শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২১

মাহবুবে আলম : একজন বিনয়ী মানুষের প্রতিচ্ছবি

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
প্রিন্ট ভার্সন
মাহবুবে আলম : একজন বিনয়ী মানুষের প্রতিচ্ছবি

স্মৃতি রোমন্থন। মূলত একজন শ্রদ্ধেয় মানুষকে নিয়ে। যে মানুষটি এখন আর আমাদের মাঝে নেই। মানুষটির কর্ম ভাবনা স্মরণ করতে গিয়ে বিচারিক অঙ্গনে আমার ভ্রমণ পর্বের শুরুর অনেক কথা সামনে আসছে। সেই দিনগুলোর কথা এখনো বিস্মৃত হইনি। বিগত দিনের পথচলা থেকেই বুঝতে পারি জীবনপথে চলতে গিয়ে কী গ্রহণ করতে হবে, কী পরিহার করতে হবে এবং কোন বিষয়টি অন্যের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে হবে। সব মিলিয়ে বলা যায়, বিশুদ্ধ প্রবৃত্তি নিয়ে চলতে গেলে নিজ কর্ম ও আচরণ দিয়ে অন্যের হৃদয় জয় করতে হবে। সে রকম এক জয়ী মানবিক প্রাজ্ঞ মানুষের কথাই আজ বলছি।

মনে আছে, ১৯৮৮ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হই। নিয়মিতভাবে হাই কোর্টে আসা শুরু করি ১৯৮৯-এর শেষ থেকে। কিছুদিন একা একা হাই কোর্টের বারান্দায় ঘোরাফেরা। কিছুদিনের জন্য ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম সাহেবের চেম্বার। এরপর আবদুুল ওয়াহ্হাব মিয়ার (পরে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি) চেম্বারে যোগ দিই। সেখানে বেশ কিছুদিন কর্মে যুক্ত থাকার পর ১৯৯৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পাই। বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দীন, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীসহ আমরা নয়জন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে যোগ দিই। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন কে এস নবী। ১৯৯৮ সালে নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে যোগ দেন বিশিষ্ট সংবিধান বিশেষজ্ঞ প্রাজ্ঞ সিনিয়র অ্যাডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম। এর কিছুদিনের মধ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে যোগ দেন মাহবুবে আলম। মাহবুবে আলমকে নিয়েই আমার আজকের লেখা।

মাহবুবে আলমের সঙ্গে আমার পারিচয় ১৯৯০ সালের দিকে। সে সময় দেখেছি এস আর পাল, এম এইচ খন্দকার, টি এইচ খান, খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমদ, ড. কামাল হোসেন, সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, সিরাজুল হক, আবদুল মালেক, আমীর-উল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রমুখ প্রাজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবীর পদচারণে সুপ্রিম কোর্ট মুখর থাকত। আইন পেশার প্রসারের দিক থেকে তাঁদের পাশাপাশি বা কাছাকাছি অবস্থানে যাঁদের নাম ছিল তাঁর মধ্যে রোকনউদ্দিন মাহমুদ, হাসান আরিফ, মাহবুবে আলম, আবদুল বাসেত মজুমদার, আবদুল ওয়াহ্হাব মিয়া, এস কে সিনহা, এ জে মোহাম্মদ আলী, ফিদা এম কামালের নাম উল্লখযোগ্য। মাহবুবে আলম ছিলেন ফজলুল করিম ও খন্দকার মাহবুব উদ্দিন আহমদের জুনিয়র। এ দুজন প্রথিতযশা আইনজীবীর সঙ্গেই কাজ করেছেন মাহবুবে আলম। মাহমুদুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে যোগ দেওয়ার পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের পদটি খালি হয়ে যায়। মাহমুদুল ইসলামের অভিপ্রায়েই অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে যোগ দেন মাহবুবে আলম, ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে। ২০০০ সালের মাঝামাঝি আমি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদে উন্নীত হই। বর্তমান মাননীয় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী এ দুজন বিচারপতিও মাহমুদুল ইসলাম ও মাহবুবে আলমের সঙ্গে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

২০০১ সালের ফেব্র“য়ারিতে মাননীয় বিচারপতিদ্বয় হাই কোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। আমরা বেশ কয়েকজন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ২০০১ সালের অক্টোবরে সরকার পরিবর্তনজনিত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করি। আমাদের পদত্যাগের সপ্তাহখানেক আগে মাহবুবে আলমও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কাজ করার সময় মাহবুবে আলমের সঙ্গে তাঁর জুনিয়র কলিগ হিসেবে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। তাঁর সঙ্গে রয়েছে আমার অনেক স্মৃতি। তাঁর সংস্পর্শে আসাটা ছিল আমার জন্য এক বিরল সুযোগ ও সৌভাগ্যের। অসম্ভব ধৈর্যশীল বিনয়ী একজন মানুষ। আইন বিষয়ে তাঁর দক্ষতা এবং জুনিয়রদের শেখানোর যে আগ্রহ তাঁর মাঝে দেখেছি তা সত্যিই বিরল ও প্রশংসনীয়। আমার সিনিয়র আবদুল ওয়াহ্হাব মিয়ার কাছে উচ্চতর আদালতের প্র্যাকটিসের অ আ ক খ শেখার পর তিনি যখন হাই কোর্ট বিভাগের বিচারপতি হয়ে যান তখন সিনিয়র হিসেবে যে মানুষটির দ্বার ছিল আমার জন্য অবারিত তিনি মাহবুবে আলম। তবে এ কথা সত্য, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে আমরা মাহমুদুল ইসলামের অভিভাবকত্বে যারা কাজ করতে পেরেছি প্রত্যেকেই তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। যেভাবে তিনি আমাদের কাজ করার ও শেখার সুযোগ করে দিতেন তার তুলনা হয় না। একটি মামলার জবাব বা আবেদনপত্র বা এফিডেভিট ইন অপজিশন ড্রাফট করার পর মাহমুদুল ইসলাম বা মাহবুবে আলম দেখে যদি বলতেন ‘খারাপ হয়নি ভালোই হয়েছে’ তখন আমার ও আমার মতো যারা ওই অফিসে একসঙ্গে কাজ করতাম সবারই আত্মবিশ্বাসের স্থানটি আরও দৃঢ় হতো বইকি।

মানুষ হিসেবে মাহবুবে আলম ছিলেন অত্যন্ত প্রগতিশীল ও সংস্কৃতিমনা। তিনি ছিলেন মানবিক। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় শানিত মাহবুবে আলম তরুণ আইনজীবীদের একজন অভিভাবক ছিলেন। প্রয়াত আইনজীবী ব্যারিস্টার শওকত আলী খান বলতেন, আমরা যারা উচ্চ আদালতে আইন পেশায় জড়িত তাদের মধ্যে যে পেশাগত প্রতিযোগিতা সব সময়ই থাকা উচিত তা হলো আমরা কে কত নম্র ও বিনয়ী হতে পারি তার প্রতিযোগিতা। কোর্টে মামলায় হেরে গেলেও আমরা বলি Much Obliged My Lord... এটিই এ আদালতের প্র্যাকটিস। শিষ্টাচার শেখার ও অনুশীলনের স্থান হলো উচ্চতর আদালত। মাহবুবে আলম ছিলেন একজন বিনয়ী, নম্র ভদ্রলোক। আদালতের ভিতরে কেউ তাঁর প্রতি রূঢ় আচরণ করলে বা বক্র কথা বললেও তিনি তার পাল্টা জবাব দিতেন না। নীরব থাকতেন। তিনি ছিলেন সবার প্রিয় ও শ্রদ্ধাভাজন। ব্যারিস্টার শওকত আলী খান তাই তাঁকে সম্বোধন করতেন ‘বিশ্বপ্রিয়’ বলে।

কলাবাগানের হাজি বশির উদ্দীন রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন মাহবুবে আলম। ওই বাড়ির তিন তলায় একসময় বাসা ভাড়া নেন আমার বন্ধু এম ইনায়েতুর রহিম। আমি মাস দু-এক ওই বাড়িতে ইনায়েতুর রহিমের সঙ্গে ছিলাম। প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তে মাহবুবে আলম স্যারের বাসায় গল্প-গুজবের আসর বসত। আমরা নিয়মিতই সে আসরে অংশ নিতাম। বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি মিফতাহ্ উদ্দীন চৌধুরী, বর্তমান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বর্তমান বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী প্রমুখ নিয়মিতই মাহবুবে আলমের বাসার আসরে আসতেন। তখন আমরা আইনজীবী। গল্পগুজব, গান-বাজনা শেষে রাতের খাবার খেয়ে আমরা যার যার বাসায় ফিরতাম। বন্ধু আমিন উদ্দিন মাঝেমধ্যে সেখানে থেকে যেতেন। কারণ সকালে হয়তো সিনিয়রের সঙ্গে কোনো মামলার শুনানি বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। তখন এম আমিন উদ্দিন ছিলেন মাহবুবে আলমের চেম্বার জুনিয়র।

আজ এত বছর পরে এ সবই শুধু স্মৃতি। তবে ভুলে যাইনি ওইসব দিনের কথা। ২০০১ সালে আমরা যখন অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে বারে ফিরে আসি তখন কঠিন কোনো মামলা পেলে বোঝার জন্য ছুটে যেতাম মাহবুবে আলম বা মাহমুদুল ইসলামের কাছে। সিনিয়র আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী তখন জুনিয়র হিসেবে মাহমুদুল ইসলামের সঙ্গে কাজ করতেন। এভাবে দিন যেতে থাকে। একসময় ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে মাহবুবে আলম বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এর কিছুদিন পরই এম ইনায়েতুর রহিম অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ওই অফিসে যোগদান করেন। মাহবুবে আলম ও এম ইনায়েতুর রহিম একসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৯ সালের ৩০ জুন আমি ও ইনায়েতুর রহিম হাই কোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথ নিই। আমরা নয়জন তখন অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাই। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে সম্ভবত তিনি প্রথম আমাদেরই Felicitate করেন বা সম্ভাষণ জানান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারক হিসেবে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে তিনি আমাকে উৎসাহিত করেন। যুদ্ধাপরাধীদের মামলায় তিনি ট্রাইব্যুনালে (ট্রাইব্যুনাল-২) অনেকবার বক্তব্য দিয়েছেন। হাই কোর্ট বিভাগের বিচারক থাকাকালে মাহবুবে আলম অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় আমার আদালতেও শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন। মামলার শুনানি শেষে মামলার এক পক্ষ জেতে আর এক পক্ষ হারে এটাই স্বাভাবিক। তবে প্রজ্ঞাবান আইনজীবীরা যখন কোনো মামলার শুনানিতে অংশ নেন তখন বিচারকরা আইনজীবীদের সাবমিশন থেকে অনেক কিছুই শেখার সুযোগ পান। এটা আমার একেবারেই নিজস্ব ধারণা। আমি আদালতকক্ষে ভালো আইনজীবীদের সাবমিশন থেকে প্রতিনিয়তই শেখার চেষ্টা করি। হাই কোর্ট বিভাগে বিচারক হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ সর্বশেষ যে মামলাটি আমি শুনি তাতে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মাহবুবে আলম অংশগ্রহণ করেছিলেন সশরীরে। সেটি ছিল ক্ষমতাসীন দলের একজন সংসদ সদস্যের একটি কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষে অবস্থান। রাষ্ট্রের স্বার্থে মাহবুবে আলম তাঁর বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি কখনো দেখতেন না মামলার পক্ষদ্বয়ের মধ্যে কেউ সরকারি বা বিরোধী দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কি না বা কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে কি না। একটি বিষয়ে তিনি সদাসর্বদা শক্ত অবস্থানে থাকতেন। তা হলো রাষ্ট্রের স্বার্থ যে কোনো মূল্যে রক্ষা করা।

পদাধিকারবলে অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। একবার বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় তাঁর মেয়ে অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হন। তিনি কাউকে কিছু বলেননি। অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীদের গ্রেস মার্কস দেওয়ার জন্য অনেকের পক্ষ থেকেই পীড়াপীড়ি শুরু হয়। মাহবুবে আলম কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন। যে পরিমাণ নম্বর দিলে তাঁর মেয়ে পাস করবে তা তিনি দিতে দেননি। তবে কাউকে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর সিদ্ধান্তের অনড়তার পশ্চাতের কারণটি বলেননি অনেক দিন। অর্থাৎ নৈতিকতা ও নীতির প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন ও অটল। সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে তিনি অনেকের বিরাগভাজন হয়েছেন। তাঁকে বহুবার হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। পাঠানো হয়েছে প্রতীকী কাফনের কাপড়। কিন্তু এ কারণে কর্তব্যকাজে অবহেলার কোনো লেশমাত্র চিহ্ন ছিল না তাঁর মধ্যে। ছিল না কোনো ভীতি।

মাহবুবে আলমসহ আমরা বেশ কজন বিচারপতি একই ভবনে বাস করতাম। কিন্তু তিনি কখনো আমাদের সঙ্গে মামলা-মোকদ্দমার ব্যাপারে আলোচনাও করতেন না। আমরা এখনো একত্রে একই ভবনে রায়েছি। শুধু তিনিই চলে গেলেন। বাসাটি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। তাঁর বাসায় মাঝেমধ্যে সংগীতের আসর হতো। আমাদের সবাইকে তিনি দাওয়াত করতেন। তাঁর বাসার দেয়ালগুলো পেইন্টিংয়ে ঠাসা। ভাবির আঁকার অভ্যাস আছে। বঙ্গবন্ধু ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অত্যন্ত বিরল কিছু পেইন্টিং দেখেছি তাঁর বাসার দেয়ালে।

২ সেপ্টেম্বর ২০২০ দুপুরে কোর্ট থেকে নেমেই জানতে পারি আমি আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছি। মাননীয় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করে একটু তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরি। বিকালে মাহবুবে আলম আমাকে ফোন করে উচ্ছ্বসিতভাবে অভিনন্দন শব্দটি তিনবার উচ্চারণের মধ্য দিয়ে আমাকে অভিনন্দিত করেন। ৩ সেপ্টেম্বর আমি ও তারিকুল হাকিম উভয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নিই। শুনলাম ৬ সেপ্টেম্বর ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আমাদের ফেলিসিটেশন দেওয়া হবে। ওই দিন বিকালেই শুনি মাহবুবে আলম অসুস্থ। সম্ভবত ওই দিনগত রাতে বা পরদিন সকালে তাঁকে সিএমএইচে নেওয়া হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। খবর এলো তিনি করোনায় আক্রান্ত। ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বললাম। তিনি বললেন, সামান্য জ্বর ছিল তবে এখন নেই। সামান্য কাশি আছে। একটু সংকোচ নিয়েই জিজ্ঞেস করি ফেলিসিটেশনে কি কোনো অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল থাকবেন? তিনি বললেন না, তিনি নিজেই থাকবেন। কীভাবে? জিজ্ঞেস করে জানলাম তিনি সিএমএইচের কেবিনে পোশাক ও ল্যাপটপ নিয়ে গেছেন। ওখানকার লোকদের দিয়ে জুমের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে ৬ তারিখে তিনি আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে অভিনন্দিত করেন।

আমার উদ্দেশে দেওয়া তাঁর অভিনন্দন ভাষণটি ছিল প্রায় ২২ মিনিটের। তিনি আমার উদ্দেশে অনেক কথা বলেছিলেন। হয়তো বা আমি এসবের যোগ্যও নই। এই ছিল আমার প্রতি তাঁর ব্যক্তিগত ভালোবাসা ও ¯ন্ডেœহের বহিঃপ্রকাশ। আর বিচারকের আসনে অধিষ্ঠিত মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধানিঃসৃত উচ্চারণ। যা ছিল আমার জন্য প্রেরণা ও সাহস। আমি সন্ধ্যায় ফোনে তাঁকে ধন্যবাদ জানাই তাঁর বক্তব্যের জন্য। তিনি প্রতি উত্তরে যা বলেছিলেন আমি সে কথাগুলো আর লিখতে পারছি না...। তিনি দোয়া চাইলেন, আমার কণ্ঠ বাকরুদ্ধ হয়ে আসছিল। খুব বেশি কিছু আর বলিনি। শুধু বলেছিলাম- স্যার, ইনশা আল্লাহ আপনি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে আবারও ফিরে আসবেন।

ব্যক্তিজীবনে মানবিক মাহবুবে আলম কত মানুষকে যে আর্থিকভাবে সাহায্য করেছেন তার ইয়ত্তা নেই। তিনি নীরবে মানুষের দুঃসময়ে পাশে থেকেছেন। সমাজে বঞ্চিত কত মানুষ রয়েছে। আল্লাহ চান সক্ষম ব্যক্তিরা তাদের পাশে থাকুক। শেষ নিবাস মাটির ঘরে শূন্য হাতেই যেতে হবে। কোনো বৈভব সঙ্গে যাবে না। সুযোগটা তাই একালেই। মাহবুবে আলম তা বিশ্বাস করতেন তাঁর কর্মে ও ধ্যানে। ইসলাম ধর্মে যেভাবে নীরবে গোপনে দানের কথা বলা আছে মাহবুবে আলম দান করতেন সেভাবে। কেউ জানত না। বেশ অনেক পরে উপকারভোগীদের কাছ থেকে জানা যেত তিনি কাকে কীভাবে সাহায্য করেছেন। তাঁর ইহকালের এ নীরব পুণ্যকর্মই ওইকালে তাঁকে ছায়া দেবে। মাহবুবে আলমের বাবা অত্যন্ত ধার্মিক মানুষ ছিলেন। মাহবুবে আলমও হজব্রত পালন করেছেন দুবার। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে ও তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।

মাহবুবে আলমের মতো ন্যায়পরায়ণ, নীতিমান, নম্র ও বিনয়ী মানুষের আজ বড়ই অভাব। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে তাঁর মতো আর একজন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ২৭ সেপ্টেম্বর ছিল তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। এক বছর আগে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। রেখে গেছেন তাঁর শিক্ষা, চেতনা ও আদর্শ। তাঁর মৃত্যুর বছরপূর্তিতে প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন তাঁকে বেহেশত নসিব করেন। আর আমি যেন আমার উদ্দেশে আমার ফেলিসিটেশন সম্ভাষণে তিনি যেসব আশাবাদ ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন এবং আমার ওপর অর্পিত যে দায়িত্বের কথা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে গেছেন মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন যেন আমাকে সে দায়িত্ব পালনে শক্তি ও সাহস দান করেন। 

 

লেখক : বিচারপতি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ, ঢাকা।

এই বিভাগের আরও খবর
বন্দর পরিচালনা
বন্দর পরিচালনা
আগুনসন্ত্রাস
আগুনসন্ত্রাস
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও কিসিঞ্জার
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
আল্লাহু আকবার যে আওয়াজ হৃদয়ে সাহস জোগায়
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
দুর্গন্ধযুক্ত আত্মার পরিণতি ভয়াবহ
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি থাকুন
ঐতিহাসিক রায়
ঐতিহাসিক রায়
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
বাণিজ্যিক রাজধানী বাস্তবায়ন কত দূর
এই হীনম্মন্যতা কেন
এই হীনম্মন্যতা কেন
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
অফিসে বসে ঘুমের দেশে
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বশেষ খবর
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মুশফিকের শততম টেস্ট উদযাপনে যেসব আয়োজন করেছে বিসিবি
মুশফিকের শততম টেস্ট উদযাপনে যেসব আয়োজন করেছে বিসিবি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান
আমাদের ফুটবলাররা তরুণদের অনুপ্রেরণা : তারেক রহমান

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন
ভারতকে হারানোয় বাংলাদেশ দলকে মির্জা ফখরুলের অভিনন্দন

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন
আগারগাঁওয়ে পার্কিং করা গাড়িতে আগুন

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি কমেছে ১৭ শতাংশ, বেশি ক্ষতি ভারতের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ
ট্রাম্পের আমন্ত্রণে রোনালদো, একই দিনে আসছেন সৌদি যুবরাজ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা
নড়াইলে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা
যুবদল নেতা হত্যার ঘটনায় ১৩ জনের নামে মামলা

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন
জাপানগামী প্রায় ৫ লাখ ফ্লাইট টিকিট বাতিল করল চীন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান
জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারাল পাকিস্তান

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন
ব্রাকসুর তফসিল ঘোষণা, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার
ঝালকাঠিতে নদী থেকে সবজি বিক্রেতার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স
হামজাদের খেলা দেখতে গ্যালারিতে টাইগার কোচ সিমন্স

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ
শাবিপ্রবিতে প্রাথমিক রোগনির্ণয় যন্ত্র বিতরণ

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ও ছেঁড়া নোট বদল বন্ধ

১০ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’
‘ভারত নিশ্চয়ই আগুনে মেজাজ নিয়ে মাঠে নামবে’

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স
হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় তার কৃতকর্মের ফল : প্রিন্স

১০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ

১০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস
তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সতীর্থদের সতর্ক করলেন মার্কিনিয়োস

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন
মৃত্যুর পর জন্মদিনে জুবিনের প্রিয় বকুলগাছের নিচে ভাস্কর্য উন্মোচন

১০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত
শেখ হাসিনাকে ফেরত দিচ্ছে না ভারত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান
বিশ্বে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত ছয় রাষ্ট্রপ্রধান

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

১১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা
বাংলাদেশ-ভারত ফুটবলসহ আজকের যত খেলা

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?
সৌদির এফ-৩৫ পাওয়া নিয়ে ইসরায়েল কেন উদ্বিগ্ন?

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট
সাবেক মেয়র আইভীকে ৫ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ
জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দণ্ডিত আসামির বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে

১৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?
ডলারের আধিপত্য হ্রাস, কেন একই সুরে বলছে আমেরিকা-ব্রিকস?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ: গণভোটের একটি প্রশ্ন প্রকাশ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

১২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ
দেশে মোট ভোটারের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ
ন্যূনতম ২০ জন শ্রমিকেই করা যাবে ট্রেড ইউনিয়ন, গেজেট প্রকাশ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?
ড্রোন ইউনিট সংযোজন, রাশিয়া বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের বাঁক?

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত
হাসিনা-রেহানা ও টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই
সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের দুইবারের সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম আর নেই

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
মেক্সিকোতে সামরিক অভিযান চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?
২২ বছরের আক্ষেপ কি ঘোচাতে পারবে বাংলাদেশ?

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু
প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন শুরু

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘে গাজা প্রস্তাব পাস

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা