শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ আপডেট:

জিয়া মুক্তিযোদ্ধা নয় এটি সমর্থন করা যায় না

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
জিয়া মুক্তিযোদ্ধা নয় এটি সমর্থন করা যায় না

করোনার মহাপ্রাদুর্ভাবে দীর্ঘ এক বছর সভা-সমিতি না করে, রাস্তাঘাটে না চলে কেমন যেন অচল হয়ে পড়েছি। দেহের সব কলকব্জায় জং ধরে যাওয়ার উপক্রম। শরীরটা আগের মতো চনমনে নেই, উদ্দীপনাও নেই। তার মধ্যে আবার আমার এক উন্মাদ দেশের পাগল গত শুক্রবার কাঁচপুর ব্রিজের কাছে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয়েছে। খবরটা শুনে একেবারে বেসামাল হয়ে পড়েছিলাম। বাংলাদেশ প্রতিদিনে আমার লেখা বেরোলেই সে ফোন করত, কত প্রশংসা করত, মনের মতো না হলে সমালোচনা করতেও পিছপা হতো না। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু নিহত হলে দারুণ কষ্ট করেছে। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে জেলে ছিল অনেক দিন। জিল্লুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক, লতিফ ভাই কার সঙ্গে সে জেল খাটেনি? সেসব জেল খাটার কথা সব সময় তার ঠোঁটে থাকত। কতবার জেলের দুরবস্থা নিয়ে ব্রিটিশ-পাকিস্তানের, কারা প্রশাসনের অব্যবস্থা নিয়ে লিখতে অনুরোধ করত। জেলখানা নিয়ে লিখেছিও। কিন্তু আমার প্রিয় খোকন জসিমের জীবদ্দশায় কারা সংস্কার নিয়ে তেমন লেখা হলো না। এক মস্তবড় আফসোস থেকে গেল। আড়াইহাজারের খোকন জসিম সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করেছে। ভীষণ দরিদ্র মানুষ। দুটি মাত্র ছেলে। একজনের নাম সিরাজদ্দৌলা, অন্যজনের নাম জানি না। বড় ছেলেকে বিয়ে করানোর কথা। বিয়ে উপলক্ষে তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলেছিল। আমারও ইচ্ছা ছিল একবার গরিব কর্মীটার ছেলের বিয়ে উপলক্ষে ঘুরে আসব। আচমকাই তার ছেলের কাছ থেকে খোকন জসিমের ফোন পেয়ে একেবারে মুষড়ে গিয়েছিলাম। খোকন জসিমের ফোন থেকে তার ছেলে তার মৃত্যু সংবাদ দিয়েছিল। ফোনটা সেভ করা। কোনো দিন খোকন জসিম ছাড়া কেউ সে ফোনে ফোন করেনি, শুধু তার মৃত্যু সংবাদ ছাড়া। খবরটা ঘুম থেকে উঠতে উঠতে পেয়েছিলাম তাই শূন্যতায় দেহমন ভরে ছিল। ভালো করে পত্রিকা পড়িনি। সারা দিন কোনো কাজে মন বসেনি। রাত ১০টায় এক ভদ্রলোকের ফোন পেয়েছিলাম, ‘এটা কি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ফোন?’ বলেছিলাম, জি, বলছি। ‘আপনি কি আজকে বাংলাদেশ প্রতিদিনে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের লেখা পড়েছেন?’ শিরোনাম দেখেছিলাম, লেখা পড়া হয়নি। শিরোনাম ছিল ‘জিয়া সম্পর্কে যা বলেছিলেন জেনারেল শওকত’। পরে লেখাটি পড়েছি। শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আমাকে খুবই ভালোবাসেন। একসময় দারুণ অনুরক্ত-ভক্ত ছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালির জীবনে জোয়ার-ভাটা তো আসেই। কঠিন দুঃখের মাঝে লেখাটি পড়ে খুব একটা হৃদয়ঙ্গম করতে পারিনি। পরে আবার পড়েছি। কয়েক পর্ব আগে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন সম্পর্কে লিখতে গিয়েছিলাম। ঠিক সে সময় ’৭৫-এর প্রতিরোধযুদ্ধে নিহত বিডিআরের হাবিলদার মুজিবর রহমানের মেয়ে মনোয়ারা বেগম মণি এসে হাজির হয়েছিল এক চমৎকার চিঠি নিয়ে। হাতের লেখাটি ছিল আরও চমৎকার। হাতের লেখা দেখে চমকে উঠে বলেছিলাম এত সুন্দর লেখা তারপর বলছেন লেখাপড়া জানেন না। মেয়েটি বলেছিল, ‘লেখাটা আমার নয়, আমার ছেলের। আমি লেখাপড়া জানি না। আমি যা বলেছি তাই আমার ছেলে লিখেছে।’ পড়ে দেখলাম সে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে। টাকাপয়সার অভাবে আর পড়তে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় আমাদের বিরুদ্ধের একজনের মেয়ের সামনে দাঁড়াতে হয়েছিল। তাই সৈয়দ আবুল হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন পর প্রায় দেড় ঘণ্টার আলোচনার কিছু বলা হয়নি। একই মন-মানসিকতার দুজন একত্র হলে সময় কেন যেন দুরন্ত ঘোড়ার মতো ছুটে। সেদিন সৈয়দ আবুল হোসেনের সঙ্গে আমাদের সময়ও ও রকমই ছুটেছিল। একজন আরেকজনের প্রতি ভালোবাসা-শ্রদ্ধায় ভরপুর দুজন মানুষ একত্র হলে কত কথা হয়। সব কথা যেমন লেখা যায় না, অনেক কথা সময় অনুমোদন করে না। সৈয়দ আবুল হোসেন পা থেকে মাথা পর্যন্ত একজন পরিশীলিত অসাধারণ বিনয়ী মানুষ। বিনয় অনেকের সাজানো গোছানো বানানো থাকে। কিন্তু আবুল হোসেনের বিনয় শাশ্বত স্বভাবজাত। তাতে কোনো মেকি নেই। কথার ফাঁকে একসময় আলোচনায় এসেছিল বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী কেমন আছেন। তিনি বলছিলেন, ‘আমরা তো কনিষ্ঠ, অর্থমন্ত্রীর কথায় কথা বলতে ভয় পেতাম, কুণ্ঠা হতো। কিন্তু লতিফ ভাই অর্থমন্ত্রীর অনেক অনিয়ম ধরতেন, আলোচনা করতেন। কখনো কখনো নেত্রী লতিফ ভাইয়ের মতামতকে গুরুত্ব দিতেন। কেন, কী করে অমন হলো বুঝতে পারছি না।’ আলোচনা ছিল ২৪ জানুয়ারির পর। ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইল ঐতিহাসিক অস্ত্র জমা দিবস পালিত হচ্ছিল। স্বাধীন দেশে পিতা হিসেবে, সরকারপ্রধান হিসেবে রাজধানীর বাইরে টাঙ্গাইলে প্রথম বঙ্গবন্ধু পা রেখেছিলেন। কাদেরিয়া বাহিনী তার সব অস্ত্র পিতার পায়ের তলে বিছিয়ে দিয়েছিল। সেই ২৪ জানুয়ারি অস্ত্র জমাদানের কোনো খবর পত্রপত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়নি। দিনব্যাপী প্রচারিত হয়েছিল সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর অবৈধভাবে দখল করা ৬০ শতাংশ জমি প্রশাসন দখল নিয়েছে বা লতিফ সিদ্দিকীকে উচ্ছেদ করেছে। প্রসঙ্গটা আসতেই আবুল হোসেন বলেছিলেন, ‘কেন উচ্ছেদ করতে হবে? কত হাজার হাজার একর ভূমি সরকার একে ওকে ইজারা দিচ্ছে, লিজ দিচ্ছে। যেখানে ৫০ বছর একজন মানুষ আছেন তাকে ছোট করার জন্য এমনটা করার কী দরকার? লতিফ সিদ্দিকীর নাম আওয়ামী লীগের সঙ্গে, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এমনকি নেত্রী হাসিনার সঙ্গেও জড়িয়ে আছে।’ আমি তার বিবেচনাবোধের কথা ভাবছিলাম। কতভাবে বলার চেষ্টা করছিলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ নিয়ে আমার নানা কথা নানা লেখায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছিলেন। সঙ্গে এও বলছিলেন, ‘আপনার সঙ্গে না হয় আমার পরিচয় আছে, আপনি ভালোবাসেন, স্নেহ করেন তাই আমার ওপর অবিচারের কথা না হয় আপনি তুলে ধরেছেন। কানাডার আদালতে বিশ্বব্যাংকের মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ড. কামাল হোসেন ও অন্যরা আমার মন্ত্রিত্ব ফিরিয়ে দিতে বলেছিলেন। তাদের সঙ্গে তো আমার তেমন পরিচয়ও নেই। তাই আপনাদের মতো মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা জানিয়ে শেষ করা যায় না।’ দেড় ঘণ্টা কীভাবে কেটে গিয়েছিল খেয়াল করিনি। বারবার বলছিলেন, ‘আপনার যখন প্রয়োজন ফোন করবেন। কোনো সময় বিবেচনা করতে হবে না।’ যখন চলে আসছিলাম লিফট পর্যন্ত দিয়ে গিয়েছিলেন। গাড়িতে বসে ভাবছিলাম, দেশে প্রশাসনে ভদ্রলোকের জায়গা নেই। সব অভদ্রদের অসম্ভব ক্ষমতা। প্রায় দেড় ঘণ্টা আলাপে একটি বিষয় বারবার আমার মনে হয়েছে আমি যেমন বঙ্গবন্ধু ছাড়া বুঝি না, সবকিছুতেই বঙ্গবন্ধু- সৈয়দ আবুল হোসেনেরও তেমনি নেত্রীর প্রতি গভীর আস্থা। সবকিছুর পর নেত্রী। নেত্রীকে নিয়ে তার মনে কোনো দ্বিধা নেই, দ্বন্দ্ব নেই। বরং তার আশপাশে কিছু মানুষের জন্য তার প্রচন্ড শঙ্কা আছে এবং সে শঙ্কার কথা আমায় বলতে পেরে পুরোপুরি হোক আর না হোক কিছুটা হালকা হয়েছেন। আমি তার কাছে গেলেই আমাকে তার লেখা বই তুলে দেন। এবারও দিয়েছেন- আমার চিঠিপত্র; প্রবচনগুচ্ছ; বঙ্গবন্ধুর ধর্মচিন্তা ও ধর্মচেতনা। সর্বোপরি কদিন আগে এক চমৎকার চিঠি দিয়েছেন। একটা চিঠি অত যত্ন করে পাঠানো যায় এও এক নতুন নজির। চিঠিটা আমার কাছে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চিঠি কিংবা ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখার্জি অথবা মহীয়সী নারী বাংলাদেশের ধাত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর মতো উচ্চতায় মনে হয়েছে। মনে হয়েছে অনেকটাই বোন হাসিনার চিঠিপত্রের মতো ভালোবাসা ও মমতা মাখা।

এবার সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের লেখা প্রসঙ্গে আসি। তিনি শুরু করেছেন, ‘১৯৮৮ সালে আমি তখন যুক্তরাজ্যে ইমিগ্রেশন অ্যাডভাইজরি সার্ভিসের আইনবিষয়ক উপপরিচালক। তখন জেনারেল এরশাদ জেনারেল শওকতকে দেশে ফিরতে বলেছিলেন। জেনারেল শওকতের ভয় ছিল দেশে ফিরলে এরশাদ তাকে জেলে পুরবে। তাই যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় ও বসবাসের জন্য মাইকেল বার্নসের কাছে গিয়েছিলেন। সে সময় জেনারেল শওকত জিয়াউর রহমান যে মুক্তিযোদ্ধা না, ইচ্ছে করে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেননি, বাধ্য হয়ে করেছেন এসব অনেক কথা বলেছেন।’ শওকত সাহেব বলেছেন, না বলেননি এগুলো নিয়ে আমার কোনো কথা নেই। সাবেক বিচারপতির লেখা থেকে তুলে দিচ্ছি, ‘গুরুত্বপূর্ণ মুক্তিযোদ্ধাদের সবারই যুদ্ধকালীন বহু বীরত্বের কথা বিভিন্ন পুস্তকে, পত্রপত্রিকায় ছাপা হলেও জিয়া কোথাও যুদ্ধ করেছে এমন কোনো খবর কখনো দেখা যায়নি। মুক্তিযুদ্ধকালে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুক্তি আন্দোলনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিলাম বিধায় প্রতিদিন বিলেতের বহু পত্রিকা পড়তাম, বিবিসির খবর শোনতাম। শফিউল্লাহ, খালেদ মোশাররফ, মেজর রফিক, কাদের সিদ্দিকী, আ ক ম মোজাম্মেল হক, সি আর দত্ত প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধার কথা প্রায়ই শুনতে পেতাম, কিন্তু জিয়ার কথা কখনো শুনিনি। কর্নেল তাহের হত্যা মামলার বিচারের সময় যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা আমার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারা সবাই বলেছেন জিয়া কোনো যুদ্ধ করেনি। গত সপ্তাহে জেনারেল শফিউল্লাহ এবং মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদও একই কথা বলেছেন।’ জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছে কি করেনি এটা আমার বিচার্য নয়। চাটুকারিতা আমার স্বভাবে নেই। আমি কারও পোঁ ধরিনি। আর যে কদিন বাঁচব কারও পোঁ ধরব না। সাবেক বিচারপতির এ কথার জবাব দেওয়ার কোনো ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও এটা বলতেই হচ্ছে, যুদ্ধের শুরুতে তিনি শফিউল্লাহ, খালেদ মোশাররফ, মেজর রফিক, কাদের সিদ্দিকী, আ ক ম মোজাম্মেল হক, সি আর দত্তদের নাম শুনেছেন। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম আ ক ম মোজাম্মেল হক এখন মুক্তিযদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর পরই তার স্থান। তার পরও বলছি, মুক্তিযুদ্ধের সময় জনাব চৌধুরী তো দূরের কথা গাজীপুরের বাইরে একজনও আ ক ম মোজাম্মেলের নাম শোনেননি। তিনি ধীরে ধীরে বড় হয়েছেন। এখন মন্ত্রী তাই তার কথা আলোচনা হয়। কিন্তু তিনি বিরাট মুক্তিযোদ্ধা নন। দু-এক জায়গায় আমিও লিখেছি, ১৯ মার্চ ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব আরবারকে বাধা দিতে আ ক ম মোজাম্মেল হকের ভূমিকা ছিল। মোজাম্মেল হকের চাইতে কিন্তু সে সময় সফর উদ্দিন, নজরুল ইসলাম খানদের ভূমিকা ছিল অনেক বেশি। মুক্তিযুদ্ধে সবার আগে জিয়াউর রহমানের নাম দেশবাসী শুনেছে। ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে যখন শোনা গিয়েছিল, ‘I, Major Zia, do hereby declare the independence of Bangladesh on behalf of our great national leader Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman!’ ওর আগে কারও নাম শোনা যায়নি। কাদের সিদ্দিকী আমার নাম ৩০ জুলাইয়ের আগে কেউ শোনেনি। ৩০ জুলাই ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে সূত্রাপুর সেতু ধ্বংস করা হলে বিবিসি থেকে বলা হয়েছিল, ‘রাজধানী থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তরে কাদের সিদ্দিকী নামে ২৫ বছরের এক যুবকের নেতৃত্বে প্রতিরোধযুদ্ধ গড়ে উঠেছে। তারই দল ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের সূত্রাপুর সেতু ধ্বংস করেছে।’ খবরটি আমি নিজ কানে শুনেছিলাম। কেউ চাইলে বিবিসি আর্কাইভ থেকে শুনে নিতে পারেন। এরপর ১১ আগস্ট ভূঞাপুরের মাটিকাটায় পাকিস্তান হানাদারদের সাতটি জাহাজের বহরে আক্রমণ করে সব থেকে বড় দুটি জাহাজ দখল করে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করেছিলাম। এ খবরও বিবিসি থেকে বেশ কয়েকবার প্রচারিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের বিরল ব্যক্তিত্ব সাবেক রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে হাউস অব কমন্সে মাটিকাটায় জাহাজ দখলের কথা উল্লেখ করেছিলেন। যখন চারদিক থেকে বলা হচ্ছিল বাংলাদেশে যা কিছু হচ্ছে ভারতীয় সৈন্যরা করছে। সেখানে দেশের মানুষের কোনো অংশগ্রহণ নেই। সেটাকে খন্ডন করতে আবু সাঈদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘সীমান্ত থেকে ২০০ কিলোমিটার ভিতরে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে হানাদারদের যে জাহাজ দখল করেছে যা বিবিসি বারবার প্রচার করছে সেটাও কি ভারতীয়দের কাজ? কাদের সিদ্দিকী আমার পাশের গ্রামের বাসিন্দা। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাকে চিনি।’ জুলাই-আগস্ট থেকে কাদেরিয়া বাহিনীর কর্মকান্ড স্বাধীন বাংলা বেতার এবং আকাশবাণীতে অহরহ প্রচার হতো। এম আর আখতার মুকুলের যেসব প্রচারিত চরমপত্রে ‘কাদেরিয়া বাহিনীর গাবুর মাইর’-এর কথা পাঁচ-ছয় মাসে প্রায় ২৭ বার উল্লেখ করা হয়েছিল। এটা কেমন কথা চৌধুরী সাহেব অন্য সবার নাম শুনলেন জিয়াউর রহমানের নাম শুনলেন না! ২৭ মার্চ কালুরঘাটে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণার পর সারা মুক্তিযুদ্ধের সময় জুড়েই আলোচনা বঙ্গবন্ধুর পরই তো ছিল জিয়াউর রহমানের কথা। এমনকি স্বাধীন বাংলা বেতার এবং আকাশবাণীতে জিয়াউর রহমানের ঘোষণা বারবার প্রচারিত হতো। জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা না এটা বলে তো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেই কলঙ্কিত করা হয়। তার পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কি ছিল না সেটা অন্য কথা। কোন বেগ তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে খুশি হয়েছে এটা কোনো কথা না। কাজের কথা জিয়াউর রহমান একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। আমি তো এখনো বেঁচে আছি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের যে রকম পথ দেখিয়েছিল, ঠিক তেমনি কালুরঘাট বেতারে জিয়ার কণ্ঠ সারা দেশবাসীকে উৎসাহিত করেছিল। সংবিধান দেখিয়ে বাঙালকে হাই কোর্ট দেখাবেন না, মানুষ গ্রহণ করবে না।

মুক্তিযুদ্ধ আর মুষ্টিযুদ্ধ এক নয়। তাই মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর খেতাব বাতিল, অং সান সু চির নানান খেতাব বাতিল আর মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বসূচক খেতাব বাতিল এক কথা নয়। এটা বলতেই হবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জন্ম দেয়নি, এ ভূখন্ডের আলো-বাতাস-মা-মাটি ও মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্ম দিয়েছে। আর সেই মুক্তিযোদ্ধারা রক্ত ঢেলে বাংলাদেশের সৃষ্টি করেছে। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে হেলাফেলা করা আগুন নিয়ে খেলার শামিল। কেন এসব করতে যান? মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যথেষ্ট ছেলেখেলা হয়েছে। আর নয়, এখন ক্ষান্ত দিন। অন্ধ দৃষ্টিকোণ থেকে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যা খুশি তা করা যায়। কিন্তু নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যা তা করা হলে পরিণতি শুভ হবে না। আবারও বলছি, তার ছেলে তারেক রহমান যখন বলে, ‘এক দিনের জন্য হলেও আমার বাবা বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি।’ সেটা যেমন সমর্থন করতে পারি না, তেমনি ভালোমন্দ যা-ই থাকুন জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা না, বীরউত্তম না এটা সমর্থন করা যায় না।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
জনমনে উদ্বেগ-আতঙ্ক
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
সুষ্ঠু ভোটের লক্ষ্য
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
কমছে কৃষিজমি বাড়ছে মানুষ
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
পরিবর্তিত জলবায়ুর খামার ব্যবস্থাপনা
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
প্রকৃতির সঙ্গে কী সম্পর্ক চাই
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
রপ্তানি বহুমুখীকরণ
নির্বাচন ও গণভোট
নির্বাচন ও গণভোট
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আলেমদের ভূমিকা
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
বিদেশপন্থি রাজনীতির বিপদ
মবের দৌরাত্ম্য
মবের দৌরাত্ম্য
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
সর্বশেষ খবর
ঢাকার ৪৪টি পুকুর ও জলাশয় সংস্কার কাজের উদ্বোধন করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা
ঢাকার ৪৪টি পুকুর ও জলাশয় সংস্কার কাজের উদ্বোধন করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা

১১ মিনিট আগে | জাতীয়

টেস্টে ছক্কার রেকর্ড ঋষভের, টপকালেন শেবাগকে
টেস্টে ছক্কার রেকর্ড ঋষভের, টপকালেন শেবাগকে

১২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

সুইডিশ যুদ্ধবিমান কিনতে ৪.৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি কলম্বিয়ার
সুইডিশ যুদ্ধবিমান কিনতে ৪.৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি কলম্বিয়ার

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে লাশ নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে লাশ নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

২৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঢাকায় আইইউবির আয়োজনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন
ঢাকায় আইইউবির আয়োজনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

৩০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

অ্যাপলের ‘আইফোন পকেট’: মোজার মতো একখানা পণ্যের দাম ২২৯ ডলার!
অ্যাপলের ‘আইফোন পকেট’: মোজার মতো একখানা পণ্যের দাম ২২৯ ডলার!

৩২ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

মঙ্গলের উদ্দেশ্যে রকেট উৎক্ষেপণ করেছে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা
মঙ্গলের উদ্দেশ্যে রকেট উৎক্ষেপণ করেছে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা

৩৩ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

৩৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

কুতুবদিয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
কুতুবদিয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

৪০ মিনিট আগে | রাজনীতি

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

৪৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের

৪৮ মিনিট আগে | জাতীয়

সুদানের যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন দিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে রুবিওর আহ্বান
সুদানের যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন দিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে রুবিওর আহ্বান

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আজ কুয়াকাটায় যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আজ কুয়াকাটায় যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘে ভোটাভুটি সোমবার
ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘে ভোটাভুটি সোমবার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্টারনেট ব্যবহার স্বাধীনতায় বাংলাদেশের উন্নতি
ইন্টারনেট ব্যবহার স্বাধীনতায় বাংলাদেশের উন্নতি

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ভেনেজুয়েলার কাছে ৯ গেরিলা যোদ্ধা নিহত
ভেনেজুয়েলার কাছে ৯ গেরিলা যোদ্ধা নিহত

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেরপুর সীমান্তে বিপুল ভারতীয় মদ জব্দ
শেরপুর সীমান্তে বিপুল ভারতীয় মদ জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ক্ষমতায় গেলে পদ্মা-তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যুতে গুরুত্ব দেবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
ক্ষমতায় গেলে পদ্মা-তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যুতে গুরুত্ব দেবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউরোপের চার সংগঠনকে ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
ইউরোপের চার সংগঠনকে ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাংবাদিকতায় নীতি-নৈতিকতার বিকল্প নেই: ওবাইদুর রহমান শাহিন
সাংবাদিকতায় নীতি-নৈতিকতার বিকল্প নেই: ওবাইদুর রহমান শাহিন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অ্যাশেজের আগে আরও এক বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া
অ্যাশেজের আগে আরও এক বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জামায়াতসহ ১২টি দলের সঙ্গে ইসির বৈঠক সোমবার
জামায়াতসহ ১২টি দলের সঙ্গে ইসির বৈঠক সোমবার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের হামলায় নভোরো-সিয়েস্ক বন্দরের তেল রফতানি বন্ধ করল রাশিয়া
ইউক্রেনের হামলায় নভোরো-সিয়েস্ক বন্দরের তেল রফতানি বন্ধ করল রাশিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা
স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর
আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর

২০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

১৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি
৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি

২১ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি
গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা
বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শনিবার হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’
শনিবার হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়
ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত
৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু
এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

১৭ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত
জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই

১৩ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে
কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে

প্রথম পৃষ্ঠা

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে
আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা