শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

জলবায়ু পরিবর্তন

বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় ঐক্য থাকতে হবে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে বৃহস্পতিবার শুরু হয় দুই দিনের জলবায়ুবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। ভার্চুয়াল এ সম্মেলনে রাশিয়া ও চীনের প্রেসিডেন্ট ছাড়াও যোগ দিচ্ছেন বিশ্বের ৪০টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধান। বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় জোরালো সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তাঁর বক্তব্যে চার দফা দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফেরার ভূয়সী প্রশংসা করে বাংলাদেশ। সীমিত সম্পদ এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ অভিযোজন ও প্রশমনের বৈশ্বিক নেতা হয়ে উঠেছে। প্রতি বছর আমরা জলবায়ু অভিযোজন ও খাপ খাইয়ে নেওয়ার উদ্যোগ হিসেবে প্রায় ৫০০ কোটি ডলার ব্যয় করি। এটি আমাদের জিডিপির প্রায় আড়াই শতাংশ। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। এটি আমাদের ঝুঁকি আরও বাড়িয়েছে। বাংলাদেশ স্বল্প কার্বন উৎপাদনের পথ অনুসরণ করছে। আমাদের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত লক্ষ্য (এনডিসি) ও অভিযোজন লক্ষ্য বাড়াতে আমরা প্রশমন প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান জ্বালানি, শিল্প ও পরিবহন খাতের পাশাপাশি নতুন নতুন খাত অন্তর্ভুক্ত করেছি। বিজ্ঞানীরা বলছেন চলতি দশকই চূড়ান্ত সময়। জলবায়ু সংকটের সবচেয়ে খারাপ পরিণতি এড়াতে এ দশকেই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কভিড-১৯ মহামারী আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে কেবল জোরালো সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব। জলবায়ু সংকটকে স্থায়ী বিপর্যয় থেকে দূরে রাখতে আমাদের বৈশ্বিক উষ্ণায়ন মাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে মধ্যশতাব্দীর মধ্যে আমাদের গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন নিট শূন্য নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ দেশ এটি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সুতরাং মানবতার জন্য জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দ্রুত ও বড় পরিসরে সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর