শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ আপডেট:

আজন্ম যোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার বিজয়ের ইতিহাস লিখে গেলেন

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
আজন্ম যোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার বিজয়ের ইতিহাস লিখে গেলেন

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় লাখো মানুষের অশ্রুসিক্ত কান্না ভালোবাসা নিয়ে শেষ পর্যন্ত রায়েরবাজার জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী সিকদার গ্রুপের কর্ণধার, ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান সমাজসেবী শিক্ষানুরাগী দানশীল শিল্পপতি জয়নুল হক সিকদার। এ ক্যাম্পাসটিও তাঁর নিজ হাতে গড়া এবং জীবনের শেষ দিকে তিনি এখানেই থাকতেন। ক্যাম্পাসের ভিতরেই মসজিদে নামাজ পড়তেন। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে তাঁর ব্যাংকের ঊর্ধ্বতনরাও অংশ নিতেন। কবি নজরুলের সেই কবিতা ‘মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই, যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই’- তাঁর অফিসকক্ষ থেকে কবর দেখা যাবে এবং তিনি আজানের ধ্বনি নিয়মিত শুনতে পাবেন। ঢাকা ও ভেদরগঞ্জের জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছিল শেষ শ্রদ্ধা-বিদায় জানাতে করোনাকালেও। অসুস্থতার জন্য যেতে পারিনি আক্ষেপটা থাকবে। এর মধ্য দিয়ে একজন দুঃসাহসী মানুষের বর্ণাঢ্য সফল জীবনের সমাধি হলো। এক আজন্ম যোদ্ধার পরিপূর্ণ জীবনের বিজয়ের ইতিহাস লেখা হলো। তিনি এখন তাঁর কর্ম আর রেখে যাওয়া শতাধিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কীর্তিতেই অমর হয়ে থাকবেন। জয়নুল হক সিকদার ৯১ বছর বয়সে ১০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। এ সংবাদ অনেকের সঙ্গে আমাকেও সজল নয়নে ব্যথিত করেছে। একটি পরিপূর্ণ জীবন তিনি কাজের মধ্যে সৃষ্টিশীলতার নেশায় কাটিয়েছেন। সময়কে কখনো নষ্ট করেননি। বাইরে কঠোর ভিতরে কোমল, প্রখর ব্যক্তিত্বের অধিকারী মানুষটি আসাম থেকে ধনাঢ্য পিতার সঙ্গে অভিমান করে পালিয়ে এসে জীবনের যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন সেখানে সাফল্যের সিঁড়ি একে একে অতিক্রম করেছেন। মওলানা ভাসানীর সান্নিধ্য পেলেও আমৃত্য ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ স্বজন-ভক্ত। আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। ভালোবাসার বিনিময়ে কিছু চানওনি। ’৭১-এর সুমহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এই বীরযোদ্ধা জীবনের সব ক্ষেত্রে বীরত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। গভীর দেশপ্রেমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে একের পর এক প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। মানবতার কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। একদিকে বিত্তের সাফল্য আরেকদিকে চিত্তের আনন্দ হাতের মুঠোয় পুড়েছেন। সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করে, নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময়কে উপভোগ করে জীবনের সব চ্যালেঞ্জকে জয় করে একজন জগজ্জয়ী কিংবদন্তি হয়ে, তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেই চিরবিদায় নিয়েছেন। কেবল বাণিজ্য দেখেননি। কেবল মুনাফা দেখেননি। মানুষ ও দেশের কল্যাণে কত প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। কত প্রতিষ্ঠানে উদার হাতে অনুদান দিয়েছেন অর্থ, জমি যখন যা প্রয়োজন। যেদিকে গেছেন মানুষকে জয় করতেন। গরিবের পাশে দাঁড়াতেন। কাউকে খালি হাতে ফেরাতেন না। এক অসাধারণ বর্ণময় চরিত্রের মানুষ ছিলেন। বড় তেজস্বী ছিলেন। প্রতিবাদী ছিলেন। অমিত সাহসী ছিলেন। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতেন না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবার-পরিজনসহ নৃশংস হত্যাকান্ডের পর তিনি ছটফট, আর্তনাদ করেছেন। চার দিনের মাথায় খুনিদের উল্লাস, দম্ভ আর নিষ্ঠুর রক্তাক্ত শাসনের অবরুদ্ধ সময়ে জয়নুল হক সিকদার চারটি গরু জবাই করে কুলখানি করলেন। এ নিয়ে খুনিদের সরকারের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাঁকে নাজেহাল করতে চাইলেও তিনি সাহস নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। যা করতেন তা অন্তর দিয়েই করতেন। সেই দুঃসময়ে জেলও খেটেছেন।

সিকদার গ্রুপের সিইও ও পরিচালক সৈয়দ কামরুল ইসলাম মোহন অমায়িক প্রাণোচ্ছল বন্ধুবৎসল মানুষ। তিনি গণমাধ্যমে জনপ্রিয়। একবার আমাকে তাদের একটি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করলেন। হোটেল সোনারগাঁওয়ের সেই সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে দেখি বক্তব্য দিচ্ছেন দেশবরেণ্য শিল্পপতি জয়নুল হক সিকদার। তাঁর কথা আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনে প্রথম দর্শনেই ভক্ত। স্পষ্টভাষী, কথাবার্তায় রাখঢাক, কৌশল নেই। সাহসী সব শব্দ উচ্চারিত হচ্ছে। যেমন মানুষ পছন্দ করি উনি একদম তাই। সেই হোটেল সোনারগাঁওয়ের সাক্ষাতের পর প্রখর আত্মমর্যাদাসম্পন্ন কঠোর ব্যক্তিত্বের অধিকারী জয়নুল হক সিকদারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক শ্রদ্ধা-স্নেহে নিবিড় সান্নিধ্যে গড়ায়। তিনি আমারও সিকদার চাচা হয়ে ওঠেন। অন্তর থেকেই তিনি স্নেহ করতেন। যখনই যেতাম তখনই গল্পে গল্পে সময় গড়িয়ে যেত। কিছু দিন দেখা না হলে চাচা ফোনেও মাঝেমধ্যে ডাকতেন। খবরাখবরও রাখতেন চারদিকের। খবর নিতেও বলতেন। করোনাকালে সন্তানরা মা-বাবাকে বনানীর বাড়িতে নিয়ে আসেন। সে সময় অনেকের মতো সিকদার চাচার সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। একদিন ন্যাশনাল ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বুলবুল ভাই ফোন করলেন। সেই ফোনে চাচা কথা বললেন। আমার লেখা পছন্দ করতেন। দেশে থাকলে নিয়মিত পড়তেন। এটা বলতেন অন্যদেরও।

আজীবনের যোদ্ধা জয়নুল হক শিকদার প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী, দূরদর্শী, বিচক্ষণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষিপ্র গতিসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন। দেশের অর্থনীতিতেই তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাননি। বিদেশেও বিনিয়োগ সম্প্রসারিত করেছেন। সফলতা কুড়িয়েছেন। দেশে অর্থনৈতিক খাতে অনেক উদ্যোক্তা তৈরিরও নেপথ্য কারিগর ছিলেন।

এ দেশে হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা তিনিই প্রবর্তন করেছিলেন গুলশান ও রায়েরবাজারের জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও কার্ডিয়াক হাসপাতাল করে। ভারতের প্রখ্যাত হার্টের সার্জন ও নার্স এনে স্বল্পমূল্যে দেশে হৃদরোগের বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেন। একই সঙ্গে তাঁর এখানে কাজ করে অনেক চিকিৎসক তৈরিই হননি, খ্যাতিও অর্জন করেছেন পরবর্তীতে। তাঁর হাসপাতালে কত গরিব মানুষ ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর চিকিৎসা মিলেছে। তিনি সাহায্য করেছেন। মুনাফা দেখেননি। রায়েরবাজার হাসপাতালটি একুশের গ্রেনেড হামলায় আহত নেতা-কর্মীদের জন্য খুলে দিয়েছিলেন।

সিকদার চাচা একবার নিয়ে গেলেন তাঁর শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের বাড়িতে। গ্রামকে বড় ভালোবাসতেন। আসামে চার ভাইয়ের জন্ম হলেও পূর্বপুরুষের ভিটেমাটির প্রতি আবেগ ছিল। মমতা ছিল। এখানেই তিনি মধুপুর জেড এইচ সিকদার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অবহেলিত এক জনপদকে কীভাবে একজন ব্যক্তি একের পর এক প্রতিষ্ঠান গড়ে হার না-মানা যুদ্ধে গ্রামের পর গ্রাম আলোকিত করতে পারেন তা দেখে চমকে ওঠার অবস্থা। বাড়ি গিয়েই তিনি আগে তাঁর মায়ের কবর জিয়ারত করলেন। সঙ্গেই মসজিদ। মাতৃভক্ত সন্তানরা অনেক বড় হন। তিনিও তাই ছিলেন। এখানে তাঁর পুত্রস্নেহে পালিত ভাইয়ের ছেলে যুবলীগ নেতা ও ষাটের ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা মুক্তিযোদ্ধা এম এ রেজার কবর রয়েছে। এম এ রেজার গল্প সব সময় সিকদার চাচা করতেন। এতটাই সন্তানের মতো অবাধ স্বাধীনতায় মানুষ করেছিলেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছিলেন, এম এ রেজা ও তিনি হরিহর আত্মা ছিলেন। তারপর জগন্নাথ কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন এম এ রেজা। সিকদার চাচা মাকে যে টাকা দিতেন সেটিও তিনি আদরের নাতি এম এ রেজার হাতে তুলে দিতেন। রেজা সেটি রাজনীতিতে খরচ করতেন। সিকদার চাচা দিতেনই। সিকদার চাচার ভাতিজা গাড়িতে চড়ে কলেজে যেতেন। সে সময় এমন দৃশ্য বিরল ছিল। রেজা কিছু চেয়েছে না দিলেই দাদি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করতেন। সিকদার চাচা তখন সব আবদার পূরণ করতেন। সিকদার চাচার মমতাময়ী স্ত্রীও তাদের ভীষণ স্নেহ করতেন। খেজুর রসের পায়েস থেকে হরেক রকম রান্না বানিয়ে খাওয়াতেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ’৭১-এর উত্তাল মার্চে সিকদার চাচার কেনা নতুন গাড়ি এম এ রেজা ড্রাইভ করে নিয়ে এলেন। তিনি সামনের সিটে বসা। তারা পুরনো হাই কোর্ট ভবনে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ালেন। সিকদার চাচা রাগ করতে পারতেন না। প্রশ্রয়ই দিতেন।

চাচা গল্প করছিলেন কার্তিকপুরের পৈতৃক বাড়ির বাইরে তিনি তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীকে অনেক নারকেল গাছসহ আলাদা বাড়ি করে দেন। সেদিন এখান থেকে কুয়াকাটার বৃহত্তম রিসোর্ট ঘুরে আসার কথা ছিল। চাচা হঠাৎ শরীর খারাপ লাগায় যেতে না চাওয়ায় যাইনি। বললাম, আপনার সঙ্গে আরেকবার যাব। বললেন, তোমাকে নিয়ে যাব। চাচার সঙ্গে আর যাওয়া হয়নি। যাওয়া হবে না।

জেড এইচ সিকদার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রবেশকালেই চোখে পড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। এখানে এমন ব্যয়বহুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কারণ হিসেবে সিকদার চাচা জানালেন, শরীয়তপুরসহ আশপাশের গ্রামের পিছিয়ে পড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সন্তানরা যেন উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায় সে জন্য তিনি এখানেই এটি প্রতিষ্ঠাু করেছেন। নিজের নয়, দেশ ও মানুষের কল্যাণে তাঁর এ প্রয়াস। তা-ই নয়, দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাসের সঙ্গে বিভিন্ন ভবন ও হলও নির্মিত হচ্ছে। এ ছাড়া সেখানেই তিনি স্ত্রীর নামে মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। হাসপাতাল কেন্দ্র করে একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চূড়ান্ত পর্যায়ে সরকারি অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায়  ছিল বেশ ক’বছর। বিলম্ব হওয়ায় সিকদার চাচা মেডিকেল কলেজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ খবর জেনে তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে অনুমোদন পাওয়ার ব্যবস্থা করেন। রাজনীতির কিংবদন্তি মরহুম আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদ দুজনই সিকদার চাচার পুত্রস্নেহ লাভ করেছেন। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সাড়ে ১৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করলেও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার এলাকার শিক্ষার্থীদের কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখেন। প্রতিবন্ধী, গরিব ও মেধাবীদের সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করে ৩ লাখ কমিয়ে সাড়ে ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করেন। সেটি এককালীন জমা না দিয়ে ভর্তির সময়ে প্রথমে অর্ধেক ও বাকি টাকা পরবর্তী চার বছরে চার কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দেন। গরিব ও মেধাবীদের জন্য রাখেন বিনামূল্যে ভর্তির সুযোগ।

বৃহত্তর ফরিদপুর ইতিহাস-ঐতিহ্য পরিষদের সভাপতি বদিউজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকতা করেছেন। ’৭১ সালে জয়নুল হক সিকদারের সঙ্গে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। এই বরেণ্য মানুষের সঙ্গে নানা আলাপচারিতায় লিখেছেন জয়নুল হক সিকদার ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব বইটি। বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন। তিনি ভূমিকায় লিখেছেন, জয়নুল হক সিকদার সাহেবের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সেইফ হাউসে ১৯৭৬ সালের ১৫ মার্চ। তখন দেশে কঠিন দুঃসময়। পলাতক জীবনে ডিজিএফআই আমাকে গ্রেফতার করে তাদের সেইফ হাউসে নিয়ে আসে। সেখানে দেখা হয় সিকদার সাহেব ও তাঁর ভাতিজা যুবলীগ নেতা এম এ রেজার সঙ্গে। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে তাঁদেরও আটক করা হয়েছে। বহু বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা চলছে। সেখানে জানানো হলো জনাব জয়নুল হক সিকদার বিশ্ববিদ্যালয় কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীদের জন্য একটি ভবন নির্মাণের সমুদয় অর্থ দান করেছেন। ’৭৬ সালের মার্চের দিনগুলোতে মন যেতেই উঠে দাঁড়ালাম। জানালাম কঠিন দুঃসময়ে সিকদার সাহেবের সঙ্গে আমার পরিচয়ের কথা। সে সময় একজন নির্ভীক মানুষ হিসাবে তাঁকে দেখেছি জানালাম। পিনপতন নীরবতায় সবাই শুনলেন। বিপুল করতালিতে তাঁকে অভিনন্দিত করলেন অধ্যাপকরা। আনোয়ার হোসেন এরপর জয়নুল হক সিকদারের সঙ্গে তাঁর দেখা, সম্পর্ক নিবিড় হওয়া এবং মধুপুরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে ভূমিকা রাখার বর্ণনা দিলেন। কীভাবে তাঁর কাছেও সিকদার সাহেব একান্ত আপন সিকদার চাচা হয়ে উঠলেন তাও উল্লেখ করলেন। ব্যবসায়ী হিসেবে সফলতাই নয়, একজন বড় মাপের মানবিক মানুষ হিসেবে তিনি সমাজে বয়সে মুরব্বি ছিলেন। তাই অনেকের প্রিয় সিকদার চাচা হয়ে যান।

আনোয়ার হোসেন লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাদানকল্পে কলেজ বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজটির গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়েছে আমাকে। বেসরকারি কিন্তু ব্যক্তিমালিকানাধীন নয়- এ কলেজটি তিল তিল করে গড়েছেন মহিলা শিক্ষকরা। চাচাকে জানালাম কলেজের জন্য একখ- জমি কিনতে চাই আমরা। তিনি বললেন, কেনার প্রয়োজন কি! কলেজের জন্য জমি দান করে দেব। সিকদার মেডিকেল কলেজের ভিতরে রাস্তাসহ ১১ কাঠা জমি তিনি কলেজকে দানসূত্রে লিখে দিলেন। মুক্তিযুদ্ধের একটি ওয়েব আর্কাইভ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি, অর্থ প্রয়োজন। চাচা দরাজ হাতে এগিয়ে এলেন। কর্নেল তাহেরের ওপর ডকুমেন্টারি হবে অর্থ সহায়তা পেলাম চাচার কাছে।’

সিকদার চাচা আল্লাহভীরু একজন মানুষ হলেও মননে ছিলেন মানবতাবাদী অসাম্প্রদায়িক। তিনি ওলি-আউলিয়া-দরবেশদের সম্মান করতেন। ওলি-আউলিয়াদের মাজারে যেতেন। হজও করেছেন। ঢাকা-শরীয়তপুরই নয়, এর বাইরেও তিনি অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, মাজার শরিফ নির্মাণ ও উন্নয়ন করে গেছেন। শতাধিক স্কুল, কলেজসহ নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে গেছেন। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজীবন ফ্যাশনসচেতন ছিলেন। আভিজাত্য ছিল। নিজস্ব একটা স্টাইল ছিল।

লেখক বদিউজ্জামান চৌধুরী লিখেছেন, ধনী পিতার জেদী পুত্র জয়নুল হক সিকদার নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার আগে বাড়ি থেকে ১৯ বছর বয়সে পালিয়ে আসাম থেকে ঢাকায় আসেন। বাবার কাছে ঢাকায় জায়গা কেনার ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে চলে আসেন। পিতার এত সম্পদের ওপর প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চিন্তা না করে নিজেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নেন। একজন দক্ষ ফুটবলার হিসেবে ইপিআরে যোগ দেন এবং সেই সঙ্গে কঠোর পরিশ্রমে ব্যবসা-বাণিজ্যে হাত প্রসারিত করেন। তিনি ঢাকাতেই ৪০০ বিঘা জমি, নিজ গ্রামাঞ্চলে ১৫০০ বিঘা এবং দেশের বাইরে কয়েক স্থানে আরও কয়েক শ বিঘা জমি নিজ অর্থে কেনেন পাঁচ বছর আগেই। তাঁর মধুপুরের বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০ বিঘা জমি নিয়ে ক্যাম্পাস। মূল ক্যাম্পাস ভবনটিই ৬ একর জমির ওপর নির্মিত। লেখক জয়নুল হক সিকদারের নামটি রণদা প্রসাদ সাহা ও জহুরুল ইসলামের সঙ্গে যুক্ত করেছেন যুক্তিসংগতভাবেই। তবে জয়নুল হক সিকদার পশ্চাৎপদ অঞ্চলকেই প্রাধান্য দেননি, শিক্ষানুরাগী হিসেবে তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের অগ্রসর করে আনার পদক্ষেপ নিয়েছেন। ’৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর ’৫০ সালে জয়নুল হক সিকদারের পিতা-মাতাসহ পুরো পরিবার তাঁদের কার্তিকপুরের বাড়িতে চলে আসেন।

জয়নুল হক সিকদার একে একে ব্যাংক, বীমা, গার্মেন্ট, রিয়েল এস্টেট, এভিয়েশন, অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, চিকিৎসা, শিক্ষা, আবাসিক হোটেল, আন্তর্জাতিক চেইন রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন খাতে দেশে-বিদেশে বিনিয়োগ করেছেন। পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে তারাও সবাই এখন দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। কন্যা পারভীন হক সিকদার এমপি। সিকদার গ্রুপকে নিয়ে খুলনার মোংলায় ২০৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করেছেন দেশের প্রথম পাবলিক-প্রাইভেট ইকোনমিক জোন। এ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত সিকদার রি-রোলিং মিলস এখন সবার চেনা। বাংলাদেশ আর্মির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বান্দরবানে ২০ একর জমির ওপর হচ্ছে চন্দ্রপাহাড় রিসোর্ট। কক্সবাজারে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম ভিলেজ। আবাসন ব্যবসার আওতায় ১০ মিলিয়ন টাকা ব্যয়ে ধানমন্ডিতে নির্মাণ করেছেন সুবিশাল রিভার প্রজেক্ট। আল্লাহ দয়াময়, নিভৃতচারী আর প্রচারবিমুখ সিকদার চাচাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।

            লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
কৃত্রিম সারসংকট
কৃত্রিম সারসংকট
খানাখন্দে ভরা সড়ক
খানাখন্দে ভরা সড়ক
অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারি
অবক্ষয়ের চোরাবালিতে আলোর দিশারি
জুতোয় ঢোকার অধিকার
জুতোয় ঢোকার অধিকার
ইস্তিগফারের উপকারিতা
ইস্তিগফারের উপকারিতা
মরণযাত্রা
মরণযাত্রা
আলোকবর্তিকা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
আলোকবর্তিকা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
মানবতাবিরোধী অপরাধ
মানবতাবিরোধী অপরাধ
চিত্রাপাড়ে ডাঙায় সুলতানের বজরা
চিত্রাপাড়ে ডাঙায় সুলতানের বজরা
সর্বনাশা পুতুলনাচের রাজনীতি!
সর্বনাশা পুতুলনাচের রাজনীতি!
পুনর্জাগরণের নেতা তারেক রহমান
পুনর্জাগরণের নেতা তারেক রহমান
সর্বশেষ খবর
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
শেখ হাসিনাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ
কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের জারিফ

২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক
ঢাবি কলা অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

বোয়ালমারীতে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
বোয়ালমারীতে সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু

৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বোলিংয়ে রাবেয়া-ফাহিমার উন্নতি, ব্যাটিংয়ে মোস্তারির
বোলিংয়ে রাবেয়া-ফাহিমার উন্নতি, ব্যাটিংয়ে মোস্তারির

৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?

৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

কক্সবাজারে দেশীয় অস্ত্রসহ সিএনজি চালক গ্রেফতার
কক্সবাজারে দেশীয় অস্ত্রসহ সিএনজি চালক গ্রেফতার

১৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফরিদপুরে বাসের ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহত
ফরিদপুরে বাসের ধাক্কায় শিক্ষার্থী নিহত

১৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি
ভারতের তিন কাশির সিরাপ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা জারি

২২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড : আলামত সংগ্রহ করছে সিআইডি
মিরপুরে অগ্নিকাণ্ড : আলামত সংগ্রহ করছে সিআইডি

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

বরিশালে ১১ জেলেকে লাখ টাকা জরিমানা
বরিশালে ১১ জেলেকে লাখ টাকা জরিমানা

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মেক্সিকোর অর্ধশতাধিক রাজনীতিকের ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
মেক্সিকোর অর্ধশতাধিক রাজনীতিকের ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রতিদিন অতিরিক্ত হাঁটা কি বিপজ্জনক?
প্রতিদিন অতিরিক্ত হাঁটা কি বিপজ্জনক?

৩৪ মিনিট আগে | জীবন ধারা

পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে বৃদ্ধার আত্মহত্যা
পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে বৃদ্ধার আত্মহত্যা

৩৬ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

গাজার সব সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘ ও রেড ক্রসের
গাজার সব সীমান্ত খুলে দেওয়ার আহ্বান জাতিসংঘ ও রেড ক্রসের

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাঙামাটি শাহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নব নির্মিত শহীদ মিনার উদ্বোধন
রাঙামাটি শাহ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নব নির্মিত শহীদ মিনার উদ্বোধন

৫৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চমেক হাসপাতালে পেইন মেডিসিন আউটডোর সেবা চালু
চমেক হাসপাতালে পেইন মেডিসিন আউটডোর সেবা চালু

৫৫ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য নিয়ে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য নিয়ে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

৫৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর
আগামী ৫ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল অধিদপ্তর

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হজযাত্রীদের জন্য সৌদি আরবের নতুন স্বাস্থ্য নির্দেশিকা
হজযাত্রীদের জন্য সৌদি আরবের নতুন স্বাস্থ্য নির্দেশিকা

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে শেষরক্ষা, হংকংয়ের সাথে ড্র করল বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল
হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ পাঠাল ইসরায়েল
৪৫ ফিলিস্তিনির মরদেহ পাঠাল ইসরায়েল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারখানার গেট বন্ধ করে দেওয়ায় আটকে পড়ে অনেকে, অভিযোগ স্বজনদের
কারখানার গেট বন্ধ করে দেওয়ায় আটকে পড়ে অনেকে, অভিযোগ স্বজনদের

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইতালিতে বিস্ফোরণে ৩ পুলিশ নিহত
ইতালিতে বিস্ফোরণে ৩ পুলিশ নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শরীয়তপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত
শরীয়তপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাকিবের গোলে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ
রাকিবের গোলে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজার রাফা ক্রসিং বন্ধ ও সীমিত ত্রাণ পাঠানোর পরিকল্পনা ইসরায়েলের
গাজার রাফা ক্রসিং বন্ধ ও সীমিত ত্রাণ পাঠানোর পরিকল্পনা ইসরায়েলের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বক্তব্যের মাঝে মেলোনির সৌন্দর্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প, ভিডিও ভাইরাল
বক্তব্যের মাঝে মেলোনির সৌন্দর্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প, ভিডিও ভাইরাল

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

শুটিং চলাকালেই হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত, না ফেরার দেশে অভিনেতা
শুটিং চলাকালেই হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত, না ফেরার দেশে অভিনেতা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম
এবার ভরিতে ৪৬১৮ টাকা বেড়েছে স্বর্ণের দাম

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে মিসরে গাজা শান্তিচুক্তি সই
বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতে মিসরে গাজা শান্তিচুক্তি সই

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় অস্ত্র হাতে হামাসের টহল
গাজায় অস্ত্র হাতে হামাসের টহল

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে
বিক্ষোভের মুখে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট, দাবি রিপোর্টে

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রিয়াদে এক মঞ্চে বলিউডের তিন খান
রিয়াদে এক মঞ্চে বলিউডের তিন খান

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’
‘আমরা কারাগারে নয়, কসাইখানায় ছিলাম’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
রাজধানীতে ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
গাজায় প্রকাশ্যে আটজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র  প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে’
‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হলে মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে’

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে মুখ খুললেন রুমিন ফারহানা

৭ ঘণ্টা আগে | টক শো

মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার
মিরপুরে পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?
তবুও অনিশ্চিত পথে গাজা?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি
১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর, কিন্তু রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন
গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর, কিন্তু রয়ে গেছে অনেক প্রশ্ন

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত
আল্লাহর কাছে যারা সবচেয়ে সম্মানিত

১৯ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন
গাজায় যুদ্ধবিরতি পদক্ষেপের প্রশংসা করে যা বললেন বাইডেন

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস
পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট, মাদাগাস্কারে মানুষের উল্লাস

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ
শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনই সমাধান : জর্ডানের বাদশাহ

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি
ধূমপান ছাড়তে বলায় এরদোয়ানকে যে জবাব দিলেন মেলোনি

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন পরিচয়ে আসছেন তাসনিয়া ফারিণ
নতুন পরিচয়ে আসছেন তাসনিয়া ফারিণ

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর
মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্যকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা
মারিয়াকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়ায় নরওয়ে দূতাবাস বন্ধ করল ভেনেজুয়েলা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লড়াই করেও হারল টাইগ্রেসরা
লড়াই করেও হারল টাইগ্রেসরা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অস্পষ্ট: রাশিয়া
ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা অস্পষ্ট: রাশিয়া

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ
রাশিয়া ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়ে যাবে : ল্যাভরভ

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের
আফগান সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি পাকিস্তানের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা
বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় এ সরকারের সময়ই হবে : আইন উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাটা বাংলাদেশের প্রথম নারী এমডি ফারিয়া ইয়াসমিন
বাটা বাংলাদেশের প্রথম নারী এমডি ফারিয়া ইয়াসমিন

১৮ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’
চলছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কর্মবিরতি, আজ ‘মার্চ টু সচিবালয়’

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা: এআই প্রযুক্তির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সেবা
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা: এআই প্রযুক্তির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা সেবা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
কিছুই থাকে না বিএনপির
কিছুই থাকে না বিএনপির

প্রথম পৃষ্ঠা

রাখাইন নয়, রোহিঙ্গাদের ভিন্ন জায়গা দিতে চায় মিয়ানমার
রাখাইন নয়, রোহিঙ্গাদের ভিন্ন জায়গা দিতে চায় মিয়ানমার

পেছনের পৃষ্ঠা

কতটা প্রস্তুত হামজারা?
কতটা প্রস্তুত হামজারা?

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

টিকা মানেই টাকা
টিকা মানেই টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভুটানের জলবিদ্যুতে লাভবান হবে বাংলাদেশ
ভুটানের জলবিদ্যুতে লাভবান হবে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

অস্থির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
অস্থির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

পেছনের পৃষ্ঠা

মধ্যরাতে র‌্যাগিং ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
মধ্যরাতে র‌্যাগিং ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির পাঁচ মনোনয়নপ্রত্যাশী জামায়াত প্রার্থীর জোর প্রচার
বিএনপির পাঁচ মনোনয়নপ্রত্যাশী জামায়াত প্রার্থীর জোর প্রচার

নগর জীবন

জুতোয় ঢোকার অধিকার
জুতোয় ঢোকার অধিকার

সম্পাদকীয়

নির্বাচনে শক্তিশালী দল হবে এনসিপি
নির্বাচনে শক্তিশালী দল হবে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াত বিষয়ে হেফাজত আমিরের বক্তব্য ব্যক্তিগত
জামায়াত বিষয়ে হেফাজত আমিরের বক্তব্য ব্যক্তিগত

পেছনের পৃষ্ঠা

সচিবালয় গেটে অবস্থান জুলাই যোদ্ধাদের
সচিবালয় গেটে অবস্থান জুলাই যোদ্ধাদের

প্রথম পৃষ্ঠা

মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন
মাঠে বিএনপি জামায়াত ইসলামী আন্দোলন

নগর জীবন

বিমসটেক অঞ্চলে ক্রসবর্ডার লেনদেনের উদ্যোগ
বিমসটেক অঞ্চলে ক্রসবর্ডার লেনদেনের উদ্যোগ

শিল্প বাণিজ্য

বিএনপিকে ক্ষমতায় চান ব্যবসায়ীরা
বিএনপিকে ক্ষমতায় চান ব্যবসায়ীরা

প্রথম পৃষ্ঠা

এনসিপির মধ্যে কিংস পার্টির আচরণ
এনসিপির মধ্যে কিংস পার্টির আচরণ

নগর জীবন

আরেক দফা পরিবর্তন আসছে অঙ্গীকারনামায়
আরেক দফা পরিবর্তন আসছে অঙ্গীকারনামায়

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকা সেনানিবাসের ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা
ঢাকা সেনানিবাসের ভবনকে সাময়িক কারাগার ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার ইসির কাছে শাপলা প্রতীকের জন্য আবদার বাংলাদেশ কংগ্রেসের
এবার ইসির কাছে শাপলা প্রতীকের জন্য আবদার বাংলাদেশ কংগ্রেসের

পেছনের পৃষ্ঠা

রাবিতে শেষ মুহূর্তে জমজমাট প্রচার
রাবিতে শেষ মুহূর্তে জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৬ টাকা
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়ল ৬ টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রতিদিন ৩ কোটি লিটার পানি অপচয়
প্রতিদিন ৩ কোটি লিটার পানি অপচয়

নগর জীবন

রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সেবক হতে চাই
রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সেবক হতে চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

আবার সোনার দামে রেকর্ড
আবার সোনার দামে রেকর্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

রাস্তায় প্রকাশ্যে যুবককে গলা কেটে হত্যা
রাস্তায় প্রকাশ্যে যুবককে গলা কেটে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

আন্তর্জাতিক ঘোষণা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে
আন্তর্জাতিক ঘোষণা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে

প্রথম পৃষ্ঠা

দিনদুপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা
দিনদুপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৬৭ নেতা কর্মীকে অব্যাহতি
মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির ১৬৭ নেতা কর্মীকে অব্যাহতি

পেছনের পৃষ্ঠা

নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত
নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা