শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ আপডেট:

জাতীয় কবির তাসাউফ এবং ইলমে মারেফত

গোলাম মাওলা রনি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
জাতীয় কবির তাসাউফ এবং ইলমে মারেফত

এমনতরো ঘটনা আমার জীবনে সচরাচর ঘটে না। সকাল বেলা অফিসে আসার সময় আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদকে বায়ে রেখে শাহবাগের দিকে যাচ্ছিলাম। ট্রাফিক জ্যামের কারণে আমার গাড়িটি বহুক্ষণ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মাজারের কাছে ঠায় দাঁড়িয়ে রইল। চলতি পথে গাড়িতে বসে আমি সর্বদা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতে থাকি এবং নেহায়েত জরুরি অথবা ব্যতিক্রমী কিছু না ঘটলে সাধারণত আশপাশে কোনো দিকে তাকাই না।  এই অভ্যাসটি আমি রপ্ত করেছি হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রহ.)-এর একটি সুবিখ্যাত বইয়ে বর্ণিত একটি উপদেশমালার কল্যাণে। তিনি উপদেশ দিয়েছেন অপ্রয়োজনীয় বিষয় না দেখতে। একই রূপে অপ্রয়োজনীয় শব্দমালা, ঘ্রাণ, সুর, তাল, লয়, ছন্দ এবং স্পর্শ থেকে নিজেকে দূরে রাখার পরামর্শও তিনি দিয়েছেন। তার মতে, প্রকৃতির নিয়মে প্রতিটি দৃশ্য, শব্দ, ঘ্রাণ এবং স্পর্শ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের মস্তিষ্কে জমা হয়ে এমন এক জটিল অবস্থা সৃষ্টি করে যার কারণে আমরা স্মৃতিশক্তি হারাতে থাকি— আমাদের আবেগ-অনুভূতি ভোঁতা হতে থাকে এবং বুদ্ধিশুদ্ধিও কমতে তাকে।

ঘটনার দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কি যেন একটা যুব সমাবেশ ছিল। হাজার হাজার যুবক-যুবতী দলবেঁধে ম্যারাথন দৌড়ের নামে মৃদুপায়ে টিএসসির দিকে এগোচ্ছিল। সমাবেশটি সম্ভবত সরকার সমর্থিত ছিল। ফলে যুবক-যুবতীর পদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন্য শত শত পুলিশ পুরো শাহবাগ মোড়ের সব রাস্তার যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। প্রচণ্ড যানজটে আমি প্রায় দুই ঘণ্টা জাতীয় কবির মাজারের সামনে অবরুদ্ধ থাকতে বাধ্য হলাম। আমার কোরআন তেলাওয়াতের ধৈর্য ও প্রাণশক্তিতে টান পড়ল। অবস্থার প্রেক্ষাপটে হুজ্জাতুল ইসলামের উপদেশবাণীও শিকেয় উঠল। আমার গাড়ির সব জানালা, দরজা, সামনের উইন্ডশিল্ড, পেছনের গ্লাস, গাড়ির ভিতর-বাইরে স্থাপন করা সব আয়না দিয়ে চারপাশের সব দৃশ্য দেখতে দেখতে বিরক্তের চরম সীমায় পৌঁছে গেলাম। ঠিক এমন সময়ে আমার চোখ হঠাৎ করেই জাতীয় কবির মাজারের দিকে আকৃষ্ট হলো এবং কোনোরকম চিন্তাভাবনা ছাড়াই বহুক্ষণ ধরে আমি সেদিকে তাকিয়ে রইলাম। আমার শরীর, মন, মানসিকতা ও চিন্তা-চেতনা সম্পূর্ণ নির্বাক-নির্বিকার এবং নির্লিপ্তভাবে কবি নজরুল ইসলামের কবর এবং কবর সংশ্লিষ্ট মসজিদের দিকে নিবিষ্ট হয়ে থাকল যান চলাচল শুরু না হওয়া পর্যন্ত।

অফিসে গিয়ে সারাটা দিন কোনো কাজই করতে পারলাম না। মনের ওপর বিরাট এক জগদ্দল পাথর বার বার আঘাত হেনে নিজের জীবনকথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল। গত প্রায় তিন মাস ধরে বিরতিহীনভাবে রোজা রাখার কারণে আমার শরীরটি বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। মনের অস্থিরতা উড়ুউড়ু ভাব। কামনা-বাসনা, চাহিদা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, অহেতুক ভয়ভীতি, অনিশ্চয়তা বোধ ইত্যাদি বলতে গেলে বিলীন হয়ে গেছে। একাকিত্ব, নিঃসঙ্গতা এবং নির্জনতার মাঝে অনাবিল আনন্দ লাভের উপায়গুলো হৃদয়-মনে প্রভাব বিস্তার করছে। চারদিকের ঝক্কি-ঝামেলা এখন আর আগের মতো বিরক্তির উদ্রেগ করে না। বরং প্রকৃতির কোলাহল, পাখির কলকাকলি, বাতাসের শব্দ ও গন্ধ এবং মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জীবনযাত্রার জটিল-কুটিল অসঙ্গতিসমূহের মধ্যেও আমি বিধাতার ইতিবাচক সুভাশিষ খোঁজার চেষ্টা করি নিরন্তর ধৈর্য এবং অসীম সহ্যশক্তি নিয়ে। অবসরে মৃত্যু নিয়ে ভাবি। আমার কর্ম, জীবন-জীবিকা, মৃত্যু এবং মৃত্যুপরবর্তী সময়কালের মধ্যে একটি সেতুবন্ধ রচনার জন্য আমি কি আদৌ কোনো কিছু করতে পারছি তা বোঝার জন্য বড় বড় মানুষের মৃত্যুচিন্তা নিয়েও বেশ চিন্তাভাবনা করি।

জাতীয় কবির কবর, তার মৃত্যুচিন্তা এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবন নিয়ে আশাবাদের আকুতি এবং নিবেদনের কথা ভাবতে ভাবতে আমার সারাটা দিন চলে গেল। বাসায় ফিরে আমি আমার পড়ার রুমে গিয়ে কবির বিখ্যাত কয়েকটি গান অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে শুনলাম। তার শোন শোন ইয়া এলাহী, মসজিদের পাশে আমার কবর দিয়ো ভাই, রোজ হাশরে করিতে বিচার তুমি হবে কাজী এবং আমি যদি আরব হতাম গানগুলো শোনার পর ধর্ম-কর্ম, পারলৌকিক জীবন, আল্লাহ খোদা, বেহেশত ও দোজখ বিষয়ে কবির মনোভাব সম্পর্কে ধারণা লাভের চেষ্টা করলাম। তার গানের প্রতিটি শব্দের মাধ্যমে তিনি পরম প্রভু সম্পর্কে যে ভক্তি-শ্রদ্ধা ও নির্ভরতার নমুনা প্রদর্শন করেছেন তা খুব বড় মাপের অলি আল্লাহ না হলে সম্ভব হয় না। অন্যদিকে মহান আল্লাহর বিশালত্ব, তাঁর মহিমা, আল্লাহর গুপ্ত ভেদ ও ইচ্ছা সম্পর্কে কবি সে বর্ণনা দিয়েছেন তার জন্য ইলমে মারেফতের জ্ঞান থাকা একান্ত জরুরি।

একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ বাক্য হলো নবী, কবি এবং নেতা আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত এক অলৌকিক নেয়ামতের নাম। ফলে সব যুগের কবিরাই প্রকৃতির অপার রহস্য মানবদেহ, মন এবং মস্তিষ্ক নিয়ে এমন কতগুলো কথা বলেছেন, যা বিজ্ঞানকে আবিষ্কার করতে বহু শতাব্দী অপেক্ষা করতে হয়েছে। ভারতবর্ষের রামায়ণ মহাভারতের রচয়িতা ঋষি বাল্মিকী ও বেদব্যাস, ইউরোপের ইলিয়ড, ওডিসির রচয়িতা হোমার, আরবি কবি ইমরুল কায়েস, পারস্যের ওমর খৈয়াম, শেখ সাদী, বাংলার রবীন্দ্রনাথ, নজরুল প্রমুখ অতি প্রাকৃত এবং মহাজাগতিক শক্তি সম্পর্কে প্রায় একই কথা অভিন্ন সুরে বলেছেন। রবীন্দ্রনাথের— ‘আমি জেনে শুনে তব ভুলে আছি দিবসও কাটে বৃথায় হে’, অথবা রজনীকান্তের— ‘তুমি নির্মল কর, মঙ্গল করে, মলিন ও মর্ম মুছায়ে’ গান দুটির সঙ্গে কেউ যদি শোন শোন ইয়া এলাহী আমার মোনাজাত গানটিকে মেলায়, ভাবার্থ হৃদয়ঙ্গম করে এবং পরম প্রভুর দরবারে সেভাবে নিজেকে নিবেদন করে, তবে তার সফলতা রুখে দেওয়ার শক্তি জমিনে কারও কাছে থাকবে না।

আজকের নিবন্ধের বিষয়বস্তু জাতীয় কবির তাসাউফ অর্থাৎ ধর্মকর্ম সম্পর্কে তার প্রগাঢ় ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং পরম মমতার নিদর্শন এবং তার ইলাম মারেফত অর্থাৎ আল্লাহ রব্বুল আলামিন এবং আল্লাহর সৃষ্টিকুল সম্পর্কে দুর্বল জ্ঞান সম্পর্কে সম্মানিত পাঠকদের অবহিত করা। আমাদের জাতীয় কবি কীভাবে ইসলামকে চিনেছিলেন কিংবা রসুল (সা.) সম্পর্কে তার ভক্তি ও আবেগের স্তর কোন পর্যায়ে ছিল এবং আল্লাহর বিশালত্ব সম্পর্কে তিনি কি রূপ ধারণা পোষণ করতেন তা ইতিপূর্বে বর্ণিত কবি রচিত চারটি গানের কিছু কথামালার আলোকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব। কিন্তু তার আগে সুপ্রসিদ্ধ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা বর্ণনা করলে আজকের প্রেক্ষাপট হৃদয়ঙ্গম করতে সহজ হবে।

মুসলিম বিশ্বে তখন উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিকের শাসন চলছে। তার বিশ্বস্ত গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইরাক, হেজাজ, ইয়ামেনসহ পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলো দুর্দান্ত প্রতাপে শাসন করে যাচ্ছিলেন। সাম্রাজ্যের শাসনব্যবস্থা নির্বিঘ্ন করার জন্য তিনি করেননি এমন কোনো নৃশংস কর্ম ছিল না। মক্কা-মদিনা আক্রমণ, কাবাঘরের দেয়াল মিনজালিক যন্ত্র দিয়ে ভেঙে ফেলা, এক লাখেরও বেশি মানুষকে হত্যা করার মাধ্যমে তিনি সমসাময়িক দুনিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা হাজ্জাজের ভয়ে জীবন্ত লাশের মতো নিথর ও নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সমাজের ভদ্রলোকেরা বোবা বনে গিয়েছিলেন। সুফি-সাধকরা নির্জনে গিয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করে হাজ্জাজের মৃত্যু কামনা করতেন। হাজ্জাজের জুলুম, অত্যাচার, নির্মম ও নিষ্ঠুর আচরণের প্রতিবাদ করার মতো লোক একজনও ছিল না। অন্যদিকে খলিফা আবদুল মালিক হাজ্জাজের ওপর এতটাই বিশ্বাস স্থাপন ও নির্ভর করতেন যে, খলিফার দরবারে হাজ্জাজের বিরুদ্ধে একটি শব্দ উচ্চারণের সাহসও কারও ছিল না।

৭১৪ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে মাত্র ৫৩ বছর বয়সে হাজ্জাজ হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাজ্জাজ বুঝতে পারলেন যে, মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন। তখন রমজান মাস চলছিল। তিনি মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে নিজের অতীত কৃতকর্ম সম্পর্কে অনুশোচনা আরম্ভ করলেন। রাজ্যের নামকরা ওলি-আল্লাহদের আমন্ত্রণ করে রাজপ্রাসাদে নিয়ে এলেন এবং সবার কাছে নিজের অনুশোচনা এবং তওবা করে আল্লাহর ক্ষমাপ্রাপ্তির ব্যাপারে ফতোয়া চাইলেন। সবাই একবাক্যে জানালেন যে, হাজ্জাজের অপরাধ এত বিশাল ও ব্যাপক যে, তা তওবার মাধ্যমে নিষ্পত্তি সম্ভব নয়। একমাত্র জাহান্নামের শাস্তিই তার জন্য চূড়ান্ত ফয়সালা হতে পারে। সবার কথা শোনার পর হাজ্জাজ তৎকালীন ওলিকুল শিরোমণি হজরত হাসান বসরী (রহ.)-কে প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানালেন। হাজ্জাজের কথা শুনে হজরত হাসান বসরী (রহ.)ও তাকে কোনো আশার বাণী শোনালেন না— বরং অন্য ওলি-আল্লাহ এবং আলমদের মতামতকে সমর্থন করলেন।

হজরত হাসান বসরী (রহ.) চলে যাওয়ার পর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ মৃত্যুযন্ত্রণা ভুলে হঠাৎ নীরব হয়ে গেলেন। আসমানের দিকে তাকিয়ে অঝোরে অশ্রুপাত করতে করতে বললেন— ইয়া আল্লাহ! তোমার প্রিয় বান্দারা তোমার বিশালত্ব সম্পর্কে আমাকে হতাশ করার চেষ্টা করে গেল। কিন্তু তুমি তো জান— জীবনের কোনো পর্যায়ে একটি মুহূর্তের জন্যও তোমার ক্ষমা, রহমত এবং দয়া সম্পর্কে আমি নিরাশ ছিলাম না। এ কথা বলে ক্রন্দনরত হাজ্জাজ বিন ইউসুফ মাহে রমজানের একুশতম দিবসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। পরবর্তীতে এই ঘটনা যখন হজরত হাসান বসরী (রহ.)-এর কাছে বর্ণনা করা হলো তখন তিনি বললেন— লক্ষণ শুনে মনে হচ্ছে হাজ্জাজ আল্লাহ রব্বুল আলামিনের ক্ষমা পেয়ে গিয়েছেন।

যারা হাজ্জাজের মন্দ কর্মগুলো গণনা করেছিলেন তারা হয়তো জানতেন না যে, আধুনিক আরবি বর্ণমালা ও ব্যাকরণ হাজ্জাজ কর্তৃক রচিত। পবিত্র আল কোরানের আধুনিক এবং একমাত্র স্বীকৃত আরবি সংকলনটিও হাজ্জাজ করেছিলেন যা সারা দুনিয়ার মুসলমানরা অভিন্ন রূপরেখায় ব্যবহার করে আসছে। হাজ্জাজের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল কাবাগৃহের সংস্কার এবং আল্লাহর ঘরকে আদি রূপে ফিরিয়ে আনা। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবারের (রা.)-এর শাসনামলে কাবার রূপ পাল্টে ফেলা হয়েছিল। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ সেই কাবাকে ভেঙে হজরত ইব্রাহিম (আ.) নির্মিত কাবার আদলে নির্মাণ করেন যা আজও বলবৎ রয়েছে।

এবার জাতীয় কবি প্রসঙ্গে আসি। তিনি লিখেছেন— আল্লাতে যার পূর্ণ ইমান! কোথা সে মুসলমান! তারপর ইমানের পূর্ণতা নিয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানিয়ে লিখেছেন— শোন শোন ইয়া এলাহী আমার মোনাজাত। পরবর্তীতে আল্লাহর দরবারে নিজের আকাঙ্ক্ষা নিবেদন করে দুনিয়াবাসীর কাছে ওসিয়ত করে গেছেন— ‘মসজিদের পাশে আমার কবর দিয়ো ভাই।’ জাতীয় কবির মাজার দর্শন করে অফিসে এসে বার বার চিন্তা করছিলাম নিজের মৃত্যু নিয়ে, আমারও তো বড় ইচ্ছা মসজিদের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হওয়ার জন্য। কিন্তু আমার নসিবে তা কিরূপে হবে এবং মুয়াজ্জিনের আজান আমার কানে পৌঁছানোর মতো কর্ম আমি কীভাবে করব— তার কোনো কূলকিনারা করতে পারছিলাম না। অথচ কবি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলে গেছেন যে, তাকে মসজিদের পাশে কবর দেওয়া হলে তিনি শুধু মুয়াজ্জিনের আওয়াজ নয়— নামাজিদের পায়ের আওয়াজও শুনতে পারবেন। পবিত্র আল কোরআন যারা অধ্যয়ন করেন তারা বেশ ভালো করেই জানেন যে, আল্লাহ তাঁর বন্ধু অর্থাৎ ওলি-আল্লাহদের মৃত বলতে নিষেধ করেছেন। কারণ ওলি-আল্লাহরা মৃত্যুর পর জীবিত মানুষের মতোই রিজিকপ্রাপ্ত হয়। আল্লাহর বন্ধুদের দুনিয়া ও আখেরাতে যেমন কোনো ভয় বা চিন্তা নেই তেমনি দুনিয়াতে আল্লাহর বন্ধুদের কর্মকাণ্ড, জবান এবং ইশারার সঙ্গে আল্লাহ সম্পৃক্ত থাকেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। নজরুলের গান-কবিতা, মৃত্যু এবং মৃত্যু-পরবর্তী ঘটনাবলির মধ্যে যেভাবে সংযোগ রেখা স্থাপিত হয়েছে তা বড় বড় ওলি-আল্লাহর জীবনেও ঘটতে দেখা যায় না। নজরুলের জীবৎকালের অনেক কর্মের সঙ্গে তৎকালীন আলেম-ওলামাদের নিদারুণ বিরোধ ছিল। অনেকে তাকে মুসলমান হিসেবে মানতে নারাজ ছিলেন। প্রায় একই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল মহাকবি শেখ সাদী (রহ.), সুফি সাধক জালাল উদ্দিন রুমী এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক ইবনে সিনা (রহ.)-এর ক্ষেত্রে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে পৃথিবীবাসী একবাক্যে মেনে নিয়েছেন যে, তারা এলমে মারফতের এত ঊর্ধ্বস্তরে পৌঁছে গিয়েছিলেন যে, সমসাময়িক দুনিয়া তা বুঝতে পারা তো দূরের কথা অনুমানও করতে পারেনি।

জাতীয় কবির তাসাউফের নমুনা ফুটে উঠে তার আমি যদি আরব হতেম এবং রোজ হাশরে করিতে বিচার তুমি হবে কাজী গান দুটোর মধ্যে। প্রথম গানে তিনি নবী করিম (সা.)-কে ভালোবাসার এবং নবীর প্রতি দরদভরা ভক্তি-শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যে শব্দমালা ব্যবহার করেছেন যা বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় কেউ করতে পারেননি। তার প্রাণের আকুতি যে সুর সৃষ্টি করেছে এবং যে অনবদ্য ভাবের সৃষ্টি করেছে তা কোনো ওলি-আল্লাহকে দিয়েও সচরাচর বের হয় না। তিনি বলেন— আমি যদি আরব হতেম— মদিনারই পথ! সে পথে মোর চলে যেতেন নূর নবী হজরত। পয়জার তার লাগত এসে, আমার কঠিন বুকে। আমি ঝরনা হয়ে গলে যেতাম ওমনি পরম সুখে।  সেই চিহ্ন বুকে পুরে পালিয়ে যেতাম কোহে তুরে, দিবানিশি করতাম তার কদম জিয়ারত!...

কাজী নজরুল ইসলাম আল্লাহর বিশালত্ব, দয়া, করুণা এবং ক্ষমার ব্যাপ্তি সম্পর্কে এত উঁচু মার্গে চিন্তা করতেন যা আমাদের সাধারণ মন-মস্তিষ্ক কল্পনাও করতে পারে না। মহাজগতের অলৌকিক কানুন হলো— যে বান্দা তার মালিক সম্পর্কে কায়মনোবাক্যে যেরূপ দৃঢ় বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপন করতে পারেন ঠিক তেমনিভাবেই তার ভাগ্যে দুনিয়া ও আখেরাতে প্রাপ্তিগুলো যোগ হয়ে যায়। নজরুল বলেন— সেদিন রোজ হাশরে করতে বিচার তুমি হবে কাজী/ সেদিন তোমার দিদার আমি পাব কি আল্লাজী!/ সেদিন নাকি তোমার ভীষণ কাহ্হার রূপ দেখে/ পীর-পয়গাম্বর কাঁদবে ভয়ে ইয়া নফিস ডেকে।/ সেই সুদিনের আশায় আমি নাচি এমন এখন থেকে।/ আমি তোমায় দেখে হাজারো বার দোজখ যেতে রাজি।/ যেরূপ হোক-বারেক যদি দেখে তোমায় কেহ/ দোজখ কি আর ছুঁতে পারে, পবিত্র তার দেহ।/ সে হোক না কেন হাজার পাপী হোক না বেনামাজী!/ ইয়া আল্লাহ তোমার দয়া কত! তাই দেখাবে বলে/ রোজ হাশরে দেখা দেবে বিচার করার ছলে।/ প্রেমিক বিনে কি বুঝিবে, তোমার এ কারসাজি!

লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

৪৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

৫৫ মিনিট আগে | জীবন ধারা

বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল
এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান
বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা
সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক
ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল
সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক
বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স
উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা
বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর
৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত
নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

১৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

১৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়

১৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা
যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা

পূর্ব-পশ্চিম

দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা
দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা

মাঠে ময়দানে

অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের
অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের

পূর্ব-পশ্চিম

শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটি থামিয়েছি : ট্রাম্প
শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটি থামিয়েছি : ট্রাম্প

পূর্ব-পশ্চিম

টাইটানিক যাত্রীর ঘড়ি নিলামে বিক্রি
টাইটানিক যাত্রীর ঘড়ি নিলামে বিক্রি

পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা
বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা

মাঠে ময়দানে

আজকের প্রশ্ন
আজকের প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে

ভিয়েতনামে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৯০ নিখোঁজ ১২
ভিয়েতনামে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৯০ নিখোঁজ ১২

পূর্ব-পশ্চিম