শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১ আপডেট:

এটা বিড়াল হলে মাংস কোথায় আর মাংস হলে বিড়াল কোথায়?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
এটা বিড়াল হলে মাংস কোথায় আর মাংস হলে বিড়াল কোথায়?

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর একমাত্র পাঠান যোদ্ধা মমতাজ খান পাঠান গত ১১ এপ্রিল বাদ-আসর ইহজগৎ ত্যাগ করেছেন। স্বাধীনতার পর যাকে বঙ্গবন্ধু ভীষণ ভালোবাসতেন, আদর করতেন। আগামী পর্বে তাকে নিয়ে দুই কথা লিখব। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে স্ত্রীর পাশে কবর দেওয়া হয়েছে। দয়াময় আল্লাহ তাকে বেহেশতবাসী করুন।

সপ্তাহজুড়ে শুধু কভিড-১৯ আর হেফাজতের মামুনুল হককে নিয়ে আলোচনা। করোনা নিয়ে যা হচ্ছে তা তো হচ্ছেই। দেশ যে কে চালায়, কীভাবে চলে করোনায় তা বোঝা যাচ্ছে না। আমলানির্ভর দেশে যা হওয়ার তাই হয়েছে। আমলারা কখনো পুরোপুরি গণমুখী হতে পারে না, হয়ও না। তাদের প্রধান লক্ষ্য থাকে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা। নিজেদের স্বার্থ রক্ষার বাইরে তারা তেমন কিছুই ভাবে না। আর সরকারি কর্মচারীদের সেসব ভাবার তেমন সুযোগও নেই। মোটামুটি ভালো ছাত্র-ছাত্রী সরকারি আমলা হয়। গরিব হোক আর ধনী হোক মেধাবী হওয়ার কারণে তারা সব সময়ই যথেষ্ট আদরযত্ন পায়। দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনা খুব একটা তাদের গ্রাস করে না। দু-চার জন দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়। তারা ভালো মানুষও হয়। আমলা হলে ভালো আমলাও হয়। কিন্তু সবাই তেমন নয়। আরাম-আয়েশে বড় হওয়ারা সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট খুব একটা বুঝতে পারে না। তাই সাধারণ মানুষের জন্য তারা তেমন কিছু করতেও পারে না। যাদের স্পর্শ করে তারা আমলা হয়েও মানুষের পাশে দাঁড়ায়, মানুষকে সম্মান করে, তাচ্ছিল্য বা অবহেলা করে না। দুর্ভাগ্য, তেমন ভালো মানুষের সংখ্যা খুবই কম। বাংলাদেশের যে প্রশাসনিক ক্যাডার তৈরি হচ্ছে, যারা তাদের তৈরি করছে তারা অনেকেই দক্ষ-যোগ্য নয়। তাই তাদের হাতে যে প্রশাসন তৈরি হচ্ছে সে প্রশাসন কতটা গণমুখী হবে বিরাট চিন্তার বিষয়। আর দেশে যখন রাজনৈতিক-সামাজিক নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব দুর্বল হয়ে আসে তখন আপনা-আপনি আমলাদের ক্ষমতা বাড়ে। ছেলেবেলায় প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর একটা গল্প পড়েছিলাম। খুব সম্ভবত নাসির উদ্দিন হোজ্জার গল্প সেটা। প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ অনুবাদ করেছিলেন। গল্পটা ছিল : একদিন এক শিক্ষক স্কুলে যাওয়ার সময় দুই সের গরুর মাংস বউকে দিয়ে বলেছিলেন, দুপুরে স্কুল থেকে ফিরে মাংস দিয়ে ভাত খাব। যথারীতি শিক্ষকের বউ চমৎকার করে মাংস রেঁধেছিলেন। হঠাৎই সেদিন বউয়ের বাড়ির আত্মীয়স্বজন এলে শিক্ষকের বউ খুব আনন্দ করে তাদের মাংস ভাত খাওয়ায়। ভাই, বোন, বোনজামাই আসায় শিক্ষকের বউ কিছুটা উতলা হয়ে পড়েছিলেন। বাবার বাড়ির আত্মীয় এলে সব বউয়েরই ‘পাওয়ার’ বাড়ে। শিক্ষকের বউয়েরও পাওয়ার বেড়েছিল। তাই বাপের বাড়ির লোকদের জোর করে ঠুসে ঠুসে মাংস খাওয়াতে খাওয়াতে সব ফুরিয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ দেখেন সব শেষ হয়ে গেছে। স্বামী এলে তাকে কী দেবে। শিক্ষকের স্ত্রী তাড়াতাড়ি মাছ, শাকসবজি তরিতরকারি যা ছিল তা তো ছিলই আরও অনেক কিছু দিয়ে অন্যদিনের চাইতে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করেন। দুপুরে স্বামী এলে দেউড়ি থেকে স্বামীকে এগিয়ে এনে হাত-মুখ ধোয়ার পানি এবং হাত-মুখ ধুয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে গামছা এগিয়ে দেয়। এক অনাবিল আনন্দ নিয়ে শিক্ষক খেতে বসে। ভাজা-ভাজি-ভুনা-শাকসবজি এটাওটা অনেক ছিল। মাছই ছিল তিন-চার রকমের। খেতে খেতে শিক্ষকের পেট ভরে আসে। একসময় লজ্জাশরমের মাথা খেয়ে বউকে বলে, বউ! পেট তো ভরে গেল। এক টুকরো মাংস দিলা না। বউ একটা ঝেংটি মেরে বলে,

-              থাকলে কি দিতাম না।

-              থাকলে দিতা না! তার মানে? বাইরবাড়ি তোমার বাপের বাড়ির ইষ্টিদের ভুঁড়ি ভাসিয়ে যে হাঁটাচলা করতে দেখে এলাম তারা খেয়ে ফেলেছে?

-              হায় হায়! তারা খেতে যাবে কেন? তারা কি মাছ-মাংস খায় না?

-              তাহলে দুই সের মাংস দিয়ে গেলাম, এক টুকরাও নেই। কে খেল?

-              কে আর খাবে, ওই যে তোমার পায়ের কাছে বসে মিউ মিউ করে কাঁটা চাবাচ্ছে ওই বিড়াল খেয়েছে।

-              বল কী! আমার এতটুকু বিড়াল দুই সের মাংস খেয়ে ফেলল?

-              তবে আর বলি কী?

শিক্ষকের মাথা ঘুরে যায়। সে খাওয়া ছেড়ে খপ করে বিড়াল ধরে এক দৌড়ে বাইরবাড়ি গিয়ে দোকানদারকে বলে, এই দোকানি! দাঁড়িপাল্লা দাও, দাঁড়িপাল্লা দাও। দোকানি দাঁড়িপাল্লা দিলে শিক্ষক এক পাল্লায় বিড়াল, আরেক পাল্লায় দুই সের পাথর চাপায়। উঁচু করে দেখে সমান সমান। বিস্মিত হয়ে শিক্ষক ছুটে ভিতরবাড়ি যায়। বউকে ডেকে বলে, এই বউ! ২৫ বছর স্কুলে অঙ্কের মাস্টারি করি। কিন্তু এমন তো কোনো দিন দেখিনি দুই সের মাংস খেয়ে বিড়াল দুই সেরই থাকে! বউ, এটা যদি বিড়াল হয় তাহলে মাংস কোথায় আর এটা মাংস হলে আমার বিড়াল কোথায়? বর্তমান অবস্থা কিছুতেই মেলাতে পারিনি। শিক্ষকের মাংস আর বিড়ালের মতো মহা ধান্দায় আছি। কত রাত-বিরাত হেফাজতকে সরকার কত টাকা দিল, কওমিরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে মা ডাকল, তারপর এসব কী? কিছুই বুঝতে পারছি না।

কয়েক বছর ধরে সরকার হেফাজতকে লালনপালন করছে। আমার বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ‘কওমি মা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সেই তারা যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে যা অনেকটা ১৯৭১-এ পাকিস্তানি হানাদারদের ধ্বংসযজ্ঞকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর সংগ্রহশালা, তাঁর স্মৃতিবিজড়িত আঙিনা এভাবে ধ্বংস কল্পনা করা যায়? সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর এমন ভয়াবহ আক্রমণ! এ অশান্তি সহ্য করার মতো নয়। ঠিক তারই মধ্যে হঠাৎ সোনারগাঁয়ে রয়াল রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের এমন নিন্দনীয় কাজ অভাবনীয়। ঘটনাটি নিয়ে সপ্তাহজুড়ে নানা রকম নানা বয়ান শুনছি। মামুনুল হক বলছেন, সঙ্গে যে মহিলা ছিল তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। অথচ আগে কেউ জানতেন না তিনি দুটো বিয়ে করেছেন। যা হোক, দ্বিতীয় স্ত্রী হলেই দোষ কী? ঘটনার সূত্রপাত মামুনুল হক যখন সোনারগাঁ রয়্যাল রিসোর্টে যান তখন স্থানীয় লোকজন এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জটলা পাকায়। একপর্যায়ে তাকে জিজ্ঞেস করে সঙ্গের মহিলা কে। তিনি বলেন, তার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ যা-ই হোক স্ত্রী হলে দোষের কী? লোকজন তার কাছে প্রমাণ চায়, কাবিননামা চায়। আসলে কেউ খুব একটা কাবিননামা সঙ্গে নিয়ে যাতায়াত করে না, সফর করে না। তাই কাবিননামা চাওয়াটা খুব যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয় না। আমার বিয়ের কাবিননামা চাইলে আমিও দিতে পারব না। কারণ আমার বিয়ে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে। দেশে ফেরার সময় বুদ্ধি করে কাবিননামা আনিনি। আমার বিয়ের উকিল ছিল লতিফ ভাইয়ের ছেলে অনিক সিদ্দিকী। কাবিন ছিল ২৫ হাজার টাকা। সেদিন এক বিয়েতে দেখলাম ১০ লাখের নিচে কাবিন হবে না। আমি তো অবাক! আমার বিয়ের কাবিন ২৫ হাজার টাকা। ১০ লাখই কী আর ২৫ হাজারই কী, আমার স্ত্রী এখন আমার জীবনের অংশ। ছেলেমেয়ে স্বামী নিয়ে তিনি ভালোই আছেন। তার ২৫ পয়সা কাবিন হলেও তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হতো না। সে যাক, জনাব মামুনুল হক রিসোর্টে তার স্ত্রীর নাম লিখেছেন আমেনা তৈয়বা। প্রথম স্ত্রীর নাম লিখে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে হোটেলে বাস- সেও তো এক বেআইনি কাজ। দ্বিতীয় স্ত্রীর নামই তো রেজিস্টারে লিখতে পারতেন, সেটাই ভালো করতেন। আমি সবচাইতে অবাক হয়েছি হোটেলে যাওয়া সম্পর্কে তিনি যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা শুনে। কয়েকদিন প্রচ- আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই মুরব্বিদের কথায় তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বিশ্রামের জন্য হোটেলে গিয়েছিলেন। হায়রে কপাল! আইয়ুববিরোধী আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ প্রতিরোধ, তারপর কত কিছু, ক্লান্ত হয়ে বউ নিয়ে হোটেলে অবকাশে যাওয়ার সময় পেলাম না। আমার নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কত কষ্ট করলেন, কত নির্যাতন ভোগ করলেন ক্লান্ত হয়ে হোটেলে গিয়ে ক্লান্তি দূর করার সুযোগ পেলেন না। ইসলামী আন্দোলনের এ নায়ক কয়েক দিনের আন্দোলনেই ক্লান্ত হয়ে পড়লেন এবং ক্লান্তি দূর করতে কীসব গাঁজাখোরি কথা বলছেন। যা অনেকে সুস্থ মস্তিষ্কে ভাবতেও পারবে না। সেদিন আবার এক ফতোয়া দিয়েছেন স্ত্রীকে খুশি করার জন্য সত্য গোপন করা যায়। নাউজুবিল্লাহ। আল্লাহ এদের কী করবেন তা তিনিই জানেন। আবার কারও কারও মন্তব্যে, রসুল (সা.) তো যুদ্ধের সময় তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে নিয়েছেন। হায় কি নাফরমানি! রসুলে করিম (সা.)-এর সঙ্গে মামুনুল হকের তুলনা! কয়েক দিনের আন্দোলনে ক্লান্ত হয়ে নেতা মামুনুল হক স্ত্রী নিয়ে বিশ্রাম নিতে রিসোর্টে গেলেন। সে আন্দোলনেই তো বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে। তাদের কী হবে? তাদের পরিবার-পরিজনের কী হবে? এটা কি আন্দোলনকারীদের রক্তের সঙ্গে মামুনুল হকের মতো নেতাদের বিশ্বাসঘাতকতা বা বেইমানি নয়?

সত্যিকারে এদের মতো দু-চার জনই আলেমসমাজের বদনাম করে, ইসলামের ক্ষতি করে। জোব্বা-পাগড়ি পরে যে চেহারা দেখায় ভিতরটা অতটা সাদা নয়। যত জোরেই কথা বলুক, কেউ জ্ঞানের ভান্ডার নয়। অনেকে ফাঁকা বুলি আউড়ে ইসলামের বদনাম করে। ব্রিটিশ ভারতে সবাই যখন স্বাধীনতার জন্য উদ্বেল, ব্রিটিশ তাড়াতে ব্যস্ত ‘কানমে বিড়ি মুখে পান/লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান’ সেøাগানে মাতোয়ারা তখন জামায়াতের আমির আবুল আলা মওদুদি ব্রিটিশের পক্ষে জান কোরবান করেছিলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। ঠিক তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে আমরা যখন মুক্তির জন্য রক্তের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম তখন জামায়াতের আমির গোলাম আযম এবং তার দোসররা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানিদের পক্ষে অস্ত্র ধারণ করে কত ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে, কত মানুষ হত্যা, মা-বোনের সম্মান-সম্ভ্রম নষ্ট করেছে। যে অপরাধের জন্য জামায়াতি ধর্মান্ধরা এখনো দেশের কাছে দেশের মানুষের কাছে সর্বোপরি আল্লাহ রব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেনি। মুক্তিযুদ্ধে আলেম নামের এ ধরনের কিছু জালেমের কর্মকান্ডে সমগ্র আলেমসমাজকে কি দুর্দিন আর কি নিন্দাই না শুনতে হয়েছে। বর্তমানে প্রায় সে রকমই। হেফাজতের কিছু কিছু নেতা-কর্মীর কার্যকলাপে সমগ্র আলেমসমাজের বদনাম এবং ইসলামের ক্ষতি হচ্ছে।

এখনো হেফাজতের কেউ কেউ মামুনুল হককে সমর্থন করে যাচ্ছেন। হেফাজত এমন নিন্দনীয় নেতাকে সমর্থন করবে এ নিয়ে কারও মাথাব্যথা থাকার কথা নয়। তিনি ইসলামের ধারক-বাহক সেজে যা যা বলেছেন তা তার নিজের জীবনে ঘটাতে পারেননি। এখন শুনছি তার দুই স্ত্রী নয়, তিন স্ত্রী। একটা, দুইটা, তিনটা, চারটা যা-ই থাকুক পবিত্রতার সঙ্গে থাকা উচিত, লুকোচুরি করে নয়। বিয়েও তো পালিয়ে করা যায় না। বিয়ে করতে সাক্ষী লাগে, কন্যার পক্ষে অভিভাবক লাগে। যদিও এখন রাস্তাঘাট থেকে ধরে এনে অভিভাবক বানিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়, দেশের আইনে সেটা বৈধ হলেও শরিয়ত অনুযায়ী বৈধ নয়। কন্যার পক্ষে প্রকৃত অভিভাবককেই কন্যা দান করতে হয়। যাক, এসব আমার আলোচনার বিষয় নয়। দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণাকে নিয়ে সোনারগাঁ রয়্যাল রিসোর্টে উঠে কেন তিনি আমেনা তৈয়বার নাম লিখলেন? এ জালিয়াতির জন্যই তো তিনি সমাজের চরম কলঙ্ক। পরের কথা ছেড়েই দিলাম। যাক, এসব নিয়ে যাদের মাথা ঘামানোর তারাই ঘামাবেন। আমাদের মাথা ঘামালেই কী আর না ঘামালেই কী। কিন্তু দেশ ও সমাজটা তো একেবারে পচে যাচ্ছে সেটা অস্বীকার করি কী করে।

যত ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের পুলিশের হাত থেকে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেওয়া মস্তবড় এক অশনিসংকেত। কিছুই বলতে চাই না, তবু ঘটনা যেভাবে ঘটেছে তাতে বলতে বাধ্য হতে হয়, এ কি গুরুতর এক মহাষড়যন্ত্রের পূর্বাভাস? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির বাড়িতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছিলেন। শোনা যায় তার আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এটাও কি সে রকম কিছু? কেউ কেউ শামীম ওসমানের ওপর দোষারোপ করছেন। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের লড়াকু সংগঠন মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় তারা কী করল? শামীম বলেছে, সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তাদের শান্ত থাকতে বলা হয়েছিল। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। শামীম ওসমান নেতৃত্বের প্রতি পরম অনুগত রাজনৈতিক কর্মী। তাই নেতৃত্বের নির্দেশ মানাই রাজনৈতিক কর্মীর কাজ। সে কাজ সে করেছে। আমার মনে প্রশ্ন, রয়্যাল রিসোর্টে যে কয়েক ঘণ্টা তর্ক-বিতর্ক, ধস্তাধস্তি হলো সে সময় প্রশাসন কী করেছে? ওসি, এএসপি, এসপি ছিল তারা কী করেছেন? নাকি বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তারা ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছেন। ইচ্ছা করলেই তো পুলিশ প্রশাসন মামুনুল হককে রিসোর্ট থেকে বের করে তার বাড়ি পৌঁছে দিতে পারত অথবা জাল-জালিয়াতি করে অন্য মহিলাকে বউয়ের পরিচয় দিয়ে রিসোর্টে ওঠায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারত। এর কোনোটাই তারা করেননি। প্রশ্ন আসতেই পারে, কেন করেননি? তবে কি যা ঘটেছে তা ঘটার জন্য তারা অপেক্ষায় ছিলেন? সরকারকে বলব, মানুষকে ভোট দিতে না দিয়ে পুলিশের ভোটে সরকার হয়েছেন বলে সব পুলিশই আপনার বা প্রশাসনের সবাই বর্তমান সরকারের অনুরক্ত-আজ্ঞাবহ তেমনটা ভাববেন না। তাই আমার সন্দেহ অত সময় দিয়ে হেফাজতিদের একত্র হয়ে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা কি প্রশাসনই করেছে? সরকারি সংস্থার হাত থেকে আইনের বাইরে কাউকে ছিনিয়ে নিয়ে গেলে সরকারের কি অস্তিত্ব থাকে? জানি, গায়ের জোরে অনেকেই অনেক কথা বলবেন। রিসোর্ট ভাঙচুর করেছে হেফাজতিরা এটা প্রমাণিত সত্য। ওই ঘটনার পর চিহ্নিত অনেক হেফাজতির আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর এসব কীসের আলামত? এ কদিনে এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে মানুষ কি প্রশ্ন করতে পারে না? নিশ্চয়ই পারে। সরকারের হাত থেকে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্য সমাবেশ করে হেফাজত তাদের বিজয়ের উল্লাস করেছে। এরপর আর সরকারের থাকে কী? সব ক্ষেত্রেই জামায়াত আর বিএনপিকে দোষ দিয়ে পায়ের ওপর পা তুলে স্বস্তির ঢেঁকুর তোলা যেতে পারে, কিন্তু বাস্তব তা নয়। তাই এখান থেকে যেভাবেই হোক বেরিয়ে আসতে হবে। মামুনুল হক এবং পরবর্তীতে তার কর্মকান্ডের নিরাসক্ত বিচার করতে হবে। মামুনুল হককে কেন্দ্র করে বা ওই ধরনের কাউকে কাউকে উপলক্ষ করে সমগ্র আলেমসমাজের ওপর দায় চাপানো ঠিক হবে না। এ ব্যাপারেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

 

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
ফের পয়েন্ট খোয়ালো রিয়াল
ফের পয়েন্ট খোয়ালো রিয়াল

এই মাত্র | মাঠে ময়দানে

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াই বিশ্ব সামনে এগোতে পারে: কানাডার প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াই বিশ্ব সামনে এগোতে পারে: কানাডার প্রধানমন্ত্রী

৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় ‘অসাধারণ অগ্রগতি’ হয়েছে: রুবিও
ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় ‘অসাধারণ অগ্রগতি’ হয়েছে: রুবিও

১১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেমন থাকতে পারে আজকের ঢাকার আবহাওয়া
কেমন থাকতে পারে আজকের ঢাকার আবহাওয়া

১১ মিনিট আগে | নগর জীবন

ঢাকা ছাড়লেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা ছাড়লেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

সোমবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
সোমবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

২২ মিনিট আগে | নগর জীবন

নির্বাচনের পর গাম্বিয়ায় পালিয়েছেন ক্যামেরুনের বিরোধী নেতা
নির্বাচনের পর গাম্বিয়ায় পালিয়েছেন ক্যামেরুনের বিরোধী নেতা

২৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল-পশ্চিমাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, হুথি আদালতে ১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
ইসরায়েল-পশ্চিমাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, হুথি আদালতে ১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

৩৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কানাডায় শীতকালীন পিঠা উৎসব
কানাডায় শীতকালীন পিঠা উৎসব

৪১ মিনিট আগে | পরবাস

আগুনে আরও একবার ঘি ঢাললেন রিয়ালের সভাপতি পেরেজ
আগুনে আরও একবার ঘি ঢাললেন রিয়ালের সভাপতি পেরেজ

৪২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ভোট দিতে ১৭ হাজার ৯০০ প্রবাসীর নিবন্ধন
ভোট দিতে ১৭ হাজার ৯০০ প্রবাসীর নিবন্ধন

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

ইউক্রেনকে ফের ‘অকৃতজ্ঞ’ বললেন ট্রাম্প
ইউক্রেনকে ফের ‘অকৃতজ্ঞ’ বললেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে
নিকট ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বৈঠকের পরও ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট মনে করেন মামদানি!
বৈঠকের পরও ট্রাম্পকে ফ্যাসিস্ট মনে করেন মামদানি!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রধান বিচারপতিকে সহযোগিতার আশ্বাস কমনওয়েলথ মহাসচিবের
প্রধান বিচারপতিকে সহযোগিতার আশ্বাস কমনওয়েলথ মহাসচিবের

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মির্জা ফখরুলের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মির্জা ফখরুলের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আজ ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’
আজ ঢাকার বাতাস ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করল ইসরায়েল
হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করল ইসরায়েল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২৪ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি
২৪ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ঈমানদার ও ঈমানহীনদের চোখে ভূমিকম্প
ঈমানদার ও ঈমানহীনদের চোখে ভূমিকম্প

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় খাদ্যের চরম সংকট
যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় খাদ্যের চরম সংকট

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বার্লিনে দূতাবাসের উদ্যোগে পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধন বিষয়ক সেমিনার
বার্লিনে দূতাবাসের উদ্যোগে পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধন বিষয়ক সেমিনার

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৪ নভেম্বর)

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা
ভূমিকম্প প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে বিদেশি সহায়তা

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

৭ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

২১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

২২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

২১ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা