সোমবার, ২৪ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

গ্রীষ্মের দাবদাহ

পানি সংকটে কষ্ট পাচ্ছে মানুষ

গ্রীষ্মের দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দাবদাহের প্রচন্ডতা তুলনামূলকভাবে বেশি। লবণাক্ততার কারণে মাঝারি মাত্রার তাপেও জনজীবনে ভোগান্তি বাড়ছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে বলা হয়েছে, কয়েক দিন ধরে খুলনা ও যশোর অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি আকারের তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে। শনিবার খুলনায় তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত সপ্তাহে খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি। যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রচন্ড গরমে কর্মজীবী মানুষজন পড়েছে সীমাহীন দুর্ভোগে। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কিছুটা প্রশান্তির জন্য মানুষ ছুটছে গাছের ছায়া কিংবা শীতল কোনো স্থানে। তারপরও দুপুরের পর থেকে রাস্তাঘাট ফাঁকা হতে শুরু করে। সারা দিন টানা রোদের পর রাতেও উত্তপ্ত থাকছে ঘরবাড়ি। গরমে ডায়রিয়ার পাশাপাশি জ্বর সর্দিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। গরমের কারণে শিশুরা অসুস্থ হচ্ছে বেশি। হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিলে বৃষ্টি না হওয়ায় খুলনা এলাকায় পানির স্তর আগের বছরের তুলনায় প্রায় চার ফুট বেশি নিচে নেমে গেছে। রাজধানীতেও কয়েক দিন ধরে চলছে ভয়াল দাবদাহ। কখনো কখনো বৃষ্টির ফলে পরিবেশে স্বস্তি এলেও তার স্থায়িত্ব শেষ হচ্ছে রোদ্দুরের ভয়াল আগ্রাসনে। এ বছর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হওয়ায় দেশজুড়ে লুলু হাওয়া থাবা বিস্তার করেছে। সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়লেও তা ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আবির্ভূত হবে কি না সে আতঙ্কও কম নয়। গ্রীষ্মের দাবদাহ জনস্বাস্থ্যের জন্য দারুণ হুমকি হয়ে দেখা দিচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে পানির স্তর নিচে  নেমে যাওয়ায় পানযোগ্য পানির সংকট চরমে উঠেছে।  যা থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টিপাতই এখন বড় ভরসা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর