শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ আপডেট:

জিয়া মুক্তিযোদ্ধা নয় এটি সমর্থন করা যায় না

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
জিয়া মুক্তিযোদ্ধা নয় এটি সমর্থন করা যায় না

করোনার মহাপ্রাদুর্ভাবে দীর্ঘ এক বছর সভা-সমিতি না করে, রাস্তাঘাটে না চলে কেমন যেন অচল হয়ে পড়েছি। দেহের সব কলকব্জায় জং ধরে যাওয়ার উপক্রম। শরীরটা আগের মতো চনমনে নেই, উদ্দীপনাও নেই। তার মধ্যে আবার আমার এক উন্মাদ দেশের পাগল গত শুক্রবার কাঁচপুর ব্রিজের কাছে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয়েছে। খবরটা শুনে একেবারে বেসামাল হয়ে পড়েছিলাম। বাংলাদেশ প্রতিদিনে আমার লেখা বেরোলেই সে ফোন করত, কত প্রশংসা করত, মনের মতো না হলে সমালোচনা করতেও পিছপা হতো না। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু নিহত হলে দারুণ কষ্ট করেছে। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে জেলে ছিল অনেক দিন। জিল্লুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক, লতিফ ভাই কার সঙ্গে সে জেল খাটেনি? সেসব জেল খাটার কথা সব সময় তার ঠোঁটে থাকত। কতবার জেলের দুরবস্থা নিয়ে ব্রিটিশ-পাকিস্তানের, কারা প্রশাসনের অব্যবস্থা নিয়ে লিখতে অনুরোধ করত। জেলখানা নিয়ে লিখেছিও। কিন্তু আমার প্রিয় খোকন জসিমের জীবদ্দশায় কারা সংস্কার নিয়ে তেমন লেখা হলো না। এক মস্তবড় আফসোস থেকে গেল। আড়াইহাজারের খোকন জসিম সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করেছে। ভীষণ দরিদ্র মানুষ। দুটি মাত্র ছেলে। একজনের নাম সিরাজদ্দৌলা, অন্যজনের নাম জানি না। বড় ছেলেকে বিয়ে করানোর কথা। বিয়ে উপলক্ষে তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলেছিল। আমারও ইচ্ছা ছিল একবার গরিব কর্মীটার ছেলের বিয়ে উপলক্ষে ঘুরে আসব। আচমকাই তার ছেলের কাছ থেকে খোকন জসিমের ফোন পেয়ে একেবারে মুষড়ে গিয়েছিলাম। খোকন জসিমের ফোন থেকে তার ছেলে তার মৃত্যু সংবাদ দিয়েছিল। ফোনটা সেভ করা। কোনো দিন খোকন জসিম ছাড়া কেউ সে ফোনে ফোন করেনি, শুধু তার মৃত্যু সংবাদ ছাড়া। খবরটা ঘুম থেকে উঠতে উঠতে পেয়েছিলাম তাই শূন্যতায় দেহমন ভরে ছিল। ভালো করে পত্রিকা পড়িনি। সারা দিন কোনো কাজে মন বসেনি। রাত ১০টায় এক ভদ্রলোকের ফোন পেয়েছিলাম, ‘এটা কি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ফোন?’ বলেছিলাম, জি, বলছি। ‘আপনি কি আজকে বাংলাদেশ প্রতিদিনে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের লেখা পড়েছেন?’ শিরোনাম দেখেছিলাম, লেখা পড়া হয়নি। শিরোনাম ছিল ‘জিয়া সম্পর্কে যা বলেছিলেন জেনারেল শওকত’। পরে লেখাটি পড়েছি। শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আমাকে খুবই ভালোবাসেন। একসময় দারুণ অনুরক্ত-ভক্ত ছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালির জীবনে জোয়ার-ভাটা তো আসেই। কঠিন দুঃখের মাঝে লেখাটি পড়ে খুব একটা হৃদয়ঙ্গম করতে পারিনি। পরে আবার পড়েছি। কয়েক পর্ব আগে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন সম্পর্কে লিখতে গিয়েছিলাম। ঠিক সে সময় ’৭৫-এর প্রতিরোধযুদ্ধে নিহত বিডিআরের হাবিলদার মুজিবর রহমানের মেয়ে মনোয়ারা বেগম মণি এসে হাজির হয়েছিল এক চমৎকার চিঠি নিয়ে। হাতের লেখাটি ছিল আরও চমৎকার। হাতের লেখা দেখে চমকে উঠে বলেছিলাম এত সুন্দর লেখা তারপর বলছেন লেখাপড়া জানেন না। মেয়েটি বলেছিল, ‘লেখাটা আমার নয়, আমার ছেলের। আমি লেখাপড়া জানি না। আমি যা বলেছি তাই আমার ছেলে লিখেছে।’ পড়ে দেখলাম সে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে। টাকাপয়সার অভাবে আর পড়তে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় আমাদের বিরুদ্ধের একজনের মেয়ের সামনে দাঁড়াতে হয়েছিল। তাই সৈয়দ আবুল হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন পর প্রায় দেড় ঘণ্টার আলোচনার কিছু বলা হয়নি। একই মন-মানসিকতার দুজন একত্র হলে সময় কেন যেন দুরন্ত ঘোড়ার মতো ছুটে। সেদিন সৈয়দ আবুল হোসেনের সঙ্গে আমাদের সময়ও ও রকমই ছুটেছিল। একজন আরেকজনের প্রতি ভালোবাসা-শ্রদ্ধায় ভরপুর দুজন মানুষ একত্র হলে কত কথা হয়। সব কথা যেমন লেখা যায় না, অনেক কথা সময় অনুমোদন করে না। সৈয়দ আবুল হোসেন পা থেকে মাথা পর্যন্ত একজন পরিশীলিত অসাধারণ বিনয়ী মানুষ। বিনয় অনেকের সাজানো গোছানো বানানো থাকে। কিন্তু আবুল হোসেনের বিনয় শাশ্বত স্বভাবজাত। তাতে কোনো মেকি নেই। কথার ফাঁকে একসময় আলোচনায় এসেছিল বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী কেমন আছেন। তিনি বলছিলেন, ‘আমরা তো কনিষ্ঠ, অর্থমন্ত্রীর কথায় কথা বলতে ভয় পেতাম, কুণ্ঠা হতো। কিন্তু লতিফ ভাই অর্থমন্ত্রীর অনেক অনিয়ম ধরতেন, আলোচনা করতেন। কখনো কখনো নেত্রী লতিফ ভাইয়ের মতামতকে গুরুত্ব দিতেন। কেন, কী করে অমন হলো বুঝতে পারছি না।’ আলোচনা ছিল ২৪ জানুয়ারির পর। ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইল ঐতিহাসিক অস্ত্র জমা দিবস পালিত হচ্ছিল। স্বাধীন দেশে পিতা হিসেবে, সরকারপ্রধান হিসেবে রাজধানীর বাইরে টাঙ্গাইলে প্রথম বঙ্গবন্ধু পা রেখেছিলেন। কাদেরিয়া বাহিনী তার সব অস্ত্র পিতার পায়ের তলে বিছিয়ে দিয়েছিল। সেই ২৪ জানুয়ারি অস্ত্র জমাদানের কোনো খবর পত্রপত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়নি। দিনব্যাপী প্রচারিত হয়েছিল সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর অবৈধভাবে দখল করা ৬০ শতাংশ জমি প্রশাসন দখল নিয়েছে বা লতিফ সিদ্দিকীকে উচ্ছেদ করেছে। প্রসঙ্গটা আসতেই আবুল হোসেন বলেছিলেন, ‘কেন উচ্ছেদ করতে হবে? কত হাজার হাজার একর ভূমি সরকার একে ওকে ইজারা দিচ্ছে, লিজ দিচ্ছে। যেখানে ৫০ বছর একজন মানুষ আছেন তাকে ছোট করার জন্য এমনটা করার কী দরকার? লতিফ সিদ্দিকীর নাম আওয়ামী লীগের সঙ্গে, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এমনকি নেত্রী হাসিনার সঙ্গেও জড়িয়ে আছে।’ আমি তার বিবেচনাবোধের কথা ভাবছিলাম। কতভাবে বলার চেষ্টা করছিলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ নিয়ে আমার নানা কথা নানা লেখায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছিলেন। সঙ্গে এও বলছিলেন, ‘আপনার সঙ্গে না হয় আমার পরিচয় আছে, আপনি ভালোবাসেন, স্নেহ করেন তাই আমার ওপর অবিচারের কথা না হয় আপনি তুলে ধরেছেন। কানাডার আদালতে বিশ্বব্যাংকের মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ড. কামাল হোসেন ও অন্যরা আমার মন্ত্রিত্ব ফিরিয়ে দিতে বলেছিলেন। তাদের সঙ্গে তো আমার তেমন পরিচয়ও নেই। তাই আপনাদের মতো মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা জানিয়ে শেষ করা যায় না।’ দেড় ঘণ্টা কীভাবে কেটে গিয়েছিল খেয়াল করিনি। বারবার বলছিলেন, ‘আপনার যখন প্রয়োজন ফোন করবেন। কোনো সময় বিবেচনা করতে হবে না।’ যখন চলে আসছিলাম লিফট পর্যন্ত দিয়ে গিয়েছিলেন। গাড়িতে বসে ভাবছিলাম, দেশে প্রশাসনে ভদ্রলোকের জায়গা নেই। সব অভদ্রদের অসম্ভব ক্ষমতা। প্রায় দেড় ঘণ্টা আলাপে একটি বিষয় বারবার আমার মনে হয়েছে আমি যেমন বঙ্গবন্ধু ছাড়া বুঝি না, সবকিছুতেই বঙ্গবন্ধু- সৈয়দ আবুল হোসেনেরও তেমনি নেত্রীর প্রতি গভীর আস্থা। সবকিছুর পর নেত্রী। নেত্রীকে নিয়ে তার মনে কোনো দ্বিধা নেই, দ্বন্দ্ব নেই। বরং তার আশপাশে কিছু মানুষের জন্য তার প্রচন্ড শঙ্কা আছে এবং সে শঙ্কার কথা আমায় বলতে পেরে পুরোপুরি হোক আর না হোক কিছুটা হালকা হয়েছেন। আমি তার কাছে গেলেই আমাকে তার লেখা বই তুলে দেন। এবারও দিয়েছেন- আমার চিঠিপত্র; প্রবচনগুচ্ছ; বঙ্গবন্ধুর ধর্মচিন্তা ও ধর্মচেতনা। সর্বোপরি কদিন আগে এক চমৎকার চিঠি দিয়েছেন। একটা চিঠি অত যত্ন করে পাঠানো যায় এও এক নতুন নজির। চিঠিটা আমার কাছে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চিঠি কিংবা ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখার্জি অথবা মহীয়সী নারী বাংলাদেশের ধাত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর মতো উচ্চতায় মনে হয়েছে। মনে হয়েছে অনেকটাই বোন হাসিনার চিঠিপত্রের মতো ভালোবাসা ও মমতা মাখা।

এবার সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের লেখা প্রসঙ্গে আসি। তিনি শুরু করেছেন, ‘১৯৮৮ সালে আমি তখন যুক্তরাজ্যে ইমিগ্রেশন অ্যাডভাইজরি সার্ভিসের আইনবিষয়ক উপপরিচালক। তখন জেনারেল এরশাদ জেনারেল শওকতকে দেশে ফিরতে বলেছিলেন। জেনারেল শওকতের ভয় ছিল দেশে ফিরলে এরশাদ তাকে জেলে পুরবে। তাই যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় ও বসবাসের জন্য মাইকেল বার্নসের কাছে গিয়েছিলেন। সে সময় জেনারেল শওকত জিয়াউর রহমান যে মুক্তিযোদ্ধা না, ইচ্ছে করে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেননি, বাধ্য হয়ে করেছেন এসব অনেক কথা বলেছেন।’ শওকত সাহেব বলেছেন, না বলেননি এগুলো নিয়ে আমার কোনো কথা নেই। সাবেক বিচারপতির লেখা থেকে তুলে দিচ্ছি, ‘গুরুত্বপূর্ণ মুক্তিযোদ্ধাদের সবারই যুদ্ধকালীন বহু বীরত্বের কথা বিভিন্ন পুস্তকে, পত্রপত্রিকায় ছাপা হলেও জিয়া কোথাও যুদ্ধ করেছে এমন কোনো খবর কখনো দেখা যায়নি। মুক্তিযুদ্ধকালে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুক্তি আন্দোলনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিলাম বিধায় প্রতিদিন বিলেতের বহু পত্রিকা পড়তাম, বিবিসির খবর শোনতাম। শফিউল্লাহ, খালেদ মোশাররফ, মেজর রফিক, কাদের সিদ্দিকী, আ ক ম মোজাম্মেল হক, সি আর দত্ত প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধার কথা প্রায়ই শুনতে পেতাম, কিন্তু জিয়ার কথা কখনো শুনিনি। কর্নেল তাহের হত্যা মামলার বিচারের সময় যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা আমার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারা সবাই বলেছেন জিয়া কোনো যুদ্ধ করেনি। গত সপ্তাহে জেনারেল শফিউল্লাহ এবং মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদও একই কথা বলেছেন।’ জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছে কি করেনি এটা আমার বিচার্য নয়। চাটুকারিতা আমার স্বভাবে নেই। আমি কারও পোঁ ধরিনি। আর যে কদিন বাঁচব কারও পোঁ ধরব না। সাবেক বিচারপতির এ কথার জবাব দেওয়ার কোনো ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও এটা বলতেই হচ্ছে, যুদ্ধের শুরুতে তিনি শফিউল্লাহ, খালেদ মোশাররফ, মেজর রফিক, কাদের সিদ্দিকী, আ ক ম মোজাম্মেল হক, সি আর দত্তদের নাম শুনেছেন। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম আ ক ম মোজাম্মেল হক এখন মুক্তিযদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর পরই তার স্থান। তার পরও বলছি, মুক্তিযুদ্ধের সময় জনাব চৌধুরী তো দূরের কথা গাজীপুরের বাইরে একজনও আ ক ম মোজাম্মেলের নাম শোনেননি। তিনি ধীরে ধীরে বড় হয়েছেন। এখন মন্ত্রী তাই তার কথা আলোচনা হয়। কিন্তু তিনি বিরাট মুক্তিযোদ্ধা নন। দু-এক জায়গায় আমিও লিখেছি, ১৯ মার্চ ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব আরবারকে বাধা দিতে আ ক ম মোজাম্মেল হকের ভূমিকা ছিল। মোজাম্মেল হকের চাইতে কিন্তু সে সময় সফর উদ্দিন, নজরুল ইসলাম খানদের ভূমিকা ছিল অনেক বেশি। মুক্তিযুদ্ধে সবার আগে জিয়াউর রহমানের নাম দেশবাসী শুনেছে। ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে যখন শোনা গিয়েছিল, ‘I, Major Zia, do hereby declare the independence of Bangladesh on behalf of our great national leader Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman!’ ওর আগে কারও নাম শোনা যায়নি। কাদের সিদ্দিকী আমার নাম ৩০ জুলাইয়ের আগে কেউ শোনেনি। ৩০ জুলাই ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে সূত্রাপুর সেতু ধ্বংস করা হলে বিবিসি থেকে বলা হয়েছিল, ‘রাজধানী থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তরে কাদের সিদ্দিকী নামে ২৫ বছরের এক যুবকের নেতৃত্বে প্রতিরোধযুদ্ধ গড়ে উঠেছে। তারই দল ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের সূত্রাপুর সেতু ধ্বংস করেছে।’ খবরটি আমি নিজ কানে শুনেছিলাম। কেউ চাইলে বিবিসি আর্কাইভ থেকে শুনে নিতে পারেন। এরপর ১১ আগস্ট ভূঞাপুরের মাটিকাটায় পাকিস্তান হানাদারদের সাতটি জাহাজের বহরে আক্রমণ করে সব থেকে বড় দুটি জাহাজ দখল করে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করেছিলাম। এ খবরও বিবিসি থেকে বেশ কয়েকবার প্রচারিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের বিরল ব্যক্তিত্ব সাবেক রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে হাউস অব কমন্সে মাটিকাটায় জাহাজ দখলের কথা উল্লেখ করেছিলেন। যখন চারদিক থেকে বলা হচ্ছিল বাংলাদেশে যা কিছু হচ্ছে ভারতীয় সৈন্যরা করছে। সেখানে দেশের মানুষের কোনো অংশগ্রহণ নেই। সেটাকে খন্ডন করতে আবু সাঈদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘সীমান্ত থেকে ২০০ কিলোমিটার ভিতরে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে হানাদারদের যে জাহাজ দখল করেছে যা বিবিসি বারবার প্রচার করছে সেটাও কি ভারতীয়দের কাজ? কাদের সিদ্দিকী আমার পাশের গ্রামের বাসিন্দা। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাকে চিনি।’ জুলাই-আগস্ট থেকে কাদেরিয়া বাহিনীর কর্মকান্ড স্বাধীন বাংলা বেতার এবং আকাশবাণীতে অহরহ প্রচার হতো। এম আর আখতার মুকুলের যেসব প্রচারিত চরমপত্রে ‘কাদেরিয়া বাহিনীর গাবুর মাইর’-এর কথা পাঁচ-ছয় মাসে প্রায় ২৭ বার উল্লেখ করা হয়েছিল। এটা কেমন কথা চৌধুরী সাহেব অন্য সবার নাম শুনলেন জিয়াউর রহমানের নাম শুনলেন না! ২৭ মার্চ কালুরঘাটে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণার পর সারা মুক্তিযুদ্ধের সময় জুড়েই আলোচনা বঙ্গবন্ধুর পরই তো ছিল জিয়াউর রহমানের কথা। এমনকি স্বাধীন বাংলা বেতার এবং আকাশবাণীতে জিয়াউর রহমানের ঘোষণা বারবার প্রচারিত হতো। জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা না এটা বলে তো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেই কলঙ্কিত করা হয়। তার পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কি ছিল না সেটা অন্য কথা। কোন বেগ তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে খুশি হয়েছে এটা কোনো কথা না। কাজের কথা জিয়াউর রহমান একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। আমি তো এখনো বেঁচে আছি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের যে রকম পথ দেখিয়েছিল, ঠিক তেমনি কালুরঘাট বেতারে জিয়ার কণ্ঠ সারা দেশবাসীকে উৎসাহিত করেছিল। সংবিধান দেখিয়ে বাঙালকে হাই কোর্ট দেখাবেন না, মানুষ গ্রহণ করবে না।

মুক্তিযুদ্ধ আর মুষ্টিযুদ্ধ এক নয়। তাই মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর খেতাব বাতিল, অং সান সু চির নানান খেতাব বাতিল আর মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বসূচক খেতাব বাতিল এক কথা নয়। এটা বলতেই হবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জন্ম দেয়নি, এ ভূখন্ডের আলো-বাতাস-মা-মাটি ও মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্ম দিয়েছে। আর সেই মুক্তিযোদ্ধারা রক্ত ঢেলে বাংলাদেশের সৃষ্টি করেছে। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে হেলাফেলা করা আগুন নিয়ে খেলার শামিল। কেন এসব করতে যান? মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যথেষ্ট ছেলেখেলা হয়েছে। আর নয়, এখন ক্ষান্ত দিন। অন্ধ দৃষ্টিকোণ থেকে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যা খুশি তা করা যায়। কিন্তু নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যা তা করা হলে পরিণতি শুভ হবে না। আবারও বলছি, তার ছেলে তারেক রহমান যখন বলে, ‘এক দিনের জন্য হলেও আমার বাবা বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি।’ সেটা যেমন সমর্থন করতে পারি না, তেমনি ভালোমন্দ যা-ই থাকুন জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা না, বীরউত্তম না এটা সমর্থন করা যায় না।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
গণহত্যার বিচার
গণহত্যার বিচার
ঋণনির্ভর বাজেট
ঋণনির্ভর বাজেট
একান্নবর্তী পরিবারের কোরবানি
একান্নবর্তী পরিবারের কোরবানি
ছাত্ররাই দেশের বড় সম্পদ
ছাত্ররাই দেশের বড় সম্পদ
আপদে এনসিপি বিপদে দেশ
আপদে এনসিপি বিপদে দেশ
চলে যাওয়া দেখার যন্ত্রণা
চলে যাওয়া দেখার যন্ত্রণা
কোরবানির বিধান
কোরবানির বিধান
নাজুক মানবাধিকার
নাজুক মানবাধিকার
চারদিকে সংকট
চারদিকে সংকট
মন্দ মানুষের হালহকিকত ও পরিণতি
মন্দ মানুষের হালহকিকত ও পরিণতি
মব ফ্যাসিজম!
মব ফ্যাসিজম!
নির্বাচনে অনিশ্চয়তা
নির্বাচনে অনিশ্চয়তা
সর্বশেষ খবর
ঈদুল আজহায় পুলিশের ছুটি বাতিল
ঈদুল আজহায় পুলিশের ছুটি বাতিল

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

‘পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে স্টপেজ থেকেই যাত্রীদের ছবি তুলতে হবে’
‘পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে স্টপেজ থেকেই যাত্রীদের ছবি তুলতে হবে’

৩১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার
কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার

১৫ মিনিট আগে | জীবন ধারা

মাগুরায় কৃষক প্রশিক্ষণ
মাগুরায় কৃষক প্রশিক্ষণ

১৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সুবর্ণচরে ইউএনওর অপসারণ ও বিচার দাবিতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ
সুবর্ণচরে ইউএনওর অপসারণ ও বিচার দাবিতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভোলায় ২ ডাকাত আটক
ভোলায় ২ ডাকাত আটক

২১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

২৩ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রিয়া সরোজকেই বিয়ে করছেন রিংকু সিং
প্রিয়া সরোজকেই বিয়ে করছেন রিংকু সিং

২৪ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ফেনীতে সবজির বাজারে স্বস্তি
ফেনীতে সবজির বাজারে স্বস্তি

৪৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

পদত্যাগের কথা না বলে নির্বাচন দিন : ফারুক
পদত্যাগের কথা না বলে নির্বাচন দিন : ফারুক

৪৮ মিনিট আগে | রাজনীতি

পুশইন করে ভারত বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়: কাদের গনি চৌধুরী
পুশইন করে ভারত বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়: কাদের গনি চৌধুরী

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

‘ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে’ চীনে ২ জাপানি নাগরিক খুন
‘ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে’ চীনে ২ জাপানি নাগরিক খুন

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি শেখ হাসিনা, ১৯ জুন চূড়ান্ত শুনানি
ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি শেখ হাসিনা, ১৯ জুন চূড়ান্ত শুনানি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক
জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্ত জোভানের চঞ্চল প্রেমিকা তটিনী!
শান্ত জোভানের চঞ্চল প্রেমিকা তটিনী!

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজও ‘ইশরাক ইশরাক’ স্লোগান, বন্ধ নগর ভবন
আজও ‘ইশরাক ইশরাক’ স্লোগান, বন্ধ নগর ভবন

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭-৮ মাস ধরে শুটিংয়ে ফোন ব্যবহার করেননি রাজ : ফারিণ
৭-৮ মাস ধরে শুটিংয়ে ফোন ব্যবহার করেননি রাজ : ফারিণ

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

চাঁদপুরে হাজী মোজাম্মেল এখন সফল খামারি
চাঁদপুরে হাজী মোজাম্মেল এখন সফল খামারি

১ ঘণ্টা আগে | হাটের খবর

স্ক্যাম মেসেজ চিনবেন যেভাবে
স্ক্যাম মেসেজ চিনবেন যেভাবে

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে এখনও পঞ্চায়েত প্রথা, সব ঘরেই পৌঁছাবে কোরবানির মাংস
রাজধানীতে এখনও পঞ্চায়েত প্রথা, সব ঘরেই পৌঁছাবে কোরবানির মাংস

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

খাগড়াছড়িতে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ
খাগড়াছড়িতে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন প্রতিটি নাগরিকের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন প্রতিটি নাগরিকের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা : নবীউল্লাহ নবী

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফ্যাসিজম পুরোপুরি বিদায়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার : জামায়াত আমির
ফ্যাসিজম পুরোপুরি বিদায়ে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার : জামায়াত আমির

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নোয়াখালীতে কৃষকের মৃত্যু
নোয়াখালীতে কৃষকের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যেসব খাবারে পূরণ হবে ভিটামিন ডি-এর অভাব
যেসব খাবারে পূরণ হবে ভিটামিন ডি-এর অভাব

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

জুলাই সনদে কী থাকবে তা এখনই নির্ধারণ করতে হবে: আলী রিয়াজ
জুলাই সনদে কী থাকবে তা এখনই নির্ধারণ করতে হবে: আলী রিয়াজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নতুন ফিচারে থাকছে যে সুবিধা
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে নতুন ফিচারে থাকছে যে সুবিধা

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

সর্বাধিক পঠিত
দাম বাড়তে-কমতে পারে যেসব পণ্যের
দাম বাড়তে-কমতে পারে যেসব পণ্যের

২৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

রাফাল ভূপাতিতের ঘটনায় এবার ভারত ও ফ্রান্সের দ্বন্দ্ব
রাফাল ভূপাতিতের ঘটনায় এবার ভারত ও ফ্রান্সের দ্বন্দ্ব

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সারা দেশে ২৬৫ বিচারককে একযোগে বদলি
সারা দেশে ২৬৫ বিচারককে একযোগে বদলি

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফাইনালেও বৃষ্টির সম্ভাবনা, ম্যাচ ভেস্তে গেলে চ্যাম্পিয়ন কারা?
ফাইনালেও বৃষ্টির সম্ভাবনা, ম্যাচ ভেস্তে গেলে চ্যাম্পিয়ন কারা?

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাজেটে জুলাই যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ সুবিধা
বাজেটে জুলাই যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ সুবিধা

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বেসরকারি খাত ঋণ পাবে না!
বেসরকারি খাত ঋণ পাবে না!

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সিগারেটের দাম বাড়তে পারে
সিগারেটের দাম বাড়তে পারে

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারতীয় বাহিনীর হাতে মিয়ানমারের ১০ বিদ্রোহী নিহত, সীমান্তে আতঙ্ক
ভারতীয় বাহিনীর হাতে মিয়ানমারের ১০ বিদ্রোহী নিহত, সীমান্তে আতঙ্ক

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লাগেজে ৪৭ বিষধর সাপ, ভারতীয় যাত্রী গ্রেফতার
লাগেজে ৪৭ বিষধর সাপ, ভারতীয় যাত্রী গ্রেফতার

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঈদে বৃষ্টি থাকবে কি না জানাল আবহাওয়া অফিস
ঈদে বৃষ্টি থাকবে কি না জানাল আবহাওয়া অফিস

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের সূচি ও ভেন্যু ঘোষণা করল আইসিসি
নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের সূচি ও ভেন্যু ঘোষণা করল আইসিসি

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপি তো এনসিপির মামা না যে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে: রুমিন ফারহানা
বিএনপি তো এনসিপির মামা না যে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবে: রুমিন ফারহানা

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জুলাই সনদের পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে : নাহিদ
জুলাই সনদের পর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে : নাহিদ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটিও কারণ নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ
নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটিও কারণ নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ জমা দিলেন সালাহউদ্দিন
শেখ হাসিনাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগ জমা দিলেন সালাহউদ্দিন

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ক্রেডিট কার্ড নিতে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা থাকছে না
ক্রেডিট কার্ড নিতে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা থাকছে না

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই যেকোন একটা সময় হতে পারে: প্রেস সচিব
নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই যেকোন একটা সময় হতে পারে: প্রেস সচিব

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাইয়ে সংস্কার, ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন চায় জামায়াত
জুলাইয়ে সংস্কার, ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন চায় জামায়াত

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধি দল
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধি দল

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নতুন বাংলাদেশে পুরোনো বাজেট
নতুন বাংলাদেশে পুরোনো বাজেট

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সচিবালয়ের সামনে পুলিশ-জুলাই ঐক্য মুখোমুখি
সচিবালয়ের সামনে পুলিশ-জুলাই ঐক্য মুখোমুখি

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভিসা ছাড়াই চীনে যেতে পারবেন লাতিন আমেরিকার পাঁচ দেশের নাগরিকরা
ভিসা ছাড়াই চীনে যেতে পারবেন লাতিন আমেরিকার পাঁচ দেশের নাগরিকরা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বড় প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের : আসছে ১২টি অ্যাটাক সাবমেরিন
বড় প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের : আসছে ১২টি অ্যাটাক সাবমেরিন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজার পথে গ্রেটা থুনবার্গের মানবতার জাহাজ ‘ত্রাণের তরী’
গাজার পথে গ্রেটা থুনবার্গের মানবতার জাহাজ ‘ত্রাণের তরী’

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ থেকে যেসব এলাকায় রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা
আজ থেকে যেসব এলাকায় রাত ১০টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ও তার স্ত্রীর নামে মামলা
অতিরিক্ত ডিআইজি রফিকুল ও তার স্ত্রীর নামে মামলা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অন্তর্বর্তী সরকার যে কারণে আগাম নির্বাচনের বিপক্ষে
অন্তর্বর্তী সরকার যে কারণে আগাম নির্বাচনের বিপক্ষে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা থেকে নরসিংদীতে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার রাইড শেয়ার চালক
ঢাকা থেকে নরসিংদীতে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেফতার রাইড শেয়ার চালক

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জি এম কাদের ও তার স্ত্রীসহ ১৯ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা
জি এম কাদের ও তার স্ত্রীসহ ১৯ জনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইপিএলে ৩০ লাখের দিগ্বেশ রাঠির জরিমানাই ২১ লাখ
আইপিএলে ৩০ লাখের দিগ্বেশ রাঠির জরিমানাই ২১ লাখ

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
শাহ সিমেন্ট গিলে খাচ্ছে নদী
শাহ সিমেন্ট গিলে খাচ্ছে নদী

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যূনতম কর ৫ হাজার টাকা নতুনদের জন্য ১ হাজার
ন্যূনতম কর ৫ হাজার টাকা নতুনদের জন্য ১ হাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রাথমিকে চালু হচ্ছে স্কুল ফিডিং
প্রাথমিকে চালু হচ্ছে স্কুল ফিডিং

নগর জীবন

ঈদ আনন্দে বন্যার হানা
ঈদ আনন্দে বন্যার হানা

পেছনের পৃষ্ঠা

আপদে এনসিপি বিপদে দেশ
আপদে এনসিপি বিপদে দেশ

সম্পাদকীয়

পুটখালী গ্রামে চাঞ্চল্য
পুটখালী গ্রামে চাঞ্চল্য

পেছনের পৃষ্ঠা

মইজ্জ্যারটেক হাটে ভিড়
মইজ্জ্যারটেক হাটে ভিড়

পেছনের পৃষ্ঠা

২৬ দলের মধ্যে ২৩টি ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়
২৬ দলের মধ্যে ২৩টি ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়

প্রথম পৃষ্ঠা

কে দেবে আশা কে দেবে ভরসা?
কে দেবে আশা কে দেবে ভরসা?

প্রথম পৃষ্ঠা

দাম বাড়বে
দাম বাড়বে

প্রথম পৃষ্ঠা

লোক ভাড়া করে আওয়ামী লীগের মিছিল!
লোক ভাড়া করে আওয়ামী লীগের মিছিল!

পেছনের পৃষ্ঠা

উদ্বেগজনক বলল সিপিডি
উদ্বেগজনক বলল সিপিডি

প্রথম পৃষ্ঠা

পুঁজিবাজারে করপোরেট করে ছাড়
পুঁজিবাজারে করপোরেট করে ছাড়

নগর জীবন

দাম কমবে
দাম কমবে

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ প্রণোদনা
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বিশেষ প্রণোদনা

খবর

অন্তর্বর্তী সরকার যে কারণে আগাম নির্বাচনের বিপক্ষে
অন্তর্বর্তী সরকার যে কারণে আগাম নির্বাচনের বিপক্ষে

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন শূন্যের বাজেট
তিন শূন্যের বাজেট

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন বাংলাদেশে পুরোনো বাজেট
নতুন বাংলাদেশে পুরোনো বাজেট

প্রথম পৃষ্ঠা

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড হাই কোর্টে বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড হাই কোর্টে বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

কী হয়েছিল সেই ব্যাংকের শাখায়
কী হয়েছিল সেই ব্যাংকের শাখায়

পেছনের পৃষ্ঠা

প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবতাবিবর্জিত
প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবতাবিবর্জিত

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুনত্বের ছোঁয়া নেই বাজেটে
নতুনত্বের ছোঁয়া নেই বাজেটে

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে চিকিৎসকসহ ১১ জন করোনা আক্রান্ত
রাজশাহীতে চিকিৎসকসহ ১১ জন করোনা আক্রান্ত

খবর

সুস্থগরু চেনার উপায়
সুস্থগরু চেনার উপায়

স্বাস্থ্য

চলে যাওয়া দেখার যন্ত্রণা
চলে যাওয়া দেখার যন্ত্রণা

সম্পাদকীয়

তুরাগে ভয়ংকর কিশোর গ্যাং আতঙ্ক
তুরাগে ভয়ংকর কিশোর গ্যাং আতঙ্ক

নগর জীবন

১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৪০৩ টাকা
১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৪০৩ টাকা

নগর জীবন

সুনামগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশে বসুন্ধরা সিমেন্টের শুভ হালখাতা
সুনামগঞ্জে উৎসবমুখর পরিবেশে বসুন্ধরা সিমেন্টের শুভ হালখাতা

নগর জীবন

ব্যতিক্রমধর্মী বাজেট এবার
ব্যতিক্রমধর্মী বাজেট এবার

প্রথম পৃষ্ঠা