সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

করোনার টিকা

দেশে উৎপাদনের উদ্যোগ নিন

করোনভাইরাসের টিকা সংগ্রহ নিয়ে সংকটে রয়েছে দুনিয়ার প্রতিটি জাতি। বাংলাদেশের মতো নিম্নমধ্য আয়ের জনবহুল দেশের জন্য এ সংকট বেশি হওয়ারই কথা। টিকার চাহিদা পূরণের দুটি পথের একটি হলো দেশেই টিকা উৎপাদন করা। অন্যটি হলো বিদেশ থেকে করোনা প্রতিষেধক টিকা আমদানি করা। দেশে উৎপাদনের জন্যও রয়েছে দুটি পদ্ধতি। এর একটি হলো বৈজ্ঞানিক গবেষণার ওপর ভর করে নিজস্ব টিকা উৎপাদন, অন্যটি যেসব দেশ করোনার টিকা আবিষ্কার করেছে তাদের কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে কিংবা যৌথ ব্যবস্থাপনায় দেশে উৎপাদন করা। বাংলাদেশ প্রথম থেকে টিকা আমদানি করে চাহিদা পূরণের দিকে নজর দেওয়ায় দেশে উৎপাদনের বিষয়টি উপেক্ষিত হয়েছে। এখন প্রয়োজনীয় টিকা সংগ্রহে জটিলতা দেখা দেওয়ায় দেশেই স্বল্প খরচে নিজেদের উদ্ভাবিত টিকা উৎপাদন অথবা চীন রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে বা লাইসেন্স নিয়ে উৎপাদনের বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছে। বাংলাদেশের ওষুধশিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সুনামের সঙ্গে বিশ্বের ১৫১ দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। দেশের সেরা ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্কয়ার, ইনসেপ্টা, বেক্সিমকো, এসকেএফ, অপসোনিন, রেনেটা, হেলথ কেয়ার, এক্মি, এসিআই, অ্যারিস্টোফার্মা, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড ওষুধ রপ্তানি করছে উন্নত দেশগুলোয়। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকটির রয়েছে টিকা তৈরির অভিজ্ঞতা। চীন, রাশিয়ার প্রযুক্তি এনে টিকা উৎপাদনের আলোচনা বেশ কয়েক মাস ধরেই চলছে। রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি ও চীনের সিনোফার্মের টিকা দেশে উৎপাদন নিয়ে আলোচনা সফল হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান টিকা উৎপাদনে আগ্রহও দেখিয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটেরও রয়েছে টিকা উৎপাদনের অভিজ্ঞতা। দেশে টিকা উৎপাদন হলে সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। বাঁচবে বৈদেশিক মুদ্রা। জীবন-জীবিকাও হুমকি থেকে রক্ষা পাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর