শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ আপডেট:

আজন্ম যোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার বিজয়ের ইতিহাস লিখে গেলেন

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
আজন্ম যোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার বিজয়ের ইতিহাস লিখে গেলেন

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় লাখো মানুষের অশ্রুসিক্ত কান্না ভালোবাসা নিয়ে শেষ পর্যন্ত রায়েরবাজার জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী সিকদার গ্রুপের কর্ণধার, ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান সমাজসেবী শিক্ষানুরাগী দানশীল শিল্পপতি জয়নুল হক সিকদার। এ ক্যাম্পাসটিও তাঁর নিজ হাতে গড়া এবং জীবনের শেষ দিকে তিনি এখানেই থাকতেন। ক্যাম্পাসের ভিতরেই মসজিদে নামাজ পড়তেন। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে তাঁর ব্যাংকের ঊর্ধ্বতনরাও অংশ নিতেন। কবি নজরুলের সেই কবিতা ‘মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই, যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই’- তাঁর অফিসকক্ষ থেকে কবর দেখা যাবে এবং তিনি আজানের ধ্বনি নিয়মিত শুনতে পাবেন। ঢাকা ও ভেদরগঞ্জের জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছিল শেষ শ্রদ্ধা-বিদায় জানাতে করোনাকালেও। অসুস্থতার জন্য যেতে পারিনি আক্ষেপটা থাকবে। এর মধ্য দিয়ে একজন দুঃসাহসী মানুষের বর্ণাঢ্য সফল জীবনের সমাধি হলো। এক আজন্ম যোদ্ধার পরিপূর্ণ জীবনের বিজয়ের ইতিহাস লেখা হলো। তিনি এখন তাঁর কর্ম আর রেখে যাওয়া শতাধিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কীর্তিতেই অমর হয়ে থাকবেন। জয়নুল হক সিকদার ৯১ বছর বয়সে ১০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। এ সংবাদ অনেকের সঙ্গে আমাকেও সজল নয়নে ব্যথিত করেছে। একটি পরিপূর্ণ জীবন তিনি কাজের মধ্যে সৃষ্টিশীলতার নেশায় কাটিয়েছেন। সময়কে কখনো নষ্ট করেননি। বাইরে কঠোর ভিতরে কোমল, প্রখর ব্যক্তিত্বের অধিকারী মানুষটি আসাম থেকে ধনাঢ্য পিতার সঙ্গে অভিমান করে পালিয়ে এসে জীবনের যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন সেখানে সাফল্যের সিঁড়ি একে একে অতিক্রম করেছেন। মওলানা ভাসানীর সান্নিধ্য পেলেও আমৃত্য ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ স্বজন-ভক্ত। আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। ভালোবাসার বিনিময়ে কিছু চানওনি। ’৭১-এর সুমহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এই বীরযোদ্ধা জীবনের সব ক্ষেত্রে বীরত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। গভীর দেশপ্রেমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে একের পর এক প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। মানবতার কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। একদিকে বিত্তের সাফল্য আরেকদিকে চিত্তের আনন্দ হাতের মুঠোয় পুড়েছেন। সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করে, নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময়কে উপভোগ করে জীবনের সব চ্যালেঞ্জকে জয় করে একজন জগজ্জয়ী কিংবদন্তি হয়ে, তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেই চিরবিদায় নিয়েছেন। কেবল বাণিজ্য দেখেননি। কেবল মুনাফা দেখেননি। মানুষ ও দেশের কল্যাণে কত প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। কত প্রতিষ্ঠানে উদার হাতে অনুদান দিয়েছেন অর্থ, জমি যখন যা প্রয়োজন। যেদিকে গেছেন মানুষকে জয় করতেন। গরিবের পাশে দাঁড়াতেন। কাউকে খালি হাতে ফেরাতেন না। এক অসাধারণ বর্ণময় চরিত্রের মানুষ ছিলেন। বড় তেজস্বী ছিলেন। প্রতিবাদী ছিলেন। অমিত সাহসী ছিলেন। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতেন না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবার-পরিজনসহ নৃশংস হত্যাকান্ডের পর তিনি ছটফট, আর্তনাদ করেছেন। চার দিনের মাথায় খুনিদের উল্লাস, দম্ভ আর নিষ্ঠুর রক্তাক্ত শাসনের অবরুদ্ধ সময়ে জয়নুল হক সিকদার চারটি গরু জবাই করে কুলখানি করলেন। এ নিয়ে খুনিদের সরকারের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাঁকে নাজেহাল করতে চাইলেও তিনি সাহস নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। যা করতেন তা অন্তর দিয়েই করতেন। সেই দুঃসময়ে জেলও খেটেছেন।

সিকদার গ্রুপের সিইও ও পরিচালক সৈয়দ কামরুল ইসলাম মোহন অমায়িক প্রাণোচ্ছল বন্ধুবৎসল মানুষ। তিনি গণমাধ্যমে জনপ্রিয়। একবার আমাকে তাদের একটি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করলেন। হোটেল সোনারগাঁওয়ের সেই সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে দেখি বক্তব্য দিচ্ছেন দেশবরেণ্য শিল্পপতি জয়নুল হক সিকদার। তাঁর কথা আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনে প্রথম দর্শনেই ভক্ত। স্পষ্টভাষী, কথাবার্তায় রাখঢাক, কৌশল নেই। সাহসী সব শব্দ উচ্চারিত হচ্ছে। যেমন মানুষ পছন্দ করি উনি একদম তাই। সেই হোটেল সোনারগাঁওয়ের সাক্ষাতের পর প্রখর আত্মমর্যাদাসম্পন্ন কঠোর ব্যক্তিত্বের অধিকারী জয়নুল হক সিকদারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক শ্রদ্ধা-স্নেহে নিবিড় সান্নিধ্যে গড়ায়। তিনি আমারও সিকদার চাচা হয়ে ওঠেন। অন্তর থেকেই তিনি স্নেহ করতেন। যখনই যেতাম তখনই গল্পে গল্পে সময় গড়িয়ে যেত। কিছু দিন দেখা না হলে চাচা ফোনেও মাঝেমধ্যে ডাকতেন। খবরাখবরও রাখতেন চারদিকের। খবর নিতেও বলতেন। করোনাকালে সন্তানরা মা-বাবাকে বনানীর বাড়িতে নিয়ে আসেন। সে সময় অনেকের মতো সিকদার চাচার সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। একদিন ন্যাশনাল ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বুলবুল ভাই ফোন করলেন। সেই ফোনে চাচা কথা বললেন। আমার লেখা পছন্দ করতেন। দেশে থাকলে নিয়মিত পড়তেন। এটা বলতেন অন্যদেরও।

আজীবনের যোদ্ধা জয়নুল হক শিকদার প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী, দূরদর্শী, বিচক্ষণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষিপ্র গতিসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন। দেশের অর্থনীতিতেই তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাননি। বিদেশেও বিনিয়োগ সম্প্রসারিত করেছেন। সফলতা কুড়িয়েছেন। দেশে অর্থনৈতিক খাতে অনেক উদ্যোক্তা তৈরিরও নেপথ্য কারিগর ছিলেন।

এ দেশে হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা তিনিই প্রবর্তন করেছিলেন গুলশান ও রায়েরবাজারের জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও কার্ডিয়াক হাসপাতাল করে। ভারতের প্রখ্যাত হার্টের সার্জন ও নার্স এনে স্বল্পমূল্যে দেশে হৃদরোগের বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেন। একই সঙ্গে তাঁর এখানে কাজ করে অনেক চিকিৎসক তৈরিই হননি, খ্যাতিও অর্জন করেছেন পরবর্তীতে। তাঁর হাসপাতালে কত গরিব মানুষ ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর চিকিৎসা মিলেছে। তিনি সাহায্য করেছেন। মুনাফা দেখেননি। রায়েরবাজার হাসপাতালটি একুশের গ্রেনেড হামলায় আহত নেতা-কর্মীদের জন্য খুলে দিয়েছিলেন।

সিকদার চাচা একবার নিয়ে গেলেন তাঁর শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের বাড়িতে। গ্রামকে বড় ভালোবাসতেন। আসামে চার ভাইয়ের জন্ম হলেও পূর্বপুরুষের ভিটেমাটির প্রতি আবেগ ছিল। মমতা ছিল। এখানেই তিনি মধুপুর জেড এইচ সিকদার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অবহেলিত এক জনপদকে কীভাবে একজন ব্যক্তি একের পর এক প্রতিষ্ঠান গড়ে হার না-মানা যুদ্ধে গ্রামের পর গ্রাম আলোকিত করতে পারেন তা দেখে চমকে ওঠার অবস্থা। বাড়ি গিয়েই তিনি আগে তাঁর মায়ের কবর জিয়ারত করলেন। সঙ্গেই মসজিদ। মাতৃভক্ত সন্তানরা অনেক বড় হন। তিনিও তাই ছিলেন। এখানে তাঁর পুত্রস্নেহে পালিত ভাইয়ের ছেলে যুবলীগ নেতা ও ষাটের ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা মুক্তিযোদ্ধা এম এ রেজার কবর রয়েছে। এম এ রেজার গল্প সব সময় সিকদার চাচা করতেন। এতটাই সন্তানের মতো অবাধ স্বাধীনতায় মানুষ করেছিলেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছিলেন, এম এ রেজা ও তিনি হরিহর আত্মা ছিলেন। তারপর জগন্নাথ কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন এম এ রেজা। সিকদার চাচা মাকে যে টাকা দিতেন সেটিও তিনি আদরের নাতি এম এ রেজার হাতে তুলে দিতেন। রেজা সেটি রাজনীতিতে খরচ করতেন। সিকদার চাচা দিতেনই। সিকদার চাচার ভাতিজা গাড়িতে চড়ে কলেজে যেতেন। সে সময় এমন দৃশ্য বিরল ছিল। রেজা কিছু চেয়েছে না দিলেই দাদি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করতেন। সিকদার চাচা তখন সব আবদার পূরণ করতেন। সিকদার চাচার মমতাময়ী স্ত্রীও তাদের ভীষণ স্নেহ করতেন। খেজুর রসের পায়েস থেকে হরেক রকম রান্না বানিয়ে খাওয়াতেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ’৭১-এর উত্তাল মার্চে সিকদার চাচার কেনা নতুন গাড়ি এম এ রেজা ড্রাইভ করে নিয়ে এলেন। তিনি সামনের সিটে বসা। তারা পুরনো হাই কোর্ট ভবনে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ালেন। সিকদার চাচা রাগ করতে পারতেন না। প্রশ্রয়ই দিতেন।

চাচা গল্প করছিলেন কার্তিকপুরের পৈতৃক বাড়ির বাইরে তিনি তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীকে অনেক নারকেল গাছসহ আলাদা বাড়ি করে দেন। সেদিন এখান থেকে কুয়াকাটার বৃহত্তম রিসোর্ট ঘুরে আসার কথা ছিল। চাচা হঠাৎ শরীর খারাপ লাগায় যেতে না চাওয়ায় যাইনি। বললাম, আপনার সঙ্গে আরেকবার যাব। বললেন, তোমাকে নিয়ে যাব। চাচার সঙ্গে আর যাওয়া হয়নি। যাওয়া হবে না।

জেড এইচ সিকদার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রবেশকালেই চোখে পড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। এখানে এমন ব্যয়বহুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কারণ হিসেবে সিকদার চাচা জানালেন, শরীয়তপুরসহ আশপাশের গ্রামের পিছিয়ে পড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সন্তানরা যেন উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায় সে জন্য তিনি এখানেই এটি প্রতিষ্ঠাু করেছেন। নিজের নয়, দেশ ও মানুষের কল্যাণে তাঁর এ প্রয়াস। তা-ই নয়, দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাসের সঙ্গে বিভিন্ন ভবন ও হলও নির্মিত হচ্ছে। এ ছাড়া সেখানেই তিনি স্ত্রীর নামে মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। হাসপাতাল কেন্দ্র করে একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চূড়ান্ত পর্যায়ে সরকারি অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায়  ছিল বেশ ক’বছর। বিলম্ব হওয়ায় সিকদার চাচা মেডিকেল কলেজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ খবর জেনে তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে অনুমোদন পাওয়ার ব্যবস্থা করেন। রাজনীতির কিংবদন্তি মরহুম আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদ দুজনই সিকদার চাচার পুত্রস্নেহ লাভ করেছেন। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সাড়ে ১৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করলেও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার এলাকার শিক্ষার্থীদের কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখেন। প্রতিবন্ধী, গরিব ও মেধাবীদের সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করে ৩ লাখ কমিয়ে সাড়ে ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করেন। সেটি এককালীন জমা না দিয়ে ভর্তির সময়ে প্রথমে অর্ধেক ও বাকি টাকা পরবর্তী চার বছরে চার কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দেন। গরিব ও মেধাবীদের জন্য রাখেন বিনামূল্যে ভর্তির সুযোগ।

বৃহত্তর ফরিদপুর ইতিহাস-ঐতিহ্য পরিষদের সভাপতি বদিউজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকতা করেছেন। ’৭১ সালে জয়নুল হক সিকদারের সঙ্গে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। এই বরেণ্য মানুষের সঙ্গে নানা আলাপচারিতায় লিখেছেন জয়নুল হক সিকদার ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব বইটি। বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন। তিনি ভূমিকায় লিখেছেন, জয়নুল হক সিকদার সাহেবের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সেইফ হাউসে ১৯৭৬ সালের ১৫ মার্চ। তখন দেশে কঠিন দুঃসময়। পলাতক জীবনে ডিজিএফআই আমাকে গ্রেফতার করে তাদের সেইফ হাউসে নিয়ে আসে। সেখানে দেখা হয় সিকদার সাহেব ও তাঁর ভাতিজা যুবলীগ নেতা এম এ রেজার সঙ্গে। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে তাঁদেরও আটক করা হয়েছে। বহু বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা চলছে। সেখানে জানানো হলো জনাব জয়নুল হক সিকদার বিশ্ববিদ্যালয় কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীদের জন্য একটি ভবন নির্মাণের সমুদয় অর্থ দান করেছেন। ’৭৬ সালের মার্চের দিনগুলোতে মন যেতেই উঠে দাঁড়ালাম। জানালাম কঠিন দুঃসময়ে সিকদার সাহেবের সঙ্গে আমার পরিচয়ের কথা। সে সময় একজন নির্ভীক মানুষ হিসাবে তাঁকে দেখেছি জানালাম। পিনপতন নীরবতায় সবাই শুনলেন। বিপুল করতালিতে তাঁকে অভিনন্দিত করলেন অধ্যাপকরা। আনোয়ার হোসেন এরপর জয়নুল হক সিকদারের সঙ্গে তাঁর দেখা, সম্পর্ক নিবিড় হওয়া এবং মধুপুরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে ভূমিকা রাখার বর্ণনা দিলেন। কীভাবে তাঁর কাছেও সিকদার সাহেব একান্ত আপন সিকদার চাচা হয়ে উঠলেন তাও উল্লেখ করলেন। ব্যবসায়ী হিসেবে সফলতাই নয়, একজন বড় মাপের মানবিক মানুষ হিসেবে তিনি সমাজে বয়সে মুরব্বি ছিলেন। তাই অনেকের প্রিয় সিকদার চাচা হয়ে যান।

আনোয়ার হোসেন লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাদানকল্পে কলেজ বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজটির গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়েছে আমাকে। বেসরকারি কিন্তু ব্যক্তিমালিকানাধীন নয়- এ কলেজটি তিল তিল করে গড়েছেন মহিলা শিক্ষকরা। চাচাকে জানালাম কলেজের জন্য একখ- জমি কিনতে চাই আমরা। তিনি বললেন, কেনার প্রয়োজন কি! কলেজের জন্য জমি দান করে দেব। সিকদার মেডিকেল কলেজের ভিতরে রাস্তাসহ ১১ কাঠা জমি তিনি কলেজকে দানসূত্রে লিখে দিলেন। মুক্তিযুদ্ধের একটি ওয়েব আর্কাইভ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি, অর্থ প্রয়োজন। চাচা দরাজ হাতে এগিয়ে এলেন। কর্নেল তাহেরের ওপর ডকুমেন্টারি হবে অর্থ সহায়তা পেলাম চাচার কাছে।’

সিকদার চাচা আল্লাহভীরু একজন মানুষ হলেও মননে ছিলেন মানবতাবাদী অসাম্প্রদায়িক। তিনি ওলি-আউলিয়া-দরবেশদের সম্মান করতেন। ওলি-আউলিয়াদের মাজারে যেতেন। হজও করেছেন। ঢাকা-শরীয়তপুরই নয়, এর বাইরেও তিনি অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, মাজার শরিফ নির্মাণ ও উন্নয়ন করে গেছেন। শতাধিক স্কুল, কলেজসহ নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে গেছেন। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজীবন ফ্যাশনসচেতন ছিলেন। আভিজাত্য ছিল। নিজস্ব একটা স্টাইল ছিল।

লেখক বদিউজ্জামান চৌধুরী লিখেছেন, ধনী পিতার জেদী পুত্র জয়নুল হক সিকদার নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার আগে বাড়ি থেকে ১৯ বছর বয়সে পালিয়ে আসাম থেকে ঢাকায় আসেন। বাবার কাছে ঢাকায় জায়গা কেনার ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে চলে আসেন। পিতার এত সম্পদের ওপর প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চিন্তা না করে নিজেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নেন। একজন দক্ষ ফুটবলার হিসেবে ইপিআরে যোগ দেন এবং সেই সঙ্গে কঠোর পরিশ্রমে ব্যবসা-বাণিজ্যে হাত প্রসারিত করেন। তিনি ঢাকাতেই ৪০০ বিঘা জমি, নিজ গ্রামাঞ্চলে ১৫০০ বিঘা এবং দেশের বাইরে কয়েক স্থানে আরও কয়েক শ বিঘা জমি নিজ অর্থে কেনেন পাঁচ বছর আগেই। তাঁর মধুপুরের বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০ বিঘা জমি নিয়ে ক্যাম্পাস। মূল ক্যাম্পাস ভবনটিই ৬ একর জমির ওপর নির্মিত। লেখক জয়নুল হক সিকদারের নামটি রণদা প্রসাদ সাহা ও জহুরুল ইসলামের সঙ্গে যুক্ত করেছেন যুক্তিসংগতভাবেই। তবে জয়নুল হক সিকদার পশ্চাৎপদ অঞ্চলকেই প্রাধান্য দেননি, শিক্ষানুরাগী হিসেবে তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের অগ্রসর করে আনার পদক্ষেপ নিয়েছেন। ’৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর ’৫০ সালে জয়নুল হক সিকদারের পিতা-মাতাসহ পুরো পরিবার তাঁদের কার্তিকপুরের বাড়িতে চলে আসেন।

জয়নুল হক সিকদার একে একে ব্যাংক, বীমা, গার্মেন্ট, রিয়েল এস্টেট, এভিয়েশন, অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, চিকিৎসা, শিক্ষা, আবাসিক হোটেল, আন্তর্জাতিক চেইন রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন খাতে দেশে-বিদেশে বিনিয়োগ করেছেন। পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে তারাও সবাই এখন দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। কন্যা পারভীন হক সিকদার এমপি। সিকদার গ্রুপকে নিয়ে খুলনার মোংলায় ২০৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করেছেন দেশের প্রথম পাবলিক-প্রাইভেট ইকোনমিক জোন। এ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত সিকদার রি-রোলিং মিলস এখন সবার চেনা। বাংলাদেশ আর্মির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বান্দরবানে ২০ একর জমির ওপর হচ্ছে চন্দ্রপাহাড় রিসোর্ট। কক্সবাজারে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম ভিলেজ। আবাসন ব্যবসার আওতায় ১০ মিলিয়ন টাকা ব্যয়ে ধানমন্ডিতে নির্মাণ করেছেন সুবিশাল রিভার প্রজেক্ট। আল্লাহ দয়াময়, নিভৃতচারী আর প্রচারবিমুখ সিকদার চাচাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।

            লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
বেটিং সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকায় ধারাভাষ্যকারের চাকরি হারালেন ম্যাকগ্রা
বেটিং সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকায় ধারাভাষ্যকারের চাকরি হারালেন ম্যাকগ্রা

২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের খেলা
বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের খেলা

১১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আজ রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ
আজ রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর বিষয়ে আপিলের চূড়ান্ত রায় আজ
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর বিষয়ে আপিলের চূড়ান্ত রায় আজ

২৮ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাত মাওবাদী নিহত
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাত মাওবাদী নিহত

৫৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হেরেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
হেরেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘সবাইকে সাথে নিয়ে আগামীর শ্রীপুর গড়ে তুলবো’
‘সবাইকে সাথে নিয়ে আগামীর শ্রীপুর গড়ে তুলবো’

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ল্যুভরে বসছে আরও ১০০ ক্যামেরা
ল্যুভরে বসছে আরও ১০০ ক্যামেরা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত
রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২
নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা
দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত
গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে
বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব
কলাপাড়ায় নবান্ন উৎসব

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস
বরিশালে মোটরসাইকেল রক্ষা করতে গিয়ে উল্টে গেল বাস

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল
৩১ দফা জনগণকে ধানের শীষে ভোট দিতে আকৃষ্ট করবে: বাবুল

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ
ভারতের কাছে হারালো বাংলাদেশ

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

২১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১৯ ঘণ্টা আগে | টক শো

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বলিভিয়ার ছোট পুকুরে বিরল মাছের সন্ধান
বলিভিয়ার ছোট পুকুরে বিরল মাছের সন্ধান

২২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের পাশের মার্কেটে আগুন

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে
দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ
অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ

শোবিজ

ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ
ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সতর্ক পাকিস্তান -খাজা আসিফ

পূর্ব-পশ্চিম