শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২১ আপডেট:

এটা বিড়াল হলে মাংস কোথায় আর মাংস হলে বিড়াল কোথায়?

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
প্রিন্ট ভার্সন
এটা বিড়াল হলে মাংস কোথায় আর মাংস হলে বিড়াল কোথায়?

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনীর একমাত্র পাঠান যোদ্ধা মমতাজ খান পাঠান গত ১১ এপ্রিল বাদ-আসর ইহজগৎ ত্যাগ করেছেন। স্বাধীনতার পর যাকে বঙ্গবন্ধু ভীষণ ভালোবাসতেন, আদর করতেন। আগামী পর্বে তাকে নিয়ে দুই কথা লিখব। তাকে আজিমপুর গোরস্থানে স্ত্রীর পাশে কবর দেওয়া হয়েছে। দয়াময় আল্লাহ তাকে বেহেশতবাসী করুন।

সপ্তাহজুড়ে শুধু কভিড-১৯ আর হেফাজতের মামুনুল হককে নিয়ে আলোচনা। করোনা নিয়ে যা হচ্ছে তা তো হচ্ছেই। দেশ যে কে চালায়, কীভাবে চলে করোনায় তা বোঝা যাচ্ছে না। আমলানির্ভর দেশে যা হওয়ার তাই হয়েছে। আমলারা কখনো পুরোপুরি গণমুখী হতে পারে না, হয়ও না। তাদের প্রধান লক্ষ্য থাকে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা। নিজেদের স্বার্থ রক্ষার বাইরে তারা তেমন কিছুই ভাবে না। আর সরকারি কর্মচারীদের সেসব ভাবার তেমন সুযোগও নেই। মোটামুটি ভালো ছাত্র-ছাত্রী সরকারি আমলা হয়। গরিব হোক আর ধনী হোক মেধাবী হওয়ার কারণে তারা সব সময়ই যথেষ্ট আদরযত্ন পায়। দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনা খুব একটা তাদের গ্রাস করে না। দু-চার জন দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়। তারা ভালো মানুষও হয়। আমলা হলে ভালো আমলাও হয়। কিন্তু সবাই তেমন নয়। আরাম-আয়েশে বড় হওয়ারা সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট খুব একটা বুঝতে পারে না। তাই সাধারণ মানুষের জন্য তারা তেমন কিছু করতেও পারে না। যাদের স্পর্শ করে তারা আমলা হয়েও মানুষের পাশে দাঁড়ায়, মানুষকে সম্মান করে, তাচ্ছিল্য বা অবহেলা করে না। দুর্ভাগ্য, তেমন ভালো মানুষের সংখ্যা খুবই কম। বাংলাদেশের যে প্রশাসনিক ক্যাডার তৈরি হচ্ছে, যারা তাদের তৈরি করছে তারা অনেকেই দক্ষ-যোগ্য নয়। তাই তাদের হাতে যে প্রশাসন তৈরি হচ্ছে সে প্রশাসন কতটা গণমুখী হবে বিরাট চিন্তার বিষয়। আর দেশে যখন রাজনৈতিক-সামাজিক নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব দুর্বল হয়ে আসে তখন আপনা-আপনি আমলাদের ক্ষমতা বাড়ে। ছেলেবেলায় প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর একটা গল্প পড়েছিলাম। খুব সম্ভবত নাসির উদ্দিন হোজ্জার গল্প সেটা। প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁ অনুবাদ করেছিলেন। গল্পটা ছিল : একদিন এক শিক্ষক স্কুলে যাওয়ার সময় দুই সের গরুর মাংস বউকে দিয়ে বলেছিলেন, দুপুরে স্কুল থেকে ফিরে মাংস দিয়ে ভাত খাব। যথারীতি শিক্ষকের বউ চমৎকার করে মাংস রেঁধেছিলেন। হঠাৎই সেদিন বউয়ের বাড়ির আত্মীয়স্বজন এলে শিক্ষকের বউ খুব আনন্দ করে তাদের মাংস ভাত খাওয়ায়। ভাই, বোন, বোনজামাই আসায় শিক্ষকের বউ কিছুটা উতলা হয়ে পড়েছিলেন। বাবার বাড়ির আত্মীয় এলে সব বউয়েরই ‘পাওয়ার’ বাড়ে। শিক্ষকের বউয়েরও পাওয়ার বেড়েছিল। তাই বাপের বাড়ির লোকদের জোর করে ঠুসে ঠুসে মাংস খাওয়াতে খাওয়াতে সব ফুরিয়ে গিয়েছিল। হঠাৎ দেখেন সব শেষ হয়ে গেছে। স্বামী এলে তাকে কী দেবে। শিক্ষকের স্ত্রী তাড়াতাড়ি মাছ, শাকসবজি তরিতরকারি যা ছিল তা তো ছিলই আরও অনেক কিছু দিয়ে অন্যদিনের চাইতে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করেন। দুপুরে স্বামী এলে দেউড়ি থেকে স্বামীকে এগিয়ে এনে হাত-মুখ ধোয়ার পানি এবং হাত-মুখ ধুয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে গামছা এগিয়ে দেয়। এক অনাবিল আনন্দ নিয়ে শিক্ষক খেতে বসে। ভাজা-ভাজি-ভুনা-শাকসবজি এটাওটা অনেক ছিল। মাছই ছিল তিন-চার রকমের। খেতে খেতে শিক্ষকের পেট ভরে আসে। একসময় লজ্জাশরমের মাথা খেয়ে বউকে বলে, বউ! পেট তো ভরে গেল। এক টুকরো মাংস দিলা না। বউ একটা ঝেংটি মেরে বলে,

-              থাকলে কি দিতাম না।

-              থাকলে দিতা না! তার মানে? বাইরবাড়ি তোমার বাপের বাড়ির ইষ্টিদের ভুঁড়ি ভাসিয়ে যে হাঁটাচলা করতে দেখে এলাম তারা খেয়ে ফেলেছে?

-              হায় হায়! তারা খেতে যাবে কেন? তারা কি মাছ-মাংস খায় না?

-              তাহলে দুই সের মাংস দিয়ে গেলাম, এক টুকরাও নেই। কে খেল?

-              কে আর খাবে, ওই যে তোমার পায়ের কাছে বসে মিউ মিউ করে কাঁটা চাবাচ্ছে ওই বিড়াল খেয়েছে।

-              বল কী! আমার এতটুকু বিড়াল দুই সের মাংস খেয়ে ফেলল?

-              তবে আর বলি কী?

শিক্ষকের মাথা ঘুরে যায়। সে খাওয়া ছেড়ে খপ করে বিড়াল ধরে এক দৌড়ে বাইরবাড়ি গিয়ে দোকানদারকে বলে, এই দোকানি! দাঁড়িপাল্লা দাও, দাঁড়িপাল্লা দাও। দোকানি দাঁড়িপাল্লা দিলে শিক্ষক এক পাল্লায় বিড়াল, আরেক পাল্লায় দুই সের পাথর চাপায়। উঁচু করে দেখে সমান সমান। বিস্মিত হয়ে শিক্ষক ছুটে ভিতরবাড়ি যায়। বউকে ডেকে বলে, এই বউ! ২৫ বছর স্কুলে অঙ্কের মাস্টারি করি। কিন্তু এমন তো কোনো দিন দেখিনি দুই সের মাংস খেয়ে বিড়াল দুই সেরই থাকে! বউ, এটা যদি বিড়াল হয় তাহলে মাংস কোথায় আর এটা মাংস হলে আমার বিড়াল কোথায়? বর্তমান অবস্থা কিছুতেই মেলাতে পারিনি। শিক্ষকের মাংস আর বিড়ালের মতো মহা ধান্দায় আছি। কত রাত-বিরাত হেফাজতকে সরকার কত টাকা দিল, কওমিরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে মা ডাকল, তারপর এসব কী? কিছুই বুঝতে পারছি না।

কয়েক বছর ধরে সরকার হেফাজতকে লালনপালন করছে। আমার বোন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ‘কওমি মা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে সেই তারা যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে যা অনেকটা ১৯৭১-এ পাকিস্তানি হানাদারদের ধ্বংসযজ্ঞকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর সংগ্রহশালা, তাঁর স্মৃতিবিজড়িত আঙিনা এভাবে ধ্বংস কল্পনা করা যায়? সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর এমন ভয়াবহ আক্রমণ! এ অশান্তি সহ্য করার মতো নয়। ঠিক তারই মধ্যে হঠাৎ সোনারগাঁয়ে রয়াল রিসোর্টে হেফাজত নেতা মামুনুল হকের এমন নিন্দনীয় কাজ অভাবনীয়। ঘটনাটি নিয়ে সপ্তাহজুড়ে নানা রকম নানা বয়ান শুনছি। মামুনুল হক বলছেন, সঙ্গে যে মহিলা ছিল তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। অথচ আগে কেউ জানতেন না তিনি দুটো বিয়ে করেছেন। যা হোক, দ্বিতীয় স্ত্রী হলেই দোষ কী? ঘটনার সূত্রপাত মামুনুল হক যখন সোনারগাঁ রয়্যাল রিসোর্টে যান তখন স্থানীয় লোকজন এবং আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জটলা পাকায়। একপর্যায়ে তাকে জিজ্ঞেস করে সঙ্গের মহিলা কে। তিনি বলেন, তার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ যা-ই হোক স্ত্রী হলে দোষের কী? লোকজন তার কাছে প্রমাণ চায়, কাবিননামা চায়। আসলে কেউ খুব একটা কাবিননামা সঙ্গে নিয়ে যাতায়াত করে না, সফর করে না। তাই কাবিননামা চাওয়াটা খুব যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয় না। আমার বিয়ের কাবিননামা চাইলে আমিও দিতে পারব না। কারণ আমার বিয়ে হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে। দেশে ফেরার সময় বুদ্ধি করে কাবিননামা আনিনি। আমার বিয়ের উকিল ছিল লতিফ ভাইয়ের ছেলে অনিক সিদ্দিকী। কাবিন ছিল ২৫ হাজার টাকা। সেদিন এক বিয়েতে দেখলাম ১০ লাখের নিচে কাবিন হবে না। আমি তো অবাক! আমার বিয়ের কাবিন ২৫ হাজার টাকা। ১০ লাখই কী আর ২৫ হাজারই কী, আমার স্ত্রী এখন আমার জীবনের অংশ। ছেলেমেয়ে স্বামী নিয়ে তিনি ভালোই আছেন। তার ২৫ পয়সা কাবিন হলেও তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হতো না। সে যাক, জনাব মামুনুল হক রিসোর্টে তার স্ত্রীর নাম লিখেছেন আমেনা তৈয়বা। প্রথম স্ত্রীর নাম লিখে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে হোটেলে বাস- সেও তো এক বেআইনি কাজ। দ্বিতীয় স্ত্রীর নামই তো রেজিস্টারে লিখতে পারতেন, সেটাই ভালো করতেন। আমি সবচাইতে অবাক হয়েছি হোটেলে যাওয়া সম্পর্কে তিনি যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা শুনে। কয়েকদিন প্রচ- আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই মুরব্বিদের কথায় তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বিশ্রামের জন্য হোটেলে গিয়েছিলেন। হায়রে কপাল! আইয়ুববিরোধী আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ প্রতিরোধ, তারপর কত কিছু, ক্লান্ত হয়ে বউ নিয়ে হোটেলে অবকাশে যাওয়ার সময় পেলাম না। আমার নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কত কষ্ট করলেন, কত নির্যাতন ভোগ করলেন ক্লান্ত হয়ে হোটেলে গিয়ে ক্লান্তি দূর করার সুযোগ পেলেন না। ইসলামী আন্দোলনের এ নায়ক কয়েক দিনের আন্দোলনেই ক্লান্ত হয়ে পড়লেন এবং ক্লান্তি দূর করতে কীসব গাঁজাখোরি কথা বলছেন। যা অনেকে সুস্থ মস্তিষ্কে ভাবতেও পারবে না। সেদিন আবার এক ফতোয়া দিয়েছেন স্ত্রীকে খুশি করার জন্য সত্য গোপন করা যায়। নাউজুবিল্লাহ। আল্লাহ এদের কী করবেন তা তিনিই জানেন। আবার কারও কারও মন্তব্যে, রসুল (সা.) তো যুদ্ধের সময় তাঁর স্ত্রীদের সঙ্গে নিয়েছেন। হায় কি নাফরমানি! রসুলে করিম (সা.)-এর সঙ্গে মামুনুল হকের তুলনা! কয়েক দিনের আন্দোলনে ক্লান্ত হয়ে নেতা মামুনুল হক স্ত্রী নিয়ে বিশ্রাম নিতে রিসোর্টে গেলেন। সে আন্দোলনেই তো বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে। তাদের কী হবে? তাদের পরিবার-পরিজনের কী হবে? এটা কি আন্দোলনকারীদের রক্তের সঙ্গে মামুনুল হকের মতো নেতাদের বিশ্বাসঘাতকতা বা বেইমানি নয়?

সত্যিকারে এদের মতো দু-চার জনই আলেমসমাজের বদনাম করে, ইসলামের ক্ষতি করে। জোব্বা-পাগড়ি পরে যে চেহারা দেখায় ভিতরটা অতটা সাদা নয়। যত জোরেই কথা বলুক, কেউ জ্ঞানের ভান্ডার নয়। অনেকে ফাঁকা বুলি আউড়ে ইসলামের বদনাম করে। ব্রিটিশ ভারতে সবাই যখন স্বাধীনতার জন্য উদ্বেল, ব্রিটিশ তাড়াতে ব্যস্ত ‘কানমে বিড়ি মুখে পান/লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান’ সেøাগানে মাতোয়ারা তখন জামায়াতের আমির আবুল আলা মওদুদি ব্রিটিশের পক্ষে জান কোরবান করেছিলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। ঠিক তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে আমরা যখন মুক্তির জন্য রক্তের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম তখন জামায়াতের আমির গোলাম আযম এবং তার দোসররা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে পাকিস্তানিদের পক্ষে অস্ত্র ধারণ করে কত ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে, কত মানুষ হত্যা, মা-বোনের সম্মান-সম্ভ্রম নষ্ট করেছে। যে অপরাধের জন্য জামায়াতি ধর্মান্ধরা এখনো দেশের কাছে দেশের মানুষের কাছে সর্বোপরি আল্লাহ রব্বুল আলামিনের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেনি। মুক্তিযুদ্ধে আলেম নামের এ ধরনের কিছু জালেমের কর্মকান্ডে সমগ্র আলেমসমাজকে কি দুর্দিন আর কি নিন্দাই না শুনতে হয়েছে। বর্তমানে প্রায় সে রকমই। হেফাজতের কিছু কিছু নেতা-কর্মীর কার্যকলাপে সমগ্র আলেমসমাজের বদনাম এবং ইসলামের ক্ষতি হচ্ছে।

এখনো হেফাজতের কেউ কেউ মামুনুল হককে সমর্থন করে যাচ্ছেন। হেফাজত এমন নিন্দনীয় নেতাকে সমর্থন করবে এ নিয়ে কারও মাথাব্যথা থাকার কথা নয়। তিনি ইসলামের ধারক-বাহক সেজে যা যা বলেছেন তা তার নিজের জীবনে ঘটাতে পারেননি। এখন শুনছি তার দুই স্ত্রী নয়, তিন স্ত্রী। একটা, দুইটা, তিনটা, চারটা যা-ই থাকুক পবিত্রতার সঙ্গে থাকা উচিত, লুকোচুরি করে নয়। বিয়েও তো পালিয়ে করা যায় না। বিয়ে করতে সাক্ষী লাগে, কন্যার পক্ষে অভিভাবক লাগে। যদিও এখন রাস্তাঘাট থেকে ধরে এনে অভিভাবক বানিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়, দেশের আইনে সেটা বৈধ হলেও শরিয়ত অনুযায়ী বৈধ নয়। কন্যার পক্ষে প্রকৃত অভিভাবককেই কন্যা দান করতে হয়। যাক, এসব আমার আলোচনার বিষয় নয়। দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণাকে নিয়ে সোনারগাঁ রয়্যাল রিসোর্টে উঠে কেন তিনি আমেনা তৈয়বার নাম লিখলেন? এ জালিয়াতির জন্যই তো তিনি সমাজের চরম কলঙ্ক। পরের কথা ছেড়েই দিলাম। যাক, এসব নিয়ে যাদের মাথা ঘামানোর তারাই ঘামাবেন। আমাদের মাথা ঘামালেই কী আর না ঘামালেই কী। কিন্তু দেশ ও সমাজটা তো একেবারে পচে যাচ্ছে সেটা অস্বীকার করি কী করে।

যত ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে হেফাজতের নেতা-কর্মীদের পুলিশের হাত থেকে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেওয়া মস্তবড় এক অশনিসংকেত। কিছুই বলতে চাই না, তবু ঘটনা যেভাবে ঘটেছে তাতে বলতে বাধ্য হতে হয়, এ কি গুরুতর এক মহাষড়যন্ত্রের পূর্বাভাস? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির বাড়িতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছিলেন। শোনা যায় তার আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এটাও কি সে রকম কিছু? কেউ কেউ শামীম ওসমানের ওপর দোষারোপ করছেন। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের লড়াকু সংগঠন মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় তারা কী করল? শামীম বলেছে, সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তাদের শান্ত থাকতে বলা হয়েছিল। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। শামীম ওসমান নেতৃত্বের প্রতি পরম অনুগত রাজনৈতিক কর্মী। তাই নেতৃত্বের নির্দেশ মানাই রাজনৈতিক কর্মীর কাজ। সে কাজ সে করেছে। আমার মনে প্রশ্ন, রয়্যাল রিসোর্টে যে কয়েক ঘণ্টা তর্ক-বিতর্ক, ধস্তাধস্তি হলো সে সময় প্রশাসন কী করেছে? ওসি, এএসপি, এসপি ছিল তারা কী করেছেন? নাকি বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে তারা ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছেন। ইচ্ছা করলেই তো পুলিশ প্রশাসন মামুনুল হককে রিসোর্ট থেকে বের করে তার বাড়ি পৌঁছে দিতে পারত অথবা জাল-জালিয়াতি করে অন্য মহিলাকে বউয়ের পরিচয় দিয়ে রিসোর্টে ওঠায় আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারত। এর কোনোটাই তারা করেননি। প্রশ্ন আসতেই পারে, কেন করেননি? তবে কি যা ঘটেছে তা ঘটার জন্য তারা অপেক্ষায় ছিলেন? সরকারকে বলব, মানুষকে ভোট দিতে না দিয়ে পুলিশের ভোটে সরকার হয়েছেন বলে সব পুলিশই আপনার বা প্রশাসনের সবাই বর্তমান সরকারের অনুরক্ত-আজ্ঞাবহ তেমনটা ভাববেন না। তাই আমার সন্দেহ অত সময় দিয়ে হেফাজতিদের একত্র হয়ে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা কি প্রশাসনই করেছে? সরকারি সংস্থার হাত থেকে আইনের বাইরে কাউকে ছিনিয়ে নিয়ে গেলে সরকারের কি অস্তিত্ব থাকে? জানি, গায়ের জোরে অনেকেই অনেক কথা বলবেন। রিসোর্ট ভাঙচুর করেছে হেফাজতিরা এটা প্রমাণিত সত্য। ওই ঘটনার পর চিহ্নিত অনেক হেফাজতির আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর এসব কীসের আলামত? এ কদিনে এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে মানুষ কি প্রশ্ন করতে পারে না? নিশ্চয়ই পারে। সরকারের হাত থেকে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্য সমাবেশ করে হেফাজত তাদের বিজয়ের উল্লাস করেছে। এরপর আর সরকারের থাকে কী? সব ক্ষেত্রেই জামায়াত আর বিএনপিকে দোষ দিয়ে পায়ের ওপর পা তুলে স্বস্তির ঢেঁকুর তোলা যেতে পারে, কিন্তু বাস্তব তা নয়। তাই এখান থেকে যেভাবেই হোক বেরিয়ে আসতে হবে। মামুনুল হক এবং পরবর্তীতে তার কর্মকান্ডের নিরাসক্ত বিচার করতে হবে। মামুনুল হককে কেন্দ্র করে বা ওই ধরনের কাউকে কাউকে উপলক্ষ করে সমগ্র আলেমসমাজের ওপর দায় চাপানো ঠিক হবে না। এ ব্যাপারেও সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

 

লেখক : রাজনীতিক।

www.ksjleague.com

এই বিভাগের আরও খবর
তিন রোগের সংক্রমণ
তিন রোগের সংক্রমণ
প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন
প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন
শেষ রাতের সৌভাগ্যবান যারা
শেষ রাতের সৌভাগ্যবান যারা
নফল ইবাদতের মাস মহররম
নফল ইবাদতের মাস মহররম
হরমুজ প্রণালি : যুদ্ধ বন্ধের ‘ট্রাম্প কার্ড’
হরমুজ প্রণালি : যুদ্ধ বন্ধের ‘ট্রাম্প কার্ড’
ইরানে ফের হামলা-প্রস্তুতির যুদ্ধবিরতি!
ইরানে ফের হামলা-প্রস্তুতির যুদ্ধবিরতি!
শিল্প-বাণিজ্যে হতাশা
শিল্প-বাণিজ্যে হতাশা
জাতীয় ঐকমত্য
জাতীয় ঐকমত্য
শ্রেষ্ঠত্ব শুধু তাকওয়ার কারণে
শ্রেষ্ঠত্ব শুধু তাকওয়ার কারণে
ইখলাস মানুষের হৃদয়ে সৃষ্টি হয়
ইখলাস মানুষের হৃদয়ে সৃষ্টি হয়
জনশূন্য চরজমিতে জীবিকা
জনশূন্য চরজমিতে জীবিকা
ওপরে হইচই ভিতরে কী
ওপরে হইচই ভিতরে কী
সর্বশেষ খবর
টরন্টোতে ঋত্বিক ঘটকের শতবর্ষ উদযাপন
টরন্টোতে ঋত্বিক ঘটকের শতবর্ষ উদযাপন

৫২ সেকেন্ড আগে | পরবাস

কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে ইরান: আইএইএ
কয়েক মাসের মধ্যেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন শুরু করতে পারে ইরান: আইএইএ

২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে চেয়েছিলেন আমির
আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে চেয়েছিলেন আমির

১১ মিনিট আগে | শোবিজ

‘সারা দেশের প্রেসক্লাবগুলো এক ছাতার নিচে আনার পরিকল্পনা চলছে’
‘সারা দেশের প্রেসক্লাবগুলো এক ছাতার নিচে আনার পরিকল্পনা চলছে’

১৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা, নিহত ৩
লেবাননে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা, নিহত ৩

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান
ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান

৩৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাজমুল হোসেন শান্তর টেস্ট পরিসংখ্যান
নাজমুল হোসেন শান্তর টেস্ট পরিসংখ্যান

৫৮ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

নারীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৫
নারীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৫

৫৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

গোপালগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
গোপালগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধানকে আর ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা ইরানের
জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধানকে আর ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৬ মাস পর কিউই শিবিরে মিলনে
১৬ মাস পর কিউই শিবিরে মিলনে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় অপুষ্টিতে অন্তত ৬৬ শিশুর মৃত্যু
গাজায় অপুষ্টিতে অন্তত ৬৬ শিশুর মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চাকরি টেকাতে পারলেন না নিস্টলরয়
চাকরি টেকাতে পারলেন না নিস্টলরয়

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৩২ মাস পর নতুন গান নিয়ে ফিরতে প্রস্তুত ‘ব্ল্যাকপিংক’
৩২ মাস পর নতুন গান নিয়ে ফিরতে প্রস্তুত ‘ব্ল্যাকপিংক’

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিতর্কিত আম্পায়ারিং নিয়ে সমালোচনা, শাস্তি পেলেন ড্যারেন সামি
বিতর্কিত আম্পায়ারিং নিয়ে সমালোচনা, শাস্তি পেলেন ড্যারেন সামি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্পের ছেলে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্পের ছেলে

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৯ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৯ জুন)

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্বর্ণের দাম আবার কমলো
স্বর্ণের দাম আবার কমলো

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

উদ্যোক্তাদের আস্থার অভাব শিল্প উৎপাদনকে প্রভাবিত করছে: ঢাকা চেম্বার
উদ্যোক্তাদের আস্থার অভাব শিল্প উৎপাদনকে প্রভাবিত করছে: ঢাকা চেম্বার

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে
ট্রাম্পের ভাঁওতাবাজি এখন ঘাটে ঘাটে আটকে যাচ্ছে

৩ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত অন্তত ৮১
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত অন্তত ৮১

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইতিহাসের পাতায় ইরান
ইতিহাসের পাতায় ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আরবে প্রেরিত পাঁচ নবী-রাসুল
আরবে প্রেরিত পাঁচ নবী-রাসুল

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

নববর্ষে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার প্রত্যয় গ্রহণ করুন
নববর্ষে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার প্রত্যয় গ্রহণ করুন

৪ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

জায়েদ ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর বীরত্ব
জায়েদ ইবনে খাত্তাব (রা.)-এর বীরত্ব

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

‘হিজরি সপ্তাহ ১৪৪৭’ উদযাপন
‘হিজরি সপ্তাহ ১৪৪৭’ উদযাপন

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

৫১ বলে সেঞ্চুরি করে মান্ধানার অনন্য কীর্তি
৫১ বলে সেঞ্চুরি করে মান্ধানার অনন্য কীর্তি

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় আবারও ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৬২
গাজায় আবারও ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৬২

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিগন্যাল অমান্য করে রেললাইনে অটোরিকশা, ট্রেনের ধাক্কায় মা-ছেলের মৃত্যু
সিগন্যাল অমান্য করে রেললাইনে অটোরিকশা, ট্রেনের ধাক্কায় মা-ছেলের মৃত্যু

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাপানে পুরস্কার জিতল ‘নীলপদ্ম’
জাপানে পুরস্কার জিতল ‘নীলপদ্ম’

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ থেকে ৩ পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত
বাংলাদেশ থেকে ৩ পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রতিহতের ঘোষণা উপেক্ষা করে রুমিন ফারহানার জনসভা, মানুষের ঢ্ল
প্রতিহতের ঘোষণা উপেক্ষা করে রুমিন ফারহানার জনসভা, মানুষের ঢ্ল

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের বিমানঘাঁটিতে হাইপারসনিক মিসাইল নিক্ষেপ রাশিয়ার
ইউক্রেনের বিমানঘাঁটিতে হাইপারসনিক মিসাইল নিক্ষেপ রাশিয়ার

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলামী আন্দোলনের ১৬ দফা ঘোষণা
ইসলামী আন্দোলনের ১৬ দফা ঘোষণা

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি: চরমোনাই পীর
জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি: চরমোনাই পীর

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এবার গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে সুখবর দিলেন ট্রাম্প
এবার গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে সুখবর দিলেন ট্রাম্প

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফিলিস্তিন সরকারকে ৩০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান সৌদি আরবের
ফিলিস্তিন সরকারকে ৩০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদান সৌদি আরবের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাধারীদের সুখবর দিল সৌদি আরব
মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসাধারীদের সুখবর দিল সৌদি আরব

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগস্টেই রাজধানীতে নামছে ই-রিকশা
আগস্টেই রাজধানীতে নামছে ই-রিকশা

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পর্যটক টানতে সাগরতীরে রিসোর্ট খুললেন কিম জং উন
পর্যটক টানতে সাগরতীরে রিসোর্ট খুললেন কিম জং উন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানে শীর্ষ কমান্ডার ও বিজ্ঞানীদের রাষ্ট্রীয় জানাজায় মানুষের ঢল
ইরানে শীর্ষ কমান্ডার ও বিজ্ঞানীদের রাষ্ট্রীয় জানাজায় মানুষের ঢল

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মিডিয়াই আমাকে ‘পিয়া জান্নাতুল’ বানিয়েছে, ছেড়ে যেতে চাই না
মিডিয়াই আমাকে ‘পিয়া জান্নাতুল’ বানিয়েছে, ছেড়ে যেতে চাই না

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার নিন্দা জানাল সৌদি আরব
ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার নিন্দা জানাল সৌদি আরব

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশের প্রথম অধিবেশন শুরু
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশের প্রথম অধিবেশন শুরু

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্পের ছেলে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্পের ছেলে

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কালও চলবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’
কালও চলবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’

১৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য নয় : সালাহউদ্দিন
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আমাদের দেশের জন্য প্রযোজ্য নয় : সালাহউদ্দিন

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই পাখির ছানাকে হত্যা
তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই পাখির ছানাকে হত্যা

১৫ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ট্রাম্পের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট
ট্রাম্পের ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সেই আনিসা আজ এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন
সেই আনিসা আজ এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুর্বল ব্যাংকগুলোতে সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
দুর্বল ব্যাংকগুলোতে সাড়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

১৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত
টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিমানবন্দরে ভাল্লুকের তাণ্ডব: ফ্লাইট বাতিল, রানওয়ে বন্ধ
বিমানবন্দরে ভাল্লুকের তাণ্ডব: ফ্লাইট বাতিল, রানওয়ে বন্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

সিরিয়ায় আসাদপন্থী আলাউইদের হত্যা-অপহরণ বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘের
সিরিয়ায় আসাদপন্থী আলাউইদের হত্যা-অপহরণ বন্ধের আহ্বান জাতিসংঘের

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পোড়া গন্ধে মাঝ আকাশ থেকে ফিরে এলো এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট
পোড়া গন্ধে মাঝ আকাশ থেকে ফিরে এলো এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এনবিআর কর্মকর্তারা এতদিন আমাদের জ্বালিয়েছে, এখন সরকারকে: শওকত আজিজ
এনবিআর কর্মকর্তারা এতদিন আমাদের জ্বালিয়েছে, এখন সরকারকে: শওকত আজিজ

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনকে শোকজ
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনকে শোকজ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নারীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৫
নারীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৫

৫৬ মিনিট আগে | নগর জীবন

সেই গোরখোদক মনু মিয়া মারা গেছেন
সেই গোরখোদক মনু মিয়া মারা গেছেন

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধানকে আর ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা ইরানের
জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থার প্রধানকে আর ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা ইরানের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বিল পেতে চাও যদি দাও ঘড়ি কিংবা নারী
বিল পেতে চাও যদি দাও ঘড়ি কিংবা নারী

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির নির্বাচনি কৌশল চূড়ান্ত
বিএনপির নির্বাচনি কৌশল চূড়ান্ত

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা কেমন প্রভাব পড়বে?
ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞা কেমন প্রভাব পড়বে?

পেছনের পৃষ্ঠা

দরজা বন্ধ বাংলাদেশিদের
দরজা বন্ধ বাংলাদেশিদের

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব অবরুদ্ধ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব অবরুদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

দরজা ভেঙে ধর্ষণের অভিযোগে নারীর মামলা
দরজা ভেঙে ধর্ষণের অভিযোগে নারীর মামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

আইসিসিবিতে গাড়িমেলা
আইসিসিবিতে গাড়িমেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

অচল ব্যবসাবাণিজ্য
অচল ব্যবসাবাণিজ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে ব্যবসায়ীদের
পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে ব্যবসায়ীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

মৌর ‘চাইল্ড অব দ্য স্টেশন’
মৌর ‘চাইল্ড অব দ্য স্টেশন’

শোবিজ

প্রয়োজনে আবারও লড়াইয়ে নামব
প্রয়োজনে আবারও লড়াইয়ে নামব

প্রথম পৃষ্ঠা

সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা
সরে দাঁড়ালেন উমামা ফাতেমা

প্রথম পৃষ্ঠা

‘কাঁটা লাগা গার্ল’র ভাগ্য বদলে ছিল যেভাবে...
‘কাঁটা লাগা গার্ল’র ভাগ্য বদলে ছিল যেভাবে...

শোবিজ

হরমুজ প্রণালি : যুদ্ধ বন্ধের ‘ট্রাম্প কার্ড’
হরমুজ প্রণালি : যুদ্ধ বন্ধের ‘ট্রাম্প কার্ড’

সম্পাদকীয়

গাজায় নিহত লাখের বেশি ট্রাম্প বললেন এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতি
গাজায় নিহত লাখের বেশি ট্রাম্প বললেন এক সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

গুরু-শিষ্যের লড়াই ক্লাব বিশ্বকাপে
গুরু-শিষ্যের লড়াই ক্লাব বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

ভেজাল খাদ্যে বাড়ছে মরণব্যাধি
ভেজাল খাদ্যে বাড়ছে মরণব্যাধি

নগর জীবন

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল সমাবেশ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল সমাবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই ইচ্ছাটি এখনো কষ্ট দেয় - সৈয়দ আবদুল হাদী
সেই ইচ্ছাটি এখনো কষ্ট দেয় - সৈয়দ আবদুল হাদী

শোবিজ

চ্যালেঞ্জের মুখে রাজস্ব অর্জন
চ্যালেঞ্জের মুখে রাজস্ব অর্জন

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুরি দেখিয়ে হুমকি প্রধান উপদেষ্টাকে অবশেষে গ্রেপ্তার
ছুরি দেখিয়ে হুমকি প্রধান উপদেষ্টাকে অবশেষে গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

প্যাডেল স্ল্যাম-২৫
প্যাডেল স্ল্যাম-২৫

মাঠে ময়দানে

তারকাদের ভিন্ন প্রতিভা
তারকাদের ভিন্ন প্রতিভা

শোবিজ

রাশেদ-অমিও জিতেছেন মুয়েথাই বেল্ট
রাশেদ-অমিও জিতেছেন মুয়েথাই বেল্ট

মাঠে ময়দানে

ফুটবলে অন্যরকম দিন
ফুটবলে অন্যরকম দিন

মাঠে ময়দানে

জাপানে সেরা রুনার ‘নীলপদ্ম’
জাপানে সেরা রুনার ‘নীলপদ্ম’

শোবিজ

নাজমুলের নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে প্রশ্ন
নাজমুলের নেতৃত্ব ছাড়া নিয়ে প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে

বিশ্বাস করি বাংলাদেশও টেস্টে এগোবে
বিশ্বাস করি বাংলাদেশও টেস্টে এগোবে

মাঠে ময়দানে

মারা গেলেন কিশোরগঞ্জের সেই গোরখোদক মনু মিয়া
মারা গেলেন কিশোরগঞ্জের সেই গোরখোদক মনু মিয়া

পেছনের পৃষ্ঠা