি না হয় ভবিষ্যতের খেরোখাতায় লিখে রাখি। আগে আনন্দের এই মাহেন্দ্রক্ষণ শুরু করছি একটি জোক দিয়েই। অবশ্য সেটিও পরশ্রীকাতরতার জোক।

ডাক্তার রোগীকে জানালেন, আপনার অসুখ তো সিরিয়াস পর্যায়ে চলে গেছে। এতদিন কোথায় ছিলেন? আগে আসেননি কেন আমার কাছে?

রোগীর উত্তর : আপনার কাছে আসার আগে আমি আরেকজন ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম।

ডাক্তার : তো সেই স্টুপিড ডাক্তার কী উপদেশ দিল?

রোগী : সে আমাকে আপনার কাছে আসার পরামর্শ দিল।

আরও একটি জোক বলি। ক্লাসে পরীক্ষা চলছে। খুব মনোযোগ দিয়ে সবাই লিখছে। একটি মেয়ের প্রস্তুতি ছিল খুব খারাপ। মাথায় কিছুই আসছিল না। শিক্ষকের চোখ এড়িয়ে সামনে বসা বান্ধবীকে জিজ্ঞেস করল— এই, হিংসুটে আর স্বার্থপরের ইংরেজি কি রে? বান্ধবী বিরক্ত হয়ে পাত্তা না দিয়ে নিজের লেখায় মগ্ন। রেগে মেয়েটি বলল, তোর মতো জেলাস সেলফিস বন্ধু আমি জীবনে আর দেখিনি।

স্বার্থপরতা আর ঈর্ষা কি এক? নাকি ঈর্ষা থেকে স্বার্থপরতার জন্ম?  হিংসাকে আরবিতে হাসাদ বলা হয়। অন্যের সুখ-শান্তি ও ধনসম্পদ বিনষ্ট বা ধ্বংস করে নিজে এর মালিক হওয়ার কামনা-বাসনাই হচ্ছে হিংসা। ঈর্ষা ও হিংসা প্রায় একই রকম আবেগ, তবে হিংসাকে বলা হয় ঈর্ষার চরম বহিঃপ্রকাশ। ঈর্ষাকাতরতা হিংসার পর্যায়ে চলে গেলে আক্রোশবশত মানুষ হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত ঘটিয়ে ফেলতে পারে।

দৈনন্দিন জীবনে হিংসার বহুবিধ কারণ যেমন পারস্পরিক ঈর্ষাপরায়ণতা, পরশ্রীকাতরতা, শত্রুতা, দাম্ভিকতা, নিজের অসৎ উদ্দেশ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা, নেতৃত্ব বা ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা, অনুগত লোকদের যোগ্যতাবান হয়ে যাওয়া এবং কোনো সুযোগ-সুবিধা হাসিল হওয়া, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নীচুতা বা কার্পণ্য প্রভৃতি দৃশ্যমান। নানা কারণে এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির প্রতি হিংসা প্রকাশ করে থাকে।

হিংসা থেকে ঈর্ষার পার্থক্য দেখাতে গিয়ে বাইবেলের একটি তথ্যগ্রন্থ বলে : ‘ঈর্ষা’ ... অন্যের মতো ধনী হওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে নির্দেশ করে আর হিংসা শব্দটি অন্যের যা আছে, তা কেড়ে নেওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে নির্দেশ করে।’ একজন হিংসুটে ব্যক্তি কেবল অন্যদের যা আছে, সেটা দেখে অসন্তুষ্টই হন না, সেই সঙ্গে তিনি তাদের কাছ থেকে সেগুলো কেড়েও নিতে চান।

হজরত লোকমান (আ.) একবার স্বীয় পুত্রকে বললেন : হিংসুকের তিনটি চিহ্ন রয়েছে : পিঠ-পেছনে গীবত করে, সামনাসামনি তোষামোদ করে এবং অন্যের বিপদে আনন্দিত হয়। (আল খেসাল, পৃষ্ঠা ১২১, হাদিস নং ১১৩)

হিংসা, ঈর্ষা, স্বার্থপরতা কোনটি যে কার আগে বলা মুশকিল। অনেকটা ডিম আগে না মুরগি আগের মতো।

 

কোথায় যেন দেখেছিলাম লেখাটি...

ঈর্ষাতেই ভালো ঈর্ষাতেই মন্দ।

হে মানুষ ঈর্ষা কর তারে

যে তাকে সবাই ভালো বলে।

আমরা মনুষ্য জাতি কি ভালো হওয়ার জন্য, আত্মশুদ্ধির জন্য, সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হওয়ার জন্য ঈর্ষা করি? না কি অন্যের যোগ্যতায় নিজের অযোগ্যতার কথা ভেবে পরশ্রীকাতরতায় দগ্ধ হই! জীবন মানেই অনিশ্চিত ভ্রমণ। আমাদের মনের ধর্মশালায় দুই অন্তরের বসবাস। একটি অভিজাত আর একটি ছোটলোক। না, শ্রেণি বৈষম্য নিয়ে আলোচনা করতে বসিনি। তর্কশাস্ত্রবিদ মনের জটিলতার জটটি খোলার চেষ্টায় আছি। অনেকেই বলেন, জীবন মানেই সাফল্য আর সাফল্য মানেই দুর্ভোগ। সফলতা কিংবা বিফলতা নয়, মানুষ হওয়াটাই বড় কথা। কিন্তু পরশ্রীকাতরতার দগ্ধে জর্জরিত আমরা সাফল্য আর মনুষ্যত্বের তফাৎ করতে পারি কি?

বিখ্যাত দার্শনিক এরিস্টটল বলেছিলেন, ঈর্ষা থেকে আত্মরক্ষা করা উচিত। কিন্তু যে ঈর্ষার আত্মশুদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, তা কিছুতেই পরিত্যাগ করা উচিত নয়। ঈর্ষার আত্মশুদ্ধি! দার্শনিকদের কথা অবশ্যই শিরোধার্য। কিন্তু ঈর্ষা কি আসলেই আত্মশুদ্ধি ঘটাতে পারে? পারে কি আত্মোন্নয়ন করতে? ব্যাপারটি আমার মতো ক্ষুদ্র নগণ্যের পক্ষে বোঝা দায়।

হেরোডেটাস বলেছেন, মানুষের অনুকম্পা পাওয়ার চেয়ে মানুষের ঈর্ষা পাওয়া শ্রেয়। সব ধর্মমতে হিংসা মহাপাপ। হিংসা থেকে নিষ্ঠুরতা-বর্বরতা জন্ম নেয়।

সেই আমলেও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার সমালোচক ছিলেন অনেকেই। কিছুটা ঈর্ষা থেকে। কিছুটা প্রচলিত ধারাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধারা তৈরির জন্য অথবা তার জনপ্রিয়তার জন্য। এমন কি মোহিতলাল মজুমদার, দীজেন্দ্রলাল রায়সহ বেশ কয়েকজন সমালোচনাও করেছিলেন বলে জানা যায়। তাতে কি রবীন্দ্রনাথের কবি প্রতিভার প্রকাশ ঘটেনি। তিনি কি বিশ্বকবির স্বীকৃতি পাননি? নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির পর রবীন্দ্রনাথের সংবর্ধনা সভায় যোগদান করেছিলেন তার সমালোচকরাই।

গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের লেখা গল্প উপন্যাস ছাপেনি যে পত্রিকাগুলো, সেসব পত্রিকার সম্পাদকরাই মার্কেজের লেখার প্রশংসা করেছেন পরবর্তীতে। মার্কেজ নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তারাই অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছিলেন।

সংস্কৃতে হিংসা মানে বধ, প্রাণীপীড়া, অন্যের হানি বা ক্ষতি করার প্রবৃত্তি। কিন্তু বাংলায় হিংসা মানে ঈর্ষা, পরশ্রীকাতরতা পরিপূর্ণ।

বিষাক্ত এই নগরে অন্যের সৌভাগ্য আমাদের দারুণ ঈর্ষা জাগায়। অন্যের সুখবরে, উন্নতিতে আমরা চোখ-কান উল্টে রাখি। কিন্তু তার ক্ষতির আশঙ্কা বা সম্ভাবনা যাই বলি না কেন, দেখলে হিংসাকে পরম ধর্ম বলে মান্য করি।

শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নারী চরিত্রগুলোর কথা মনে আছে?  উপন্যাসের নারী চরিত্রগুলো যেমন আবেগ ও উচ্ছ্বাসে অসাধারণ ঔজ্জ্বল্যে উপস্থাপিত হয়েছে, তেমনি উনিশ শতকের শেষ দুই দশক এবং বিংশ শতাব্দীর প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর ভারতবর্ষের গ্রামীণ সমাজের সামাজিক রীতিনীতি ও সমস্যা,  কলহ, দলাদলি, রক্ষণশীলতা, প্রথানুগত্য, আবার তার মধ্যে প্রগতিশীলতার স্ফূরণ, পরশ্রীকাতরতা সব মিলিয়ে বাংলার সমাজ জীবনের জটিল ক্ষুব্ধ রূপের প্রতিচ্ছবি তার নারী চরিত্রগুলোর মধ্যে প্রভাব পড়েছে প্রত্যক্ষভাবে। একদিকে নারীর জীবনের স্বাভাবিক সুখ-দুঃখকে অপরিসীম সহানুভূতি ও দরদে রাঙিয়ে তুলেছেন। আবার পরশ্রীকাতরতার মোড়কে সাধারণের সুখ-দুঃখকেও ছড়িয়ে দিয়েছেন। শরত্চন্দ্র থেকে আজ এ যুগে এসেও মানব অন্তরের পরশ্রীকাতরতা বা ঈর্ষার চুল পরিমাণ আচরণ বদলায়নি।

যে নারীর হিংসা নেই তাকে এক কথায় বলে অনুসূয়া। কিন্তু হিংসা কি শুধু নারীর ভূষণ? কর্মক্ষেত্রে, পরিবারে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই তো এই বিষে বিষাক্ত। অনেক বেশি গুরুগম্ভীর হয়ে যাচ্ছে লেখাটি কি? বরং কয়েকটি মজার জোকস বলি।

এক মহিলা বহুক্ষণ ধরে তার স্বামীকে ফোনে চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই তাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। ওদিকে ফোনের টাকাও প্রায় শেষ। শেষমেশ মহিলা তার ছেলেকে বললেন তার বাবাকে জরুরি ভিত্তিতে ফোন দিতে। বাচ্চা ছেলেটি বাবাকে ফোন দিয়ে তার মাকে জানাল, মা আমি তিনবার বাবাকে ফোন দিয়েছি। তিনবারই একটি মহিলা বাবার ফোন ধরছে। মহিলা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামীর জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। স্বামী বাড়ির গেটে আসামাত্রই মহিলা দৌড়ে বের হয়ে এসে সপাটে স্বামীর গালে চড় কষিয়ে দিল। একটি চড়েই ক্ষান্ত না হয়ে চড় দিতেই লাগল। হৈচৈ চিৎকার শুনে পাড়া-প্রতিবেশীরা দৌড়ে এলো। মহিলা রাগে ক্ষোভে বলল, আপনারা আমার ছেলের কাছ থেকেই তার বাবার কীর্তি-কাহিনী শোনেন। ছেলেকে ডেকে আনা হলো। ছেলের উত্তর ছিল, যতবার আমি ফোন দেই এক মহিলা বলেন, এই নম্বরটি এখন ব্যস্ত আছে, কিছুক্ষণ পর আবার ডায়াল করুন।

নাহ, সব লেখাতে নারীর ঈর্ষাই প্রাধান্য পাচ্ছে। কিন্তু ঈর্ষা বলি, হিংসা বলি আর পরশ্রীকাতরতাই বলি নারী-পুরুষ কেহ ছাড়ে নাহি ছাড়ে সমানে সমান। বরং আর একটি জোকস বলি। এক স্বামী-স্ত্রী তাদের কন্যার কাছ থেকে একটি চিঠি পেলেন। মেয়েটি দেশের বাইরে পড়াশোনা করে এবং খুব শিগগিরই তার দেশে ফেরত আসার কোনোই সম্ভাবনা নেই। মেয়েটি জানাল, আমার প্রিয় বাবা-মা আমি তোমাদের অনেক ভালোবাসি, অনেক মিস করি। আমি জানি না কবে দেশে ফিরতে পারব। কিন্তু যেহেতু সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, তাই সেটা আমার মনকে ভেঙে দিচ্ছে। আর যখন আমি দেশে ফিরতে পারব হয়তো ততদিনে তোমরা অনেক বৃদ্ধ হয়ে যাবে। তাই তোমাদের কাছে আমার আবিষ্কার করা একটি বোতল পাঠাচ্ছি। এর মধ্যে যে ওষুধটি আছে, এটি খেলে তোমাদের বয়স বাড়বে না। আমি যখন ফিরে আসব তোমরা এই বয়সেই থাকবে। তবে সাবধান এক ফোঁটার বেশি খাবে না। স্বামী-স্ত্রী বোতলটি খুলল। স্বামী প্রথমে অবিশ্বাসের দিকে স্ত্রীর দিকে তাকাল এবং বলল, প্রথমে তুমি খাবে। তারপর আমি। স্ত্রী বোতলটি খুলে ওষুধটি খেল এবং স্বামী দেখল তার স্ত্রীর বয়স প্রায় পাঁচ বছর কমে গেল।

বেশ কয়েক বছর পর মেয়েটি তার বাবা-মা’র সঙ্গে দেখা করতে এলো। দেখল তার মা খুব সুন্দরী হয়ে গেছে এবং বয়স অনেক কমে গেছে। আর মায়ের কোলে রয়েছে একটি ছোট শিশু। মা উচ্ছ্বসিত হয়ে জানাল ওষুধ কীভাবে কাজ করেছে এবং তার বয়স কমে গেছে। মেয়েটি শুনে খুব খুশি হলো আর বাবার কথা জানতে চাইল। মায়ের উত্তর, আমার সুন্দর হয়ে যাওয়াতে আর বয়স কমে যাওয়াতে তোমার বাবার এতই হিংসা হলো যে, পুরো বোতলের বাকি ওষুধ সে একাই সাবাড় করল। বাবা এখন কোথায় মা, মেয়েটির প্রশ্ন। এই যে আমার কোলে, মায়ের উত্তর। 

জোকস জোকসই। এতে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। কিন্তু অনেকেই বলে থাকেন দুর্বলকে করুণা কর। আর ঈর্ষা এমন এক প্রাপ্তি যা অর্জন করতে হয়। অনেকটা কগনিটিভ ডিজোনেন্সের মতো। শেয়ালের গল্পটা মনে আছে? ওই যে আঙ্গুর ফল টক। শেয়াল বেচারা কিছুতেই আঙ্গুরের নাগাল পাচ্ছিল না। শেষমেশ বিরক্ত হয়ে ঘোষণা দিল, ধুর এ ফল খায় কে। আঙ্গুর ফল তো টক।

আমাদের মস্তিষ্কও তেমন। যখনই কোনো বিভ্রান্তির মধ্যে আমরা থাকি, বিশেষ করে আমাদের মধ্যে যখন কোনো দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, তখন ঘটনার সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক যুক্তি খুঁজতে থাকে। এমন যুক্তি যা তার দ্বন্দ্বকে সমর্থন করে। সাধারণভাবে এটাই কগনেটিভ ডিজোনেন্স। হঠাৎ করে কগনেটিভ ডিজোনেন্সের কথা তুললাম কেন? মনে করুন আপনি একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। খুবই ভালো কাজ করেন, খুবই যোগ্য আপনি। অন্তত নিজের কাজের ব্যাপারে আপনি ষোলআনা আত্মবিশ্বাসী। আপনারই আশেপাশে আপনার কিছু সহকর্মী আছে যারা কাজের দিক দিয়ে আপনার যোগ্য নন, আবার আপনার কাজের খুঁত খুঁজে বের করাও তাদের যোগ্যতার বাইরে। কিন্তু আপনার প্রতি সবার প্রশংসা তাদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি করে, তারা আপনার কাজের ক্ষেত্রে দোষ খুঁজে না পেলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপনার সমালোচনায় মুখর হয়। কারণ তাদের মস্তিষ্কের দ্বন্দ্ব আপনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, অস্থিরতা তৈরি করেছে। এ অস্থিরতাকে দূর করার জন্য, ডিজোনেন্সকে ব্যালান্স করার জন্য তারা অবশেষে জেলাসির বহিঃপ্রকাশ ঘটায় এবং সে অনুযায়ী আচরণ করে।

তবে আজ যদি দ্বন্দ্ব না থাকে, বিশ্ব চরাচরে কোনো চিন্তাশীল প্রাণী থাকবে না। বলা হয় ডিজোনেন্স ড্রাইভস দ্য ওয়ার্ল্ড।  গণমাধ্যম, শিক্ষা, ব্যবসা সব কিছু আজ পরিচালিত হচ্ছে চিন্তা ও দ্বন্দ্বের জোরে। তবে দ্বন্দ্বকে বাড়াব না কমাব সেটাই মূল বিষয়। যদি পরশ্রীকাতরতার দ্বন্দ্বকে ভালো প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করতে পারি, নিজের উন্নয়ন ঘটাতে পারি, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, সর্বোপরি সমাজের স্বার্থে কাজ করতে পারি তবে অবশ্যই সেটি কল্যাণকর। আর যদি সেটি হয় নিজের অযোগ্যতাকে ঢেকে রাখার স্বার্থে হিংসামী ও নীচহীন কাজ, তবে শেষ পর্যন্ত ক্ষতিকর বিষাক্ত দ্বান্দ্বিক পৃথিবীর আর দশটি বাসিন্দার মতোই হবে আমাদের ক্ষুদ্র জীবন। আমরা প্রত্যেকে যার যার প্রেক্ষাপটে থেকে নিজের কাজের পক্ষে যুক্তি খুঁজি, সেটি ভালো হোক আর মন্দই হোক। যেটিকে আমরা তাত্ত্বিকরা বলি কনফার্মেশন বায়াস।

১৯৬৩ সালে মার্টিন লুথার কিংয়ের সেই বিখ্যাত বক্তৃতার কথা নিশ্চয়ই সবারই ঠোঁটস্থ। আড়াই লাখের বেশি মানুষের সামনে তিনি যা বলেছিলেন তা কাঁপিয়ে দিয়েছিল সমগ্র বিশ্বকে। মার্টিন লুথার কিং তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, আমি জানি, কিছু মানুষ তোমাকে পছন্দ করে না। ব্যাপারটা এমন নয় যে, তুমি তার কোনো ক্ষতি করেছ। তবু তুমি তার কাছে স্রেফ অপছন্দের মানুষ। তোমার হাঁটা-চলা, কথাবার্তা অনেকের কাছেই ভালো লাগবে না। কেউ হয়তো তোমাকে অপছন্দ করে, কারণ তুমি তার চেয়ে ভালো কাজ জান। তুমি জনপ্রিয়, তোমাকে লোকে পছন্দ করে, সেটাও অপছন্দনীয় হওয়ার কারণ হতে পারে। তোমার চুল তার চেয়ে সামান্য বড় বা ছোট, তোমার গায়ের রং তার চেয়ে খানিকটা উজ্জ্বল কিংবা অনুজ্জ্বল— হয়তো কারণটা এমন! কেবল কারও কোনো ক্ষতি করলেই তুমি তার অপছন্দের পাত্র হবে, তা নয়। অপছন্দ ব্যাপারটা আসে ঈর্ষাকাতরতা থেকে। মানুষের সহজাত চরিত্রেই এ অনুভূতির প্রভাব আছে।

আমি বহুবার বলেছি, আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই এক ধরনের সিজোফ্রেনিক চরিত্র আছে। আমরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে বিভক্ত হয়ে আছি। আমাদের সবার মধ্যেই এমন কিছু আছে, আমি দেখি এবং সমর্থন করি ভালো কাজ, কিন্তু করি খারাপ কাজ। আমাদের সবার মধ্যেই এমন কিছু আছে, যার কারণে আমরা প্লেটোর সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলি, মানুষের চরিত্র হলো একটা রথের মতো। রথটা টেনে নেয় দুটো শক্তিশালী ঘোড়া। দুটোই একে অপরের বিপরীত দিকে যেতে চায়। আমরা গ্যেটের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলি, আমার মধ্যে ভদ্র এবং অভদ্র দুটো হওয়ার মতোই যথেষ্ট রসদ আছে।

শত্রুকে ভালোবাসার আরও একটা উপায় হচ্ছে, যখন তাকে পরাজিত করার মোক্ষম সুযোগ আসবে, তুমি সেটা কর না। হ্যাঁ, সে তোমার কাছে হারবে, কিন্তু একটু ভিন্নভাবে।

যে মানুষটা তোমাকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করে, যে মানুষটা তোমার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি দুর্ব্যবহার করে, যে পেছনে তোমার সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি খারাপ কথা বলে, যে তোমার নামে মিথ্যা গুজব ছড়ায়; একদিন সে-ই হয়তো কোনো প্রয়োজনে তোমার সামনে দাঁড়াবে। হতে পারে চাকরির জন্য তার কোনো সুপারিশ প্রয়োজন, হতে পারে তোমার কাছে তার এমন একটা সাহায্য দরকার, যেটা তার জীবন বদলে দেবে। এটাই হলো তোমার জয়লাভ করার মোক্ষম সময়! কেন শত্রুকে ভালোবাসব? আরও একটা কারণ হলো, তুমি যখন কাউকে ঘৃণা কর, তখন তোমার চরিত্রটাও বিকৃত হয়ে যায়। তুমি অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে শুরু কর। ঘৃণা তোমার চোখে লেগে থাকলে তুমি সোজা তাকাতে পার না। সোজা হাঁটতে পার না। একজন মানুষের হৃদয় ভরা ঘৃণা, এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছুই হতে পারে না!

ওই যে কথায় বলে না, কখনো তাদের ঘৃণা কর না যারা তোমাকে হিংসা করে। বরং তাদের হিংসাকে সম্মান কর। কারণ তারাই সেই মানুষ, যারা বিশ্বাস করে তুমি তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।

ঈদ মৌসুমে আর হিংসা নয়, পরশ্রীকাতরতা নয়, বরং ভালোবাসার শপথ নেই। কিন্তু জোকস তো জোকসই বটে। তাই শেষ করছি যথারীতি জোক দিয়েই।

এক মহিলা তার স্বামীর ব্যাপারে খুবই ঈর্ষান্বিত এবং স্বামী ঘরে ফেরা মাত্রই তার স্বামীর পকেট শার্ট, ফোন সব চেক করে দেখত মেয়েদের কোনো কিছু খুঁজে পাওয়া যায় কিনা।  এক রাতে স্বামীর শার্টের পকেটে কিছুই খুঁজে না পেয়ে মহিলা চিৎকার করে উঠলেন, ওহ তাহলে তুমি এখন টাকমাথা মেয়েদের কাছে যাচ্ছ, তাই না?

 

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও

সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের সংবর্ধনা ও পদক প্রদান
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের সংবর্ধনা ও পদক প্রদান

২০ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের সংবর্ধনা ও পদক প্রদান
খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শান্তিকালীন পদকপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের সংবর্ধনা ও পদক প্রদান

২১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ল
সার কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ল

১ মিনিট আগে | অর্থনীতি

নেত্রকোনায় হাওর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
নেত্রকোনায় হাওর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জকীগঞ্জে অসহায় প্রতিবন্ধীর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
জকীগঞ্জে অসহায় প্রতিবন্ধীর পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

৫ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

গোবিন্দগঞ্জে ব্যাংক প্রতারণা চক্রের সদস্য আটক
গোবিন্দগঞ্জে ব্যাংক প্রতারণা চক্রের সদস্য আটক

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণতন্ত্রের পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই : আমীর খসরু
গণতন্ত্রের পথ থেকে বিচ্যুত হওয়ার সুযোগ নেই : আমীর খসরু

৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

১২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নিউক্যাসল বাংলাদেশ কমিউনিটির ১০ বছর পূর্তি উদযাপন
নিউক্যাসল বাংলাদেশ কমিউনিটির ১০ বছর পূর্তি উদযাপন

১২ মিনিট আগে | পরবাস

ভালবাসার টানে চীন থেকে মুন্সীগঞ্জে এসে বিয়ে করলেন চীনা যুবক
ভালবাসার টানে চীন থেকে মুন্সীগঞ্জে এসে বিয়ে করলেন চীনা যুবক

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা

১৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদী থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদী থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী কানাডা
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী কানাডা

১৭ মিনিট আগে | জাতীয়

শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে শিক্ষার পরিবেশ আনন্দদায়ক হতে হবে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা
শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে শিক্ষার পরিবেশ আনন্দদায়ক হতে হবে : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

২০ মিনিট আগে | জাতীয়

ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৭৮
ডেঙ্গুতে আরও ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৭৮

২০ মিনিট আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বাউবির ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবন খালি করার নির্দেশ
বাউবির ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবন খালি করার নির্দেশ

২২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরপেক্ষ থাকবে
নির্বাচনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরপেক্ষ থাকবে

২৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

আইসিসির সাবেক আম্পায়ার খিজার হায়াতের মৃত্যু
আইসিসির সাবেক আম্পায়ার খিজার হায়াতের মৃত্যু

২৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

‘অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার ভূমিকম্পের চেয়েও বড় ঝুঁকি তৈরি করছে’
‘অ্যান্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার ভূমিকম্পের চেয়েও বড় ঝুঁকি তৈরি করছে’

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু

৩২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিটরুটের ১০ উপকারিতা
বিটরুটের ১০ উপকারিতা

৩২ মিনিট আগে | জীবন ধারা

রাজনীতিতে সহনশীলতা না থাকায় সমাজে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে : রিজভী
রাজনীতিতে সহনশীলতা না থাকায় সমাজে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে : রিজভী

৩৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

ইউক্রেন শান্তি প্রস্তাবে ইউরোপের নিরাপত্তাও দেখতে হবে: ম্যাক্রোঁ
ইউক্রেন শান্তি প্রস্তাবে ইউরোপের নিরাপত্তাও দেখতে হবে: ম্যাক্রোঁ

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেরপুরের চরাঞ্চলে ব্রিজের অভাবে চরম ভোগান্তি
শেরপুরের চরাঞ্চলে ব্রিজের অভাবে চরম ভোগান্তি

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিডা চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিডা চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ

৫৪ মিনিট আগে | জাতীয়

রেলপথ অবরোধ করে ফের বিক্ষোভ রাবি শিক্ষার্থীদের
রেলপথ অবরোধ করে ফের বিক্ষোভ রাবি শিক্ষার্থীদের

৫৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

চট্টগ্রামে থানার শৌচাগারে এএসআইয়ের লাশ
চট্টগ্রামে থানার শৌচাগারে এএসআইয়ের লাশ

৫৭ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে হবে: এ্যানি
মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে হবে: এ্যানি

৫৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

গুমের দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩ ও ৭ ডিসেম্বর
গুমের দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩ ও ৭ ডিসেম্বর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
রাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় বিতর্কিত মডেল মেঘনা আলম

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

২২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়
বড় ইনিংস খেলা অভ্যাসের বিষয়

মাঠে ময়দানে

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা