শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২১

মাহবুবে আলম : একজন বিনয়ী মানুষের প্রতিচ্ছবি

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
প্রিন্ট ভার্সন
মাহবুবে আলম : একজন বিনয়ী মানুষের প্রতিচ্ছবি

স্মৃতি রোমন্থন। মূলত একজন শ্রদ্ধেয় মানুষকে নিয়ে। যে মানুষটি এখন আর আমাদের মাঝে নেই। মানুষটির কর্ম ভাবনা স্মরণ করতে গিয়ে বিচারিক অঙ্গনে আমার ভ্রমণ পর্বের শুরুর অনেক কথা সামনে আসছে। সেই দিনগুলোর কথা এখনো বিস্মৃত হইনি। বিগত দিনের পথচলা থেকেই বুঝতে পারি জীবনপথে চলতে গিয়ে কী গ্রহণ করতে হবে, কী পরিহার করতে হবে এবং কোন বিষয়টি অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে হবে। সব মিলিয়ে বলা যায়, বিশুদ্ধ প্রবৃত্তি নিয়ে চলতে গেলে নিজ কর্ম ও আচরণ দিয়ে অন্যের হৃদয় জয় করতে হবে। সে রকম এক জয়ী মানবিক প্রাজ্ঞ মানুষের কথাই আজ বলছি।

মনে আছে, ১৯৮৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হই। নিয়মিতভাবে হাই কোর্টে আসা শুরু করি ১৯৮৯-এর শেষ থেকে। কিছুদিন একা একা হাই কোর্টের বারান্দায় ঘোরাফেরা। কিছুদিনের জন্য ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম সাহেবের চেম্বার। এরপর আবদুুল ওয়াহ্হাব মিয়ার (পরে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি) চেম্বারে যোগ দিই। সেখানে বেশ কিছুদিন কর্মে যুক্ত থাকার পর ১৯৯৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পাই। বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দীন, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীসহ আমরা নয়জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে যোগ দিই। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন কে এস নবী। ১৯৯৮ সালে নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে যোগ দেন বিশিষ্ট সংবিধান বিশেষজ্ঞ প্রাজ্ঞ সিনিয়র অ্যাডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম। এর কিছুদিনের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে যোগ দেন মাহবুবে আলম। মাহবুবে আলমকে নিয়েই আমার আজকের লেখা।

মাহবুবে আলমের সঙ্গে আমার পারিচয় ১৯৯০ সালের দিকে। সে সময় দেখেছি এস আর পাল, এম এইচ খন্দকার, টি এইচ খান, খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমদ, ড. কামাল হোসেন, সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, সিরাজুল হক, আবদুল মালেক, আমীর-উল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রমুখ প্রাজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবীর পদচারণে সুপ্রিম কোর্ট মুখর থাকত। আইন পেশার প্রসারের দিক থেকে তাঁদের পাশাপাশি বা কাছাকাছি অবস্থানে যাঁদের নাম ছিল তাঁর মধ্যে রোকনউদ্দিন মাহমুদ, হাসান আরিফ, মাহবুবে আলম, আবদুল বাসেত মজুমদার, আবদুল ওয়াহ্হাব মিয়া, এস কে সিনহা, এ জে মোহাম্মদ আলী, ফিদা এম কামালের নাম উল্লখযোগ্য। মাহবুবে আলম ছিলেন ফজলুল করিম ও খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমদের জুনিয়র। এ দুজন প্রথিতযশা আইনজীবীর সঙ্গেই কাজ করেছেন মাহবুবে আলম। মাহমুদুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে যোগ দেওয়ার পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের পদটি খালি হয়ে যায়। মাহমুদুল ইসলামের অভিপ্রায়েই অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে যোগ দেন মাহবুবে আলম, ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে। ২০০০ সালের মাঝামাঝি আমি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদে উন্নীত হই। বর্তমান মাননীয় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী এ দুজন বিচারপতিও মাহমুদুল ইসলাম ও মাহবুবে আলমের সঙ্গে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

২০০১ সালের ফেব্র“য়ারিতে মাননীয় বিচারপতিদ্বয় হাই কোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। আমরা বেশ কয়েকজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ২০০১ সালের অক্টোবরে সরকার পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করি। আমাদের পদত্যাগের সপ্তাহখানেক আগে মাহবুবে আলমও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কাজ করার সময় মাহবুবে আলমের সঙ্গে তাঁর জুনিয়র কলিগ হিসেবে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তাঁর সঙ্গে রয়েছে আমার অনেক স্মৃতি। তাঁর সংস্পর্শে আসাটা ছিল আমার জন্য এক বিরল সুযোগ ও সৌভাগ্যের। অসম্ভব ধৈর্যশীল বিনয়ী একজন মানুষ। আইন বিষয়ে তাঁর দক্ষতা এবং জুনিয়রদের শেখানোর যে আগ্রহ তাঁর মাঝে দেখেছি তা সত্যিই বিরল ও প্রশংসনীয়। আমার সিনিয়র আবদুল ওয়াহ্হাব মিয়ার কাছে উচ্চতর আদালতের প্র্যাকটিসের অ আ ক খ শেখার পর তিনি যখন হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি হয়ে যান তখন সিনিয়র হিসেবে যে মানুষটির দ্বার ছিল আমার জন্য অবারিত তিনি মাহবুবে আলম। তবে এ কথা সত্য, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে আমরা মাহমুদুল ইসলামের অভিভাবকত্বে যারা কাজ করতে পেরেছি প্রত্যেকেই তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। যেভাবে তিনি আমাদের কাজ করার ও শেখার সুযোগ করে দিতেন তার তুলনা হয় না। একটি মামলার জবাব বা আবেদনপত্র বা এফিডেভিট ইন অপজিশন ড্রাফট করার পর মাহমুদুল ইসলাম বা মাহবুবে আলম দেখে যদি বলতেন ‘খারাপ হয়নি ভালোই হয়েছে’ তখন আমার ও আমার মতো যারা ওই অফিসে একসঙ্গে কাজ করতাম সবারই আত্মবিশ্বাসের স্থানটি আরও দৃঢ় হতো বইকি।

মানুষ হিসেবে মাহবুবে আলম ছিলেন অত্যন্ত প্রগতিশীল ও সংস্কৃতিমনা। তিনি ছিলেন মানবিক। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় শানিত মাহবুবে আলম তরুণ আইনজীবীদের একজন অভিভাবক ছিলেন। প্রয়াত আইনজীবী ব্যারিস্টার শওকত আলী খান বলতেন, আমরা যারা উচ্চ আদালতে আইন পেশায় জড়িত তাদের মধ্যে যে পেশাগত প্রতিযোগিতা সব সময়ই থাকা উচিত তা হলো আমরা কে কত নম্র ও বিনয়ী হতে পারি তার প্রতিযোগিতা। কোর্টে মামলায় হেরে গেলেও আমরা বলি Much Obliged My Lord... এটিই এ আদালতের প্র্যাকটিস। শিষ্টাচার শেখার ও অনুশীলনের স্থান হলো উচ্চতর আদালত। মাহবুবে আলম ছিলেন একজন বিনয়ী, নম্র ভদ্রলোক। আদালতের ভিতরে কেউ তাঁর প্রতি রূঢ় আচরণ করলে বা বক্র কথা বললেও তিনি তার পাল্টা জবাব দিতেন না। নীরব থাকতেন। তিনি ছিলেন সবার প্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন। ব্যারিস্টার শওকত আলী খান তাই তাঁকে সম্বোধন করতেন ‘বিশ্বপ্রিয়’ বলে।

কলাবাগানের হাজি বশির উদ্দীন রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মাহবুবে আলম। ওই বাড়ির তিন তলায় একসময় বাসা ভাড়া নেন আমার বন্ধু এম ইনায়েতুর রহিম। আমি মাস দু-এক ওই বাড়িতে ইনায়েতুর রহিমের সঙ্গে ছিলাম। প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তে মাহবুবে আলম স্যারের বাসায় গল্প-গুজবের আসর বসত। আমরা নিয়মিতই সে আসরে অংশ নিতাম। বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি মিফতাহ্ উদ্দীন চৌধুরী, বর্তমান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বর্তমান বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী প্রমুখ নিয়মিতই মাহবুবে আলমের বাসার আসরে আসতেন। তখন আমরা আইনজীবী। গল্পগুজব, গান-বাজনা শেষে রাতের খাবার খেয়ে আমরা যার যার বাসায় ফিরতাম। বন্ধু আমিন উদ্দিন মাঝেমধ্যে সেখানে থেকে যেতেন। কারণ সকালে হয়তো সিনিয়রের সঙ্গে কোনো মামলার শুনানি বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। তখন এম আমিন উদ্দিন ছিলেন মাহবুবে আলমের চেম্বার জুনিয়র।

আজ এত বছর পরে এ সবই শুধু স্মৃতি। তবে ভুলে যাইনি ওইসব দিনের কথা। ২০০১ সালে আমরা যখন অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে বারে ফিরে আসি তখন কঠিন কোনো মামলা পেলে বোঝার জন্য ছুটে যেতাম মাহবুবে আলম বা মাহমুদুল ইসলামের কাছে। সিনিয়র আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী তখন জুনিয়র হিসেবে মাহমুদুল ইসলামের সঙ্গে কাজ করতেন। এভাবে দিন যেতে থাকে। একসময় ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে মাহবুবে আলম বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এর কিছুদিন পরই এম ইনায়েতুর রহিম অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ওই অফিসে যোগদান করেন। মাহবুবে আলম ও এম ইনায়েতুর রহিম একসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালের ৩০ জুন আমি ও ইনায়েতুর রহিম হাই কোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথ নিই। আমরা নয়জন তখন অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাই। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে সম্ভবত তিনি প্রথম আমাদেরই Felicitate করেন বা সম্ভাষণ জানান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারক হিসেবে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তিনি আমাকে উৎসাহিত করেন। যুদ্ধাপরাধীদের মামলায় তিনি ট্রাইব্যুনালে (ট্রাইব্যুনাল-২) অনেকবার বক্তব্য দিয়েছেন। হাই কোর্ট বিভাগের বিচারক থাকাকালে মাহবুবে আলম অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় আমার আদালতেও শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন। মামলার শুনানি শেষে মামলার এক পক্ষ জেতে আর এক পক্ষ হারে এটাই স্বাভাবিক। তবে প্রজ্ঞাবান আইনজীবীরা যখন কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নেন তখন বিচারকরা আইনজীবীদের সাবমিশন থেকে অনেক কিছুই শেখার সুযোগ পান। এটা আমার একেবারেই নিজস্ব ধারণা। আমি আদালতকক্ষে ভালো আইনজীবীদের সাবমিশন থেকে প্রতিনিয়তই শেখার চেষ্টা করি। হাই কোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ সর্বশেষ যে মামলাটি আমি শুনি তাতে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মাহবুবে আলম অংশগ্রহণ করেছিলেন সশরীরে। সেটি ছিল ক্ষমতাসীন দলের একজন সংসদ সদস্যের একটি কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষে অবস্থান। রাষ্ট্রের স্বার্থে মাহবুবে আলম তাঁর বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি কখনো দেখতেন না মামলার পক্ষদ্বয়ের মধ্যে কেউ সরকারি বা বিরোধী দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না বা কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কি না। একটি বিষয়ে তিনি সদাসর্বদা শক্ত অবস্থানে থাকতেন। তা হলো রাষ্ট্রের স্বার্থ যে কোনো মূল্যে রক্ষা করা।

পদাধিকারবলে অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। একবার বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় তাঁর মেয়ে অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হন। তিনি কাউকে কিছু বলেননি। অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের গ্রেস মার্কস দেওয়ার জন্য অনেকের পক্ষ থেকেই পীড়াপীড়ি শুরু হয়। মাহবুবে আলম কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন। যে পরিমাণ নম্বর দিলে তাঁর মেয়ে পাস করবে তা তিনি দিতে দেননি। তবে কাউকে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর সিদ্ধান্তের অনড়তার পশ্চাতের কারণটি বলেননি অনেক দিন। অর্থাৎ নৈতিকতা ও নীতির প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন ও অটল। সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি অনেকের বিরাগভাজন হয়েছেন। তাঁকে বহুবার হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। পাঠানো হয়েছে প্রতীকী কাফনের কাপড়। কিন্তু এ কারণে কর্তব্যকাজে অবহেলার কোনো লেশমাত্র চিহ্ন ছিল না তাঁর মধ্যে। ছিল না কোনো ভীতি।

মাহবুবে আলমসহ আমরা বেশ কজন বিচারপতি একই ভবনে বাস করতাম। কিন্তু তিনি কখনো আমাদের সঙ্গে মামলা-মোকদ্দমার ব্যাপারে আলোচনাও করতেন না। আমরা এখনো একত্রে একই ভবনে রায়েছি। শুধু তিনিই চলে গেলেন। বাসাটি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। তাঁর বাসায় মাঝেমধ্যে সংগীতের আসর হতো। আমাদের সবাইকে তিনি দাওয়াত করতেন। তাঁর বাসার দেয়ালগুলো পেইন্টিংয়ে ঠাসা। ভাবির আঁকার অভ্যাস আছে। বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অত্যন্ত বিরল কিছু পেইন্টিং দেখেছি তাঁর বাসার দেয়ালে।

২ সেপ্টেম্বর ২০২০ দুপুরে কোর্ট থেকে নেমেই জানতে পারি আমি আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। মাননীয় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করে একটু তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরি। বিকালে মাহবুবে আলম আমাকে ফোন করে উচ্ছ্বসিতভাবে অভিনন্দন শব্দটি তিনবার উচ্চারণের মধ্য দিয়ে আমাকে অভিনন্দিত করেন। ৩ সেপ্টেম্বর আমি ও তারিকুল হাকিম উভয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিই। শুনলাম ৬ সেপ্টেম্বর ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আমাদের ফেলিসিটেশন দেওয়া হবে। ওই দিন বিকালেই শুনি মাহবুবে আলম অসুস্থ। সম্ভবত ওই দিনগত রাতে বা পরদিন সকালে তাঁকে সিএমএইচে নেওয়া হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। খবর এলো তিনি করোনায় আক্রান্ত। ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বললাম। তিনি বললেন, সামান্য জ্বর ছিল তবে এখন নেই। সামান্য কাশি আছে। একটু সংকোচ নিয়েই জিজ্ঞেস করি ফেলিসিটেশনে কি কোনো অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল থাকবেন? তিনি বললেন না, তিনি নিজেই থাকবেন। কীভাবে? জিজ্ঞেস করে জানলাম তিনি সিএমএইচের কেবিনে পোশাক ও ল্যাপটপ নিয়ে গেছেন। ওখানকার লোকদের দিয়ে জুমের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে ৬ তারিখে তিনি আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দিত করেন।

আমার উদ্দেশে দেওয়া তাঁর অভিনন্দন ভাষণটি ছিল প্রায় ২২ মিনিটের। তিনি আমার উদ্দেশে অনেক কথা বলেছিলেন। হয়তো বা আমি এসবের যোগ্যও নই। এই ছিল আমার প্রতি তাঁর ব্যক্তিগত ভালোবাসা ও ¯ন্ডেœহের বহিঃপ্রকাশ। আর বিচারকের আসনে অধিষ্ঠিত মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধানিঃসৃত উচ্চারণ। যা ছিল আমার জন্য প্রেরণা ও সাহস। আমি সন্ধ্যায় ফোনে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই তাঁর বক্তব্যের জন্য। তিনি প্রতি উত্তরে যা বলেছিলেন আমি সে কথাগুলো আর লিখতে পারছি না...। তিনি দোয়া চাইলেন, আমার কণ্ঠ বাকরুদ্ধ হয়ে আসছিল। খুব বেশি কিছু আর বলিনি। শুধু বলেছিলাম- স্যার, ইনশা আল্লাহ আপনি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে আবারও ফিরে আসবেন।

ব্যক্তিজীবনে মানবিক মাহবুবে আলম কত মানুষকে যে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন তার ইয়ত্তা নেই। তিনি নীরবে মানুষের দুঃসময়ে পাশে থেকেছেন। সমাজে বঞ্চিত কত মানুষ রয়েছে। আল্লাহ চান সক্ষম ব্যক্তিরা তাদের পাশে থাকুক। শেষ নিবাস মাটির ঘরে শূন্য হাতেই যেতে হবে। কোনো বৈভব সঙ্গে যাবে না। সুযোগটা তাই একালেই। মাহবুবে আলম তা বিশ্বাস করতেন তাঁর কর্মে ও ধ্যানে। ইসলাম ধর্মে যেভাবে নীরবে গোপনে দানের কথা বলা আছে মাহবুবে আলম দান করতেন সেভাবে। কেউ জানত না। বেশ অনেক পরে উপকারভোগীদের কাছ থেকে জানা যেত তিনি কাকে কীভাবে সাহায্য করেছেন। তাঁর ইহকালের এ নীরব পুণ্যকর্মই ওইকালে তাঁকে ছায়া দেবে। মাহবুবে আলমের বাবা অত্যন্ত ধার্মিক মানুষ ছিলেন। মাহবুবে আলমও হজব্রত পালন করেছেন দুবার। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে ও তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।

মাহবুবে আলমের মতো ন্যায়পরায়ণ, নীতিমান, নম্র ও বিনয়ী মানুষের আজ বড়ই অভাব। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে তাঁর মতো আর একজন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ২৭ সেপ্টেম্বর ছিল তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। এক বছর আগে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। রেখে গেছেন তাঁর শিক্ষা, চেতনা ও আদর্শ। তাঁর মৃত্যুর বছরপূর্তিতে প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন তাঁকে বেহেশত নসিব করেন। আর আমি যেন আমার উদ্দেশে আমার ফেলিসিটেশন সম্ভাষণে তিনি যেসব আশাবাদ ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন এবং আমার ওপর অর্পিত যে দায়িত্বের কথা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে গেছেন মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন যেন আমাকে সে দায়িত্ব পালনে শক্তি ও সাহস দান করেন। 

 

লেখক : বিচারপতি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ, ঢাকা।

এই বিভাগের আরও খবর
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
চাঁদাবাজি, টার্গেট কিলিং
ফুটবলে ভারত জয়
ফুটবলে ভারত জয়
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
সর্বশেষ খবর
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা

১ সেকেন্ড আগে | মুক্তমঞ্চ

সংকটে আস্থা সশস্ত্র বাহিনীতেই
সংকটে আস্থা সশস্ত্র বাহিনীতেই

৯ মিনিট আগে | জাতীয়

তারেক রহমান : যিনি মানুষের হৃদয়ের কথা বলেন
তারেক রহমান : যিনি মানুষের হৃদয়ের কথা বলেন

১৩ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

আজ ঢাকার কোথায় কোন কর্মসূচি?
আজ ঢাকার কোথায় কোন কর্মসূচি?

১৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

পল্লবীতে দুর্বৃত্তদের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে এএসআই আহত
পল্লবীতে দুর্বৃত্তদের ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে এএসআই আহত

২৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের

৩৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বেটিং সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকায় ধারাভাষ্যকারের চাকরি হারালেন ম্যাকগ্রা
বেটিং সংস্থার সঙ্গে জড়িত থাকায় ধারাভাষ্যকারের চাকরি হারালেন ম্যাকগ্রা

৫২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের খেলা
বাংলাদেশের ম্যাচসহ টিভিতে আজকের খেলা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ
আজ রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর বিষয়ে আপিলের চূড়ান্ত রায় আজ
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরানোর বিষয়ে আপিলের চূড়ান্ত রায় আজ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হেরেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
হেরেও সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘সবাইকে সাথে নিয়ে আগামীর শ্রীপুর গড়ে তুলবো’
‘সবাইকে সাথে নিয়ে আগামীর শ্রীপুর গড়ে তুলবো’

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২০ নভেম্বর)

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান
জব্দ করা ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দিয়েছে ইরান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ল্যুভরে বসছে আরও ১০০ ক্যামেরা
ল্যুভরে বসছে আরও ১০০ ক্যামেরা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক
রোজ গার্ডেন কিনে ক্ষতি ৩৩২ কোটি, অনুসন্ধানে দুদক

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ
টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার পাঠদান বন্ধ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত
ইসলাম পাঁচটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত

৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত
রাবিতে দুর্বৃত্তদের হামলায় তিন শিক্ষার্থী আহত

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান
বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করবে জাপান

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান
তেল অনুসন্ধানে কৃত্রিম দ্বীপ বানাচ্ছে পাকিস্তান

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২
নাইজেরিয়ায় গির্জায় গুলিতে নিহত ২

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা
দিল্লি বিস্ফোরণ: ধরপাকড়-হয়রানির শিকার সাধারণ কাশ্মীরিরা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সর্বোচ্চ সতর্কতা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত
গাজীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ১০০ ঘর ভস্মীভূত

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের
৭ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা ৮ দলের

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার
কেরানীগঞ্জে কিশোর গ্যাং লিডার আকাশ মোল্লা গ্রেফতার

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা
প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার যুবকের আত্মহত্যা

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ
কারাগারে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদ

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

২২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা
শততম টেস্টে সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে মুশফিক, বাড়ল অপেক্ষা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি
নতুন বছরের পাঠ্যবই সরবরাহ শুরু করেছে এনসিটিবি

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

১৯ ঘণ্টা আগে | টক শো

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক
কারচুপির অভিযোগ এনে মিস ইউনিভার্স ছাড়লেন দুই বিচারক

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু, জানুন কোন দেশে কখন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত
নির্বাচনে মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থী হওয়ার খবর সঠিক নয় : জামায়াত

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড
জাপানে ১৭০ ভবনে অগ্নিকাণ্ড

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের রায় আগামীকাল

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বলিভিয়ার ছোট পুকুরে বিরল মাছের সন্ধান
বলিভিয়ার ছোট পুকুরে বিরল মাছের সন্ধান

২৩ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা
রিভিউ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে
ইতালি যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা তিনজনকে

পেছনের পৃষ্ঠা

বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের
বিজনেস ভিসা ফের চালু ভারতের

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি
যে জয় শিরোপার চেয়ে দামি

মাঠে ময়দানে

একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ
একটি জন্মদিন, একটি মৃত্যুদণ্ডের রায় ও আগামীর বাংলাদেশ

সম্পাদকীয়

আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান
আস্থার বাতিঘর তারেক রহমান

সম্পাদকীয়

তারেক রহমানের জন্মদিন আজ
তারেক রহমানের জন্মদিন আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার
বিএনপি জামায়াতের জমজমাট প্রচার

পেছনের পৃষ্ঠা

মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন
মান ঠিক রাখতে গিয়ে কমেছে উৎপাদন

পেছনের পৃষ্ঠা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সহায়তা প্রয়োজন সেনাবাহিনীর

প্রথম পৃষ্ঠা

শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি
শ্বেতপত্রের ক্ষেত্রে উপদেষ্টামণ্ডলী উৎসাহিত হননি

প্রথম পৃষ্ঠা

আতঙ্কের নাম বাস
আতঙ্কের নাম বাস

রকমারি নগর পরিক্রমা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরাট চুক্তি সৌদির

প্রথম পৃষ্ঠা

হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন
হারিয়ে গেছে আগারগাঁওয়ের সেই সাইকেল লেন

রকমারি নগর পরিক্রমা

ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে
ফ্যাসিস্টের দোসর ট্যাগের প্রবণতা বেড়েছে

নগর জীবন

রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম
রং বদলাচ্ছে স্থলপদ্ম

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি
রাজনৈতিক পরিচয়ে অপ্রতিরোধ্য চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের
জামায়াত আমিরের সঙ্গে বৈঠক ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
ভারতের বিপক্ষে জয়ে জাতীয় দলকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন

মাঠে ময়দানে

নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল
নিরপেক্ষ ভোটের প্রতিশ্রুতিতে অটল

প্রথম পৃষ্ঠা

অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন
অক্টোবরে সড়কে নিহত ৪৪১ জন

পেছনের পৃষ্ঠা

আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র
আইন লঙ্ঘন করে রেলে দরপত্র

নগর জীবন

দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার
দিল্লিতে বৈঠক হলো দুই নিরাপত্তা উপদেষ্টার

প্রথম পৃষ্ঠা

রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি
রোজ গার্ডেন কেনায় ৩৩২ কোটি টাকা ক্ষতি

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি
রাজসাক্ষীর রোমহর্ষক জবানবন্দি

পেছনের পৃষ্ঠা

আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
আসামিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে
দেড় লাখ মানুষের দেশ কুরাসাও বিশ্বকাপে

মাঠে ময়দানে

গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয়ী করতে সমাবেশ করবে আট দল

পেছনের পৃষ্ঠা

অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ
অবশেষে রিচির স্বপ্নপূরণ

শোবিজ