শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ আপডেট:

জাতীয় কবির তাসাউফ এবং ইলমে মারেফত

গোলাম মাওলা রনি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
জাতীয় কবির তাসাউফ এবং ইলমে মারেফত

এমনতরো ঘটনা আমার জীবনে সচরাচর ঘটে না। সকাল বেলা অফিসে আসার সময় আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদকে বায়ে রেখে শাহবাগের দিকে যাচ্ছিলাম। ট্রাফিক জ্যামের কারণে আমার গাড়িটি বহুক্ষণ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মাজারের কাছে ঠায় দাঁড়িয়ে রইল। চলতি পথে গাড়িতে বসে আমি সর্বদা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতে থাকি এবং নেহায়েত জরুরি অথবা ব্যতিক্রমী কিছু না ঘটলে সাধারণত আশপাশে কোনো দিকে তাকাই না।  এই অভ্যাসটি আমি রপ্ত করেছি হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রহ.)-এর একটি সুবিখ্যাত বইয়ে বর্ণিত একটি উপদেশমালার কল্যাণে। তিনি উপদেশ দিয়েছেন অপ্রয়োজনীয় বিষয় না দেখতে। একই রূপে অপ্রয়োজনীয় শব্দমালা, ঘ্রাণ, সুর, তাল, লয়, ছন্দ এবং স্পর্শ থেকে নিজেকে দূরে রাখার পরামর্শও তিনি দিয়েছেন। তার মতে, প্রকৃতির নিয়মে প্রতিটি দৃশ্য, শব্দ, ঘ্রাণ এবং স্পর্শ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের মস্তিষ্কে জমা হয়ে এমন এক জটিল অবস্থা সৃষ্টি করে যার কারণে আমরা স্মৃতিশক্তি হারাতে থাকি— আমাদের আবেগ-অনুভূতি ভোঁতা হতে থাকে এবং বুদ্ধিশুদ্ধিও কমতে তাকে।

ঘটনার দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কি যেন একটা যুব সমাবেশ ছিল। হাজার হাজার যুবক-যুবতী দলবেঁধে ম্যারাথন দৌড়ের নামে মৃদুপায়ে টিএসসির দিকে এগোচ্ছিল। সমাবেশটি সম্ভবত সরকার সমর্থিত ছিল। ফলে যুবক-যুবতীর পদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন্য শত শত পুলিশ পুরো শাহবাগ মোড়ের সব রাস্তার যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। প্রচণ্ড যানজটে আমি প্রায় দুই ঘণ্টা জাতীয় কবির মাজারের সামনে অবরুদ্ধ থাকতে বাধ্য হলাম। আমার কোরআন তেলাওয়াতের ধৈর্য ও প্রাণশক্তিতে টান পড়ল। অবস্থার প্রেক্ষাপটে হুজ্জাতুল ইসলামের উপদেশবাণীও শিকেয় উঠল। আমার গাড়ির সব জানালা, দরজা, সামনের উইন্ডশিল্ড, পেছনের গ্লাস, গাড়ির ভিতর-বাইরে স্থাপন করা সব আয়না দিয়ে চারপাশের সব দৃশ্য দেখতে দেখতে বিরক্তের চরম সীমায় পৌঁছে গেলাম। ঠিক এমন সময়ে আমার চোখ হঠাৎ করেই জাতীয় কবির মাজারের দিকে আকৃষ্ট হলো এবং কোনোরকম চিন্তাভাবনা ছাড়াই বহুক্ষণ ধরে আমি সেদিকে তাকিয়ে রইলাম। আমার শরীর, মন, মানসিকতা ও চিন্তা-চেতনা সম্পূর্ণ নির্বাক-নির্বিকার এবং নির্লিপ্তভাবে কবি নজরুল ইসলামের কবর এবং কবর সংশ্লিষ্ট মসজিদের দিকে নিবিষ্ট হয়ে থাকল যান চলাচল শুরু না হওয়া পর্যন্ত।

অফিসে গিয়ে সারাটা দিন কোনো কাজই করতে পারলাম না। মনের ওপর বিরাট এক জগদ্দল পাথর বার বার আঘাত হেনে নিজের জীবনকথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল। গত প্রায় তিন মাস ধরে বিরতিহীনভাবে রোজা রাখার কারণে আমার শরীরটি বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। মনের অস্থিরতা উড়ুউড়ু ভাব। কামনা-বাসনা, চাহিদা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, অহেতুক ভয়ভীতি, অনিশ্চয়তা বোধ ইত্যাদি বলতে গেলে বিলীন হয়ে গেছে। একাকিত্ব, নিঃসঙ্গতা এবং নির্জনতার মাঝে অনাবিল আনন্দ লাভের উপায়গুলো হৃদয়-মনে প্রভাব বিস্তার করছে। চারদিকের ঝক্কি-ঝামেলা এখন আর আগের মতো বিরক্তির উদ্রেগ করে না। বরং প্রকৃতির কোলাহল, পাখির কলকাকলি, বাতাসের শব্দ ও গন্ধ এবং মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জীবনযাত্রার জটিল-কুটিল অসঙ্গতিসমূহের মধ্যেও আমি বিধাতার ইতিবাচক সুভাশিষ খোঁজার চেষ্টা করি নিরন্তর ধৈর্য এবং অসীম সহ্যশক্তি নিয়ে। অবসরে মৃত্যু নিয়ে ভাবি। আমার কর্ম, জীবন-জীবিকা, মৃত্যু এবং মৃত্যুপরবর্তী সময়কালের মধ্যে একটি সেতুবন্ধ রচনার জন্য আমি কি আদৌ কোনো কিছু করতে পারছি তা বোঝার জন্য বড় বড় মানুষের মৃত্যুচিন্তা নিয়েও বেশ চিন্তাভাবনা করি।

জাতীয় কবির কবর, তার মৃত্যুচিন্তা এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবন নিয়ে আশাবাদের আকুতি এবং নিবেদনের কথা ভাবতে ভাবতে আমার সারাটা দিন চলে গেল। বাসায় ফিরে আমি আমার পড়ার রুমে গিয়ে কবির বিখ্যাত কয়েকটি গান অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে শুনলাম। তার শোন শোন ইয়া এলাহী, মসজিদের পাশে আমার কবর দিয়ো ভাই, রোজ হাশরে করিতে বিচার তুমি হবে কাজী এবং আমি যদি আরব হতাম গানগুলো শোনার পর ধর্ম-কর্ম, পারলৌকিক জীবন, আল্লাহ খোদা, বেহেশত ও দোজখ বিষয়ে কবির মনোভাব সম্পর্কে ধারণা লাভের চেষ্টা করলাম। তার গানের প্রতিটি শব্দের মাধ্যমে তিনি পরম প্রভু সম্পর্কে যে ভক্তি-শ্রদ্ধা ও নির্ভরতার নমুনা প্রদর্শন করেছেন তা খুব বড় মাপের অলি আল্লাহ না হলে সম্ভব হয় না। অন্যদিকে মহান আল্লাহর বিশালত্ব, তাঁর মহিমা, আল্লাহর গুপ্ত ভেদ ও ইচ্ছা সম্পর্কে কবি সে বর্ণনা দিয়েছেন তার জন্য ইলমে মারেফতের জ্ঞান থাকা একান্ত জরুরি।

একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ বাক্য হলো নবী, কবি এবং নেতা আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত এক অলৌকিক নেয়ামতের নাম। ফলে সব যুগের কবিরাই প্রকৃতির অপার রহস্য মানবদেহ, মন এবং মস্তিষ্ক নিয়ে এমন কতগুলো কথা বলেছেন, যা বিজ্ঞানকে আবিষ্কার করতে বহু শতাব্দী অপেক্ষা করতে হয়েছে। ভারতবর্ষের রামায়ণ মহাভারতের রচয়িতা ঋষি বাল্মিকী ও বেদব্যাস, ইউরোপের ইলিয়ড, ওডিসির রচয়িতা হোমার, আরবি কবি ইমরুল কায়েস, পারস্যের ওমর খৈয়াম, শেখ সাদী, বাংলার রবীন্দ্রনাথ, নজরুল প্রমুখ অতি প্রাকৃত এবং মহাজাগতিক শক্তি সম্পর্কে প্রায় একই কথা অভিন্ন সুরে বলেছেন। রবীন্দ্রনাথের— ‘আমি জেনে শুনে তব ভুলে আছি দিবসও কাটে বৃথায় হে’, অথবা রজনীকান্তের— ‘তুমি নির্মল কর, মঙ্গল করে, মলিন ও মর্ম মুছায়ে’ গান দুটির সঙ্গে কেউ যদি শোন শোন ইয়া এলাহী আমার মোনাজাত গানটিকে মেলায়, ভাবার্থ হৃদয়ঙ্গম করে এবং পরম প্রভুর দরবারে সেভাবে নিজেকে নিবেদন করে, তবে তার সফলতা রুখে দেওয়ার শক্তি জমিনে কারও কাছে থাকবে না।

আজকের নিবন্ধের বিষয়বস্তু জাতীয় কবির তাসাউফ অর্থাৎ ধর্মকর্ম সম্পর্কে তার প্রগাঢ় ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং পরম মমতার নিদর্শন এবং তার ইলাম মারেফত অর্থাৎ আল্লাহ রব্বুল আলামিন এবং আল্লাহর সৃষ্টিকুল সম্পর্কে দুর্বল জ্ঞান সম্পর্কে সম্মানিত পাঠকদের অবহিত করা। আমাদের জাতীয় কবি কীভাবে ইসলামকে চিনেছিলেন কিংবা রসুল (সা.) সম্পর্কে তার ভক্তি ও আবেগের স্তর কোন পর্যায়ে ছিল এবং আল্লাহর বিশালত্ব সম্পর্কে তিনি কি রূপ ধারণা পোষণ করতেন তা ইতিপূর্বে বর্ণিত কবি রচিত চারটি গানের কিছু কথামালার আলোকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব। কিন্তু তার আগে সুপ্রসিদ্ধ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা বর্ণনা করলে আজকের প্রেক্ষাপট হৃদয়ঙ্গম করতে সহজ হবে।

মুসলিম বিশ্বে তখন উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিকের শাসন চলছে। তার বিশ্বস্ত গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইরাক, হেজাজ, ইয়ামেনসহ পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলো দুর্দান্ত প্রতাপে শাসন করে যাচ্ছিলেন। সাম্রাজ্যের শাসনব্যবস্থা নির্বিঘ্ন করার জন্য তিনি করেননি এমন কোনো নৃশংস কর্ম ছিল না। মক্কা-মদিনা আক্রমণ, কাবাঘরের দেয়াল মিনজালিক যন্ত্র দিয়ে ভেঙে ফেলা, এক লাখেরও বেশি মানুষকে হত্যা করার মাধ্যমে তিনি সমসাময়িক দুনিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা হাজ্জাজের ভয়ে জীবন্ত লাশের মতো নিথর ও নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সমাজের ভদ্রলোকেরা বোবা বনে গিয়েছিলেন। সুফি-সাধকরা নির্জনে গিয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করে হাজ্জাজের মৃত্যু কামনা করতেন। হাজ্জাজের জুলুম, অত্যাচার, নির্মম ও নিষ্ঠুর আচরণের প্রতিবাদ করার মতো লোক একজনও ছিল না। অন্যদিকে খলিফা আবদুল মালিক হাজ্জাজের ওপর এতটাই বিশ্বাস স্থাপন ও নির্ভর করতেন যে, খলিফার দরবারে হাজ্জাজের বিরুদ্ধে একটি শব্দ উচ্চারণের সাহসও কারও ছিল না।

৭১৪ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে মাত্র ৫৩ বছর বয়সে হাজ্জাজ হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাজ্জাজ বুঝতে পারলেন যে, মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন। তখন রমজান মাস চলছিল। তিনি মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে নিজের অতীত কৃতকর্ম সম্পর্কে অনুশোচনা আরম্ভ করলেন। রাজ্যের নামকরা ওলি-আল্লাহদের আমন্ত্রণ করে রাজপ্রাসাদে নিয়ে এলেন এবং সবার কাছে নিজের অনুশোচনা এবং তওবা করে আল্লাহর ক্ষমাপ্রাপ্তির ব্যাপারে ফতোয়া চাইলেন। সবাই একবাক্যে জানালেন যে, হাজ্জাজের অপরাধ এত বিশাল ও ব্যাপক যে, তা তওবার মাধ্যমে নিষ্পত্তি সম্ভব নয়। একমাত্র জাহান্নামের শাস্তিই তার জন্য চূড়ান্ত ফয়সালা হতে পারে। সবার কথা শোনার পর হাজ্জাজ তৎকালীন ওলিকুল শিরোমণি হজরত হাসান বসরী (রহ.)-কে প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানালেন। হাজ্জাজের কথা শুনে হজরত হাসান বসরী (রহ.)ও তাকে কোনো আশার বাণী শোনালেন না— বরং অন্য ওলি-আল্লাহ এবং আলমদের মতামতকে সমর্থন করলেন।

হজরত হাসান বসরী (রহ.) চলে যাওয়ার পর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ মৃত্যুযন্ত্রণা ভুলে হঠাৎ নীরব হয়ে গেলেন। আসমানের দিকে তাকিয়ে অঝোরে অশ্রুপাত করতে করতে বললেন— ইয়া আল্লাহ! তোমার প্রিয় বান্দারা তোমার বিশালত্ব সম্পর্কে আমাকে হতাশ করার চেষ্টা করে গেল। কিন্তু তুমি তো জান— জীবনের কোনো পর্যায়ে একটি মুহূর্তের জন্যও তোমার ক্ষমা, রহমত এবং দয়া সম্পর্কে আমি নিরাশ ছিলাম না। এ কথা বলে ক্রন্দনরত হাজ্জাজ বিন ইউসুফ মাহে রমজানের একুশতম দিবসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। পরবর্তীতে এই ঘটনা যখন হজরত হাসান বসরী (রহ.)-এর কাছে বর্ণনা করা হলো তখন তিনি বললেন— লক্ষণ শুনে মনে হচ্ছে হাজ্জাজ আল্লাহ রব্বুল আলামিনের ক্ষমা পেয়ে গিয়েছেন।

যারা হাজ্জাজের মন্দ কর্মগুলো গণনা করেছিলেন তারা হয়তো জানতেন না যে, আধুনিক আরবি বর্ণমালা ও ব্যাকরণ হাজ্জাজ কর্তৃক রচিত। পবিত্র আল কোরানের আধুনিক এবং একমাত্র স্বীকৃত আরবি সংকলনটিও হাজ্জাজ করেছিলেন যা সারা দুনিয়ার মুসলমানরা অভিন্ন রূপরেখায় ব্যবহার করে আসছে। হাজ্জাজের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল কাবাগৃহের সংস্কার এবং আল্লাহর ঘরকে আদি রূপে ফিরিয়ে আনা। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবারের (রা.)-এর শাসনামলে কাবার রূপ পাল্টে ফেলা হয়েছিল। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ সেই কাবাকে ভেঙে হজরত ইব্রাহিম (আ.) নির্মিত কাবার আদলে নির্মাণ করেন যা আজও বলবৎ রয়েছে।

এবার জাতীয় কবি প্রসঙ্গে আসি। তিনি লিখেছেন— আল্লাতে যার পূর্ণ ইমান! কোথা সে মুসলমান! তারপর ইমানের পূর্ণতা নিয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানিয়ে লিখেছেন— শোন শোন ইয়া এলাহী আমার মোনাজাত। পরবর্তীতে আল্লাহর দরবারে নিজের আকাঙ্ক্ষা নিবেদন করে দুনিয়াবাসীর কাছে ওসিয়ত করে গেছেন— ‘মসজিদের পাশে আমার কবর দিয়ো ভাই।’ জাতীয় কবির মাজার দর্শন করে অফিসে এসে বার বার চিন্তা করছিলাম নিজের মৃত্যু নিয়ে, আমারও তো বড় ইচ্ছা মসজিদের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হওয়ার জন্য। কিন্তু আমার নসিবে তা কিরূপে হবে এবং মুয়াজ্জিনের আজান আমার কানে পৌঁছানোর মতো কর্ম আমি কীভাবে করব— তার কোনো কূলকিনারা করতে পারছিলাম না। অথচ কবি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলে গেছেন যে, তাকে মসজিদের পাশে কবর দেওয়া হলে তিনি শুধু মুয়াজ্জিনের আওয়াজ নয়— নামাজিদের পায়ের আওয়াজও শুনতে পারবেন। পবিত্র আল কোরআন যারা অধ্যয়ন করেন তারা বেশ ভালো করেই জানেন যে, আল্লাহ তাঁর বন্ধু অর্থাৎ ওলি-আল্লাহদের মৃত বলতে নিষেধ করেছেন। কারণ ওলি-আল্লাহরা মৃত্যুর পর জীবিত মানুষের মতোই রিজিকপ্রাপ্ত হয়। আল্লাহর বন্ধুদের দুনিয়া ও আখেরাতে যেমন কোনো ভয় বা চিন্তা নেই তেমনি দুনিয়াতে আল্লাহর বন্ধুদের কর্মকাণ্ড, জবান এবং ইশারার সঙ্গে আল্লাহ সম্পৃক্ত থাকেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। নজরুলের গান-কবিতা, মৃত্যু এবং মৃত্যু-পরবর্তী ঘটনাবলির মধ্যে যেভাবে সংযোগ রেখা স্থাপিত হয়েছে তা বড় বড় ওলি-আল্লাহর জীবনেও ঘটতে দেখা যায় না। নজরুলের জীবৎকালের অনেক কর্মের সঙ্গে তৎকালীন আলেম-ওলামাদের নিদারুণ বিরোধ ছিল। অনেকে তাকে মুসলমান হিসেবে মানতে নারাজ ছিলেন। প্রায় একই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল মহাকবি শেখ সাদী (রহ.), সুফি সাধক জালাল উদ্দিন রুমী এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক ইবনে সিনা (রহ.)-এর ক্ষেত্রে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে পৃথিবীবাসী একবাক্যে মেনে নিয়েছেন যে, তারা এলমে মারফতের এত ঊর্ধ্বস্তরে পৌঁছে গিয়েছিলেন যে, সমসাময়িক দুনিয়া তা বুঝতে পারা তো দূরের কথা অনুমানও করতে পারেনি।

জাতীয় কবির তাসাউফের নমুনা ফুটে উঠে তার আমি যদি আরব হতেম এবং রোজ হাশরে করিতে বিচার তুমি হবে কাজী গান দুটোর মধ্যে। প্রথম গানে তিনি নবী করিম (সা.)-কে ভালোবাসার এবং নবীর প্রতি দরদভরা ভক্তি-শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যে শব্দমালা ব্যবহার করেছেন যা বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় কেউ করতে পারেননি। তার প্রাণের আকুতি যে সুর সৃষ্টি করেছে এবং যে অনবদ্য ভাবের সৃষ্টি করেছে তা কোনো ওলি-আল্লাহকে দিয়েও সচরাচর বের হয় না। তিনি বলেন— আমি যদি আরব হতেম— মদিনারই পথ! সে পথে মোর চলে যেতেন নূর নবী হজরত। পয়জার তার লাগত এসে, আমার কঠিন বুকে। আমি ঝরনা হয়ে গলে যেতাম ওমনি পরম সুখে।  সেই চিহ্ন বুকে পুরে পালিয়ে যেতাম কোহে তুরে, দিবানিশি করতাম তার কদম জিয়ারত!...

কাজী নজরুল ইসলাম আল্লাহর বিশালত্ব, দয়া, করুণা এবং ক্ষমার ব্যাপ্তি সম্পর্কে এত উঁচু মার্গে চিন্তা করতেন যা আমাদের সাধারণ মন-মস্তিষ্ক কল্পনাও করতে পারে না। মহাজগতের অলৌকিক কানুন হলো— যে বান্দা তার মালিক সম্পর্কে কায়মনোবাক্যে যেরূপ দৃঢ় বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপন করতে পারেন ঠিক তেমনিভাবেই তার ভাগ্যে দুনিয়া ও আখেরাতে প্রাপ্তিগুলো যোগ হয়ে যায়। নজরুল বলেন— সেদিন রোজ হাশরে করতে বিচার তুমি হবে কাজী/ সেদিন তোমার দিদার আমি পাব কি আল্লাজী!/ সেদিন নাকি তোমার ভীষণ কাহ্হার রূপ দেখে/ পীর-পয়গাম্বর কাঁদবে ভয়ে ইয়া নফিস ডেকে।/ সেই সুদিনের আশায় আমি নাচি এমন এখন থেকে।/ আমি তোমায় দেখে হাজারো বার দোজখ যেতে রাজি।/ যেরূপ হোক-বারেক যদি দেখে তোমায় কেহ/ দোজখ কি আর ছুঁতে পারে, পবিত্র তার দেহ।/ সে হোক না কেন হাজার পাপী হোক না বেনামাজী!/ ইয়া আল্লাহ তোমার দয়া কত! তাই দেখাবে বলে/ রোজ হাশরে দেখা দেবে বিচার করার ছলে।/ প্রেমিক বিনে কি বুঝিবে, তোমার এ কারসাজি!

লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
সর্বশেষ খবর
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

এই মাত্র | ভোটের হাওয়া

চ্যাটজিপিটির গ্রুপ চ্যাট এখন সারা বিশ্বের ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত
চ্যাটজিপিটির গ্রুপ চ্যাট এখন সারা বিশ্বের ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত

৩৪ সেকেন্ড আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ দক্ষতা-পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে’
‌‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ দক্ষতা-পেশাদারিত্ব দেখাতে হবে’

৬ মিনিট আগে | জাতীয়

পুরস্কার নিতে ভেনেজুয়েলা ছাড়লে পলাতক হবেন মাচাদো
পুরস্কার নিতে ভেনেজুয়েলা ছাড়লে পলাতক হবেন মাচাদো

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বৃদ্ধ ও কিশোরের
ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বৃদ্ধ ও কিশোরের

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

১৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১৬ মিনিট আগে | জাতীয়

খাগড়াছড়িতে উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ
খাগড়াছড়িতে উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নরসিংদীতে ভূমিকম্পে বাবা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক আহত
নরসিংদীতে ভূমিকম্পে বাবা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু, অর্ধশতাধিক আহত

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নারায়ণগঞ্জে ভূমিকম্পে বৈদ্যুতিক তারের ঘর্ষণে তুলা কারখানায় আগুন
নারায়ণগঞ্জে ভূমিকম্পে বৈদ্যুতিক তারের ঘর্ষণে তুলা কারখানায় আগুন

৩৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানির খোঁজ বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী অভিযান
চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানির খোঁজ বিজ্ঞানীদের যুগান্তকারী অভিযান

৪৬ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

ভূমিকম্পে শেকৃবির ৩ হলে বড় ফাটল
ভূমিকম্পে শেকৃবির ৩ হলে বড় ফাটল

৪৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত
দুবাই এয়ার শোতে ভেঙে পড়ল ভারতের তেজস, পাইলট নিহত

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাটমোহরে রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
চাটমোহরে রেললাইনে ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য তারেক রহমানের শোক
ভূমিকম্পে হতাহতদের জন্য তারেক রহমানের শোক

৪৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের ৩ ক্রিকেটার
আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের ৩ ক্রিকেটার

৫৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

দুবাইয়ে তেজস যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত
দুবাইয়ে তেজস যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট নিহত

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বসুন্ধরা শুভসংঘের বই উপহার পেল ময়মনসিংহের পাঠগৃহ ক্যাফে
বসুন্ধরা শুভসংঘের বই উপহার পেল ময়মনসিংহের পাঠগৃহ ক্যাফে

৫৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সেনাকুঞ্জে বেগম খালেদা জিয়া
সেনাকুঞ্জে বেগম খালেদা জিয়া

৫৯ মিনিট আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামে গুলির মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
চট্টগ্রামে গুলির মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসায় নিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশনা
ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসায় নিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশনা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাইবান্ধা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর
গাইবান্ধা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩০ নভেম্বর থেকে ফের কর্মবিরতির ঘোষণা প্রাথমিকের শিক্ষকদের
৩০ নভেম্বর থেকে ফের কর্মবিরতির ঘোষণা প্রাথমিকের শিক্ষকদের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প: সোনারগাঁয়ে প্লাস্টিক গোডাউনে আগুন, আহত ২
ভূমিকম্প: সোনারগাঁয়ে প্লাস্টিক গোডাউনে আগুন, আহত ২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘সাইয়ারা’ নায়িকার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন নায়ক
‘সাইয়ারা’ নায়িকার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন, মুখ খুললেন নায়ক

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইরানের পারমাণু ইস্যুর রাজনৈতিক সমাধান চায় রাশিয়া
ইরানের পারমাণু ইস্যুর রাজনৈতিক সমাধান চায় রাশিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৬৭ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ
৩৬৭ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হবিগঞ্জে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
হবিগঞ্জে সাড়ে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প প্রতিরোধে এখনই জরুরি ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করা উচিত : জাহিদ
ভূমিকম্প প্রতিরোধে এখনই জরুরি ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করা উচিত : জাহিদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টেকনাফে ইয়াবাসহ ৪ কারবারি আটক
টেকনাফে ইয়াবাসহ ৪ কারবারি আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক
সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?

২৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন
রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম

২০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প

পূর্ব-পশ্চিম

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট
রাজধানীর সড়কে তীব্র যানজট

পেছনের পৃষ্ঠা

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা
কাভিশের সঙ্গে শিরোনামহীন ও মেঘদলের পরিবেশনা

শোবিজ

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার
আমাদের ঠকানো হবে আরও কতবার

সম্পাদকীয়

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা