শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২১

মাহবুবে আলম : একজন বিনয়ী মানুষের প্রতিচ্ছবি

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
প্রিন্ট ভার্সন
মাহবুবে আলম : একজন বিনয়ী মানুষের প্রতিচ্ছবি

স্মৃতি রোমন্থন। মূলত একজন শ্রদ্ধেয় মানুষকে নিয়ে। যে মানুষটি এখন আর আমাদের মাঝে নেই। মানুষটির কর্ম ভাবনা স্মরণ করতে গিয়ে বিচারিক অঙ্গনে আমার ভ্রমণ পর্বের শুরুর অনেক কথা সামনে আসছে। সেই দিনগুলোর কথা এখনো বিস্মৃত হইনি। বিগত দিনের পথচলা থেকেই বুঝতে পারি জীবনপথে চলতে গিয়ে কী গ্রহণ করতে হবে, কী পরিহার করতে হবে এবং কোন বিষয়টি অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে হবে। সব মিলিয়ে বলা যায়, বিশুদ্ধ প্রবৃত্তি নিয়ে চলতে গেলে নিজ কর্ম ও আচরণ দিয়ে অন্যের হৃদয় জয় করতে হবে। সে রকম এক জয়ী মানবিক প্রাজ্ঞ মানুষের কথাই আজ বলছি।

মনে আছে, ১৯৮৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হই। নিয়মিতভাবে হাই কোর্টে আসা শুরু করি ১৯৮৯-এর শেষ থেকে। কিছুদিন একা একা হাই কোর্টের বারান্দায় ঘোরাফেরা। কিছুদিনের জন্য ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম সাহেবের চেম্বার। এরপর আবদুুল ওয়াহ্হাব মিয়ার (পরে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি) চেম্বারে যোগ দিই। সেখানে বেশ কিছুদিন কর্মে যুক্ত থাকার পর ১৯৯৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পাই। বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দীন, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীসহ আমরা নয়জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে যোগ দিই। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন কে এস নবী। ১৯৯৮ সালে নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে যোগ দেন বিশিষ্ট সংবিধান বিশেষজ্ঞ প্রাজ্ঞ সিনিয়র অ্যাডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম। এর কিছুদিনের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে যোগ দেন মাহবুবে আলম। মাহবুবে আলমকে নিয়েই আমার আজকের লেখা।

মাহবুবে আলমের সঙ্গে আমার পারিচয় ১৯৯০ সালের দিকে। সে সময় দেখেছি এস আর পাল, এম এইচ খন্দকার, টি এইচ খান, খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমদ, ড. কামাল হোসেন, সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, সিরাজুল হক, আবদুল মালেক, আমীর-উল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রমুখ প্রাজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবীর পদচারণে সুপ্রিম কোর্ট মুখর থাকত। আইন পেশার প্রসারের দিক থেকে তাঁদের পাশাপাশি বা কাছাকাছি অবস্থানে যাঁদের নাম ছিল তাঁর মধ্যে রোকনউদ্দিন মাহমুদ, হাসান আরিফ, মাহবুবে আলম, আবদুল বাসেত মজুমদার, আবদুল ওয়াহ্হাব মিয়া, এস কে সিনহা, এ জে মোহাম্মদ আলী, ফিদা এম কামালের নাম উল্লখযোগ্য। মাহবুবে আলম ছিলেন ফজলুল করিম ও খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমদের জুনিয়র। এ দুজন প্রথিতযশা আইনজীবীর সঙ্গেই কাজ করেছেন মাহবুবে আলম। মাহমুদুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে যোগ দেওয়ার পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের পদটি খালি হয়ে যায়। মাহমুদুল ইসলামের অভিপ্রায়েই অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে যোগ দেন মাহবুবে আলম, ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে। ২০০০ সালের মাঝামাঝি আমি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদে উন্নীত হই। বর্তমান মাননীয় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী এ দুজন বিচারপতিও মাহমুদুল ইসলাম ও মাহবুবে আলমের সঙ্গে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

২০০১ সালের ফেব্র“য়ারিতে মাননীয় বিচারপতিদ্বয় হাই কোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। আমরা বেশ কয়েকজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ২০০১ সালের অক্টোবরে সরকার পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করি। আমাদের পদত্যাগের সপ্তাহখানেক আগে মাহবুবে আলমও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কাজ করার সময় মাহবুবে আলমের সঙ্গে তাঁর জুনিয়র কলিগ হিসেবে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তাঁর সঙ্গে রয়েছে আমার অনেক স্মৃতি। তাঁর সংস্পর্শে আসাটা ছিল আমার জন্য এক বিরল সুযোগ ও সৌভাগ্যের। অসম্ভব ধৈর্যশীল বিনয়ী একজন মানুষ। আইন বিষয়ে তাঁর দক্ষতা এবং জুনিয়রদের শেখানোর যে আগ্রহ তাঁর মাঝে দেখেছি তা সত্যিই বিরল ও প্রশংসনীয়। আমার সিনিয়র আবদুল ওয়াহ্হাব মিয়ার কাছে উচ্চতর আদালতের প্র্যাকটিসের অ আ ক খ শেখার পর তিনি যখন হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি হয়ে যান তখন সিনিয়র হিসেবে যে মানুষটির দ্বার ছিল আমার জন্য অবারিত তিনি মাহবুবে আলম। তবে এ কথা সত্য, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে আমরা মাহমুদুল ইসলামের অভিভাবকত্বে যারা কাজ করতে পেরেছি প্রত্যেকেই তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। যেভাবে তিনি আমাদের কাজ করার ও শেখার সুযোগ করে দিতেন তার তুলনা হয় না। একটি মামলার জবাব বা আবেদনপত্র বা এফিডেভিট ইন অপজিশন ড্রাফট করার পর মাহমুদুল ইসলাম বা মাহবুবে আলম দেখে যদি বলতেন ‘খারাপ হয়নি ভালোই হয়েছে’ তখন আমার ও আমার মতো যারা ওই অফিসে একসঙ্গে কাজ করতাম সবারই আত্মবিশ্বাসের স্থানটি আরও দৃঢ় হতো বইকি।

মানুষ হিসেবে মাহবুবে আলম ছিলেন অত্যন্ত প্রগতিশীল ও সংস্কৃতিমনা। তিনি ছিলেন মানবিক। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় শানিত মাহবুবে আলম তরুণ আইনজীবীদের একজন অভিভাবক ছিলেন। প্রয়াত আইনজীবী ব্যারিস্টার শওকত আলী খান বলতেন, আমরা যারা উচ্চ আদালতে আইন পেশায় জড়িত তাদের মধ্যে যে পেশাগত প্রতিযোগিতা সব সময়ই থাকা উচিত তা হলো আমরা কে কত নম্র ও বিনয়ী হতে পারি তার প্রতিযোগিতা। কোর্টে মামলায় হেরে গেলেও আমরা বলি Much Obliged My Lord... এটিই এ আদালতের প্র্যাকটিস। শিষ্টাচার শেখার ও অনুশীলনের স্থান হলো উচ্চতর আদালত। মাহবুবে আলম ছিলেন একজন বিনয়ী, নম্র ভদ্রলোক। আদালতের ভিতরে কেউ তাঁর প্রতি রূঢ় আচরণ করলে বা বক্র কথা বললেও তিনি তার পাল্টা জবাব দিতেন না। নীরব থাকতেন। তিনি ছিলেন সবার প্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন। ব্যারিস্টার শওকত আলী খান তাই তাঁকে সম্বোধন করতেন ‘বিশ্বপ্রিয়’ বলে।

কলাবাগানের হাজি বশির উদ্দীন রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মাহবুবে আলম। ওই বাড়ির তিন তলায় একসময় বাসা ভাড়া নেন আমার বন্ধু এম ইনায়েতুর রহিম। আমি মাস দু-এক ওই বাড়িতে ইনায়েতুর রহিমের সঙ্গে ছিলাম। প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তে মাহবুবে আলম স্যারের বাসায় গল্প-গুজবের আসর বসত। আমরা নিয়মিতই সে আসরে অংশ নিতাম। বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি মিফতাহ্ উদ্দীন চৌধুরী, বর্তমান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বর্তমান বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী প্রমুখ নিয়মিতই মাহবুবে আলমের বাসার আসরে আসতেন। তখন আমরা আইনজীবী। গল্পগুজব, গান-বাজনা শেষে রাতের খাবার খেয়ে আমরা যার যার বাসায় ফিরতাম। বন্ধু আমিন উদ্দিন মাঝেমধ্যে সেখানে থেকে যেতেন। কারণ সকালে হয়তো সিনিয়রের সঙ্গে কোনো মামলার শুনানি বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। তখন এম আমিন উদ্দিন ছিলেন মাহবুবে আলমের চেম্বার জুনিয়র।

আজ এত বছর পরে এ সবই শুধু স্মৃতি। তবে ভুলে যাইনি ওইসব দিনের কথা। ২০০১ সালে আমরা যখন অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে বারে ফিরে আসি তখন কঠিন কোনো মামলা পেলে বোঝার জন্য ছুটে যেতাম মাহবুবে আলম বা মাহমুদুল ইসলামের কাছে। সিনিয়র আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী তখন জুনিয়র হিসেবে মাহমুদুল ইসলামের সঙ্গে কাজ করতেন। এভাবে দিন যেতে থাকে। একসময় ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে মাহবুবে আলম বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এর কিছুদিন পরই এম ইনায়েতুর রহিম অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ওই অফিসে যোগদান করেন। মাহবুবে আলম ও এম ইনায়েতুর রহিম একসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালের ৩০ জুন আমি ও ইনায়েতুর রহিম হাই কোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথ নিই। আমরা নয়জন তখন অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাই। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে সম্ভবত তিনি প্রথম আমাদেরই Felicitate করেন বা সম্ভাষণ জানান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারক হিসেবে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তিনি আমাকে উৎসাহিত করেন। যুদ্ধাপরাধীদের মামলায় তিনি ট্রাইব্যুনালে (ট্রাইব্যুনাল-২) অনেকবার বক্তব্য দিয়েছেন। হাই কোর্ট বিভাগের বিচারক থাকাকালে মাহবুবে আলম অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় আমার আদালতেও শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন। মামলার শুনানি শেষে মামলার এক পক্ষ জেতে আর এক পক্ষ হারে এটাই স্বাভাবিক। তবে প্রজ্ঞাবান আইনজীবীরা যখন কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নেন তখন বিচারকরা আইনজীবীদের সাবমিশন থেকে অনেক কিছুই শেখার সুযোগ পান। এটা আমার একেবারেই নিজস্ব ধারণা। আমি আদালতকক্ষে ভালো আইনজীবীদের সাবমিশন থেকে প্রতিনিয়তই শেখার চেষ্টা করি। হাই কোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ সর্বশেষ যে মামলাটি আমি শুনি তাতে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মাহবুবে আলম অংশগ্রহণ করেছিলেন সশরীরে। সেটি ছিল ক্ষমতাসীন দলের একজন সংসদ সদস্যের একটি কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষে অবস্থান। রাষ্ট্রের স্বার্থে মাহবুবে আলম তাঁর বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি কখনো দেখতেন না মামলার পক্ষদ্বয়ের মধ্যে কেউ সরকারি বা বিরোধী দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না বা কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কি না। একটি বিষয়ে তিনি সদাসর্বদা শক্ত অবস্থানে থাকতেন। তা হলো রাষ্ট্রের স্বার্থ যে কোনো মূল্যে রক্ষা করা।

পদাধিকারবলে অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। একবার বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় তাঁর মেয়ে অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হন। তিনি কাউকে কিছু বলেননি। অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের গ্রেস মার্কস দেওয়ার জন্য অনেকের পক্ষ থেকেই পীড়াপীড়ি শুরু হয়। মাহবুবে আলম কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন। যে পরিমাণ নম্বর দিলে তাঁর মেয়ে পাস করবে তা তিনি দিতে দেননি। তবে কাউকে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর সিদ্ধান্তের অনড়তার পশ্চাতের কারণটি বলেননি অনেক দিন। অর্থাৎ নৈতিকতা ও নীতির প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন ও অটল। সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি অনেকের বিরাগভাজন হয়েছেন। তাঁকে বহুবার হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। পাঠানো হয়েছে প্রতীকী কাফনের কাপড়। কিন্তু এ কারণে কর্তব্যকাজে অবহেলার কোনো লেশমাত্র চিহ্ন ছিল না তাঁর মধ্যে। ছিল না কোনো ভীতি।

মাহবুবে আলমসহ আমরা বেশ কজন বিচারপতি একই ভবনে বাস করতাম। কিন্তু তিনি কখনো আমাদের সঙ্গে মামলা-মোকদ্দমার ব্যাপারে আলোচনাও করতেন না। আমরা এখনো একত্রে একই ভবনে রায়েছি। শুধু তিনিই চলে গেলেন। বাসাটি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। তাঁর বাসায় মাঝেমধ্যে সংগীতের আসর হতো। আমাদের সবাইকে তিনি দাওয়াত করতেন। তাঁর বাসার দেয়ালগুলো পেইন্টিংয়ে ঠাসা। ভাবির আঁকার অভ্যাস আছে। বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অত্যন্ত বিরল কিছু পেইন্টিং দেখেছি তাঁর বাসার দেয়ালে।

২ সেপ্টেম্বর ২০২০ দুপুরে কোর্ট থেকে নেমেই জানতে পারি আমি আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। মাননীয় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করে একটু তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরি। বিকালে মাহবুবে আলম আমাকে ফোন করে উচ্ছ্বসিতভাবে অভিনন্দন শব্দটি তিনবার উচ্চারণের মধ্য দিয়ে আমাকে অভিনন্দিত করেন। ৩ সেপ্টেম্বর আমি ও তারিকুল হাকিম উভয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিই। শুনলাম ৬ সেপ্টেম্বর ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আমাদের ফেলিসিটেশন দেওয়া হবে। ওই দিন বিকালেই শুনি মাহবুবে আলম অসুস্থ। সম্ভবত ওই দিনগত রাতে বা পরদিন সকালে তাঁকে সিএমএইচে নেওয়া হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। খবর এলো তিনি করোনায় আক্রান্ত। ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বললাম। তিনি বললেন, সামান্য জ্বর ছিল তবে এখন নেই। সামান্য কাশি আছে। একটু সংকোচ নিয়েই জিজ্ঞেস করি ফেলিসিটেশনে কি কোনো অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল থাকবেন? তিনি বললেন না, তিনি নিজেই থাকবেন। কীভাবে? জিজ্ঞেস করে জানলাম তিনি সিএমএইচের কেবিনে পোশাক ও ল্যাপটপ নিয়ে গেছেন। ওখানকার লোকদের দিয়ে জুমের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে ৬ তারিখে তিনি আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দিত করেন।

আমার উদ্দেশে দেওয়া তাঁর অভিনন্দন ভাষণটি ছিল প্রায় ২২ মিনিটের। তিনি আমার উদ্দেশে অনেক কথা বলেছিলেন। হয়তো বা আমি এসবের যোগ্যও নই। এই ছিল আমার প্রতি তাঁর ব্যক্তিগত ভালোবাসা ও ¯ন্ডেœহের বহিঃপ্রকাশ। আর বিচারকের আসনে অধিষ্ঠিত মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধানিঃসৃত উচ্চারণ। যা ছিল আমার জন্য প্রেরণা ও সাহস। আমি সন্ধ্যায় ফোনে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই তাঁর বক্তব্যের জন্য। তিনি প্রতি উত্তরে যা বলেছিলেন আমি সে কথাগুলো আর লিখতে পারছি না...। তিনি দোয়া চাইলেন, আমার কণ্ঠ বাকরুদ্ধ হয়ে আসছিল। খুব বেশি কিছু আর বলিনি। শুধু বলেছিলাম- স্যার, ইনশা আল্লাহ আপনি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে আবারও ফিরে আসবেন।

ব্যক্তিজীবনে মানবিক মাহবুবে আলম কত মানুষকে যে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন তার ইয়ত্তা নেই। তিনি নীরবে মানুষের দুঃসময়ে পাশে থেকেছেন। সমাজে বঞ্চিত কত মানুষ রয়েছে। আল্লাহ চান সক্ষম ব্যক্তিরা তাদের পাশে থাকুক। শেষ নিবাস মাটির ঘরে শূন্য হাতেই যেতে হবে। কোনো বৈভব সঙ্গে যাবে না। সুযোগটা তাই একালেই। মাহবুবে আলম তা বিশ্বাস করতেন তাঁর কর্মে ও ধ্যানে। ইসলাম ধর্মে যেভাবে নীরবে গোপনে দানের কথা বলা আছে মাহবুবে আলম দান করতেন সেভাবে। কেউ জানত না। বেশ অনেক পরে উপকারভোগীদের কাছ থেকে জানা যেত তিনি কাকে কীভাবে সাহায্য করেছেন। তাঁর ইহকালের এ নীরব পুণ্যকর্মই ওইকালে তাঁকে ছায়া দেবে। মাহবুবে আলমের বাবা অত্যন্ত ধার্মিক মানুষ ছিলেন। মাহবুবে আলমও হজব্রত পালন করেছেন দুবার। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে ও তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।

মাহবুবে আলমের মতো ন্যায়পরায়ণ, নীতিমান, নম্র ও বিনয়ী মানুষের আজ বড়ই অভাব। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে তাঁর মতো আর একজন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ২৭ সেপ্টেম্বর ছিল তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। এক বছর আগে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। রেখে গেছেন তাঁর শিক্ষা, চেতনা ও আদর্শ। তাঁর মৃত্যুর বছরপূর্তিতে প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন তাঁকে বেহেশত নসিব করেন। আর আমি যেন আমার উদ্দেশে আমার ফেলিসিটেশন সম্ভাষণে তিনি যেসব আশাবাদ ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন এবং আমার ওপর অর্পিত যে দায়িত্বের কথা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে গেছেন মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন যেন আমাকে সে দায়িত্ব পালনে শক্তি ও সাহস দান করেন। 

 

লেখক : বিচারপতি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ, ঢাকা।

এই বিভাগের আরও খবর
বিছনাকান্দির দুঃখ
বিছনাকান্দির দুঃখ
গণপরিবহনে নৈরাজ্য
গণপরিবহনে নৈরাজ্য
বিনিয়োগ পরিবেশ প্রয়োজন
বিনিয়োগ পরিবেশ প্রয়োজন
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড স্মৃতি ও শিক্ষা
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড স্মৃতি ও শিক্ষা
এনজিও-সহায়ক নীতিমালা দরকার
এনজিও-সহায়ক নীতিমালা দরকার
বিএনপি-জামায়াতের বালখিল্য
বিএনপি-জামায়াতের বালখিল্য
অভিনন্দন টিম বাংলাদেশ
অভিনন্দন টিম বাংলাদেশ
বিনিয়োগে মন্দা
বিনিয়োগে মন্দা
অস্তিত্বসংকটে শুঁটকিশিল্প
অস্তিত্বসংকটে শুঁটকিশিল্প
দরুদ পাঠে সুরভিত জীবন
দরুদ পাঠে সুরভিত জীবন
আহা গ্রিন ক্লিন হেলদি সিটি!
আহা গ্রিন ক্লিন হেলদি সিটি!
আড়াই হাজার বছর আগের মাছচাষি
আড়াই হাজার বছর আগের মাছচাষি
সর্বশেষ খবর
আয়ারল্যান্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট ক্যাথরিন কনলি
আয়ারল্যান্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট ক্যাথরিন কনলি

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’, যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে

৩১ মিনিট আগে | জাতীয়

প্রিমিয়ার লিগে ম্যানইউর টানা তৃতীয় জয়
প্রিমিয়ার লিগে ম্যানইউর টানা তৃতীয় জয়

৩৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

পাটগ্রামে অবৈধভাবে সার মজুত ও বেশি দামে বিক্রি, জব্দ-জরিমানা
পাটগ্রামে অবৈধভাবে সার মজুত ও বেশি দামে বিক্রি, জব্দ-জরিমানা

৫৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লায় বিএনপির ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ
কুমিল্লায় বিএনপির ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ

৫৫ মিনিট আগে | নগর জীবন

দ্বিনি বিষয়ে আলেমদের দ্বারস্থ হতে হবে
দ্বিনি বিষয়ে আলেমদের দ্বারস্থ হতে হবে

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

বিএনপি-জামায়াতের বালখিল্য
বিএনপি-জামায়াতের বালখিল্য

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

গৃহকর্মী হত্যার রহস্য উদঘাটন, মূল আসামি গ্রেফতার
গৃহকর্মী হত্যার রহস্য উদঘাটন, মূল আসামি গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফোনে ডেকে নিয়ে তরুণকে হত্যার অভিযোগ
ফোনে ডেকে নিয়ে তরুণকে হত্যার অভিযোগ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাটকা না ধরার প্রতিশ্রুতি জেলেদের
জাটকা না ধরার প্রতিশ্রুতি জেলেদের

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’
যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একটা দল শেখ হাসিনার মতোই মিথ্যাচার করছে: রিজভী
একটা দল শেখ হাসিনার মতোই মিথ্যাচার করছে: রিজভী

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঘরের মাঠে সান্ডারল্যান্ডের কাছে হারল চেলসি
ঘরের মাঠে সান্ডারল্যান্ডের কাছে হারল চেলসি

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বকাপে ৭ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান স্পিনারের রেকর্ড
বিশ্বকাপে ৭ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান স্পিনারের রেকর্ড

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তরুণের মৃত্যু
বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তরুণের মৃত্যু

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অপ্রতিরোধ্য বায়ার্ন, লিগে টানা ৮ জয়
অপ্রতিরোধ্য বায়ার্ন, লিগে টানা ৮ জয়

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মধ্যরাত থেকে মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ইলিশ ধরা শুরু
মধ্যরাত থেকে মেঘনা ও তেঁতুলিয়ায় ইলিশ ধরা শুরু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি মহাসড়কে চলতে দেয়া হবে না: বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান
লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি মহাসড়কে চলতে দেয়া হবে না: বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রিজার্ভ বৃদ্ধিকে স্বাগত জানাল আইএমএফ
রিজার্ভ বৃদ্ধিকে স্বাগত জানাল আইএমএফ

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সাফ অ্যাথলেটিকসে প্রথম পদক বাংলাদেশের
সাফ অ্যাথলেটিকসে প্রথম পদক বাংলাদেশের

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

‘সাইয়ারা’র পর নতুন ছবিতে অনীত, আয়ুষ্মানের শুভেচ্ছাবার্তা
‘সাইয়ারা’র পর নতুন ছবিতে অনীত, আয়ুষ্মানের শুভেচ্ছাবার্তা

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঢামেকে হাজতির মৃত্যু
ঢামেকে হাজতির মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘১৭ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি, নির্বাচনের নামে তামাশা হয়েছে’
‘১৭ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি, নির্বাচনের নামে তামাশা হয়েছে’

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুমিল্লায় সেই ধর্ষণের ঘটনায় মামলা
কুমিল্লায় সেই ধর্ষণের ঘটনায় মামলা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিনাজপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
দিনাজপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তারেক রহমানের হাত ধরে দেশে কৃষি ও অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে: তৃপ্তি
তারেক রহমানের হাত ধরে দেশে কৃষি ও অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে: তৃপ্তি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জোটগতভাবে ৩০০ আসনে নির্বাচনের ঘোষণা সিপিবির
জোটগতভাবে ৩০০ আসনে নির্বাচনের ঘোষণা সিপিবির

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাউজানে আবারও গুলিতে একজনের মৃত্যু
রাউজানে আবারও গুলিতে একজনের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নারায়ণগঞ্জে সাবেক যুবদল নেতাদের মিলনমেলা
নারায়ণগঞ্জে সাবেক যুবদল নেতাদের মিলনমেলা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাসপোর্ট ফি কমাতে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার
রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাসপোর্ট ফি কমাতে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা নিয়ে সৌদি আরবের পরিকল্পনা ফাঁস!
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা নিয়ে সৌদি আরবের পরিকল্পনা ফাঁস!

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সালমান শাহ-মৌসুমী জুটি ভাঙে সামিরার কারণে : সালমানের সহকারী
সালমান শাহ-মৌসুমী জুটি ভাঙে সামিরার কারণে : সালমানের সহকারী

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশনে তথ্য পাঠিয়েছে পুলিশ
আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ইমিগ্রেশনে তথ্য পাঠিয়েছে পুলিশ

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া
জাতিসংঘের পরবর্তী মহাসচিব নির্বাচন নিয়ে মতবিরোধ, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংঘাতের জন্য সবাই মুখিয়ে আছে : তথ্য উপদেষ্টা
সংঘাতের জন্য সবাই মুখিয়ে আছে : তথ্য উপদেষ্টা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে সব দলকেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান ফখরুলের
গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে সব দলকেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান ফখরুলের

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রকাশ্যে চিত্রনায়িকা নিপুণ
প্রকাশ্যে চিত্রনায়িকা নিপুণ

১১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

জেন-জিরা হাসিনার ‘মিথ’ ভেঙে দিয়েছে : চিফ প্রসিকিউটর
জেন-জিরা হাসিনার ‘মিথ’ ভেঙে দিয়েছে : চিফ প্রসিকিউটর

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাত দিনে ইউক্রেনের নতুন ১০ এলাকার দখল রাশিয়ার
সাত দিনে ইউক্রেনের নতুন ১০ এলাকার দখল রাশিয়ার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারিশদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে সংরক্ষণের নির্দেশ
মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারিশদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে সংরক্ষণের নির্দেশ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধ করতে হবে : সালাহউদ্দিন
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের সব দরজা বন্ধ করতে হবে : সালাহউদ্দিন

১২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ইসলামোফোবিয়ার’ বিরুদ্ধে দাঁড়াতে নিজের মুসলিম পরিচয়ে দৃঢ় অবস্থান মামদানির
‘ইসলামোফোবিয়ার’ বিরুদ্ধে দাঁড়াতে নিজের মুসলিম পরিচয়ে দৃঢ় অবস্থান মামদানির

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শাপলা পেলে নির্বাচন, না পেলে নয়— এটি ‘চাপ সৃষ্টির রাজনীতি’
শাপলা পেলে নির্বাচন, না পেলে নয়— এটি ‘চাপ সৃষ্টির রাজনীতি’

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় নতুন বেসামরিক প্রধান হিসেবে স্টিভ ফ্যাগিনকে নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের
গাজায় নতুন বেসামরিক প্রধান হিসেবে স্টিভ ফ্যাগিনকে নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভালুকায় বিএনপির আনন্দ মিছিল
ভালুকায় বিএনপির আনন্দ মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিয়ে করতে যাওয়া বরকে ধরে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
বিয়ে করতে যাওয়া বরকে ধরে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সরিষার তেলের যত গুণ
সরিষার তেলের যত গুণ

১৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ
প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে এনসিপি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাসে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোন, ২০ জনের প্রাণহানিতে থাকতে পারে ব্যাটারি বিস্ফোরণের প্রভাব
বাসে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোন, ২০ জনের প্রাণহানিতে থাকতে পারে ব্যাটারি বিস্ফোরণের প্রভাব

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

১৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুক পোস্টে বিচ্ছেদের গুঞ্জন, পূর্ণিমা জানালেন সত্যিটা কী
ফেসবুক পোস্টে বিচ্ছেদের গুঞ্জন, পূর্ণিমা জানালেন সত্যিটা কী

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে দিতে হবে কাশি, বারবার কাশতে গিয়ে ধরা পড়লেন পরীক্ষার্থী
প্রশ্নের সেট ‘পদ্মা’ হলে দিতে হবে কাশি, বারবার কাশতে গিয়ে ধরা পড়লেন পরীক্ষার্থী

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনা তদন্তে আসছে ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ টিম : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিমানবন্দরে আগুনের ঘটনা তদন্তে আসছে ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ টিম : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে গাজার ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হামাস
টেকনোক্র্যাট সরকারের কাছে গাজার ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হামাস

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লঘুচাপ রূপ নিতে পারে নিম্নচাপে, বৃষ্টির আভাস
লঘুচাপ রূপ নিতে পারে নিম্নচাপে, বৃষ্টির আভাস

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিতে ইয়েমেনে জাতিসংঘের ৭ কর্মী আটক
ইসরায়েলের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তিতে ইয়েমেনে জাতিসংঘের ৭ কর্মী আটক

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে গাজার আকাশে টহল দিচ্ছে মার্কিন ড্রোন
যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে গাজার আকাশে টহল দিচ্ছে মার্কিন ড্রোন

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশ সফরে বিরল রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিলক
বাংলাদেশ সফরে বিরল রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিলক

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ধর্ষণের অভিযোগ করে ভারতে নারী চিকিৎসকের আত্মহত্যা, চার পৃষ্ঠার চিঠি
ধর্ষণের অভিযোগ করে ভারতে নারী চিকিৎসকের আত্মহত্যা, চার পৃষ্ঠার চিঠি

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
একটি ফোন কলের অপেক্ষা
একটি ফোন কলের অপেক্ষা

প্রথম পৃষ্ঠা

তাবিথের নেতৃত্বে বাফুফের প্রথম বছর
তাবিথের নেতৃত্বে বাফুফের প্রথম বছর

মাঠে ময়দানে

একজন ক্ষণজন্মা ধূমকেতু
একজন ক্ষণজন্মা ধূমকেতু

শোবিজ

বিএনপির প্রার্থী বেগম জিয়া অথবা তারেক রহমান
বিএনপির প্রার্থী বেগম জিয়া অথবা তারেক রহমান

নগর জীবন

অভিভাবকশূন্য মিডিয়া ইন্ডাস্ট্র্রি
অভিভাবকশূন্য মিডিয়া ইন্ডাস্ট্র্রি

শোবিজ

বিল গেটসের চোখে সুপারহিরো অমিতাভ
বিল গেটসের চোখে সুপারহিরো অমিতাভ

শোবিজ

জাতীয় ক্রিকেটে দুরন্ত সেঞ্চুরি আরিফুলের
জাতীয় ক্রিকেটে দুরন্ত সেঞ্চুরি আরিফুলের

মাঠে ময়দানে

ফুরফুরে মেজাজে বুবলী
ফুরফুরে মেজাজে বুবলী

শোবিজ

অনুশীলনে টাইগাররা
অনুশীলনে টাইগাররা

মাঠে ময়দানে

মন্ত্রণালয় ও মাঠ প্রশাসনে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন
মন্ত্রণালয় ও মাঠ প্রশাসনে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন

প্রথম পৃষ্ঠা

খেলল কিংস জিতল আল সিব
খেলল কিংস জিতল আল সিব

মাঠে ময়দানে

নিগারদের বিশ্বকাপ শেষ আজ
নিগারদের বিশ্বকাপ শেষ আজ

মাঠে ময়দানে

অ্যালানার ৭ উইকেট
অ্যালানার ৭ উইকেট

মাঠে ময়দানে

ওয়ানডেতে শচীনের পরেই কোহলি
ওয়ানডেতে শচীনের পরেই কোহলি

মাঠে ময়দানে

বিরতিতে জাহ্নবী
বিরতিতে জাহ্নবী

শোবিজ

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বিনামূল্যের ট্রলিতেও দিতে হয় টাকা
বিনামূল্যের ট্রলিতেও দিতে হয় টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

তদন্ত করবেন চার দেশের বিশেষজ্ঞরা
তদন্ত করবেন চার দেশের বিশেষজ্ঞরা

পেছনের পৃষ্ঠা

অবকাঠামো ছাড়াই বিদ্যুতের গাড়ি!
অবকাঠামো ছাড়াই বিদ্যুতের গাড়ি!

পেছনের পৃষ্ঠা

নিজামী, মীর কাসেমদের ফাঁসি মিথ্যা মামলায়
নিজামী, মীর কাসেমদের ফাঁসি মিথ্যা মামলায়

প্রথম পৃষ্ঠা

মিনি ট্রেন চাপায় প্রাণ গেল শিশুর
মিনি ট্রেন চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

দেশগ্রাম

গলার কাঁটা স্লুইসগেট
গলার কাঁটা স্লুইসগেট

দেশগ্রাম

জামায়াত অফিস ভাঙচুর-হত্যাচেষ্টা সাংবাদিক কারাগারে
জামায়াত অফিস ভাঙচুর-হত্যাচেষ্টা সাংবাদিক কারাগারে

দেশগ্রাম

দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত বিএনপি নেতা
দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত বিএনপি নেতা

দেশগ্রাম

সীমান্তে ভারতীয় পণ্য জব্দ
সীমান্তে ভারতীয় পণ্য জব্দ

দেশগ্রাম

ছয় জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১
ছয় জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১

দেশগ্রাম

সাগরে জেগে ওঠা রূপকথার রাজ্য
সাগরে জেগে ওঠা রূপকথার রাজ্য

দেশগ্রাম

অস্ত্র-মাদকসহ আটক যুবদল নেতা
অস্ত্র-মাদকসহ আটক যুবদল নেতা

দেশগ্রাম

অবৈধভাবে টিকিট কেনায় জরিমানা সাত যাত্রীর
অবৈধভাবে টিকিট কেনায় জরিমানা সাত যাত্রীর

দেশগ্রাম

ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা নারী আটক
ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা নারী আটক

দেশগ্রাম