বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

মানহীন ওষুধে নিষেধাজ্ঞা

আদালতের রায় প্রশংসাযোগ্য

মানসম্মত ওষুধ উৎপাদনে ব্যর্থ ২০টি কোম্পানির সব ধরনের ওষুধ এবং ১৪টি কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে দেশের উচ্চ আদালত। বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সংক্রান্ত রুল যথাযথ ঘোষণা করে গত সোমবার তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ওষুধ কোম্পানিগুলো ওষুধ তৈরি বা বিক্রি করছে কিনা এবং কোম্পানিগুলোর পরিস্থিতি তদারকি করে প্রতি তিন মাস পর পর ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালককে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি চলমান তদারকিতে রাখার কথাও বলেছে আদালত। মানুষ সুস্থ হওয়ার জন্য ওষুধ ব্যবহার করে। কিন্তু সে ওষুধ যদি মানহীন হয় তবে সুস্থতার বিষয়টি অনিশ্চিতই শুধু নয়, জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। সংসদীয় কমিটি মানহীন ওষুধ তৈরির জন্য ৩৪টি ওষুধ কোম্পানিকে চিহ্নিত করে। সরকারের পক্ষ থেকে এসব কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করা সত্ত্বেও তারা নানা কৌশলে সে নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে চলছিল। উচ্চ আদালতের রায়ের মাধ্যমে তাদের সে অপকৌশলে লাগাম পরানো হয়েছে। দেশের মানুষের জীবন সুরক্ষার পক্ষে আদালতের রায়টি শুধু রিট আবেদনকারীই নয়, ১৬ কোটি মানুষের জন্য ‘সুবিচার’ নিশ্চিত করেছে। আদালতের এ রায় ওষুধ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীল হতে বাধ্য করবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই। মানহীন ওষুধ উৎপাদনের জন্য ৩৪টি কারখানাকে চিহ্নিত করা হলেও এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক বেশি। আমরা আশা করব মানহীন ওষুধ তৈরির সঙ্গে জড়িত সবার ক্ষেত্রেই ওষুধ প্রশাসন কঠোর হওয়ার সক্ষমতা দেখাবে।  ওষুধ কোম্পানির বদলে ওষুধ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা যে দেশবাসীর ট্যাক্সের টাকায় বেতন-ভাতা পান তাদের স্বার্থ রক্ষায় যত্নবান হবেন এমনটিই কাম্য।  আদালতের পাশাপাশি সংসদীয় কমিটিও এ ব্যাপারে চোখ-কান খোলা রাখবে তা দেশবাসীর প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর