শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০৮ জানুয়ারি, ২০২০ আপডেট:

হে ক্ষমতাবান! মাথা নত করে তাকাও আমি জনগণ ক্ষমতার মালিক

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
হে ক্ষমতাবান! মাথা নত করে তাকাও আমি জনগণ ক্ষমতার মালিক

হে ক্ষমতাবানগণ! মাথা নত করে তাকাও, আমি জনগণ ক্ষমতা ও রাষ্ট্রের মালিক। এ মালিকানা কারও করুণায় অর্জিত নয়। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন-যৌবন উজাড় করা দুঃসাহসী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সুমহান মুক্তিযুদ্ধে লাখ লাখ শহীদের রক্ত আর মা-বোনের সম্ভ্রম হারানোর বেদনার দীর্ঘশ্বাসে অর্জিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর স্বাধীন বাংলাদেশে একটি উদার গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের সংবিধান উপহার দিয়ে এ মালিকানা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবার -পরিজনসহ নৃশংস হত্যাকান্ডের মাধ্যমে লাখো শহীদের রক্তে লেখা সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকেই নির্বাসিত করা হয়নি, জনগণের আকাক্সক্ষা থেকেও সরানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যা-পরবর্তী সামরিক দুঃশাসন-কবলিত অন্ধকার সময়ে ও গণতন্ত্রের ভঙ্গুর যাত্রাপথে এত কাটাছেঁড়া এত সংশোধনী আনা হলেও এ মালিকানা এখনো বহাল রয়েছে। অতএব হে ক্ষমতাবানগণ! তোমাদের দাম্ভিক ঔদ্ধত্যের মাথা নত করে তাকাও। আমরা জনগণ ক্ষমতার মালিক। মাতৃভূমির জমিনজুড়ে রয়েছে লাখ লাখ শহীদের রক্ত। জাতির ঐক্যের প্রতীক বাঙালি জাতীয়তাবাদের মহান নেতা ও বিশ্বের শোষিত মানুষের নির্ভীক কণ্ঠস্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার-পরিজন এ মাটিতে শুয়ে আছেন। এ মাটিতে শুয়ে আছেন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সূর্যসন্তানরা। পাকিস্তানি শাসক-গোষ্ঠীর শোষণ-বঞ্চনা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালির অধিকার আদায়ের সংগ্রামের সাহসী বীর সন্তানরা। ক্ষমতাবান বলতেই কেবল সরকারকে বোঝায় না। ক্ষমতাবান বলতে রাষ্ট্র পরিচালনার সঙ্গে আসা-যাওয়া করা সব রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সব প্রশাসনিক শক্তি, জনপ্রতিনিধি ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্তব্যরত দায়িত্বশীলদের বোঝায়। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বোঝায়।

এ লেখা যখন লিখছি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী জনবহুল কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বাস থেকে নামার পর ধর্ষিত হয়েছেন। গোটা সমাজে ধর্মবর্ণনির্বিশেষে শিশু থেকে বয়স্ক নারী পর্যন্ত নিকটাত্মীয় থেকে যৌন বিকৃত কামুক পুরুষের ধর্ষণের শিকার হচ্ছে একের পর এক। ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধেও ধর্ষকদের উন্মত্ততা রুখে দেওয়া যাচ্ছে না। একটি ঘটনা ঘটে দেশ প্রতিবারমুখর হয়, নিন্দার ঝড় ওঠে, তারপর আরেক ঘটনায় সেই বিদ্রোহের আগুন নিভে যায়। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীটির ধর্ষণের ঘটনায় সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ মধ্যরাতে প্রথম প্রতিবাদের মিছিল নিয়ে রাজপথে আসে। সকাল হতে না হতেই বিক্ষোভে উত্তাল হয় সব ছাত্র সংগঠন ও ছাত্রছাত্রীরা। এ রকম জনবহুল পথে বোবা দর্শকদের সামনে ধর্ষক তার অপরাধ করে যায় নির্বিঘ্নে। ধর্ষিতা কুঁকড়ে যাওয়া শরীর নিয়ে উঠে আসেন বন্ধুর সহায়তায় হাসপাতালে। এই বাংলাদেশের জন্য আমাদের মহান নেতারা স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেননি। এমন ধর্ষকদের অভয়ারণ্যের জন্য এ পবিত্র মাটিকে ব্যবহার করতে লাখো শহীদ রক্ত দেয়নি। পুলিশ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে জনগণের বন্ধু হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, মুজিববর্ষে যেখানে স্লোগান উঠেছে পুলিশ হবে জনগণের। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মানুষের পরম আশ্রয় বিশ্বাস ও সাহসের শক্তি হয়ে উঠে আসতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর গণহত্যার মুখে, বীরত্বের যুদ্ধে আমরা একে অন্যের ভাই ভাই হয়েছিলাম। তেমনি আজকের উন্নত বাংলাদেশের স্লোগান তোলা মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সব জায়গায় ক্ষমতাবানদের মনে রাখতে হবে তারা সবাই জনগণের সেবক। রাষ্ট্র জনগণের জানমাল ও ইজ্জত রক্ষার অঙ্গীকার করেছে সংবিধানে। সংবিধান গণতন্ত্রের নিশ্চয়তা দিয়েছে। এখানে সরকার ও বিরোধী দলের শক্তিশালী ভূমিকা অনিবার্য। বিরোধীদের দমন করা গণতন্ত্র নয়। সবার কথা শোনাই গণতন্ত্রের ধর্ম। ক্ষমতার জোরে কখনো বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করা যায় না। মতলববাজ দালালদের উল্লাস উপভোগ করা যায়। সরকার ও বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ডেই গণতন্ত্রের রোদ ওঠে ঝলমল করে। একটি গণতান্ত্রিক আদর্শিক সমাজ ও শাসনব্যবস্থাই ধর্ষক-লুটেরাদের রুখতে পারে। পুরুষকে আজ মানুষ হতে হবে। ধর্ষক নয়, প্রেমিক হতে হবে। ধর্ষিতা কন্যা, বোন, স্ত্রী বা মা হতে পারেন। এটা বুঝতে হবে।

রাজনীতিবিদদের প্রতিনিয়ত মনে রাখতে হবেÑ আমাদের রাজনীতির পূর্বপুরুষদের জনগণ গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় জননেতা বলে ডাকত, গ্রেফতার হয়ে কারাগারে গেলে রাজবন্দীর সম্মানের মুকুট পরাত। সেসব সম্মান ও মুকুট সাম্প্রতিককালের দেউলিয়া রাজনীতির গণবিরোধী প্রতিহিংসার সংস্কৃতিতে, আদর্শহীন রাজনীতির ধারাবাহিকতার যুগে হারিয়ে গেছে। সেই সম্মান, মর্যাদা ও আদর্শের পুনর্জাগরণ ঘটাতে না পারলে রাজনীতিবিদরা যেমন গণবিচ্ছিন্ন ক্ষমতাবান হতে পারবেন, মানুষের সম্মান অর্জন করতে পারবেন না তেমনি জনগণও এ রাজনীতিকে তাদের কল্যাণে নিবেদিত জননেতার হেঁটে যাওয়া আদর্শের চিত্রপটে দেখতে পাবে না। জনগণের আবেগ-অনুভূতি, আকাক্সক্ষা ও চাওয়া-পাওয়া লালনপালন না করে মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ না করলে কখনো রাজনীতিবিদ হওয়া যায় না, মন্ত্রী-এমপি হওয়া যায়।

হে রাজনীতিবিদগণ! হে এমপি-মন্ত্রীগণ! আমাদের পূর্বপুরুষদের সৎ-সাহসী, নির্লোভ, গণমুখী রাজনীতির আদর্শের গৌরবের রেখে যাওয়া পথের দিকে বিনয়ী হয়ে তাকাও। অগণিত মানুষের দিকে তাকাও। এ অগণিত হাড়ভাঙা পরিশ্রমী জনগণের চোখের ভাষা পড়ার চেষ্টা কর। মানুষের মনের যন্ত্রণা হৃদয় দিয়ে স্পর্শ করার শক্তি সঞ্চয় করে উপলব্ধি কর। মানুষের সেবা করার নামই রাজনীতি, যে রাজনীতিতে ক্ষমতার দম্ভ ব্যক্তিগত লোভ-লালসার কোনো সুযোগ নেই। এ অগণিত জনগণই ক্ষমতার উৎস, ক্ষমতার মালিক। এ জনগণের হৃদয় জয় করেই, সম্মান অর্জন করেই জননেতা হতে হয়। ‘জননেতা’ চারপাশ ঘিরে থাকা চাটুকার নয়, অগণিত জনগণ মনের গভীর থেকে উচ্চারিত হয়।

হে ক্ষমতাবান সরকারি কর্মকর্তাগণ! জনগণের টাকায় দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার পর এ চেয়ার সাময়িক সময়ের জন্য দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতার দম্ভে মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের ফাইল আমলাতন্ত্রের জটিলতায় আটকে রাখার জন্য নয়। জনগণের সেবক হিসেবে, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে জনগণের করের টাকায় বেতন-ভাতা, গাড়ি-বাড়ি, বিদেশ ভ্রমণের বিলাসী জীবন যাপনের বিনিময়ে মানুষকে উপেক্ষা করা নয়। অবজ্ঞা করা নয়, দরজার বাইরে বসিয়ে রাখা নয়। সংবিধান অনুযায়ী অর্পিত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সরকারের গণকল্যাণমুখী সব কর্মকান্ড দ্রুত সম্পাদন ও বাস্তবায়নের জন্য এ ক্ষমতা। ক্ষমতা গর্বিত অভিষেকের কিছু নেই। হে ক্ষমতাবান আমলাগণ! জনগণের দিকে তাকাও। মাথা নত করে দেখ ক্ষমতার মালিকরা দেশের জন্য কতটা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে। এ দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে একজন শিল্পপতি থেকে শ্রমিক পর্যন্ত দিবা-রাত্রী কাজ করছে। একেকটি শিল্পকারখানায় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার কারণে সরকারের চেয়ে বেসরকারি খাতে বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগই হয়নি, সেখানে দেশের মেধাবী সন্তানরা তাদের সর্বোচ্চ শ্রম দিচ্ছে। সেসব প্রতিষ্ঠান যত শক্তিশালী হবে যত বড় হবে ততই দেশের অর্থনীতিই নয়, মানুষের ভাগ্যের দুয়ারও প্রশস্ত হবে।

হে ক্ষমতাবান মন্ত্রীগণ! বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকে বিশ্বসেরা মন্ত্রীর খেতাব নিয়ে এলে মানুষ আনন্দিত হয়, গর্বিত হয়। কিন্তু দেশের অর্থনীতিতে শৃঙ্খলা ফিরে না এলে সেই আনন্দ ধূসর হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের লড়াইয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ব্যাংক খাতে ঋণের সুদ সিঙ্গেল ডিজিটে কার্যকরের সিদ্ধান্ত অবশেষে হলেও এখনো ব্যাংক লুটেরাদের আইনের আওতায় আনা যায়নি। আইন শুধু গরিবের জন্য নয়, আইনের খড়্গ শুধু সরকারি দলের দুর্বল কর্মী আর সরকারবিরোধী নেতা-কর্মীদের ওপর প্রয়োগের জন্য নয়; আইনের শাস্তি সব অপরাধীর জন্য সমান। দেশের অর্থনীতিকে হাতে গোনা কয়েকজনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমাজের বৈষম্য কমিয়ে আনতে মুক্তিযুদ্ধের রক্তে লেখা সংবিধান উপহার দেননি। বিশ্বমোড়লদের সামনে দাঁড়িয়ে দুর্ধর্ষ সাহস নিয়ে বলেননি তিনি শোষিতের পক্ষে। দেশের অর্থনীতিকে লুটপাট করে অবৈধ পথে বিপুল অর্থ-সম্পদ গড়ে যারা বিদেশে পাচার করেছে তাদের আইনের রশিতে এখনো বাঁধা যায়নি। এখনো টানা ১০ বছর ধরে শেয়ারবাজার লুটেরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ দূরে থাক, লাখ লাখ রিক্ত-নিঃস্ব বিনিয়োগকারীর ক্রন্দন ক্ষমতাবানদের হৃদয় স্পর্শ করেনি। শেয়ারবাজারে রিক্ত-নিঃস্ব বিনিয়োগকারীরা স্তব্ধ হয়ে গেছে লোকসান গুনতে গুনতে। প্রতিদিন বাজার পড়তে পড়তে মূলধন থেকে ৪৭ হাজার কোটি টাকা কারসাজি করে লুটে নিয়ে শেয়ারবাজারে কবরের নিস্তব্ধতা এনে দেওয়া হয়েছে। বিএসইসি থেকে ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের অথর্ব নেতৃত্ব চরম ব্যর্থ। ব্রোকার হাউসের মালিকদের যে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে নিজেদের নিঃস্ব করে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার মুখে সেখানে কোনো আশ্বাসের বাণীও নেই। হে দায়িত্বশীল ক্ষমতাবানগণ! দেশের অর্থনীতির প্রতিফলন ঘটে পুঁজিবাজারে। যাদের অডিট রিপোর্ট পর্যন্ত নেই তাদের বাজে কোম্পানির শেয়ার বাজারে আনল কারা? সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের দায়িত্বটা কী? ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ও ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশনের তথাকথিত নেতার আসনে বসা নির্লজ্জ-বেহায়া নেতৃত্ব করছেটা কী?

হে ক্ষমতাবানগণ! মাথা নত করে জনগণের দিকে তাকাও। জনগণ ক্ষমতার মালিক, জনগণের কল্যাণে তোমাদের সব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন দায়িত্বে বসানো হয়েছে। মুজিবকন্যার উন্নয়নের মহাকর্মযজ্ঞে দুর্নীতির যে মহোৎসব চলছে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের সে বীভৎস চিত্রই উঠে আসছে না অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের লোভী ব্যর্থ প্রশাসনের দেউলিয়াত্বও দৃশ্যমান হয়েছে। দেশের এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যেটি নড়বড়ে দুর্বল হয়ে পড়েনি। রাজনীতিবিদ ও তাদের কর্মীদের চেয়েও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি আমলা, চিকিৎসক, প্রকৌশলীদের মধ্যে দলবাজির নজিরবিহীন দৌরাত্ম্য প্রতিযোগিতামূলকভাবে বেড়েছে। গণমাধ্যম থেকে সিভিল সোসাইটি, লেখক-কবি-সাহিত্যিকরাও নানা মতলবে দলকানা-দলদাসের মেরুদন্ডহীন প্রতিযোগিতার ভিড়ে হারিয়ে গেছেন। জনগণের প্রতি দায়দায়িত্ব ভুলে গিয়ে ব্যক্তিস্বার্থে অন্ধের জীবন যাপন করছেন। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার চেয়েও বড় আওয়ামী লীগার হয়ে গেছেন বিগত এগার বছরের সব পেশাজীবী। বেগম খালেদা জিয়ার চেয়েও বড় বিএনপি হয়ে গেছেন এ পথের আরেক পক্ষ। ক্ষমতার মালিক মানুষের দিকে তাকানোর, মানুষের মনের কথা শোনার সময় কারও নেই।

অনেক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের নিশ্চিন্ত আরাম-আয়েশের জীবনযাপনের সুখের ঠিকানা হলেও সেসব প্রতিষ্ঠান সংবিধান ও আইন-বিধি-বিধানের ওপর জনগণের প্রতিষ্ঠান হিসেবে দলবাজির ঊর্ধ্বে শক্তিশালী করার, মানুষের আস্থায় নেওয়ার কোনো চেষ্টা নেই। এভাবে ক্ষমতার মালিক জনগণের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়ে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। একজন ছাত্রীর ধর্ষণ ঘটনা নিয়ে যে প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেখান থেকে বুঝতে হবে যে কোনো অন্যায় বা উদাসীনতায় তারুণ্য যে কোনো সময় দ্রোহ করে বসতে পারে। ক্ষমতা শপথ ভঙ্গ করলে মানুষের আস্থার শেষ চিহ্নটুকুও হারিয়ে যায়। ক্ষমতা শপথ, সংবিধান আইন ভাঙলে জনগণও দ্রোহ করে সব ভেঙে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এটাই ইতিহাস। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিরপেক্ষ প্রতিযোগিতামূলক উৎসবমুখর পরিবেশে হোক- এমনটি সবাই চায়। মানুষ নির্বিঘ্নে ভোটদান করুক। বিজয়ীরা এসে একটি নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন মশা ও যানজটমুক্ত নগরী নগরবাসীকে উপহার দিন, এটাই মানুষের প্রত্যাশা। নির্বাচন কমিশনের প্রতি যত না আশা তার চেয়ে বেশি আশা সরকার ও প্রশাসনের প্রতি। মানুষের এ আশাটুকু মুজিববর্ষের সূচনায় পূরণ হোক। মুজিববর্ষের শুরুতে ঢাকা নগরীর এ ব্যালটযুদ্ধে সরকারি দল হারলেও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কিছু হবে না। দুই বর্ষীয়ান নেতা আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদকে দুই দিকের দায়িত্ব দিয়েছে সরকারি দল। এ ভোট অবাধ-নিরপেক্ষ উৎসবের ভোট হোক। দমন-পীড়ন-আতঙ্কের নয়। ভোটারবিহীন নয়।

হে ক্ষমতাবানরা! মাথা নত করে ক্ষমতার মালিক জনগণের দিকে তাকাও। মনে কর দেশের প্রতিটি মানুষ তোমার দিকে তাকিয়ে বলছে মাথা নত করে আমার দিকে তাকাও, আমিই জনগণ। আমিই ক্ষমতার মালিক। জনগণ হাসতে হাসতে কর দিচ্ছে। জনগণ অবলীলায় ভ্যাট দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা উজাড় করে উন্নয়ন দিচ্ছেন। সেই উন্নয়নের বরাদ্দ লুটপাটের দুঃসাহস যারা করছে তাদের পাকড়াও কর। মুজিববর্ষে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষকে জাগাও। ক্ষমতাবানদের সতর্ক কর। দেশজুড়ে মেগা প্রকল্প সড়ক-মহাসড়ক-সেতু-কালভার্ট, বড় বড় ভবন, হাসপাতাল উন্নয়নের মহাকর্মযজ্ঞ চলছে। শিক্ষাঙ্গনে একের পর এক ভবন হচ্ছে। হাসপাতালগুলোয় অত্যাধুনিক মেশিন যাচ্ছে। হে ক্ষমতাবান মন্ত্রী -আমলাগণ! ঠিকাদারদের সঙ্গে এসব ভবন ও মেশিনে কারা লাভবান হচ্ছেন জানি না কিন্তু হাসপাতালে যখন চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান থাকেন না, শিক্ষাঙ্গনে যখন চরম শিক্ষক সংকট তখন এসব ভবন আর অত্যাধুনিক মেশিন জনগণের কল্যাণে আসে না। সুনামগঞ্জ জেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জুবিলি হাইস্কুল ১৩৬ বছরে পুরনো। সেখানে প্রধান শিক্ষকসহ অনেক শিক্ষক সংকট রয়েছে। সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয়েও প্রধান শিক্ষকসহ অনেক শিক্ষক নেই। ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে ৬২ জন চিকিৎসকের জায়গায় মাত্র ১২ জন চিকিৎসক আছেন। আর নার্সের অপ্রতুলতার মধ্যে ২২ জনকে সেদিন বদলি করে দেওয়া হয়। টেকনিশিয়ান অপ্রতুল।

হে ক্ষমতাবানরা! দলবাজিতে ব্যক্তিস্বার্থে নানা মতলবে ডুবে থাকলেই হবে না, মানুষের কল্যাণে উন্নয়ন মনিটরিং ও জনগণের সেবা ঠিকমতো যাচ্ছে কিনা সেই প্রশ্নে ঘুম ভাঙতে হবে। হে ক্ষমতাবানরা! তোমরা চিরস্থায়ী নও। ক্ষমতা কখনো চিরস্থায়ী হয় না। আজকের ক্ষমতা কালকেই তাসের ঘরের মতো ভেসে যায়। থাকে রাষ্ট্র ও জনগণ। অতএব জাতির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর এ শুভক্ষণে তাঁর মহান নির্লোভ আত্মত্যাগের গভীর দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি অকুণ্ঠ ভালোবাসা জাগ্রত করে ইবাদতের মতো সততার সঙ্গে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের জায়গা থেকে সব দম্ভের বিষ ঝেড়ে ফেলে মানুষের দিকে তাকাও। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নিয়ে কাজ করার বিকল্প নেই। এ জনপদের প্রতিটি জনগণ তার গণতান্ত্রিক অধিকার যেমন ভোগ করতে চায়, তেমনি ধর্মবর্ণনির্বিশেষে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উন্নত আধুনিক বাংলাদেশ দেখতে চায়। এখানে মানুষ ন্যায়বিচার চায়। ক্ষমতার দম্ভে সুবিধাবাদী মতলববাজ দুর্নীতিবাজ খুনি ও ধর্ষকদের উল্লাস দেখতে চায় না। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর অস্ত্রের জোরে খুনিদের বিভীষিকাময় উল্লাস দেখেছে বাংলাদেশ। একাত্তরের হানাদার বাহিনীর দোসরদের গাড়িতে শহীদের রক্তে আঁকা পতাকা শোভিত ক্ষমতার বিকৃত দম্ভ দেখেছে রক্তে ভেজা দেশ। সব সময় দুর্নীতিবাজদের উল্লাস দেখতে হয়েছে। দুর্নীতিবাজ ও সুবিধাবাদীদের এ উল্লাস বড় বেশি তীব্র হয়ে উঠেছে আজ। দুর্নীতি ও সুবিধাবাদী এ দানবশক্তিকে রুখে দিয়ে মানুষের কল্যাণের গণতান্ত্রিক ও সুশাসনের রাজনীতির সময় এখন দরজায় কড়া নাড়ছে। হে ক্ষমতাবানগণ! মাথা নত করে জনগণের হৃদয়ের এই আকুতি শোনো। বল, মহান মুজিবের ডাকে একদিন ত্যাগের মন নিয়ে দেশের জন্য ঝাঁপ দিয়েছিলাম। আজ ঘুষ-দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদমুক্ত স্বপ্নের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে সেই ঐক্যের মোহনায় মিলিত হই। ক্ষমতার মালিক জনগণের দিকে মাথা নত করে তাকাই। জনগণই শেষ কথা। সকল ক্ষমতার উৎস।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
বিএনপির জিরো টলারেন্স
বিএনপির জিরো টলারেন্স
পবিত্র আশুরা
পবিত্র আশুরা
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
উজানির মা ও ভাটার টান
উজানির মা ও ভাটার টান
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
থানায় হামলা
থানায় হামলা
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
সর্বশেষ খবর
ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা
ইরানে যেভাবে পালিত হয় আশুরা

৩৭ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

আশুরার দিনের ফজিলত
আশুরার দিনের ফজিলত

৪৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ফাতেমা (রা.)-এর পাঁচ সন্তান
ফাতেমা (রা.)-এর পাঁচ সন্তান

৫১ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

আশুরা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি
আশুরা সম্পর্কিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যে কন্যাকে গোপন কথা বলতেন নবীজি (সা.)
যে কন্যাকে গোপন কথা বলতেন নবীজি (সা.)

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

৫৪ বছর পর গাভাস্কারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন গিল
৫৪ বছর পর গাভাস্কারের রেকর্ড ছাপিয়ে গেলেন গিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইসলামে শোক পালনের সীমারেখা
ইসলামে শোক পালনের সীমারেখা

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’
মুক্তির আগেই রেকর্ড গড়লো হৃতিকের ‘ওয়ার ২’

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো
যে কারণে জোতার শেষকৃত্যে উপস্থিত হননি রোনালদো

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল
শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১
পাকিস্তানে ভবন ধসে নিহত বেড়ে ২১

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ আব্দুল্লাহর ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
শহীদ আব্দুল্লাহর ক্যান্সার আক্রান্ত ভাইয়ের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে
অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ তলানিতে

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা
মবে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা

৪ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পায়ের গোড়ালি ভেঙে ছিটকে গেলেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা
পায়ের গোড়ালি ভেঙে ছিটকে গেলেন বায়ার্ন তারকা জামাল মুসিয়ালা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি
নয়জনের দল নিয়েই বায়ার্নকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পিএসজি

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১
মিশরে দুই মিনিবাসের সংঘর্ষে ৯ জন নিহত, আহত ১১

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি
তানভীরের জবাব: ক্যাপ্টেনের ভরসাই আত্মবিশ্বাসের চাবিকাঠি

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান
নতুন বাংলাদেশে নাটোরকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ
শেখ হাসিনা ক্রীড়াঙ্গনকেও কলুষিত করেছে: হাফিজ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল
দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট
উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা
লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ
হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!
আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ
৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!
বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!

২১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান
এখনও এফ-৩৫ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী এরদোয়ান

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন
যাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে তারাই পিআর নির্বাচন চায় : সালাহউদ্দিন

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’
‘ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাজিত বাংলাদেশ
অপরাজিত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

লাকসামের এরশাদ শিকদার
লাকসামের এরশাদ শিকদার

প্রথম পৃষ্ঠা

৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে
৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে
নওগাঁয় মালয়েশীয় তরুণী বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে

পেছনের পৃষ্ঠা

অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা
অর্থে স্বাস্থ্যে চড়া মূল্য দিচ্ছে ক্রেতা

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা
আতঙ্কে এনবিআর কর্মকর্তারা

নগর জীবন

ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে
ইনকিউবেটরের অজগর যাচ্ছে বনে

নগর জীবন

মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু
মধুবালা-মীনা কুমারী - বন্ধু থেকে কেন শত্রু

শোবিজ

রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়
রোমাঞ্চকর চন্দ্রগিরি পাহাড়

পেছনের পৃষ্ঠা

নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য
নাটকে ইংরেজি ও উদ্ভট নামের প্রাধান্য

শোবিজ

দেখা হবে এশিয়ান কাপে
দেখা হবে এশিয়ান কাপে

মাঠে ময়দানে

বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা
বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক
বিবস্ত্র করে দেওয়া হতো ইলেকট্রিক শক

প্রথম পৃষ্ঠা

তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা
তানভির জাদুতে সিরিজে সমতা

মাঠে ময়দানে

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ

মাঠে ময়দানে

ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের
নতুন সংবিধান ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি নাগরিক মঞ্চের

নগর জীবন

ডিজে তানিয়া বৃষ্টি
ডিজে তানিয়া বৃষ্টি

শোবিজ

বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ
ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব
ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব

মাঠে ময়দানে

আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

সম্পাদকীয়

১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা
বাংলাদেশি গীতিকার-সুরকারের গানে হৈমন্তী শুক্লা

শোবিজ