শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ আপডেট:

আজন্ম যোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার বিজয়ের ইতিহাস লিখে গেলেন

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
আজন্ম যোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার বিজয়ের ইতিহাস লিখে গেলেন

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় লাখো মানুষের অশ্রুসিক্ত কান্না ভালোবাসা নিয়ে শেষ পর্যন্ত রায়েরবাজার জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী সিকদার গ্রুপের কর্ণধার, ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান সমাজসেবী শিক্ষানুরাগী দানশীল শিল্পপতি জয়নুল হক সিকদার। এ ক্যাম্পাসটিও তাঁর নিজ হাতে গড়া এবং জীবনের শেষ দিকে তিনি এখানেই থাকতেন। ক্যাম্পাসের ভিতরেই মসজিদে নামাজ পড়তেন। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে তাঁর ব্যাংকের ঊর্ধ্বতনরাও অংশ নিতেন। কবি নজরুলের সেই কবিতা ‘মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই, যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই’- তাঁর অফিসকক্ষ থেকে কবর দেখা যাবে এবং তিনি আজানের ধ্বনি নিয়মিত শুনতে পাবেন। ঢাকা ও ভেদরগঞ্জের জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছিল শেষ শ্রদ্ধা-বিদায় জানাতে করোনাকালেও। অসুস্থতার জন্য যেতে পারিনি আক্ষেপটা থাকবে। এর মধ্য দিয়ে একজন দুঃসাহসী মানুষের বর্ণাঢ্য সফল জীবনের সমাধি হলো। এক আজন্ম যোদ্ধার পরিপূর্ণ জীবনের বিজয়ের ইতিহাস লেখা হলো। তিনি এখন তাঁর কর্ম আর রেখে যাওয়া শতাধিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কীর্তিতেই অমর হয়ে থাকবেন। জয়নুল হক সিকদার ৯১ বছর বয়সে ১০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। এ সংবাদ অনেকের সঙ্গে আমাকেও সজল নয়নে ব্যথিত করেছে। একটি পরিপূর্ণ জীবন তিনি কাজের মধ্যে সৃষ্টিশীলতার নেশায় কাটিয়েছেন। সময়কে কখনো নষ্ট করেননি। বাইরে কঠোর ভিতরে কোমল, প্রখর ব্যক্তিত্বের অধিকারী মানুষটি আসাম থেকে ধনাঢ্য পিতার সঙ্গে অভিমান করে পালিয়ে এসে জীবনের যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন সেখানে সাফল্যের সিঁড়ি একে একে অতিক্রম করেছেন। মওলানা ভাসানীর সান্নিধ্য পেলেও আমৃত্য ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ স্বজন-ভক্ত। আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। ভালোবাসার বিনিময়ে কিছু চানওনি। ’৭১-এর সুমহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এই বীরযোদ্ধা জীবনের সব ক্ষেত্রে বীরত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। গভীর দেশপ্রেমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে একের পর এক প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। মানবতার কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। একদিকে বিত্তের সাফল্য আরেকদিকে চিত্তের আনন্দ হাতের মুঠোয় পুড়েছেন। সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করে, নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময়কে উপভোগ করে জীবনের সব চ্যালেঞ্জকে জয় করে একজন জগজ্জয়ী কিংবদন্তি হয়ে, তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেই চিরবিদায় নিয়েছেন। কেবল বাণিজ্য দেখেননি। কেবল মুনাফা দেখেননি। মানুষ ও দেশের কল্যাণে কত প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। কত প্রতিষ্ঠানে উদার হাতে অনুদান দিয়েছেন অর্থ, জমি যখন যা প্রয়োজন। যেদিকে গেছেন মানুষকে জয় করতেন। গরিবের পাশে দাঁড়াতেন। কাউকে খালি হাতে ফেরাতেন না। এক অসাধারণ বর্ণময় চরিত্রের মানুষ ছিলেন। বড় তেজস্বী ছিলেন। প্রতিবাদী ছিলেন। অমিত সাহসী ছিলেন। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতেন না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবার-পরিজনসহ নৃশংস হত্যাকান্ডের পর তিনি ছটফট, আর্তনাদ করেছেন। চার দিনের মাথায় খুনিদের উল্লাস, দম্ভ আর নিষ্ঠুর রক্তাক্ত শাসনের অবরুদ্ধ সময়ে জয়নুল হক সিকদার চারটি গরু জবাই করে কুলখানি করলেন। এ নিয়ে খুনিদের সরকারের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাঁকে নাজেহাল করতে চাইলেও তিনি সাহস নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। যা করতেন তা অন্তর দিয়েই করতেন। সেই দুঃসময়ে জেলও খেটেছেন।

সিকদার গ্রুপের সিইও ও পরিচালক সৈয়দ কামরুল ইসলাম মোহন অমায়িক প্রাণোচ্ছল বন্ধুবৎসল মানুষ। তিনি গণমাধ্যমে জনপ্রিয়। একবার আমাকে তাদের একটি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করলেন। হোটেল সোনারগাঁওয়ের সেই সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে দেখি বক্তব্য দিচ্ছেন দেশবরেণ্য শিল্পপতি জয়নুল হক সিকদার। তাঁর কথা আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনে প্রথম দর্শনেই ভক্ত। স্পষ্টভাষী, কথাবার্তায় রাখঢাক, কৌশল নেই। সাহসী সব শব্দ উচ্চারিত হচ্ছে। যেমন মানুষ পছন্দ করি উনি একদম তাই। সেই হোটেল সোনারগাঁওয়ের সাক্ষাতের পর প্রখর আত্মমর্যাদাসম্পন্ন কঠোর ব্যক্তিত্বের অধিকারী জয়নুল হক সিকদারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক শ্রদ্ধা-স্নেহে নিবিড় সান্নিধ্যে গড়ায়। তিনি আমারও সিকদার চাচা হয়ে ওঠেন। অন্তর থেকেই তিনি স্নেহ করতেন। যখনই যেতাম তখনই গল্পে গল্পে সময় গড়িয়ে যেত। কিছু দিন দেখা না হলে চাচা ফোনেও মাঝেমধ্যে ডাকতেন। খবরাখবরও রাখতেন চারদিকের। খবর নিতেও বলতেন। করোনাকালে সন্তানরা মা-বাবাকে বনানীর বাড়িতে নিয়ে আসেন। সে সময় অনেকের মতো সিকদার চাচার সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। একদিন ন্যাশনাল ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বুলবুল ভাই ফোন করলেন। সেই ফোনে চাচা কথা বললেন। আমার লেখা পছন্দ করতেন। দেশে থাকলে নিয়মিত পড়তেন। এটা বলতেন অন্যদেরও।

আজীবনের যোদ্ধা জয়নুল হক শিকদার প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী, দূরদর্শী, বিচক্ষণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষিপ্র গতিসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন। দেশের অর্থনীতিতেই তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাননি। বিদেশেও বিনিয়োগ সম্প্রসারিত করেছেন। সফলতা কুড়িয়েছেন। দেশে অর্থনৈতিক খাতে অনেক উদ্যোক্তা তৈরিরও নেপথ্য কারিগর ছিলেন।

এ দেশে হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা তিনিই প্রবর্তন করেছিলেন গুলশান ও রায়েরবাজারের জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও কার্ডিয়াক হাসপাতাল করে। ভারতের প্রখ্যাত হার্টের সার্জন ও নার্স এনে স্বল্পমূল্যে দেশে হৃদরোগের বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেন। একই সঙ্গে তাঁর এখানে কাজ করে অনেক চিকিৎসক তৈরিই হননি, খ্যাতিও অর্জন করেছেন পরবর্তীতে। তাঁর হাসপাতালে কত গরিব মানুষ ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর চিকিৎসা মিলেছে। তিনি সাহায্য করেছেন। মুনাফা দেখেননি। রায়েরবাজার হাসপাতালটি একুশের গ্রেনেড হামলায় আহত নেতা-কর্মীদের জন্য খুলে দিয়েছিলেন।

সিকদার চাচা একবার নিয়ে গেলেন তাঁর শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের বাড়িতে। গ্রামকে বড় ভালোবাসতেন। আসামে চার ভাইয়ের জন্ম হলেও পূর্বপুরুষের ভিটেমাটির প্রতি আবেগ ছিল। মমতা ছিল। এখানেই তিনি মধুপুর জেড এইচ সিকদার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অবহেলিত এক জনপদকে কীভাবে একজন ব্যক্তি একের পর এক প্রতিষ্ঠান গড়ে হার না-মানা যুদ্ধে গ্রামের পর গ্রাম আলোকিত করতে পারেন তা দেখে চমকে ওঠার অবস্থা। বাড়ি গিয়েই তিনি আগে তাঁর মায়ের কবর জিয়ারত করলেন। সঙ্গেই মসজিদ। মাতৃভক্ত সন্তানরা অনেক বড় হন। তিনিও তাই ছিলেন। এখানে তাঁর পুত্রস্নেহে পালিত ভাইয়ের ছেলে যুবলীগ নেতা ও ষাটের ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা মুক্তিযোদ্ধা এম এ রেজার কবর রয়েছে। এম এ রেজার গল্প সব সময় সিকদার চাচা করতেন। এতটাই সন্তানের মতো অবাধ স্বাধীনতায় মানুষ করেছিলেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছিলেন, এম এ রেজা ও তিনি হরিহর আত্মা ছিলেন। তারপর জগন্নাথ কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন এম এ রেজা। সিকদার চাচা মাকে যে টাকা দিতেন সেটিও তিনি আদরের নাতি এম এ রেজার হাতে তুলে দিতেন। রেজা সেটি রাজনীতিতে খরচ করতেন। সিকদার চাচা দিতেনই। সিকদার চাচার ভাতিজা গাড়িতে চড়ে কলেজে যেতেন। সে সময় এমন দৃশ্য বিরল ছিল। রেজা কিছু চেয়েছে না দিলেই দাদি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করতেন। সিকদার চাচা তখন সব আবদার পূরণ করতেন। সিকদার চাচার মমতাময়ী স্ত্রীও তাদের ভীষণ স্নেহ করতেন। খেজুর রসের পায়েস থেকে হরেক রকম রান্না বানিয়ে খাওয়াতেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ’৭১-এর উত্তাল মার্চে সিকদার চাচার কেনা নতুন গাড়ি এম এ রেজা ড্রাইভ করে নিয়ে এলেন। তিনি সামনের সিটে বসা। তারা পুরনো হাই কোর্ট ভবনে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ালেন। সিকদার চাচা রাগ করতে পারতেন না। প্রশ্রয়ই দিতেন।

চাচা গল্প করছিলেন কার্তিকপুরের পৈতৃক বাড়ির বাইরে তিনি তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীকে অনেক নারকেল গাছসহ আলাদা বাড়ি করে দেন। সেদিন এখান থেকে কুয়াকাটার বৃহত্তম রিসোর্ট ঘুরে আসার কথা ছিল। চাচা হঠাৎ শরীর খারাপ লাগায় যেতে না চাওয়ায় যাইনি। বললাম, আপনার সঙ্গে আরেকবার যাব। বললেন, তোমাকে নিয়ে যাব। চাচার সঙ্গে আর যাওয়া হয়নি। যাওয়া হবে না।

জেড এইচ সিকদার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রবেশকালেই চোখে পড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। এখানে এমন ব্যয়বহুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কারণ হিসেবে সিকদার চাচা জানালেন, শরীয়তপুরসহ আশপাশের গ্রামের পিছিয়ে পড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সন্তানরা যেন উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায় সে জন্য তিনি এখানেই এটি প্রতিষ্ঠাু করেছেন। নিজের নয়, দেশ ও মানুষের কল্যাণে তাঁর এ প্রয়াস। তা-ই নয়, দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাসের সঙ্গে বিভিন্ন ভবন ও হলও নির্মিত হচ্ছে। এ ছাড়া সেখানেই তিনি স্ত্রীর নামে মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। হাসপাতাল কেন্দ্র করে একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চূড়ান্ত পর্যায়ে সরকারি অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায়  ছিল বেশ ক’বছর। বিলম্ব হওয়ায় সিকদার চাচা মেডিকেল কলেজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ খবর জেনে তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে অনুমোদন পাওয়ার ব্যবস্থা করেন। রাজনীতির কিংবদন্তি মরহুম আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদ দুজনই সিকদার চাচার পুত্রস্নেহ লাভ করেছেন। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সাড়ে ১৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করলেও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার এলাকার শিক্ষার্থীদের কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখেন। প্রতিবন্ধী, গরিব ও মেধাবীদের সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করে ৩ লাখ কমিয়ে সাড়ে ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করেন। সেটি এককালীন জমা না দিয়ে ভর্তির সময়ে প্রথমে অর্ধেক ও বাকি টাকা পরবর্তী চার বছরে চার কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দেন। গরিব ও মেধাবীদের জন্য রাখেন বিনামূল্যে ভর্তির সুযোগ।

বৃহত্তর ফরিদপুর ইতিহাস-ঐতিহ্য পরিষদের সভাপতি বদিউজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকতা করেছেন। ’৭১ সালে জয়নুল হক সিকদারের সঙ্গে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। এই বরেণ্য মানুষের সঙ্গে নানা আলাপচারিতায় লিখেছেন জয়নুল হক সিকদার ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব বইটি। বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন। তিনি ভূমিকায় লিখেছেন, জয়নুল হক সিকদার সাহেবের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সেইফ হাউসে ১৯৭৬ সালের ১৫ মার্চ। তখন দেশে কঠিন দুঃসময়। পলাতক জীবনে ডিজিএফআই আমাকে গ্রেফতার করে তাদের সেইফ হাউসে নিয়ে আসে। সেখানে দেখা হয় সিকদার সাহেব ও তাঁর ভাতিজা যুবলীগ নেতা এম এ রেজার সঙ্গে। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে তাঁদেরও আটক করা হয়েছে। বহু বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা চলছে। সেখানে জানানো হলো জনাব জয়নুল হক সিকদার বিশ্ববিদ্যালয় কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীদের জন্য একটি ভবন নির্মাণের সমুদয় অর্থ দান করেছেন। ’৭৬ সালের মার্চের দিনগুলোতে মন যেতেই উঠে দাঁড়ালাম। জানালাম কঠিন দুঃসময়ে সিকদার সাহেবের সঙ্গে আমার পরিচয়ের কথা। সে সময় একজন নির্ভীক মানুষ হিসাবে তাঁকে দেখেছি জানালাম। পিনপতন নীরবতায় সবাই শুনলেন। বিপুল করতালিতে তাঁকে অভিনন্দিত করলেন অধ্যাপকরা। আনোয়ার হোসেন এরপর জয়নুল হক সিকদারের সঙ্গে তাঁর দেখা, সম্পর্ক নিবিড় হওয়া এবং মধুপুরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে ভূমিকা রাখার বর্ণনা দিলেন। কীভাবে তাঁর কাছেও সিকদার সাহেব একান্ত আপন সিকদার চাচা হয়ে উঠলেন তাও উল্লেখ করলেন। ব্যবসায়ী হিসেবে সফলতাই নয়, একজন বড় মাপের মানবিক মানুষ হিসেবে তিনি সমাজে বয়সে মুরব্বি ছিলেন। তাই অনেকের প্রিয় সিকদার চাচা হয়ে যান।

আনোয়ার হোসেন লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাদানকল্পে কলেজ বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজটির গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়েছে আমাকে। বেসরকারি কিন্তু ব্যক্তিমালিকানাধীন নয়- এ কলেজটি তিল তিল করে গড়েছেন মহিলা শিক্ষকরা। চাচাকে জানালাম কলেজের জন্য একখ- জমি কিনতে চাই আমরা। তিনি বললেন, কেনার প্রয়োজন কি! কলেজের জন্য জমি দান করে দেব। সিকদার মেডিকেল কলেজের ভিতরে রাস্তাসহ ১১ কাঠা জমি তিনি কলেজকে দানসূত্রে লিখে দিলেন। মুক্তিযুদ্ধের একটি ওয়েব আর্কাইভ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি, অর্থ প্রয়োজন। চাচা দরাজ হাতে এগিয়ে এলেন। কর্নেল তাহেরের ওপর ডকুমেন্টারি হবে অর্থ সহায়তা পেলাম চাচার কাছে।’

সিকদার চাচা আল্লাহভীরু একজন মানুষ হলেও মননে ছিলেন মানবতাবাদী অসাম্প্রদায়িক। তিনি ওলি-আউলিয়া-দরবেশদের সম্মান করতেন। ওলি-আউলিয়াদের মাজারে যেতেন। হজও করেছেন। ঢাকা-শরীয়তপুরই নয়, এর বাইরেও তিনি অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, মাজার শরিফ নির্মাণ ও উন্নয়ন করে গেছেন। শতাধিক স্কুল, কলেজসহ নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে গেছেন। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজীবন ফ্যাশনসচেতন ছিলেন। আভিজাত্য ছিল। নিজস্ব একটা স্টাইল ছিল।

লেখক বদিউজ্জামান চৌধুরী লিখেছেন, ধনী পিতার জেদী পুত্র জয়নুল হক সিকদার নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার আগে বাড়ি থেকে ১৯ বছর বয়সে পালিয়ে আসাম থেকে ঢাকায় আসেন। বাবার কাছে ঢাকায় জায়গা কেনার ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে চলে আসেন। পিতার এত সম্পদের ওপর প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চিন্তা না করে নিজেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নেন। একজন দক্ষ ফুটবলার হিসেবে ইপিআরে যোগ দেন এবং সেই সঙ্গে কঠোর পরিশ্রমে ব্যবসা-বাণিজ্যে হাত প্রসারিত করেন। তিনি ঢাকাতেই ৪০০ বিঘা জমি, নিজ গ্রামাঞ্চলে ১৫০০ বিঘা এবং দেশের বাইরে কয়েক স্থানে আরও কয়েক শ বিঘা জমি নিজ অর্থে কেনেন পাঁচ বছর আগেই। তাঁর মধুপুরের বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০ বিঘা জমি নিয়ে ক্যাম্পাস। মূল ক্যাম্পাস ভবনটিই ৬ একর জমির ওপর নির্মিত। লেখক জয়নুল হক সিকদারের নামটি রণদা প্রসাদ সাহা ও জহুরুল ইসলামের সঙ্গে যুক্ত করেছেন যুক্তিসংগতভাবেই। তবে জয়নুল হক সিকদার পশ্চাৎপদ অঞ্চলকেই প্রাধান্য দেননি, শিক্ষানুরাগী হিসেবে তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের অগ্রসর করে আনার পদক্ষেপ নিয়েছেন। ’৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর ’৫০ সালে জয়নুল হক সিকদারের পিতা-মাতাসহ পুরো পরিবার তাঁদের কার্তিকপুরের বাড়িতে চলে আসেন।

জয়নুল হক সিকদার একে একে ব্যাংক, বীমা, গার্মেন্ট, রিয়েল এস্টেট, এভিয়েশন, অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, চিকিৎসা, শিক্ষা, আবাসিক হোটেল, আন্তর্জাতিক চেইন রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন খাতে দেশে-বিদেশে বিনিয়োগ করেছেন। পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে তারাও সবাই এখন দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। কন্যা পারভীন হক সিকদার এমপি। সিকদার গ্রুপকে নিয়ে খুলনার মোংলায় ২০৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করেছেন দেশের প্রথম পাবলিক-প্রাইভেট ইকোনমিক জোন। এ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত সিকদার রি-রোলিং মিলস এখন সবার চেনা। বাংলাদেশ আর্মির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বান্দরবানে ২০ একর জমির ওপর হচ্ছে চন্দ্রপাহাড় রিসোর্ট। কক্সবাজারে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম ভিলেজ। আবাসন ব্যবসার আওতায় ১০ মিলিয়ন টাকা ব্যয়ে ধানমন্ডিতে নির্মাণ করেছেন সুবিশাল রিভার প্রজেক্ট। আল্লাহ দয়াময়, নিভৃতচারী আর প্রচারবিমুখ সিকদার চাচাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।

            লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
সর্বদা পরকালের জন্য প্রস্তুত থাকার গুরুত্ব
সর্বদা পরকালের জন্য প্রস্তুত থাকার গুরুত্ব

১ সেকেন্ড আগে | ইসলামী জীবন

ফিলিস্তিনে ইসহাক (আ.)-এর স্মৃতি ও সমাধি
ফিলিস্তিনে ইসহাক (আ.)-এর স্মৃতি ও সমাধি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রবিআহ ইবনে হারিছ (রা.) যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন
রবিআহ ইবনে হারিছ (রা.) যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ঘরের মাঠে ম্যানসিটিকে হারাল নিউক্যাসল
ঘরের মাঠে ম্যানসিটিকে হারাল নিউক্যাসল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও বায়ার্নের গোলবন্যা
দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও বায়ার্নের গোলবন্যা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফারহানের ঝড়ো ইনিংসে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা
ফারহানের ঝড়ো ইনিংসে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট আটক
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট আটক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাম্প ন্যুয়ে ফেরার ম্যাচে বার্সেলোনার দাপুটে জয়
কাম্প ন্যুয়ে ফেরার ম্যাচে বার্সেলোনার দাপুটে জয়

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা
ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উচ্চ শিক্ষার বিস্তারে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
উচ্চ শিক্ষার বিস্তারে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ
বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ

৬ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৈশভোজের আয়োজন
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৈশভোজের আয়োজন

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

৬ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত
মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা
আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের
টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত
মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’
‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব

৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা
তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশের মানুষ শুধু পরিবর্তন নয়, সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়’
‘দেশের মানুষ শুধু পরিবর্তন নয়, সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়’

৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

১৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

১৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই
হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই

পেছনের পৃষ্ঠা

হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২
হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২

পেছনের পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান

পেছনের পৃষ্ঠা

অগ্নিকাণ্ড রোধে কঠোর নির্দেশনা জারি
অগ্নিকাণ্ড রোধে কঠোর নির্দেশনা জারি

পেছনের পৃষ্ঠা