শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১

সবকিছু নষ্টদের দখলে যাবে!

সৈয়দ বোরহান কবীর
প্রিন্ট ভার্সন
সবকিছু নষ্টদের দখলে যাবে!

নেলসন ম্যান্ডেলার এ সাক্ষাৎকারটি ১৯৯৪ সালে নেওয়া। সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন উইনফ্রে অপেরাহ। দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচনে বিপুল বিজয়ী হওয়ার পর সবে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। দীর্ঘ এ সাক্ষাৎকারে অপেরাহ জানতে চান, একটি জাতিরাষ্ট্রের উত্তরণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তার কাছে কী? নেলসন ম্যান্ডেলা জবাব দিলেন, চারটি। প্রথম দরকার যোগ্য শিক্ষক। যারা নাগরিকদের গড়ে তুলবেন। দ্বিতীয়, সৎ এবং নেতৃত্ব দিতে সক্ষম রাজনীতিবিদ। যারা দেশকে ঐক্য এবং উন্নয়নের পথে নিয়ে যাবেন। তৃতীয়ত, নিবেদিতপ্রাণ সংস্কৃতি কর্মী। যারা আমাদের সংস্কৃতিকে বিদেশি আগ্রাসন থেকে রক্ষা করবেন। চতুর্থত, দেশপ্রেমিক সুশীলসমাজ (সিভিল সোসাইটি) যারা নির্মোহ এবং পক্ষপাতহীনভাবে রাষ্ট্রের বিবেক হিসেবে কাজ করবেন। ম্যান্ডেলার এ সাক্ষাৎকারটি নতুন করে আবার পড়লাম। পড়লাম, একজন অধ্যক্ষের খিস্তি শুনে। আমার এক বন্ধু যখন এটা প্রথম পাঠাল তখন অডিও ক্লিপটি শুনতে গিয়ে একটু ধন্ধে পড়ে গেলাম। কে এসব নোংরা, কুৎসিত, অরুচিকর ভাষায় কথা বলছেন। এ যেন কলতলার অশালীন ঝগড়াকেও হার মানায়। পরে জানলাম উনি দেশের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার। অভিভাবক ফোরামের একজন উপদেষ্টার সঙ্গে তার প্রলাপ কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে পুরোটা শোনা সম্ভব নয়। ওই অধ্যক্ষ বলছেন, ‘আমি কিন্তু গুলি করা মানুষ। রিভলবার নিয়ে ব্যাগে হাঁটা মানুষ।’ কী সাংঘাতিক! ভিকারুননিসায় এখন অস্ত্র চালানো শিক্ষা দেওয়া হয় নাকি। এত দিন শুনতাম ‘তলোয়ারের চেয়ে কলম শক্তিশালী’। এখন এই অধ্যক্ষ কী শেখাচ্ছেন, কলম-টলম সব ফালতু। আসল ক্ষমতা অস্ত্রের। এই অধ্যক্ষ বলেছেন, ‘রাস্তার মধ্যে পিটাইয়া কাপড় খুইলা ফেলব’! এসব কথা শুনে আমার দম বন্ধ হয়ে গেল।

আমার মা কিছুদিন আগে আমাদের ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে গেছেন। ৩৭ বছর রংপুরে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। কোনো দিন তাঁর কোনো ছাত্রীকে একটা গালি দিতে শুনিনি। এই ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ ছিলেন হামিদা আলী। আমি তখন ‘পরিপ্রেক্ষিত’ অনুষ্ঠান করি। ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেধাবী মেয়েরা কেন ফেল করে এ নিয়ে আচমকাই আমরা তাঁর সাক্ষাৎকার নিতে গেলাম। কি বিনয়ী, কি ঋদ্ধ, পরিশীলিত একজন শিক্ষক। সেই প্রতিষ্ঠানে এ রকম একজন অধ্যক্ষ নিয়োগ পান কীভাবে? রাজনৈতিক বিবেচনায়? রাজনৈতিক বিবেচনায় অধ্যক্ষ এবং উপাচার্য নিয়োগের যে কি ভয়ংকর প্রভাব আমাদের শিক্ষার ওপর পড়ছে তা কি আমরা কল্পনা করি। আমরা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি তখন শিক্ষক ছিলেন সরদার ফজলুল করিম, রঙ্গলাল সেন, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কামরুদ্দিন আহমেদ (আমাদের আইন অনুষদের ডিন ছিলেন)। তাঁরা শুধু শিক্ষক ছিলেন না, একেকজন ছিলেন একটি করে প্রতিষ্ঠান। জ্ঞানভান্ডার। এখন যখন শুনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দুর্নীতির কাহিনি তখন শিউরে উঠি। এক উপাচার্য দায়িত্ব পালনকালে নিজের কর্মস্থলে ছিলেন মাত্র কয়েকদিন। তাঁর এসব কেচ্ছা-কাহিনি শুনে লজ্জায় গুটিয়ে যাই, কারণ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্যের গণনিয়োগ নিয়ে লিখতে আর রুচি হয় না। এখন বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি-বেসরকারি কলেজে নিষ্ঠাবান, যোগ্য শিক্ষক কজন আছেন? শিক্ষক লীগ হয়েছে কি না জানি না। হলেও অবাক হব না।

শিক্ষার যখন এই হাল তখন নতুন রাজনীতিবিদরা কীভাবে গড়ে উঠবে? তারা কলতলার খিস্তি বলবে, নয় তো পিস্তল নিয়ে ঘুরবে। ছাত্র সংসদগুলোর নির্বাচন হয় না। ডাকসুর এক নির্বাচন প্রমাণ করে দিল শিক্ষকরা এখন আর অভিভাবক নন, রাজনৈতিক দলের ক্যাডার। ছাত্র রাজনীতি নির্বাসনে। কাজেই তরুণ নেতৃত্বের পাইপলাইন বন্ধ। ফলে রাজনীতিতে ঢুকে পড়ছে পাপিয়া, সাহেদ আর হেলেনারা। হেলেনা জাহাঙ্গীর। আওয়ামী লীগের নেতা হয়েছেন ম্যাজিকের মতো। একেবারে উড়ে এসে জুড়ে বসা। হেলেনা কার সঙ্গে নেই? দেখলাম বেগম জিয়ার সঙ্গে তার ছবি। প্রয়াত জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সঙ্গেও তার ছবি। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গেও তার যুগলবন্দী ছবি দেখলাম। বাঃ! সেই হেলেনা আবার নতুন দোকান খুলেছিলেন ‘চাকরিজীবী লীগ’ নামে। আমি জানি হেলেনাকে নিয়ে হইচই কদিন পর মিইয়ে যাবে। যাবেই তো, কারণ কত হেলেনা, কত পাপিয়া, কত সাহেদ আওয়ামী লীগে এখনো প্রবল প্রতাপ নিয়ে আছে কে জানে? এরাই আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ হয়তো। আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরীদের রাজনৈতিক অধ্যায় শেষ প্রান্তে। রাজপথের আন্দোলনের কর্মী, আদর্শে অবিচল, ত্যাগী, দুঃসময়ের কান্ডারিরা এখন কোণঠাসা হতে হতে মৃতপ্রায়। কান পাতলেই তাদের কান্না শোনা যায়। শেখ হাসিনার পর আওয়ামী লীগ তাহলে গার্মেন্ট ব্যবসায়ী আর দুর্বৃত্ত লুটেরাদের হাতে চলে যাবে? শুধু আওয়ামী লীগের এ দুরবস্থা নয়। সব রাজনৈতিক দলই দখল করে নিচ্ছে লুটেরা, ‘নষ্ট’রা। বিএনপিতে এখন পদবাণিজ্য, কমিটি বাণিজ্য ওপেন সিক্রেট। বাম দলগুলো রুগ্ন, নিঃস্ব। ইসলামী দলগুলো তো এখন দুর্নীতি এবং লাম্পট্যে মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোকেও পরাজিত করেছে। কিছুদিন আগে মামুনুল হকের লাম্পট্যের যে উপাখ্যান জনসমক্ষে এসেছে তা তো পর্নোগ্রাফিকেও হার মানিয়েছে। তার মানে, গোটা রাজনৈতিক ব্যবস্থাই এখন দুর্বৃত্তরা ঘিরে ফেলেছে। ব্যাপারটা নষ্টদের দখলে চলে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ভালো না, বিএনপি আরও খারাপ, অন্যরা রুগ্ন, না হয় জঘন্য। সৎ এবং নেতৃত্ব দিতে সক্ষম রাজনীতিবিদ কোথায়?

নেলসন ম্যান্ডেলার মতে, জাতি বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ তৃতীয় বিষয় হলো সাংস্কৃতিক শক্তি। যাদের হাত ধরে আমাদের সংস্কৃতি নিজস্ব শক্তিতে বিকশিত হবে। বিদেশি আগ্রাসন রুখবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম হাতিয়ার ছিল আমাদের সংস্কৃতি। মুক্তিযুদ্ধের গান এখনো আমাদের শিহরিত করে। স্বাধীনতার পর সংস্কৃতির ধারাটা আমরা শক্তিশালী রাখতে পেরেছিলাম নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও। মঞ্চনাটক, টেলিভিশন নাটক আমাদের সংস্কৃতির ভিতরের শক্তিকে বারবার প্রমাণ করেছে। গ্যালিলিও, পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়, নূরুলদিনের সারা জীবন, মুনতাসীর ফ্যান্টাসি, কেরামত মঙ্গলের মতো অসাধারণ সব মঞ্চনাটক আমাদের সংস্কৃতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। মঞ্চ থেকে প্রাণশক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশন। হুমায়ুন ফরীদি, সুবর্ণা মুস্তাফা, আসাদুজ্জামান নূর, প্রয়াত আলী যাকের, ফেরদৌসী মজুমদার, আফজাল হোসেন, রাইসুল ইসলাম আসাদ মঞ্চ থেকে উঠে আসা তারকা। রক্তকরবী, সংশপ্তক, বাবার কলম কোথায়, পারলে না রুমকীর মতো নাটক বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন ঠেকিয়েছে প্রবলভাবে। এরপর বাংলা নাটকের হুমায়ূন যুগের সূচনা হয়। একের পর নাটক লিখে, পরিচালনা করে হুমায়ূন আহমেদ আমাদের মধ্যবিত্তের সাংস্কৃতিক মানস গড়েছেন নিপুণ হাতে। কিন্তু তারপর নাটক এবং আমাদের সংস্কৃতিও চলে গেল দুর্বৃত্তদের হাতে। নষ্টদের হাতে সংস্কৃতি আর সংস্কৃতি থাকল না। এখন অধিকাংশ নাটকের সংলাপ অনেকটা ওই অধ্যক্ষের কথার মতোই। গান, চলচ্চিত্র তো গেছে বহু আগেই, নাটকও গড্ডলিকা প্রবাহে নামতে থাকল। যার সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হলো ‘ঘটনা সত্যি’ নাটক। ‘ঘটনা সত্যি’র মতো নিম্নমানের, অরুচিকর এবং আপত্তিকর নাটক কিন্তু হঠাৎ করেই হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে মানহীন, গল্পহীন, উদ্ভট সংলাপের নাটকের অনিবার্য ফল হলো ‘ঘটনা সত্যি’। এ নাটকটি নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংস্কৃতি কর্মীরা এ নাটকের সমালোচনায় মুখর। কিন্তু প্রশ্ন হলো, একটি নাটক নির্মাণে অনেক ধাপ পেরোতে হয়। এতগুলো ধাপ পেরিয়ে ‘ঘটনা সত্যি’ আলোর মুখ দেখল কীভাবে? তা ছাড়া নাটকটি আগে ইউটিউবে প্রচার হয়নি। দেশের প্রথম ‘ডিজিটাল টেলিভিশন’ পরিচয়দানকারী একটি বেসরকারি টেলিভিশনে এটি প্রথম প্রচারিত হয়েছে। একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অবস্থা কি এত দেউলিয়া যে যা খুশি অবলীলায় প্রচার করা যায়? অবশ্য আজকাল নাকি নাটকের কোনো পান্ডুলিপিই থাকে না। অভিনয়শিল্পীদের একত্রিত করে যা খুশি বলার নামই নাটক। কদিন আগে একটি প্রভাবশালী মিডিয়া হাউস নেটফ্লেক্স, প্রাইম ভিডিও, জি-৫, হইচই-এর আদলে একট ওটিটি প্ল্যাটফরম চালু করেছে। ১২ জুলাই বেশ ঢাকঢোল পিটিয়ে ‘চরকি’ নামের ওই ওটিটি প্ল্যাটফরমটি চালু হলো। নেটফ্লেক্স, প্রাইম দেখতে দেখতে ক্লান্ত এবং বাংলা কনটেন্টের জন্য তৃষ্ণার্ত দর্শক, গাঁটের পয়সা দিয়ে চরকির মেম্বার হলো। উদ্বোধনী দিনে দেখানো হলো ‘মরীচিকা’। ছাত্রদল নেতা গোলাম ফারুক অভি এবং মডেল তিন্নির প্রেম এবং মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ওই নাটক। নাটকের মান, সংলাপ, যৌনতা ইত্যাদি নিয়ে কথা বলতে চাই না। এটি বোদ্ধা, সমালোচকরা মূল্যায়ন করবেন। কিন্তু নাটকের শেষটায় গিয়ে ভিরমি খেলাম। একজন হত্যাকারী, সন্ত্রাসীকে বিদেশে পালাতে বাধ্য করায় পুরস্কৃত হলেন পুলিশ কর্মকর্তা (সিয়াম)। ওমা! পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ কি তাহলে অপরাধীকে দেশত্যাগে বাধ্য করা? তাহলে অপরাধীদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় কেন? পি কে হালদার কীভাবে পালাল তা নিয়ে হুলুস্থুল হলো কেন? দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যঙ্গ করার জন্যই কি এটা করা হয়েছে? অনন্য মামুনকে যদি পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্টের অপরাধে জেলে যেতে হয়, একই অপরাধে চরকির কর্তাদের, এই নাটকের পরিচালক শিহাব শাহীন কেন স্পর্শহীন থাকবেন? এ চরকিতেই ঈদের দিন প্রচারিত হলো আরেক অখাদ্য ‘ইউ টিউমার’। অর্থাৎ আমাদের সংস্কৃতির চাবিও চলে গেছে দুর্বৃত্তদের হাতে। নষ্ট মানুষের হাতে আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতির নিপুণ নিধন চলছে এখন। আফ্রিকার মুক্তির নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা, জাতিরাষ্ট্রের বিকাশ চতুর্থ বিষয় হিসেবে দেশপ্রেমিক সুশীলসমাজের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। আমাদের সুশীলসমাজ নিজেদের কর্মকান্ড এমন এক খেলো পর্যায়ে নিয়ে গেছেন যে ‘সুশীল’ এখন একটি গালিতে পরিণত হয়েছে। নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছেন, সুশীলদের হতে হবে দেশপ্রেমিক, পক্ষপাতহীন এবং রাষ্ট্রের বিবেক। আমাদের সুশীলরা এখন মোটামুটি তিন ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষ যারা সরকারের কাছ থেকে কিছু পেয়েছে। মূলত চারটি ‘প’-এর যে কোনো একটি পাওয়ার আশায় তারা নির্লজ্জ পদলেহন করে ক্ষমতাসীনদের। পদ, পদক, প্লট এবং পয়সা। আরেক পক্ষ, যারা সরকারের নেকনজরে পড়েনি তারা বিরোধী পক্ষ। এরা বিএনপি-জামায়াতপন্থি বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত। মোটা দাগে এরা আওয়ামী লীগবিরোধী। এর বাইরে এক তৃতীয় পক্ষ রয়েছে। যারা দেশের চেয়ে বিদেশিদের আস্থাভাজন হতে পছন্দ করে। বাংলাদেশকে নোংরা, আবর্জনাময়, দূষিত দেখিয়ে এরা শান্তি পায় সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ সম্পর্কে নানা নেতিবাচক তথ্য দিয়ে, বিশ্বে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি নেতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করে। সম্প্রতি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি অ্যামনেস্টির প্রতিবেদনে যেভাবে ভয়ংকর করে দেখানো হয়েছে, আসলে কি বাংলাদেশের পরিস্থিতি তেমন? ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোয় মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রকৃত চিত্র কি অ্যামনেস্টি তুলে ধরতে পারবে? একটু খোঁজ নিলে দেখা যায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বা ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার’-কে এসব তথ্য দেয় সুশীল নিয়ন্ত্রিত কিছু দোকান। উন্নয়ন সংস্থা, মানবাধিকার সংগঠনের নামে কিছু প্রতিষ্ঠানের কাজই হলো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পরিস্থিতি ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে ভয়াবহ করে দেখানো। এতে এনজিওদের জন্য ফান্ড আসে। বাংলাদেশে দুর্নীতি নেই এ কথা কেউ বলবে না। কিন্তু ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রতি বছর বাংলাদেশের যে অবস্থান দেখায় তা অতিরঞ্জিত। আমাদের সুশীলদের একটি বড় অংশই এ রকম দেশপ্রেমবিবর্জিত তথ্য পাচারে সরাসরি জড়িত। একটা সময় বাংলাদেশকে ক্ষুধা-দুর্ভিক্ষ পীড়িত দেখিয়ে বিদেশ থেকে অনুদান আনা হতো। সে অনুদানের টাকায় এনজিও কর্তারা দামি পাজেরো গাড়িতে গ্রাম-গ্রামান্তরে দরিদ্র নির্মূল নিয়ে নিরীক্ষায় যেতেন। মাঝে কিছুদিন এইচআইভি (এইডস) ব্যবসা রমরমা চলল। একটি এনজিও বলেছিল এইচআইভিতে নাকি বাংলাদেশের অবস্থা আফ্রিকার মতো হবে। বাস্তব পরিস্থিতি তার ধারেকাছে যায়নি। এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলো এবং সুশীলদের বড় বাণিজ্য হলো রোহিঙ্গা, মানবাধিকার আর দুর্নীতি। বাংলাদেশকে যত কলঙ্কিত করা যাবে ততই ফান্ড আসবে। দেশপ্রেমবিবর্জিত এ সুশীলসমাজও নষ্টদের দখলে। এই সুশীলদের বাঁচিয়ে রাখার মহান দায়িত্ব নিয়েছেন বিরাজনীতিকরণের মুখপাত্র একটি ইংরেজি ও একটি বাংলা দৈনিকের সম্পাদক। এ দুই দৈনিকের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে নষ্ট সুশীলদের একটা সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এ সিন্ডিকেটে লক্ষণীয়ভাবে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির অবস্থান দৃশ্যমান। রাজাকারের সন্তান হয়ে গেছে পরিবেশবাদী। এদের চোখে সব খারাপ। এরা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে উপস্থাপনের এক প্রাণান্ত চেষ্টায় লিপ্ত। ২৩ জুলাই এক বৈরী পরিবেশে টোকিওতে অলিম্পিকের উদ্বোধন হলো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘অলিম্পিক লরেল’ পেলেন বাংলাদেশের একমাত্র নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আমি বোঝার চেষ্টা করলাম কেন ড. ইউনূস ‘অলিম্পিক লরেল’-এ ভূষিত হলেন। সাধারণত ক্রীড়া ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য ২০১৬ সাল থেকে এ সম্মান দেওয়ার প্রথা চালু হয়। ড. ইউনূস ক্রীড়া ক্ষেত্রে কী অবদান রাখলেন তা নিয়ে নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে গবেষণা হবে। এ সময় অনেকেই আর্তনাদ করলেন। বিদেশে ড. ইউনূসের এত সম্মান। দেশে আমরা তাঁকে এতটুক সম্মান দিতে পারি না কেন? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমার ১৯৯৭ সালে গ্রামীণফোনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দৃশ্যটা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। মঞ্চে প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা উঠবেন। না, তিনি উঠলেন না। দাঁড়ালেন। ড. ইউনূসকে আগে উঠতে দিলেন। ওই অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস বললেন, ‘গ্রামীণফোনের লাইসেন্স পেতে এক কাপ চা কাউকে খাওয়াতে হয়নি।’ তারপর? আমি জানতে চাইব না, গরিব মানুষের জন্য ‘পল্লীফোন’ কোথায় গেল? গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানা কি সত্যি গরিব মানুষের কাছে? ২০০৬ সালে নোবেল পেয়ে কেন ড. ইউনূস নতুন দল করলেন? ওয়ান-ইলেভেনে তিনি কী করেছিলেন? হিলারি কেন ড. ইউনূসের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে তদবির করবেন? গ্রামীণ ব্যাংকের এমডির চাকরির বয়সসীমাটা ড. ইউনূস কেন আগে ঠিক করে নেননি (গ্রামীণ ব্যাংকের আইনটা তো তারই করা)? এসব প্রশ্ন করে ড. ইউনূসের অর্জনকে খাটো করতে চাই না। কিন্তু আমি অবশ্যই জানতে চাই ড. ইউনূস এ দেশের দুর্যোগে-বিপদে কখনো থাকেন না কেন? টিকা সংকটের সময় তিনি বাংলাদেশের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টিকা চেয়ে আবেদন করলেন না কেন? আইলা, সিডরে ড. ইউনূস কোথায় থাকেন। করোনাকালে ড. ইউনূস নিজের দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ালেন না কেন? এ দেশের পবিত্র মাটিতেই ড. ইউনূস বিকশিত হয়েছেন। এ দেশের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা কেন নেই। ভারতের নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন মোদি সরকারের হাতে নিগৃহীত। কিন্তু তাতে কি ড. সেন দেশকে উপেক্ষা করেছেন। ভারতের করোনায় ড. সেনের প্রতীচি ফাউন্ডেশন কী ব্যাপক কাজ করেছে একটু দেখুন। একজন পন্ডিত, বিশ্বখ্যাত মানুষ যদি দেশের দুঃসময়ে নীরব-নিথর মূর্তি হয়ে যান তখন কি তিনি জাতিরাষ্ট্রের বিকাশের শক্তি থাকেন? সন্তান বিশ্বখ্যাত হয়ে যদি নিজের গরিব বাবা-মায়ের খোঁজ না নেয়, তাদের পরিচয় দিতে কুণ্ঠাবোধ করে তাহলে সেই সন্তানের মূল্য কী?

নেলসন ম্যান্ডেলাকে দিয়ে শুরু করেছিলাম। জাতিরাষ্ট্র বিনির্মাণে যে চার যন্ত্রের কথা তিনি বলেছিলেন বাংলাদেশে সেই চারটি খুঁটিতেই ঘুণ ধরেছে। উইপোকা খেয়ে ফেলছে। ফলে সবকিছু চলে যাচ্ছে নষ্টদের দখলে। নষ্ট আবর্জনা সরিয়ে ফেলতে আরেকটি যুদ্ধ আজ অনিবার্য।

 

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত।

ইমেইল :  [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
ভূমিকম্প ও কেয়ামত
স্বাধীন বিচার বিভাগ
স্বাধীন বিচার বিভাগ
আবারও ভূমিকম্প
আবারও ভূমিকম্প
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
ভূমিকম্পের বড় বিপদ সামনে
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
একটি মৃত সরকারের পুনর্জীবন
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
রাজনীতিতে অবিশ্বাস ও শত্রু-মিত্র খেলা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
সর্বশেষ খবর
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার
ভাত রান্নার আগে যে কাজ করলে বাড়বে না সুগার

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত
বনশ্রীতে ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল
এজের হ্যাটট্রিকে টটেনহ্যামকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ
মুমিনের প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান
বাবরের রেকর্ড ও উসমানের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে পাকিস্তান

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা
সিংহের নতুন গর্জনভঙ্গি আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক
ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানি স্পিনারের হ্যাটট্রিক

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল
সুপার ওভারে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনাল

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?
মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে সু-৫৭, রাশিয়া কি চায়?

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক
বগুড়ায় নববধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা,স্বামী আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স
উৎক্ষেপণে নতুন মাইলফলক পেরোল স্পেসএক্স

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা
বুড়িচংয়ে উপজেলা বিএনপির যৌথ সভা

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭
ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৭

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে মান্নানের গণসংযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি কার স্বার্থে?

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!
চাপ বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র, একাই লড়তে হবে ইউক্রেনকে!

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
পাকিস্তানকে ১২৫ রানে থামিয়ে শিরোপার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর
৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে ৪ তলা ভবনের ওপর

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
রেলপথ অবরোধ, ৫ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত
নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে মিলল রহস্যময় বরফগুচ্ছের ইঙ্গিত

৫ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম
ফের আলোচনায় মডেল মেঘনা আলম

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান

১৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল
রণবীরের সঙ্গে ট্রাম্পের হবু পুত্রবধূর নাচের ভিডিও ভাইরাল

১৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ
সাবেক এমপি এসএ খালেকের ছেলে সাজুকে বিএনপির শোকজ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এলাকার মাটিতে ফাটল থেকে নমুনা সংগ্রহ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা

১৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন
সিলেটে ভেঙে ফেলা হবে ২৩টি ভবন

১৫ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

১২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু

১৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়
বাংলাদেশ ও ভূমিকম্প ঝুঁকি, আর্থিক প্রভাব ও করণীয়

১৯ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ
এই সময়ে গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ বন্ধ রাখা শ্রেয়, ফেসবুকে আবহাওয়াবিদ পলাশ

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২৩ নভেম্বর)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলায় কী পরিস্থিতি হবে, বলা যায় না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ১০ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

হেডের বিধ্বংসী ইনিংসে বড় ক্ষতি অস্ট্রেলিয়ার
হেডের বিধ্বংসী ইনিংসে বড় ক্ষতি অস্ট্রেলিয়ার

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা
স্মার্ট পণ্য ব্যবহারে যত সুবিধা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত
মিরপুরের উইকেট ছিল প্রাণবন্ত

মাঠে ময়দানে

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা
যুদ্ধবিমান রপ্তানির স্বপ্নে বড় ধাক্কা

পূর্ব-পশ্চিম

দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা
দুই দিনে টেস্ট জিতে অস্ট্রেলিয়ার লোকসান ২৪ কোটি টাকা

মাঠে ময়দানে

শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটি থামিয়েছি : ট্রাম্প
শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটি থামিয়েছি : ট্রাম্প

পূর্ব-পশ্চিম

অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের
অভিবাসীবাহী নৌকা ঠেকাতে বিশেষ পরিকল্পনা ফ্রান্সের

পূর্ব-পশ্চিম

টাইটানিক যাত্রীর ঘড়ি নিলামে বিক্রি
টাইটানিক যাত্রীর ঘড়ি নিলামে বিক্রি

পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা
বাংলাদেশের প্রথম নারী সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা

মাঠে ময়দানে

আজকের প্রশ্ন
আজকের প্রশ্ন

মাঠে ময়দানে