শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১ আপডেট:

এটা বিড়াল হলে মাংস কোথায় আর মাংস হলে বিড়াল কোথায়?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
এটা বিড়াল হলে মাংস কোথায় আর মাংস হলে বিড়াল কোথায়?

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর একমাত্র পাঠান যোদ্ধা মমতাজ খান পাঠান গত ১১ এপ্রিল বাদ-আসর ইহজগৎ ত্যাগ করেছেন। স্বাধীনতার পর যাকে বঙ্গবন্ধু ভীষণ ভালোবাসতেন, আদর করতেন। আগামী পর্বে তাকে নিয়ে দুই কথা লিখব। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে স্ত্রীর পাশে কবর দেওয়া হয়েছে। দয়াময় আল্লাহ তাকে বেহেশতবাসী করুন।

সপ্তাহজুড়ে শুধু কভিড-১৯ আর হেফাজতের মামুনুল হককে নিয়ে আলোচনা। করোনা নিয়ে যা হচ্ছে তা তো হচ্ছেই। দেশ যে কে চালায়, কীভাবে চলে করোনায় তা বোঝা যাচ্ছে না। আমলানির্ভর দেশে যা হওয়ার তাই হয়েছে। আমলারা কখনো পুরোপুরি গণমুখী হতে পারে না, হয়ও না। তাদের প্রধান লক্ষ্য থাকে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা। নিজেদের স্বার্থ রক্ষার বাইরে তারা তেমন কিছুই ভাবে না। আর সরকারি কর্মচারীদের সেসব ভাবার তেমন সুযোগও নেই। মোটামুটি ভালো ছাত্র-ছাত্রী সরকারি আমলা হয়। গরিব হোক আর ধনী হোক মেধাবী হওয়ার কারণে তারা সব সময়ই যথেষ্ট আদরযত্ন পায়। দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনা খুব একটা তাদের গ্রাস করে না। দু-চার জন দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়। তারা ভালো মানুষও হয়। আমলা হলে ভালো আমলাও হয়। কিন্তু সবাই তেমন নয়। আরাম-আয়েশে বড় হওয়ারা সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট খুব একটা বুঝতে পারে না। তাই সাধারণ মানুষের জন্য তারা তেমন কিছু করতেও পারে না। যাদের স্পর্শ করে তারা আমলা হয়েও মানুষের পাশে দাঁড়ায়, মানুষকে সম্মান করে, তাচ্ছিল্য বা অবহেলা করে না। দুর্ভাগ্য, তেমন ভালো মানুষের সংখ্যা খুবই কম। বাংলাদেশের যে প্রশাসনিক ক্যাডার তৈরি হচ্ছে, যারা তাদের তৈরি করছে তারা অনেকেই দক্ষ-যোগ্য নয়। তাই তাদের হাতে যে প্রশাসন তৈরি হচ্ছে সে প্রশাসন কতটা গণমুখী হবে বিরাট চিন্তার বিষয়। আর দেশে যখন রাজনৈতিক-সামাজিক নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব দুর্বল হয়ে আসে তখন আপনা-আপনি আমলাদের ক্ষমতা বাড়ে। ছেলেবেলায় প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর একটা গল্প পড়েছিলাম। খুব সম্ভবত নাসির উদ্দিন হোজ্জার গল্প সেটা। প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ অনুবাদ করেছিলেন। গল্পটা ছিল : একদিন এক শিক্ষক স্কুলে যাওয়ার সময় দুই সের গরুর মাংস বউকে দিয়ে বলেছিলেন, দুপুরে স্কুল থেকে ফিরে মাংস দিয়ে ভাত খাব। যথারীতি শিক্ষকের বউ চমৎকার করে মাংস রেঁধেছিলেন। হঠাৎই সেদিন বউয়ের বাড়ির আত্মীয়স্বজন এলে শিক্ষকের বউ খুব আনন্দ করে তাদের মাংস ভাত খাওয়ায়। ভাই, বোন, বোনজামাই আসায় শিক্ষকের বউ কিছুটা উতলা হয়ে পড়েছিলেন। বাবার বাড়ির আত্মীয় এলে সব বউয়েরই ‘পাওয়ার’ বাড়ে। শিক্ষকের বউয়েরও পাওয়ার বেড়েছিল। তাই বাপের বাড়ির লোকদের জোর করে ঠুসে ঠুসে মাংস খাওয়াতে খাওয়াতে সব ফুরিয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ দেখেন সব শেষ হয়ে গেছে। স্বামী এলে তাকে কী দেবে। শিক্ষকের স্ত্রী তাড়াতাড়ি মাছ, শাকসবজি তরিতরকারি যা ছিল তা তো ছিলই আরও অনেক কিছু দিয়ে অন্যদিনের চাইতে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করেন। দুপুরে স্বামী এলে দেউড়ি থেকে স্বামীকে এগিয়ে এনে হাত-মুখ ধোয়ার পানি এবং হাত-মুখ ধুয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে গামছা এগিয়ে দেয়। এক অনাবিল আনন্দ নিয়ে শিক্ষক খেতে বসে। ভাজা-ভাজি-ভুনা-শাকসবজি এটাওটা অনেক ছিল। মাছই ছিল তিন-চার রকমের। খেতে খেতে শিক্ষকের পেট ভরে আসে। একসময় লজ্জাশরমের মাথা খেয়ে বউকে বলে, বউ! পেট তো ভরে গেল। এক টুকরো মাংস দিলা না। বউ একটা ঝেংটি মেরে বলে,

-              থাকলে কি দিতাম না।

-              থাকলে দিতা না! তার মানে? বাইরবাড়ি তোমার বাপের বাড়ির ইষ্টিদের ভুঁড়ি ভাসিয়ে যে হাঁটাচলা করতে দেখে এলাম তারা খেয়ে ফেলেছে?

-              হায় হায়! তারা খেতে যাবে কেন? তারা কি মাছ-মাংস খায় না?

-              তাহলে দুই সের মাংস দিয়ে গেলাম, এক টুকরাও নেই। কে খেল?

-              কে আর খাবে, ওই যে তোমার পায়ের কাছে বসে মিউ মিউ করে কাঁটা চাবাচ্ছে ওই বিড়াল খেয়েছে।

-              বল কী! আমার এতটুকু বিড়াল দুই সের মাংস খেয়ে ফেলল?

-              তবে আর বলি কী?

শিক্ষকের মাথা ঘুরে যায়। সে খাওয়া ছেড়ে খপ করে বিড়াল ধরে এক দৌড়ে বাইরবাড়ি গিয়ে দোকানদারকে বলে, এই দোকানি! দাঁড়িপাল্লা দাও, দাঁড়িপাল্লা দাও। দোকানি দাঁড়িপাল্লা দিলে শিক্ষক এক পাল্লায় বিড়াল, আরেক পাল্লায় দুই সের পাথর চাপায়। উঁচু করে দেখে সমান সমান। বিস্মিত হয়ে শিক্ষক ছুটে ভিতরবাড়ি যায়। বউকে ডেকে বলে, এই বউ! ২৫ বছর স্কুলে অঙ্কের মাস্টারি করি। কিন্তু এমন তো কোনো দিন দেখিনি দুই সের মাংস খেয়ে বিড়াল দুই সেরই থাকে! বউ, এটা যদি বিড়াল হয় তাহলে মাংস কোথায় আর এটা মাংস হলে আমার বিড়াল কোথায়? বর্তমান অবস্থা কিছুতেই মেলাতে পারিনি। শিক্ষকের মাংস আর বিড়ালের মতো মহা ধান্দায় আছি। কত রাত-বিরাত হেফাজতকে সরকার কত টাকা দিল, কওমিরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে মা ডাকল, তারপর এসব কী? কিছুই বুঝতে পারছি না।

কয়েক বছর ধরে সরকার হেফাজতকে লালনপালন করছে। আমার বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ‘কওমি মা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সেই তারা যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে যা অনেকটা ১৯৭১-এ পাকিস্তানি হানাদারদের ধ্বংসযজ্ঞকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর সংগ্রহশালা, তাঁর স্মৃতিবিজড়িত আঙিনা এভাবে ধ্বংস কল্পনা করা যায়? সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর এমন ভয়াবহ আক্রমণ! এ অশান্তি সহ্য করার মতো নয়। ঠিক তারই মধ্যে হঠাৎ সোনারগাঁয়ে রয়াল রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের এমন নিন্দনীয় কাজ অভাবনীয়। ঘটনাটি নিয়ে সপ্তাহজুড়ে নানা রকম নানা বয়ান শুনছি। মামুনুল হক বলছেন, সঙ্গে যে মহিলা ছিল তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। অথচ আগে কেউ জানতেন না তিনি দুটো বিয়ে করেছেন। যা হোক, দ্বিতীয় স্ত্রী হলেই দোষ কী? ঘটনার সূত্রপাত মামুনুল হক যখন সোনারগাঁ রয়্যাল রিসোর্টে যান তখন স্থানীয় লোকজন এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জটলা পাকায়। একপর্যায়ে তাকে জিজ্ঞেস করে সঙ্গের মহিলা কে। তিনি বলেন, তার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ যা-ই হোক স্ত্রী হলে দোষের কী? লোকজন তার কাছে প্রমাণ চায়, কাবিননামা চায়। আসলে কেউ খুব একটা কাবিননামা সঙ্গে নিয়ে যাতায়াত করে না, সফর করে না। তাই কাবিননামা চাওয়াটা খুব যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয় না। আমার বিয়ের কাবিননামা চাইলে আমিও দিতে পারব না। কারণ আমার বিয়ে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে। দেশে ফেরার সময় বুদ্ধি করে কাবিননামা আনিনি। আমার বিয়ের উকিল ছিল লতিফ ভাইয়ের ছেলে অনিক সিদ্দিকী। কাবিন ছিল ২৫ হাজার টাকা। সেদিন এক বিয়েতে দেখলাম ১০ লাখের নিচে কাবিন হবে না। আমি তো অবাক! আমার বিয়ের কাবিন ২৫ হাজার টাকা। ১০ লাখই কী আর ২৫ হাজারই কী, আমার স্ত্রী এখন আমার জীবনের অংশ। ছেলেমেয়ে স্বামী নিয়ে তিনি ভালোই আছেন। তার ২৫ পয়সা কাবিন হলেও তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হতো না। সে যাক, জনাব মামুনুল হক রিসোর্টে তার স্ত্রীর নাম লিখেছেন আমেনা তৈয়বা। প্রথম স্ত্রীর নাম লিখে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে হোটেলে বাস- সেও তো এক বেআইনি কাজ। দ্বিতীয় স্ত্রীর নামই তো রেজিস্টারে লিখতে পারতেন, সেটাই ভালো করতেন। আমি সবচাইতে অবাক হয়েছি হোটেলে যাওয়া সম্পর্কে তিনি যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা শুনে। কয়েকদিন প্রচ- আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই মুরব্বিদের কথায় তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বিশ্রামের জন্য হোটেলে গিয়েছিলেন। হায়রে কপাল! আইয়ুববিরোধী আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ প্রতিরোধ, তারপর কত কিছু, ক্লান্ত হয়ে বউ নিয়ে হোটেলে অবকাশে যাওয়ার সময় পেলাম না। আমার নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কত কষ্ট করলেন, কত নির্যাতন ভোগ করলেন ক্লান্ত হয়ে হোটেলে গিয়ে ক্লান্তি দূর করার সুযোগ পেলেন না। ইসলামী আন্দোলনের এ নায়ক কয়েক দিনের আন্দোলনেই ক্লান্ত হয়ে পড়লেন এবং ক্লান্তি দূর করতে কীসব গাঁজাখোরি কথা বলছেন। যা অনেকে সুস্থ মস্তিষ্কে ভাবতেও পারবে না। সেদিন আবার এক ফতোয়া দিয়েছেন স্ত্রীকে খুশি করার জন্য সত্য গোপন করা যায়। নাউজুবিল্লাহ। আল্লাহ এদের কী করবেন তা তিনিই জানেন। আবার কারও কারও মন্তব্যে, রসুল (সা.) তো যুদ্ধের সময় তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে নিয়েছেন। হায় কি নাফরমানি! রসুলে করিম (সা.)-এর সঙ্গে মামুনুল হকের তুলনা! কয়েক দিনের আন্দোলনে ক্লান্ত হয়ে নেতা মামুনুল হক স্ত্রী নিয়ে বিশ্রাম নিতে রিসোর্টে গেলেন। সে আন্দোলনেই তো বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে। তাদের কী হবে? তাদের পরিবার-পরিজনের কী হবে? এটা কি আন্দোলনকারীদের রক্তের সঙ্গে মামুনুল হকের মতো নেতাদের বিশ্বাসঘাতকতা বা বেইমানি নয়?

সত্যিকারে এদের মতো দু-চার জনই আলেমসমাজের বদনাম করে, ইসলামের ক্ষতি করে। জোব্বা-পাগড়ি পরে যে চেহারা দেখায় ভিতরটা অতটা সাদা নয়। যত জোরেই কথা বলুক, কেউ জ্ঞানের ভান্ডার নয়। অনেকে ফাঁকা বুলি আউড়ে ইসলামের বদনাম করে। ব্রিটিশ ভারতে সবাই যখন স্বাধীনতার জন্য উদ্বেল, ব্রিটিশ তাড়াতে ব্যস্ত ‘কানমে বিড়ি মুখে পান/লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান’ সেøাগানে মাতোয়ারা তখন জামায়াতের আমির আবুল আলা মওদুদি ব্রিটিশের পক্ষে জান কোরবান করেছিলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। ঠিক তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে আমরা যখন মুক্তির জন্য রক্তের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম তখন জামায়াতের আমির গোলাম আযম এবং তার দোসররা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানিদের পক্ষে অস্ত্র ধারণ করে কত ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে, কত মানুষ হত্যা, মা-বোনের সম্মান-সম্ভ্রম নষ্ট করেছে। যে অপরাধের জন্য জামায়াতি ধর্মান্ধরা এখনো দেশের কাছে দেশের মানুষের কাছে সর্বোপরি আল্লাহ রব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেনি। মুক্তিযুদ্ধে আলেম নামের এ ধরনের কিছু জালেমের কর্মকান্ডে সমগ্র আলেমসমাজকে কি দুর্দিন আর কি নিন্দাই না শুনতে হয়েছে। বর্তমানে প্রায় সে রকমই। হেফাজতের কিছু কিছু নেতা-কর্মীর কার্যকলাপে সমগ্র আলেমসমাজের বদনাম এবং ইসলামের ক্ষতি হচ্ছে।

এখনো হেফাজতের কেউ কেউ মামুনুল হককে সমর্থন করে যাচ্ছেন। হেফাজত এমন নিন্দনীয় নেতাকে সমর্থন করবে এ নিয়ে কারও মাথাব্যথা থাকার কথা নয়। তিনি ইসলামের ধারক-বাহক সেজে যা যা বলেছেন তা তার নিজের জীবনে ঘটাতে পারেননি। এখন শুনছি তার দুই স্ত্রী নয়, তিন স্ত্রী। একটা, দুইটা, তিনটা, চারটা যা-ই থাকুক পবিত্রতার সঙ্গে থাকা উচিত, লুকোচুরি করে নয়। বিয়েও তো পালিয়ে করা যায় না। বিয়ে করতে সাক্ষী লাগে, কন্যার পক্ষে অভিভাবক লাগে। যদিও এখন রাস্তাঘাট থেকে ধরে এনে অভিভাবক বানিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়, দেশের আইনে সেটা বৈধ হলেও শরিয়ত অনুযায়ী বৈধ নয়। কন্যার পক্ষে প্রকৃত অভিভাবককেই কন্যা দান করতে হয়। যাক, এসব আমার আলোচনার বিষয় নয়। দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণাকে নিয়ে সোনারগাঁ রয়্যাল রিসোর্টে উঠে কেন তিনি আমেনা তৈয়বার নাম লিখলেন? এ জালিয়াতির জন্যই তো তিনি সমাজের চরম কলঙ্ক। পরের কথা ছেড়েই দিলাম। যাক, এসব নিয়ে যাদের মাথা ঘামানোর তারাই ঘামাবেন। আমাদের মাথা ঘামালেই কী আর না ঘামালেই কী। কিন্তু দেশ ও সমাজটা তো একেবারে পচে যাচ্ছে সেটা অস্বীকার করি কী করে।

যত ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের পুলিশের হাত থেকে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেওয়া মস্তবড় এক অশনিসংকেত। কিছুই বলতে চাই না, তবু ঘটনা যেভাবে ঘটেছে তাতে বলতে বাধ্য হতে হয়, এ কি গুরুতর এক মহাষড়যন্ত্রের পূর্বাভাস? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির বাড়িতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছিলেন। শোনা যায় তার আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এটাও কি সে রকম কিছু? কেউ কেউ শামীম ওসমানের ওপর দোষারোপ করছেন। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের লড়াকু সংগঠন মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় তারা কী করল? শামীম বলেছে, সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তাদের শান্ত থাকতে বলা হয়েছিল। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। শামীম ওসমান নেতৃত্বের প্রতি পরম অনুগত রাজনৈতিক কর্মী। তাই নেতৃত্বের নির্দেশ মানাই রাজনৈতিক কর্মীর কাজ। সে কাজ সে করেছে। আমার মনে প্রশ্ন, রয়্যাল রিসোর্টে যে কয়েক ঘণ্টা তর্ক-বিতর্ক, ধস্তাধস্তি হলো সে সময় প্রশাসন কী করেছে? ওসি, এএসপি, এসপি ছিল তারা কী করেছেন? নাকি বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তারা ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছেন। ইচ্ছা করলেই তো পুলিশ প্রশাসন মামুনুল হককে রিসোর্ট থেকে বের করে তার বাড়ি পৌঁছে দিতে পারত অথবা জাল-জালিয়াতি করে অন্য মহিলাকে বউয়ের পরিচয় দিয়ে রিসোর্টে ওঠায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারত। এর কোনোটাই তারা করেননি। প্রশ্ন আসতেই পারে, কেন করেননি? তবে কি যা ঘটেছে তা ঘটার জন্য তারা অপেক্ষায় ছিলেন? সরকারকে বলব, মানুষকে ভোট দিতে না দিয়ে পুলিশের ভোটে সরকার হয়েছেন বলে সব পুলিশই আপনার বা প্রশাসনের সবাই বর্তমান সরকারের অনুরক্ত-আজ্ঞাবহ তেমনটা ভাববেন না। তাই আমার সন্দেহ অত সময় দিয়ে হেফাজতিদের একত্র হয়ে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা কি প্রশাসনই করেছে? সরকারি সংস্থার হাত থেকে আইনের বাইরে কাউকে ছিনিয়ে নিয়ে গেলে সরকারের কি অস্তিত্ব থাকে? জানি, গায়ের জোরে অনেকেই অনেক কথা বলবেন। রিসোর্ট ভাঙচুর করেছে হেফাজতিরা এটা প্রমাণিত সত্য। ওই ঘটনার পর চিহ্নিত অনেক হেফাজতির আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর এসব কীসের আলামত? এ কদিনে এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে মানুষ কি প্রশ্ন করতে পারে না? নিশ্চয়ই পারে। সরকারের হাত থেকে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্য সমাবেশ করে হেফাজত তাদের বিজয়ের উল্লাস করেছে। এরপর আর সরকারের থাকে কী? সব ক্ষেত্রেই জামায়াত আর বিএনপিকে দোষ দিয়ে পায়ের ওপর পা তুলে স্বস্তির ঢেঁকুর তোলা যেতে পারে, কিন্তু বাস্তব তা নয়। তাই এখান থেকে যেভাবেই হোক বেরিয়ে আসতে হবে। মামুনুল হক এবং পরবর্তীতে তার কর্মকান্ডের নিরাসক্ত বিচার করতে হবে। মামুনুল হককে কেন্দ্র করে বা ওই ধরনের কাউকে কাউকে উপলক্ষ করে সমগ্র আলেমসমাজের ওপর দায় চাপানো ঠিক হবে না। এ ব্যাপারেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

 

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
গণভোট বিতর্ক
গণভোট বিতর্ক
বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
‘আমাদের প্রভু আল্লাহ!’
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
শিরকমুক্ত থাকা
শিরকমুক্ত থাকা
জাল নোটের দৌরাত্ম্য
জাল নোটের দৌরাত্ম্য
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
ওয়াজ মাহফিল আয়োজকদের সমীপে কিছু কথা
জুলাই সনদ
জুলাই সনদ
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
রাজশাহী নৌবন্দরে সম্ভাবনার হাতছানি
অংশ কখনো সমগ্র নয়
অংশ কখনো সমগ্র নয়
সর্বশেষ খবর
কক্সবাজারে ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবাসহ দুই কারবারি আটক
কক্সবাজারে ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবাসহ দুই কারবারি আটক

১ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

চাঁদেই লুকিয়ে আছে ভিনগ্রহীদের চিহ্ন, বিজ্ঞানীর ধারণা
চাঁদেই লুকিয়ে আছে ভিনগ্রহীদের চিহ্ন, বিজ্ঞানীর ধারণা

১০ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন
রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, বাসে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণ কি আত্মঘাতী হামলা ছিল?
দিল্লির গাড়ি বিস্ফোরণ কি আত্মঘাতী হামলা ছিল?

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার
৩৮০০ শিশুর হার্ট সার্জারিতে অবদান : মানবসেবায় রেকর্ড জনপ্রিয় গায়িকার

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান
রুদ্ধশ্বাস জয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৬ রানে হারালো পাকিস্তান

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যা: ২ শ্যুটারসহ গ্রেফতার ৫

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা
গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রাবির হলে গাঁজা সেবনকালে ৭ শিক্ষার্থী আটক
রাবির হলে গাঁজা সেবনকালে ৭ শিক্ষার্থী আটক

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব
ইসলামে আখলাকে হাসানার গুরুত্ব

৬ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

কলাপাড়ায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেফতার
কলাপাড়ায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেফতার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্যামবাজারে র‌্যাবের অভিযান: বিপুল কেমিক্যাল উদ্ধার, ৬ জনের কারাদণ্ড
শ্যামবাজারে র‌্যাবের অভিযান: বিপুল কেমিক্যাল উদ্ধার, ৬ জনের কারাদণ্ড

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ নভেম্বর)

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় চার শিক্ষার্থী বহিষ্কার
জবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় চার শিক্ষার্থী বহিষ্কার

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দেশের রিজার্ভ কত, জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
দেশের রিজার্ভ কত, জানাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ডিপফেক চিনবেন যেভাবে
ডিপফেক চিনবেন যেভাবে

৭ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

আজারবাইজান সীমান্তে তুরস্কের সামরিক বিমান বিধ্বস্ত
আজারবাইজান সীমান্তে তুরস্কের সামরিক বিমান বিধ্বস্ত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ: ফ্রান্সকে হারিয়ে ইতিহাস উগান্ডার
অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ: ফ্রান্সকে হারিয়ে ইতিহাস উগান্ডার

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার
নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বগুড়ায় আওয়ামী লীগের ৩ নেতাকর্মীকে আটক করল সেনাবাহিনী
বগুড়ায় আওয়ামী লীগের ৩ নেতাকর্মীকে আটক করল সেনাবাহিনী

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানে জনসম্মুখে এক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর
ইরানে জনসম্মুখে এক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাঁদপুরে অস্ত্রসহ ৫ ডাকাত আটক
চাঁদপুরে অস্ত্রসহ ৫ ডাকাত আটক

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আজকের আলোচিত ১০ খবর
আজকের আলোচিত ১০ খবর

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তিতাস গ্যাস ফিল্ডে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন, উৎপাদন বাড়ল ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
তিতাস গ্যাস ফিল্ডে ওয়েলহেড কম্প্রেসর স্থাপন, উৎপাদন বাড়ল ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘একটি দল নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার পাঁয়তারা করছে’
‘একটি দল নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার পাঁয়তারা করছে’

১০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বর্তমানে কেমন আছেন ধর্মেন্দ্র?
বর্তমানে কেমন আছেন ধর্মেন্দ্র?

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মারা গেছেন
বাংলাদেশ কোরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মারা গেছেন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিভাজন নয়, ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান ডা. জাহিদ হোসেনের
বিভাজন নয়, ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান ডা. জাহিদ হোসেনের

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হজ চুক্তি স্বাক্ষর, বাংলাদেশ থেকে সুযোগ পাবেন সাড়ে ৭৮ হাজার হজযাত্রী
হজ চুক্তি স্বাক্ষর, বাংলাদেশ থেকে সুযোগ পাবেন সাড়ে ৭৮ হাজার হজযাত্রী

১০ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সর্বাধিক পঠিত
নির্বাচনে পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না
নির্বাচনে পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

মধ্যরাতে রাজধানীতে ৩ বাসে আগুন
মধ্যরাতে রাজধানীতে ৩ বাসে আগুন

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩ নভেম্বর কী হবে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দেশবাসী : জিল্লুর রহমান
১৩ নভেম্বর কী হবে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দেশবাসী : জিল্লুর রহমান

১৯ ঘণ্টা আগে | টক শো

ঢাকা-৯ আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র কিনলেন তাসনিম জারা
ঢাকা-৯ আসনে এনসিপির মনোনয়নপত্র কিনলেন তাসনিম জারা

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার
শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করা সেই দুই শুটার গ্রেফতার

১০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘিরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১৩ নভেম্বর ‘ঢাকা লকডাউন’ ঘিরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আসন নিশ্চিত হলে আপসহীন নেতাদেরও বিক্রি হতে সমস্যা নেই: আব্দুল কাদের
আসন নিশ্চিত হলে আপসহীন নেতাদেরও বিক্রি হতে সমস্যা নেই: আব্দুল কাদের

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, রেল যোগাযোগ বন্ধ
ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, রেল যোগাযোগ বন্ধ

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ময়মনসিংহে বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন, ঘুমন্ত চালক পুড়ে অঙ্গার
ময়মনসিংহে বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন, ঘুমন্ত চালক পুড়ে অঙ্গার

২১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভোট হলে জামায়াতের অস্তিত্ব থাকবে না : মির্জা ফখরুল
ভোট হলে জামায়াতের অস্তিত্ব থাকবে না : মির্জা ফখরুল

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘হাসিনাকে ফাঁসিতে না ঝোলানো পর্যন্ত মুখ দিয়ে শেখ শেখ বের হবেই’
‘হাসিনাকে ফাঁসিতে না ঝোলানো পর্যন্ত মুখ দিয়ে শেখ শেখ বের হবেই’

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার
নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক নাইমুর রহমান মাদারীপুর থেকে উদ্ধার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল
আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই: জামায়াত আমির
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচনের সুযোগ নেই: জামায়াত আমির

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দিল্লি বিস্ফোরণের পর ভারতজুড়ে সতর্কতা জারি
দিল্লি বিস্ফোরণের পর ভারতজুড়ে সতর্কতা জারি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন দিতে সম্মতি
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন দিতে সম্মতি

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা, ইউরোপজুড়ে বিপর্যয়ের শঙ্কা কিয়েভের
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা, ইউরোপজুড়ে বিপর্যয়ের শঙ্কা কিয়েভের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ৩-৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ৩-৪ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানালেন রশিদ খান
দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানালেন রশিদ খান

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সনদের বাইরের সিদ্ধান্ত স্বাক্ষরকারী দলগুলো মানতে বাধ্য নয় : সালাহউদ্দিন
সনদের বাইরের সিদ্ধান্ত স্বাক্ষরকারী দলগুলো মানতে বাধ্য নয় : সালাহউদ্দিন

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাবাকে আড়াই মিনিটে ১৭ কোপে হত্যা করলেন ফারুক, নেপথ্যে স্ত্রীর সঙ্গে ‘পরকীয়া’
বাবাকে আড়াই মিনিটে ১৭ কোপে হত্যা করলেন ফারুক, নেপথ্যে স্ত্রীর সঙ্গে ‘পরকীয়া’

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের আলোচনা নাকচ সিরিয়া
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের আলোচনা নাকচ সিরিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫০০ কোটি পাউন্ডের বিটকয়েন নিয়ে যুক্তরাজ্যে গিয়ে বিপাকে চীনা নারী!
৫০০ কোটি পাউন্ডের বিটকয়েন নিয়ে যুক্তরাজ্যে গিয়ে বিপাকে চীনা নারী!

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট করতে পারি: হাসনাত আবদুল্লাহ
যারা সংস্কারের পক্ষে তাদের সঙ্গে জোট করতে পারি: হাসনাত আবদুল্লাহ

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজধানীতে বাসে আগুন
রাজধানীতে বাসে আগুন

১১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ডিএমপি
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ডিএমপি

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সিলেট টেস্ট : অভিষেক হওয়া কে এই হাসান মুরাদ?
সিলেট টেস্ট : অভিষেক হওয়া কে এই হাসান মুরাদ?

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ৩ লাখ টাকায় রফা, ভাগ নিলেন মাতবররা!
স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ৩ লাখ টাকায় রফা, ভাগ নিলেন মাতবররা!

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মস্তিষ্ক ছাড়াই জন্ম নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সেই তরুণীর বয়স এখন ২০
মস্তিষ্ক ছাড়াই জন্ম নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সেই তরুণীর বয়স এখন ২০

১৮ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

প্রিন্ট সর্বাধিক
এনসিপিতে গৃহদাহ
এনসিপিতে গৃহদাহ

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথ
আলোচনার টেবিল থেকে রাজপথ

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভালোবাসার টানেই মাতৃভূমিতে হামজা
ভালোবাসার টানেই মাতৃভূমিতে হামজা

মাঠে ময়দানে

বোতলে দেদার জ্বালানি বিক্রি বাড়ছে অগ্নিসন্ত্রাসের ঝুঁকি
বোতলে দেদার জ্বালানি বিক্রি বাড়ছে অগ্নিসন্ত্রাসের ঝুঁকি

নগর জীবন

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে খেলেছে ১৬ বার
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে খেলেছে ১৬ বার

মাঠে ময়দানে

বুড়িগঙ্গা
বুড়িগঙ্গা

সম্পাদকীয়

সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে
সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
আর্মি সার্ভিস কোরকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

প্রথম পৃষ্ঠা

আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ
আইন হাতে তুলে নিচ্ছে মানুষ

পেছনের পৃষ্ঠা

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ছাড়া নির্বাচন নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজারে মাফিয়া
শেয়ারবাজারে মাফিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

আশা জাগাচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাজার
আশা জাগাচ্ছে কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাবারের বাজার

নগর জীবন

ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না জামায়াতের
ভোট হলে অস্তিত্ব থাকবে না জামায়াতের

প্রথম পৃষ্ঠা

কুলসুমের চোখে স্বপ্ন জয়ের দৃঢ়তা
কুলসুমের চোখে স্বপ্ন জয়ের দৃঢ়তা

মাঠে ময়দানে

ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা
ঘুমন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজধানীতে দুই ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার
রাজধানীতে দুই ছাত্রদল নেতার লাশ উদ্ধার

প্রথম পৃষ্ঠা

স্পর্শিয়ার ক্ষোভ
স্পর্শিয়ার ক্ষোভ

শোবিজ

সনদের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের
সনদের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে দায় সরকারের

প্রথম পৃষ্ঠা

কেন ক্ষেপলেন তামান্না
কেন ক্ষেপলেন তামান্না

শোবিজ

শিশুর বিপদ ডেকে আনছে নিউমোনিয়া
শিশুর বিপদ ডেকে আনছে নিউমোনিয়া

পেছনের পৃষ্ঠা

অপেশাদারিতে শাবনূর
অপেশাদারিতে শাবনূর

শোবিজ

টিভি নাটকে প্রমিত বাংলার অপমৃত্যু
টিভি নাটকে প্রমিত বাংলার অপমৃত্যু

শোবিজ

শোবিজ তারকাদের ত্যাগের গল্প
শোবিজ তারকাদের ত্যাগের গল্প

শোবিজ

বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?
বেগম জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ কেন?

সম্পাদকীয়

সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান শেখ হান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ
সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান শেখ হান্নানের ব্যাংক হিসাব জব্দ

নগর জীবন

নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের
নির্বাচন বানচালের চেষ্টা আওয়ামী লীগের

প্রথম পৃষ্ঠা

ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব
ভলগা ও বুড়িগঙ্গা তীরের দুই বিপ্লব

সম্পাদকীয়

সীমানা পুনর্নির্ধারণের ৩০ আবেদন আদালতে
সীমানা পুনর্নির্ধারণের ৩০ আবেদন আদালতে

প্রথম পৃষ্ঠা

দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

নগর জীবন