শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১ আপডেট:

এটা বিড়াল হলে মাংস কোথায় আর মাংস হলে বিড়াল কোথায়?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
এটা বিড়াল হলে মাংস কোথায় আর মাংস হলে বিড়াল কোথায়?

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর একমাত্র পাঠান যোদ্ধা মমতাজ খান পাঠান গত ১১ এপ্রিল বাদ-আসর ইহজগৎ ত্যাগ করেছেন। স্বাধীনতার পর যাকে বঙ্গবন্ধু ভীষণ ভালোবাসতেন, আদর করতেন। আগামী পর্বে তাকে নিয়ে দুই কথা লিখব। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে স্ত্রীর পাশে কবর দেওয়া হয়েছে। দয়াময় আল্লাহ তাকে বেহেশতবাসী করুন।

সপ্তাহজুড়ে শুধু কভিড-১৯ আর হেফাজতের মামুনুল হককে নিয়ে আলোচনা। করোনা নিয়ে যা হচ্ছে তা তো হচ্ছেই। দেশ যে কে চালায়, কীভাবে চলে করোনায় তা বোঝা যাচ্ছে না। আমলানির্ভর দেশে যা হওয়ার তাই হয়েছে। আমলারা কখনো পুরোপুরি গণমুখী হতে পারে না, হয়ও না। তাদের প্রধান লক্ষ্য থাকে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা। নিজেদের স্বার্থ রক্ষার বাইরে তারা তেমন কিছুই ভাবে না। আর সরকারি কর্মচারীদের সেসব ভাবার তেমন সুযোগও নেই। মোটামুটি ভালো ছাত্র-ছাত্রী সরকারি আমলা হয়। গরিব হোক আর ধনী হোক মেধাবী হওয়ার কারণে তারা সব সময়ই যথেষ্ট আদরযত্ন পায়। দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনা খুব একটা তাদের গ্রাস করে না। দু-চার জন দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়। তারা ভালো মানুষও হয়। আমলা হলে ভালো আমলাও হয়। কিন্তু সবাই তেমন নয়। আরাম-আয়েশে বড় হওয়ারা সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট খুব একটা বুঝতে পারে না। তাই সাধারণ মানুষের জন্য তারা তেমন কিছু করতেও পারে না। যাদের স্পর্শ করে তারা আমলা হয়েও মানুষের পাশে দাঁড়ায়, মানুষকে সম্মান করে, তাচ্ছিল্য বা অবহেলা করে না। দুর্ভাগ্য, তেমন ভালো মানুষের সংখ্যা খুবই কম। বাংলাদেশের যে প্রশাসনিক ক্যাডার তৈরি হচ্ছে, যারা তাদের তৈরি করছে তারা অনেকেই দক্ষ-যোগ্য নয়। তাই তাদের হাতে যে প্রশাসন তৈরি হচ্ছে সে প্রশাসন কতটা গণমুখী হবে বিরাট চিন্তার বিষয়। আর দেশে যখন রাজনৈতিক-সামাজিক নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব দুর্বল হয়ে আসে তখন আপনা-আপনি আমলাদের ক্ষমতা বাড়ে। ছেলেবেলায় প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর একটা গল্প পড়েছিলাম। খুব সম্ভবত নাসির উদ্দিন হোজ্জার গল্প সেটা। প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ অনুবাদ করেছিলেন। গল্পটা ছিল : একদিন এক শিক্ষক স্কুলে যাওয়ার সময় দুই সের গরুর মাংস বউকে দিয়ে বলেছিলেন, দুপুরে স্কুল থেকে ফিরে মাংস দিয়ে ভাত খাব। যথারীতি শিক্ষকের বউ চমৎকার করে মাংস রেঁধেছিলেন। হঠাৎই সেদিন বউয়ের বাড়ির আত্মীয়স্বজন এলে শিক্ষকের বউ খুব আনন্দ করে তাদের মাংস ভাত খাওয়ায়। ভাই, বোন, বোনজামাই আসায় শিক্ষকের বউ কিছুটা উতলা হয়ে পড়েছিলেন। বাবার বাড়ির আত্মীয় এলে সব বউয়েরই ‘পাওয়ার’ বাড়ে। শিক্ষকের বউয়েরও পাওয়ার বেড়েছিল। তাই বাপের বাড়ির লোকদের জোর করে ঠুসে ঠুসে মাংস খাওয়াতে খাওয়াতে সব ফুরিয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ দেখেন সব শেষ হয়ে গেছে। স্বামী এলে তাকে কী দেবে। শিক্ষকের স্ত্রী তাড়াতাড়ি মাছ, শাকসবজি তরিতরকারি যা ছিল তা তো ছিলই আরও অনেক কিছু দিয়ে অন্যদিনের চাইতে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করেন। দুপুরে স্বামী এলে দেউড়ি থেকে স্বামীকে এগিয়ে এনে হাত-মুখ ধোয়ার পানি এবং হাত-মুখ ধুয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে গামছা এগিয়ে দেয়। এক অনাবিল আনন্দ নিয়ে শিক্ষক খেতে বসে। ভাজা-ভাজি-ভুনা-শাকসবজি এটাওটা অনেক ছিল। মাছই ছিল তিন-চার রকমের। খেতে খেতে শিক্ষকের পেট ভরে আসে। একসময় লজ্জাশরমের মাথা খেয়ে বউকে বলে, বউ! পেট তো ভরে গেল। এক টুকরো মাংস দিলা না। বউ একটা ঝেংটি মেরে বলে,

-              থাকলে কি দিতাম না।

-              থাকলে দিতা না! তার মানে? বাইরবাড়ি তোমার বাপের বাড়ির ইষ্টিদের ভুঁড়ি ভাসিয়ে যে হাঁটাচলা করতে দেখে এলাম তারা খেয়ে ফেলেছে?

-              হায় হায়! তারা খেতে যাবে কেন? তারা কি মাছ-মাংস খায় না?

-              তাহলে দুই সের মাংস দিয়ে গেলাম, এক টুকরাও নেই। কে খেল?

-              কে আর খাবে, ওই যে তোমার পায়ের কাছে বসে মিউ মিউ করে কাঁটা চাবাচ্ছে ওই বিড়াল খেয়েছে।

-              বল কী! আমার এতটুকু বিড়াল দুই সের মাংস খেয়ে ফেলল?

-              তবে আর বলি কী?

শিক্ষকের মাথা ঘুরে যায়। সে খাওয়া ছেড়ে খপ করে বিড়াল ধরে এক দৌড়ে বাইরবাড়ি গিয়ে দোকানদারকে বলে, এই দোকানি! দাঁড়িপাল্লা দাও, দাঁড়িপাল্লা দাও। দোকানি দাঁড়িপাল্লা দিলে শিক্ষক এক পাল্লায় বিড়াল, আরেক পাল্লায় দুই সের পাথর চাপায়। উঁচু করে দেখে সমান সমান। বিস্মিত হয়ে শিক্ষক ছুটে ভিতরবাড়ি যায়। বউকে ডেকে বলে, এই বউ! ২৫ বছর স্কুলে অঙ্কের মাস্টারি করি। কিন্তু এমন তো কোনো দিন দেখিনি দুই সের মাংস খেয়ে বিড়াল দুই সেরই থাকে! বউ, এটা যদি বিড়াল হয় তাহলে মাংস কোথায় আর এটা মাংস হলে আমার বিড়াল কোথায়? বর্তমান অবস্থা কিছুতেই মেলাতে পারিনি। শিক্ষকের মাংস আর বিড়ালের মতো মহা ধান্দায় আছি। কত রাত-বিরাত হেফাজতকে সরকার কত টাকা দিল, কওমিরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে মা ডাকল, তারপর এসব কী? কিছুই বুঝতে পারছি না।

কয়েক বছর ধরে সরকার হেফাজতকে লালনপালন করছে। আমার বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ‘কওমি মা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সেই তারা যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে যা অনেকটা ১৯৭১-এ পাকিস্তানি হানাদারদের ধ্বংসযজ্ঞকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর সংগ্রহশালা, তাঁর স্মৃতিবিজড়িত আঙিনা এভাবে ধ্বংস কল্পনা করা যায়? সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর এমন ভয়াবহ আক্রমণ! এ অশান্তি সহ্য করার মতো নয়। ঠিক তারই মধ্যে হঠাৎ সোনারগাঁয়ে রয়াল রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের এমন নিন্দনীয় কাজ অভাবনীয়। ঘটনাটি নিয়ে সপ্তাহজুড়ে নানা রকম নানা বয়ান শুনছি। মামুনুল হক বলছেন, সঙ্গে যে মহিলা ছিল তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। অথচ আগে কেউ জানতেন না তিনি দুটো বিয়ে করেছেন। যা হোক, দ্বিতীয় স্ত্রী হলেই দোষ কী? ঘটনার সূত্রপাত মামুনুল হক যখন সোনারগাঁ রয়্যাল রিসোর্টে যান তখন স্থানীয় লোকজন এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জটলা পাকায়। একপর্যায়ে তাকে জিজ্ঞেস করে সঙ্গের মহিলা কে। তিনি বলেন, তার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ যা-ই হোক স্ত্রী হলে দোষের কী? লোকজন তার কাছে প্রমাণ চায়, কাবিননামা চায়। আসলে কেউ খুব একটা কাবিননামা সঙ্গে নিয়ে যাতায়াত করে না, সফর করে না। তাই কাবিননামা চাওয়াটা খুব যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয় না। আমার বিয়ের কাবিননামা চাইলে আমিও দিতে পারব না। কারণ আমার বিয়ে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে। দেশে ফেরার সময় বুদ্ধি করে কাবিননামা আনিনি। আমার বিয়ের উকিল ছিল লতিফ ভাইয়ের ছেলে অনিক সিদ্দিকী। কাবিন ছিল ২৫ হাজার টাকা। সেদিন এক বিয়েতে দেখলাম ১০ লাখের নিচে কাবিন হবে না। আমি তো অবাক! আমার বিয়ের কাবিন ২৫ হাজার টাকা। ১০ লাখই কী আর ২৫ হাজারই কী, আমার স্ত্রী এখন আমার জীবনের অংশ। ছেলেমেয়ে স্বামী নিয়ে তিনি ভালোই আছেন। তার ২৫ পয়সা কাবিন হলেও তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হতো না। সে যাক, জনাব মামুনুল হক রিসোর্টে তার স্ত্রীর নাম লিখেছেন আমেনা তৈয়বা। প্রথম স্ত্রীর নাম লিখে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে হোটেলে বাস- সেও তো এক বেআইনি কাজ। দ্বিতীয় স্ত্রীর নামই তো রেজিস্টারে লিখতে পারতেন, সেটাই ভালো করতেন। আমি সবচাইতে অবাক হয়েছি হোটেলে যাওয়া সম্পর্কে তিনি যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা শুনে। কয়েকদিন প্রচ- আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই মুরব্বিদের কথায় তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বিশ্রামের জন্য হোটেলে গিয়েছিলেন। হায়রে কপাল! আইয়ুববিরোধী আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ প্রতিরোধ, তারপর কত কিছু, ক্লান্ত হয়ে বউ নিয়ে হোটেলে অবকাশে যাওয়ার সময় পেলাম না। আমার নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কত কষ্ট করলেন, কত নির্যাতন ভোগ করলেন ক্লান্ত হয়ে হোটেলে গিয়ে ক্লান্তি দূর করার সুযোগ পেলেন না। ইসলামী আন্দোলনের এ নায়ক কয়েক দিনের আন্দোলনেই ক্লান্ত হয়ে পড়লেন এবং ক্লান্তি দূর করতে কীসব গাঁজাখোরি কথা বলছেন। যা অনেকে সুস্থ মস্তিষ্কে ভাবতেও পারবে না। সেদিন আবার এক ফতোয়া দিয়েছেন স্ত্রীকে খুশি করার জন্য সত্য গোপন করা যায়। নাউজুবিল্লাহ। আল্লাহ এদের কী করবেন তা তিনিই জানেন। আবার কারও কারও মন্তব্যে, রসুল (সা.) তো যুদ্ধের সময় তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে নিয়েছেন। হায় কি নাফরমানি! রসুলে করিম (সা.)-এর সঙ্গে মামুনুল হকের তুলনা! কয়েক দিনের আন্দোলনে ক্লান্ত হয়ে নেতা মামুনুল হক স্ত্রী নিয়ে বিশ্রাম নিতে রিসোর্টে গেলেন। সে আন্দোলনেই তো বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে। তাদের কী হবে? তাদের পরিবার-পরিজনের কী হবে? এটা কি আন্দোলনকারীদের রক্তের সঙ্গে মামুনুল হকের মতো নেতাদের বিশ্বাসঘাতকতা বা বেইমানি নয়?

সত্যিকারে এদের মতো দু-চার জনই আলেমসমাজের বদনাম করে, ইসলামের ক্ষতি করে। জোব্বা-পাগড়ি পরে যে চেহারা দেখায় ভিতরটা অতটা সাদা নয়। যত জোরেই কথা বলুক, কেউ জ্ঞানের ভান্ডার নয়। অনেকে ফাঁকা বুলি আউড়ে ইসলামের বদনাম করে। ব্রিটিশ ভারতে সবাই যখন স্বাধীনতার জন্য উদ্বেল, ব্রিটিশ তাড়াতে ব্যস্ত ‘কানমে বিড়ি মুখে পান/লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান’ সেøাগানে মাতোয়ারা তখন জামায়াতের আমির আবুল আলা মওদুদি ব্রিটিশের পক্ষে জান কোরবান করেছিলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। ঠিক তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে আমরা যখন মুক্তির জন্য রক্তের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম তখন জামায়াতের আমির গোলাম আযম এবং তার দোসররা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানিদের পক্ষে অস্ত্র ধারণ করে কত ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে, কত মানুষ হত্যা, মা-বোনের সম্মান-সম্ভ্রম নষ্ট করেছে। যে অপরাধের জন্য জামায়াতি ধর্মান্ধরা এখনো দেশের কাছে দেশের মানুষের কাছে সর্বোপরি আল্লাহ রব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেনি। মুক্তিযুদ্ধে আলেম নামের এ ধরনের কিছু জালেমের কর্মকান্ডে সমগ্র আলেমসমাজকে কি দুর্দিন আর কি নিন্দাই না শুনতে হয়েছে। বর্তমানে প্রায় সে রকমই। হেফাজতের কিছু কিছু নেতা-কর্মীর কার্যকলাপে সমগ্র আলেমসমাজের বদনাম এবং ইসলামের ক্ষতি হচ্ছে।

এখনো হেফাজতের কেউ কেউ মামুনুল হককে সমর্থন করে যাচ্ছেন। হেফাজত এমন নিন্দনীয় নেতাকে সমর্থন করবে এ নিয়ে কারও মাথাব্যথা থাকার কথা নয়। তিনি ইসলামের ধারক-বাহক সেজে যা যা বলেছেন তা তার নিজের জীবনে ঘটাতে পারেননি। এখন শুনছি তার দুই স্ত্রী নয়, তিন স্ত্রী। একটা, দুইটা, তিনটা, চারটা যা-ই থাকুক পবিত্রতার সঙ্গে থাকা উচিত, লুকোচুরি করে নয়। বিয়েও তো পালিয়ে করা যায় না। বিয়ে করতে সাক্ষী লাগে, কন্যার পক্ষে অভিভাবক লাগে। যদিও এখন রাস্তাঘাট থেকে ধরে এনে অভিভাবক বানিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়, দেশের আইনে সেটা বৈধ হলেও শরিয়ত অনুযায়ী বৈধ নয়। কন্যার পক্ষে প্রকৃত অভিভাবককেই কন্যা দান করতে হয়। যাক, এসব আমার আলোচনার বিষয় নয়। দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণাকে নিয়ে সোনারগাঁ রয়্যাল রিসোর্টে উঠে কেন তিনি আমেনা তৈয়বার নাম লিখলেন? এ জালিয়াতির জন্যই তো তিনি সমাজের চরম কলঙ্ক। পরের কথা ছেড়েই দিলাম। যাক, এসব নিয়ে যাদের মাথা ঘামানোর তারাই ঘামাবেন। আমাদের মাথা ঘামালেই কী আর না ঘামালেই কী। কিন্তু দেশ ও সমাজটা তো একেবারে পচে যাচ্ছে সেটা অস্বীকার করি কী করে।

যত ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের পুলিশের হাত থেকে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেওয়া মস্তবড় এক অশনিসংকেত। কিছুই বলতে চাই না, তবু ঘটনা যেভাবে ঘটেছে তাতে বলতে বাধ্য হতে হয়, এ কি গুরুতর এক মহাষড়যন্ত্রের পূর্বাভাস? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির বাড়িতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছিলেন। শোনা যায় তার আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এটাও কি সে রকম কিছু? কেউ কেউ শামীম ওসমানের ওপর দোষারোপ করছেন। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের লড়াকু সংগঠন মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় তারা কী করল? শামীম বলেছে, সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তাদের শান্ত থাকতে বলা হয়েছিল। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। শামীম ওসমান নেতৃত্বের প্রতি পরম অনুগত রাজনৈতিক কর্মী। তাই নেতৃত্বের নির্দেশ মানাই রাজনৈতিক কর্মীর কাজ। সে কাজ সে করেছে। আমার মনে প্রশ্ন, রয়্যাল রিসোর্টে যে কয়েক ঘণ্টা তর্ক-বিতর্ক, ধস্তাধস্তি হলো সে সময় প্রশাসন কী করেছে? ওসি, এএসপি, এসপি ছিল তারা কী করেছেন? নাকি বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তারা ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছেন। ইচ্ছা করলেই তো পুলিশ প্রশাসন মামুনুল হককে রিসোর্ট থেকে বের করে তার বাড়ি পৌঁছে দিতে পারত অথবা জাল-জালিয়াতি করে অন্য মহিলাকে বউয়ের পরিচয় দিয়ে রিসোর্টে ওঠায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারত। এর কোনোটাই তারা করেননি। প্রশ্ন আসতেই পারে, কেন করেননি? তবে কি যা ঘটেছে তা ঘটার জন্য তারা অপেক্ষায় ছিলেন? সরকারকে বলব, মানুষকে ভোট দিতে না দিয়ে পুলিশের ভোটে সরকার হয়েছেন বলে সব পুলিশই আপনার বা প্রশাসনের সবাই বর্তমান সরকারের অনুরক্ত-আজ্ঞাবহ তেমনটা ভাববেন না। তাই আমার সন্দেহ অত সময় দিয়ে হেফাজতিদের একত্র হয়ে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা কি প্রশাসনই করেছে? সরকারি সংস্থার হাত থেকে আইনের বাইরে কাউকে ছিনিয়ে নিয়ে গেলে সরকারের কি অস্তিত্ব থাকে? জানি, গায়ের জোরে অনেকেই অনেক কথা বলবেন। রিসোর্ট ভাঙচুর করেছে হেফাজতিরা এটা প্রমাণিত সত্য। ওই ঘটনার পর চিহ্নিত অনেক হেফাজতির আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর এসব কীসের আলামত? এ কদিনে এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে মানুষ কি প্রশ্ন করতে পারে না? নিশ্চয়ই পারে। সরকারের হাত থেকে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্য সমাবেশ করে হেফাজত তাদের বিজয়ের উল্লাস করেছে। এরপর আর সরকারের থাকে কী? সব ক্ষেত্রেই জামায়াত আর বিএনপিকে দোষ দিয়ে পায়ের ওপর পা তুলে স্বস্তির ঢেঁকুর তোলা যেতে পারে, কিন্তু বাস্তব তা নয়। তাই এখান থেকে যেভাবেই হোক বেরিয়ে আসতে হবে। মামুনুল হক এবং পরবর্তীতে তার কর্মকান্ডের নিরাসক্ত বিচার করতে হবে। মামুনুল হককে কেন্দ্র করে বা ওই ধরনের কাউকে কাউকে উপলক্ষ করে সমগ্র আলেমসমাজের ওপর দায় চাপানো ঠিক হবে না। এ ব্যাপারেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

 

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

কুমিল্লায় তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল
কুমিল্লায় তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটিই থামিয়েছি: ট্রাম্প
শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটিই থামিয়েছি: ট্রাম্প

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

১৫ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

ভিয়েতনামে বৃষ্টি ও ভূমিধসে ৯০ মৃত্যু, নিখোঁজ ১২
ভিয়েতনামে বৃষ্টি ও ভূমিধসে ৯০ মৃত্যু, নিখোঁজ ১২

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আলোকিত মানুষ একটি সমাজকে এগিয়ে নিতে পারেন’
‘আলোকিত মানুষ একটি সমাজকে এগিয়ে নিতে পারেন’

২৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

৩২ মিনিট আগে | রাজনীতি

নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশি সম্পদের বিবরণীও বাধ্যতামূলক: দুদক চেয়ারম্যান
নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশি সম্পদের বিবরণীও বাধ্যতামূলক: দুদক চেয়ারম্যান

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

৫০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে প্রাণ গেল সিলেটের যুবকের
ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে প্রাণ গেল সিলেটের যুবকের

৫৫ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জেনেভায় বসছে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি বৈঠক
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জেনেভায় বসছে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি বৈঠক

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

টেস্টে নতুন উচ্চতায় তাইজুল
টেস্টে নতুন উচ্চতায় তাইজুল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মার্কিন সতর্কবার্তার পর ভেনেজুয়েলায় ফ্লাইট বাতিল ৬টি বিমান সংস্থার
মার্কিন সতর্কবার্তার পর ভেনেজুয়েলায় ফ্লাইট বাতিল ৬টি বিমান সংস্থার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রস্তাব নিয়ে জেলেনস্কির ওপর ট্রাম্পের চাপ, কী বলছে মিত্ররা?
প্রস্তাব নিয়ে জেলেনস্কির ওপর ট্রাম্পের চাপ, কী বলছে মিত্ররা?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিন যখন লজ্জিত হয়
মুমিন যখন লজ্জিত হয়

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

নতুন চমক নিয়ে ফিরছেন মিম
নতুন চমক নিয়ে ফিরছেন মিম

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢাকা উত্তরে প্রথম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু
ঢাকা উত্তরে প্রথম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা আজ
সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা আজ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সুদানে অপুষ্টিতে এক মাসে ২৩ শিশুর মৃত্যু
সুদানে অপুষ্টিতে এক মাসে ২৩ শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা ঝুঁকি ঘোষণা করলো যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা ঝুঁকি ঘোষণা করলো যুক্তরাষ্ট্র

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভিকারুননিসায় রবিবারের সব পরীক্ষা স্থগিত
ভিকারুননিসায় রবিবারের সব পরীক্ষা স্থগিত

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্লট জালিয়াতির মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আজ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্লট জালিয়াতির মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আজ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টেলিকম খাত পুনর্গঠনে গেজেট প্রকাশ, মধ্যস্বত্বভোগী লাইসেন্স বাতিল
টেলিকম খাত পুনর্গঠনে গেজেট প্রকাশ, মধ্যস্বত্বভোগী লাইসেন্স বাতিল

২ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা
নির্বাচন হবে কি না, জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল
রেকর্ড গড়ার সুযোগ পেলেন না মুশফিক, যা বললেন আশরাফুল

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

১৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির
সাবেক স্ত্রী রিনাকে চমকে দিলেন আমির

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

১২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ
ইমাম আহমদ রেযা মুসলিম জাতির জন্য আশীর্বাদ

খবর

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা
ব্যান্ড সংগীতে ভাঙাগড়ার খেলা

শোবিজ

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়
পদক নিশ্চিতের পর লক্ষ্য বিশ্বজয়

মাঠে ময়দানে

শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর
শুটিংয়ে আহত শ্রদ্ধা কাপুর

শোবিজ

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই
হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই

পেছনের পৃষ্ঠা