শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০১৭

অসাম্প্রদায়িকতা ও অহিংসার ঐতিহ্য অম্লান হোক

লে. জে. মাহবুবুর রহমান (অব.)
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
অসাম্প্রদায়িকতা ও অহিংসার ঐতিহ্য অম্লান হোক

শাশ্বত বাংলার সনাতন ঐতিহ্য তার অহিংসা ও অসাম্প্রদায়িকতা। বাংলাদেশে ব্রিটিশরা রাজত্ব করেছে দুইশ বছর। তারা বাংলার ভূখণ্ড দখল করেই ভারতবর্ষের অন্যান্য এলাকায় উপনিবেশ ও আধিপত্য সম্প্রসারণ করে। ব্রিটিশরা ভারতে ডিভাইড অ্যান্ড রুল-নীতি নিয়ে দেশ শাসন করেছে। ১৯৪৭ সালে শুধু ধর্মের ভিত্তিতে উপমহাদেশ ভাগ করা হয়। এ সময় আমরা দেখেছি রক্তপাত, সহিংসতা, অপ্রীতিকর ও বিষাদঘন এক অধ্যায়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার ছাপ এখনো পুরোপুরি মিশে যায়নি।

দেশ ভাগ হয়েছিল গণতন্ত্রের ভিত্তিতে। সিলেট পূর্ব পাকিস্তানে যুক্ত হয় সে জন্য সেখানে গণভোট হয়েছিল। ১৯৪৭ সালের পর পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ কর্তৃত্ববাদ ও আধিপত্যবাদের শিকার হয়। পাঞ্জাবি উন্নাসিকতা ও শোভেনিজম আমাদের ওপর চেপে বসে। এটা ছিল আমাদের অধিকার ও মর্যাদার ওপরে বড় আঘাত। সে সময়ে পাকিস্তানের মোট লোকসংখ্যায় বাঙালিরা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ। তারপরেও আমরা দেখেছি সীমাহীন অবহেলা, বৈষম্য ও অমর্যাদা। আমরা নানাভাবে বঞ্চিত ও শোষিত হয়েছি। শোষণ-বঞ্চনা ছিল রাজনীতিতে, অর্থনীতিতে, ছিল সমাজনীতিতেও। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এটা আমাদের সহ্য করতে হয়েছে। এখানকার জনগণ স্বাধিকার প্রশ্নে সম্মান ও মর্যাদার প্রশ্নে দীর্ঘ সংগ্রাম করেছে। এ সংগ্রামে পুরোভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আরও অনেকে।

আমাদের ভূখণ্ডের রয়েছে মহান সভ্যতা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি। এ জনপদ প্রাচীন। এখানে রেনেসাঁ বার বার এসেছে। অনেক জ্ঞানী, গুণী, মহান ব্যক্তির জন্ম হয়েছে যাদের অবদান ভারতবর্ষের সীমানা ছাড়িয়ে সমৃদ্ধ করেছে বিশ্ব সভ্যতাকে। চীন, ব্রহ্মদেশ, শ্যামদেশ, শ্রীলঙ্কায় তা ছড়িয়েছে। ছড়িয়েছে সুমাত্রা, জাভাসহ সুদূর ইন্দোনেশিয়ায়। এ জনপদেই মহামতি গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছেন। প্রচার করেছেন অহিংসার বাণী। তিনি বলেছেন অহিংসা পরম ধর্ম, সর্বজীবে দয়া কর। তিনি শান্তির অমীয় বাণী প্রচার করে সমগ্র মানবজাতির কাছে এক আলোকবর্তিকা হয়ে আছেন।

এ বাংলায়ই পাল রাজারা চার শতাধিক বছর রাজত্ব করেছেন। তারা বাংলাদেশের ঐতিহ্য, কৃষ্টি, মানবতাবাদ, অহিংসা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন। শান্তি, ভালোবাসা, ক্ষমা ও সম্প্রীতির কথা প্রচার করেছেন। সে ছিল বিশ্ব সভ্যতায় বাংলাদেশের এক সুবর্ণ যুগ। এ ভূখণ্ডে এক সময়ে পবিত্র ইসলাম ধর্ম বিস্তার লাভ করে। ইসলাম প্রচারকরা অস্ত্রের বলে নয় শান্তি ও মানবতার কথা প্রচার করে দলে দলে মানুষকে আকৃষ্ট করেছেন। তাদের কাছ থেকে মানুষ জেনেছে সহিষ্ণুতা, ক্ষমা, ন্যায় ও সাম্যের কথা। সুফি-সাধক, পীর-আউলিয়ারা পবিত্র এই ধর্মের ক্ষমার মর্মবাণী তুলে ধরেছেন। এ প্রসঙ্গে আমরা বলতে পারি সিলেটের হজরত শাহজালাল ও আজমীর শরিফের খাজা মাঈনুদ্দিন চিশতী অহিংসা ও ক্ষমার কথাই বলেছেন। আমাদের এই ভূমিতেই সত্যের সন্ধান করেছেন শ্রী চৈতন্য দেব। তিনি ভালোবাসা ও ক্ষমার বাণী প্রচার করেছেন। আমরা এখানে শুনেছি রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ও স্বামী বিবেকানন্দের কথা। স্বামীজী মানবতার ব্রত নিয়ে গোটা ভারতবর্ষ পরিভ্রমণ করেছেন। সত্য ও সুন্দরের জয়গান করেছেন। তিনি বলেছেন একমাত্র মানবতাই আমার ধর্ম। বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার সন্তান ফকির লালনশাহ, তিনি মানবতার সাধনা করেছেন। তার গানে ও গীতিতে যে দর্শন রয়েছে তার মূলকথা মানবতার ওপরে কিছু নেই। তিনি মানুষকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন।

 

 

আমি বেদনাহত চিত্তে এ কথাও বলতে চাই যুগে যুগে সম্প্রীতির লীলাভূমি বলে পরিচিত ছিল যে ভূখণ্ড আমাদের তাতে বিঘ্নও ঘটেছে মাঝে মধ্যে। ঘটেছে হানাহানি ও রক্তপাত। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। বাংলার মানুষই এটা হতে দেয়নি। তারা সহিংসতা হানাহানি প্রতিহত করে অসাম্প্রদায়িক বৈশিষ্ট্য ধরে রেখেছে। পাকিস্তানের প্রতিকূল সময়েও অশুভ শক্তি বিস্তার লাভ করতে পারেনি। একপর্যায়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে জাতিসত্তার বিকাশ ঘটে, জাগরণ সৃষ্টি হয়। পাকিস্তানের সামরিক-বেসামরিক দুঃশাসন মোকাবিলা করে এ দেশের জনগণ স্বাধীনতার প্রশ্নে সোচ্চার হয়। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জন করে স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতাই আমাদের হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, আদিবাসী সবাই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। চরম আত্মত্যাগ করে। মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল অসাম্প্রদায়িকতা। দেশবাসী চেয়েছে সত্যিকারের গণতন্ত্র। চেয়েছে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। পরিতাপের বিষয় দেশ স্বাধীন হয়েছে সবার এক সাগর রক্তে অবগাহিত হয়ে। কিন্তু অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ এখনো গঠন করা যায়নি। আরও দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় পাকিস্তান আমলেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এতটা বিনষ্ট হয়নি। আমরা একসঙ্গে লড়েছি, রক্তাক্ত প্রান্তরে একসঙ্গে শত্রুর মোকাবিলা করেছি, ধর্মের কারণে আমাদের বিশ্বাস আস্থায় ছেদ পড়েনি। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্র ব্যাহত হলো। একদলীয় শাসন চালু হলো। সামরিক শাসন এলো। স্বৈরশাসনের বিস্তার ঘটল। এ কথাও ঠিক বহুদলীয় গণতন্ত্র এদেশে চলেছে নিরবচ্ছিন্নভাবে বেশ দীর্ঘ সময় ধরে। তবে সত্যিকারের গণতন্ত্র, শোষণ-বঞ্চনাহীন এক সমাজ, সবার বিকাশের সমান সুযোগ সেটা এখনো অর্জন করা যায়নি। এটা ভাগ্যের পরিহাস! আমরা জানি যে হিন্দু, খ্রিস্টান, আদিবাসী তাদের অনেকেই অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। এ অবস্থা কেবল তাদের নয় এটা জাতীয় সমস্যা কোনোভাবেই লঘু করে দেখার সুযোগ নাই। ১৯৪৭ সালে যখন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলো তখন সংখ্যালঘুরা ছিল মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ। তারপর ক্ষয় হতে লাগল। সবচেয়ে বড় ধাক্কা লাগল ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময়। তখন শত্রু সম্পত্তি (পরে অর্পিত সম্পত্তি) আইন জারি করা হলো। এর মধ্যেও ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের সময় তাদের সংখ্যা ছিল ২০ শতাংশের মতো। তারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে, সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা এখন বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৯.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। এটা গভীর উৎকণ্ঠার বিষয় বৈকি। আমার জন্ম দিনাজপুর জেলায়। বিরল, বোচাগঞ্জ, কাহারোল এসব ছিল হিন্দু ও সাঁওতাল অধ্যুষিত। এদের সঙ্গে আমি বড় হয়েছি, পড়াশোনা করেছি, খেলাধুলা করেছি। এদের অনেকে খুব বুদ্ধিমান ও মেধাবী ছাত্র ছিল। যতিন, যোগেন, সুপেন, নির্মল, সুভাস এরা সব কোথায় হারিয়ে গেল। বাংলাদেশ থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ ভারতে চলে যাচ্ছে এটা স্বীকৃত। সাঁওতালরাও প্রান্তসীমায় অবস্থান করছে। তারাও হারিয়ে যাচ্ছে। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নির্মম সাঁওতাল নির্যাতন অতি সাম্প্রতিক এক ঘটনা।

কিন্তু এমনটি তো হওয়ার কথা ছিল না। বাংলাদেশ ভূখণ্ডে মানুষের চরিত্রে তো সাম্প্রদায়িকতা ছিল না। অসাম্প্রদায়িকতা শাশ্বত বাংলাদেশের সনাতন ঐতিহ্য। আমরা হাতে হাত ধরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে একই গ্রামে বড় হয়েছি। অসাম্প্রদায়িকতা অহিংসতা আমাদের আবহমানকালের ঐতিহ্যে। এ চেতনা আবিষ্কার করি কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখায় ও কবিতায়। তাকে আমি মনে করি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির আইকন। তাই নজরুল আমাদের জাতীয় কবি। নজরুলের পুরো সাহিত্য কর্মজুড়ে মানবতা ও সাম্য, অসাম্প্রদায়িকতা ও মুক্তির প্রতিফলন। আর এটাইতো ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। আরেক মহান বাঙালি অগ্নিপুরুষ নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু। মুক্তিযুদ্ধে তিনি ছিলেন আমাদের প্রেরণা। তিনি বলেছিলেন, আমাকে রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দিব। সশস্ত্র আজাদহিন্দ ফৌজ তিনি গঠন করেছেন। ইংরেজদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ করেছেন। ভারতবর্ষের অনেক অঞ্চল মুক্ত করেছেন। তার আজাদহিন্দ বাহিনী বার্মা হতে অভিযান চালিয়ে ভারতবর্ষে প্রবেশ করে। ইম্ফল কোহিমা অঞ্চল মুক্ত করে। নেতাজীর সহযোদ্ধা ছিলেন ক্যাপ্টেন শাহনেওয়াজ।

বাংলার এ জনপদ আবহমানকাল ধরে ইতিহাসে এক সামাজিক সম্প্রীতির সুখী সমৃদ্ধ দেশ। পদ্মা, যমুনা, তিস্তা, মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, কুশিয়ারা, সুরমাবিধৌত বঙ্গোপসাগরের বিশাল উপকূলজুড়ে বাংলার এ বদ্বীপ ঈশ্বর নির্মিত এক অনবদ্য পুণ্যভূমি। হাজার বছর ধরে বাংলার সংস্কৃতি শান্তির সম্প্রীতির। বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী, আদিবাসী সবার মাতৃভূমি। সবার দেশ বাংলাদেশ। হাজার বছর ধরে বাংলাদেশ বিশ্বে পরিচিত হয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অপূর্ব লীলাভূমি বলে। ধর্মীয় চেতনা এখানে মানুষকে উদার করেছে। মহানুভব করেছে। দয়াবান ও ক্ষমাশীল করেছে। করেছে পরমতসহিষ্ণু। সব ধর্মই প্রেমপ্রীতি আর ভালোবাসার কথা বলেছে। মানবতার দীক্ষা দিয়েছে। শুনিয়েছে, শোনহে মানুষ ভাই সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। শিক্ষা দিয়েছে নরের মধ্যে নারায়ণ, নর রূপে নারায়ণ। ইসলাম বলেছে নরহত্যা মহাপাপ, শিখিয়েছে প্রতিশোধ নয় ক্ষমা কর। ক্ষমাই শ্রেষ্ঠ। বলেছে প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে আহার করা হারাম। গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, অহিংসা পরম ধর্ম, সর্বজীবে দয়া কর। বাংলাদেশের হাজার বছরের সমাজ ও সংস্কৃতি এ দর্শন, এ বিশ্বাস ও এ ঐতিহ্যের ভিত্তির উপরেই গড়ে ওঠা। এটাই জাতি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার মন ও মনন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যুগ যুগ ধরে বাংলার জাতীয় বৈশিষ্ট্য। বাংলার কবি জীবনানন্দ দাস বাংলার রূপ দেখেছিলেন। কবিতা লিখেছিলেন, বাংলার রূপ আমি দেখিয়াছি তাই পৃথিবীর রূপ দেখিতে চাহিনা আর। রূপসী বাংলা আজ বিবর্ণ, উসর, ধূসর। সবুজে সবুজ, ছায়াঢাকা, পাখিডাকা, শান্তির নীড় এ বাংলা আজ নষ্ট নীড়। রবীন্দ্রনাথের অনেক ভালোবাসার সোনার বাংলা এখন এক শ্রীহীন বাংলা।

বাংলাদেশ আজ অশান্ত। শান্তি বিঘ্নিত। চারদিকে অস্থিরতা। সামাজিক সংঘাত, ধর্ম ও জাতি গোষ্ঠীগত ঘৃণা, সহিংসতা, হানাহানি। সন্ত্রাসবাদের বল্গাহীন বিস্তার। শান্তি সম্প্রীতি সুদূর পরাহত। স্থিতিশীলতা বিপজ্জনকভাবে বাধাগ্রস্ত। নীতি ও মূল্যবোধের প্রচণ্ড শূন্যতা। হিংসায় উন্মত্ত বাংলাদেশ। আমরা উদ্বিগ্নতার সঙ্গে লক্ষ্য করছি এক কদর্য ও সাম্প্রদায়িকতার নগ্ন উত্থান এখানে ঘটে চলেছে। প্রত্যক্ষ করছি, আবহমানকালের বাংলার ঐতিহ্যে বিশাল ফাটল। প্রতিদিন মিডিয়ায় দেখছি ভিন্নমতের, ভিন্ন আদর্শের, ভিন্ন পথের অনুসারীরা নিগৃহীত হচ্ছে। হিন্দু পুরোহিত, বৌদ্ধ ভিক্ষু, খ্রিস্টান ধর্মযাজক, শিয়া ইমাম, সুফি সাধক, বাউল, গায়ক নির্যাতিত হচ্ছে। নৃশংসভাবে মৃত্যুর শিকার হচ্ছে। মন্দির, গির্জা, উপাসনালয় আগুনে ভস্মীভূত হচ্ছে। বোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে, রক্তপাত ঘটছে, জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। দেবদেবীর প্রতিমা, যিশুর মূর্তি, বৌদ্ধের প্রতিকৃতি ক্ষতবিক্ষত, চূর্ণবিচূর্ণ করা হচ্ছে। আরও দেখি অবুঝ নিষ্পাপ স্বর্গ শিশুরা হত্যার শিকার হচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত। পৈশাচিক উন্মাদনায় ধর্ষিত হচ্ছে নারীরা, শিশুকন্যারা, বৃদ্ধারাও। আর ধর্ষণ শেষে হত্যা হচ্ছে নিশ্চিত ও অবধারিতভাবে। এর কোনো ব্যত্যয় নেই। হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে, স্ফীত হচ্ছে। সংক্রামক রোগের মতো এর ভয়াবহতা, এর ব্যাপকতা গোটা জাতিকে শঙ্কিত করে তুলেছে। হত্যাকাণ্ড এক মহা হত্যাযজ্ঞে পরিণত হয়েছে। মানুষের হিংসা, বিদ্বেষ, অর্থগৃধ্নুতা, সীমাহীন লালসা, পারস্পরিক ঘৃণা, পশুত্বের সর্বনিম্ন পর্যায় নেমে গেছে। পশুরাই আজ অনেক মানবিক। মানুষ পাশবিক। হিংসার বিষবাষ্পে সমাজ বিষাক্ত। উদগ্র লোভে লালসায় মানুষ উন্মত্ত। চতুর্দিকে শুধু হানাহানি রক্ত আর রক্তপাত। ঘৃণা ঘৃণার জন্ম দেয়, হিংসা হিংসার। ভায়োলেন্স ভায়োলেন্সের। সন্ত্রাস সন্ত্রাসের।

ব্যক্তি নিরাপত্তা, পারিবারিক নিরাপত্তা, গোষ্ঠী নিরাপত্তা, সামাজিক নিরাপত্তা, জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো আজ অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে সামনে চলে এসেছে। একটা ভীতি শঙ্কা সবার মধ্যে কাজ করছে। আর তা সংক্রামক রোগের মতো সংক্রমিত হচ্ছে। প্রতিদিনের অব্যাহত নারকীয়তা জাতির জন্য এক মহা অশনি সংকেত। আমরা উটপাখির মতো আসন্ন সাইমুন ঝড়কে না দেখার ভান করে চোখ বন্ধ করে মাথা বালুর মধ্যে ঢুকিয়ে রাখলে ঝড়ের অস্তিত্ব মিথ্যা হয়ে যাবে না। ঝড়ও বন্ধ হবে না। জাতির কাছে আজ এ এক মহা চ্যালেঞ্জ। এর মোকাবিলায় প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য, ঐকতান, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা, এক হয়ে শত্রুকে চিহ্নিত করা, তার বিরুদ্ধে একসঙ্গে সংগ্রামে নামা। আর সরকারকেই এর উদ্যোগ নিতে হবে। সব ভেদাভেদ ভুলে সব রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, সুশীল সমাজ, পেশাজীবী মানুষ, বিজনেস কমিউনিটি, ছাত্র শিক্ষক সবাইকে একত্রিত হতে হবে। জাতীয় সংলাপে বসতে হবে। দেশটি শুধু সরকারের নয়, দেশটা সবার, প্রতিটি নাগরিকের এটাও সরকারকে জোর করে বোঝাতে হবে। আমাদের সবার একটাই দেশ, বাংলাদেশ। সবাই এখানে স্টেকহোল্ডার। সবাই মিলে মুক্তিযুদ্ধ করে একসঙ্গে দেশটাকে স্বাধীন করেছি। অনেক রক্তে অর্জিত আমাদের এ স্বাধীনতা এ দেশ। আজ দেশকে বিপদমুক্ত করতে স্বাধীনতাকে ধরে রাখতে বাংলাদেশের হৃত ঐতিহ্য অহিংস অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের গৌরবকে পুনরুদ্ধার করতে একত্রিত হয়ে সংগ্রাম করতে হবে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, সহিংসতার বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে, দুর্নীতি ও অসাম্যের বিরুদ্ধে, সব অপশক্তির বিরুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় (গণতন্ত্র অসাম্প্রদায়িকতা ও সুশাসন) শানিত হতে হবে। জয় হোক সত্যের, সুন্দরের। সত্যই সুন্দর, সুন্দরই সত্য। জয় হোক ন্যায়ের, জয় হোক ন্যায়নীতির, জয় হোক কল্যাণের, মঙ্গলের, শান্তির, প্রগতির অহিংসার। জয় হোক শাশ্বত বাংলার।

লেখক : সাবেক সেনাপ্রধান

এই বিভাগের আরও খবর
গ্যাসসংকট
গ্যাসসংকট
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
বিনয়-নম্রতা ইসলামের অনন্য সৌন্দর্য
বিনয়-নম্রতা ইসলামের অনন্য সৌন্দর্য
শক্তির চাহিদা পূরণে সৌরবিদ্যুৎ
শক্তির চাহিদা পূরণে সৌরবিদ্যুৎ
সেনারা পারে, পারতেই হয়
সেনারা পারে, পারতেই হয়
ইন্দিরা হত্যার সেই ভয়ংকর ঘটনা
ইন্দিরা হত্যার সেই ভয়ংকর ঘটনা
মৃত্যু আসতে পারে যে কোনো সময়
মৃত্যু আসতে পারে যে কোনো সময়
অপনীতির অবসান
অপনীতির অবসান
গুপ্ত স্বৈরাচার
গুপ্ত স্বৈরাচার
নির্বাচন : আশায় বাঁধি বুক
নির্বাচন : আশায় বাঁধি বুক
গোলাপের সুবাস গেল কই
গোলাপের সুবাস গেল কই
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
ইসলামের মহান খলিফা হজরত ওমর (রা.)
সর্বশেষ খবর
লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা করল পুলিশ
লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে পুরস্কার ঘোষণা করল পুলিশ

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে ফের পুরস্কার ঘোষণা
পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে ফের পুরস্কার ঘোষণা

১ মিনিট আগে | জাতীয়

বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রবাসী ভোটার আবেদন তদন্ত করতে বলল ইসি
বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রবাসী ভোটার আবেদন তদন্ত করতে বলল ইসি

৭ মিনিট আগে | জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে ভোটে লড়বেন জোনায়েদ সাকি

৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

সরাইলে পুলিশের কাছ থেকে যুবলীগ নেতাকে ছিনতাই
সরাইলে পুলিশের কাছ থেকে যুবলীগ নেতাকে ছিনতাই

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিইউপি উপাচার্যের সৌজন্য সাক্ষাৎ
মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিইউপি উপাচার্যের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৩ মিনিট আগে | পরবাস

সরাইলে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে যুবলীগ নেতাকে ছিনতাই
সরাইলে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে যুবলীগ নেতাকে ছিনতাই

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফের আইনি ঝামেলায় জড়ালেন সালমান খান
ফের আইনি ঝামেলায় জড়ালেন সালমান খান

১৯ মিনিট আগে | শোবিজ

বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের জন্য সুখবর
বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের জন্য সুখবর

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ভোটার এলাকা পরিবর্তনের শেষ সময় ১০ নভেম্বর
ভোটার এলাকা পরিবর্তনের শেষ সময় ১০ নভেম্বর

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

আর্জেন্টিনার দল থেকে বাদ পড়ছেন মার্টিনেজ!
আর্জেন্টিনার দল থেকে বাদ পড়ছেন মার্টিনেজ!

৩৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হালদা নদীকে ‘মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষণা
হালদা নদীকে ‘মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষণা

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রতিহতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৩৮ মিনিট আগে | জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই শুরু তিস্তা প্রকল্পের কাজ: আসিফ মাহমুদ
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেই শুরু তিস্তা প্রকল্পের কাজ: আসিফ মাহমুদ

৪৩ মিনিট আগে | জাতীয়

নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে সুদানের গৃহযুদ্ধ: জাতিসংঘ
নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে সুদানের গৃহযুদ্ধ: জাতিসংঘ

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের খালাসের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

তিস্তা থেকে দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা, দর্শনার্থীর ঢল
তিস্তা থেকে দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা, দর্শনার্থীর ঢল

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ইউনিসেফ প্রতিনিধির সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ইউনিসেফ প্রতিনিধির সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

মহালছড়িতে আগুনে পুড়ে ছাই ১৮ দোকান
মহালছড়িতে আগুনে পুড়ে ছাই ১৮ দোকান

৫০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ডিএমপিতে ৮ সহকারী পুলিশ কমিশনারের পদায়ন
ডিএমপিতে ৮ সহকারী পুলিশ কমিশনারের পদায়ন

৫৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

৯৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের
৯৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা গণসংহতি আন্দোলনের

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

২০৩০ সালে অবসরে যাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন
২০৩০ সালে অবসরে যাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন

১ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান
বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর থেকে বেশ এগিয়ে: জিল্লুর রহমান

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি
তারেকের অনশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংহতি

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজীপুরে আগুনে পুড়ল ৭ ঝুট গুদাম
গাজীপুরে আগুনে পুড়ল ৭ ঝুট গুদাম

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম
আদর্শিক জায়গা থেকে সমঝোতা বা জোট হতে পারে: নাহিদ ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঝিনাইদহে পিকআপের ধাক্কায় নিহত ১
ঝিনাইদহে পিকআপের ধাক্কায় নিহত ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় নিহতের ঘটনায় মামলা
নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় নিহতের ঘটনায় মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতির পারমাণবিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে রাশিয়া
শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতির পারমাণবিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে রাশিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জেলায় ঝড়ের আভাস
সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জেলায় ঝড়ের আভাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
মাদারীপুর-১ আসনে কামাল মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত
মাদারীপুর-১ আসনে কামাল মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত

২০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির
আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প
মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিবন্ধন না পেয়ে আমরণ অনশনে আমজনতার তারেক
নিবন্ধন না পেয়ে আমরণ অনশনে আমজনতার তারেক

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের
আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের

১২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নিবন্ধন পেল এনসিপিসহ তিন দল
নিবন্ধন পেল এনসিপিসহ তিন দল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন
বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে যা বললেন কনকচাঁপা
বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে যা বললেন কনকচাঁপা

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়
নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান
উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ
আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শওকত-রনির কোলাকুলি, ধানের শীষকে বিজয়ী করার আহ্বান
শওকত-রনির কোলাকুলি, ধানের শীষকে বিজয়ী করার আহ্বান

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শাপলা কলি প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে এনসিপি: সামান্তা
শাপলা কলি প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে এনসিপি: সামান্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি
গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শিগগিরই আসছে ২৫০০ কোটি টাকার ৭ম বিনিয়োগ সুকুক
শিগগিরই আসছে ২৫০০ কোটি টাকার ৭ম বিনিয়োগ সুকুক

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত
দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত

৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪১ ডেপুটি ও ৬৭ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দিল সরকার
৪১ ডেপুটি ও ৬৭ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দিল সরকার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ পেলেন বিচারপতি আহমেদ সোহেল
জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ পেলেন বিচারপতি আহমেদ সোহেল

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পদোন্নতি পাচ্ছেন এক হাজারের বেশি বিচারক
পদোন্নতি পাচ্ছেন এক হাজারের বেশি বিচারক

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে আরও ১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন
সৌদিতে আরও ১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএলে ৫ দল, শুরু ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে
বিপিএলে ৫ দল, শুরু ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রামে ধানের শীষ পেলেন বিএনপির তিন শীর্ষ নেতার উত্তরাধিকারী
চট্টগ্রামে ধানের শীষ পেলেন বিএনপির তিন শীর্ষ নেতার উত্তরাধিকারী

১৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গোপনে পরমাণু পরীক্ষা করার বিষয়ে কি বলছে পাকিস্তান
গোপনে পরমাণু পরীক্ষা করার বিষয়ে কি বলছে পাকিস্তান

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার বিচারের রায় আগামী সপ্তাহে: মাহফুজ আলম
শেখ হাসিনার বিচারের রায় আগামী সপ্তাহে: মাহফুজ আলম

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
এখন বিএনপির বাকি আসনের হিসাবনিকাশ
এখন বিএনপির বাকি আসনের হিসাবনিকাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি উত্তাপে দেশ
নির্বাচনি উত্তাপে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগিরই
জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগিরই

প্রথম পৃষ্ঠা

এ কেমন স্কুল ভবন!
এ কেমন স্কুল ভবন!

পেছনের পৃষ্ঠা

এটাই আমার শেষ নির্বাচন
এটাই আমার শেষ নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিলিন্ডার দুর্ঘটনার বড় ক্ষতি রোধে উদ্যোগ
সিলিন্ডার দুর্ঘটনার বড় ক্ষতি রোধে উদ্যোগ

নগর জীবন

অঙ্গ দিতে পারবেন ইমোশনাল ডোনার
অঙ্গ দিতে পারবেন ইমোশনাল ডোনার

প্রথম পৃষ্ঠা

অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

পেছনের পৃষ্ঠা

১৮ মাসে এক কোটি চাকরি নিছক বাগ্মিতা নয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা
১৮ মাসে এক কোটি চাকরি নিছক বাগ্মিতা নয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা

নগর জীবন

এ কী কাণ্ড মাধুরীর
এ কী কাণ্ড মাধুরীর

শোবিজ

কুড়িগ্রামে ভাওয়াইয়ার সুরে মায়াভরা ইত্যাদি
কুড়িগ্রামে ভাওয়াইয়ার সুরে মায়াভরা ইত্যাদি

শোবিজ

জলবায়ু তহবিলের ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ
জলবায়ু তহবিলের ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

পারিশ্রমিক পেতে ফুটবলারদের তাগাদা
পারিশ্রমিক পেতে ফুটবলারদের তাগাদা

মাঠে ময়দানে

সংকট পিছু ছাড়ছে না সিইউএফএলের
সংকট পিছু ছাড়ছে না সিইউএফএলের

নগর জীবন

মতের পার্থক্য যেন সংঘাতে রূপ না নেয়
মতের পার্থক্য যেন সংঘাতে রূপ না নেয়

প্রথম পৃষ্ঠা

১৬ বছর পর আসিফ
১৬ বছর পর আসিফ

শোবিজ

সংকট নিরসনে চাই ইসলামি অনুশাসন
সংকট নিরসনে চাই ইসলামি অনুশাসন

নগর জীবন

দেশবাসী ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ
দেশবাসী ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে সাত অস্ত্র চুরি
কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে সাত অস্ত্র চুরি

প্রথম পৃষ্ঠা

২০০ বছরের রাস উৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল
২০০ বছরের রাস উৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল

দেশগ্রাম

রূপবানের ভূত চেপেছিল সর্বত্র
রূপবানের ভূত চেপেছিল সর্বত্র

শোবিজ

পোশাক রপ্তানি কমল টানা তিন মাস
পোশাক রপ্তানি কমল টানা তিন মাস

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে শীর্ষ নেতাদের পেয়ে বগুড়াজুড়ে আনন্দ উৎসব
নির্বাচনে শীর্ষ নেতাদের পেয়ে বগুড়াজুড়ে আনন্দ উৎসব

পেছনের পৃষ্ঠা

নিউমার্কেট মোড়ে বিকাল ৪টার আগে হকার বসতে পারবেন না
নিউমার্কেট মোড়ে বিকাল ৪টার আগে হকার বসতে পারবেন না

নগর জীবন

নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন তিন দল
নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন তিন দল

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে
ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে

নগর জীবন

আলাপের জন্য আলাপ
আলাপের জন্য আলাপ

রকমারি রম্য

রাজশাহীতে পাঁচ পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন
রাজশাহীতে পাঁচ পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নগর জীবন