শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ আপডেট:

জিয়া মুক্তিযোদ্ধা নয় এটি সমর্থন করা যায় না

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
জিয়া মুক্তিযোদ্ধা নয় এটি সমর্থন করা যায় না

করোনার মহাপ্রাদুর্ভাবে দীর্ঘ এক বছর সভা-সমিতি না করে, রাস্তাঘাটে না চলে কেমন যেন অচল হয়ে পড়েছি। দেহের সব কলকব্জায় জং ধরে যাওয়ার উপক্রম। শরীরটা আগের মতো চনমনে নেই, উদ্দীপনাও নেই। তার মধ্যে আবার আমার এক উন্মাদ দেশের পাগল গত শুক্রবার কাঁচপুর ব্রিজের কাছে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয়েছে। খবরটা শুনে একেবারে বেসামাল হয়ে পড়েছিলাম। বাংলাদেশ প্রতিদিনে আমার লেখা বেরোলেই সে ফোন করত, কত প্রশংসা করত, মনের মতো না হলে সমালোচনা করতেও পিছপা হতো না। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু নিহত হলে দারুণ কষ্ট করেছে। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে জেলে ছিল অনেক দিন। জিল্লুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক, লতিফ ভাই কার সঙ্গে সে জেল খাটেনি? সেসব জেল খাটার কথা সব সময় তার ঠোঁটে থাকত। কতবার জেলের দুরবস্থা নিয়ে ব্রিটিশ-পাকিস্তানের, কারা প্রশাসনের অব্যবস্থা নিয়ে লিখতে অনুরোধ করত। জেলখানা নিয়ে লিখেছিও। কিন্তু আমার প্রিয় খোকন জসিমের জীবদ্দশায় কারা সংস্কার নিয়ে তেমন লেখা হলো না। এক মস্তবড় আফসোস থেকে গেল। আড়াইহাজারের খোকন জসিম সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করেছে। ভীষণ দরিদ্র মানুষ। দুটি মাত্র ছেলে। একজনের নাম সিরাজদ্দৌলা, অন্যজনের নাম জানি না। বড় ছেলেকে বিয়ে করানোর কথা। বিয়ে উপলক্ষে তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলেছিল। আমারও ইচ্ছা ছিল একবার গরিব কর্মীটার ছেলের বিয়ে উপলক্ষে ঘুরে আসব। আচমকাই তার ছেলের কাছ থেকে খোকন জসিমের ফোন পেয়ে একেবারে মুষড়ে গিয়েছিলাম। খোকন জসিমের ফোন থেকে তার ছেলে তার মৃত্যু সংবাদ দিয়েছিল। ফোনটা সেভ করা। কোনো দিন খোকন জসিম ছাড়া কেউ সে ফোনে ফোন করেনি, শুধু তার মৃত্যু সংবাদ ছাড়া। খবরটা ঘুম থেকে উঠতে উঠতে পেয়েছিলাম তাই শূন্যতায় দেহমন ভরে ছিল। ভালো করে পত্রিকা পড়িনি। সারা দিন কোনো কাজে মন বসেনি। রাত ১০টায় এক ভদ্রলোকের ফোন পেয়েছিলাম, ‘এটা কি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ফোন?’ বলেছিলাম, জি, বলছি। ‘আপনি কি আজকে বাংলাদেশ প্রতিদিনে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের লেখা পড়েছেন?’ শিরোনাম দেখেছিলাম, লেখা পড়া হয়নি। শিরোনাম ছিল ‘জিয়া সম্পর্কে যা বলেছিলেন জেনারেল শওকত’। পরে লেখাটি পড়েছি। শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আমাকে খুবই ভালোবাসেন। একসময় দারুণ অনুরক্ত-ভক্ত ছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালির জীবনে জোয়ার-ভাটা তো আসেই। কঠিন দুঃখের মাঝে লেখাটি পড়ে খুব একটা হৃদয়ঙ্গম করতে পারিনি। পরে আবার পড়েছি। কয়েক পর্ব আগে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন সম্পর্কে লিখতে গিয়েছিলাম। ঠিক সে সময় ’৭৫-এর প্রতিরোধযুদ্ধে নিহত বিডিআরের হাবিলদার মুজিবর রহমানের মেয়ে মনোয়ারা বেগম মণি এসে হাজির হয়েছিল এক চমৎকার চিঠি নিয়ে। হাতের লেখাটি ছিল আরও চমৎকার। হাতের লেখা দেখে চমকে উঠে বলেছিলাম এত সুন্দর লেখা তারপর বলছেন লেখাপড়া জানেন না। মেয়েটি বলেছিল, ‘লেখাটা আমার নয়, আমার ছেলের। আমি লেখাপড়া জানি না। আমি যা বলেছি তাই আমার ছেলে লিখেছে।’ পড়ে দেখলাম সে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে। টাকাপয়সার অভাবে আর পড়তে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় আমাদের বিরুদ্ধের একজনের মেয়ের সামনে দাঁড়াতে হয়েছিল। তাই সৈয়দ আবুল হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন পর প্রায় দেড় ঘণ্টার আলোচনার কিছু বলা হয়নি। একই মন-মানসিকতার দুজন একত্র হলে সময় কেন যেন দুরন্ত ঘোড়ার মতো ছুটে। সেদিন সৈয়দ আবুল হোসেনের সঙ্গে আমাদের সময়ও ও রকমই ছুটেছিল। একজন আরেকজনের প্রতি ভালোবাসা-শ্রদ্ধায় ভরপুর দুজন মানুষ একত্র হলে কত কথা হয়। সব কথা যেমন লেখা যায় না, অনেক কথা সময় অনুমোদন করে না। সৈয়দ আবুল হোসেন পা থেকে মাথা পর্যন্ত একজন পরিশীলিত অসাধারণ বিনয়ী মানুষ। বিনয় অনেকের সাজানো গোছানো বানানো থাকে। কিন্তু আবুল হোসেনের বিনয় শাশ্বত স্বভাবজাত। তাতে কোনো মেকি নেই। কথার ফাঁকে একসময় আলোচনায় এসেছিল বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী কেমন আছেন। তিনি বলছিলেন, ‘আমরা তো কনিষ্ঠ, অর্থমন্ত্রীর কথায় কথা বলতে ভয় পেতাম, কুণ্ঠা হতো। কিন্তু লতিফ ভাই অর্থমন্ত্রীর অনেক অনিয়ম ধরতেন, আলোচনা করতেন। কখনো কখনো নেত্রী লতিফ ভাইয়ের মতামতকে গুরুত্ব দিতেন। কেন, কী করে অমন হলো বুঝতে পারছি না।’ আলোচনা ছিল ২৪ জানুয়ারির পর। ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইল ঐতিহাসিক অস্ত্র জমা দিবস পালিত হচ্ছিল। স্বাধীন দেশে পিতা হিসেবে, সরকারপ্রধান হিসেবে রাজধানীর বাইরে টাঙ্গাইলে প্রথম বঙ্গবন্ধু পা রেখেছিলেন। কাদেরিয়া বাহিনী তার সব অস্ত্র পিতার পায়ের তলে বিছিয়ে দিয়েছিল। সেই ২৪ জানুয়ারি অস্ত্র জমাদানের কোনো খবর পত্রপত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়নি। দিনব্যাপী প্রচারিত হয়েছিল সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর অবৈধভাবে দখল করা ৬০ শতাংশ জমি প্রশাসন দখল নিয়েছে বা লতিফ সিদ্দিকীকে উচ্ছেদ করেছে। প্রসঙ্গটা আসতেই আবুল হোসেন বলেছিলেন, ‘কেন উচ্ছেদ করতে হবে? কত হাজার হাজার একর ভূমি সরকার একে ওকে ইজারা দিচ্ছে, লিজ দিচ্ছে। যেখানে ৫০ বছর একজন মানুষ আছেন তাকে ছোট করার জন্য এমনটা করার কী দরকার? লতিফ সিদ্দিকীর নাম আওয়ামী লীগের সঙ্গে, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এমনকি নেত্রী হাসিনার সঙ্গেও জড়িয়ে আছে।’ আমি তার বিবেচনাবোধের কথা ভাবছিলাম। কতভাবে বলার চেষ্টা করছিলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ নিয়ে আমার নানা কথা নানা লেখায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছিলেন। সঙ্গে এও বলছিলেন, ‘আপনার সঙ্গে না হয় আমার পরিচয় আছে, আপনি ভালোবাসেন, স্নেহ করেন তাই আমার ওপর অবিচারের কথা না হয় আপনি তুলে ধরেছেন। কানাডার আদালতে বিশ্বব্যাংকের মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ড. কামাল হোসেন ও অন্যরা আমার মন্ত্রিত্ব ফিরিয়ে দিতে বলেছিলেন। তাদের সঙ্গে তো আমার তেমন পরিচয়ও নেই। তাই আপনাদের মতো মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা জানিয়ে শেষ করা যায় না।’ দেড় ঘণ্টা কীভাবে কেটে গিয়েছিল খেয়াল করিনি। বারবার বলছিলেন, ‘আপনার যখন প্রয়োজন ফোন করবেন। কোনো সময় বিবেচনা করতে হবে না।’ যখন চলে আসছিলাম লিফট পর্যন্ত দিয়ে গিয়েছিলেন। গাড়িতে বসে ভাবছিলাম, দেশে প্রশাসনে ভদ্রলোকের জায়গা নেই। সব অভদ্রদের অসম্ভব ক্ষমতা। প্রায় দেড় ঘণ্টা আলাপে একটি বিষয় বারবার আমার মনে হয়েছে আমি যেমন বঙ্গবন্ধু ছাড়া বুঝি না, সবকিছুতেই বঙ্গবন্ধু- সৈয়দ আবুল হোসেনেরও তেমনি নেত্রীর প্রতি গভীর আস্থা। সবকিছুর পর নেত্রী। নেত্রীকে নিয়ে তার মনে কোনো দ্বিধা নেই, দ্বন্দ্ব নেই। বরং তার আশপাশে কিছু মানুষের জন্য তার প্রচন্ড শঙ্কা আছে এবং সে শঙ্কার কথা আমায় বলতে পেরে পুরোপুরি হোক আর না হোক কিছুটা হালকা হয়েছেন। আমি তার কাছে গেলেই আমাকে তার লেখা বই তুলে দেন। এবারও দিয়েছেন- আমার চিঠিপত্র; প্রবচনগুচ্ছ; বঙ্গবন্ধুর ধর্মচিন্তা ও ধর্মচেতনা। সর্বোপরি কদিন আগে এক চমৎকার চিঠি দিয়েছেন। একটা চিঠি অত যত্ন করে পাঠানো যায় এও এক নতুন নজির। চিঠিটা আমার কাছে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চিঠি কিংবা ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখার্জি অথবা মহীয়সী নারী বাংলাদেশের ধাত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর মতো উচ্চতায় মনে হয়েছে। মনে হয়েছে অনেকটাই বোন হাসিনার চিঠিপত্রের মতো ভালোবাসা ও মমতা মাখা।

এবার সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের লেখা প্রসঙ্গে আসি। তিনি শুরু করেছেন, ‘১৯৮৮ সালে আমি তখন যুক্তরাজ্যে ইমিগ্রেশন অ্যাডভাইজরি সার্ভিসের আইনবিষয়ক উপপরিচালক। তখন জেনারেল এরশাদ জেনারেল শওকতকে দেশে ফিরতে বলেছিলেন। জেনারেল শওকতের ভয় ছিল দেশে ফিরলে এরশাদ তাকে জেলে পুরবে। তাই যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় ও বসবাসের জন্য মাইকেল বার্নসের কাছে গিয়েছিলেন। সে সময় জেনারেল শওকত জিয়াউর রহমান যে মুক্তিযোদ্ধা না, ইচ্ছে করে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেননি, বাধ্য হয়ে করেছেন এসব অনেক কথা বলেছেন।’ শওকত সাহেব বলেছেন, না বলেননি এগুলো নিয়ে আমার কোনো কথা নেই। সাবেক বিচারপতির লেখা থেকে তুলে দিচ্ছি, ‘গুরুত্বপূর্ণ মুক্তিযোদ্ধাদের সবারই যুদ্ধকালীন বহু বীরত্বের কথা বিভিন্ন পুস্তকে, পত্রপত্রিকায় ছাপা হলেও জিয়া কোথাও যুদ্ধ করেছে এমন কোনো খবর কখনো দেখা যায়নি। মুক্তিযুদ্ধকালে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুক্তি আন্দোলনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিলাম বিধায় প্রতিদিন বিলেতের বহু পত্রিকা পড়তাম, বিবিসির খবর শোনতাম। শফিউল্লাহ, খালেদ মোশাররফ, মেজর রফিক, কাদের সিদ্দিকী, আ ক ম মোজাম্মেল হক, সি আর দত্ত প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধার কথা প্রায়ই শুনতে পেতাম, কিন্তু জিয়ার কথা কখনো শুনিনি। কর্নেল তাহের হত্যা মামলার বিচারের সময় যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা আমার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারা সবাই বলেছেন জিয়া কোনো যুদ্ধ করেনি। গত সপ্তাহে জেনারেল শফিউল্লাহ এবং মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদও একই কথা বলেছেন।’ জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছে কি করেনি এটা আমার বিচার্য নয়। চাটুকারিতা আমার স্বভাবে নেই। আমি কারও পোঁ ধরিনি। আর যে কদিন বাঁচব কারও পোঁ ধরব না। সাবেক বিচারপতির এ কথার জবাব দেওয়ার কোনো ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও এটা বলতেই হচ্ছে, যুদ্ধের শুরুতে তিনি শফিউল্লাহ, খালেদ মোশাররফ, মেজর রফিক, কাদের সিদ্দিকী, আ ক ম মোজাম্মেল হক, সি আর দত্তদের নাম শুনেছেন। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম আ ক ম মোজাম্মেল হক এখন মুক্তিযদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর পরই তার স্থান। তার পরও বলছি, মুক্তিযুদ্ধের সময় জনাব চৌধুরী তো দূরের কথা গাজীপুরের বাইরে একজনও আ ক ম মোজাম্মেলের নাম শোনেননি। তিনি ধীরে ধীরে বড় হয়েছেন। এখন মন্ত্রী তাই তার কথা আলোচনা হয়। কিন্তু তিনি বিরাট মুক্তিযোদ্ধা নন। দু-এক জায়গায় আমিও লিখেছি, ১৯ মার্চ ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব আরবারকে বাধা দিতে আ ক ম মোজাম্মেল হকের ভূমিকা ছিল। মোজাম্মেল হকের চাইতে কিন্তু সে সময় সফর উদ্দিন, নজরুল ইসলাম খানদের ভূমিকা ছিল অনেক বেশি। মুক্তিযুদ্ধে সবার আগে জিয়াউর রহমানের নাম দেশবাসী শুনেছে। ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে যখন শোনা গিয়েছিল, ‘I, Major Zia, do hereby declare the independence of Bangladesh on behalf of our great national leader Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman!’ ওর আগে কারও নাম শোনা যায়নি। কাদের সিদ্দিকী আমার নাম ৩০ জুলাইয়ের আগে কেউ শোনেনি। ৩০ জুলাই ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে সূত্রাপুর সেতু ধ্বংস করা হলে বিবিসি থেকে বলা হয়েছিল, ‘রাজধানী থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তরে কাদের সিদ্দিকী নামে ২৫ বছরের এক যুবকের নেতৃত্বে প্রতিরোধযুদ্ধ গড়ে উঠেছে। তারই দল ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের সূত্রাপুর সেতু ধ্বংস করেছে।’ খবরটি আমি নিজ কানে শুনেছিলাম। কেউ চাইলে বিবিসি আর্কাইভ থেকে শুনে নিতে পারেন। এরপর ১১ আগস্ট ভূঞাপুরের মাটিকাটায় পাকিস্তান হানাদারদের সাতটি জাহাজের বহরে আক্রমণ করে সব থেকে বড় দুটি জাহাজ দখল করে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করেছিলাম। এ খবরও বিবিসি থেকে বেশ কয়েকবার প্রচারিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের বিরল ব্যক্তিত্ব সাবেক রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে হাউস অব কমন্সে মাটিকাটায় জাহাজ দখলের কথা উল্লেখ করেছিলেন। যখন চারদিক থেকে বলা হচ্ছিল বাংলাদেশে যা কিছু হচ্ছে ভারতীয় সৈন্যরা করছে। সেখানে দেশের মানুষের কোনো অংশগ্রহণ নেই। সেটাকে খন্ডন করতে আবু সাঈদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘সীমান্ত থেকে ২০০ কিলোমিটার ভিতরে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে হানাদারদের যে জাহাজ দখল করেছে যা বিবিসি বারবার প্রচার করছে সেটাও কি ভারতীয়দের কাজ? কাদের সিদ্দিকী আমার পাশের গ্রামের বাসিন্দা। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাকে চিনি।’ জুলাই-আগস্ট থেকে কাদেরিয়া বাহিনীর কর্মকান্ড স্বাধীন বাংলা বেতার এবং আকাশবাণীতে অহরহ প্রচার হতো। এম আর আখতার মুকুলের যেসব প্রচারিত চরমপত্রে ‘কাদেরিয়া বাহিনীর গাবুর মাইর’-এর কথা পাঁচ-ছয় মাসে প্রায় ২৭ বার উল্লেখ করা হয়েছিল। এটা কেমন কথা চৌধুরী সাহেব অন্য সবার নাম শুনলেন জিয়াউর রহমানের নাম শুনলেন না! ২৭ মার্চ কালুরঘাটে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণার পর সারা মুক্তিযুদ্ধের সময় জুড়েই আলোচনা বঙ্গবন্ধুর পরই তো ছিল জিয়াউর রহমানের কথা। এমনকি স্বাধীন বাংলা বেতার এবং আকাশবাণীতে জিয়াউর রহমানের ঘোষণা বারবার প্রচারিত হতো। জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা না এটা বলে তো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেই কলঙ্কিত করা হয়। তার পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কি ছিল না সেটা অন্য কথা। কোন বেগ তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে খুশি হয়েছে এটা কোনো কথা না। কাজের কথা জিয়াউর রহমান একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। আমি তো এখনো বেঁচে আছি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের যে রকম পথ দেখিয়েছিল, ঠিক তেমনি কালুরঘাট বেতারে জিয়ার কণ্ঠ সারা দেশবাসীকে উৎসাহিত করেছিল। সংবিধান দেখিয়ে বাঙালকে হাই কোর্ট দেখাবেন না, মানুষ গ্রহণ করবে না।

মুক্তিযুদ্ধ আর মুষ্টিযুদ্ধ এক নয়। তাই মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর খেতাব বাতিল, অং সান সু চির নানান খেতাব বাতিল আর মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বসূচক খেতাব বাতিল এক কথা নয়। এটা বলতেই হবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জন্ম দেয়নি, এ ভূখন্ডের আলো-বাতাস-মা-মাটি ও মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্ম দিয়েছে। আর সেই মুক্তিযোদ্ধারা রক্ত ঢেলে বাংলাদেশের সৃষ্টি করেছে। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে হেলাফেলা করা আগুন নিয়ে খেলার শামিল। কেন এসব করতে যান? মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যথেষ্ট ছেলেখেলা হয়েছে। আর নয়, এখন ক্ষান্ত দিন। অন্ধ দৃষ্টিকোণ থেকে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যা খুশি তা করা যায়। কিন্তু নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যা তা করা হলে পরিণতি শুভ হবে না। আবারও বলছি, তার ছেলে তারেক রহমান যখন বলে, ‘এক দিনের জন্য হলেও আমার বাবা বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি।’ সেটা যেমন সমর্থন করতে পারি না, তেমনি ভালোমন্দ যা-ই থাকুন জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা না, বীরউত্তম না এটা সমর্থন করা যায় না।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
রাজপথে শিক্ষকরা
রাজপথে শিক্ষকরা
জাতীয় সনদ
জাতীয় সনদ
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
নতুন ট্যারিফ
নতুন ট্যারিফ
গুদাম-গার্মেন্টে আগুন
গুদাম-গার্মেন্টে আগুন
বুড়িগঙ্গা বাঁচান
বুড়িগঙ্গা বাঁচান
চার ইমামের ইমানি দৃঢ়তা
চার ইমামের ইমানি দৃঢ়তা
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের হৃদয়ে দুঃখ ছিল
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম স্যারের হৃদয়ে দুঃখ ছিল
রাজধানীর যানজট
রাজধানীর যানজট
ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব
ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব
কোয়ান্টামতত্ত্ব ও কোয়ান্টাম তথ্য
কোয়ান্টামতত্ত্ব ও কোয়ান্টাম তথ্য
সর্বশেষ খবর
জুলাই-সেপ্টেম্বরে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ
জুলাই-সেপ্টেম্বরে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২০ শতাংশ

৩ মিনিট আগে | অর্থনীতি

রাকসুতে বিজয়ী হলেন জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো দ্বীপ মাহবুব
রাকসুতে বিজয়ী হলেন জুলাই আন্দোলনে চোখ হারানো দ্বীপ মাহবুব

৪ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

মানিকগঞ্জে রাস্তার ধারে লাখ টাকার আখ বিক্রি
মানিকগঞ্জে রাস্তার ধারে লাখ টাকার আখ বিক্রি

১০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবল: প্রথম ধাপে বিক্রি হলো ১০ লাখের বেশি টিকিট
২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবল: প্রথম ধাপে বিক্রি হলো ১০ লাখের বেশি টিকিট

১৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সহশিক্ষা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
বসুন্ধরা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সহশিক্ষা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

২৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

রাকুসতে ছাত্রদলের প্যানেলে থেকে একমাত্র বিজয়ী ফুটবলার নার্গিস
রাকুসতে ছাত্রদলের প্যানেলে থেকে একমাত্র বিজয়ী ফুটবলার নার্গিস

৩০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভারত সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ক্যামেরন গ্রিন
ভারত সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন ক্যামেরন গ্রিন

৩২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ট্রফি উন্মোচন
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের ট্রফি উন্মোচন

৩৭ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ফিলিপাইনে ৬.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প
ফিলিপাইনে ৬.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সবার ইশতেহারগুলো সমন্বয় করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আমরা কাজ করবো: রাকসু ভিপি
সবার ইশতেহারগুলো সমন্বয় করে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আমরা কাজ করবো: রাকসু ভিপি

৪২ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

টানা ১৪ বার সোনার বাংলা কলেজ কুমিল্লা বোর্ডে সেরা
টানা ১৪ বার সোনার বাংলা কলেজ কুমিল্লা বোর্ডে সেরা

৪৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

গাজায় এখনো আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ইসরায়েলের ‘বিস্ফোরক রোবট’
গাজায় এখনো আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ইসরায়েলের ‘বিস্ফোরক রোবট’

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেষ দল হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরব আমিরাত
শেষ দল হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরব আমিরাত

৫০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাকায় আজ জুলাই সনদ সাক্ষরসহ যেসব কর্মসূচি রয়েছে
ঢাকায় আজ জুলাই সনদ সাক্ষরসহ যেসব কর্মসূচি রয়েছে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাকসু নির্বাচনে কোন পদে কারা জয়ী
রাকসু নির্বাচনে কোন পদে কারা জয়ী

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নেইমারের সঙ্গে নতুন চুক্তির আলোচনা স্থগিত সান্তোসের
নেইমারের সঙ্গে নতুন চুক্তির আলোচনা স্থগিত সান্তোসের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে নেদারল্যান্ডসের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ
জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে নেদারল্যান্ডসের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাইক্ষ্যংছড়িতে ১ লাখ পিস ইয়াবা জব্দ
নাইক্ষ্যংছড়িতে ১ লাখ পিস ইয়াবা জব্দ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

হামাসকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প
হামাসকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ
সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে
সেনাবাহিনীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ, বৃষ্টির আভাস নেই
মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ, বৃষ্টির আভাস নেই

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সিইপিজেডের আগুন, ধসে গেছে ভবনের ছাদ
প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সিইপিজেডের আগুন, ধসে গেছে ভবনের ছাদ

২ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ইসরায়েল সমর্থকরা নিষিদ্ধ হলো ইউরোপা লিগের ম্যাচে
ইসরায়েল সমর্থকরা নিষিদ্ধ হলো ইউরোপা লিগের ম্যাচে

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সংসদ ভবন এলাকায় সব ধরনের ড্রোন ওড়ানো নিষেধ
সংসদ ভবন এলাকায় সব ধরনের ড্রোন ওড়ানো নিষেধ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্প-পুতিনের দীর্ঘ ফোনালাপ, হাঙ্গেরিতে বৈঠকের ঘোষণা
ট্রাম্প-পুতিনের দীর্ঘ ফোনালাপ, হাঙ্গেরিতে বৈঠকের ঘোষণা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস আম্মার
ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস আম্মার

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর আজ
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর আজ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪
কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক
শনিবার খোলা থাকবে ব্যাংক

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের
ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড বাংলাদেশের

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল’
‘কিছুদিনের মধ্যে জাতীয় বেতন স্কেল’

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিনটি শর্ত না মানলে জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি
তিনটি শর্ত না মানলে জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৭ ইউনিট
চট্টগ্রাম ইপিজেডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৭ ইউনিট

১৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শেখ হাসিনা-কামালের ১৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত: চিফ প্রসিকিউটর
শেখ হাসিনা-কামালের ১৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত: চিফ প্রসিকিউটর

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিআইএকে অভিযানের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প, ভেনেজুয়েলায় সরাসরি মার্কিন হামলা?
সিআইএকে অভিযানের অনুমতি দিলেন ট্রাম্প, ভেনেজুয়েলায় সরাসরি মার্কিন হামলা?

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-তুরস্ক-ফ্রান্স থেকে ১৩২ যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া
চীন-তুরস্ক-ফ্রান্স থেকে ১৩২ যুদ্ধবিমান কিনছে ইন্দোনেশিয়া

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন সমুদ্রে বিস্ফোরিত হয় আলোচিত ডুবোযান টাইটান, জানাল যুক্তরাষ্ট্র
কেন সমুদ্রে বিস্ফোরিত হয় আলোচিত ডুবোযান টাইটান, জানাল যুক্তরাষ্ট্র

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানাল ঐকমত্য কমিশন
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়াকে আমন্ত্রণ জানাল ঐকমত্য কমিশন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩৬ দিন অন্ধকারে থাকবে কানাডার যে এলাকা
১৩৬ দিন অন্ধকারে থাকবে কানাডার যে এলাকা

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলি হামলায় হুথির সামরিক প্রধান নিহত
ইসরায়েলি হামলায় হুথির সামরিক প্রধান নিহত

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন জ্যোতির্বিদরা
২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন জ্যোতির্বিদরা

১৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান
‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘এবার এইচএসসির ফলের বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে’
‘এবার এইচএসসির ফলের বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে’

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওয়ানডে দলে ফিরলেন সৌম্য, বাদ নাঈম-নাহিদ
ওয়ানডে দলে ফিরলেন সৌম্য, বাদ নাঈম-নাহিদ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ
মেট্রোরেল চলাচলের নতুন সময়সূচি প্রকাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপির

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যশোর বোর্ডে ২০ কলেজে শতভাগ ফেল
যশোর বোর্ডে ২০ কলেজে শতভাগ ফেল

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস আম্মার
ভিপি-এজিএস শিবিরের মোস্তাকুর-সালমান, জিএস আম্মার

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন আহমেদের রাষ্ট্রীয় ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন আহমেদের রাষ্ট্রীয় ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্ক উদ্বোধন
বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্ক উদ্বোধন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাকসুতে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক
চাকসুতে বিজয়ীদের সংবর্ধনা দিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল
লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যেভাবে মিলবে একীভূত পাঁচ ব্যাংকের আমানত
যেভাবে মিলবে একীভূত পাঁচ ব্যাংকের আমানত

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শতাব্দীর সেরা ডিভোর্সে ১ বিলিয়ন ডলার থেকে মুক্তি পেলেন দ. কোরিয়ার ধনকুবের
শতাব্দীর সেরা ডিভোর্সে ১ বিলিয়ন ডলার থেকে মুক্তি পেলেন দ. কোরিয়ার ধনকুবের

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিয়ন্ত্রণে আসেনি সিইপিজেডের আগুন, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কারখানার ভবন
নিয়ন্ত্রণে আসেনি সিইপিজেডের আগুন, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কারখানার ভবন

১৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রুশ তেল কেনা বন্ধ, ট্রাম্পের দাবির জবাবে যা বললো ভারত
রুশ তেল কেনা বন্ধ, ট্রাম্পের দাবির জবাবে যা বললো ভারত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নেত্রকোনায় প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেফতার
নেত্রকোনায় প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু, স্ত্রী গ্রেফতার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণে নতুন নিয়ম, জেনে নিন কীভাবে
এইচএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষণে নতুন নিয়ম, জেনে নিন কীভাবে

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

প্রিন্ট সর্বাধিক
গাজায় ফের যুদ্ধের শঙ্কা
গাজায় ফের যুদ্ধের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়ন চান নারী নেত্রীসহ চারজন
বিএনপির মনোনয়ন চান নারী নেত্রীসহ চারজন

নগর জীবন

ছোট হয়েছে রুটি, বেড়েছে দাম
ছোট হয়েছে রুটি, বেড়েছে দাম

পেছনের পৃষ্ঠা

নিখোঁজ হবিগঞ্জের ৩৫ যুবক থামছে না স্বজনদের কান্না
নিখোঁজ হবিগঞ্জের ৩৫ যুবক থামছে না স্বজনদের কান্না

পেছনের পৃষ্ঠা

নিগারদের পাত্তাই দিল না অস্ট্রেলিয়া
নিগারদের পাত্তাই দিল না অস্ট্রেলিয়া

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিএনপির অর্ধডজন জামায়াতের একক প্রার্থী
বিএনপির অর্ধডজন জামায়াতের একক প্রার্থী

নগর জীবন

মালেক পরিবারের সবাই মিলে লুটপাট
মালেক পরিবারের সবাই মিলে লুটপাট

প্রথম পৃষ্ঠা

সিইপিজেডে ভয়াবহ আগুন
সিইপিজেডে ভয়াবহ আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাইয়ে কেউ মাস্টারমাইন্ড ছিল না
জুলাইয়ে কেউ মাস্টারমাইন্ড ছিল না

প্রথম পৃষ্ঠা

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতে জাতি দেখবে
ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতে জাতি দেখবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ঐকমত্য কমিশন জাতিকে বিভক্ত করেছে
ঐকমত্য কমিশন জাতিকে বিভক্ত করেছে

নগর জীবন

পাকিস্তানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ধ্বংসাবশেষ অপসারণ
পাকিস্তানের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির ধ্বংসাবশেষ অপসারণ

পেছনের পৃষ্ঠা

ইতিহাস রক্ষা করাই আমাদের কাজ
ইতিহাস রক্ষা করাই আমাদের কাজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা
ভালো নির্বাচনের পথে যত বাধা

সম্পাদকীয়

মানবিকের ফলে ধস ইংরেজিতেও বিপর্যয়
মানবিকের ফলে ধস ইংরেজিতেও বিপর্যয়

প্রথম পৃষ্ঠা

খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে
খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের নিবিড় পর্যবেক্ষণে

প্রথম পৃষ্ঠা

শতভাগ পাসে নেই নামিদামি কলেজ
শতভাগ পাসে নেই নামিদামি কলেজ

নগর জীবন

আয়ুপথ
আয়ুপথ

সাহিত্য

ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল
ধর্ম অবমাননা কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষের ফল

সম্পাদকীয়

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার অবশ্যই হবে
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার অবশ্যই হবে

নগর জীবন

হাসিনার আমলে অনেক নেতার নামে মামলাও হয়নি
হাসিনার আমলে অনেক নেতার নামে মামলাও হয়নি

নগর জীবন

নতজানু
নতজানু

সাহিত্য

শুরু হচ্ছে ইসির সিরিজ বৈঠক
শুরু হচ্ছে ইসির সিরিজ বৈঠক

প্রথম পৃষ্ঠা

‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান
‘ভারত-সমর্থিত’ ৩৪ সন্ত্রাসীকে হত্যা করল পাকিস্তান

পূর্ব-পশ্চিম

নৌবাহিনীতে চাকরির নামে প্রতারণায় দুজন গ্রেপ্তার
নৌবাহিনীতে চাকরির নামে প্রতারণায় দুজন গ্রেপ্তার

নগর জীবন

সমাজমাধ্যমে প্রচার প্রচারণায় মানতে হবে সাত নির্দেশনা
সমাজমাধ্যমে প্রচার প্রচারণায় মানতে হবে সাত নির্দেশনা

পেছনের পৃষ্ঠা

ভোট নিয়ে কোনো আপস নয়
ভোট নিয়ে কোনো আপস নয়

নগর জীবন

ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘খুঁজি তোকে’
ক্যাপিটাল ড্রামায় ‘খুঁজি তোকে’

শোবিজ

১৬ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি ১০ হাজার ডেঙ্গু রোগী
১৬ দিনেই হাসপাতালে ভর্তি ১০ হাজার ডেঙ্গু রোগী

পেছনের পৃষ্ঠা