শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ আপডেট:

বিএনপির পায়ে এখন মুসলিম লীগের জুতা

কাজী সিরাজ
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বিএনপির পায়ে এখন মুসলিম লীগের জুতা

সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণে বার বার মার খাচ্ছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় দল বিএনপি। তারা না আছে আন্দোলনে, না আছে সংগঠনে। কিছু দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আসিফ নজরুল বিএনপি সম্পর্কে একটি যথার্থ উক্তি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন ‘আমি জীবনে অনেক ব্যর্থ সরকার দেখেছি, কিন্তু বিএনপির মতো এমন ব্যর্থ বিরোধী দল দেখিনি।’  এরশাদের স্বৈরশাসনামলেও দলটি বিরোধী দলে ছিল, সংসদেও ছিল না। কিন্তু তখন বিএনপি যে সাহসী ভূমিকা পালন করেছে এবং বেগম খালেদা জিয়া যে দৃঢ়তা দেখিয়ে আপসহীন নেত্রীর খেতাব (খেতাবটি তাকে চট্টগ্রামে দিয়েছিলেন এখন বিএনপিতে সম্মান কেড়ে নেওয়া, অনেকটা নেতা-এ খামাখা আবদুল্লাহ-আল নোমান। দৈনিক দেশ পত্রিকায় তা প্রথম ছাপা হয়) পেয়েছিলেন এখন তা দূর অতীতের বিষয়। বিএনপি তখন শহীদ জিয়ার ঘোষিত নীতি-আদর্শের প্রতি অবিচল ছিল। পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মর্যাদা পেতে জামায়াতে ইসলামীর শরণাপন্ন হতে হয়নি। সরকার গঠনে জামায়াত বিএনপিকে সংরক্ষিত দুটি মহিলা আসনের বিনিময়ে সমর্থন দিয়েছিল বটে, কিন্তু তাদের কারও বাড়িতে-গাড়িতে আমাদের জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়নি। দলও তখন পরিচালিত হতো যৌথ নেতৃত্বে, প্রবীণ ও অভিজ্ঞ নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে। এটা স্পষ্টই বোঝা যেত। জিয়া পরিবারের ধুয়া তুলে পরিবারের অন্য কারও অযাচিত হস্তক্ষেপ ছিল না দলে। সেসব এখন কল্পনার বিষয়।

একটি রাজনৈতিক দলে দুটি বড় ভ্রান্তির সংমিশ্রণ ঘটলে সে দল পথ হারায়, ভুল পথে চলে একসময় হারিয়েও যায় নিকষ কালো অন্ধকারে। আমাদের ভূখণ্ডেও এর প্রমাণ আছে। বিএনপির জন্য কাল হয়েছে এই ভ্রান্তিবিলাস। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশ ও কালের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল— বিএনপি নামক দলটি। সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদের অবশেষ, বিশেষ করে আধিপত্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদীদের ভরসাস্থল, মিলনকেন্দ্র ছিল এই দল। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের কালোত্তীর্ণ দর্শনের আলোয় উদ্ভাসিত বিএনপি অতি অল্প সময়েই দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের চিত্ত জয় করেছিল। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রতি। জিয়া বলেছিলেন একমাত্র ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ একটি দুর্বল জাতীয়তাবাদ। জাতীয়তা গঠনে ভাষা একটি শক্তিশালী উপাদান বটে, তবে একমাত্র উপাদান হতে পারে না। জাতীয়তা গঠনে ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সভ্যতার বিকাশধারা, সংগ্রামের ইতিহাস-ঐতিহ্য, গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমারেখা, জনগোষ্ঠীর সংখ্যাধিক্যের ধর্মবিশ্বাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ভাষা বা শুধু ধর্ম-বিশ্বাসের ভিত্তিতে জাতীয়তাবাদভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন রাজনীতি-রাষ্ট্রনীতিতে বিজ্ঞানসম্মত হলে আরবি ভাষাভাষী বা ইংরেজি ভাষাভাষী সব দেশ মিলে একটি দেশ হতো, কিংবা ইসলাম ধর্মাবলম্বী বা খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী বা ইহুদিরা একটিমাত্র রাষ্ট্রই গঠন করত। জিয়াউর রহমানের বক্তব্য ছিল স্পষ্ট ও দৃঢ়। তার বক্তব্য, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ভূখণ্ডের সব নাগরিক ভাষা, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, নৃ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবাই বাংলাদেশি। আমাদের ভূখণ্ডের বাইরেও বিপুল সংখ্যক (প্রায় আমাদের সমসংখ্যক) বাঙালি আছে যারা অন্য একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাগরিক। আমাদের জাতীয়তাবাদ ‘বাঙালি’ হলে ‘ওই বাঙালিদের’ ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী হবে? আমরা কি বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেতে চাই? সম্প্রতি ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলা’ করার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে সে রাজ্যের বিধানসভায়। এতদিন তারা জাতীয়তার পরিচয় দিত ভারতীয়। এখন রাজ্যের নামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তারা ‘ভারতীয় বাঙালি’ জাতীয়তার দাবি তুলতে পারে। ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’-এ বিশ্বাসীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের সিদ্ধান্ত অবশ্যই একটি সংকট সৃষ্টি করবে। দূরদৃষ্টিসম্পন্ন জিয়া ৩৮ বছর আগেই এর মীমাংসা করে দিয়ে গেছেন। তিনি এ-ও ঘোষণা করেছিলেন, দলটি হবে জনগণের দল। এই বাস্তব ও বিজ্ঞানসম্মত অবস্থান থেকে বিএনপি এখন বিচ্যুত, স্খলিত। দলটি এখন আর জনগণের দল নেই, ঘোষিত আদর্শে বিশ্বাসীদের ‘যৌথ মালিকানাধীন’ জনগণের সম্পত্তি নয়, এটি এখন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পারিবারিক সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে বলেই প্রতিভাত হয়। দলে প্রকৃত ও ক্যারিয়ার রাজনীতিবিদদের কোনো মূল্য নেই। অলঙ্কার হিসেবে কিছু নাম আছে বিভিন্ন কমিটিতে, কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণে তাদের কোনো ভূমিকা নেই বলেই বোঝা যায়। সিদ্ধান্ত নেন দুজন— বেগম খালেদা জিয়া এবং তার বড় ছেলে তারেক রহমান। তারা নবীন-প্রবীণ যে রাজনীতিবিদরা আছেন তাদের ওপর নির্ভর করেন না, হয়তো বিশ্বাসও করেন না; দল চালান কর্মচারী দিয়ে। বিএনপিতে প্রবীণ ও পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ যেমন এখনো অনেকে আছেন— যাদের প্রায় সবাই মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সাহসী সংগঠক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনুসারী; একইভাবে শহীদ জিয়ার আমল থেকে ছাত্রদলের মাধ্যমে বেরিয়ে এসেছে অনেক নবীন, দক্ষ ও মেধাবী রাজনীতিক। কারও কারও বয়স পঞ্চাশোত্তীর্ণ। কই, কোথায় তাদের উজ্জ্বল অবস্থান আছে দলে? ‘নব্বই’র গণঅভ্যুত্থান এবং বেগম খালেদা জিয়ার বিস্ময়কর উত্থানে বড় অবদান ছাত্রদলের। কেন্দ্রে, জেলায়, থানায় সেই সময়কার ছাত্রদল নেতা-নেত্রীরা এখন কে কোথায় আছেন, খুঁজেই পাওয়া যায় না। তারা প্রায় হারিয়েই গেছেন। অনেকের রাজনীতি করার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন বিএনপির বর্তমান নেতৃত্ব। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, দলের দণ্ডমুণ্ডের কর্তারা রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বোধহয় ভয় পান। তারা আতঙ্কিত এই ভেবে যে, এই শিক্ষিত, মেধাবী ও দক্ষ ব্যক্তিরা দলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেললে ‘ফ্যামিলি ডাইনেস্টি’ অটুট রাখা যাবে না। তাই জিয়ার স্বপ্নের জনগণের দল এখন হয়ে পড়েছে পরিবারের মালিকানাধীন দল। পরিবারের লোকেরা দল করতে পারবেন না সে কথা কেউ বলেন না। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের অবশ্যই দলের রাজনীতির উত্তরাধিকার বহন করতে হবে, পারিবারিক বা রক্তের উত্তরাধিকারের দাবিতে দলের মূল নেতৃত্ব দখল করা যাবে না। কখনো কখনো বিপর্যয়ের মুখে দলের ঐক্য ও সংহতি অটুট রাখার স্বার্থে কোনো রাজনৈতিক পরিবারের প্রতিনিধিকে দলই সামনে নিয়ে আসে (আগে থেকে নির্ধারিত সাকসেসর হিসেবে নয়)। এই উপমহাদেশে তেমন নজির তো আছেই এবং তারা একটা পর্যায়ে সফলও হয়েছেন। আমাদের দেশের কথাই যদি ধরি তো বলতে হবে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দল দুটির পূর্ব-নির্ধারিত ‘নেতা’ ছিলেন না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমান তাদের নিজ নিজ ‘সাকসেসর’ নিয়োগ দিয়ে যাননি। দল ও সময়ের বাস্তব চাহিদাই তাদের বর্তমান অবস্থানে এনে দিয়েছে। আবার উল্টা চিত্রও আছে।

সর্বভারতীয় কংগ্রেসকে বলা হতো ভারতীয় ঐক্যের প্রতীক। ভারতের অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে দলের প্রবীণ, পোড়খাওয়া ঝানু ঝানু রাজনীতিবিদকে ডিঙিয়ে রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের নেতৃত্বে সুপারইম্পোজ করে সোনিয়া গান্ধী তার ‘সাকসেসর’ বানিয়ে বড় ভুল করেছেন, দলের সর্বনাশ করেছেন। এখনো কংগ্রেসই ভারতের একমাত্র রাজনৈতিক দল যার সর্বভারতীয় ভিত্তি আছে, সব রাজ্যে সংগঠন আছে— যা আর কোনো দলের নেই। অথচ সে দলটি ভারতের লোকসভায় এবার সাংবিধানিক বিরোধী দলের মর্যাদাও পায়নি। সে দেশের অনেক সমালোচক বলেন, প্রবীণ রাজনীতিবিদদের রাহুল গান্ধীর পায়ের নিচে ফেলে দেওয়ার কুফল ভোগ করছে ভারতীয় কংগ্রেস। কংগ্রেসের ভরাডুবিতে সে দেশের প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন তারা। বাংলাদেশে বিএনপিও তেমন ভুল করেছে বলে কঠোর সমালোচনা আছে। বলা হয়ে থাকে অত্যন্ত দৃষ্টিকটুভাবে তারেক রহমানকে দলীয় নেতৃত্বে সুপারইম্পোজ করা হয়েছে, বেগম জিয়ার জীবদ্দশায় তাকে ‘সাকসেসর’ (খালেদা জিয়ার) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে যা হলো, দলের যারা তারেক রহমানকে জিয়া-খালেদা জিয়ার সন্তান হিসেবে স্নেহ করতেন, ভালোবাসতেন, তাদের সেই ভালোবাসা আর নিখাদ থাকল না। অনেকে অপমান বোধ করেছেন, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এর কোনো প্রয়োজন ছিল না। সময়ে তারেকই হতে পারতেন দলের ‘ন্যাচারাল লিডার’— ঠিক তার মায়ের মতো। তার সময়ে প্রবীণরাই তাকে কোলে করে এনে বসাত নেতৃত্বের আসনে। বাড়াবাড়ি করায় এখন না লাভবান হয়েছে বিএনপি, না লাভবান হয়েছেন তারেক রহমান।

রাজনৈতিক আদর্শিক জায়গা থেকেও সরে এসেছে বিএনপি। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের যে কালোত্তীর্ণ দর্শনের সৌন্দর্য-সৌরভ ছিল বিএনপিতে, সে অবস্থান আর অটুট নেই। যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদকে শক্তি জোগায়, তার মধ্যে একটিকে আঁকড়ে ধরেছে বর্তমান বিএনপি— সেটি ধর্মীয় মূল্যবোধ, ধর্মাচার, তাও আবার ইসলামী মূল্যবোধ ও মুসলিম ধর্মাচার। এটি বিপজ্জনক ডানপন্থি মৌলবাদী চিন্তা— যার সঙ্গে সাযুজ্য আছে জামায়াতে ইসলামীর চিন্তা ও দর্শনের। মুসলিম লীগও ব্রডলি একই লাইনের অনুসারী ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, একাত্তরকে ‘বেসলাইন’ ধরে সমগ্র রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এখন বিএনপিতে অনেকটাই অবহেলিত। এত কঠোর সমালোচনার পরও বিএনপি যে তার এই রাজনৈতিক ও আদর্শগত অবস্থান পরিবর্তন করবে না তার প্রমাণ সাম্প্রতিক একটি ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে টার্গেট কিলিং ও জঙ্গি হামলা, বিশেষ করে ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ জঙ্গি তাণ্ডব ও শোলাকিয়া ঈদগাহ গেটে জঙ্গি হামলার পর দেশে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদবিরোধী ঐক্য গড়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল বিএনপি। খোদ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও এ আহ্বান জানিয়েছিলেন। সরকারপ্রধান এ ব্যাপারে যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন তা অভিপ্রেত ছিল না। দাবিটা জাতীয় দাবি এবং একই পরিস্থিতি এখনো বিদ্যমান। বলা হয়েছিল, সরকার জাতীয় ঐক্য গড়ার ব্যাপারে সম্মত না হলে সরকার ও সরকারের জোটের বাইরের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সব বিরোধী দলকে নিয়ে বিএনপির নেতৃত্বে একটি জঙ্গিবাদ-মৌলবাদবিরোধী ঐক্যমোর্চা গড়া হবে। বিস্তারিত আলোচনার খুব একটা প্রয়োজন নেই। বিসমিল্লাহতেই তা বিনাশ করে দিয়েছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। এটা একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল না। তার একটা বক্তব্য প্রায় সবারই জানা যে, ‘জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আমি বেহেশতে যেতেও রাজি নই।’ বেগম জিয়া কি তা জানেন না? আলবৎ জানেন। ‘চা-চক্র’ প্রক্রিয়া শুরু করার আগে এমন একটা ধারণা দেওয়া হয়েছিল যে, জামায়াতকে বাইরে রেখেই গড়া হবে জঙ্গিবিরোধী ঐক্যমোর্চা। অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বেগম জিয়ার সঙ্গে আলোচনার সূত্র ধরেই এই ‘ধারণাটা’ কনফার্ম করেছিলেন। বিএনপিপন্থি অপর এক বুদ্ধিজীবী ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীও এক খোলা চিঠিতে বেগম জিয়ার প্রতি জামায়াতকে বাদ দিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আহ্বান জানান। কিন্তু মনে হলো এসব বক্তব্যে ‘ভিমরুলের চাকে ঢিল’ পড়ল। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া এলো বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষ থেকে (কর্তার ইচ্ছায় কীর্তন)। তিনি বলে দিলেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের বক্তব্য তার ব্যক্তিগত। স্পষ্ট হয়ে গেল বিএনপির অবস্থান। বিএনপি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়বে না। ফল দাঁড়াল এই যে, সিপিবি, বাসদ মুখের ওপর না করে দিল এই বলে যে, বিএনপির সঙ্গে কোনো ঐক্যমোর্চায় তারা যাবে না। অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ড. কামাল হোসেন, আ স ম আবদুর রবও উৎসাহ হারিয়ে ফেললেন। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে নতুন জোট— যাতে যোগ দিয়েছে বি. চৌধুরীর বিকল্প ধারা ও মাহমুদুর রহমান মান্নার ঐক্য প্রক্রিয়া। আ স ম রবও একটি মোর্চা করে ফেলেছেন ইতিমধ্যে। বিএনপির জন্য এ এক বড় লজ্জার বিষয়। অবশ্য তারা লজ্জা পাচ্ছেন কিনা কে জানে? সরকার তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব বিরোধী দলও প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের। বিএনপি এখন ‘পথহারা পাখি’। জামায়াত ছাড়া কেউ নেই তাদের সঙ্গে। নতুন নেতৃত্বের জামায়াত তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য যদি ‘রণকৌশল’ পরিবর্তন করে, তখন বিএনপির সঙ্গে তাদের বর্তমান মৈত্রীর বন্ধন কতটা অটুট থাকে তা-ও দেখার বিষয়। বিএনপির কাছ থেকে যা নেওয়ার তা তারা নিয়ে ফেলেছে। তাদের পক্ষে যারা কথা বলেন, তাদের বক্তব্য হচ্ছে, এখন জামায়াতকে দেওয়ার আর কিছু অবশিষ্ট নেই বিএনপির— নিরাপদ আশ্রয় বা ক্ষমতার শেয়ার, কোনোটাই না। তারা অন্য কোনো স্থানে অন্য কারও কাছে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ আশ্রয়ের সন্ধান করতে পারে। এমনও হতে পারে অন্য কারও সঙ্গে একটা গোপন সমঝোতার ভিত্তিতে তারা আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতেও হয়তো তাদের আপত্তি থাকবে না। বিএনপি তখন ভালোই একটা আছাড় খাবে। তারাও হয় বর্তমান সরকারের ঘোষিত সময়ে তাদের অধীনেই নির্বাচনে যাবে, নতুবা এককভাবে নির্বাচন বর্জন করবে। আগামী নির্বাচনও বর্জন করলে বিএনপির দশা তখন কী হবে সে হিসাব মেলানোর জন্য ‘ক্যালকুলেটরের’ দরকার নেই।

জনগণের প্রত্যাশা ও সময়ের চাহিদা পূরণ করতে চাইলে বিএনপি ‘মুসলিম লীগের যে জুতা’ পরে হাঁটছে সে জুতা খুলে ফেলতে হবে। ‘রাজাকারের পোনা’, ‘শান্তি কমিটির নেতা-কর্তার পোনা’ খুঁজে খুঁজে দলের নেতা বানানোর ভ্রান্ত চিন্তা পরিহার করতে হবে। উঁচু রুচির পরিচয় দিতে হবে। অতি সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদল দেখে অনেকে বিস্মিত হয়েছেন। এই ধরনের আলোচনার জন্য রাজনৈতিক বিবেচনায় দলের মধ্যে শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, ড. মইন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর রায়, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল্লাহ-আল নোমান এবং কূটনৈতিক অভিজ্ঞতার বিবেচনায় ঝানু কূটনীতিক এনাম আহমদ চৌধুরী, রিয়াজ রহমানের মতো ব্যক্তি থাকতে দলের স্থায়ী কমিটিতে সদ্য ঢোকানো সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাবেক সচিব, তথ্য ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা সাবিহ উদ্দিন আহমদ কী করে ঢুকে গেলেন অনেক বিশ্লেষকের মতে তা বিস্ময়করই বটে! বিএনপির চিন্তা ও রুচিরই প্রতিফলন ঘটেছে এতে। বিএনপি এখন এই ‘স্ট্যান্ডার্ডই’ সর্বক্ষেত্রে বোধহয় ধরে রাখতে চায়। বিভিন্ন দল তাদের নেতৃত্বের ‘স্ট্যান্ডার্ড’ সর্বদা বাড়াতে চায়, বিএনপি কেন তা কমাতে চায় বোঝা মুশকিল।  যে দুই ভ্রান্তির সংমিশ্রণে বিএনপির মতো একটি বৃহৎ ও জনপ্রিয় দল অথৈ সাগরে হাবুডুবু খাওয়ার মতো ‘খাবি খাচ্ছে’, সেখান থেকে স্যালভেজের একমাত্র পথ দলকে প্রকৃত রাজনীতিবিদদের হাতে তুলে দেওয়া, দলকে ঐক্যবদ্ধ করা, যৌথ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা এবং শহীদ জিয়ার নির্দিষ্ট করে দেওয়া রাজনৈতিক লাইন আঁকড়ে ধরে একাত্তরের বেসলাইনে সৎ ও দৃঢ় অবস্থান নেওয়া।

     লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

৩৪ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি

৪৩ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১
বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক
শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক
বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন
৩১ দফা দিয়ে দেশবাসীর কল্যাণ করেছেন তারেক রহমান: কাজী আলাউদ্দিন

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ
সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন

ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন
ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান
ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান

নগর জীবন

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু
ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু

পেছনের পৃষ্ঠা

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে

নগর জীবন

১১ মাসে অপহৃত ৫ শতাধিক
১১ মাসে অপহৃত ৫ শতাধিক

পেছনের পৃষ্ঠা

ভূমিকম্প প্রতিরোধে এখনই জরুরি ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করা উচিত
ভূমিকম্প প্রতিরোধে এখনই জরুরি ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করা উচিত

নগর জীবন