শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ আপডেট:

আজন্ম যোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার বিজয়ের ইতিহাস লিখে গেলেন

পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট ভার্সন
আজন্ম যোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার বিজয়ের ইতিহাস লিখে গেলেন

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় লাখো মানুষের অশ্রুসিক্ত কান্না ভালোবাসা নিয়ে শেষ পর্যন্ত রায়েরবাজার জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী সিকদার গ্রুপের কর্ণধার, ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান সমাজসেবী শিক্ষানুরাগী দানশীল শিল্পপতি জয়নুল হক সিকদার। এ ক্যাম্পাসটিও তাঁর নিজ হাতে গড়া এবং জীবনের শেষ দিকে তিনি এখানেই থাকতেন। ক্যাম্পাসের ভিতরেই মসজিদে নামাজ পড়তেন। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে তাঁর ব্যাংকের ঊর্ধ্বতনরাও অংশ নিতেন। কবি নজরুলের সেই কবিতা ‘মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই, যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই’- তাঁর অফিসকক্ষ থেকে কবর দেখা যাবে এবং তিনি আজানের ধ্বনি নিয়মিত শুনতে পাবেন। ঢাকা ও ভেদরগঞ্জের জানাজায় মানুষের ঢল নেমেছিল শেষ শ্রদ্ধা-বিদায় জানাতে করোনাকালেও। অসুস্থতার জন্য যেতে পারিনি আক্ষেপটা থাকবে। এর মধ্য দিয়ে একজন দুঃসাহসী মানুষের বর্ণাঢ্য সফল জীবনের সমাধি হলো। এক আজন্ম যোদ্ধার পরিপূর্ণ জীবনের বিজয়ের ইতিহাস লেখা হলো। তিনি এখন তাঁর কর্ম আর রেখে যাওয়া শতাধিক প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কীর্তিতেই অমর হয়ে থাকবেন। জয়নুল হক সিকদার ৯১ বছর বয়সে ১০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। এ সংবাদ অনেকের সঙ্গে আমাকেও সজল নয়নে ব্যথিত করেছে। একটি পরিপূর্ণ জীবন তিনি কাজের মধ্যে সৃষ্টিশীলতার নেশায় কাটিয়েছেন। সময়কে কখনো নষ্ট করেননি। বাইরে কঠোর ভিতরে কোমল, প্রখর ব্যক্তিত্বের অধিকারী মানুষটি আসাম থেকে ধনাঢ্য পিতার সঙ্গে অভিমান করে পালিয়ে এসে জীবনের যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন সেখানে সাফল্যের সিঁড়ি একে একে অতিক্রম করেছেন। মওলানা ভাসানীর সান্নিধ্য পেলেও আমৃত্য ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ স্বজন-ভক্ত। আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। ভালোবাসার বিনিময়ে কিছু চানওনি। ’৭১-এর সুমহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এই বীরযোদ্ধা জীবনের সব ক্ষেত্রে বীরত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। গভীর দেশপ্রেমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে একের পর এক প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। মানবতার কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। একদিকে বিত্তের সাফল্য আরেকদিকে চিত্তের আনন্দ হাতের মুঠোয় পুড়েছেন। সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করে, নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময়কে উপভোগ করে জীবনের সব চ্যালেঞ্জকে জয় করে একজন জগজ্জয়ী কিংবদন্তি হয়ে, তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেই চিরবিদায় নিয়েছেন। কেবল বাণিজ্য দেখেননি। কেবল মুনাফা দেখেননি। মানুষ ও দেশের কল্যাণে কত প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। কত প্রতিষ্ঠানে উদার হাতে অনুদান দিয়েছেন অর্থ, জমি যখন যা প্রয়োজন। যেদিকে গেছেন মানুষকে জয় করতেন। গরিবের পাশে দাঁড়াতেন। কাউকে খালি হাতে ফেরাতেন না। এক অসাধারণ বর্ণময় চরিত্রের মানুষ ছিলেন। বড় তেজস্বী ছিলেন। প্রতিবাদী ছিলেন। অমিত সাহসী ছিলেন। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতেন না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবার-পরিজনসহ নৃশংস হত্যাকান্ডের পর তিনি ছটফট, আর্তনাদ করেছেন। চার দিনের মাথায় খুনিদের উল্লাস, দম্ভ আর নিষ্ঠুর রক্তাক্ত শাসনের অবরুদ্ধ সময়ে জয়নুল হক সিকদার চারটি গরু জবাই করে কুলখানি করলেন। এ নিয়ে খুনিদের সরকারের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাঁকে নাজেহাল করতে চাইলেও তিনি সাহস নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। যা করতেন তা অন্তর দিয়েই করতেন। সেই দুঃসময়ে জেলও খেটেছেন।

সিকদার গ্রুপের সিইও ও পরিচালক সৈয়দ কামরুল ইসলাম মোহন অমায়িক প্রাণোচ্ছল বন্ধুবৎসল মানুষ। তিনি গণমাধ্যমে জনপ্রিয়। একবার আমাকে তাদের একটি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করলেন। হোটেল সোনারগাঁওয়ের সেই সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে দেখি বক্তব্য দিচ্ছেন দেশবরেণ্য শিল্পপতি জয়নুল হক সিকদার। তাঁর কথা আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনে প্রথম দর্শনেই ভক্ত। স্পষ্টভাষী, কথাবার্তায় রাখঢাক, কৌশল নেই। সাহসী সব শব্দ উচ্চারিত হচ্ছে। যেমন মানুষ পছন্দ করি উনি একদম তাই। সেই হোটেল সোনারগাঁওয়ের সাক্ষাতের পর প্রখর আত্মমর্যাদাসম্পন্ন কঠোর ব্যক্তিত্বের অধিকারী জয়নুল হক সিকদারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক শ্রদ্ধা-স্নেহে নিবিড় সান্নিধ্যে গড়ায়। তিনি আমারও সিকদার চাচা হয়ে ওঠেন। অন্তর থেকেই তিনি স্নেহ করতেন। যখনই যেতাম তখনই গল্পে গল্পে সময় গড়িয়ে যেত। কিছু দিন দেখা না হলে চাচা ফোনেও মাঝেমধ্যে ডাকতেন। খবরাখবরও রাখতেন চারদিকের। খবর নিতেও বলতেন। করোনাকালে সন্তানরা মা-বাবাকে বনানীর বাড়িতে নিয়ে আসেন। সে সময় অনেকের মতো সিকদার চাচার সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। একদিন ন্যাশনাল ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বুলবুল ভাই ফোন করলেন। সেই ফোনে চাচা কথা বললেন। আমার লেখা পছন্দ করতেন। দেশে থাকলে নিয়মিত পড়তেন। এটা বলতেন অন্যদেরও।

আজীবনের যোদ্ধা জয়নুল হক শিকদার প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী, দূরদর্শী, বিচক্ষণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষিপ্র গতিসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন। দেশের অর্থনীতিতেই তাঁর ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটাননি। বিদেশেও বিনিয়োগ সম্প্রসারিত করেছেন। সফলতা কুড়িয়েছেন। দেশে অর্থনৈতিক খাতে অনেক উদ্যোক্তা তৈরিরও নেপথ্য কারিগর ছিলেন।

এ দেশে হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা তিনিই প্রবর্তন করেছিলেন গুলশান ও রায়েরবাজারের জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও কার্ডিয়াক হাসপাতাল করে। ভারতের প্রখ্যাত হার্টের সার্জন ও নার্স এনে স্বল্পমূল্যে দেশে হৃদরোগের বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেন। একই সঙ্গে তাঁর এখানে কাজ করে অনেক চিকিৎসক তৈরিই হননি, খ্যাতিও অর্জন করেছেন পরবর্তীতে। তাঁর হাসপাতালে কত গরিব মানুষ ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর চিকিৎসা মিলেছে। তিনি সাহায্য করেছেন। মুনাফা দেখেননি। রায়েরবাজার হাসপাতালটি একুশের গ্রেনেড হামলায় আহত নেতা-কর্মীদের জন্য খুলে দিয়েছিলেন।

সিকদার চাচা একবার নিয়ে গেলেন তাঁর শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের বাড়িতে। গ্রামকে বড় ভালোবাসতেন। আসামে চার ভাইয়ের জন্ম হলেও পূর্বপুরুষের ভিটেমাটির প্রতি আবেগ ছিল। মমতা ছিল। এখানেই তিনি মধুপুর জেড এইচ সিকদার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অবহেলিত এক জনপদকে কীভাবে একজন ব্যক্তি একের পর এক প্রতিষ্ঠান গড়ে হার না-মানা যুদ্ধে গ্রামের পর গ্রাম আলোকিত করতে পারেন তা দেখে চমকে ওঠার অবস্থা। বাড়ি গিয়েই তিনি আগে তাঁর মায়ের কবর জিয়ারত করলেন। সঙ্গেই মসজিদ। মাতৃভক্ত সন্তানরা অনেক বড় হন। তিনিও তাই ছিলেন। এখানে তাঁর পুত্রস্নেহে পালিত ভাইয়ের ছেলে যুবলীগ নেতা ও ষাটের ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা মুক্তিযোদ্ধা এম এ রেজার কবর রয়েছে। এম এ রেজার গল্প সব সময় সিকদার চাচা করতেন। এতটাই সন্তানের মতো অবাধ স্বাধীনতায় মানুষ করেছিলেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছিলেন, এম এ রেজা ও তিনি হরিহর আত্মা ছিলেন। তারপর জগন্নাথ কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন এম এ রেজা। সিকদার চাচা মাকে যে টাকা দিতেন সেটিও তিনি আদরের নাতি এম এ রেজার হাতে তুলে দিতেন। রেজা সেটি রাজনীতিতে খরচ করতেন। সিকদার চাচা দিতেনই। সিকদার চাচার ভাতিজা গাড়িতে চড়ে কলেজে যেতেন। সে সময় এমন দৃশ্য বিরল ছিল। রেজা কিছু চেয়েছে না দিলেই দাদি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করতেন। সিকদার চাচা তখন সব আবদার পূরণ করতেন। সিকদার চাচার মমতাময়ী স্ত্রীও তাদের ভীষণ স্নেহ করতেন। খেজুর রসের পায়েস থেকে হরেক রকম রান্না বানিয়ে খাওয়াতেন। কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ’৭১-এর উত্তাল মার্চে সিকদার চাচার কেনা নতুন গাড়ি এম এ রেজা ড্রাইভ করে নিয়ে এলেন। তিনি সামনের সিটে বসা। তারা পুরনো হাই কোর্ট ভবনে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ওড়ালেন। সিকদার চাচা রাগ করতে পারতেন না। প্রশ্রয়ই দিতেন।

চাচা গল্প করছিলেন কার্তিকপুরের পৈতৃক বাড়ির বাইরে তিনি তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীকে অনেক নারকেল গাছসহ আলাদা বাড়ি করে দেন। সেদিন এখান থেকে কুয়াকাটার বৃহত্তম রিসোর্ট ঘুরে আসার কথা ছিল। চাচা হঠাৎ শরীর খারাপ লাগায় যেতে না চাওয়ায় যাইনি। বললাম, আপনার সঙ্গে আরেকবার যাব। বললেন, তোমাকে নিয়ে যাব। চাচার সঙ্গে আর যাওয়া হয়নি। যাওয়া হবে না।

জেড এইচ সিকদার ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে প্রবেশকালেই চোখে পড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। এখানে এমন ব্যয়বহুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কারণ হিসেবে সিকদার চাচা জানালেন, শরীয়তপুরসহ আশপাশের গ্রামের পিছিয়ে পড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সন্তানরা যেন উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায় সে জন্য তিনি এখানেই এটি প্রতিষ্ঠাু করেছেন। নিজের নয়, দেশ ও মানুষের কল্যাণে তাঁর এ প্রয়াস। তা-ই নয়, দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাসের সঙ্গে বিভিন্ন ভবন ও হলও নির্মিত হচ্ছে। এ ছাড়া সেখানেই তিনি স্ত্রীর নামে মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। হাসপাতাল কেন্দ্র করে একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চূড়ান্ত পর্যায়ে সরকারি অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায়  ছিল বেশ ক’বছর। বিলম্ব হওয়ায় সিকদার চাচা মেডিকেল কলেজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ খবর জেনে তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে অনুমোদন পাওয়ার ব্যবস্থা করেন। রাজনীতির কিংবদন্তি মরহুম আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহমেদ দুজনই সিকদার চাচার পুত্রস্নেহ লাভ করেছেন। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সব বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সাড়ে ১৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করলেও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার এলাকার শিক্ষার্থীদের কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখেন। প্রতিবন্ধী, গরিব ও মেধাবীদের সুযোগ-সুবিধার কথা চিন্তা করে ৩ লাখ কমিয়ে সাড়ে ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করেন। সেটি এককালীন জমা না দিয়ে ভর্তির সময়ে প্রথমে অর্ধেক ও বাকি টাকা পরবর্তী চার বছরে চার কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দেন। গরিব ও মেধাবীদের জন্য রাখেন বিনামূল্যে ভর্তির সুযোগ।

বৃহত্তর ফরিদপুর ইতিহাস-ঐতিহ্য পরিষদের সভাপতি বদিউজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকতা করেছেন। ’৭১ সালে জয়নুল হক সিকদারের সঙ্গে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। এই বরেণ্য মানুষের সঙ্গে নানা আলাপচারিতায় লিখেছেন জয়নুল হক সিকদার ব্যতিক্রমী ব্যক্তিত্ব বইটি। বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন। তিনি ভূমিকায় লিখেছেন, জয়নুল হক সিকদার সাহেবের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে সেনা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের সেইফ হাউসে ১৯৭৬ সালের ১৫ মার্চ। তখন দেশে কঠিন দুঃসময়। পলাতক জীবনে ডিজিএফআই আমাকে গ্রেফতার করে তাদের সেইফ হাউসে নিয়ে আসে। সেখানে দেখা হয় সিকদার সাহেব ও তাঁর ভাতিজা যুবলীগ নেতা এম এ রেজার সঙ্গে। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে তাঁদেরও আটক করা হয়েছে। বহু বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা চলছে। সেখানে জানানো হলো জনাব জয়নুল হক সিকদার বিশ্ববিদ্যালয় কুয়েত মৈত্রী হলের ছাত্রীদের জন্য একটি ভবন নির্মাণের সমুদয় অর্থ দান করেছেন। ’৭৬ সালের মার্চের দিনগুলোতে মন যেতেই উঠে দাঁড়ালাম। জানালাম কঠিন দুঃসময়ে সিকদার সাহেবের সঙ্গে আমার পরিচয়ের কথা। সে সময় একজন নির্ভীক মানুষ হিসাবে তাঁকে দেখেছি জানালাম। পিনপতন নীরবতায় সবাই শুনলেন। বিপুল করতালিতে তাঁকে অভিনন্দিত করলেন অধ্যাপকরা। আনোয়ার হোসেন এরপর জয়নুল হক সিকদারের সঙ্গে তাঁর দেখা, সম্পর্ক নিবিড় হওয়া এবং মধুপুরের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে ভূমিকা রাখার বর্ণনা দিলেন। কীভাবে তাঁর কাছেও সিকদার সাহেব একান্ত আপন সিকদার চাচা হয়ে উঠলেন তাও উল্লেখ করলেন। ব্যবসায়ী হিসেবে সফলতাই নয়, একজন বড় মাপের মানবিক মানুষ হিসেবে তিনি সমাজে বয়সে মুরব্বি ছিলেন। তাই অনেকের প্রিয় সিকদার চাচা হয়ে যান।

আনোয়ার হোসেন লিখেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাদানকল্পে কলেজ বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজটির গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়েছে আমাকে। বেসরকারি কিন্তু ব্যক্তিমালিকানাধীন নয়- এ কলেজটি তিল তিল করে গড়েছেন মহিলা শিক্ষকরা। চাচাকে জানালাম কলেজের জন্য একখ- জমি কিনতে চাই আমরা। তিনি বললেন, কেনার প্রয়োজন কি! কলেজের জন্য জমি দান করে দেব। সিকদার মেডিকেল কলেজের ভিতরে রাস্তাসহ ১১ কাঠা জমি তিনি কলেজকে দানসূত্রে লিখে দিলেন। মুক্তিযুদ্ধের একটি ওয়েব আর্কাইভ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি, অর্থ প্রয়োজন। চাচা দরাজ হাতে এগিয়ে এলেন। কর্নেল তাহেরের ওপর ডকুমেন্টারি হবে অর্থ সহায়তা পেলাম চাচার কাছে।’

সিকদার চাচা আল্লাহভীরু একজন মানুষ হলেও মননে ছিলেন মানবতাবাদী অসাম্প্রদায়িক। তিনি ওলি-আউলিয়া-দরবেশদের সম্মান করতেন। ওলি-আউলিয়াদের মাজারে যেতেন। হজও করেছেন। ঢাকা-শরীয়তপুরই নয়, এর বাইরেও তিনি অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদগাহ, মাজার শরিফ নির্মাণ ও উন্নয়ন করে গেছেন। শতাধিক স্কুল, কলেজসহ নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে গেছেন। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজীবন ফ্যাশনসচেতন ছিলেন। আভিজাত্য ছিল। নিজস্ব একটা স্টাইল ছিল।

লেখক বদিউজ্জামান চৌধুরী লিখেছেন, ধনী পিতার জেদী পুত্র জয়নুল হক সিকদার নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার আগে বাড়ি থেকে ১৯ বছর বয়সে পালিয়ে আসাম থেকে ঢাকায় আসেন। বাবার কাছে ঢাকায় জায়গা কেনার ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে চলে আসেন। পিতার এত সম্পদের ওপর প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চিন্তা না করে নিজেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত নেন। একজন দক্ষ ফুটবলার হিসেবে ইপিআরে যোগ দেন এবং সেই সঙ্গে কঠোর পরিশ্রমে ব্যবসা-বাণিজ্যে হাত প্রসারিত করেন। তিনি ঢাকাতেই ৪০০ বিঘা জমি, নিজ গ্রামাঞ্চলে ১৫০০ বিঘা এবং দেশের বাইরে কয়েক স্থানে আরও কয়েক শ বিঘা জমি নিজ অর্থে কেনেন পাঁচ বছর আগেই। তাঁর মধুপুরের বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০ বিঘা জমি নিয়ে ক্যাম্পাস। মূল ক্যাম্পাস ভবনটিই ৬ একর জমির ওপর নির্মিত। লেখক জয়নুল হক সিকদারের নামটি রণদা প্রসাদ সাহা ও জহুরুল ইসলামের সঙ্গে যুক্ত করেছেন যুক্তিসংগতভাবেই। তবে জয়নুল হক সিকদার পশ্চাৎপদ অঞ্চলকেই প্রাধান্য দেননি, শিক্ষানুরাগী হিসেবে তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের অগ্রসর করে আনার পদক্ষেপ নিয়েছেন। ’৪৭ সালের দেশ বিভাগের পর ’৫০ সালে জয়নুল হক সিকদারের পিতা-মাতাসহ পুরো পরিবার তাঁদের কার্তিকপুরের বাড়িতে চলে আসেন।

জয়নুল হক সিকদার একে একে ব্যাংক, বীমা, গার্মেন্ট, রিয়েল এস্টেট, এভিয়েশন, অবকাঠামো নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, চিকিৎসা, শিক্ষা, আবাসিক হোটেল, আন্তর্জাতিক চেইন রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন খাতে দেশে-বিদেশে বিনিয়োগ করেছেন। পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে তারাও সবাই এখন দেশে-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। কন্যা পারভীন হক সিকদার এমপি। সিকদার গ্রুপকে নিয়ে খুলনার মোংলায় ২০৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করেছেন দেশের প্রথম পাবলিক-প্রাইভেট ইকোনমিক জোন। এ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত সিকদার রি-রোলিং মিলস এখন সবার চেনা। বাংলাদেশ আর্মির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বান্দরবানে ২০ একর জমির ওপর হচ্ছে চন্দ্রপাহাড় রিসোর্ট। কক্সবাজারে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরিজম ভিলেজ। আবাসন ব্যবসার আওতায় ১০ মিলিয়ন টাকা ব্যয়ে ধানমন্ডিতে নির্মাণ করেছেন সুবিশাল রিভার প্রজেক্ট। আল্লাহ দয়াময়, নিভৃতচারী আর প্রচারবিমুখ সিকদার চাচাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।

            লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই বিভাগের আরও খবর
বিএনপির জিরো টলারেন্স
বিএনপির জিরো টলারেন্স
পবিত্র আশুরা
পবিত্র আশুরা
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
মহাসড়কে বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁঁকি
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
অনন্ত অভিশাপ ইয়াজিদের ওপর
উজানির মা ও ভাটার টান
উজানির মা ও ভাটার টান
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চক্র
থানায় হামলা
থানায় হামলা
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ জরুরি
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্যায়ভাবে নয়
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
বাসমতীর সুঘ্রাণ ছড়িয়েছে বাগেরহাটে
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
মিল ছিল আবার গরমিলও ছিল
সর্বশেষ খবর
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

১ সেকেন্ড আগে | মুক্তমঞ্চ

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা কেনেথ কলি

২৩ মিনিট আগে | শোবিজ

দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল
দিয়োগো জোতার বাকি দুই বছরের বেতন পরিবারকে দেবে লিভারপুল

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা
সকালের মধ্যে সাত জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল
ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে: আমিনুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে
ইমন-হৃদয়-তানভীরের ত্রয়ী দাপট কলম্বোতে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান
মান্না ছিলেন বাংলাদেশের জেমস বন্ড: জাহিদ হাসান

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম
জ্ঞানীরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচন চায় : ফয়জুল করিম

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পাহাড়ি ফল ঐতিহ্যের অংশ : উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ
পল্লী বিদ্যুতের সাব-যোনাল অফিস স্থানান্তরের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের
প্রবাসী ভাইয়ের লাশ আনতে গিয়ে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম
নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে : নার্গিস বেগম

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লঙ্কানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা
লঙ্কানদের চেপে ধরেছে টাইগাররা

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ
বিচার ও সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে হবে : নাহিদ

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্লেনে বাজল ভুয়া ফায়ার অ্যালার্ম, আতঙ্কে ঝাপ দিয়ে আহত ১৮
প্লেনে বাজল ভুয়া ফায়ার অ্যালার্ম, আতঙ্কে ঝাপ দিয়ে আহত ১৮

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কলাপাড়ায় উল্টো রথযাত্রা
কলাপাড়ায় উল্টো রথযাত্রা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১
যুবককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ১

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা
উত্তাল বঙ্গোপসাগরে আশ্রয় নিল শত শত ট্রলার, চার বন্দরে সতর্কতা

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর
বিএনপি নামলে নির্বাচন পেছানোর সাহস কারো নেই : গয়েশ্বর

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুবকের লাশ উদ্ধার
যুবকের লাশ উদ্ধার

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‌পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ হবে : জামায়াত আমির
‌পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ হবে : জামায়াত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রূপগঞ্জে কুপিয়ে আহত ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু
রূপগঞ্জে কুপিয়ে আহত ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কুড়িগ্রামে কঠোর নিরাপত্তায় উল্টো রথ যাত্রা উদযাপন
কুড়িগ্রামে কঠোর নিরাপত্তায় উল্টো রথ যাত্রা উদযাপন

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোলায় সাত কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ
ভোলায় সাত কোটি টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তিন ম্যাচ জিতেই এশিয়া কাপে বাংলাদেশ
তিন ম্যাচ জিতেই এশিয়া কাপে বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই চা দোকানির পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই চা দোকানির পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

৪ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সর্বাধিক পঠিত
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!
ছদ্মবেশ ধারণ করেও বাঁচতে পারেননি ইরানি যে জেনারেল!

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
এমন বৃষ্টি কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট
উড্ডয়নের ঠিক আগমুহূর্তে লুটিয়ে পড়লেন পাইলট

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’
‘অপারেশন সিঁদুরে তিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হয়েছিল ভারত’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স
আল-হিলালকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল
কারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, জানালেন অ্যাটর্নি জেনারেল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান
১৫ হাজার কোটির সম্পত্তি হারাচ্ছেন সাইফ আলি খান

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে হারতে দেব না, ঘোষণা চীনের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন
সাবেক সিইসি এ টি এম শামসুল হুদা মারা গেছেন

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা
লাহোরের রাস্তায় নারী ও শিশুর ওপর সিংহের হামলা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা
কুমিল্লায় গণপিটুনিতে ৩ জন নিহতের ঘটনায় ৩৮ জনের নামে মামলা

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?
ইহুদি খলনায়ক ‘শাইলক’ মন্তব্যে বিতর্কে ট্রাম্প, কিন্তু কেন?

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বরখাস্ত

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা
ইসরায়েলের ‘হিট লিস্ট’: কাতারসহ বিদেশে থাকা হামাস নেতাদের হত্যার পরিকল্পনা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!
শুটিংয়ে আসতে দেরি, গোবিন্দোকে কষে চড় মারেন অমরিশ পুরি!

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ
হাসিনার লুটপাটের থিমে চারটি নতুন পোস্টার প্রকাশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প
নতুন স্থানে পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারে ইরান: ট্রাম্প

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে 'ইতিবাচক' হামাস

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়ালে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না : অর্থ উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা
যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে লেবাননে ফের ইসরায়েলি হামলা

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!
আল আকসা নিয়ে ইসরায়েলকে হামাসের নতুন হুঁশিয়ারি!

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ
৭ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করল বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা
গাজায় নিজেদের ছোড়া গুলিতে নিহত ৩১ ইসরায়েলি সেনা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!
বাবাকে চিনতেনই না তরুণী, অতঃপর ২৩ বছর পর যেভাবে পুনর্মিলন!

১৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’
আইনে পরিণত হলো ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিই সৌদি আরবের প্রধান অগ্রাধিকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ
কার্নিশে ঝুলে থাকা তরুণকে গুলি: সাবেক এডিসি রাশেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক
চিঠিতে সই ট্রাম্পের, ১২ দেশের ওপর আসছে নতুন শুল্ক

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল
মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির শীর্ষ নেতারা সিলেটে যাচ্ছেন কাল

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান
আর অপেক্ষা নয়, এবার ইসরায়েলি আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেবে ইরান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা

নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স
নিয়ন্ত্রণহীন মব ভায়োলেন্স

প্রথম পৃষ্ঠা

অপরাজিত বাংলাদেশ
অপরাজিত বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি
যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমা করতে পারবেন রাষ্ট্রপতি

প্রথম পৃষ্ঠা

বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ
বরদাশত নয় ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির ঘোষণা
ছুটির ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ পবিত্র আশুরা
আজ পবিত্র আশুরা

প্রথম পৃষ্ঠা

যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!
যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন থেকে জামায়াতের ইউটার্ন!

সম্পাদকীয়

মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়
মব সন্ত্রাস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই
ইরানের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা চাই

প্রথম পৃষ্ঠা

এখনো মর্গে নামপরিচয়হীন ছয় শহীদ
এখনো মর্গে নামপরিচয়হীন ছয় শহীদ

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা
বাংলা ব্লকেডের ঘোষণা

প্রথম পৃষ্ঠা

দেড় বছরে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে
দেড় বছরে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে

প্রথম পৃষ্ঠা

আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ
আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্কোয়াশ

মাঠে ময়দানে

টি স্পোর্টস
টি স্পোর্টস

মাঠে ময়দানে

৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে
৩ আগস্ট নতুন বাংলাদেশের শপথ হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

হোটেল জাকারিয়ায় ভাঙচুর ও নারীদের ওপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
হোটেল জাকারিয়ায় ভাঙচুর ও নারীদের ওপর হামলার ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার

নগর জীবন

উলটো রথ টেনে শেষ হলো রথ উৎসব
উলটো রথ টেনে শেষ হলো রথ উৎসব

নগর জীবন

আজকের প্রশ্ন
আজকের প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে

হাজার রানের ক্লাবের সদস্য হৃদয়
হাজার রানের ক্লাবের সদস্য হৃদয়

মাঠে ময়দানে

১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
১৬৭ স্থানে সমাবেশ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব
ক্লাব বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা উৎসব

মাঠে ময়দানে

এবার যেনতেন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না
এবার যেনতেন নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

উল্টো রথযাত্রায় ভক্তের ঢল
উল্টো রথযাত্রায় ভক্তের ঢল

দেশগ্রাম

নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে
নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে

নগর জীবন

পুলিশকে জনবান্ধব করতে সংস্কারের বিকল্প নেই
পুলিশকে জনবান্ধব করতে সংস্কারের বিকল্প নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

শত শত কারখানায় নিষিদ্ধ জাল
শত শত কারখানায় নিষিদ্ধ জাল

দেশগ্রাম

মানুষ আর কত জীবন দেবে
মানুষ আর কত জীবন দেবে

নগর জীবন

টিভিতে
টিভিতে

মাঠে ময়দানে