শিরোনাম
সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সাইবার অপরাধ

সরকারকে কঠোর হতে হবে

দেশ এখন এক অঘোষিত সাইবার যুদ্ধের শিকার। সরকারের তথ্যপ্রযুক্তিগত সক্ষমতায় সীমাবদ্ধতা থাকায় সে দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধী চক্র। বিশেষত যুদ্ধাপরাধী ও আগুনসন্ত্রাসের কুশীলবরা দেশে ও বিদেশে বসে বাংলাদেশবিরোধী ভয়ংকর তৎপরতা চালাচ্ছে। এ জন্য ভাড়া করা হয়েছে সাইবার সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের চিহ্নিত করার পরও নানা সীমাবদ্ধতার কারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার করে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বঙ্গবন্ধু পরিবার, সরকার, বিচার বিভাগ ও দেশের বিরুদ্ধে চালাচ্ছে চিহ্নিত সাইবার অপরাধী চক্রের সদস্যরা। বেপরোয়াভাবে প্রতিনিয়ত বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে তারা। সরকার সংশ্লিষ্টদের একাংশের দায়হীন অবস্থানের কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনা যাচ্ছে না। বাস্তবায়ন হচ্ছে না হাই কোর্টের নির্দেশনাও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে জবাবদিহির আওতায় আনতে সরকারকে কঠোর হতে হবে। বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর অফিস খুলতে বাধ্য করতে হবে। সরকারের দেওয়া শর্ত ও আইন না মানলে সংশ্লিষ্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে দেশবাসীকে কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সেবা থেকে দূরে রাখা বাঞ্ছনীয় নয়। কিন্তু মহান মুক্তিযুদ্ধ, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে কেউ নির্বিবাদে অপপ্রচার চালাবে আর সরকার কুম্ভকর্ণের ঘুমে থাকবে এমনটিও প্রত্যাশিত নয়। যুদ্ধাপরাধী ও আগুন সন্ত্রাসের নোংরা জীবরা জাতির পিতার পরিবারকে তাদের টার্গেট হিসেবে বেছে নিয়েছে। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু যেহেতু সমার্থক শব্দ সেহেতু বিবেক বিক্রেতা অপরাধীরা তাদের দেশদ্রোহী তৎপরতা চালাতে যেভাবে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে বেছে নিয়েছে তা থামাতে কঠিন অবস্থানের বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর