শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ আপডেট:

জাতীয় কবির তাসাউফ এবং ইলমে মারেফত

গোলাম মাওলা রনি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
জাতীয় কবির তাসাউফ এবং ইলমে মারেফত

এমনতরো ঘটনা আমার জীবনে সচরাচর ঘটে না। সকাল বেলা অফিসে আসার সময় আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদকে বায়ে রেখে শাহবাগের দিকে যাচ্ছিলাম। ট্রাফিক জ্যামের কারণে আমার গাড়িটি বহুক্ষণ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মাজারের কাছে ঠায় দাঁড়িয়ে রইল। চলতি পথে গাড়িতে বসে আমি সর্বদা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতে থাকি এবং নেহায়েত জরুরি অথবা ব্যতিক্রমী কিছু না ঘটলে সাধারণত আশপাশে কোনো দিকে তাকাই না।  এই অভ্যাসটি আমি রপ্ত করেছি হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রহ.)-এর একটি সুবিখ্যাত বইয়ে বর্ণিত একটি উপদেশমালার কল্যাণে। তিনি উপদেশ দিয়েছেন অপ্রয়োজনীয় বিষয় না দেখতে। একই রূপে অপ্রয়োজনীয় শব্দমালা, ঘ্রাণ, সুর, তাল, লয়, ছন্দ এবং স্পর্শ থেকে নিজেকে দূরে রাখার পরামর্শও তিনি দিয়েছেন। তার মতে, প্রকৃতির নিয়মে প্রতিটি দৃশ্য, শব্দ, ঘ্রাণ এবং স্পর্শ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের মস্তিষ্কে জমা হয়ে এমন এক জটিল অবস্থা সৃষ্টি করে যার কারণে আমরা স্মৃতিশক্তি হারাতে থাকি— আমাদের আবেগ-অনুভূতি ভোঁতা হতে থাকে এবং বুদ্ধিশুদ্ধিও কমতে তাকে।

ঘটনার দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কি যেন একটা যুব সমাবেশ ছিল। হাজার হাজার যুবক-যুবতী দলবেঁধে ম্যারাথন দৌড়ের নামে মৃদুপায়ে টিএসসির দিকে এগোচ্ছিল। সমাবেশটি সম্ভবত সরকার সমর্থিত ছিল। ফলে যুবক-যুবতীর পদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন্য শত শত পুলিশ পুরো শাহবাগ মোড়ের সব রাস্তার যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। প্রচণ্ড যানজটে আমি প্রায় দুই ঘণ্টা জাতীয় কবির মাজারের সামনে অবরুদ্ধ থাকতে বাধ্য হলাম। আমার কোরআন তেলাওয়াতের ধৈর্য ও প্রাণশক্তিতে টান পড়ল। অবস্থার প্রেক্ষাপটে হুজ্জাতুল ইসলামের উপদেশবাণীও শিকেয় উঠল। আমার গাড়ির সব জানালা, দরজা, সামনের উইন্ডশিল্ড, পেছনের গ্লাস, গাড়ির ভিতর-বাইরে স্থাপন করা সব আয়না দিয়ে চারপাশের সব দৃশ্য দেখতে দেখতে বিরক্তের চরম সীমায় পৌঁছে গেলাম। ঠিক এমন সময়ে আমার চোখ হঠাৎ করেই জাতীয় কবির মাজারের দিকে আকৃষ্ট হলো এবং কোনোরকম চিন্তাভাবনা ছাড়াই বহুক্ষণ ধরে আমি সেদিকে তাকিয়ে রইলাম। আমার শরীর, মন, মানসিকতা ও চিন্তা-চেতনা সম্পূর্ণ নির্বাক-নির্বিকার এবং নির্লিপ্তভাবে কবি নজরুল ইসলামের কবর এবং কবর সংশ্লিষ্ট মসজিদের দিকে নিবিষ্ট হয়ে থাকল যান চলাচল শুরু না হওয়া পর্যন্ত।

অফিসে গিয়ে সারাটা দিন কোনো কাজই করতে পারলাম না। মনের ওপর বিরাট এক জগদ্দল পাথর বার বার আঘাত হেনে নিজের জীবনকথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল। গত প্রায় তিন মাস ধরে বিরতিহীনভাবে রোজা রাখার কারণে আমার শরীরটি বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। মনের অস্থিরতা উড়ুউড়ু ভাব। কামনা-বাসনা, চাহিদা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, অহেতুক ভয়ভীতি, অনিশ্চয়তা বোধ ইত্যাদি বলতে গেলে বিলীন হয়ে গেছে। একাকিত্ব, নিঃসঙ্গতা এবং নির্জনতার মাঝে অনাবিল আনন্দ লাভের উপায়গুলো হৃদয়-মনে প্রভাব বিস্তার করছে। চারদিকের ঝক্কি-ঝামেলা এখন আর আগের মতো বিরক্তির উদ্রেগ করে না। বরং প্রকৃতির কোলাহল, পাখির কলকাকলি, বাতাসের শব্দ ও গন্ধ এবং মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জীবনযাত্রার জটিল-কুটিল অসঙ্গতিসমূহের মধ্যেও আমি বিধাতার ইতিবাচক সুভাশিষ খোঁজার চেষ্টা করি নিরন্তর ধৈর্য এবং অসীম সহ্যশক্তি নিয়ে। অবসরে মৃত্যু নিয়ে ভাবি। আমার কর্ম, জীবন-জীবিকা, মৃত্যু এবং মৃত্যুপরবর্তী সময়কালের মধ্যে একটি সেতুবন্ধ রচনার জন্য আমি কি আদৌ কোনো কিছু করতে পারছি তা বোঝার জন্য বড় বড় মানুষের মৃত্যুচিন্তা নিয়েও বেশ চিন্তাভাবনা করি।

জাতীয় কবির কবর, তার মৃত্যুচিন্তা এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবন নিয়ে আশাবাদের আকুতি এবং নিবেদনের কথা ভাবতে ভাবতে আমার সারাটা দিন চলে গেল। বাসায় ফিরে আমি আমার পড়ার রুমে গিয়ে কবির বিখ্যাত কয়েকটি গান অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে শুনলাম। তার শোন শোন ইয়া এলাহী, মসজিদের পাশে আমার কবর দিয়ো ভাই, রোজ হাশরে করিতে বিচার তুমি হবে কাজী এবং আমি যদি আরব হতাম গানগুলো শোনার পর ধর্ম-কর্ম, পারলৌকিক জীবন, আল্লাহ খোদা, বেহেশত ও দোজখ বিষয়ে কবির মনোভাব সম্পর্কে ধারণা লাভের চেষ্টা করলাম। তার গানের প্রতিটি শব্দের মাধ্যমে তিনি পরম প্রভু সম্পর্কে যে ভক্তি-শ্রদ্ধা ও নির্ভরতার নমুনা প্রদর্শন করেছেন তা খুব বড় মাপের অলি আল্লাহ না হলে সম্ভব হয় না। অন্যদিকে মহান আল্লাহর বিশালত্ব, তাঁর মহিমা, আল্লাহর গুপ্ত ভেদ ও ইচ্ছা সম্পর্কে কবি সে বর্ণনা দিয়েছেন তার জন্য ইলমে মারেফতের জ্ঞান থাকা একান্ত জরুরি।

একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ বাক্য হলো নবী, কবি এবং নেতা আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত এক অলৌকিক নেয়ামতের নাম। ফলে সব যুগের কবিরাই প্রকৃতির অপার রহস্য মানবদেহ, মন এবং মস্তিষ্ক নিয়ে এমন কতগুলো কথা বলেছেন, যা বিজ্ঞানকে আবিষ্কার করতে বহু শতাব্দী অপেক্ষা করতে হয়েছে। ভারতবর্ষের রামায়ণ মহাভারতের রচয়িতা ঋষি বাল্মিকী ও বেদব্যাস, ইউরোপের ইলিয়ড, ওডিসির রচয়িতা হোমার, আরবি কবি ইমরুল কায়েস, পারস্যের ওমর খৈয়াম, শেখ সাদী, বাংলার রবীন্দ্রনাথ, নজরুল প্রমুখ অতি প্রাকৃত এবং মহাজাগতিক শক্তি সম্পর্কে প্রায় একই কথা অভিন্ন সুরে বলেছেন। রবীন্দ্রনাথের— ‘আমি জেনে শুনে তব ভুলে আছি দিবসও কাটে বৃথায় হে’, অথবা রজনীকান্তের— ‘তুমি নির্মল কর, মঙ্গল করে, মলিন ও মর্ম মুছায়ে’ গান দুটির সঙ্গে কেউ যদি শোন শোন ইয়া এলাহী আমার মোনাজাত গানটিকে মেলায়, ভাবার্থ হৃদয়ঙ্গম করে এবং পরম প্রভুর দরবারে সেভাবে নিজেকে নিবেদন করে, তবে তার সফলতা রুখে দেওয়ার শক্তি জমিনে কারও কাছে থাকবে না।

আজকের নিবন্ধের বিষয়বস্তু জাতীয় কবির তাসাউফ অর্থাৎ ধর্মকর্ম সম্পর্কে তার প্রগাঢ় ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং পরম মমতার নিদর্শন এবং তার ইলাম মারেফত অর্থাৎ আল্লাহ রব্বুল আলামিন এবং আল্লাহর সৃষ্টিকুল সম্পর্কে দুর্বল জ্ঞান সম্পর্কে সম্মানিত পাঠকদের অবহিত করা। আমাদের জাতীয় কবি কীভাবে ইসলামকে চিনেছিলেন কিংবা রসুল (সা.) সম্পর্কে তার ভক্তি ও আবেগের স্তর কোন পর্যায়ে ছিল এবং আল্লাহর বিশালত্ব সম্পর্কে তিনি কি রূপ ধারণা পোষণ করতেন তা ইতিপূর্বে বর্ণিত কবি রচিত চারটি গানের কিছু কথামালার আলোকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব। কিন্তু তার আগে সুপ্রসিদ্ধ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা বর্ণনা করলে আজকের প্রেক্ষাপট হৃদয়ঙ্গম করতে সহজ হবে।

মুসলিম বিশ্বে তখন উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিকের শাসন চলছে। তার বিশ্বস্ত গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইরাক, হেজাজ, ইয়ামেনসহ পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলো দুর্দান্ত প্রতাপে শাসন করে যাচ্ছিলেন। সাম্রাজ্যের শাসনব্যবস্থা নির্বিঘ্ন করার জন্য তিনি করেননি এমন কোনো নৃশংস কর্ম ছিল না। মক্কা-মদিনা আক্রমণ, কাবাঘরের দেয়াল মিনজালিক যন্ত্র দিয়ে ভেঙে ফেলা, এক লাখেরও বেশি মানুষকে হত্যা করার মাধ্যমে তিনি সমসাময়িক দুনিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা হাজ্জাজের ভয়ে জীবন্ত লাশের মতো নিথর ও নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সমাজের ভদ্রলোকেরা বোবা বনে গিয়েছিলেন। সুফি-সাধকরা নির্জনে গিয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করে হাজ্জাজের মৃত্যু কামনা করতেন। হাজ্জাজের জুলুম, অত্যাচার, নির্মম ও নিষ্ঠুর আচরণের প্রতিবাদ করার মতো লোক একজনও ছিল না। অন্যদিকে খলিফা আবদুল মালিক হাজ্জাজের ওপর এতটাই বিশ্বাস স্থাপন ও নির্ভর করতেন যে, খলিফার দরবারে হাজ্জাজের বিরুদ্ধে একটি শব্দ উচ্চারণের সাহসও কারও ছিল না।

৭১৪ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে মাত্র ৫৩ বছর বয়সে হাজ্জাজ হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাজ্জাজ বুঝতে পারলেন যে, মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন। তখন রমজান মাস চলছিল। তিনি মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে নিজের অতীত কৃতকর্ম সম্পর্কে অনুশোচনা আরম্ভ করলেন। রাজ্যের নামকরা ওলি-আল্লাহদের আমন্ত্রণ করে রাজপ্রাসাদে নিয়ে এলেন এবং সবার কাছে নিজের অনুশোচনা এবং তওবা করে আল্লাহর ক্ষমাপ্রাপ্তির ব্যাপারে ফতোয়া চাইলেন। সবাই একবাক্যে জানালেন যে, হাজ্জাজের অপরাধ এত বিশাল ও ব্যাপক যে, তা তওবার মাধ্যমে নিষ্পত্তি সম্ভব নয়। একমাত্র জাহান্নামের শাস্তিই তার জন্য চূড়ান্ত ফয়সালা হতে পারে। সবার কথা শোনার পর হাজ্জাজ তৎকালীন ওলিকুল শিরোমণি হজরত হাসান বসরী (রহ.)-কে প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানালেন। হাজ্জাজের কথা শুনে হজরত হাসান বসরী (রহ.)ও তাকে কোনো আশার বাণী শোনালেন না— বরং অন্য ওলি-আল্লাহ এবং আলমদের মতামতকে সমর্থন করলেন।

হজরত হাসান বসরী (রহ.) চলে যাওয়ার পর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ মৃত্যুযন্ত্রণা ভুলে হঠাৎ নীরব হয়ে গেলেন। আসমানের দিকে তাকিয়ে অঝোরে অশ্রুপাত করতে করতে বললেন— ইয়া আল্লাহ! তোমার প্রিয় বান্দারা তোমার বিশালত্ব সম্পর্কে আমাকে হতাশ করার চেষ্টা করে গেল। কিন্তু তুমি তো জান— জীবনের কোনো পর্যায়ে একটি মুহূর্তের জন্যও তোমার ক্ষমা, রহমত এবং দয়া সম্পর্কে আমি নিরাশ ছিলাম না। এ কথা বলে ক্রন্দনরত হাজ্জাজ বিন ইউসুফ মাহে রমজানের একুশতম দিবসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। পরবর্তীতে এই ঘটনা যখন হজরত হাসান বসরী (রহ.)-এর কাছে বর্ণনা করা হলো তখন তিনি বললেন— লক্ষণ শুনে মনে হচ্ছে হাজ্জাজ আল্লাহ রব্বুল আলামিনের ক্ষমা পেয়ে গিয়েছেন।

যারা হাজ্জাজের মন্দ কর্মগুলো গণনা করেছিলেন তারা হয়তো জানতেন না যে, আধুনিক আরবি বর্ণমালা ও ব্যাকরণ হাজ্জাজ কর্তৃক রচিত। পবিত্র আল কোরানের আধুনিক এবং একমাত্র স্বীকৃত আরবি সংকলনটিও হাজ্জাজ করেছিলেন যা সারা দুনিয়ার মুসলমানরা অভিন্ন রূপরেখায় ব্যবহার করে আসছে। হাজ্জাজের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল কাবাগৃহের সংস্কার এবং আল্লাহর ঘরকে আদি রূপে ফিরিয়ে আনা। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবারের (রা.)-এর শাসনামলে কাবার রূপ পাল্টে ফেলা হয়েছিল। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ সেই কাবাকে ভেঙে হজরত ইব্রাহিম (আ.) নির্মিত কাবার আদলে নির্মাণ করেন যা আজও বলবৎ রয়েছে।

এবার জাতীয় কবি প্রসঙ্গে আসি। তিনি লিখেছেন— আল্লাতে যার পূর্ণ ইমান! কোথা সে মুসলমান! তারপর ইমানের পূর্ণতা নিয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানিয়ে লিখেছেন— শোন শোন ইয়া এলাহী আমার মোনাজাত। পরবর্তীতে আল্লাহর দরবারে নিজের আকাঙ্ক্ষা নিবেদন করে দুনিয়াবাসীর কাছে ওসিয়ত করে গেছেন— ‘মসজিদের পাশে আমার কবর দিয়ো ভাই।’ জাতীয় কবির মাজার দর্শন করে অফিসে এসে বার বার চিন্তা করছিলাম নিজের মৃত্যু নিয়ে, আমারও তো বড় ইচ্ছা মসজিদের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হওয়ার জন্য। কিন্তু আমার নসিবে তা কিরূপে হবে এবং মুয়াজ্জিনের আজান আমার কানে পৌঁছানোর মতো কর্ম আমি কীভাবে করব— তার কোনো কূলকিনারা করতে পারছিলাম না। অথচ কবি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলে গেছেন যে, তাকে মসজিদের পাশে কবর দেওয়া হলে তিনি শুধু মুয়াজ্জিনের আওয়াজ নয়— নামাজিদের পায়ের আওয়াজও শুনতে পারবেন। পবিত্র আল কোরআন যারা অধ্যয়ন করেন তারা বেশ ভালো করেই জানেন যে, আল্লাহ তাঁর বন্ধু অর্থাৎ ওলি-আল্লাহদের মৃত বলতে নিষেধ করেছেন। কারণ ওলি-আল্লাহরা মৃত্যুর পর জীবিত মানুষের মতোই রিজিকপ্রাপ্ত হয়। আল্লাহর বন্ধুদের দুনিয়া ও আখেরাতে যেমন কোনো ভয় বা চিন্তা নেই তেমনি দুনিয়াতে আল্লাহর বন্ধুদের কর্মকাণ্ড, জবান এবং ইশারার সঙ্গে আল্লাহ সম্পৃক্ত থাকেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। নজরুলের গান-কবিতা, মৃত্যু এবং মৃত্যু-পরবর্তী ঘটনাবলির মধ্যে যেভাবে সংযোগ রেখা স্থাপিত হয়েছে তা বড় বড় ওলি-আল্লাহর জীবনেও ঘটতে দেখা যায় না। নজরুলের জীবৎকালের অনেক কর্মের সঙ্গে তৎকালীন আলেম-ওলামাদের নিদারুণ বিরোধ ছিল। অনেকে তাকে মুসলমান হিসেবে মানতে নারাজ ছিলেন। প্রায় একই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল মহাকবি শেখ সাদী (রহ.), সুফি সাধক জালাল উদ্দিন রুমী এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক ইবনে সিনা (রহ.)-এর ক্ষেত্রে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে পৃথিবীবাসী একবাক্যে মেনে নিয়েছেন যে, তারা এলমে মারফতের এত ঊর্ধ্বস্তরে পৌঁছে গিয়েছিলেন যে, সমসাময়িক দুনিয়া তা বুঝতে পারা তো দূরের কথা অনুমানও করতে পারেনি।

জাতীয় কবির তাসাউফের নমুনা ফুটে উঠে তার আমি যদি আরব হতেম এবং রোজ হাশরে করিতে বিচার তুমি হবে কাজী গান দুটোর মধ্যে। প্রথম গানে তিনি নবী করিম (সা.)-কে ভালোবাসার এবং নবীর প্রতি দরদভরা ভক্তি-শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যে শব্দমালা ব্যবহার করেছেন যা বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় কেউ করতে পারেননি। তার প্রাণের আকুতি যে সুর সৃষ্টি করেছে এবং যে অনবদ্য ভাবের সৃষ্টি করেছে তা কোনো ওলি-আল্লাহকে দিয়েও সচরাচর বের হয় না। তিনি বলেন— আমি যদি আরব হতেম— মদিনারই পথ! সে পথে মোর চলে যেতেন নূর নবী হজরত। পয়জার তার লাগত এসে, আমার কঠিন বুকে। আমি ঝরনা হয়ে গলে যেতাম ওমনি পরম সুখে।  সেই চিহ্ন বুকে পুরে পালিয়ে যেতাম কোহে তুরে, দিবানিশি করতাম তার কদম জিয়ারত!...

কাজী নজরুল ইসলাম আল্লাহর বিশালত্ব, দয়া, করুণা এবং ক্ষমার ব্যাপ্তি সম্পর্কে এত উঁচু মার্গে চিন্তা করতেন যা আমাদের সাধারণ মন-মস্তিষ্ক কল্পনাও করতে পারে না। মহাজগতের অলৌকিক কানুন হলো— যে বান্দা তার মালিক সম্পর্কে কায়মনোবাক্যে যেরূপ দৃঢ় বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপন করতে পারেন ঠিক তেমনিভাবেই তার ভাগ্যে দুনিয়া ও আখেরাতে প্রাপ্তিগুলো যোগ হয়ে যায়। নজরুল বলেন— সেদিন রোজ হাশরে করতে বিচার তুমি হবে কাজী/ সেদিন তোমার দিদার আমি পাব কি আল্লাজী!/ সেদিন নাকি তোমার ভীষণ কাহ্হার রূপ দেখে/ পীর-পয়গাম্বর কাঁদবে ভয়ে ইয়া নফিস ডেকে।/ সেই সুদিনের আশায় আমি নাচি এমন এখন থেকে।/ আমি তোমায় দেখে হাজারো বার দোজখ যেতে রাজি।/ যেরূপ হোক-বারেক যদি দেখে তোমায় কেহ/ দোজখ কি আর ছুঁতে পারে, পবিত্র তার দেহ।/ সে হোক না কেন হাজার পাপী হোক না বেনামাজী!/ ইয়া আল্লাহ তোমার দয়া কত! তাই দেখাবে বলে/ রোজ হাশরে দেখা দেবে বিচার করার ছলে।/ প্রেমিক বিনে কি বুঝিবে, তোমার এ কারসাজি!

লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
পিটিয়ে হত্যা
পিটিয়ে হত্যা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
হাদিসে রসুল (সা.)
হাদিসে রসুল (সা.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
সুফিসাধক হজরত শাহ মখদুম (রহ.)
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
ক্যাথরিনের টার্গেট ছিল খামেনিকে হত্যা
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
বিশৃঙ্খল গণপরিবহন
ভ্যাকসিন-সংকট
ভ্যাকসিন-সংকট
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মহররম মাসের ধর্মীয় এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
মননশীল চিন্তক আবুল ফজল
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
বনপথে ছোটা মায়াহরিণী
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
রাজনীতির কুহক : মূর্শেদী থেকে সাকিব আল হাসান
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
মহররম ও আশুরার তাৎপর্য-মর্যাদা
সর্বশেষ খবর
উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬
উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভরপেট খেলেও মোটা হবেন না, জানুন কোন খাবারগুলো নিরাপদ
ভরপেট খেলেও মোটা হবেন না, জানুন কোন খাবারগুলো নিরাপদ

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ
দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

টিএসসিতে রিকশার ভেতরেই মিলল চালকের মরদেহ
টিএসসিতে রিকশার ভেতরেই মিলল চালকের মরদেহ

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মাইলফলকের সামনে শান্ত
মাইলফলকের সামনে শান্ত

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২ জুলাই)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রেমে ব্যর্থ হলে বাথরুম পরিষ্কার করেন যে অভিনেতা
প্রেমে ব্যর্থ হলে বাথরুম পরিষ্কার করেন যে অভিনেতা

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন নির্দেশনা
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন নির্দেশনা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে স্বামীর আত্মহত্যা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভয়াবহ ঝড়ে ফ্রান্স-ইতালি ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভয়াবহ ঝড়ে ফ্রান্স-ইতালি ট্রেন চলাচল বন্ধ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাঙামাটিতে ফ্ল্যাট থেকে বিচারকের স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রাঙামাটিতে ফ্ল্যাট থেকে বিচারকের স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘পিআর ইস্যু নিয়ে রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবেন না’
‘পিআর ইস্যু নিয়ে রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবেন না’

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফি দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীকে থাপ্পড় দিয়ে খাতা কেড়ে নিলো মাদরাসা সুপার
ফি দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীকে থাপ্পড় দিয়ে খাতা কেড়ে নিলো মাদরাসা সুপার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি ও জেলা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ
কক্সবাজারের সাবেক ডিসি ও জেলা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এনবিআরের আরো পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
এনবিআরের আরো পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে শ্রীলঙ্কা
মুস্তাফিজকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে শ্রীলঙ্কা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অভিনয়ের শখ ছেলের, বাধা হয়ে দাঁড়ান উত্তম কুমার!
অভিনয়ের শখ ছেলের, বাধা হয়ে দাঁড়ান উত্তম কুমার!

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইনসাফভিত্তিক মানবিক দেশ প্রতিষ্ঠার এখনই সময়: তারেক রহমান
ইনসাফভিত্তিক মানবিক দেশ প্রতিষ্ঠার এখনই সময়: তারেক রহমান

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অপুষ্টিতে ভুগছে গাজার শিশুরা
অপুষ্টিতে ভুগছে গাজার শিশুরা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘাটাইলে গজারি বনে অবৈধ দুই সীসা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
ঘাটাইলে গজারি বনে অবৈধ দুই সীসা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালনে বাউবির কর্মসূচি
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালনে বাউবির কর্মসূচি

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লস অ্যাঞ্জেলেস মাতালেন জেমস
লস অ্যাঞ্জেলেস মাতালেন জেমস

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শাবিপ্রবিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৩টি দ্বিতল বাস
শাবিপ্রবিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৩টি দ্বিতল বাস

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে কাঁঠালের বাজার রমরমা, সপ্তাহে বিক্রি অর্ধ কোটি
টাঙ্গাইলে কাঁঠালের বাজার রমরমা, সপ্তাহে বিক্রি অর্ধ কোটি

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
উড়িয়ে দেওয়া হলো খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাদের আশ্রয় নেওয়া বাড়ি
উড়িয়ে দেওয়া হলো খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাদের আশ্রয় নেওয়া বাড়ি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?
সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে শীর্ষে থাকা ভারত এখন ৬ষ্ঠ
বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে শীর্ষে থাকা ভারত এখন ৬ষ্ঠ

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা
মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা

১৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া
জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা
স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার
আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার
কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার

১৯ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত
ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি
ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র
সিরিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল যুক্তরাষ্ট্র

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর
যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু
শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ‘নিস্তেজ’ পর্যটন
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ‘নিস্তেজ’ পর্যটন

২২ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের
যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩
যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির
আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এখনই: ইলন মাস্ক
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এখনই: ইলন মাস্ক

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ জুলাই)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী সপ্তাহের যেকোনও সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প
আগামী সপ্তাহের যেকোনও সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪ তম বিসিএস পুলিশে প্রথম শাবিপ্রবির শরিফ
৪৪ তম বিসিএস পুলিশে প্রথম শাবিপ্রবির শরিফ

১৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের সম্ভাবনা নেই পাকিস্তানের
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের সম্ভাবনা নেই পাকিস্তানের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লুহানস্ক পুরোপুরি রাশিয়ার দখলে?
লুহানস্ক পুরোপুরি রাশিয়ার দখলে?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুলাই
৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুলাই

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত ইউরোপ, জারি হলো রেড অ্যালার্ট
তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত ইউরোপ, জারি হলো রেড অ্যালার্ট

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
চতুর্মুখী সংকটে রপ্তানি
চতুর্মুখী সংকটে রপ্তানি

প্রথম পৃষ্ঠা

এশিয়ার বিস্ময় আল হিলাল
এশিয়ার বিস্ময় আল হিলাল

মাঠে ময়দানে

ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরুর আহ্বান
ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরুর আহ্বান

পেছনের পৃষ্ঠা

নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে
নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু পুলিশের
নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু পুলিশের

পেছনের পৃষ্ঠা

জনশক্তি রপ্তানিতে কামালের পারিবারিক প্রতারণা
জনশক্তি রপ্তানিতে কামালের পারিবারিক প্রতারণা

প্রথম পৃষ্ঠা

মিয়ানমার চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ
মিয়ানমার চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মুদ্রাস্ফীতির কবলে চায়ের আড্ডা
মুদ্রাস্ফীতির কবলে চায়ের আড্ডা

পেছনের পৃষ্ঠা

ওরা গায়ের জোরে প্রতিবেদন দিয়েছে
ওরা গায়ের জোরে প্রতিবেদন দিয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রতারণায় শুরু, দাম চূড়ান্ত হয়নি কয়লার, চাচ্ছে মনগড়া বিল
প্রতারণায় শুরু, দাম চূড়ান্ত হয়নি কয়লার, চাচ্ছে মনগড়া বিল

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে গোপালগঞ্জে
প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে গোপালগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে
স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়
জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়

প্রথম পৃষ্ঠা

এনডিপির সভাপতি সোহেল, মহাসচিব জামিল
এনডিপির সভাপতি সোহেল, মহাসচিব জামিল

নগর জীবন

যশোরে বারান্দা ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের মৃত্যু
যশোরে বারান্দা ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি
আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না
নির্বাচনি বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু

নগর জীবন

আওয়ামী লীগ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছিল
আওয়ামী লীগ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছিল

নগর জীবন

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমল
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমল

পেছনের পৃষ্ঠা

সংস্কারের পক্ষে জোট চায় এবি পার্টি
সংস্কারের পক্ষে জোট চায় এবি পার্টি

নগর জীবন

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই

নগর জীবন

জুলাই স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি
জুলাই স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি

নগর জীবন

এক মাস শূন্য বিএমডিএর চেয়ারম্যান পদ
এক মাস শূন্য বিএমডিএর চেয়ারম্যান পদ

নগর জীবন

চট্টগ্রামে ধান-চাল সংগ্রহে রেকর্ড
চট্টগ্রামে ধান-চাল সংগ্রহে রেকর্ড

নগর জীবন

নাসির-তামিমার মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন ১৪ জুলাই
নাসির-তামিমার মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন ১৪ জুলাই

নগর জীবন

এনবিআর সার্ভারে ধীরগতি, বেনাপোলে ব্যাহত আমদানি-রপ্তানি
এনবিআর সার্ভারে ধীরগতি, বেনাপোলে ব্যাহত আমদানি-রপ্তানি

নগর জীবন