শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ আপডেট:

জাতীয় কবির তাসাউফ এবং ইলমে মারেফত

গোলাম মাওলা রনি
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
জাতীয় কবির তাসাউফ এবং ইলমে মারেফত

এমনতরো ঘটনা আমার জীবনে সচরাচর ঘটে না। সকাল বেলা অফিসে আসার সময় আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদকে বায়ে রেখে শাহবাগের দিকে যাচ্ছিলাম। ট্রাফিক জ্যামের কারণে আমার গাড়িটি বহুক্ষণ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মাজারের কাছে ঠায় দাঁড়িয়ে রইল। চলতি পথে গাড়িতে বসে আমি সর্বদা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতে থাকি এবং নেহায়েত জরুরি অথবা ব্যতিক্রমী কিছু না ঘটলে সাধারণত আশপাশে কোনো দিকে তাকাই না।  এই অভ্যাসটি আমি রপ্ত করেছি হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী (রহ.)-এর একটি সুবিখ্যাত বইয়ে বর্ণিত একটি উপদেশমালার কল্যাণে। তিনি উপদেশ দিয়েছেন অপ্রয়োজনীয় বিষয় না দেখতে। একই রূপে অপ্রয়োজনীয় শব্দমালা, ঘ্রাণ, সুর, তাল, লয়, ছন্দ এবং স্পর্শ থেকে নিজেকে দূরে রাখার পরামর্শও তিনি দিয়েছেন। তার মতে, প্রকৃতির নিয়মে প্রতিটি দৃশ্য, শব্দ, ঘ্রাণ এবং স্পর্শ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আমাদের মস্তিষ্কে জমা হয়ে এমন এক জটিল অবস্থা সৃষ্টি করে যার কারণে আমরা স্মৃতিশক্তি হারাতে থাকি— আমাদের আবেগ-অনুভূতি ভোঁতা হতে থাকে এবং বুদ্ধিশুদ্ধিও কমতে তাকে।

ঘটনার দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কি যেন একটা যুব সমাবেশ ছিল। হাজার হাজার যুবক-যুবতী দলবেঁধে ম্যারাথন দৌড়ের নামে মৃদুপায়ে টিএসসির দিকে এগোচ্ছিল। সমাবেশটি সম্ভবত সরকার সমর্থিত ছিল। ফলে যুবক-যুবতীর পদযাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন্য শত শত পুলিশ পুরো শাহবাগ মোড়ের সব রাস্তার যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। প্রচণ্ড যানজটে আমি প্রায় দুই ঘণ্টা জাতীয় কবির মাজারের সামনে অবরুদ্ধ থাকতে বাধ্য হলাম। আমার কোরআন তেলাওয়াতের ধৈর্য ও প্রাণশক্তিতে টান পড়ল। অবস্থার প্রেক্ষাপটে হুজ্জাতুল ইসলামের উপদেশবাণীও শিকেয় উঠল। আমার গাড়ির সব জানালা, দরজা, সামনের উইন্ডশিল্ড, পেছনের গ্লাস, গাড়ির ভিতর-বাইরে স্থাপন করা সব আয়না দিয়ে চারপাশের সব দৃশ্য দেখতে দেখতে বিরক্তের চরম সীমায় পৌঁছে গেলাম। ঠিক এমন সময়ে আমার চোখ হঠাৎ করেই জাতীয় কবির মাজারের দিকে আকৃষ্ট হলো এবং কোনোরকম চিন্তাভাবনা ছাড়াই বহুক্ষণ ধরে আমি সেদিকে তাকিয়ে রইলাম। আমার শরীর, মন, মানসিকতা ও চিন্তা-চেতনা সম্পূর্ণ নির্বাক-নির্বিকার এবং নির্লিপ্তভাবে কবি নজরুল ইসলামের কবর এবং কবর সংশ্লিষ্ট মসজিদের দিকে নিবিষ্ট হয়ে থাকল যান চলাচল শুরু না হওয়া পর্যন্ত।

অফিসে গিয়ে সারাটা দিন কোনো কাজই করতে পারলাম না। মনের ওপর বিরাট এক জগদ্দল পাথর বার বার আঘাত হেনে নিজের জীবনকথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল। গত প্রায় তিন মাস ধরে বিরতিহীনভাবে রোজা রাখার কারণে আমার শরীরটি বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। মনের অস্থিরতা উড়ুউড়ু ভাব। কামনা-বাসনা, চাহিদা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা, অহেতুক ভয়ভীতি, অনিশ্চয়তা বোধ ইত্যাদি বলতে গেলে বিলীন হয়ে গেছে। একাকিত্ব, নিঃসঙ্গতা এবং নির্জনতার মাঝে অনাবিল আনন্দ লাভের উপায়গুলো হৃদয়-মনে প্রভাব বিস্তার করছে। চারদিকের ঝক্কি-ঝামেলা এখন আর আগের মতো বিরক্তির উদ্রেগ করে না। বরং প্রকৃতির কোলাহল, পাখির কলকাকলি, বাতাসের শব্দ ও গন্ধ এবং মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জীবনযাত্রার জটিল-কুটিল অসঙ্গতিসমূহের মধ্যেও আমি বিধাতার ইতিবাচক সুভাশিষ খোঁজার চেষ্টা করি নিরন্তর ধৈর্য এবং অসীম সহ্যশক্তি নিয়ে। অবসরে মৃত্যু নিয়ে ভাবি। আমার কর্ম, জীবন-জীবিকা, মৃত্যু এবং মৃত্যুপরবর্তী সময়কালের মধ্যে একটি সেতুবন্ধ রচনার জন্য আমি কি আদৌ কোনো কিছু করতে পারছি তা বোঝার জন্য বড় বড় মানুষের মৃত্যুচিন্তা নিয়েও বেশ চিন্তাভাবনা করি।

জাতীয় কবির কবর, তার মৃত্যুচিন্তা এবং মৃত্যু-পরবর্তী জীবন নিয়ে আশাবাদের আকুতি এবং নিবেদনের কথা ভাবতে ভাবতে আমার সারাটা দিন চলে গেল। বাসায় ফিরে আমি আমার পড়ার রুমে গিয়ে কবির বিখ্যাত কয়েকটি গান অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে শুনলাম। তার শোন শোন ইয়া এলাহী, মসজিদের পাশে আমার কবর দিয়ো ভাই, রোজ হাশরে করিতে বিচার তুমি হবে কাজী এবং আমি যদি আরব হতাম গানগুলো শোনার পর ধর্ম-কর্ম, পারলৌকিক জীবন, আল্লাহ খোদা, বেহেশত ও দোজখ বিষয়ে কবির মনোভাব সম্পর্কে ধারণা লাভের চেষ্টা করলাম। তার গানের প্রতিটি শব্দের মাধ্যমে তিনি পরম প্রভু সম্পর্কে যে ভক্তি-শ্রদ্ধা ও নির্ভরতার নমুনা প্রদর্শন করেছেন তা খুব বড় মাপের অলি আল্লাহ না হলে সম্ভব হয় না। অন্যদিকে মহান আল্লাহর বিশালত্ব, তাঁর মহিমা, আল্লাহর গুপ্ত ভেদ ও ইচ্ছা সম্পর্কে কবি সে বর্ণনা দিয়েছেন তার জন্য ইলমে মারেফতের জ্ঞান থাকা একান্ত জরুরি।

একটি বহুল প্রচলিত প্রবাদ বাক্য হলো নবী, কবি এবং নেতা আল্লাহ কর্তৃক প্রদত্ত এক অলৌকিক নেয়ামতের নাম। ফলে সব যুগের কবিরাই প্রকৃতির অপার রহস্য মানবদেহ, মন এবং মস্তিষ্ক নিয়ে এমন কতগুলো কথা বলেছেন, যা বিজ্ঞানকে আবিষ্কার করতে বহু শতাব্দী অপেক্ষা করতে হয়েছে। ভারতবর্ষের রামায়ণ মহাভারতের রচয়িতা ঋষি বাল্মিকী ও বেদব্যাস, ইউরোপের ইলিয়ড, ওডিসির রচয়িতা হোমার, আরবি কবি ইমরুল কায়েস, পারস্যের ওমর খৈয়াম, শেখ সাদী, বাংলার রবীন্দ্রনাথ, নজরুল প্রমুখ অতি প্রাকৃত এবং মহাজাগতিক শক্তি সম্পর্কে প্রায় একই কথা অভিন্ন সুরে বলেছেন। রবীন্দ্রনাথের— ‘আমি জেনে শুনে তব ভুলে আছি দিবসও কাটে বৃথায় হে’, অথবা রজনীকান্তের— ‘তুমি নির্মল কর, মঙ্গল করে, মলিন ও মর্ম মুছায়ে’ গান দুটির সঙ্গে কেউ যদি শোন শোন ইয়া এলাহী আমার মোনাজাত গানটিকে মেলায়, ভাবার্থ হৃদয়ঙ্গম করে এবং পরম প্রভুর দরবারে সেভাবে নিজেকে নিবেদন করে, তবে তার সফলতা রুখে দেওয়ার শক্তি জমিনে কারও কাছে থাকবে না।

আজকের নিবন্ধের বিষয়বস্তু জাতীয় কবির তাসাউফ অর্থাৎ ধর্মকর্ম সম্পর্কে তার প্রগাঢ় ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং পরম মমতার নিদর্শন এবং তার ইলাম মারেফত অর্থাৎ আল্লাহ রব্বুল আলামিন এবং আল্লাহর সৃষ্টিকুল সম্পর্কে দুর্বল জ্ঞান সম্পর্কে সম্মানিত পাঠকদের অবহিত করা। আমাদের জাতীয় কবি কীভাবে ইসলামকে চিনেছিলেন কিংবা রসুল (সা.) সম্পর্কে তার ভক্তি ও আবেগের স্তর কোন পর্যায়ে ছিল এবং আল্লাহর বিশালত্ব সম্পর্কে তিনি কি রূপ ধারণা পোষণ করতেন তা ইতিপূর্বে বর্ণিত কবি রচিত চারটি গানের কিছু কথামালার আলোকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব। কিন্তু তার আগে সুপ্রসিদ্ধ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা বর্ণনা করলে আজকের প্রেক্ষাপট হৃদয়ঙ্গম করতে সহজ হবে।

মুসলিম বিশ্বে তখন উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিকের শাসন চলছে। তার বিশ্বস্ত গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ ইরাক, হেজাজ, ইয়ামেনসহ পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলগুলো দুর্দান্ত প্রতাপে শাসন করে যাচ্ছিলেন। সাম্রাজ্যের শাসনব্যবস্থা নির্বিঘ্ন করার জন্য তিনি করেননি এমন কোনো নৃশংস কর্ম ছিল না। মক্কা-মদিনা আক্রমণ, কাবাঘরের দেয়াল মিনজালিক যন্ত্র দিয়ে ভেঙে ফেলা, এক লাখেরও বেশি মানুষকে হত্যা করার মাধ্যমে তিনি সমসাময়িক দুনিয়ার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা হাজ্জাজের ভয়ে জীবন্ত লাশের মতো নিথর ও নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সমাজের ভদ্রলোকেরা বোবা বনে গিয়েছিলেন। সুফি-সাধকরা নির্জনে গিয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করে হাজ্জাজের মৃত্যু কামনা করতেন। হাজ্জাজের জুলুম, অত্যাচার, নির্মম ও নিষ্ঠুর আচরণের প্রতিবাদ করার মতো লোক একজনও ছিল না। অন্যদিকে খলিফা আবদুল মালিক হাজ্জাজের ওপর এতটাই বিশ্বাস স্থাপন ও নির্ভর করতেন যে, খলিফার দরবারে হাজ্জাজের বিরুদ্ধে একটি শব্দ উচ্চারণের সাহসও কারও ছিল না।

৭১৪ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে মাত্র ৫৩ বছর বয়সে হাজ্জাজ হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাজ্জাজ বুঝতে পারলেন যে, মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন। তখন রমজান মাস চলছিল। তিনি মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে নিজের অতীত কৃতকর্ম সম্পর্কে অনুশোচনা আরম্ভ করলেন। রাজ্যের নামকরা ওলি-আল্লাহদের আমন্ত্রণ করে রাজপ্রাসাদে নিয়ে এলেন এবং সবার কাছে নিজের অনুশোচনা এবং তওবা করে আল্লাহর ক্ষমাপ্রাপ্তির ব্যাপারে ফতোয়া চাইলেন। সবাই একবাক্যে জানালেন যে, হাজ্জাজের অপরাধ এত বিশাল ও ব্যাপক যে, তা তওবার মাধ্যমে নিষ্পত্তি সম্ভব নয়। একমাত্র জাহান্নামের শাস্তিই তার জন্য চূড়ান্ত ফয়সালা হতে পারে। সবার কথা শোনার পর হাজ্জাজ তৎকালীন ওলিকুল শিরোমণি হজরত হাসান বসরী (রহ.)-কে প্রাসাদে আমন্ত্রণ জানালেন। হাজ্জাজের কথা শুনে হজরত হাসান বসরী (রহ.)ও তাকে কোনো আশার বাণী শোনালেন না— বরং অন্য ওলি-আল্লাহ এবং আলমদের মতামতকে সমর্থন করলেন।

হজরত হাসান বসরী (রহ.) চলে যাওয়ার পর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ মৃত্যুযন্ত্রণা ভুলে হঠাৎ নীরব হয়ে গেলেন। আসমানের দিকে তাকিয়ে অঝোরে অশ্রুপাত করতে করতে বললেন— ইয়া আল্লাহ! তোমার প্রিয় বান্দারা তোমার বিশালত্ব সম্পর্কে আমাকে হতাশ করার চেষ্টা করে গেল। কিন্তু তুমি তো জান— জীবনের কোনো পর্যায়ে একটি মুহূর্তের জন্যও তোমার ক্ষমা, রহমত এবং দয়া সম্পর্কে আমি নিরাশ ছিলাম না। এ কথা বলে ক্রন্দনরত হাজ্জাজ বিন ইউসুফ মাহে রমজানের একুশতম দিবসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন। পরবর্তীতে এই ঘটনা যখন হজরত হাসান বসরী (রহ.)-এর কাছে বর্ণনা করা হলো তখন তিনি বললেন— লক্ষণ শুনে মনে হচ্ছে হাজ্জাজ আল্লাহ রব্বুল আলামিনের ক্ষমা পেয়ে গিয়েছেন।

যারা হাজ্জাজের মন্দ কর্মগুলো গণনা করেছিলেন তারা হয়তো জানতেন না যে, আধুনিক আরবি বর্ণমালা ও ব্যাকরণ হাজ্জাজ কর্তৃক রচিত। পবিত্র আল কোরানের আধুনিক এবং একমাত্র স্বীকৃত আরবি সংকলনটিও হাজ্জাজ করেছিলেন যা সারা দুনিয়ার মুসলমানরা অভিন্ন রূপরেখায় ব্যবহার করে আসছে। হাজ্জাজের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ ছিল কাবাগৃহের সংস্কার এবং আল্লাহর ঘরকে আদি রূপে ফিরিয়ে আনা। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবারের (রা.)-এর শাসনামলে কাবার রূপ পাল্টে ফেলা হয়েছিল। হাজ্জাজ বিন ইউসুফ সেই কাবাকে ভেঙে হজরত ইব্রাহিম (আ.) নির্মিত কাবার আদলে নির্মাণ করেন যা আজও বলবৎ রয়েছে।

এবার জাতীয় কবি প্রসঙ্গে আসি। তিনি লিখেছেন— আল্লাতে যার পূর্ণ ইমান! কোথা সে মুসলমান! তারপর ইমানের পূর্ণতা নিয়ে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানিয়ে লিখেছেন— শোন শোন ইয়া এলাহী আমার মোনাজাত। পরবর্তীতে আল্লাহর দরবারে নিজের আকাঙ্ক্ষা নিবেদন করে দুনিয়াবাসীর কাছে ওসিয়ত করে গেছেন— ‘মসজিদের পাশে আমার কবর দিয়ো ভাই।’ জাতীয় কবির মাজার দর্শন করে অফিসে এসে বার বার চিন্তা করছিলাম নিজের মৃত্যু নিয়ে, আমারও তো বড় ইচ্ছা মসজিদের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হওয়ার জন্য। কিন্তু আমার নসিবে তা কিরূপে হবে এবং মুয়াজ্জিনের আজান আমার কানে পৌঁছানোর মতো কর্ম আমি কীভাবে করব— তার কোনো কূলকিনারা করতে পারছিলাম না। অথচ কবি অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলে গেছেন যে, তাকে মসজিদের পাশে কবর দেওয়া হলে তিনি শুধু মুয়াজ্জিনের আওয়াজ নয়— নামাজিদের পায়ের আওয়াজও শুনতে পারবেন। পবিত্র আল কোরআন যারা অধ্যয়ন করেন তারা বেশ ভালো করেই জানেন যে, আল্লাহ তাঁর বন্ধু অর্থাৎ ওলি-আল্লাহদের মৃত বলতে নিষেধ করেছেন। কারণ ওলি-আল্লাহরা মৃত্যুর পর জীবিত মানুষের মতোই রিজিকপ্রাপ্ত হয়। আল্লাহর বন্ধুদের দুনিয়া ও আখেরাতে যেমন কোনো ভয় বা চিন্তা নেই তেমনি দুনিয়াতে আল্লাহর বন্ধুদের কর্মকাণ্ড, জবান এবং ইশারার সঙ্গে আল্লাহ সম্পৃক্ত থাকেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। নজরুলের গান-কবিতা, মৃত্যু এবং মৃত্যু-পরবর্তী ঘটনাবলির মধ্যে যেভাবে সংযোগ রেখা স্থাপিত হয়েছে তা বড় বড় ওলি-আল্লাহর জীবনেও ঘটতে দেখা যায় না। নজরুলের জীবৎকালের অনেক কর্মের সঙ্গে তৎকালীন আলেম-ওলামাদের নিদারুণ বিরোধ ছিল। অনেকে তাকে মুসলমান হিসেবে মানতে নারাজ ছিলেন। প্রায় একই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল মহাকবি শেখ সাদী (রহ.), সুফি সাধক জালাল উদ্দিন রুমী এবং চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনক ইবনে সিনা (রহ.)-এর ক্ষেত্রে। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে পৃথিবীবাসী একবাক্যে মেনে নিয়েছেন যে, তারা এলমে মারফতের এত ঊর্ধ্বস্তরে পৌঁছে গিয়েছিলেন যে, সমসাময়িক দুনিয়া তা বুঝতে পারা তো দূরের কথা অনুমানও করতে পারেনি।

জাতীয় কবির তাসাউফের নমুনা ফুটে উঠে তার আমি যদি আরব হতেম এবং রোজ হাশরে করিতে বিচার তুমি হবে কাজী গান দুটোর মধ্যে। প্রথম গানে তিনি নবী করিম (সা.)-কে ভালোবাসার এবং নবীর প্রতি দরদভরা ভক্তি-শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য যে শব্দমালা ব্যবহার করেছেন যা বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় কেউ করতে পারেননি। তার প্রাণের আকুতি যে সুর সৃষ্টি করেছে এবং যে অনবদ্য ভাবের সৃষ্টি করেছে তা কোনো ওলি-আল্লাহকে দিয়েও সচরাচর বের হয় না। তিনি বলেন— আমি যদি আরব হতেম— মদিনারই পথ! সে পথে মোর চলে যেতেন নূর নবী হজরত। পয়জার তার লাগত এসে, আমার কঠিন বুকে। আমি ঝরনা হয়ে গলে যেতাম ওমনি পরম সুখে।  সেই চিহ্ন বুকে পুরে পালিয়ে যেতাম কোহে তুরে, দিবানিশি করতাম তার কদম জিয়ারত!...

কাজী নজরুল ইসলাম আল্লাহর বিশালত্ব, দয়া, করুণা এবং ক্ষমার ব্যাপ্তি সম্পর্কে এত উঁচু মার্গে চিন্তা করতেন যা আমাদের সাধারণ মন-মস্তিষ্ক কল্পনাও করতে পারে না। মহাজগতের অলৌকিক কানুন হলো— যে বান্দা তার মালিক সম্পর্কে কায়মনোবাক্যে যেরূপ দৃঢ় বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপন করতে পারেন ঠিক তেমনিভাবেই তার ভাগ্যে দুনিয়া ও আখেরাতে প্রাপ্তিগুলো যোগ হয়ে যায়। নজরুল বলেন— সেদিন রোজ হাশরে করতে বিচার তুমি হবে কাজী/ সেদিন তোমার দিদার আমি পাব কি আল্লাজী!/ সেদিন নাকি তোমার ভীষণ কাহ্হার রূপ দেখে/ পীর-পয়গাম্বর কাঁদবে ভয়ে ইয়া নফিস ডেকে।/ সেই সুদিনের আশায় আমি নাচি এমন এখন থেকে।/ আমি তোমায় দেখে হাজারো বার দোজখ যেতে রাজি।/ যেরূপ হোক-বারেক যদি দেখে তোমায় কেহ/ দোজখ কি আর ছুঁতে পারে, পবিত্র তার দেহ।/ সে হোক না কেন হাজার পাপী হোক না বেনামাজী!/ ইয়া আল্লাহ তোমার দয়া কত! তাই দেখাবে বলে/ রোজ হাশরে দেখা দেবে বিচার করার ছলে।/ প্রেমিক বিনে কি বুঝিবে, তোমার এ কারসাজি!

লেখক : কলামিস্ট।

এই বিভাগের আরও খবর
পোশাক খাতে অস্থিরতা
পোশাক খাতে অস্থিরতা
চাপে নতি স্বীকার নয়
চাপে নতি স্বীকার নয়
শেষ জমানার ফিতনা থেকে বাঁচুন
শেষ জমানার ফিতনা থেকে বাঁচুন
তিন দেশের বিমানবন্দরে তিন ধরনের ব্যবহার
তিন দেশের বিমানবন্দরে তিন ধরনের ব্যবহার
কালো দাগ রেখেই নতুন বাংলাদেশের পথ চলা
কালো দাগ রেখেই নতুন বাংলাদেশের পথ চলা
নির্বাচন ও রাজনীতির গতিপ্রকৃতি
নির্বাচন ও রাজনীতির গতিপ্রকৃতি
বড় শত্রু ভুয়া তথ্য
বড় শত্রু ভুয়া তথ্য
নির্বাচনি দায়িত্ব
নির্বাচনি দায়িত্ব
সূর্য দেখুক ঐতিহ্যের সূর্যঘড়ি
সূর্য দেখুক ঐতিহ্যের সূর্যঘড়ি
নবীজির আদর্শ অনুসরণে সমাজে সহিংসতা থাকবে না
নবীজির আদর্শ অনুসরণে সমাজে সহিংসতা থাকবে না
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে
নির্বাচন বাংলাদেশের, ইঞ্জিনিয়ারিং ভারতের
নির্বাচন বাংলাদেশের, ইঞ্জিনিয়ারিং ভারতের
সর্বশেষ খবর
শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

এই মাত্র | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ অক্টোবর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ অক্টোবর)

২ মিনিট আগে | জাতীয়

সাগরে ফের লঘুচাপের আভাস, বাড়তে পারে বৃষ্টি
সাগরে ফের লঘুচাপের আভাস, বাড়তে পারে বৃষ্টি

৪ মিনিট আগে | জাতীয়

শাবিপ্রবিতে জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
শাবিপ্রবিতে জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

২০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আজকের নামাজের সময়সূচি, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

২১ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

বিশ্বাসী অন্তরের ১০ আমল
বিশ্বাসী অন্তরের ১০ আমল

৩২ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

সুপারি খোলের রাজ্যে কলা গাছের গেট, কাঁঠাল পাতার পাসপোর্ট!
সুপারি খোলের রাজ্যে কলা গাছের গেট, কাঁঠাল পাতার পাসপোর্ট!

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভার্জিনিয়া গিফ্রের স্মৃতিকথা থেকে কিছু বিষয়
ভার্জিনিয়া গিফ্রের স্মৃতিকথা থেকে কিছু বিষয়

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০২৮ সাল পর্যন্ত ইন্টার মায়ামিতে থাকছেন মেসি
২০২৮ সাল পর্যন্ত ইন্টার মায়ামিতে থাকছেন মেসি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৃহৎ প্রতিবেশীর ছায়ায় প্রাপ্য আন্তর্জাতিক মনোযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশ
বৃহৎ প্রতিবেশীর ছায়ায় প্রাপ্য আন্তর্জাতিক মনোযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ জলবায়ু সংকটকে অর্থনৈতিক সুযোগে রূপ দিতে পারে : ডেনিশ রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশ জলবায়ু সংকটকে অর্থনৈতিক সুযোগে রূপ দিতে পারে : ডেনিশ রাষ্ট্রদূত

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
টঙ্গী থেকে নিখোঁজ ইমামকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ জমানার ফিতনা থেকে বাঁচুন
শেষ জমানার ফিতনা থেকে বাঁচুন

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সিলেটে দুইদিন বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
সিলেটে দুইদিন বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিদেশি বিনিয়োগে মন্দা কাটছেই না
বিদেশি বিনিয়োগে মন্দা কাটছেই না

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শপথ নিলেন চাকসুর বিজয়ীরা
শপথ নিলেন চাকসুর বিজয়ীরা

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফের বেড়েছে বিশ্ববাজারে সোনার দাম
ফের বেড়েছে বিশ্ববাজারে সোনার দাম

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজবাড়ী সংস্কারে মিলল শতবর্ষের লোহার কড়াই, স্থানীয়দের কৌতূহল
রাজবাড়ী সংস্কারে মিলল শতবর্ষের লোহার কড়াই, স্থানীয়দের কৌতূহল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলামোটরে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশীদের সড়ক অবরোধ
বাংলামোটরে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশীদের সড়ক অবরোধ

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাবির নিয়োগে অনিয়ম, সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে অনশন
রাবির নিয়োগে অনিয়ম, সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে অনশন

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চাকরির প্রলোভনে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন এই শিক্ষক
চাকরির প্রলোভনে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেন এই শিক্ষক

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অগ্নিনিরাপত্তা পরিদর্শন সপ্তাহ পালনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
অগ্নিনিরাপত্তা পরিদর্শন সপ্তাহ পালনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিখোঁজ অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার, চাওয়া হয়েছিল মুক্তিপণ
নিখোঁজ অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার, চাওয়া হয়েছিল মুক্তিপণ

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এ কে আজাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফরিদপুরে বিএনপির মশাল মিছিল
এ কে আজাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ফরিদপুরে বিএনপির মশাল মিছিল

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোহাম্মদপুরে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার ১৩
মোহাম্মদপুরে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার ১৩

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৩১ রুশ সেনার বিনিময়ে ১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ ফেরত
৩১ রুশ সেনার বিনিময়ে ১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনার মরদেহ ফেরত

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘১৭ বছর মারধর ও ১৫ মামলা খেয়েছি, তবুও দল ছাড়িনি’
‘১৭ বছর মারধর ও ১৫ মামলা খেয়েছি, তবুও দল ছাড়িনি’

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উষ্ণায়নে বিপাকে ক্রিল, হুমকিতে সমুদ্রের খাদ্যচক্র
উষ্ণায়নে বিপাকে ক্রিল, হুমকিতে সমুদ্রের খাদ্যচক্র

১০ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

দেশের দুই বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
দেশের দুই বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাসার বাংলাদেশ পর্ব বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন বেসিস প্রশাসক
নাসার বাংলাদেশ পর্ব বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন বেসিস প্রশাসক

১০ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

সর্বাধিক পঠিত
হাসপাতালের মর্গের ভেতর তরুণীর মরদেহকে ধর্ষণ, আদালতে ডোমের স্বীকারোক্তি
হাসপাতালের মর্গের ভেতর তরুণীর মরদেহকে ধর্ষণ, আদালতে ডোমের স্বীকারোক্তি

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রুশ বোমারু বিমানের টহল, প্রথম পারমাণবিক মহড়ার প্রস্তুতি
রুশ বোমারু বিমানের টহল, প্রথম পারমাণবিক মহড়ার প্রস্তুতি

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে কেন রাস্তায় নামছে না জেন জি প্রজন্ম?
ভারতে কেন রাস্তায় নামছে না জেন জি প্রজন্ম?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পশ্চিম তীর দখলের বিল পাসের বিরোধীতায় যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরব-কাতার
পশ্চিম তীর দখলের বিল পাসের বিরোধীতায় যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরব-কাতার

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চার শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ
চার শিক্ষানবিশ এএসপিকে চাকরি থেকে অপসারণ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় তুর্কি সেনাদের ঢুকতে দেবেন না নেতানিয়াহু
গাজায় তুর্কি সেনাদের ঢুকতে দেবেন না নেতানিয়াহু

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

করণ জোহরের জীর্ণ শরীরের রহস্য ফাঁস
করণ জোহরের জীর্ণ শরীরের রহস্য ফাঁস

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েলি হামলার শঙ্কাতেই কি তুরস্কের আকাশ শক্তি বাড়ানোর তোড়জোড়?
ইসরায়েলি হামলার শঙ্কাতেই কি তুরস্কের আকাশ শক্তি বাড়ানোর তোড়জোড়?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দ্রুতই হারানো ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা, সাহায্য করছে কারা?
দ্রুতই হারানো ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা, সাহায্য করছে কারা?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কমেছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি
কমেছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মার্কিন বাহিনীকে মোকাবিলায় পাঁচ হাজার রুশ মিসাইল মোতায়েন ভেনেজুয়েলার
মার্কিন বাহিনীকে মোকাবিলায় পাঁচ হাজার রুশ মিসাইল মোতায়েন ভেনেজুয়েলার

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের পদক্ষেপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা: মেদভেদেভ
ট্রাম্পের পদক্ষেপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা: মেদভেদেভ

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বড় জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের
বড় জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুবলীগ নেতা সম্রাটকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ
যুবলীগ নেতা সম্রাটকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের ‌‘আশ্রিত রাজ্য’ নয় ইসরায়েল : নেতানিয়াহু
যুক্তরাষ্ট্রের ‌‘আশ্রিত রাজ্য’ নয় ইসরায়েল : নেতানিয়াহু

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদি আরবকে কটাক্ষ করে মাফ চাইলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী
সৌদি আরবকে কটাক্ষ করে মাফ চাইলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কামালের মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে ১৩ নভেম্বর
হাসিনা-কামালের মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে ১৩ নভেম্বর

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রবাসী করদাতাদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজ করল এনবিআর
প্রবাসী করদাতাদের অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল সহজ করল এনবিআর

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পশ্চিম তীর দখলের বিল পাসকে ‘বিরোধী দলের উস্কানি’ বলল নেতানিয়াহুর দল
পশ্চিম তীর দখলের বিল পাসকে ‘বিরোধী দলের উস্কানি’ বলল নেতানিয়াহুর দল

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীপুরে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
শ্রীপুরে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইভিএম বাতিল, প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক
ইভিএম বাতিল, প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘হাসিনাসহ আসামিদের শাস্তি না হলে শহীদ-আহতদের প্রতি অবিচার হবে’
‘হাসিনাসহ আসামিদের শাস্তি না হলে শহীদ-আহতদের প্রতি অবিচার হবে’

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নামিয়া আনাম: নৃত্য থেকে প্রেম, প্রেম থেকে যেভাবে জেমসের জীবনসঙ্গী
নামিয়া আনাম: নৃত্য থেকে প্রেম, প্রেম থেকে যেভাবে জেমসের জীবনসঙ্গী

১৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পশ্চিম তীর সংযুক্তিকরণ নিয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র
পশ্চিম তীর সংযুক্তিকরণ নিয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফজরের নামাজ মসজিদে আদায় করার ফজিলত
ফজরের নামাজ মসজিদে আদায় করার ফজিলত

২১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ইসরায়েলের সংসদে পশ্চিম তীর দখলের বিল পাস
ইসরায়েলের সংসদে পশ্চিম তীর দখলের বিল পাস

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন লিটন, বাদ সাইফউদ্দিন
টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলেন লিটন, বাদ সাইফউদ্দিন

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আড়াই মাস পর ভেসে উঠল রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু
আড়াই মাস পর ভেসে উঠল রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

১৬ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

‘চাই না আমার কথায় শাহরুখের সংসারে ঝড় উঠুক’
‘চাই না আমার কথায় শাহরুখের সংসারে ঝড় উঠুক’

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রিন্ট সর্বাধিক
মুখ্য সমন্বয়কের পদ ছাড়লেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
মুখ্য সমন্বয়কের পদ ছাড়লেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির প্রার্থী কোকোর সহধর্মিণী শর্মিলা, জামায়াতের ড. মোস্তফা
বিএনপির প্রার্থী কোকোর সহধর্মিণী শর্মিলা, জামায়াতের ড. মোস্তফা

নগর জীবন

বিএনপির গোলাম নবী ও হায়দার বিজেপির পার্থ জামায়াতের নজরুল
বিএনপির গোলাম নবী ও হায়দার বিজেপির পার্থ জামায়াতের নজরুল

নগর জীবন

সেই জনপ্রিয় সংলাপ ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি গতিশীল বিজ্ঞান’
সেই জনপ্রিয় সংলাপ ‘রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি গতিশীল বিজ্ঞান’

শোবিজ

স্বাস্থ্যে থাকবে শুধু তিনটি অধিদপ্তর
স্বাস্থ্যে থাকবে শুধু তিনটি অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ক্যাপিটাল ড্রামায় ত্রিভুজ প্রেমের নাটক
ক্যাপিটাল ড্রামায় ত্রিভুজ প্রেমের নাটক

শোবিজ

মিরাজকে আরও সময় দিতে চান বুলবুল
মিরাজকে আরও সময় দিতে চান বুলবুল

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের সিরিজ জয়
বাংলাদেশের সিরিজ জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

লিটন ফিরলেন, বাদ পড়লেন সাইফউদ্দিন
লিটন ফিরলেন, বাদ পড়লেন সাইফউদ্দিন

মাঠে ময়দানে

সম্রাটকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ
সম্রাটকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ

নগর জীবন

একই পরিবারের সাতজন সারের ডিলার
একই পরিবারের সাতজন সারের ডিলার

পেছনের পৃষ্ঠা

গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার স্বামী-শ্বশুর পলাতক
গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার স্বামী-শ্বশুর পলাতক

দেশগ্রাম

বুনো শূকরের হানায় ফসলের ক্ষতি
বুনো শূকরের হানায় ফসলের ক্ষতি

দেশগ্রাম

দৃশ্যমান রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু
দৃশ্যমান রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু

নগর জীবন

১৯ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি খালাশপীর কয়লাখনি
১৯ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি খালাশপীর কয়লাখনি

পেছনের পৃষ্ঠা

শুধু ’৭১ নয়, ’৪৭ থেকে সব ভুলের ক্ষমা চাই
শুধু ’৭১ নয়, ’৪৭ থেকে সব ভুলের ক্ষমা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

একটি দল সনদ স্বাক্ষরের সুযোগ খুঁজছে
একটি দল সনদ স্বাক্ষরের সুযোগ খুঁজছে

প্রথম পৃষ্ঠা

১০ নির্মাতার সেরা ১০ ছবি
১০ নির্মাতার সেরা ১০ ছবি

শোবিজ

রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়
রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়

মাঠে ময়দানে

ট্রাম্প-মোদি বৈঠক বাতিল, অনিশ্চিত বাণিজ্য চুক্তি
ট্রাম্প-মোদি বৈঠক বাতিল, অনিশ্চিত বাণিজ্য চুক্তি

প্রথম পৃষ্ঠা

হঠাৎ বিতর্কে উপদেষ্টারা
হঠাৎ বিতর্কে উপদেষ্টারা

প্রথম পৃষ্ঠা

কাবাডিতে এলো দুই পদক
কাবাডিতে এলো দুই পদক

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড মুখোমুখি
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড মুখোমুখি

মাঠে ময়দানে

প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষা সহযোগীরা এগিয়ে নিতে পারেননি
প্রধান উপদেষ্টার আকাঙ্ক্ষা সহযোগীরা এগিয়ে নিতে পারেননি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেবারিটদের জয়ের রাত
ফেবারিটদের জয়ের রাত

মাঠে ময়দানে

থমকে গেল স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কাজ
থমকে গেল স্যুয়ারেজ প্রকল্পের কাজ

নগর জীবন

কুয়েতে কেমন খেলবে বসুন্ধরা কিংস
কুয়েতে কেমন খেলবে বসুন্ধরা কিংস

মাঠে ময়দানে

তত্ত্বাবধায়ক বিলুপ্তি করে একনায়কতন্ত্র কায়েম
তত্ত্বাবধায়ক বিলুপ্তি করে একনায়কতন্ত্র কায়েম

প্রথম পৃষ্ঠা

বিচার কাজ শেষ আসছে রায়
বিচার কাজ শেষ আসছে রায়

প্রথম পৃষ্ঠা