নদীমাতৃক বাংলাদেশে মাতৃহত্যার মচ্ছব চলছে। এবং তা করছে দেশমাতৃকার হতভাগ্য সন্তানরাই। বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর ৪ হাজার ২০০ দখলদার চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের উচ্ছেদ করে নদীর পানি দূষণমুক্ত করার একটা প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দের অপেক্ষা করা হচ্ছে। এ খবর ছাপা হয়েছে গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনে। বলা হয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি, নৌ যোগাযোগ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এ নদী গুরুত্বপূর্ণ। অথচ প্রায় দুই দশকের দখল-দূষণ-ভরাটের দৌরাত্ম্যে শুধু এর গতিপ্রবাহই বদলে যায়নি, দিনে দিনে শীর্ণ হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে প্রতিবেশ, কৃষি এবং নদীকেন্দ্রিক পেশাজীবীদের। আর এই দখলদারত্বে যে অর্থবিত্তে প্রভাবশালী মহল এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ার থাকা মানুষই সংখ্যাগরিষ্ঠ, সে কথা বিনা দ্বিধায় বলা যায়। যারা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে থোড়াই কেয়ার করে। যাদের খুঁটির জোর বেশি এবং অন্যায়ে হাত অনেক দীর্ঘ। শুধু কীর্তনখোলা নয়, রাজধানীর বুড়িগঙ্গা থেকে শুরু করে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা, শীতলক্ষ্যা, কর্ণফুলী-সুরমা, তিস্তা-তিতাস, ধরলা-কুশিয়ারা, রূপসা-ভৈরব, নবগঙ্গা-চিত্রা-গড়াই- কোনো নদনদী দখল-জুলুমের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে কি না, তার তথ্য বিশ্লেষণ করলে একটি নামও বলা যাবে না। সারা দেশে দখলদারের সংখ্যা নিশ্চিত কয়েক লাখ ছাড়িয়ে যাবে। দেশের মানুষ অনেক নদীকে মেরেই ফেলেছে। যে কারণে কাজির গরুর হিসাব কাগজে আর গোয়ালে যেমন মেলে না; নদীশুমারিতেও ফলাফল একই রকম দাঁড়াবে। মানচিত্রের অনেক নদী আজ আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তার ভয়াবহ পরিণতিও ভোগ করতে হয় দেশের মানুষকেই। নদীনালা, খালবিল, দখল-ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে যায় লোকালয়ে-জনপদে। ফি বছর ফসলের ক্ষতি, চাষে বিঘ্ন, জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি হয়। সরকারের আইনকানুন, সংশ্লিষ্ট বিভাগ-সংস্থার প্রচেষ্টার অভাব নেই। কিন্তু তারা পেরে উঠছে না। রাজনৈতিক নেতৃত্বের সদিচ্ছা, প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ এবং জনসচেতনতা ও সামাজিক প্রতিরোধে নদনদী দখল-দূষণের বিরুদ্ধে দুর্ভেদ্য প্রতিরোধের দেয়াল তুলতে হবে। প্রশাসনকে সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা দিতে হবে। অস্তিত্বসংকটে পড়া নদনদীগুলো রক্ষায় উচ্ছেদ অভিযানের পাশাপাশি খনন ও পানিশোধনের মাধ্যমে নদীকে পূর্বাবস্থায় ফেরানোর প্রচেষ্টা নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন যেমন সহ্য করা যাবে না, তেমনি আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতাকে পেশাগত দায়িত্বহীনতা ও ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। ব্যর্থতার জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে। প্রত্যাশা- নদী বাঁচুক, সুজলা-শ্যামলা, সোনার বাংলা ফের শস্যসম্পদে ঋদ্ধ হোক।
শিরোনাম
- জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন্যুতে ভয়াবহ আগুন
- দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
- তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু
- রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
- নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
- ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন
- সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি
- তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
- গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা
- ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান
- আফগান সীমান্তে পাকিস্তানের অভিযান, নিহত ৩০
- ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
- রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র মিলে তৈরি করছে শান্তিচুক্তির খসড়া, বিপাকে ইউক্রেন
- চবিতে চীনের অর্থায়নে কনফুসিয়াস সেন্টার স্থাপনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
- বেগম রোকেয়ার সুলতানা’স ড্রিমের বাংলা নাট্যরূপ মঞ্চস্থ করল আইইউবি থিয়েটার
- ‘সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৩২ শতাংশই ৫-২৯ বছর বয়সী’
- টঙ্গীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
- চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ ছাত্র নিহত
- কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
- যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
নদী দখল-দূষণ
সামাজিক ও প্রশাসনিক প্রতিরোধ চাই
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর