মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

‘হুজুর কেবলা’রা ছিলেন আছেন থাকবেন

মহিউদ্দিন খান মোহন

‘হুজুর কেবলা’রা ছিলেন আছেন থাকবেন

প্রখ্যাত সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও রাজনীতিক আবুল মনসুর আহমদের ‘হুজুর কেবলা’ গল্পটি অনেকেই পড়ে থাকবেন। ওই গল্পে তিনি আমাদের দেশের একশ্রেণির ভ-, প্রতারক ও ধর্মব্যবসায়ীর চরিত্র অত্যন্ত চমৎকাররূপে তুলে ধরেছেন। গল্পটি এ রকম : বিএ পরীক্ষার্থী এমদাদ একদিন তার সব জামা-জুতা ছিঁড়ে টুকরা টুকরা করে জোব্বা-আলখেল্লা পরিধান করে এক ‘হুজুরের’ মুরিদ হয়ে গেল। দুনিয়াবি সব কায়কারবার থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে সে হুজুরের সেবায় আত্মনিয়োগ করল। এভাবে অনেক দিন গত হলো। একবার হুজুর কেবলা তার এক মুরিদের বাড়িতে তাশরিফ আনলেন। ওই মুরিদের সুন্দরী পুত্রবধূর প্রতি হুজুরের ‘নেকনজর’ পড়ল। তিনি নানা কায়দায় ফতোয়া দিয়ে সবাইকে বোঝালেন যে তাদের আর দম্পতি থাকা উচিত নয়। এলাকার সব মুরিদ হুজুরের কথায় ঠিক ঠিক রব তুলল। অনেক কান্নাকাটি করেও বধূ এবং স্বামী হুজুরের ফতোয়া পরিবর্তন করতে পারল না। অবশেষে তাদের তালাক হলো। এরপর হুজুর কেবলা অসহায় তালাকপ্রাপ্ত নারীকে উদ্ধারের মহৎকর্ম সম্পাদনের লক্ষ্যে ওই তরুণীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলেন। মুরিদরা মহাধুমধামে বিয়ের আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। কিন্তু এমদাদের মনে বিবেকের দংশন শুরু হলো। সে হুজুর কেবলার এই কাজকে মন থেকে মেনে নিতে পারছিল না। বিয়ের দিন হুজুর বর সেজে বসে আছেন। ভিতরবাড়িতে তরুণী বারবার মূর্ছা যাচ্ছে। আর স্বামীটি স্ত্রী হারিয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো আচরণ করছে। এমদাদের আর সহ্য হলো না। সে বিয়ের মঞ্চে গিয়ে হুজুর কেবলার পাগড়ি টেনে ধরে বলল, ‘রে ভ-, পাষ-, তুই নিজের লোভ চরিতার্থ করার জন্য দুটি জীবন ধ্বংস করে দিলি? আমি তোকে ছাড়ব না।’ মুরিদরা ঝাঁপিয়ে পড়ে হুজুরকে এমদাদের হামলা থেকে রক্ষা করল। হুজুর মুরিদদের বললেন, ছেলেটার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ওকে চিকিৎসা দিতে হবে। মুরিদরা এমদাদকে সরিয়ে নিয়ে গেল। হুজুর কেবলা নির্বিঘ্নে তার দায়িত্ব পালন করলেন।

এবার আমার নিজের একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। ১৯৮৫-৮৬ সালের দিকে আমি তখন একটি বেসরকারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত। আমার বস একদিন আমাকে বললেন সন্ধ্যার পর তার সঙ্গে এক জায়গায় যেতে হবে। গেলাম তার সঙ্গে সার্কিট হাউস রোডে পিডব্লিউডির এক ইঞ্জিনিয়ারের বাসায়। গিয়ে দেখলাম সেখানে বেশ কিছু মুসল্লি বসা। আর একটি চেয়ারে বসে হালকা পাতলা চেহারার শ্মশ্রুধারী পাগড়িওয়ালা এক ব্যক্তি ওয়াজ করছেন। পরিচয় জানলাম উনি সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর, নাম মতিউর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন, পেয়েছেন বীরপ্রতীক খেতাবও। জলসা শেষে ‘পীর সাহেবের’ সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দিলেন বস। পীর সাহেব জিজ্ঞেস করলেন আমি ব্যবসা করি কি না। বললাম না, আমি তার ফার্মে চাকরি করি। পীর সাহেবের মুখটা একটু ম্লান হলো। বুঝলাম একজন কর্মচারীর চেয়ে ব্যবসায়ী-বিত্তবান মুরিদ পীর সাহেবের বেশি পছন্দ। সপ্তাহ দুয়েক পর বস আবার আমাকে নিয়ে গেলেন পীর সাহেবের জলসায় (তারা বলতেন ক্লাস)। এবার স্থান খিলগাঁও তালতলার পীর সাহেবের নিজস্ব বাসভবন। সেদিন তার দুটি কাজে আমার খটকা লাগল। প্রথমত, তিনি মুরিদদের একাধিক বিয়ের জন্য উৎসাহিত করলেন। বললেন, স্ত্রী হলো পাওয়ার হাউস। আপনি সেখান থেকে আপনার মানসিক শক্তি বাড়াতে পারবেন। উল্লেখ্য, তখন পীর সাহেব তার ঘরে তিন বিবিকে পালন করছিলেন। দ্বিতীয় যে কাজটি করলেন তা প্রতারণামূলক মনে হলো আমার কাছে। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য বিষয়ে লেকচার শেষ করে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য সম্বন্ধে বলার আগে তিনি তার খাস মুরিদকে বললেন, ‘শহীদুল্লাহ বাহার! ভিতরের মাইকের কানেকশনটা বন্ধ করে দাও।’ অর্থাৎ ভিতরের ঘরে জমায়েত হওয়া স্ত্রীলোকেরা যেন তাদের অধিকারের কথা জানতে না পরেন। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এই পীরের দরবারে আর যাব না। আমার বস পরেরবার আমাকে যেতে বললে আমি বললাম, আমি যাব না। আমার বাবা বেঁচে আছেন। এ মুহূর্তে তিনিই আমার পীর। তাই অন্য কোনো পীরের কাছে যাব না। তিনি একটু মনঃক্ষুণœ হলেও কিছু বললেন না।

দু-তিন বছর পরের ঘটনা। একদিন শুনলাম সেই মেজর পীর ‘মুসলিম মিল্লাত বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠন করেছেন। ওই সময় একদিন মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার উইং কমান্ডার এম. হামিদুল্লাহ খান (অব.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই, মেজর মতিউরকে চেনেন নাকি? তিনি পাল্টা প্রশ্ন করলেন, ওকি এখন জেলে না বাইরে? আমি বললাম, সে তো এখন পীর। তার অনেক মুরিদ আছে। বিস্মিত হামিদুল্লাহ খান তারপর ওই পীরের কাহিনি শোনালেন। সে পলাশ হাউজিং নামে কোম্পানি খুলে প্লট দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। হামিদুল্লাহ খানও প্রতারিতদের মধ্যে একজন। প্রতারণার মামলায় মেজর মতিউরের জেল হয়। এর কয়েক মাস পরই ঘটল সেই পিলে চমকানো ঘটনা। সম্ভবত ১৯৮৯ সালের নভেম্বরে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পীর মেজর মতিউরের বাহিনীর সঙ্গে পুলিশের দুই দিনব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ। তার কয়েক শিষ্য নিহত হয়; তার মধ্যে শহীদুল্লাহ্ বাহার একজন। আহত অবস্থায় গ্রেফতার হন পীর মেজর মতিউর। তারপর আর তার কোনো খোঁজখবর পাওয়া যায়নি। অবশেষে বেরিয়ে এলো তার নানা কুকীর্তির খবর। তার মধ্যে নারী কেলেঙ্কারিও ছিল। শুনেছি এক মুরিদের সুন্দরী স্ত্রীর দিকে হাত বাড়িয়েছিল সে। সেজন্য ওই মুরিদ একদিন পীরকে উত্তমমধ্যমও দিয়েছিল।

তো আবুল মনসুর আহমদ তাঁর গল্পে যে পীর বা হুজুর কেবলার চরিত্র এঁকেছেন, তার অভাব নেই আমাদের সমাজে। বর্তমানেও পীরালি ব্যবসা বেশ জমজমাট আমাদের দেশে। একশ্রেণির বর্ণচোরা মুখোশের আড়ালে নিজেদের কদর্য চেহারাটা লুকিয়ে রেখে সমাজে মর্যাদার আসনে উপবেশন করে। আর আখরাতে ‘দয়াল মুরশিদ’ পার করবেন- এ আশায় সরলমনা মানুষ এদের খপ্পরে পড়ে টাকাপয়সা, ধনসম্পদ, এমনকি নিজের স্ত্রীকেও হারায়। যেমন হারিয়েছে বাগেরহাটের হাফেজ শহীদুল ইসলাম। যাকে সে অন্ধের মতো বিশ্বাস করত, সে-ই তার ঘর ভেঙেছে।

গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের এক রিসোর্টে নারীসহ হেফাজতে ইসলামের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক প্রথমে স্থানীয় জনগণের হাতে অবরুদ্ধ, পরে পুলিশের হাতে আটক হয়। কিন্তু হেফাজত কর্মীরা পুলিশের কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে নেয়। এরপর সে ঘটনা নিয়ে সারা দেশে হয় তোলপাড়। প্রশ্ন ওঠে মামুনুল হকের সঙ্গে থাকা নারী কে? ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে মামুনুল হক মহিলাকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করে। সে ওই মহিলার নাম ‘আমিনা তাইয়্যেবা’ বলে জানায়। ওইদিন রাতেই মামুনুল ও তার স্ত্রীর একটি টেলিফোন সংলাপ মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তাতে শোনা যায় মামুনুল তার স্ত্রীকে বলছে তার সঙ্গে থাকা মহিলা হাফেজ শহীদুল ইসলামের ওয়াইফ। পরিস্থিতির কারণে সে তাকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতে বাধ্য হয়েছে। এ নিয়ে সংবাদ এবং সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরদিন হেফাজতে ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ওই মহিলা মামুনুলের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং আন্দোলনে ক্লান্ত-শ্রান্ত মামুনুল একটু অবকাশ কাটানোর জন্য ওই রিসোর্টে গিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে খবর বেরিয়ে পড়ে, আমিনা তাইয়্যেবা মামুনুলের প্রথমা স্ত্রীর নাম। তার সঙ্গে থাকা মহিলার নাম জান্নাত আরা ঝর্ণা। স্ত্রীর নাম নিয়ে মামুনুলের মিথ্যাচার সবাইকে বিস্মিত করে। প্রথমা স্ত্রীর নাম-পরিচয় রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ভিন্ন একজন মহিলাকে নিয়ে অবকাশযাপন শরিয়তের কোন বিধানসম্মত, এ প্রশ্ন ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের।

সবচেয়ে বড় বোমাটি ফাটায় জান্নাত আরা ঝর্ণার প্রথম পক্ষের ছেলে আবদুর রহমান জামি। সে ৪ এপ্রলি এক ভিডিওবার্তায় তার মা ও বাবার বিবাহবিচ্ছেদের জন্য মামুনুল হককে দায়ী করে। সে বলেছে, মামুনুল হকের মধ্যে কোনো মনুষ্যত্ববোধ নেই। তিনি অসদুদ্দেশ্য পূরণ করতে তার বাবা শহীদুল ইসলাম ও মা জান্নাত আরা ঝর্ণার মধ্যে পরিকল্পিতভাবে দূরত্ব তৈরি করেন। এ ক্ষেত্রে মামুনুল শহীদুলের অন্ধ আনুগত্যকে ব্যবহার করেছেন। জামি তার বক্তব্যে এ ঘটনার জন্য তার বাবাকেও দায়ী করে। সে বলে, ‘এটা আমি বলব যে আমার বাবার কর্মফল। আমার বাবা এই মানুষটাকে অন্ধের মতো বিশ্বাস করত। পাগলের মতো ভালোবাসত। জামি বলেছে, পারিবারিক ঝগড়াঝাঁটির সুযোগ নিয়ে সুকৌশলে মামুনুল তার বাবা-মার মধ্যে ডিসটেন্স বাড়িয়ে দিয়েছে। এভাবে সে একটি পরিবারের খুশি, ভালোবাসা, একটা পরিবারের যে মিলমিশ, একটা সম্পর্ক পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। জামি দেশবাসীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছে কাউকে অন্ধের মতো বিশ্বাস না করতে।

এসব ঘটনার তদন্ত এখন চলছে। তবে এটা পরিষ্কার যে রিসোর্টে যাওয়া মহিলার পরিচয় নিয়ে মামুনুল হক মিথ্যাচার করেছে। প্রকৃত নাম গোপন করে প্রথমা স্ত্রীর নাম রেজিস্টারে লিখে সে প্রমাণ করে দিয়েছে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’। তা ছাড়া ওই মহিলা যদি তার বৈধ স্ত্রী হন তাহলে তো তাকে আলাদা বাসায়ই রাখতে পারত। অবকাশ কাটাতে তাকে নিয়ে রিসোর্টে যেতে হবে কেন?

এদিকে গণমাধ্যমের খবরে নিশ্চিত করা হয়েছে, মামুনুলের এই কথিত দ্বিতীয় বিয়ে সম্বন্ধে তার প্রথমা স্ত্রী, বোন বা পরিবারের কেউই অবগত নন। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া গোপনে আরেকটি বিয়ে করা রাষ্ট্রীয় আইনবিরোধী কাজ। সে বেআইনি কাজটিই করেছে মামুনুল হক। যদিও মামুনুল হক তার এ কথিত বিয়েকে ‘মানবিক বিয়ে’ বলেছে, কিন্তু এর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে চরম অমানবিক এক কাহিনি। সে একটি সংসার ভেঙেছে, নিজের স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করেছে।

ঘটনার রাতে স্ত্রীকে করা মামুনুলের ফোন নিয়ে একটি মহল ধূম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা করে। কিন্তু তার অবসান ঘটায় মামুনুল নিজেই। ৮ এপ্রিল সে ফেসবুক লাইভে এসে জানায়, সোনারগাঁ রিসোর্টে অবরুদ্ধ অবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে করা ফোনালাপ তারই। সে আরও বলে যে স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য সীমিত পরিসরে সত্য গোপন করার অবকাশ আছে। তার এ বক্তব্য জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। একজন ‘আলেম’, যিনি মানুষকে সদা সত্য কথা বলার নসিহত করেন তিনি নিজেই যখন মিথ্যার বেসাতিতে লিপ্ত হন তখন নানা প্রশ্ন না উঠে পারে না। এরই মধ্যে মামুনুলের আরেক বান্ধবীর সন্ধান পায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এই নারীও তালাকপ্রাপ্ত। এ ক্ষেত্রেও মামুনুল তার মানবিক হৃদয়ের কারণে মহিলাকে কেরানীগঞ্জের একটি মহিলা মাদরাসায় শিক্ষকতার চাকরি ও পাশেই একটি বাসা ভাড়া করে দেয়। ওই মহিলার সঙ্গে মামুনুলের কথোপকথন ১১ এপ্রিলের বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত হয়েছে। তা থেকে এটা পরিষ্কার যে তার সঙ্গে মামুনুলের গোপন এবং অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। অবশ্য মহিলার ভাই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এক বছর আগে মামুনুল তার বোনকে বিয়ে করেছে।

কথায় আছে, ‘এক ফোঁটা চনা নষ্ট করে এক মণ দুধ’। সমাজের সব আলেম খারাপ এ কথা বলা যাবে না, বরং বেশির ভাগই ভালো। তবে মাঝেমধ্যে ফেনীর সোনাগাজীর সিরাজউদ্দৌলা আর মামুনুলদের মতো কিছু চরিত্রহীন মুখোশধারীর জন্য গোটা আলেমসমাজকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। প্রায় ৭০ বছর আগে আবুল মনসুর আহমদ তাঁর গল্পে ভ-পীরদের চরিত্র অঙ্কন করে গেছেন। সময় বদলালেও ভ- ‘হুজুর কেবলা’রা শেষ হয়ে যায়নি। ওরা একেক সময় একেক রূপ ধরে আসে। আসতেও থাকবে বোধহয়।

 

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক।

সর্বশেষ খবর