রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

কর্ণফুলীতে বঙ্গবন্ধু টানেল

যোগাযোগ ক্ষেত্রে দেবে বহুমুখী সুফল

কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ শেষ হলে চট্টগ্রাম চীনের সাংহাইয়ের মতো ওয়ান সিটি টু টাউনে পরিণত হবে। ঢাকার সঙ্গে পর্যটন নগর কক্সবাজারের দূরত্বও বঙ্গবন্ধু টানেলের কারণে ৫০ কিলোমিটার কমে যাবে। এ টানেল চালু হলে ঢাকার যানবাহনগুলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুন্ডের ফৌজদারহাট হয়ে বন্দর টোল রোড-নির্মাণাধীন আউটার রিং রোড-পতেঙ্গা হয়ে কর্ণফুলী টানেল ব্যবহার করলে পথ কমবে প্রায় ১৫ কিলোমিটার। তা ছাড়া কর্ণফুলী টানেল হয়ে আনোয়ারা উপজেলার সিইউএফএল ঘাট-চাতরি-চৌমুহনী-বাঁশখালী-পেকুয়ার মগনামা হয়ে সরাসরি কক্সবাজার সদরে যুক্ত হতে সড়ক কমবে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে ঢাকা-কক্সবাজার যাতায়াতে দূরত্ব কমবে প্রায় ৫০ কিলোমিটার। বর্তমানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে পতেঙ্গার আউটার রিং রোডের কাজ চলছে। পক্ষান্তরে আনোয়ারা-বাঁশখালী-পেকুয়া হয়ে কক্সবাজারের বিকল্প সড়ক নির্মাণে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছে। তা ছাড়া নতুন করে তৈরি হবে টানেল থেকে কালাবিবি দীঘি হয়ে ক্রসিং পর্যন্ত সড়ক। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল খননকাজ উদ্বোধন করেন। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীন অর্থায়ন করছে প্রায় ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। কর্ণফুলীর নিচের টানেলকে আরও একটি কারণে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। নদ-নদীতে সেতু নির্মাণে নদীশাসনের প্রয়োজন হয়। এর ফলে নদীর স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হয়। সেতুর পিলারও নদীর গতিপথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। নদীর নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ পথে যাতায়াত-ব্যবস্থা গড়ে তুললে সে ধরনের আশঙ্কা কম থাকে। নিরাপত্তার দিক থেকেও এ পদ্ধতি সেতুর চেয়ে এগিয়ে। কর্ণফুলী নদীতে বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের পর এর অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে নির্মিতব্য দেশের সব টানেলের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে। বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের ফলে চট্টগ্রাম মহানগরের পরিধি অনেক বেড়ে যাবে। চট্টগ্রাম মহানগরের অন্য পাশে পরিকল্পিত উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

সর্বশেষ খবর