সোমবার, ১২ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

চ্যালেঞ্জের মুখে অর্থনীতি

স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানা চালু রাখুন

করোনার প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টার মুহূর্তে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ এবং অতিসংক্রমণশীল নতুন ভ্যারিয়েন্টের প্রাদুর্ভাব বিশ্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। এরই মধ্যে লকডাউন জারি করেছে বেশ কয়েকটি দেশ। ইউরোপে আবারও লকডাউন আরোপ করা হলে মৌসুমের বড় বিক্রি হারাবে তৈরি পোশাক ক্রেতারা এবং এতে নতুন ক্রয়াদেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সেটি হলে অনেক পোশাক কারখানায় প্রয়োজনীয় ক্রয়াদেশ থাকবে না। করোনার প্রথম ধাক্কা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছিল রপ্তানি খাত ও রেমিট্যান্স। প্রবাসে চরম প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও গ্রামের বাড়িতে টাকা পাঠাচ্ছেন প্রবাসীকর্মীরা। আর তাঁদের শ্রমের টাকায় গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রাণসঞ্চার হয়েছে। নানা সংকটের মধ্যেও পোশাককর্মীরা লড়াকু ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক রপ্তানিতে তাঁরা বড় ধরনের ধাক্কা লাগতে দেননি। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকারের সর্বাত্মক লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে অর্থনীতির ওপর আরও চাপ বাড়বে। এ কারণে জীবন-জীবিকার সমন্বয় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসায়িক কর্মকান্ড চালু রাখতে হবে। করোনা মহামারীর মধ্যে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই সাড়ে ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। গত বছর সাধারণ ছুটিতে মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ থাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছেন। এবার রোজা, বৈশাখ ও ঈদ ঘিরে অনেকে বাড়তি ব্যবসার প্রস্তুতি নিয়েছেন। বিভিন্ন পণ্য বিক্রির জন্য প্রস্তুত রেখেছেন। লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে লাখ লাখ মানুষের জীবিকা হুমকিতে পড়বে। লকডাউন না দিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে গত বছর যে শিক্ষাগুলো পাওয়া গেছে তার আলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে।  পূর্ব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়িক কর্মকান্ডগুলো  চালু রেখে সামনে অগ্রসর হতে হবে।

সর্বশেষ খবর