শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ আপডেট:

জিয়া মুক্তিযোদ্ধা নয় এটি সমর্থন করা যায় না

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
জিয়া মুক্তিযোদ্ধা নয় এটি সমর্থন করা যায় না

করোনার মহাপ্রাদুর্ভাবে দীর্ঘ এক বছর সভা-সমিতি না করে, রাস্তাঘাটে না চলে কেমন যেন অচল হয়ে পড়েছি। দেহের সব কলকব্জায় জং ধরে যাওয়ার উপক্রম। শরীরটা আগের মতো চনমনে নেই, উদ্দীপনাও নেই। তার মধ্যে আবার আমার এক উন্মাদ দেশের পাগল গত শুক্রবার কাঁচপুর ব্রিজের কাছে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হয়েছে। খবরটা শুনে একেবারে বেসামাল হয়ে পড়েছিলাম। বাংলাদেশ প্রতিদিনে আমার লেখা বেরোলেই সে ফোন করত, কত প্রশংসা করত, মনের মতো না হলে সমালোচনা করতেও পিছপা হতো না। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু নিহত হলে দারুণ কষ্ট করেছে। রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে জেলে ছিল অনেক দিন। জিল্লুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক, লতিফ ভাই কার সঙ্গে সে জেল খাটেনি? সেসব জেল খাটার কথা সব সময় তার ঠোঁটে থাকত। কতবার জেলের দুরবস্থা নিয়ে ব্রিটিশ-পাকিস্তানের, কারা প্রশাসনের অব্যবস্থা নিয়ে লিখতে অনুরোধ করত। জেলখানা নিয়ে লিখেছিও। কিন্তু আমার প্রিয় খোকন জসিমের জীবদ্দশায় কারা সংস্কার নিয়ে তেমন লেখা হলো না। এক মস্তবড় আফসোস থেকে গেল। আড়াইহাজারের খোকন জসিম সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করেছে। ভীষণ দরিদ্র মানুষ। দুটি মাত্র ছেলে। একজনের নাম সিরাজদ্দৌলা, অন্যজনের নাম জানি না। বড় ছেলেকে বিয়ে করানোর কথা। বিয়ে উপলক্ষে তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলেছিল। আমারও ইচ্ছা ছিল একবার গরিব কর্মীটার ছেলের বিয়ে উপলক্ষে ঘুরে আসব। আচমকাই তার ছেলের কাছ থেকে খোকন জসিমের ফোন পেয়ে একেবারে মুষড়ে গিয়েছিলাম। খোকন জসিমের ফোন থেকে তার ছেলে তার মৃত্যু সংবাদ দিয়েছিল। ফোনটা সেভ করা। কোনো দিন খোকন জসিম ছাড়া কেউ সে ফোনে ফোন করেনি, শুধু তার মৃত্যু সংবাদ ছাড়া। খবরটা ঘুম থেকে উঠতে উঠতে পেয়েছিলাম তাই শূন্যতায় দেহমন ভরে ছিল। ভালো করে পত্রিকা পড়িনি। সারা দিন কোনো কাজে মন বসেনি। রাত ১০টায় এক ভদ্রলোকের ফোন পেয়েছিলাম, ‘এটা কি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ফোন?’ বলেছিলাম, জি, বলছি। ‘আপনি কি আজকে বাংলাদেশ প্রতিদিনে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের লেখা পড়েছেন?’ শিরোনাম দেখেছিলাম, লেখা পড়া হয়নি। শিরোনাম ছিল ‘জিয়া সম্পর্কে যা বলেছিলেন জেনারেল শওকত’। পরে লেখাটি পড়েছি। শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আমাকে খুবই ভালোবাসেন। একসময় দারুণ অনুরক্ত-ভক্ত ছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালির জীবনে জোয়ার-ভাটা তো আসেই। কঠিন দুঃখের মাঝে লেখাটি পড়ে খুব একটা হৃদয়ঙ্গম করতে পারিনি। পরে আবার পড়েছি। কয়েক পর্ব আগে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন সম্পর্কে লিখতে গিয়েছিলাম। ঠিক সে সময় ’৭৫-এর প্রতিরোধযুদ্ধে নিহত বিডিআরের হাবিলদার মুজিবর রহমানের মেয়ে মনোয়ারা বেগম মণি এসে হাজির হয়েছিল এক চমৎকার চিঠি নিয়ে। হাতের লেখাটি ছিল আরও চমৎকার। হাতের লেখা দেখে চমকে উঠে বলেছিলাম এত সুন্দর লেখা তারপর বলছেন লেখাপড়া জানেন না। মেয়েটি বলেছিল, ‘লেখাটা আমার নয়, আমার ছেলের। আমি লেখাপড়া জানি না। আমি যা বলেছি তাই আমার ছেলে লিখেছে।’ পড়ে দেখলাম সে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে। টাকাপয়সার অভাবে আর পড়তে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় আমাদের বিরুদ্ধের একজনের মেয়ের সামনে দাঁড়াতে হয়েছিল। তাই সৈয়দ আবুল হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন পর প্রায় দেড় ঘণ্টার আলোচনার কিছু বলা হয়নি। একই মন-মানসিকতার দুজন একত্র হলে সময় কেন যেন দুরন্ত ঘোড়ার মতো ছুটে। সেদিন সৈয়দ আবুল হোসেনের সঙ্গে আমাদের সময়ও ও রকমই ছুটেছিল। একজন আরেকজনের প্রতি ভালোবাসা-শ্রদ্ধায় ভরপুর দুজন মানুষ একত্র হলে কত কথা হয়। সব কথা যেমন লেখা যায় না, অনেক কথা সময় অনুমোদন করে না। সৈয়দ আবুল হোসেন পা থেকে মাথা পর্যন্ত একজন পরিশীলিত অসাধারণ বিনয়ী মানুষ। বিনয় অনেকের সাজানো গোছানো বানানো থাকে। কিন্তু আবুল হোসেনের বিনয় শাশ্বত স্বভাবজাত। তাতে কোনো মেকি নেই। কথার ফাঁকে একসময় আলোচনায় এসেছিল বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী কেমন আছেন। তিনি বলছিলেন, ‘আমরা তো কনিষ্ঠ, অর্থমন্ত্রীর কথায় কথা বলতে ভয় পেতাম, কুণ্ঠা হতো। কিন্তু লতিফ ভাই অর্থমন্ত্রীর অনেক অনিয়ম ধরতেন, আলোচনা করতেন। কখনো কখনো নেত্রী লতিফ ভাইয়ের মতামতকে গুরুত্ব দিতেন। কেন, কী করে অমন হলো বুঝতে পারছি না।’ আলোচনা ছিল ২৪ জানুয়ারির পর। ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইল ঐতিহাসিক অস্ত্র জমা দিবস পালিত হচ্ছিল। স্বাধীন দেশে পিতা হিসেবে, সরকারপ্রধান হিসেবে রাজধানীর বাইরে টাঙ্গাইলে প্রথম বঙ্গবন্ধু পা রেখেছিলেন। কাদেরিয়া বাহিনী তার সব অস্ত্র পিতার পায়ের তলে বিছিয়ে দিয়েছিল। সেই ২৪ জানুয়ারি অস্ত্র জমাদানের কোনো খবর পত্রপত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়নি। দিনব্যাপী প্রচারিত হয়েছিল সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর অবৈধভাবে দখল করা ৬০ শতাংশ জমি প্রশাসন দখল নিয়েছে বা লতিফ সিদ্দিকীকে উচ্ছেদ করেছে। প্রসঙ্গটা আসতেই আবুল হোসেন বলেছিলেন, ‘কেন উচ্ছেদ করতে হবে? কত হাজার হাজার একর ভূমি সরকার একে ওকে ইজারা দিচ্ছে, লিজ দিচ্ছে। যেখানে ৫০ বছর একজন মানুষ আছেন তাকে ছোট করার জন্য এমনটা করার কী দরকার? লতিফ সিদ্দিকীর নাম আওয়ামী লীগের সঙ্গে, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে এমনকি নেত্রী হাসিনার সঙ্গেও জড়িয়ে আছে।’ আমি তার বিবেচনাবোধের কথা ভাবছিলাম। কতভাবে বলার চেষ্টা করছিলেন, পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ নিয়ে আমার নানা কথা নানা লেখায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছিলেন। সঙ্গে এও বলছিলেন, ‘আপনার সঙ্গে না হয় আমার পরিচয় আছে, আপনি ভালোবাসেন, স্নেহ করেন তাই আমার ওপর অবিচারের কথা না হয় আপনি তুলে ধরেছেন। কানাডার আদালতে বিশ্বব্যাংকের মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ড. কামাল হোসেন ও অন্যরা আমার মন্ত্রিত্ব ফিরিয়ে দিতে বলেছিলেন। তাদের সঙ্গে তো আমার তেমন পরিচয়ও নেই। তাই আপনাদের মতো মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা জানিয়ে শেষ করা যায় না।’ দেড় ঘণ্টা কীভাবে কেটে গিয়েছিল খেয়াল করিনি। বারবার বলছিলেন, ‘আপনার যখন প্রয়োজন ফোন করবেন। কোনো সময় বিবেচনা করতে হবে না।’ যখন চলে আসছিলাম লিফট পর্যন্ত দিয়ে গিয়েছিলেন। গাড়িতে বসে ভাবছিলাম, দেশে প্রশাসনে ভদ্রলোকের জায়গা নেই। সব অভদ্রদের অসম্ভব ক্ষমতা। প্রায় দেড় ঘণ্টা আলাপে একটি বিষয় বারবার আমার মনে হয়েছে আমি যেমন বঙ্গবন্ধু ছাড়া বুঝি না, সবকিছুতেই বঙ্গবন্ধু- সৈয়দ আবুল হোসেনেরও তেমনি নেত্রীর প্রতি গভীর আস্থা। সবকিছুর পর নেত্রী। নেত্রীকে নিয়ে তার মনে কোনো দ্বিধা নেই, দ্বন্দ্ব নেই। বরং তার আশপাশে কিছু মানুষের জন্য তার প্রচন্ড শঙ্কা আছে এবং সে শঙ্কার কথা আমায় বলতে পেরে পুরোপুরি হোক আর না হোক কিছুটা হালকা হয়েছেন। আমি তার কাছে গেলেই আমাকে তার লেখা বই তুলে দেন। এবারও দিয়েছেন- আমার চিঠিপত্র; প্রবচনগুচ্ছ; বঙ্গবন্ধুর ধর্মচিন্তা ও ধর্মচেতনা। সর্বোপরি কদিন আগে এক চমৎকার চিঠি দিয়েছেন। একটা চিঠি অত যত্ন করে পাঠানো যায় এও এক নতুন নজির। চিঠিটা আমার কাছে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চিঠি কিংবা ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখার্জি অথবা মহীয়সী নারী বাংলাদেশের ধাত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর মতো উচ্চতায় মনে হয়েছে। মনে হয়েছে অনেকটাই বোন হাসিনার চিঠিপত্রের মতো ভালোবাসা ও মমতা মাখা।

এবার সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের লেখা প্রসঙ্গে আসি। তিনি শুরু করেছেন, ‘১৯৮৮ সালে আমি তখন যুক্তরাজ্যে ইমিগ্রেশন অ্যাডভাইজরি সার্ভিসের আইনবিষয়ক উপপরিচালক। তখন জেনারেল এরশাদ জেনারেল শওকতকে দেশে ফিরতে বলেছিলেন। জেনারেল শওকতের ভয় ছিল দেশে ফিরলে এরশাদ তাকে জেলে পুরবে। তাই যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় ও বসবাসের জন্য মাইকেল বার্নসের কাছে গিয়েছিলেন। সে সময় জেনারেল শওকত জিয়াউর রহমান যে মুক্তিযোদ্ধা না, ইচ্ছে করে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেননি, বাধ্য হয়ে করেছেন এসব অনেক কথা বলেছেন।’ শওকত সাহেব বলেছেন, না বলেননি এগুলো নিয়ে আমার কোনো কথা নেই। সাবেক বিচারপতির লেখা থেকে তুলে দিচ্ছি, ‘গুরুত্বপূর্ণ মুক্তিযোদ্ধাদের সবারই যুদ্ধকালীন বহু বীরত্বের কথা বিভিন্ন পুস্তকে, পত্রপত্রিকায় ছাপা হলেও জিয়া কোথাও যুদ্ধ করেছে এমন কোনো খবর কখনো দেখা যায়নি। মুক্তিযুদ্ধকালে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুক্তি আন্দোলনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত ছিলাম বিধায় প্রতিদিন বিলেতের বহু পত্রিকা পড়তাম, বিবিসির খবর শোনতাম। শফিউল্লাহ, খালেদ মোশাররফ, মেজর রফিক, কাদের সিদ্দিকী, আ ক ম মোজাম্মেল হক, সি আর দত্ত প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধার কথা প্রায়ই শুনতে পেতাম, কিন্তু জিয়ার কথা কখনো শুনিনি। কর্নেল তাহের হত্যা মামলার বিচারের সময় যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা আমার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারা সবাই বলেছেন জিয়া কোনো যুদ্ধ করেনি। গত সপ্তাহে জেনারেল শফিউল্লাহ এবং মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদও একই কথা বলেছেন।’ জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছে কি করেনি এটা আমার বিচার্য নয়। চাটুকারিতা আমার স্বভাবে নেই। আমি কারও পোঁ ধরিনি। আর যে কদিন বাঁচব কারও পোঁ ধরব না। সাবেক বিচারপতির এ কথার জবাব দেওয়ার কোনো ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও এটা বলতেই হচ্ছে, যুদ্ধের শুরুতে তিনি শফিউল্লাহ, খালেদ মোশাররফ, মেজর রফিক, কাদের সিদ্দিকী, আ ক ম মোজাম্মেল হক, সি আর দত্তদের নাম শুনেছেন। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম আ ক ম মোজাম্মেল হক এখন মুক্তিযদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রীর পরই তার স্থান। তার পরও বলছি, মুক্তিযুদ্ধের সময় জনাব চৌধুরী তো দূরের কথা গাজীপুরের বাইরে একজনও আ ক ম মোজাম্মেলের নাম শোনেননি। তিনি ধীরে ধীরে বড় হয়েছেন। এখন মন্ত্রী তাই তার কথা আলোচনা হয়। কিন্তু তিনি বিরাট মুক্তিযোদ্ধা নন। দু-এক জায়গায় আমিও লিখেছি, ১৯ মার্চ ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব আরবারকে বাধা দিতে আ ক ম মোজাম্মেল হকের ভূমিকা ছিল। মোজাম্মেল হকের চাইতে কিন্তু সে সময় সফর উদ্দিন, নজরুল ইসলাম খানদের ভূমিকা ছিল অনেক বেশি। মুক্তিযুদ্ধে সবার আগে জিয়াউর রহমানের নাম দেশবাসী শুনেছে। ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে যখন শোনা গিয়েছিল, ‘I, Major Zia, do hereby declare the independence of Bangladesh on behalf of our great national leader Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman!’ ওর আগে কারও নাম শোনা যায়নি। কাদের সিদ্দিকী আমার নাম ৩০ জুলাইয়ের আগে কেউ শোনেনি। ৩০ জুলাই ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে সূত্রাপুর সেতু ধ্বংস করা হলে বিবিসি থেকে বলা হয়েছিল, ‘রাজধানী থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তরে কাদের সিদ্দিকী নামে ২৫ বছরের এক যুবকের নেতৃত্বে প্রতিরোধযুদ্ধ গড়ে উঠেছে। তারই দল ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কের সূত্রাপুর সেতু ধ্বংস করেছে।’ খবরটি আমি নিজ কানে শুনেছিলাম। কেউ চাইলে বিবিসি আর্কাইভ থেকে শুনে নিতে পারেন। এরপর ১১ আগস্ট ভূঞাপুরের মাটিকাটায় পাকিস্তান হানাদারদের সাতটি জাহাজের বহরে আক্রমণ করে সব থেকে বড় দুটি জাহাজ দখল করে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার করেছিলাম। এ খবরও বিবিসি থেকে বেশ কয়েকবার প্রচারিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের বিরল ব্যক্তিত্ব সাবেক রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে হাউস অব কমন্সে মাটিকাটায় জাহাজ দখলের কথা উল্লেখ করেছিলেন। যখন চারদিক থেকে বলা হচ্ছিল বাংলাদেশে যা কিছু হচ্ছে ভারতীয় সৈন্যরা করছে। সেখানে দেশের মানুষের কোনো অংশগ্রহণ নেই। সেটাকে খন্ডন করতে আবু সাঈদ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘সীমান্ত থেকে ২০০ কিলোমিটার ভিতরে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে হানাদারদের যে জাহাজ দখল করেছে যা বিবিসি বারবার প্রচার করছে সেটাও কি ভারতীয়দের কাজ? কাদের সিদ্দিকী আমার পাশের গ্রামের বাসিন্দা। ব্যক্তিগতভাবে আমি তাকে চিনি।’ জুলাই-আগস্ট থেকে কাদেরিয়া বাহিনীর কর্মকান্ড স্বাধীন বাংলা বেতার এবং আকাশবাণীতে অহরহ প্রচার হতো। এম আর আখতার মুকুলের যেসব প্রচারিত চরমপত্রে ‘কাদেরিয়া বাহিনীর গাবুর মাইর’-এর কথা পাঁচ-ছয় মাসে প্রায় ২৭ বার উল্লেখ করা হয়েছিল। এটা কেমন কথা চৌধুরী সাহেব অন্য সবার নাম শুনলেন জিয়াউর রহমানের নাম শুনলেন না! ২৭ মার্চ কালুরঘাটে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণার পর সারা মুক্তিযুদ্ধের সময় জুড়েই আলোচনা বঙ্গবন্ধুর পরই তো ছিল জিয়াউর রহমানের কথা। এমনকি স্বাধীন বাংলা বেতার এবং আকাশবাণীতে জিয়াউর রহমানের ঘোষণা বারবার প্রচারিত হতো। জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা না এটা বলে তো মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেই কলঙ্কিত করা হয়। তার পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল কি ছিল না সেটা অন্য কথা। কোন বেগ তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে খুশি হয়েছে এটা কোনো কথা না। কাজের কথা জিয়াউর রহমান একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। আমি তো এখনো বেঁচে আছি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আমাদের যে রকম পথ দেখিয়েছিল, ঠিক তেমনি কালুরঘাট বেতারে জিয়ার কণ্ঠ সারা দেশবাসীকে উৎসাহিত করেছিল। সংবিধান দেখিয়ে বাঙালকে হাই কোর্ট দেখাবেন না, মানুষ গ্রহণ করবে না।

মুক্তিযুদ্ধ আর মুষ্টিযুদ্ধ এক নয়। তাই মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলীর খেতাব বাতিল, অং সান সু চির নানান খেতাব বাতিল আর মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বসূচক খেতাব বাতিল এক কথা নয়। এটা বলতেই হবে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা জন্ম দেয়নি, এ ভূখন্ডের আলো-বাতাস-মা-মাটি ও মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্ম দিয়েছে। আর সেই মুক্তিযোদ্ধারা রক্ত ঢেলে বাংলাদেশের সৃষ্টি করেছে। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে হেলাফেলা করা আগুন নিয়ে খেলার শামিল। কেন এসব করতে যান? মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যথেষ্ট ছেলেখেলা হয়েছে। আর নয়, এখন ক্ষান্ত দিন। অন্ধ দৃষ্টিকোণ থেকে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যা খুশি তা করা যায়। কিন্তু নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যা তা করা হলে পরিণতি শুভ হবে না। আবারও বলছি, তার ছেলে তারেক রহমান যখন বলে, ‘এক দিনের জন্য হলেও আমার বাবা বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি।’ সেটা যেমন সমর্থন করতে পারি না, তেমনি ভালোমন্দ যা-ই থাকুন জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা না, বীরউত্তম না এটা সমর্থন করা যায় না।

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১

৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

৩৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’
‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

৪৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব

৪৭ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা
তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর

৫৮ মিনিট আগে | শোবিজ

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশের মানুষ শুধু পরিবর্তন নয়, সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়’
‘দেশের মানুষ শুধু পরিবর্তন নয়, সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়’

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা
এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বরিশালে ডেঙ্গুতে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
বরিশালে ডেঙ্গুতে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

কুড়িগ্রাম ফিস্টুলামুক্ত ঘোষণা প্রক্রিয়ায় অগ্রযাত্রা
কুড়িগ্রাম ফিস্টুলামুক্ত ঘোষণা প্রক্রিয়ায় অগ্রযাত্রা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধানের শীষে ভোট চাইলেন ওয়াদুদ ভূইয়া
ধানের শীষে ভোট চাইলেন ওয়াদুদ ভূইয়া

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

খাগড়াছড়ি রেডক্রিসেন্টের সহসভাপতি দুলাল, সম্পাদক মজিদ
খাগড়াছড়ি রেডক্রিসেন্টের সহসভাপতি দুলাল, সম্পাদক মজিদ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্তের লাশ মিলল রেল লাইনে
শিশুকে ধর্ষণে অভিযুক্তের লাশ মিলল রেল লাইনে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, না দেওয়ায় লাশ মিলল নদীতে
অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, না দেওয়ায় লাশ মিলল নদীতে

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চারটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি জনগণ: সেলিমুজ্জামান সেলিম
চারটি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি জনগণ: সেলিমুজ্জামান সেলিম

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাবির নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের মতবিনিময় সভা
ঢাবির নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের মতবিনিময় সভা

২ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

১৭ বছর পর ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে এসেছে: সেলিমা রহমান
১৭ বছর পর ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে এসেছে: সেলিমা রহমান

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুড়িচংয়ে দোয়া মাহফিল
তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুড়িচংয়ে দোয়া মাহফিল

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নমিনেশন পেতে বাজিতপুর-নিকলী সড়কে দীর্ঘ মানববন্ধন
নমিনেশন পেতে বাজিতপুর-নিকলী সড়কে দীর্ঘ মানববন্ধন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবে না: তানিয়া রব
ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবে না: তানিয়া রব

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ফটিকছড়িতে ধানের শীষে ভোট চাইলেন সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে ধানের শীষে ভোট চাইলেন সরওয়ার আলমগীর

২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

গাইবান্ধায় ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন গোবিন্দগঞ্জ সরকারি কলেজ
গাইবান্ধায় ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন গোবিন্দগঞ্জ সরকারি কলেজ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সদস্য আটক
অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের সদস্য আটক

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সৈকতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও বিতর্ক, পাশে দাঁড়ালেন সাইমন টফেল
সৈকতের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবারও বিতর্ক, পাশে দাঁড়ালেন সাইমন টফেল

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন
ট্রাম্পের সঙ্গে বিবাদ, কংগ্রেস ছাড়ছেন রিপাবলিকান টেলর গ্রিন

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
ঝিনাইদহে বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক