শনিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

রিজার্ভের অর্থ উদ্ধার

আইনি লড়াইয়ে চাই স্বচ্ছতা ও দক্ষতা

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভের অর্থ চুরির চার বছর পার হলেও বেশির ভাগ অর্থ আদায় এবং এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে না পারা খুবই উদ্বেগজনক। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার ও ফিলিপাইনে যাওয়া ১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার ফেরত আনা সম্ভব হয় কয়েক মাসের মধ্যেই। বাকি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার ফেরত পাওয়া এখনো অনিশ্চিত। নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ বা ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংক কেউ কোনো দায় নিতে রাজি নয়। মার্কিন কোর্টে বাংলাদেশের করা মামলাও টেকেনি। এখন নিউইয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের মামলার রিভিউর ওপর ভরসা করা হলেও অর্থ ফেরত পাওয়ার তেমন কোনো আশা দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ২০১৬ সালের মার্চে মানি লন্ডারিং আইনে যে মামলা হয়েছিল তার তদন্ত করতে দিয়ে কোনো দেশের পক্ষ থেকে তথ্য পাচ্ছে না পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দেশের ভিতরের লোকজন ছাড়াও বাইরের কয়েকটি দেশের ৩০ জনের বেশি দুর্বৃত্তকে শনাক্ত করেছে সিআইডি। এসব ব্যক্তির তথ্য পেতে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে চিঠি চালাচালি হচ্ছে। তবে ফিলিপাইন ছাড়া আর কোনো দেশ এখনো এসব অপরাধীর তথ্য সরবরাহ করেনি। ফিলিপাইন ছাড়াও হংকং, ম্যাকাও, চীন, শ্রীলঙ্কা, মিসর, সিঙ্গাপুর ও জাপানের অপরাধীরা জড়িত এ রিজার্ভ চুরির সঙ্গে। এসব বিদেশি অপরাধীর তথ্য না পাওয়ায় তদন্তের সমাপ্তি টানতে পারছে না সিআইডি। আইনি লড়াইয়ের কোনো পর্যায়ে কোনো ত্রুটি বা গাফিলতি রাখা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের কার বা কাদের অবহেলা ও অসাবধানতায় এ ঘটনা ঘটেছে তা জানার অধিকার দেশবাসীর আছে। আইনি লড়াইয়ে চাই সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও দক্ষতা।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর