শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২০ আপডেট:

‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’

পটুয়া কামরুল হাসান ’৭১-এর গণহত্যার নায়ক মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট লম্পট মাতাল ইয়াহিয়া খানের বিকৃত ছবির পোস্টার করেছিলেন ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’। সেই ইয়াহিয়া খানের হানাদার বাহিনীর গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ ও গণধর্ষণের বিভীষিকা ইতিহাসজুড়ে এখনো বহমান। আমাদের আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বেদনা এখনো হৃদয় থেকে মুছে যায়নি। মুক্তিযুদ্ধের মহান বীরত্বের বিপরীতে যে আত্মত্যাগ যে রক্তপাত যে ক্ষয়ক্ষতি ও ধর্ষণের ভয়াবহতা তা আমাদের হৃদয়ে দগদগে ঘায়ের মতো। এখনো পোড়ায়। এ যন্ত্রণার আগুন এ বিভীষিকার দিনগুলো কখনো ভোলার নয় বলে দেশপ্রেমিক জাতি বর্বর পাকিস্তানকে এখনো ক্ষমা করতে পারেনি। সেদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দীশালায় ধর্ষিতা বীরাঙ্গনা নারীদের পরিবার, সমাজ আশ্রয় পর্যন্ত দেয়নি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, তাদের লিখে দিতে পিতার নাম শেখ মুজিবুর রহমান, ঠিকানা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর। ’৭১ সালের ২৩ মার্চ শহীদ মিনারে ইয়াহিয়া খানের ১০টি বিকৃত ছবি ঝুলছিল। পটুয়া কামরুল হাসানের ছবিগুলোর নিচে লেখা ছিল ‘এই জানোয়ারটা আবার আক্রমণ করতে পারে’। ২৫ মার্চের গণহত্যার কালরাতের পরদিন ছবিগুলো থাকল তবে নিচের লেখা বদলে হলো ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’।

কিন্তু একটি স্বাধীন দেশের ৫০ বছর পরে এসে যখন দেখি গোটা দেশ ধর্ষকদের উল্লাসমঞ্চে পরিণত তখন মনে হয় সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ে পতিত দেশে অপরাধপ্রবণ যৌন বিকৃত একদল পুরুষ অবলীলায় ভুলে গেছে ’৭১-এ তার মা-বোনেরা হানাদার বাহিনীর ধর্ষণের শিকার হয়ে কি অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করেছে। দেশে দেশে আশ্রিত যুদ্ধশিশুরা এখনো তার মায়ের আবাসভূমি দেখতে আসে। আমরা কথায় কথায় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহান আদর্শের কথা বলি, জাতীয় বীরদের সাহসী অভিযানের গল্প বলি। কিন্তু সেসব আদর্শ কারও হৃদয় ও চেতনায় সমাজ-জীবনে বাস্তবায়ন করি না বলে, অনুসরণ করি না বলে যখন যারা ক্ষমতায় থাকি এতটাই অন্ধ হয়ে যাই যে যৌন বিকৃতদেরও রাজনীতিতে আশ্রয় দিই। একেকটি এলাকায় বারো ভূঁইয়ার শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে আদর্শহীন রাজনীতির মোড়লরা সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ দখলদার থেকে ভয়ঙ্কর সব ধর্ষককে লালনপালন করি। এতে তারা এতটাই বেপরোয়া হয়ে ওঠে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা থেকে রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিসমূহ তাদের প্রতিরোধ করতে পারে না। এদের আশ্রয়দাতারা অনেক প্রতাপ ও শক্তিশালী এবং অর্থনৈতিক বাণিজ্যের গুরু হয়ে ওঠায় পাপকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্ট চলে। একেকটি জায়গায় একেকটি বর্বরতার বিরুদ্ধে অনুভূতিহীন সমাজের বাসিন্দারাও প্রতিবাদের ঝড় তোলেন না। যদিও বেগমগঞ্জের জানোয়ারদের পাশবিকতার পর সমাজ ঘুম থেকে জেগেছে। তারুণ্য প্রতিবাদে নেমেছে। এখানে পুলিশি হামলা গ্রহণযোগ্য নয়। নারীরা প্রতিবাদে ঘৃণায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রোফাইল ছবি সরিয়ে কালোতে ঢেকেছেন। আমি বলি কালো কেন? আলোকিত সমাজের জন্য কালো সরিয়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বালান। ধর্ষকদের ছবি ছড়িয়ে দিন।

সবকিছু নিয়ে রাজনীতি চলে না। অন্যায়, পাপাচার ও ব্যভিচারের বিরুদ্ধে সব মহলকে এগিয়ে আসতে হয়। সরকার যেমন দায় এড়াতে পারে না তেমনি বিরোধী দলও সরকারের কাঁধে দায় চাপিয়ে তৃপ্তি লাভ করতে পারে না। দায়টা সবাইকে নিতে হয়। দেশটা সবার। একটা সময় পরিবারের বখে যাওয়া সন্তানকে ত্যাজ্যপুত্র করা হতো। আত্মীয়-স্বজন পাড়াপড়শি বয়কট করত। একালে পরিবারের সন্তান বখে গেলে নষ্ট সংঘবদ্ধ চক্র নিয়ে ঔদ্ধত্যের সঙ্গে দাম্ভিক আচরণে সমাজে অন্যায় অসংগতি করলে তাকে সবাই সমীহ করে। পরিবার আত্মীয়-স্বজন তাকে নিয়ে গর্ব করে। গাড়িটি কোথা থেকে পেল, মোটরসাইকেল কোথা থেকে এলো, পকেটে এত টাকা কোথা থেকে আসে, মাদকের আসক্তির শিকার কীভাবে হলো, নারীর সম্ভ্রম নিয়ে কতটা বিকৃত আচরণ করল তা নিয়ে কেউ ভাবে না। একসময় বাড়ির মেধাবী ছেলেটিকে মাছের মাথা তুলে দেওয়া হতো। এখন পরিবারসহ আশপাশে সবাই সমীহ করে উগ্র বেয়াদব বখাটেকে। যে নেতাদের সঙ্গে মোটরসাইকেল মহড়ায় ব্যস্ত সময় যত কাটায় তার কদর বেশি হয়। এভাবেই গোটা সমাজটাকে চোখের সামনে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। রাজনীতি মানেই আদর্শ নয়, ত্যাগ নয়, ভোগ, ক্ষমতা, অর্থ- এটাই জানে সবাই। মানুষের সামনে বা সমাজে আদর্শ রাজনীতিবিদ বা আইডলের চরম ঘাটতি দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ এলাকার এমপি নিজেদের অর্থনৈতিক বাণিজ্যের রাজত্ব তৈরি করতে গিয়ে এলাকাভিত্তিক তরুণদের বিপথে পরিচালিত হওয়ার তালিম ও আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। একা মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা লড়াই করে কী করবেন? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একটি অপরাধপ্রবণ সমাজকে কতটা সামাল দেবে? রাজনীতি ও সমাজে আদর্শিক মূল্যবোধ ও সততার নীতি ফিরিয়ে না আনতে পারলে সামনে ভয়ঙ্কর দিন। আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটিতে দলে অনুপ্রবেশকারী সুবিধাভোগী ও নেতাদের দ্বারা মাইম্যান সৃষ্টির যে নোংরা রাজনীতির আবির্ভাব ঘটানো হয়েছে এক দশকে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছ। শাসকদল আওয়ামী লীগ তার প্রতিটি জেলা কমিটি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কমিটি নিয়ে যদি এক মাস গবেষণা করে তাদের অতীত নিয়ে, পরিষ্কার দেখতে পাবে কীভাবে কমিটি-বাণিজ্য থেকে মাইম্যান সৃষ্টির ঘটনা ঘটেছে।

সামরিক শাসকরা যুবসমাজ ও রাজনীতিকে কলুষিত করেছিলেন, নেতাদের এ অভিযোগে দেশের হাজার হাজার তরুণ তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে সামরিক শাসনের কবল থেকে দেশকে মুক্ত করলেও গণতন্ত্রের জমানায় সেই ধারাবাহিকতা আরও কত শক্তিশালীভাবে তৃণমূল থেকে সর্বত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে সেটিও দেখা যায়। ১০ বছর আগে ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের যে নেতাদের জীবনযাত্রায় ছিল রুগ্নদশা, চরম আর্থিক সংকট আজ তাদের অনেকে কীভাবে অঢেল অর্থ-বিত্তের মালিক আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী দলের তদন্ত সাপেক্ষে পোস্টমর্টেম অনিবার্য। আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন ‘রাজনীতি করলে দুর্নীতি ছাড়েন, দুর্নীতি করলে রাজনীতি ছাড়েন’। এমন নিরেট সত্য কার্যকর করতে অসুবিধা কোথায়? দলের দুর্নীতিবাজদের পাকড়াও করলে সারা দেশের দুর্নীতিবাজদের পাকড়াও করা সহজ হয়ে যাবে। দুর্নীতির সঙ্গে কাঁচা টাকার যে সম্পর্ক তার সঙ্গে নেপথ্য ক্ষমতার দম্ভ আজ মানবকে দানবে পরিণত করছে। বিএনপি যে কোনো ঘটনায় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে! তারা কি কখনো তাদের অভিশপ্ত ভয়াবহ শাসনামলের আত্মসমালোচনা করেছে। এখনো কি দলকে উপযুক্ত জায়গায় মনে করে? ২০০১ সালে তারা তো ক্ষমতার অভিষেকই ঘটায় ধর্ষণ-হত্যার বর্বরতায়।

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে নববধূকে ছাত্রলীগ নামধারী নয় তরুণ যেভাবে পাশবিক কায়দায় গণধর্ষণ করেছে, এতে সারা দেশ আর্তনাদ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত এদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছে। এদের গুরুরা এমসি কলেজ টিলাগড় এলাকায় বছরের পর বছর যে মাফিয়া ডনের মতো সাম্রাজ্য গড়েছিলেন অপরাধ জগতে তাদের সেসব গডফাদারকে রাজনীতি থেকে অব্যাহতি দিয়ে আইনের আওতায় আনা উচিত। না হয় আইনের শাসনের পথে এ দানবশক্তি বাধা হয়েই দাঁড়াবে না, তাদের ধর্ষণ থেকে জায়গা দখল চাঁদাবাজি ছিনতাইসহ সব অপরাধ অব্যাহত থাকবে। রিমান্ডে ধর্ষকদের কাছ থেকে তাদের রাজনৈতিক বাবাদের নাম নিয়ে তাদেরও গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে পারলে গোটা দেশে এ বার্তা যাবে যে, পাপ বাপকেও ছাড়ে না। পাপ করে পার পাওয়া যায় না।

সিলেটের গণধর্ষণের ভয়াবহতার দগদগে ঘায়ের যন্ত্রণা মানুষ ভুলে যেতে পারেনি। অসহনীয় যন্ত্রণা শেষ না হতেই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে তার ঘরে প্রবেশ করে উন্মত্ত হিংস্র যৌন বিকৃত দানবরা স্বামীকে বেঁধে রেখে নারীর সম্ভ্রমহানি করেছে। এক মাস আগে ঘটে যাওয়া সেই বর্বরতার দৃশ্য পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর বর্বরতাকেই স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। তারা নারীটিকে পরনের কাপড় খুলে নিয়ে উলঙ্গ করে ভিডিওই করেনি মুখে শরীরে লাথির পর লাথি মেরেছে। নারীটি করুণ আকুতি জানিয়ে বলেছে ‘বাবারা, আল্লাহর দোহাই আমাকে ছেড়ে দাও’। আল্লাহর আরশ কেঁপে উঠেছে। অসহায় স্বামী আল্লাহর কাছে বিচার চেয়েছেন। জানোয়ারদের দিলে রহম হয়নি। দানবের ভয়ে নারীটির আপন চাচাই এগিয়ে আসেননি। ভয়ে ভয়ে দূরে থেকেছে পাড়াপড়শি। এমন ভয়ঙ্কর হিংস্র জানোয়ারদের দস্যুপনা ও বর্বরতার মুখে মানুষ যেন নপুংসক হয়ে গেছে। চিৎকার করে গ্রামবাসী এগিয়ে আসেনি। নারীটি তার কন্যাকে বিয়ে দিয়ে বাবার বাড়িতে ছিলেন। স্বামী আরেক বিয়ে করায় তিনি বাবার বাড়ি চলে আসেন। সন্তানের বয়সী এ বর্বর ছেলেরা তাকে ভোগের প্রস্তাব দিয়েছিল। নারীটি প্রত্যাখ্যান করায় স্বামীটি বাড়ি এলে তারা এ হামলা চালায়। নির্যাতনের মুখে উলঙ্গ নারীটি তার লজ্জা নিবারণে বিছানার চাদর গায়ে জড়িয়ে রাখতে চাইলে সেটিও তারা কেড়ে নেয়। এমনকি তার যৌনাঙ্গে টর্চলাইট প্রবেশ করিয়ে দেয়। তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী জমিদার পরিবারের গৃহবধূ কমিউনিস্ট বিপ্লবী ইলা মিত্রকে ৭ জানুয়ারি, ১৯৫০ সালে গ্রেফতার করে পাকিস্তানি পুলিশ তার ওপর বর্বর অত্যাচার চালায়। সেই রোমহর্ষক ঘটনায় নির্যাতনের একটি ছিল তার গোপনাঙ্গে চারটি গরম ডিম প্রবেশ করানো। যার ফলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। সেই বর্বরদের প্রেতাত্মারাই যেন আজ স্বাধীন দেশে সমাজজুড়ে সর্বত্র বিরাজমান। বেগমগঞ্জের সেই জানোয়াররা ভয়ঙ্কর রাতে নির্যাতিতা উলঙ্গ নারীটির ভিডিও করে এনে তাকে বারবার টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। নারীটি ভয়ে বাবার বাড়ি থেকেও পালিয়ে যান। তাকে না পেয়ে সেই যৌন বিকৃত তরুণরা ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়। ঘটনার এক মাস পর ভিডিও তোলপাড় সৃষ্টি করলে পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেয়। এর আগে এ দানবীয় ভয়াবহতার খবর বের করতে রাজনৈতিক প্রশাসনিক, সামাজিক ও গণমাধ্যমের শক্তি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। মহামান্য হাই কোর্ট ভিডিওটি সরিয়ে দিতে যথার্থ নির্দেশ দিয়েছেন। এটি নারীকেই প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত করে না যারা দেখছিলেন তাদের হৃদয়-মন ক্রন্দন করে উঠছিল। কেউবা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। সভ্য সমাজে এ জানোয়ারদের এমন পাশবিকতা চলতে পারে না। যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষিতাকে আমৃত্যু অপমান বহন করতে হয়। কত ঘটনা আড়ালেই থেকে যায়। যারা যৌন নিপীড়ক-ধর্ষককে ঘেন্না করতে পারছে না তারাও মানুষ না।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের গণনির্যাতনের প্রধান আসামি দেলোয়ারের নামে মামলা করার সাহস পায়নি কেউ। নিশ্চয়ই তার নেপথ্যে কোনো রাজনৈতিক ক্ষমতাধরের সমর্থন রয়েছে। এটি খতিয়ে দেখা দরকার। র‌্যাব দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ আটক করেছে। আরেক জানোয়ার বাদলও আটক হয়েছে। নয় জানোয়ারই আটক হবে। আটক করার পর এই জানোয়ারদের আজ এনকাউন্টার চাই। পৃথিবীর অনেক দেশে প্রকাশ্যে শির-েদ থেকে গুলি করে হত্যার দ- এবং ফাঁসির বিধান রয়েছে। এ দেশে বিচারের দীর্ঘসূত্রতা, ভয়ে সাক্ষ্য দিতে অপারগতায় অনেক সময় দুর্ধর্ষ অপরাধীরা আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে আসে। মানবাধিকার নেতা-নেত্রীরা অনেক কথাই বলেন। গণধর্ষণের শিকার নারী ও কন্যার আজন্মের বেদনা তারা বোঝেন না। যেমন বেগমগঞ্জের দানবরা উপলব্ধি করার ক্ষমতা রাখেনি তারা তাদের মাকে উলঙ্গ করছে। তারা তাদের বোনকে উলঙ্গ করছে। তারা বাংলাদেশের সম্মানকে উলঙ্গ করে দিচ্ছে। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন টকশোতে কাকে যেন চরিত্রহীন বলায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে একদল নারী তার বিচার চেয়েছিলেন। কেউ ঝাড়ুমিছিল, কেউ দেশজুড়ে মামলা দিয়েছিলেন। মইনুল হোসেন পচা শামুকে পা কেটে জেল খেটে এসে চুপ হয়ে গেছেন। কিন্তু সেই প্রতিবাদী নারীদের দেশজুড়ে এমন ভয়াবহ ধর্ষণের বিচার চাইতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে সংবাদ সম্মেলন বা সভা করতে দেখা যায় না। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবেন সেই রুচি তো তাদের নেই। বিবেক তাদের অন্ধ হয়ে গেছে। মনে রাখতে হবে অন্ধ হলেও প্রলয় বন্ধ থাকে না। আমি এই জানোয়ারদের এনকাউন্টার চাই। গণতান্ত্রিক ভারতসহ অনেক দেশেই অপরাধীদের সীমাহীন ঔদ্ধত্য ও বর্বরতার আগ্রাসন থেকে সমাজের শান্তি রক্ষায় এনকাউন্টার চালু আছে। আমাদের র‌্যাবের ক্রসফায়ার নিয়ে দেশ-বিদেশে অনেক বিতর্ক হয়েছে। সেটি নিয়ে ভাবলে হবে না। এখানে ক্রসফায়ার অনিবার্য ছিল। শীর্ষ সন্ত্রাসীরা একেকটি সাম্রাজ্য বানিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যে চাঁদা নিয়মিত নিতে নিতে জিম্মি করেছিল সেটি বন্ধ হয়েছে ক্রসফায়ারে। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেখানে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধ নিয়মিত হচ্ছে, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ দমনে যেখানে ক্রসফায়ারের বিকল্প নেই সেখানে এ উন্মত্ত জানোয়ার ধর্ষকদের কালো থাবা থেকে, বিকৃত লালসা থেকে নারী ও শিশুদের ধর্ষণ থেকে মুক্তি দিতে এই জানোয়ারদের আটকের পরই এনকাউন্টার বৈধ করে দেওয়া উচিত। সমাজে আজ ধর্ষণ কে না, ধর্ষককে এনকাউন্টার স্বীকৃতি পাচ্ছে। ভারতের বিধানসভার সদস্য হয়েছিলেন দস্যুরানী ফুলন দেবী। তাকে নিয়ে সিনেমা হয়েছিল বন্দিত্ব কুইন। সন্ত্রাসের শিকার হয়ে জীবন দিয়েছেন কিন্তু জীবনকে তিনি প্রতিবাদ ও প্রতিশোধের রুদ্রমূর্তিতে দাঁড় করিয়েছিলেন। দলিত সম্প্রদায়ের মেয়ে ফুলন দেবীকে ২৩ দিন ধরে উচ্চবর্ণের মাতবররা গণধর্ষণ করেছিল। জেলখানার মধ্যেও পুলিশ তাকে ধর্ষণ করেছে। ন্যায়বিচার না পেয়ে অস্ত্রহাতে তিনি দস্যু হয়ে উঠেছিলেন প্রতিশোধের আগুনে। ২২ ধর্ষককে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে মেরেছিলেন। একসময় সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় চম্বলের রানী আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে জনগণের নেত্রী হয়েছিলেন। দেশে আজ গির্জার ফাদার আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। মাদ্রাসার শিক্ষক ও ইমামদের হাত থেকেও শিশু কন্যারা এমনকি ছেলেরা রক্ষা পায়নি। নারায়ণগঞ্জের এক ইমাম আল্লাহর প্রতি ভয় রাখেননি বলে কোরআন শরিফ ছুঁয়ে কাউকে বলবে না এ প্রতিজ্ঞা করিয়ে একাধিক মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন দিনের পর দিন। আরেক শিক্ষক ছাত্রী ও মায়েদের ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ করেছেন। বৃদ্ধারা পর্যন্ত বিকৃত জানোয়ারদের লালসা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। কোটালিপাড়ায় নবম শ্রেণির ছাত্রীকে আরেক ছাত্র ধর্ষণ করেছে। রাঙামাটিতে বৃদ্ধের হাতে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষিত হয়েছে। সিলেটে শ্রমিক লীগের নেতা পাঁচ সন্তানের জননীকে ধর্ষণ করেছেন। নারীর প্রতি ধর্ষণ ও পাশবিকতা ঘটলেই সেটি প্রকাশ্যে এনে এই জানোয়ারদের এনকাউন্টারে মেরে ফেলা এখন সময়ের দাবি। এর যাতে অপব্যবহার না হয় সেজন্য ঘটনা দেশবাসীর সামনে আসার পর এনকাউন্টার নিশ্চিত করা উচিত। এরা সমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছে। এই যে করোনাকালের ভয়াবহতায় গোটা দেশ ও সরকার জীবন-জীবিকার লড়াইয়ে মানুষের অর্থনীতির হাল ধরে রাখছে, দেশে যে এত উন্নয়ন কর্মকান্ড হচ্ছে সেখানে মানুষের শান্তির ঘুম হারাম করে দিচ্ছে এই জানোয়াররা। দেশের স্থিতিশীলতার জন্যও অশুভ-অশনি সংকেত। যারা তাদের হাতে পাশবিকতার শিকার হচ্ছে তারা তো মানসিকভাবে পঙ্গু হচ্ছেই, মাঝখানে গোটা দেশের মানুষের মধ্যে মানসিক যন্ত্রণা আতঙ্ক ও বিষাদগ্রস্ততা তৈরি হচ্ছে। এ সমাজ মানবিক আইন বিধি-বিধান অনুসরণ করা মানুষের জন্য নিরাপদ বসবাসযোগ্য করে তুলতে হবে। এভাবে আইন লঙ্ঘন ও পাশবিকতার বেপরোয়া গতি অব্যাহত থাকলে সেই ফুলন দেবীর মতো আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। এটা কারও কাম্য নয়। অন্যায় অপরাধের পরিণতি যে কত ভয়াবহ হতে পারে দেশবাসীর সামনে সেই নজির আজ রাষ্ট্রকে স্থাপন করতে হবে। এ সংখ্যালঘু ধর্ষকদের জন্য পুরুষরা যেমন মাথা নিচু করে চলতে পারে না তেমনি এদের পাশবিকতাও চলতে দেওয়া যায় না। ভারতের ধর্ষিতার বাড়িতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ছুটে গেছেন। ধর্ষিতার মায়ের কাছে মাথা নিচু করে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে ক্ষমা চেয়েছেন। আমাদের দেশে প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায় সরকারি ও বিরোধী দলের কতজন নেতা এভাবে মাথা নত করে ক্ষমা চেয়েছেন?

রাজনীতিবিদদের মনে রাখতে হবে, নিজেকে প্রকৃত রাজনীতিবিদ ভাবলে নির্লোভ, সৎ, আদর্শিক মূল্যবোধে গণমুখী চরিত্র গড়তে হবে। আদর্শিক কর্মী তৈরি করতে হবে। সংবিধান ও আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নন, এটা বিশ্বাস করতে হবে। জনগণকেও আদর্শে ভালোবাসায় পরিশুদ্ধ করে রাজনীতিকে আলোকিত করলে অন্ধকার অশুভ শক্তি বিদায় নেবে।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে সৎমা গ্রেফতার
ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে সৎমা গ্রেফতার

২ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ কর্মীসহ গ্রেপ্তার ১৭
রাজশাহীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ কর্মীসহ গ্রেপ্তার ১৭

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন পাচ্ছে পাকিস্তান, ভারতের আধিপত্যে চ্যালেঞ্জ
অত্যাধুনিক চীনা সাবমেরিন পাচ্ছে পাকিস্তান, ভারতের আধিপত্যে চ্যালেঞ্জ

৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১১
রাজধানীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১১

৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

শাকসু নির্বাচন : খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ বৃহস্পতিবার
শাকসু নির্বাচন : খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ বৃহস্পতিবার

১০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে শুভসূচনা পাকিস্তানের
জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে শুভসূচনা পাকিস্তানের

১২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নারী ক্রিকেটারদের নিয়ে লিঙ্গ সংবেদনশীলতা কর্মশালা
নারী ক্রিকেটারদের নিয়ে লিঙ্গ সংবেদনশীলতা কর্মশালা

১৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মানুষ মৃত্যুর চেয়ে বদনামকে বেশি ভয় করে: জিতু কমল
মানুষ মৃত্যুর চেয়ে বদনামকে বেশি ভয় করে: জিতু কমল

১৪ মিনিট আগে | শোবিজ

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

১৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে : ফখরুল
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে : ফখরুল

২০ মিনিট আগে | রাজনীতি

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

নির্বাচন কমিশনকে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জোনায়েদ সাকির
নির্বাচন কমিশনকে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জোনায়েদ সাকির

২৭ মিনিট আগে | রাজনীতি

মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় কয়েক দফা হামলা ইউক্রেনের
মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় কয়েক দফা হামলা ইউক্রেনের

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
গাজীপুরে কেমিক্যাল কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

৩৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

সাংবাদিক সোহেলকে ডিবি তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা বলল টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়
সাংবাদিক সোহেলকে ডিবি তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা বলল টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়

৪২ মিনিট আগে | জাতীয়

চীনা জাদুঘরে মিলছে তেলাপোকা ও পিঁপড়ার কফি
চীনা জাদুঘরে মিলছে তেলাপোকা ও পিঁপড়ার কফি

৪৩ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

কুষ্টিয়ায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন
কুষ্টিয়ায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের মানববন্ধন

৪৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত
লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিথিলাকে ভোট দেওয়ার শেষ দিন আজ
মিথিলাকে ভোট দেওয়ার শেষ দিন আজ

৫১ মিনিট আগে | শোবিজ

গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর
গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর

৫২ মিনিট আগে | রাজনীতি

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

৫৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

২৮ বছর পর বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে স্কটল্যান্ড
২৮ বছর পর বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে স্কটল্যান্ড

৫৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

লালমনিরহাটে কৃষকের পাকা ধান কেটে দিল জেলা কৃষকদল
লালমনিরহাটে কৃষকের পাকা ধান কেটে দিল জেলা কৃষকদল

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নারীদের পেছনে রেখে পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না : ধর্ম উপদেষ্টা
নারীদের পেছনে রেখে পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না : ধর্ম উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রমজানের আগে ছোলা-খেজুরসহ ছয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে
রমজানের আগে ছোলা-খেজুরসহ ছয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফার্ন গাছেই তৈরি হচ্ছে ‘রেয়ার আর্থ’, চমকপ্রদ আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের
ফার্ন গাছেই তৈরি হচ্ছে ‘রেয়ার আর্থ’, চমকপ্রদ আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

মাদকাসক্তির অভিযোগ বোনের, প্রত্যাখ্যান ফিলিপাইন প্রেসিডেন্টের
মাদকাসক্তির অভিযোগ বোনের, প্রত্যাখ্যান ফিলিপাইন প্রেসিডেন্টের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৭ মাওবাদী নিহত
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৭ মাওবাদী নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৪১ প্রাণ : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৪১ প্রাণ : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’
তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উত্তর কুয়েতে ৭,৭০০ বছরের প্রাচীন ভাটির সন্ধান
উত্তর কুয়েতে ৭,৭০০ বছরের প্রাচীন ভাটির সন্ধান

২২ ঘণ্টা আগে | পরবাস

কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের
কাল থেকে মাউশিতে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষা ক্যাডারদের

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা
এক সময় যারা মানুষকে ফাঁসি দিয়েছে, আজ তাদেরই ফাঁসির রায় হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা
তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা