বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনা পরিস্থিতি

মাস্ক ব্যবহার সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে

দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ থাবা বিস্তার করেছে জোরেশোরে। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে বিপুলসংখ্যক মানুষ; যার বেশির ভাগ সীমান্তবর্তী জেলার অধিবাসী। অনেক জেলায় ভাইরাস শনাক্তের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় করোনায় মৃত্যুবরণকারীর একাংশের নাম তালিকার বাইরে থাকছে। জনসচেতনতার অভাবেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বৃহত্তর খুলনা, রাজশাহীসহ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে দেশজুড়ে করোনা চিকিৎসায় শুধুই সংকট। এ সংকট মোকাবিলায় নেই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও বাস্তবমুখী ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী দেশের ৬৪ জেলার ৩৭টিতেই নেই আইসিইউ। সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট নেই অন্তত ১৭ জেলায়। শুরু থেকেই ছিল টেস্ট ভোগান্তি। তার ইতি টানা সম্ভব হয়নি। বাড়েনি করোনা টেস্টের সংখ্যাও। হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলারও ঘাটতি আছে তৃণমূলের হাসপাতালে। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর হার, শঙ্কা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে ও তা বাড়িয়ে দিচ্ছে। দেশে ১৮ কোটি জনগোষ্ঠীর শতকরা ২ ভাগ মানুষ টিকা দিতে পেরেছে। ব্যতিক্রম বাদে উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে কোনো অক্সিজেন সরবরাহ নেই। সিলিন্ডারের ব্যবস্থা থাকলেও খুবই অপ্রতুল। ওইসব হাসপাতালে রোগীর অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে তাকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্বিতীয় দফায় বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা অনেকাংশে দায়ী। আমরা বারবার বলেছি মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোনোর বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। সেদিকে নজর না দিয়ে লকডাউনের নামে ছুটি পালনের সুযোগ দিয়ে বিপদ ডেকে আনা হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি না চাইলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর