শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২১

মাহবুবে আলম : একজন বিনয়ী মানুষের প্রতিচ্ছবি

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
প্রিন্ট ভার্সন
মাহবুবে আলম : একজন বিনয়ী মানুষের প্রতিচ্ছবি

স্মৃতি রোমন্থন। মূলত একজন শ্রদ্ধেয় মানুষকে নিয়ে। যে মানুষটি এখন আর আমাদের মাঝে নেই। মানুষটির কর্ম ভাবনা স্মরণ করতে গিয়ে বিচারিক অঙ্গনে আমার ভ্রমণ পর্বের শুরুর অনেক কথা সামনে আসছে। সেই দিনগুলোর কথা এখনো বিস্মৃত হইনি। বিগত দিনের পথচলা থেকেই বুঝতে পারি জীবনপথে চলতে গিয়ে কী গ্রহণ করতে হবে, কী পরিহার করতে হবে এবং কোন বিষয়টি অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে হবে। সব মিলিয়ে বলা যায়, বিশুদ্ধ প্রবৃত্তি নিয়ে চলতে গেলে নিজ কর্ম ও আচরণ দিয়ে অন্যের হৃদয় জয় করতে হবে। সে রকম এক জয়ী মানবিক প্রাজ্ঞ মানুষের কথাই আজ বলছি।

মনে আছে, ১৯৮৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হই। নিয়মিতভাবে হাই কোর্টে আসা শুরু করি ১৯৮৯-এর শেষ থেকে। কিছুদিন একা একা হাই কোর্টের বারান্দায় ঘোরাফেরা। কিছুদিনের জন্য ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম সাহেবের চেম্বার। এরপর আবদুুল ওয়াহ্হাব মিয়ার (পরে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি) চেম্বারে যোগ দিই। সেখানে বেশ কিছুদিন কর্মে যুক্ত থাকার পর ১৯৯৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পাই। বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দীন, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীসহ আমরা নয়জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে যোগ দিই। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন কে এস নবী। ১৯৯৮ সালে নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে যোগ দেন বিশিষ্ট সংবিধান বিশেষজ্ঞ প্রাজ্ঞ সিনিয়র অ্যাডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম। এর কিছুদিনের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে যোগ দেন মাহবুবে আলম। মাহবুবে আলমকে নিয়েই আমার আজকের লেখা।

মাহবুবে আলমের সঙ্গে আমার পারিচয় ১৯৯০ সালের দিকে। সে সময় দেখেছি এস আর পাল, এম এইচ খন্দকার, টি এইচ খান, খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমদ, ড. কামাল হোসেন, সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, সিরাজুল হক, আবদুল মালেক, আমীর-উল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রমুখ প্রাজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবীর পদচারণে সুপ্রিম কোর্ট মুখর থাকত। আইন পেশার প্রসারের দিক থেকে তাঁদের পাশাপাশি বা কাছাকাছি অবস্থানে যাঁদের নাম ছিল তাঁর মধ্যে রোকনউদ্দিন মাহমুদ, হাসান আরিফ, মাহবুবে আলম, আবদুল বাসেত মজুমদার, আবদুল ওয়াহ্হাব মিয়া, এস কে সিনহা, এ জে মোহাম্মদ আলী, ফিদা এম কামালের নাম উল্লখযোগ্য। মাহবুবে আলম ছিলেন ফজলুল করিম ও খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমদের জুনিয়র। এ দুজন প্রথিতযশা আইনজীবীর সঙ্গেই কাজ করেছেন মাহবুবে আলম। মাহমুদুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে যোগ দেওয়ার পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের পদটি খালি হয়ে যায়। মাহমুদুল ইসলামের অভিপ্রায়েই অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে যোগ দেন মাহবুবে আলম, ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে। ২০০০ সালের মাঝামাঝি আমি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদে উন্নীত হই। বর্তমান মাননীয় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী এ দুজন বিচারপতিও মাহমুদুল ইসলাম ও মাহবুবে আলমের সঙ্গে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

২০০১ সালের ফেব্র“য়ারিতে মাননীয় বিচারপতিদ্বয় হাই কোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। আমরা বেশ কয়েকজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ২০০১ সালের অক্টোবরে সরকার পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করি। আমাদের পদত্যাগের সপ্তাহখানেক আগে মাহবুবে আলমও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কাজ করার সময় মাহবুবে আলমের সঙ্গে তাঁর জুনিয়র কলিগ হিসেবে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তাঁর সঙ্গে রয়েছে আমার অনেক স্মৃতি। তাঁর সংস্পর্শে আসাটা ছিল আমার জন্য এক বিরল সুযোগ ও সৌভাগ্যের। অসম্ভব ধৈর্যশীল বিনয়ী একজন মানুষ। আইন বিষয়ে তাঁর দক্ষতা এবং জুনিয়রদের শেখানোর যে আগ্রহ তাঁর মাঝে দেখেছি তা সত্যিই বিরল ও প্রশংসনীয়। আমার সিনিয়র আবদুল ওয়াহ্হাব মিয়ার কাছে উচ্চতর আদালতের প্র্যাকটিসের অ আ ক খ শেখার পর তিনি যখন হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি হয়ে যান তখন সিনিয়র হিসেবে যে মানুষটির দ্বার ছিল আমার জন্য অবারিত তিনি মাহবুবে আলম। তবে এ কথা সত্য, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে আমরা মাহমুদুল ইসলামের অভিভাবকত্বে যারা কাজ করতে পেরেছি প্রত্যেকেই তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। যেভাবে তিনি আমাদের কাজ করার ও শেখার সুযোগ করে দিতেন তার তুলনা হয় না। একটি মামলার জবাব বা আবেদনপত্র বা এফিডেভিট ইন অপজিশন ড্রাফট করার পর মাহমুদুল ইসলাম বা মাহবুবে আলম দেখে যদি বলতেন ‘খারাপ হয়নি ভালোই হয়েছে’ তখন আমার ও আমার মতো যারা ওই অফিসে একসঙ্গে কাজ করতাম সবারই আত্মবিশ্বাসের স্থানটি আরও দৃঢ় হতো বইকি।

মানুষ হিসেবে মাহবুবে আলম ছিলেন অত্যন্ত প্রগতিশীল ও সংস্কৃতিমনা। তিনি ছিলেন মানবিক। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় শানিত মাহবুবে আলম তরুণ আইনজীবীদের একজন অভিভাবক ছিলেন। প্রয়াত আইনজীবী ব্যারিস্টার শওকত আলী খান বলতেন, আমরা যারা উচ্চ আদালতে আইন পেশায় জড়িত তাদের মধ্যে যে পেশাগত প্রতিযোগিতা সব সময়ই থাকা উচিত তা হলো আমরা কে কত নম্র ও বিনয়ী হতে পারি তার প্রতিযোগিতা। কোর্টে মামলায় হেরে গেলেও আমরা বলি Much Obliged My Lord... এটিই এ আদালতের প্র্যাকটিস। শিষ্টাচার শেখার ও অনুশীলনের স্থান হলো উচ্চতর আদালত। মাহবুবে আলম ছিলেন একজন বিনয়ী, নম্র ভদ্রলোক। আদালতের ভিতরে কেউ তাঁর প্রতি রূঢ় আচরণ করলে বা বক্র কথা বললেও তিনি তার পাল্টা জবাব দিতেন না। নীরব থাকতেন। তিনি ছিলেন সবার প্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন। ব্যারিস্টার শওকত আলী খান তাই তাঁকে সম্বোধন করতেন ‘বিশ্বপ্রিয়’ বলে।

কলাবাগানের হাজি বশির উদ্দীন রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মাহবুবে আলম। ওই বাড়ির তিন তলায় একসময় বাসা ভাড়া নেন আমার বন্ধু এম ইনায়েতুর রহিম। আমি মাস দু-এক ওই বাড়িতে ইনায়েতুর রহিমের সঙ্গে ছিলাম। প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তে মাহবুবে আলম স্যারের বাসায় গল্প-গুজবের আসর বসত। আমরা নিয়মিতই সে আসরে অংশ নিতাম। বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি মিফতাহ্ উদ্দীন চৌধুরী, বর্তমান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বর্তমান বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী প্রমুখ নিয়মিতই মাহবুবে আলমের বাসার আসরে আসতেন। তখন আমরা আইনজীবী। গল্পগুজব, গান-বাজনা শেষে রাতের খাবার খেয়ে আমরা যার যার বাসায় ফিরতাম। বন্ধু আমিন উদ্দিন মাঝেমধ্যে সেখানে থেকে যেতেন। কারণ সকালে হয়তো সিনিয়রের সঙ্গে কোনো মামলার শুনানি বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। তখন এম আমিন উদ্দিন ছিলেন মাহবুবে আলমের চেম্বার জুনিয়র।

আজ এত বছর পরে এ সবই শুধু স্মৃতি। তবে ভুলে যাইনি ওইসব দিনের কথা। ২০০১ সালে আমরা যখন অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে বারে ফিরে আসি তখন কঠিন কোনো মামলা পেলে বোঝার জন্য ছুটে যেতাম মাহবুবে আলম বা মাহমুদুল ইসলামের কাছে। সিনিয়র আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী তখন জুনিয়র হিসেবে মাহমুদুল ইসলামের সঙ্গে কাজ করতেন। এভাবে দিন যেতে থাকে। একসময় ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে মাহবুবে আলম বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এর কিছুদিন পরই এম ইনায়েতুর রহিম অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ওই অফিসে যোগদান করেন। মাহবুবে আলম ও এম ইনায়েতুর রহিম একসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালের ৩০ জুন আমি ও ইনায়েতুর রহিম হাই কোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথ নিই। আমরা নয়জন তখন অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাই। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে সম্ভবত তিনি প্রথম আমাদেরই Felicitate করেন বা সম্ভাষণ জানান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারক হিসেবে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তিনি আমাকে উৎসাহিত করেন। যুদ্ধাপরাধীদের মামলায় তিনি ট্রাইব্যুনালে (ট্রাইব্যুনাল-২) অনেকবার বক্তব্য দিয়েছেন। হাই কোর্ট বিভাগের বিচারক থাকাকালে মাহবুবে আলম অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় আমার আদালতেও শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন। মামলার শুনানি শেষে মামলার এক পক্ষ জেতে আর এক পক্ষ হারে এটাই স্বাভাবিক। তবে প্রজ্ঞাবান আইনজীবীরা যখন কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নেন তখন বিচারকরা আইনজীবীদের সাবমিশন থেকে অনেক কিছুই শেখার সুযোগ পান। এটা আমার একেবারেই নিজস্ব ধারণা। আমি আদালতকক্ষে ভালো আইনজীবীদের সাবমিশন থেকে প্রতিনিয়তই শেখার চেষ্টা করি। হাই কোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ সর্বশেষ যে মামলাটি আমি শুনি তাতে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মাহবুবে আলম অংশগ্রহণ করেছিলেন সশরীরে। সেটি ছিল ক্ষমতাসীন দলের একজন সংসদ সদস্যের একটি কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষে অবস্থান। রাষ্ট্রের স্বার্থে মাহবুবে আলম তাঁর বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি কখনো দেখতেন না মামলার পক্ষদ্বয়ের মধ্যে কেউ সরকারি বা বিরোধী দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না বা কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কি না। একটি বিষয়ে তিনি সদাসর্বদা শক্ত অবস্থানে থাকতেন। তা হলো রাষ্ট্রের স্বার্থ যে কোনো মূল্যে রক্ষা করা।

পদাধিকারবলে অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। একবার বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় তাঁর মেয়ে অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হন। তিনি কাউকে কিছু বলেননি। অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের গ্রেস মার্কস দেওয়ার জন্য অনেকের পক্ষ থেকেই পীড়াপীড়ি শুরু হয়। মাহবুবে আলম কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন। যে পরিমাণ নম্বর দিলে তাঁর মেয়ে পাস করবে তা তিনি দিতে দেননি। তবে কাউকে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর সিদ্ধান্তের অনড়তার পশ্চাতের কারণটি বলেননি অনেক দিন। অর্থাৎ নৈতিকতা ও নীতির প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন ও অটল। সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি অনেকের বিরাগভাজন হয়েছেন। তাঁকে বহুবার হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। পাঠানো হয়েছে প্রতীকী কাফনের কাপড়। কিন্তু এ কারণে কর্তব্যকাজে অবহেলার কোনো লেশমাত্র চিহ্ন ছিল না তাঁর মধ্যে। ছিল না কোনো ভীতি।

মাহবুবে আলমসহ আমরা বেশ কজন বিচারপতি একই ভবনে বাস করতাম। কিন্তু তিনি কখনো আমাদের সঙ্গে মামলা-মোকদ্দমার ব্যাপারে আলোচনাও করতেন না। আমরা এখনো একত্রে একই ভবনে রায়েছি। শুধু তিনিই চলে গেলেন। বাসাটি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। তাঁর বাসায় মাঝেমধ্যে সংগীতের আসর হতো। আমাদের সবাইকে তিনি দাওয়াত করতেন। তাঁর বাসার দেয়ালগুলো পেইন্টিংয়ে ঠাসা। ভাবির আঁকার অভ্যাস আছে। বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অত্যন্ত বিরল কিছু পেইন্টিং দেখেছি তাঁর বাসার দেয়ালে।

২ সেপ্টেম্বর ২০২০ দুপুরে কোর্ট থেকে নেমেই জানতে পারি আমি আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। মাননীয় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করে একটু তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরি। বিকালে মাহবুবে আলম আমাকে ফোন করে উচ্ছ্বসিতভাবে অভিনন্দন শব্দটি তিনবার উচ্চারণের মধ্য দিয়ে আমাকে অভিনন্দিত করেন। ৩ সেপ্টেম্বর আমি ও তারিকুল হাকিম উভয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিই। শুনলাম ৬ সেপ্টেম্বর ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আমাদের ফেলিসিটেশন দেওয়া হবে। ওই দিন বিকালেই শুনি মাহবুবে আলম অসুস্থ। সম্ভবত ওই দিনগত রাতে বা পরদিন সকালে তাঁকে সিএমএইচে নেওয়া হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। খবর এলো তিনি করোনায় আক্রান্ত। ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বললাম। তিনি বললেন, সামান্য জ্বর ছিল তবে এখন নেই। সামান্য কাশি আছে। একটু সংকোচ নিয়েই জিজ্ঞেস করি ফেলিসিটেশনে কি কোনো অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল থাকবেন? তিনি বললেন না, তিনি নিজেই থাকবেন। কীভাবে? জিজ্ঞেস করে জানলাম তিনি সিএমএইচের কেবিনে পোশাক ও ল্যাপটপ নিয়ে গেছেন। ওখানকার লোকদের দিয়ে জুমের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে ৬ তারিখে তিনি আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দিত করেন।

আমার উদ্দেশে দেওয়া তাঁর অভিনন্দন ভাষণটি ছিল প্রায় ২২ মিনিটের। তিনি আমার উদ্দেশে অনেক কথা বলেছিলেন। হয়তো বা আমি এসবের যোগ্যও নই। এই ছিল আমার প্রতি তাঁর ব্যক্তিগত ভালোবাসা ও ¯ন্ডেœহের বহিঃপ্রকাশ। আর বিচারকের আসনে অধিষ্ঠিত মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধানিঃসৃত উচ্চারণ। যা ছিল আমার জন্য প্রেরণা ও সাহস। আমি সন্ধ্যায় ফোনে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই তাঁর বক্তব্যের জন্য। তিনি প্রতি উত্তরে যা বলেছিলেন আমি সে কথাগুলো আর লিখতে পারছি না...। তিনি দোয়া চাইলেন, আমার কণ্ঠ বাকরুদ্ধ হয়ে আসছিল। খুব বেশি কিছু আর বলিনি। শুধু বলেছিলাম- স্যার, ইনশা আল্লাহ আপনি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে আবারও ফিরে আসবেন।

ব্যক্তিজীবনে মানবিক মাহবুবে আলম কত মানুষকে যে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন তার ইয়ত্তা নেই। তিনি নীরবে মানুষের দুঃসময়ে পাশে থেকেছেন। সমাজে বঞ্চিত কত মানুষ রয়েছে। আল্লাহ চান সক্ষম ব্যক্তিরা তাদের পাশে থাকুক। শেষ নিবাস মাটির ঘরে শূন্য হাতেই যেতে হবে। কোনো বৈভব সঙ্গে যাবে না। সুযোগটা তাই একালেই। মাহবুবে আলম তা বিশ্বাস করতেন তাঁর কর্মে ও ধ্যানে। ইসলাম ধর্মে যেভাবে নীরবে গোপনে দানের কথা বলা আছে মাহবুবে আলম দান করতেন সেভাবে। কেউ জানত না। বেশ অনেক পরে উপকারভোগীদের কাছ থেকে জানা যেত তিনি কাকে কীভাবে সাহায্য করেছেন। তাঁর ইহকালের এ নীরব পুণ্যকর্মই ওইকালে তাঁকে ছায়া দেবে। মাহবুবে আলমের বাবা অত্যন্ত ধার্মিক মানুষ ছিলেন। মাহবুবে আলমও হজব্রত পালন করেছেন দুবার। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে ও তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।

মাহবুবে আলমের মতো ন্যায়পরায়ণ, নীতিমান, নম্র ও বিনয়ী মানুষের আজ বড়ই অভাব। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে তাঁর মতো আর একজন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ২৭ সেপ্টেম্বর ছিল তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। এক বছর আগে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। রেখে গেছেন তাঁর শিক্ষা, চেতনা ও আদর্শ। তাঁর মৃত্যুর বছরপূর্তিতে প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন তাঁকে বেহেশত নসিব করেন। আর আমি যেন আমার উদ্দেশে আমার ফেলিসিটেশন সম্ভাষণে তিনি যেসব আশাবাদ ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন এবং আমার ওপর অর্পিত যে দায়িত্বের কথা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে গেছেন মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন যেন আমাকে সে দায়িত্ব পালনে শক্তি ও সাহস দান করেন। 

 

লেখক : বিচারপতি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ, ঢাকা।

এই বিভাগের আরও খবর
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
নদী দখল-দূষণ
নদী দখল-দূষণ
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
ঝুঁকিপূর্ণ জনবিস্ফোরণ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
খতমে নবুয়ত ইমানের অংশ
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
বেরুলা বাঁচানো সময়ের দাবি
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সশস্ত্র বাহিনী দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা
সর্বশেষ খবর
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত

২৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি

১ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
শেকৃবিতে ছাত্রদলের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ

৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ
এআই অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর রেকর্ড ঋণ গ্রহণ

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান
রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তুষার, সাধারণ সম্পাদক আহসান

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে
মোটরসাইকেল না পেয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, তরুণ কারাগারে

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর
শেষ বলের ভুলে ক্ষমা চাইলেন আকবর

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন
পারমাণবিক বিস্ফোরণ-সহনশীল ভাসমান কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ করছে চীন

৪ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন
চট্টগ্রামে ভূমিকম্পে হেলে পড়েছে ভবন

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে দুই দিনব্যাপী চাইনিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

৪ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর
ফটিকছড়িতে শিল্প জোন করা হবে : সরওয়ার আলমগীর

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ
স্বামীর খোঁজ নেই, ৩ বছরের দেবরকে নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু
মুগদায় ভবনের ছাদের রেলিং ধসে নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১
বান্দরবানে দেশীয় মদসহ গ্রেপ্তার ১

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক
শার্শায় বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তির উঠোন বৈঠক

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক
বেনাপোলে সৌদি রিয়াল ও ডলারসহ এক যাত্রী আটক

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

১৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন
ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ
সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম চড়া, বাড়ছে পিঁয়াজের ঝাঁজ

পেছনের পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান
ভূমিকম্পে ভয়ে ৮০ জন নারী অজ্ঞান

নগর জীবন

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু
ঝিনাইগাতীতে তিন দিনব্যাপী ওয়ানগালা উৎসব শুরু

পেছনের পৃষ্ঠা

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

১১ মাসে অপহৃত ৫ শতাধিক
১১ মাসে অপহৃত ৫ শতাধিক

পেছনের পৃষ্ঠা

আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে
আলেমদের রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে

নগর জীবন

ভূমিকম্প প্রতিরোধে এখনই জরুরি ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করা উচিত
ভূমিকম্প প্রতিরোধে এখনই জরুরি ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করা উচিত

নগর জীবন