শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ আপডেট:

আজন্ম যোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার বিজয়ের ইতিহাস লিখে গেলেন

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
আজন্ম যোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার বিজয়ের ইতিহাস লিখে গেলেন

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় লাখো মানুষের অশ্রুসিক্ত কান্না ভালোবাসা নিয়ে শেষ পর্যন্ত রায়েরবাজার জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী সিকদার গ্রুপের কর্ণধার, ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান সমাজসেবী শিক্ষানুরাগী দানশীল শিল্পপতি জয়নুল হক সিকদার। এ ক্যাম্পাসটিও তাঁর নিজ হাতে গড়া এবং জীবনের শেষ দিকে তিনি এখানেই থাকতেন। ক্যাম্পাসের ভিতরেই মসজিদে নামাজ পড়তেন। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে তাঁর ব্যাংকের ঊর্ধ্বতনরাও অংশ নিতেন। কবি নজরুলের সেই কবিতা ‘মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই, যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই’- তাঁর অফিসকক্ষ থেকে কবর দেখা যাবে এবং তিনি আজানের ধ্বনি নিয়মিত শুনতে পাবেন। ঢাকা ও ভেদরগঞ্জের জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছিল শেষ শ্রদ্ধা-বিদায় জানাতে করোনাকালেও। অসুস্থতার জন্য যেতে পারিনি আক্ষেপটা থাকবে। এর মধ্য দিয়ে একজন দুঃসাহসী মানুষের বর্ণাঢ্য সফল জীবনের সমাধি হলো। এক আজন্ম যোদ্ধার পরিপূর্ণ জীবনের বিজয়ের ইতিহাস লেখা হলো। তিনি এখন তাঁর কর্ম আর রেখে যাওয়া শতাধিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কীর্তিতেই অমর হয়ে থাকবেন। জয়নুল হক সিকদার ৯১ বছর বয়সে ১০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। এ সংবাদ অনেকের সঙ্গে আমাকেও সজল নয়নে ব্যথিত করেছে। একটি পরিপূর্ণ জীবন তিনি কাজের মধ্যে সৃষ্টিশীলতার নেশায় কাটিয়েছেন। সময়কে কখনো নষ্ট করেননি। বাইরে কঠোর ভিতরে কোমল, প্রখর ব্যক্তিত্বের অধিকারী মানুষটি আসাম থেকে ধনাঢ্য পিতার সঙ্গে অভিমান করে পালিয়ে এসে জীবনের যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন সেখানে সাফল্যের সিঁড়ি একে একে অতিক্রম করেছেন। মওলানা ভাসানীর সান্নিধ্য পেলেও আমৃত্য ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ স্বজন-ভক্ত। আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। ভালোবাসার বিনিময়ে কিছু চানওনি। ’৭১-এর সুমহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এই বীরযোদ্ধা জীবনের সব ক্ষেত্রে বীরত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। গভীর দেশপ্রেমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে একের পর এক প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। মানবতার কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। একদিকে বিত্তের সাফল্য আরেকদিকে চিত্তের আনন্দ হাতের মুঠোয় পুড়েছেন। সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করে, নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময়কে উপভোগ করে জীবনের সব চ্যালেঞ্জকে জয় করে একজন জগজ্জয়ী কিংবদন্তি হয়ে, তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেই চিরবিদায় নিয়েছেন। কেবল বাণিজ্য দেখেননি। কেবল মুনাফা দেখেননি। মানুষ ও দেশের কল্যাণে কত প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। কত প্রতিষ্ঠানে উদার হাতে অনুদান দিয়েছেন অর্থ, জমি যখন যা প্রয়োজন। যেদিকে গেছেন মানুষকে জয় করতেন। গরিবের পাশে দাঁড়াতেন। কাউকে খালি হাতে ফেরাতেন না। এক অসাধারণ বর্ণময় চরিত্রের মানুষ ছিলেন। বড় তেজস্বী ছিলেন। প্রতিবাদী ছিলেন। অমিত সাহসী ছিলেন। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতেন না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবার-পরিজনসহ নৃশংস হত্যাকান্ডের পর তিনি ছটফট, আর্তনাদ করেছেন। চার দিনের মাথায় খুনিদের উল্লাস, দম্ভ আর নিষ্ঠুর রক্তাক্ত শাসনের অবরুদ্ধ সময়ে জয়নুল হক সিকদার চারটি গরু জবাই করে কুলখানি করলেন। এ নিয়ে খুনিদের সরকারের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাঁকে নাজেহাল করতে চাইলেও তিনি সাহস নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। যা করতেন তা অন্তর দিয়েই করতেন। সেই দুঃসময়ে জেলও খেটেছেন।

সিকদার গ্রুপের সিইও ও পরিচালক সৈয়দ কামরুল ইসলাম মোহন অমায়িক প্রাণোচ্ছল বন্ধুবৎসল মানুষ। তিনি গণমাধ্যমে জনপ্রিয়। একবার আমাকে তাদের একটি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করলেন। হোটেল সোনারগাঁওয়ের সেই সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে দেখি বক্তব্য দিচ্ছেন দেশবরেণ্য শিল্পপতি জয়নুল হক সিকদার। তাঁর কথা আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনে প্রথম দর্শনেই ভক্ত। স্পষ্টভাষী, কথাবার্তায় রাখঢাক, কৌশল নেই। সাহসী সব শব্দ উচ্চারিত হচ্ছে। যেমন মানুষ পছন্দ করি উনি একদম তাই। সেই হোটেল সোনারগাঁওয়ের সাক্ষাতের পর প্রখর আত্মমর্যাদাসম্পন্ন কঠোর ব্যক্তিত্বের অধিকারী জয়নুল হক সিকদারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক শ্রদ্ধা-স্নেহে নিবিড় সান্নিধ্যে গড়ায়। তিনি আমারও সিকদার চাচা হয়ে ওঠেন। অন্তর থেকেই তিনি স্নেহ করতেন। যখনই যেতাম তখনই গল্পে গল্পে সময় গড়িয়ে যেত। কিছু দিন দেখা না হলে চাচা ফোনেও মাঝেমধ্যে ডাকতেন। খবরাখবরও রাখতেন চারদিকের। খবর নিতেও বলতেন। করোনাকালে সন্তানরা মা-বাবাকে বনানীর বাড়িতে নিয়ে আসেন। সে সময় অনেকের মতো সিকদার চাচার সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। একদিন ন্যাশনাল ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বুলবুল ভাই ফোন করলেন। সেই ফোনে চাচা কথা বললেন। আমার লেখা পছন্দ করতেন। দেশে থাকলে নিয়মিত পড়তেন। এটা বলতেন অন্যদেরও।

আজীবনের যোদ্ধা জয়নুল হক শিকদার প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী, দূরদর্শী, বিচক্ষণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষিপ্র গতিসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন। দেশের অর্থনীতিতেই তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাননি। বিদেশেও বিনিয়োগ সম্প্রসারিত করেছেন। সফলতা কুড়িয়েছেন। দেশে অর্থনৈতিক খাতে অনেক উদ্যোক্তা তৈরিরও নেপথ্য কারিগর ছিলেন।

এ দেশে হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা তিনিই প্রবর্তন করেছিলেন গুলশান ও রায়েরবাজারের জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও কার্ডিয়াক হাসপাতাল করে। ভারতের প্রখ্যাত হার্টের সার্জন ও নার্স এনে স্বল্পমূল্যে দেশে হৃদরোগের বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেন। একই সঙ্গে তাঁর এখানে কাজ করে অনেক চিকিৎসক তৈরিই হননি, খ্যাতিও অর্জন করেছেন পরবর্তীতে। তাঁর হাসপাতালে কত গরিব মানুষ ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর চিকিৎসা মিলেছে। তিনি সাহায্য করেছেন। মুনাফা দেখেননি। রায়েরবাজার হাসপাতালটি একুশের গ্রেনেড হামলায় আহত নেতা-কর্মীদের জন্য খুলে দিয়েছিলেন।

সিকদার চাচা একবার নিয়ে গেলেন তাঁর শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের বাড়িতে। গ্রামকে বড় ভালোবাসতেন। আসামে চার ভাইয়ের জন্ম হলেও পূর্বপুরুষের ভিটেমাটির প্রতি আবেগ ছিল। মমতা ছিল। এখানেই তিনি মধুপুর জেড এইচ সিকদার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অবহেলিত এক জনপদকে কীভাবে একজন ব্যক্তি একের পর এক প্রতিষ্ঠান গড়ে হার না-মানা যুদ্ধে গ্রামের পর গ্রাম আলোকিত করতে পারেন তা দেখে চমকে ওঠার অবস্থা। বাড়ি গিয়েই তিনি আগে তাঁর মায়ের কবর জিয়ারত করলেন। সঙ্গেই মসজিদ। মাতৃভক্ত সন্তানরা অনেক বড় হন। তিনিও তাই ছিলেন। এখানে তাঁর পুত্রস্নেহে পালিত ভাইয়ের ছেলে যুবলীগ নেতা ও ষাটের ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা মুক্তিযোদ্ধা এম এ রেজার কবর রয়েছে। এম এ রেজার গল্প সব সময় সিকদার চাচা করতেন। এতটাই সন্তানের মতো অবাধ স্বাধীনতায় মানুষ করেছিলেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছিলেন, এম এ রেজা ও তিনি হরিহর আত্মা ছিলেন। তারপর জগন্নাথ কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন এম এ রেজা। সিকদার চাচা মাকে যে টাকা দিতেন সেটিও তিনি আদরের নাতি এম এ রেজার হাতে তুলে দিতেন। রেজা সেটি রাজনীতিতে খরচ করতেন। সিকদার চাচা দিতেনই। সিকদার চাচার ভাতিজা গাড়িতে চড়ে কলেজে যেতেন। সে সময় এমন দৃশ্য বিরল ছিল। রেজা কিছু চেয়েছে না দিলেই দাদি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করতেন। সিকদার চাচা তখন সব আবদার পূরণ করতেন। সিকদার চাচার মমতাময়ী স্ত্রীও তাদের ভীষণ স্নেহ করতেন। খেজুর রসের পায়েস থেকে হরেক রকম রান্না বানিয়ে খাওয়াতেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ’৭১-এর উত্তাল মার্চে সিকদার চাচার কেনা নতুন গাড়ি এম এ রেজা ড্রাইভ করে নিয়ে এলেন। তিনি সামনের সিটে বসা। তারা পুরনো হাই কোর্ট ভবনে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ালেন। সিকদার চাচা রাগ করতে পারতেন না। প্রশ্রয়ই দিতেন।

চাচা গল্প করছিলেন কার্তিকপুরের পৈতৃক বাড়ির বাইরে তিনি তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীকে অনেক নারকেল গাছসহ আলাদা বাড়ি করে দেন। সেদিন এখান থেকে কুয়াকাটার বৃহত্তম রিসোর্ট ঘুরে আসার কথা ছিল। চাচা হঠাৎ শরীর খারাপ লাগায় যেতে না চাওয়ায় যাইনি। বললাম, আপনার সঙ্গে আরেকবার যাব। বললেন, তোমাকে নিয়ে যাব। চাচার সঙ্গে আর যাওয়া হয়নি। যাওয়া হবে না।

জেড এইচ সিকদার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রবেশকালেই চোখে পড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। এখানে এমন ব্যয়বহুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কারণ হিসেবে সিকদার চাচা জানালেন, শরীয়তপুরসহ আশপাশের গ্রামের পিছিয়ে পড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সন্তানরা যেন উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায় সে জন্য তিনি এখানেই এটি প্রতিষ্ঠাু করেছেন। নিজের নয়, দেশ ও মানুষের কল্যাণে তাঁর এ প্রয়াস। তা-ই নয়, দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাসের সঙ্গে বিভিন্ন ভবন ও হলও নির্মিত হচ্ছে। এ ছাড়া সেখানেই তিনি স্ত্রীর নামে মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। হাসপাতাল কেন্দ্র করে একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চূড়ান্ত পর্যায়ে সরকারি অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায়  ছিল বেশ ক’বছর। বিলম্ব হওয়ায় সিকদার চাচা মেডিকেল কলেজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ খবর জেনে তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে অনুমোদন পাওয়ার ব্যবস্থা করেন। রাজনীতির কিংবদন্তি মরহুম আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদ দুজনই সিকদার চাচার পুত্রস্নেহ লাভ করেছেন। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সাড়ে ১৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করলেও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার এলাকার শিক্ষার্থীদের কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখেন। প্রতিবন্ধী, গরিব ও মেধাবীদের সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করে ৩ লাখ কমিয়ে সাড়ে ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করেন। সেটি এককালীন জমা না দিয়ে ভর্তির সময়ে প্রথমে অর্ধেক ও বাকি টাকা পরবর্তী চার বছরে চার কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দেন। গরিব ও মেধাবীদের জন্য রাখেন বিনামূল্যে ভর্তির সুযোগ।

বৃহত্তর ফরিদপুর ইতিহাস-ঐতিহ্য পরিষদের সভাপতি বদিউজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকতা করেছেন। ’৭১ সালে জয়নুল হক সিকদারের সঙ্গে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। এই বরেণ্য মানুষের সঙ্গে নানা আলাপচারিতায় লিখেছেন জয়নুল হক সিকদার ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব বইটি। বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন। তিনি ভূমিকায় লিখেছেন, জয়নুল হক সিকদার সাহেবের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সেইফ হাউসে ১৯৭৬ সালের ১৫ মার্চ। তখন দেশে কঠিন দুঃসময়। পলাতক জীবনে ডিজিএফআই আমাকে গ্রেফতার করে তাদের সেইফ হাউসে নিয়ে আসে। সেখানে দেখা হয় সিকদার সাহেব ও তাঁর ভাতিজা যুবলীগ নেতা এম এ রেজার সঙ্গে। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে তাঁদেরও আটক করা হয়েছে। বহু বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা চলছে। সেখানে জানানো হলো জনাব জয়নুল হক সিকদার বিশ্ববিদ্যালয় কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীদের জন্য একটি ভবন নির্মাণের সমুদয় অর্থ দান করেছেন। ’৭৬ সালের মার্চের দিনগুলোতে মন যেতেই উঠে দাঁড়ালাম। জানালাম কঠিন দুঃসময়ে সিকদার সাহেবের সঙ্গে আমার পরিচয়ের কথা। সে সময় একজন নির্ভীক মানুষ হিসাবে তাঁকে দেখেছি জানালাম। পিনপতন নীরবতায় সবাই শুনলেন। বিপুল করতালিতে তাঁকে অভিনন্দিত করলেন অধ্যাপকরা। আনোয়ার হোসেন এরপর জয়নুল হক সিকদারের সঙ্গে তাঁর দেখা, সম্পর্ক নিবিড় হওয়া এবং মধুপুরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে ভূমিকা রাখার বর্ণনা দিলেন। কীভাবে তাঁর কাছেও সিকদার সাহেব একান্ত আপন সিকদার চাচা হয়ে উঠলেন তাও উল্লেখ করলেন। ব্যবসায়ী হিসেবে সফলতাই নয়, একজন বড় মাপের মানবিক মানুষ হিসেবে তিনি সমাজে বয়সে মুরব্বি ছিলেন। তাই অনেকের প্রিয় সিকদার চাচা হয়ে যান।

আনোয়ার হোসেন লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাদানকল্পে কলেজ বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজটির গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়েছে আমাকে। বেসরকারি কিন্তু ব্যক্তিমালিকানাধীন নয়- এ কলেজটি তিল তিল করে গড়েছেন মহিলা শিক্ষকরা। চাচাকে জানালাম কলেজের জন্য একখ- জমি কিনতে চাই আমরা। তিনি বললেন, কেনার প্রয়োজন কি! কলেজের জন্য জমি দান করে দেব। সিকদার মেডিকেল কলেজের ভিতরে রাস্তাসহ ১১ কাঠা জমি তিনি কলেজকে দানসূত্রে লিখে দিলেন। মুক্তিযুদ্ধের একটি ওয়েব আর্কাইভ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি, অর্থ প্রয়োজন। চাচা দরাজ হাতে এগিয়ে এলেন। কর্নেল তাহেরের ওপর ডকুমেন্টারি হবে অর্থ সহায়তা পেলাম চাচার কাছে।’

সিকদার চাচা আল্লাহভীরু একজন মানুষ হলেও মননে ছিলেন মানবতাবাদী অসাম্প্রদায়িক। তিনি ওলি-আউলিয়া-দরবেশদের সম্মান করতেন। ওলি-আউলিয়াদের মাজারে যেতেন। হজও করেছেন। ঢাকা-শরীয়তপুরই নয়, এর বাইরেও তিনি অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, মাজার শরিফ নির্মাণ ও উন্নয়ন করে গেছেন। শতাধিক স্কুল, কলেজসহ নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে গেছেন। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজীবন ফ্যাশনসচেতন ছিলেন। আভিজাত্য ছিল। নিজস্ব একটা স্টাইল ছিল।

লেখক বদিউজ্জামান চৌধুরী লিখেছেন, ধনী পিতার জেদী পুত্র জয়নুল হক সিকদার নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার আগে বাড়ি থেকে ১৯ বছর বয়সে পালিয়ে আসাম থেকে ঢাকায় আসেন। বাবার কাছে ঢাকায় জায়গা কেনার ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে চলে আসেন। পিতার এত সম্পদের ওপর প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চিন্তা না করে নিজেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নেন। একজন দক্ষ ফুটবলার হিসেবে ইপিআরে যোগ দেন এবং সেই সঙ্গে কঠোর পরিশ্রমে ব্যবসা-বাণিজ্যে হাত প্রসারিত করেন। তিনি ঢাকাতেই ৪০০ বিঘা জমি, নিজ গ্রামাঞ্চলে ১৫০০ বিঘা এবং দেশের বাইরে কয়েক স্থানে আরও কয়েক শ বিঘা জমি নিজ অর্থে কেনেন পাঁচ বছর আগেই। তাঁর মধুপুরের বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০ বিঘা জমি নিয়ে ক্যাম্পাস। মূল ক্যাম্পাস ভবনটিই ৬ একর জমির ওপর নির্মিত। লেখক জয়নুল হক সিকদারের নামটি রণদা প্রসাদ সাহা ও জহুরুল ইসলামের সঙ্গে যুক্ত করেছেন যুক্তিসংগতভাবেই। তবে জয়নুল হক সিকদার পশ্চাৎপদ অঞ্চলকেই প্রাধান্য দেননি, শিক্ষানুরাগী হিসেবে তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের অগ্রসর করে আনার পদক্ষেপ নিয়েছেন। ’৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর ’৫০ সালে জয়নুল হক সিকদারের পিতা-মাতাসহ পুরো পরিবার তাঁদের কার্তিকপুরের বাড়িতে চলে আসেন।

জয়নুল হক সিকদার একে একে ব্যাংক, বীমা, গার্মেন্ট, রিয়েল এস্টেট, এভিয়েশন, অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, চিকিৎসা, শিক্ষা, আবাসিক হোটেল, আন্তর্জাতিক চেইন রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন খাতে দেশে-বিদেশে বিনিয়োগ করেছেন। পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে তারাও সবাই এখন দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। কন্যা পারভীন হক সিকদার এমপি। সিকদার গ্রুপকে নিয়ে খুলনার মোংলায় ২০৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করেছেন দেশের প্রথম পাবলিক-প্রাইভেট ইকোনমিক জোন। এ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত সিকদার রি-রোলিং মিলস এখন সবার চেনা। বাংলাদেশ আর্মির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বান্দরবানে ২০ একর জমির ওপর হচ্ছে চন্দ্রপাহাড় রিসোর্ট। কক্সবাজারে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম ভিলেজ। আবাসন ব্যবসার আওতায় ১০ মিলিয়ন টাকা ব্যয়ে ধানমন্ডিতে নির্মাণ করেছেন সুবিশাল রিভার প্রজেক্ট। আল্লাহ দয়াময়, নিভৃতচারী আর প্রচারবিমুখ সিকদার চাচাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।

            লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
সারসংকট
সারসংকট
ওষুধের দাম
ওষুধের দাম
ইসলামের বিশ্বাস সহাবস্থানে
ইসলামের বিশ্বাস সহাবস্থানে
গণতন্ত্র কাগজের দলিল নয়- চর্চার বিষয়
গণতন্ত্র কাগজের দলিল নয়- চর্চার বিষয়
অতৃপ্তি ও অসহিষ্ণুতার রাজনীতি
অতৃপ্তি ও অসহিষ্ণুতার রাজনীতি
বেকারত্ব
বেকারত্ব
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
স্মরণ : সৈয়দ মুজতবা আলী
স্মরণ : সৈয়দ মুজতবা আলী
হালাল উপার্জন জিহাদের সমতুল্য
হালাল উপার্জন জিহাদের সমতুল্য
স্মার্ট কৃষির প্রস্তুতি
স্মার্ট কৃষির প্রস্তুতি
শিক্ষা ও সংস্কৃতিচর্চা শত্রু নয়
শিক্ষা ও সংস্কৃতিচর্চা শত্রু নয়
বিদেশি ঋণ পরিশোধ
বিদেশি ঋণ পরিশোধ
সর্বশেষ খবর
বরগুনায় ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১৪
বরগুনায় ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ১৪

৩ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নাইজেরিয়ায় ১৮ নারী-শিশুকে অপহরণ
নাইজেরিয়ায় ১৮ নারী-শিশুকে অপহরণ

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গায় অবরোধের নেতৃত্ব দেওয়া প্রধান সমন্বয়ক আটক
ভাঙ্গায় অবরোধের নেতৃত্ব দেওয়া প্রধান সমন্বয়ক আটক

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে চার আসন বহালের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের অবস্থান ধর্মঘট
বাগেরহাটে চার আসন বহালের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের অবস্থান ধর্মঘট

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিক্ষোভের চারদিন পর কাঠমান্ডুর সুপারস্টোরে মিলল ছয় দগ্ধ লাশ
বিক্ষোভের চারদিন পর কাঠমান্ডুর সুপারস্টোরে মিলল ছয় দগ্ধ লাশ

১৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ঋণের দায়ে’ স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার পর আত্মহত্যা: লাখ টাকা ধার করে চল্লিশা করলো পরিবার
‘ঋণের দায়ে’ স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার পর আত্মহত্যা: লাখ টাকা ধার করে চল্লিশা করলো পরিবার

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গোপালগঞ্জে যুবকের লাশ উদ্ধার
গোপালগঞ্জে যুবকের লাশ উদ্ধার

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পরিবেশ দূষণ আর না, নদী দূষণ আর না— পঞ্চগড়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের মানববন্ধন
পরিবেশ দূষণ আর না, নদী দূষণ আর না— পঞ্চগড়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের মানববন্ধন

৪৩ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

নেত্রকোনার স্পিডবোটডুবি: দুই শিশুসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার
নেত্রকোনার স্পিডবোটডুবি: দুই শিশুসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার

৪৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুয়েতে ভারতের নতুন রাষ্ট্রদূত পারমিতা ত্রিপাঠী
কুয়েতে ভারতের নতুন রাষ্ট্রদূত পারমিতা ত্রিপাঠী

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

ডাবের পানি থেকে পংসাকর্নের ৭০ কোটি ডলারের ব্র্যান্ড
ডাবের পানি থেকে পংসাকর্নের ৭০ কোটি ডলারের ব্র্যান্ড

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ফরিদপুরে আজকের মধ্যে রাস্তা না ছাড়লে আইন প্রয়োগ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফরিদপুরে আজকের মধ্যে রাস্তা না ছাড়লে আইন প্রয়োগ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জিম্মি মুক্তিতে একমাত্র বাধা নেতানিয়াহু, ভুক্তভোগীদের পরিবার
জিম্মি মুক্তিতে একমাত্র বাধা নেতানিয়াহু, ভুক্তভোগীদের পরিবার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংকার থেকে জেল, বিচ্ছেদ পেরিয়ে এবার রাষ্ট্রক্ষমতার দৌড়ে ‘লৌহমানবী’
বাংকার থেকে জেল, বিচ্ছেদ পেরিয়ে এবার রাষ্ট্রক্ষমতার দৌড়ে ‘লৌহমানবী’

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে গাজার পথে ছুটল জাহাজগুলো
ইসরায়েলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে গাজার পথে ছুটল জাহাজগুলো

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চুয়াডাঙ্গায় নতুন পুলিশ সুপার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
চুয়াডাঙ্গায় নতুন পুলিশ সুপার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৫ টন চাল, ৬০০ কেজি পেঁয়াজ, এক কড়াইয়ে রেকর্ড রান্না
৫ টন চাল, ৬০০ কেজি পেঁয়াজ, এক কড়াইয়ে রেকর্ড রান্না

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

মেয়েকে কলেজে দিয়ে ফেরার পথে প্রাণ গেল বাবার
মেয়েকে কলেজে দিয়ে ফেরার পথে প্রাণ গেল বাবার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যারিস্টার ফুয়াদরা জানেন না কোথায় থামতে হবে : হামিম
ব্যারিস্টার ফুয়াদরা জানেন না কোথায় থামতে হবে : হামিম

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ডাকসুর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত, সিনেট সদস্য হচ্ছেন ৫ ছাত্র প্রতিনিধি
ডাকসুর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত, সিনেট সদস্য হচ্ছেন ৫ ছাত্র প্রতিনিধি

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সৌদি, তুরস্ক ও ইরাকের জন্যও অপেক্ষা করছে ইসরায়েলি বোমা: সাবেক আইআরজিসি প্রধান
সৌদি, তুরস্ক ও ইরাকের জন্যও অপেক্ষা করছে ইসরায়েলি বোমা: সাবেক আইআরজিসি প্রধান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৬ বিভাগে অতিভারি বর্ষণের আভাস, পাহাড়ধসের শঙ্কা
৬ বিভাগে অতিভারি বর্ষণের আভাস, পাহাড়ধসের শঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফরিদপুরে রেল-সড়কপথ অবরোধ, আটকে গেছে ঢাকাগামী ট্রেন
ফরিদপুরে রেল-সড়কপথ অবরোধ, আটকে গেছে ঢাকাগামী ট্রেন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সরকার পরিবর্তনের ডাক দিয়ে যুক্তরাজ্যে নতুন ভোটের আহ্বান মাস্কের
সরকার পরিবর্তনের ডাক দিয়ে যুক্তরাজ্যে নতুন ভোটের আহ্বান মাস্কের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর অভিযান, টিটিপির ৩৫ সদস্য নিহত
আফগান সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর অভিযান, টিটিপির ৩৫ সদস্য নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সৌদিতে এক সপ্তাহে ২১ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
সৌদিতে এক সপ্তাহে ২১ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেক্সিকোয় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫
মেক্সিকোয় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৫

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে বৃষ্টিতে যানজটে ভোগান্তি
রাজধানীতে বৃষ্টিতে যানজটে ভোগান্তি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পিকেএসএফ ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
পিকেএসএফ ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ৩ দিনের ছুটি পাচ্ছেন
সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ৩ দিনের ছুটি পাচ্ছেন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাকসুর ভিপি জিতু, জিএস মাজহারুল ও এজিএস ফেরদৌস
জাকসুর ভিপি জিতু, জিএস মাজহারুল ও এজিএস ফেরদৌস

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দুর্গাপূজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ১২ দিন ছুটি
দুর্গাপূজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ১২ দিন ছুটি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি কে এই জিতু?
জাকসুর নবনির্বাচিত ভিপি কে এই জিতু?

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জাকসু নির্বাচন কমিশনের আরেক সদস্য অধ্যাপক স্নিগ্ধার পদত্যাগ
জাকসু নির্বাচন কমিশনের আরেক সদস্য অধ্যাপক স্নিগ্ধার পদত্যাগ

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জাবির হল সংসদগুলোতে নির্বাচিত হলেন যারা
জাবির হল সংসদগুলোতে নির্বাচিত হলেন যারা

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার মিসরে হামলার পরিকল্পনা ইসরায়েলের, দাবি রিপোর্টে
এবার মিসরে হামলার পরিকল্পনা ইসরায়েলের, দাবি রিপোর্টে

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উপদেষ্টা মাহফুজের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি লন্ডন হাইকমিশনের
উপদেষ্টা মাহফুজের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি লন্ডন হাইকমিশনের

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতারে হামলায় সৌদির আকাশপথ ব্যবহার করে ইসরায়েল, দাবি রিপোর্টে
কাতারে হামলায় সৌদির আকাশপথ ব্যবহার করে ইসরায়েল, দাবি রিপোর্টে

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাকসু নির্বাচনে ২৫ পদে জয়ী হলেন যারা
জাকসু নির্বাচনে ২৫ পদে জয়ী হলেন যারা

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ছেলের হাতেই খুন হন ইসলামি বক্তা আমিনুল হক নোমানী
ছেলের হাতেই খুন হন ইসলামি বক্তা আমিনুল হক নোমানী

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা চলছে
জাকসু নির্বাচনের ফল ঘোষণা চলছে

২০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে
সেই ফারিয়াসহ তিনজন কারাগারে

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কাতারে হামাস নেতাদের হত্যায় স্থল অভিযান চালাতে অস্বীকৃতি জানায় মোসাদ
কাতারে হামাস নেতাদের হত্যায় স্থল অভিযান চালাতে অস্বীকৃতি জানায় মোসাদ

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোট কারচুপি প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করবো: জাকসু প্রধান নির্বাচন কমিশনার
ভোট কারচুপি প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করবো: জাকসু প্রধান নির্বাচন কমিশনার

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সহকারী শিক্ষকদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা
সহকারী শিক্ষকদের জন্য মাউশির নতুন নির্দেশনা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গেরিলা প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার
গেরিলা প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি আওয়ামী লীগ নেতার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই
বরেণ্য লোকসংগীত শিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অক্টোবরের শুরুতেই চার দিনের সরকারি ছুটি
অক্টোবরের শুরুতেই চার দিনের সরকারি ছুটি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লংকানদের বিপক্ষে টাইগারদের সম্ভাব্য একাদশ
লংকানদের বিপক্ষে টাইগারদের সম্ভাব্য একাদশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কাতারে জরুরি সম্মেলনে বসছে ইসলামিক দেশগুলো
কাতারে জরুরি সম্মেলনে বসছে ইসলামিক দেশগুলো

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই, দুই ছিনতাইকারী জীবিত নেই
অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই, দুই ছিনতাইকারী জীবিত নেই

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, এ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সংশয় নেই’
‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, এ নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের কোনো সংশয় নেই’

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ম্যাচ হারা নিয়ে যা বললেন লিটন
ম্যাচ হারা নিয়ে যা বললেন লিটন

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যে কারণে রাশিয়ার ওপর বড় নিষেধাজ্ঞা দিতে পারছেন না ট্রাম্প
যে কারণে রাশিয়ার ওপর বড় নিষেধাজ্ঞা দিতে পারছেন না ট্রাম্প

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতের আগে দেশের মানুষ ইলিশ খাবে: মৎস্য উপদেষ্টা
ভারতের আগে দেশের মানুষ ইলিশ খাবে: মৎস্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টিতে ৩০৪ রান করে যে ১৫ রেকর্ড গড়লো ইংল্যান্ড
টি-টোয়েন্টিতে ৩০৪ রান করে যে ১৫ রেকর্ড গড়লো ইংল্যান্ড

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুশীলা কার্কি দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনে শান্ত হতে শুরু করেছে নেপাল
সুশীলা কার্কি দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনে শান্ত হতে শুরু করেছে নেপাল

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মণিপুর গিয়ে যে বার্তা দিলেন মোদি
মণিপুর গিয়ে যে বার্তা দিলেন মোদি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ, এবার ফলাফলের অপেক্ষা
জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ, এবার ফলাফলের অপেক্ষা

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
চীন-ভারতের হারানো পোশাকের ক্রয়াদেশ আসছে বাংলাদেশে
চীন-ভারতের হারানো পোশাকের ক্রয়াদেশ আসছে বাংলাদেশে

পেছনের পৃষ্ঠা

ঐক্য চেষ্টা ব্যর্থ, শঙ্কা নির্বাচনে
ঐক্য চেষ্টা ব্যর্থ, শঙ্কা নির্বাচনে

প্রথম পৃষ্ঠা

জাকসুও শিবিরের দখলে
জাকসুও শিবিরের দখলে

প্রথম পৃষ্ঠা

আকাশছোঁয়া দাম শিশুখাদ্যের
আকাশছোঁয়া দাম শিশুখাদ্যের

পেছনের পৃষ্ঠা

ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ‘মহারণ’ আজ
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ‘মহারণ’ আজ

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী পাঁচ জামায়াত-এনসিপির একক
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী পাঁচ জামায়াত-এনসিপির একক

নগর জীবন

দায়িত্ব নিয়েই ভোটের তারিখ দিলেন সুশীলা
দায়িত্ব নিয়েই ভোটের তারিখ দিলেন সুশীলা

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবানা বললেন শিগগিরই দেশে আসব
শাবানা বললেন শিগগিরই দেশে আসব

শোবিজ

বাগেরহাটে সব সরকারি অফিস ঘেরাও আজ
বাগেরহাটে সব সরকারি অফিস ঘেরাও আজ

পেছনের পৃষ্ঠা

ডাকসুতে ভরাডুবি নিয়ে হতাশা এনসিপির
ডাকসুতে ভরাডুবি নিয়ে হতাশা এনসিপির

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমে প্রতারিত হয়ে ভারতে ফিরে গেলেন তরুণী
প্রেমে প্রতারিত হয়ে ভারতে ফিরে গেলেন তরুণী

পেছনের পৃষ্ঠা

লন্ডনে তথ্য উপদেষ্টার ওপর হামলা
লন্ডনে তথ্য উপদেষ্টার ওপর হামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

পিআর পদ্ধতির কারণে নেপাল বিপদে
পিআর পদ্ধতির কারণে নেপাল বিপদে

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা কিংস মোহামেডান একই গ্রুপে
বসুন্ধরা কিংস মোহামেডান একই গ্রুপে

মাঠে ময়দানে

মনোনয়ন দৌড়ে বিএনপির তিন নেতা জামায়াতসহ অন্যদের একক প্রার্থী
মনোনয়ন দৌড়ে বিএনপির তিন নেতা জামায়াতসহ অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

৫২ দিন পর বাড়ি ফিরল হাফসা ও রাইয়ান
৫২ দিন পর বাড়ি ফিরল হাফসা ও রাইয়ান

পেছনের পৃষ্ঠা

নেপালের প্রধানমন্ত্রীর স্বামী বিমান ছিনতাই করেছিলেন
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর স্বামী বিমান ছিনতাই করেছিলেন

পেছনের পৃষ্ঠা

কানাডায় দৈনিক আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা ১২
কানাডায় দৈনিক আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা ১২

পেছনের পৃষ্ঠা

দুর্নীতিই ছিল সাধনের নীতি
দুর্নীতিই ছিল সাধনের নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজ কাতার প্রধানমন্ত্রীর
ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজ কাতার প্রধানমন্ত্রীর

পেছনের পৃষ্ঠা

৪৮ ঘণ্টার নাটকীয়তা কেন এ বিলম্ব?
৪৮ ঘণ্টার নাটকীয়তা কেন এ বিলম্ব?

প্রথম পৃষ্ঠা

অনিয়মের অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে
অনিয়মের অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

দেশগ্রাম

ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতিতে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস
ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতিতে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস

প্রথম পৃষ্ঠা

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পেছানোর দাবি
এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পেছানোর দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই সনদকে স্বীকৃতি দিয়েই নির্বাচন দিতে হবে : মামুনুল হক
জুলাই সনদকে স্বীকৃতি দিয়েই নির্বাচন দিতে হবে : মামুনুল হক

খবর

সাংবাদিক জাকারিয়ার পিতার দাফন
সাংবাদিক জাকারিয়ার পিতার দাফন

খবর

ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ধরে রাখা জরুরি
ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ধরে রাখা জরুরি

প্রথম পৃষ্ঠা

সারসংকট
সারসংকট

সম্পাদকীয়

পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন প্রয়োজন কিন্তু যথেষ্ট নয়
পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন প্রয়োজন কিন্তু যথেষ্ট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা