শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ আপডেট:

জাতীয় কবির তাসাউফ এবং ইলমে মারেফত

গোলাম মাওলা রনি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
জাতীয় কবির তাসাউফ এবং ইলমে মারেফত

এমনতরো ঘটনা আমার জীবনে সচরাচর ঘটে না। সকাল বেলা অফিসে আসার সময় আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদকে বায়ে রেখে শাহবাগের দিকে যাচ্ছিলাম। ট্রাফিক জ্যামের কারণে আমার গাড়িটি বহুক্ষণ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মাজারের কাছে ঠায় দাঁড়িয়ে রইল। চলতি পথে গাড়িতে বসে আমি সর্বদা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতে থাকি এবং নেহায়েত জরুরি অথবা ব্যতিক্রমী কিছু না ঘটলে সাধারণত আশপাশে কোনো দিকে তাকাই না।  এই অভ্যাসটি আমি রপ্ত করেছি হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রহ.)-এর একটি সুবিখ্যাত বইয়ে বর্ণিত একটি উপদেশমালার কল্যাণে। তিনি উপদেশ দিয়েছেন অপ্রয়োজনীয় বিষয় না দেখতে। একই রূপে অপ্রয়োজনীয় শব্দমালা, ঘ্রাণ, সুর, তাল, লয়, ছন্দ এবং স্পর্শ থেকে নিজেকে দূরে রাখার পরামর্শও তিনি দিয়েছেন। তার মতে, প্রকৃতির নিয়মে প্রতিটি দৃশ্য, শব্দ, ঘ্রাণ এবং স্পর্শ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের মস্তিষ্কে জমা হয়ে এমন এক জটিল অবস্থা সৃষ্টি করে যার কারণে আমরা স্মৃতিশক্তি হারাতে থাকি— আমাদের আবেগ-অনুভূতি ভোঁতা হতে থাকে এবং বুদ্ধিশুদ্ধিও কমতে তাকে।

ঘটনার দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কি যেন একটা যুব সমাবেশ ছিল। হাজার হাজার যুবক-যুবতী দলবেঁধে ম্যারাথন দৌড়ের নামে মৃদুপায়ে টিএসসির দিকে এগোচ্ছিল। সমাবেশটি সম্ভবত সরকার সমর্থিত ছিল। ফলে যুবক-যুবতীর পদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন্য শত শত পুলিশ পুরো শাহবাগ মোড়ের সব রাস্তার যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। প্রচণ্ড যানজটে আমি প্রায় দুই ঘণ্টা জাতীয় কবির মাজারের সামনে অবরুদ্ধ থাকতে বাধ্য হলাম। আমার কোরআন তেলাওয়াতের ধৈর্য ও প্রাণশক্তিতে টান পড়ল। অবস্থার প্রেক্ষাপটে হুজ্জাতুল ইসলামের উপদেশবাণীও শিকেয় উঠল। আমার গাড়ির সব জানালা, দরজা, সামনের উইন্ডশিল্ড, পেছনের গ্লাস, গাড়ির ভিতর-বাইরে স্থাপন করা সব আয়না দিয়ে চারপাশের সব দৃশ্য দেখতে দেখতে বিরক্তের চরম সীমায় পৌঁছে গেলাম। ঠিক এমন সময়ে আমার চোখ হঠাৎ করেই জাতীয় কবির মাজারের দিকে আকৃষ্ট হলো এবং কোনোরকম চিন্তাভাবনা ছাড়াই বহুক্ষণ ধরে আমি সেদিকে তাকিয়ে রইলাম। আমার শরীর, মন, মানসিকতা ও চিন্তা-চেতনা সম্পূর্ণ নির্বাক-নির্বিকার এবং নির্লিপ্তভাবে কবি নজরুল ইসলামের কবর এবং কবর সংশ্লিষ্ট মসজিদের দিকে নিবিষ্ট হয়ে থাকল যান চলাচল শুরু না হওয়া পর্যন্ত।

অফিসে গিয়ে সারাটা দিন কোনো কাজই করতে পারলাম না। মনের ওপর বিরাট এক জগদ্দল পাথর বার বার আঘাত হেনে নিজের জীবনকথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল। গত প্রায় তিন মাস ধরে বিরতিহীনভাবে রোজা রাখার কারণে আমার শরীরটি বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। মনের অস্থিরতা উড়ুউড়ু ভাব। কামনা-বাসনা, চাহিদা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, অহেতুক ভয়ভীতি, অনিশ্চয়তা বোধ ইত্যাদি বলতে গেলে বিলীন হয়ে গেছে। একাকিত্ব, নিঃসঙ্গতা এবং নির্জনতার মাঝে অনাবিল আনন্দ লাভের উপায়গুলো হৃদয়-মনে প্রভাব বিস্তার করছে। চারদিকের ঝক্কি-ঝামেলা এখন আর আগের মতো বিরক্তির উদ্রেগ করে না। বরং প্রকৃতির কোলাহল, পাখির কলকাকলি, বাতাসের শব্দ ও গন্ধ এবং মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জীবনযাত্রার জটিল-কুটিল অসঙ্গতিসমূহের মধ্যেও আমি বিধাতার ইতিবাচক সুভাশিষ খোঁজার চেষ্টা করি নিরন্তর ধৈর্য এবং অসীম সহ্যশক্তি নিয়ে। অবসরে মৃত্যু নিয়ে ভাবি। আমার কর্ম, জীবন-জীবিকা, মৃত্যু এবং মৃত্যুপরবর্তী সময়কালের মধ্যে একটি সেতুবন্ধ রচনার জন্য আমি কি আদৌ কোনো কিছু করতে পারছি তা বোঝার জন্য বড় বড় মানুষের মৃত্যুচিন্তা নিয়েও বেশ চিন্তাভাবনা করি।

জাতীয় কবির কবর, তার মৃত্যুচিন্তা এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবন নিয়ে আশাবাদের আকুতি এবং নিবেদনের কথা ভাবতে ভাবতে আমার সারাটা দিন চলে গেল। বাসায় ফিরে আমি আমার পড়ার রুমে গিয়ে কবির বিখ্যাত কয়েকটি গান অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে শুনলাম। তার শোন শোন ইয়া এলাহী, মসজিদের পাশে আমার কবর দিয়ো ভাই, রোজ হাশরে করিতে বিচার তুমি হবে কাজী এবং আমি যদি আরব হতাম গানগুলো শোনার পর ধর্ম-কর্ম, পারলৌকিক জীবন, আল্লাহ খোদা, বেহেশত ও দোজখ বিষয়ে কবির মনোভাব সম্পর্কে ধারণা লাভের চেষ্টা করলাম। তার গানের প্রতিটি শব্দের মাধ্যমে তিনি পরম প্রভু সম্পর্কে যে ভক্তি-শ্রদ্ধা ও নির্ভরতার নমুনা প্রদর্শন করেছেন তা খুব বড় মাপের অলি আল্লাহ না হলে সম্ভব হয় না। অন্যদিকে মহান আল্লাহর বিশালত্ব, তাঁর মহিমা, আল্লাহর গুপ্ত ভেদ ও ইচ্ছা সম্পর্কে কবি সে বর্ণনা দিয়েছেন তার জন্য ইলমে মারেফতের জ্ঞান থাকা একান্ত জরুরি।

একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ বাক্য হলো নবী, কবি এবং নেতা আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত এক অলৌকিক নেয়ামতের নাম। ফলে সব যুগের কবিরাই প্রকৃতির অপার রহস্য মানবদেহ, মন এবং মস্তিষ্ক নিয়ে এমন কতগুলো কথা বলেছেন, যা বিজ্ঞানকে আবিষ্কার করতে বহু শতাব্দী অপেক্ষা করতে হয়েছে। ভারতবর্ষের রামায়ণ মহাভারতের রচয়িতা ঋষি বাল্মিকী ও বেদব্যাস, ইউরোপের ইলিয়ড, ওডিসির রচয়িতা হোমার, আরবি কবি ইমরুল কায়েস, পারস্যের ওমর খৈয়াম, শেখ সাদী, বাংলার রবীন্দ্রনাথ, নজরুল প্রমুখ অতি প্রাকৃত এবং মহাজাগতিক শক্তি সম্পর্কে প্রায় একই কথা অভিন্ন সুরে বলেছেন। রবীন্দ্রনাথের— ‘আমি জেনে শুনে তব ভুলে আছি দিবসও কাটে বৃথায় হে’, অথবা রজনীকান্তের— ‘তুমি নির্মল কর, মঙ্গল করে, মলিন ও মর্ম মুছায়ে’ গান দুটির সঙ্গে কেউ যদি শোন শোন ইয়া এলাহী আমার মোনাজাত গানটিকে মেলায়, ভাবার্থ হৃদয়ঙ্গম করে এবং পরম প্রভুর দরবারে সেভাবে নিজেকে নিবেদন করে, তবে তার সফলতা রুখে দেওয়ার শক্তি জমিনে কারও কাছে থাকবে না।

আজকের নিবন্ধের বিষয়বস্তু জাতীয় কবির তাসাউফ অর্থাৎ ধর্মকর্ম সম্পর্কে তার প্রগাঢ় ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং পরম মমতার নিদর্শন এবং তার ইলাম মারেফত অর্থাৎ আল্লাহ রব্বুল আলামিন এবং আল্লাহর সৃষ্টিকুল সম্পর্কে দুর্বল জ্ঞান সম্পর্কে সম্মানিত পাঠকদের অবহিত করা। আমাদের জাতীয় কবি কীভাবে ইসলামকে চিনেছিলেন কিংবা রসুল (সা.) সম্পর্কে তার ভক্তি ও আবেগের স্তর কোন পর্যায়ে ছিল এবং আল্লাহর বিশালত্ব সম্পর্কে তিনি কি রূপ ধারণা পোষণ করতেন তা ইতিপূর্বে বর্ণিত কবি রচিত চারটি গানের কিছু কথামালার আলোকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব। কিন্তু তার আগে সুপ্রসিদ্ধ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা বর্ণনা করলে আজকের প্রেক্ষাপট হৃদয়ঙ্গম করতে সহজ হবে।

মুসলিম বিশ্বে তখন উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিকের শাসন চলছে। তার বিশ্বস্ত গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইরাক, হেজাজ, ইয়ামেনসহ পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলো দুর্দান্ত প্রতাপে শাসন করে যাচ্ছিলেন। সাম্রাজ্যের শাসনব্যবস্থা নির্বিঘ্ন করার জন্য তিনি করেননি এমন কোনো নৃশংস কর্ম ছিল না। মক্কা-মদিনা আক্রমণ, কাবাঘরের দেয়াল মিনজালিক যন্ত্র দিয়ে ভেঙে ফেলা, এক লাখেরও বেশি মানুষকে হত্যা করার মাধ্যমে তিনি সমসাময়িক দুনিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা হাজ্জাজের ভয়ে জীবন্ত লাশের মতো নিথর ও নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সমাজের ভদ্রলোকেরা বোবা বনে গিয়েছিলেন। সুফি-সাধকরা নির্জনে গিয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করে হাজ্জাজের মৃত্যু কামনা করতেন। হাজ্জাজের জুলুম, অত্যাচার, নির্মম ও নিষ্ঠুর আচরণের প্রতিবাদ করার মতো লোক একজনও ছিল না। অন্যদিকে খলিফা আবদুল মালিক হাজ্জাজের ওপর এতটাই বিশ্বাস স্থাপন ও নির্ভর করতেন যে, খলিফার দরবারে হাজ্জাজের বিরুদ্ধে একটি শব্দ উচ্চারণের সাহসও কারও ছিল না।

৭১৪ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে মাত্র ৫৩ বছর বয়সে হাজ্জাজ হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাজ্জাজ বুঝতে পারলেন যে, মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন। তখন রমজান মাস চলছিল। তিনি মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে নিজের অতীত কৃতকর্ম সম্পর্কে অনুশোচনা আরম্ভ করলেন। রাজ্যের নামকরা ওলি-আল্লাহদের আমন্ত্রণ করে রাজপ্রাসাদে নিয়ে এলেন এবং সবার কাছে নিজের অনুশোচনা এবং তওবা করে আল্লাহর ক্ষমাপ্রাপ্তির ব্যাপারে ফতোয়া চাইলেন। সবাই একবাক্যে জানালেন যে, হাজ্জাজের অপরাধ এত বিশাল ও ব্যাপক যে, তা তওবার মাধ্যমে নিষ্পত্তি সম্ভব নয়। একমাত্র জাহান্নামের শাস্তিই তার জন্য চূড়ান্ত ফয়সালা হতে পারে। সবার কথা শোনার পর হাজ্জাজ তৎকালীন ওলিকুল শিরোমণি হজরত হাসান বসরী (রহ.)-কে প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানালেন। হাজ্জাজের কথা শুনে হজরত হাসান বসরী (রহ.)ও তাকে কোনো আশার বাণী শোনালেন না— বরং অন্য ওলি-আল্লাহ এবং আলমদের মতামতকে সমর্থন করলেন।

হজরত হাসান বসরী (রহ.) চলে যাওয়ার পর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ মৃত্যুযন্ত্রণা ভুলে হঠাৎ নীরব হয়ে গেলেন। আসমানের দিকে তাকিয়ে অঝোরে অশ্রুপাত করতে করতে বললেন— ইয়া আল্লাহ! তোমার প্রিয় বান্দারা তোমার বিশালত্ব সম্পর্কে আমাকে হতাশ করার চেষ্টা করে গেল। কিন্তু তুমি তো জান— জীবনের কোনো পর্যায়ে একটি মুহূর্তের জন্যও তোমার ক্ষমা, রহমত এবং দয়া সম্পর্কে আমি নিরাশ ছিলাম না। এ কথা বলে ক্রন্দনরত হাজ্জাজ বিন ইউসুফ মাহে রমজানের একুশতম দিবসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। পরবর্তীতে এই ঘটনা যখন হজরত হাসান বসরী (রহ.)-এর কাছে বর্ণনা করা হলো তখন তিনি বললেন— লক্ষণ শুনে মনে হচ্ছে হাজ্জাজ আল্লাহ রব্বুল আলামিনের ক্ষমা পেয়ে গিয়েছেন।

যারা হাজ্জাজের মন্দ কর্মগুলো গণনা করেছিলেন তারা হয়তো জানতেন না যে, আধুনিক আরবি বর্ণমালা ও ব্যাকরণ হাজ্জাজ কর্তৃক রচিত। পবিত্র আল কোরানের আধুনিক এবং একমাত্র স্বীকৃত আরবি সংকলনটিও হাজ্জাজ করেছিলেন যা সারা দুনিয়ার মুসলমানরা অভিন্ন রূপরেখায় ব্যবহার করে আসছে। হাজ্জাজের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল কাবাগৃহের সংস্কার এবং আল্লাহর ঘরকে আদি রূপে ফিরিয়ে আনা। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবারের (রা.)-এর শাসনামলে কাবার রূপ পাল্টে ফেলা হয়েছিল। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ সেই কাবাকে ভেঙে হজরত ইব্রাহিম (আ.) নির্মিত কাবার আদলে নির্মাণ করেন যা আজও বলবৎ রয়েছে।

এবার জাতীয় কবি প্রসঙ্গে আসি। তিনি লিখেছেন— আল্লাতে যার পূর্ণ ইমান! কোথা সে মুসলমান! তারপর ইমানের পূর্ণতা নিয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানিয়ে লিখেছেন— শোন শোন ইয়া এলাহী আমার মোনাজাত। পরবর্তীতে আল্লাহর দরবারে নিজের আকাঙ্ক্ষা নিবেদন করে দুনিয়াবাসীর কাছে ওসিয়ত করে গেছেন— ‘মসজিদের পাশে আমার কবর দিয়ো ভাই।’ জাতীয় কবির মাজার দর্শন করে অফিসে এসে বার বার চিন্তা করছিলাম নিজের মৃত্যু নিয়ে, আমারও তো বড় ইচ্ছা মসজিদের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হওয়ার জন্য। কিন্তু আমার নসিবে তা কিরূপে হবে এবং মুয়াজ্জিনের আজান আমার কানে পৌঁছানোর মতো কর্ম আমি কীভাবে করব— তার কোনো কূলকিনারা করতে পারছিলাম না। অথচ কবি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলে গেছেন যে, তাকে মসজিদের পাশে কবর দেওয়া হলে তিনি শুধু মুয়াজ্জিনের আওয়াজ নয়— নামাজিদের পায়ের আওয়াজও শুনতে পারবেন। পবিত্র আল কোরআন যারা অধ্যয়ন করেন তারা বেশ ভালো করেই জানেন যে, আল্লাহ তাঁর বন্ধু অর্থাৎ ওলি-আল্লাহদের মৃত বলতে নিষেধ করেছেন। কারণ ওলি-আল্লাহরা মৃত্যুর পর জীবিত মানুষের মতোই রিজিকপ্রাপ্ত হয়। আল্লাহর বন্ধুদের দুনিয়া ও আখেরাতে যেমন কোনো ভয় বা চিন্তা নেই তেমনি দুনিয়াতে আল্লাহর বন্ধুদের কর্মকাণ্ড, জবান এবং ইশারার সঙ্গে আল্লাহ সম্পৃক্ত থাকেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। নজরুলের গান-কবিতা, মৃত্যু এবং মৃত্যু-পরবর্তী ঘটনাবলির মধ্যে যেভাবে সংযোগ রেখা স্থাপিত হয়েছে তা বড় বড় ওলি-আল্লাহর জীবনেও ঘটতে দেখা যায় না। নজরুলের জীবৎকালের অনেক কর্মের সঙ্গে তৎকালীন আলেম-ওলামাদের নিদারুণ বিরোধ ছিল। অনেকে তাকে মুসলমান হিসেবে মানতে নারাজ ছিলেন। প্রায় একই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল মহাকবি শেখ সাদী (রহ.), সুফি সাধক জালাল উদ্দিন রুমী এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক ইবনে সিনা (রহ.)-এর ক্ষেত্রে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে পৃথিবীবাসী একবাক্যে মেনে নিয়েছেন যে, তারা এলমে মারফতের এত ঊর্ধ্বস্তরে পৌঁছে গিয়েছিলেন যে, সমসাময়িক দুনিয়া তা বুঝতে পারা তো দূরের কথা অনুমানও করতে পারেনি।

জাতীয় কবির তাসাউফের নমুনা ফুটে উঠে তার আমি যদি আরব হতেম এবং রোজ হাশরে করিতে বিচার তুমি হবে কাজী গান দুটোর মধ্যে। প্রথম গানে তিনি নবী করিম (সা.)-কে ভালোবাসার এবং নবীর প্রতি দরদভরা ভক্তি-শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যে শব্দমালা ব্যবহার করেছেন যা বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় কেউ করতে পারেননি। তার প্রাণের আকুতি যে সুর সৃষ্টি করেছে এবং যে অনবদ্য ভাবের সৃষ্টি করেছে তা কোনো ওলি-আল্লাহকে দিয়েও সচরাচর বের হয় না। তিনি বলেন— আমি যদি আরব হতেম— মদিনারই পথ! সে পথে মোর চলে যেতেন নূর নবী হজরত। পয়জার তার লাগত এসে, আমার কঠিন বুকে। আমি ঝরনা হয়ে গলে যেতাম ওমনি পরম সুখে।  সেই চিহ্ন বুকে পুরে পালিয়ে যেতাম কোহে তুরে, দিবানিশি করতাম তার কদম জিয়ারত!...

কাজী নজরুল ইসলাম আল্লাহর বিশালত্ব, দয়া, করুণা এবং ক্ষমার ব্যাপ্তি সম্পর্কে এত উঁচু মার্গে চিন্তা করতেন যা আমাদের সাধারণ মন-মস্তিষ্ক কল্পনাও করতে পারে না। মহাজগতের অলৌকিক কানুন হলো— যে বান্দা তার মালিক সম্পর্কে কায়মনোবাক্যে যেরূপ দৃঢ় বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপন করতে পারেন ঠিক তেমনিভাবেই তার ভাগ্যে দুনিয়া ও আখেরাতে প্রাপ্তিগুলো যোগ হয়ে যায়। নজরুল বলেন— সেদিন রোজ হাশরে করতে বিচার তুমি হবে কাজী/ সেদিন তোমার দিদার আমি পাব কি আল্লাজী!/ সেদিন নাকি তোমার ভীষণ কাহ্হার রূপ দেখে/ পীর-পয়গাম্বর কাঁদবে ভয়ে ইয়া নফিস ডেকে।/ সেই সুদিনের আশায় আমি নাচি এমন এখন থেকে।/ আমি তোমায় দেখে হাজারো বার দোজখ যেতে রাজি।/ যেরূপ হোক-বারেক যদি দেখে তোমায় কেহ/ দোজখ কি আর ছুঁতে পারে, পবিত্র তার দেহ।/ সে হোক না কেন হাজার পাপী হোক না বেনামাজী!/ ইয়া আল্লাহ তোমার দয়া কত! তাই দেখাবে বলে/ রোজ হাশরে দেখা দেবে বিচার করার ছলে।/ প্রেমিক বিনে কি বুঝিবে, তোমার এ কারসাজি!

লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
রিভলভার হাতে রহস্য ভেদে ফিরছেন কোয়েল
রিভলভার হাতে রহস্য ভেদে ফিরছেন কোয়েল

১ মিনিট আগে | শোবিজ

গোবিন্দগঞ্জে শিক্ষা কর্মসূচির অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা
গোবিন্দগঞ্জে শিক্ষা কর্মসূচির অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা

২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাইফের স্ট্যালিয়ন্সকে হারাল তাসকিনের নর্দান ওয়ারিয়র্স
সাইফের স্ট্যালিয়ন্সকে হারাল তাসকিনের নর্দান ওয়ারিয়র্স

৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের
লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল স্কুলছাত্রের

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিরামপুরে ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন
বিরামপুরে ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার টঙ্গী শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার টঙ্গী শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা

৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রলারসহ ১৬ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
ট্রলারসহ ১৬ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

১১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইসবগুলের ভুসি কতটা কার্যকর?
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইসবগুলের ভুসি কতটা কার্যকর?

১২ মিনিট আগে | জীবন ধারা

টিফিন বক্সে অমিতাভকে নিয়মিত চিঠি লিখতেন জয়া
টিফিন বক্সে অমিতাভকে নিয়মিত চিঠি লিখতেন জয়া

১৪ মিনিট আগে | শোবিজ

রুশ গুপ্তচর জাহাজ থেকে ব্রিটিশ পাইলটদের ওপর নজরদারির অভিযোগ
রুশ গুপ্তচর জাহাজ থেকে ব্রিটিশ পাইলটদের ওপর নজরদারির অভিযোগ

১৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

১৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন
৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন

২১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!
আসছে ‘দাবাং ৪’, পরিচালনায় থাকছেন অভিনব কাশ্যপ!

২৩ মিনিট আগে | শোবিজ

ইউক্রেনে রুশ হামলায় নিহত ২৫
ইউক্রেনে রুশ হামলায় নিহত ২৫

২৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলাপাড়ায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
কলাপাড়ায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

৪৫ মিনিট আগে | অর্থনীতি

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

৪৭ মিনিট আগে | অর্থনীতি

মুশফিক ভাই বলেই সেঞ্চুরি নিয়ে কোনো সংশয় নেই: মুমিনুল
মুশফিক ভাই বলেই সেঞ্চুরি নিয়ে কোনো সংশয় নেই: মুমিনুল

৪৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

জিয়া পরিবার ফোবিয়ায় যারা ভোগেন, তাদের জনভিত্তি নেই : প্রিন্স
জিয়া পরিবার ফোবিয়ায় যারা ভোগেন, তাদের জনভিত্তি নেই : প্রিন্স

৫০ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৩০ বাংলাদেশি
কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৩০ বাংলাদেশি

৫৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের রানওয়েতে শিয়াল, ২৬ মিনিট বন্ধ ছিল ফ্লাইট
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের রানওয়েতে শিয়াল, ২৬ মিনিট বন্ধ ছিল ফ্লাইট

৫৯ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার
মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বেলেমের কপ-৩০-এ ন্যায়ভিত্তিক জলবায়ু কার্যক্রম বাস্তবায়নের আহ্বান বাংলাদেশের
বেলেমের কপ-৩০-এ ন্যায়ভিত্তিক জলবায়ু কার্যক্রম বাস্তবায়নের আহ্বান বাংলাদেশের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পৃথিবীতে প্রাণের প্রাচীনতম নিদর্শন আবিষ্কার!
পৃথিবীতে প্রাণের প্রাচীনতম নিদর্শন আবিষ্কার!

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

রংপুরে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
রংপুরে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দশম বারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নিতীশ
দশম বারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নিতীশ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সখীপুরে মা–মেয়ের লাশ উদ্ধার
সখীপুরে মা–মেয়ের লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রীমঙ্গলে নিজ বাড়িতে ফিরে উচ্ছ্বসিত শমিত সোম
শ্রীমঙ্গলে নিজ বাড়িতে ফিরে উচ্ছ্বসিত শমিত সোম

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

১১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

খাঁটি গুড় চিনবেন কীভাবে?
খাঁটি গুড় চিনবেন কীভাবে?

২৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

৯ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন