বুধবার, ২০ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা
ইতিহাস

বঙ্গবন্ধু ও মওলানা ভাসানী

স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। জাতির পিতা হিসেবেও সম্মান করা হয় সর্বকালের এই সেরা বাঙালিকে। এ মহান নেতার রাজনৈতিক গুরু হিসেবে ভাবা হয় শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে। তবে নির্মোহভাবে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যাবে মওলানা ভাসানীই শেখ মুজিবকে রাজনৈতিক দৃশ্যপটের সামনে নিয়ে আসেন। মওলানার ভালোবাসায় অভিষিক্ত হয়ে শেখ মুজিবের মতো একজন তরুণ নেতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রিসভায় শেখ সাহেবের অন্তর্ভুক্তির পেছনেও মওলানা ভাসানীর অবদান অনস্বীকার্য।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছাত্রাবস্থায় শেখ মুজিবকে রাজনীতিতে নিয়ে আসেন। ১৯৪৭-এর আগে ছাত্রকর্মী হিসেবে তিনি সোহরাওয়ার্দী সাহেবের অভিভাবকত্বেই পদচারণ করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর শেখ মুজিবের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গঠনে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর তুলনায় মওলানা ভাসানীর অবদান কম ছিল না। শেখ মুজিবের রাজনীতিতে মাটি ও মানুষের কাছাকাছি যাওয়ার যে প্রবণতা চোখে পড়ার মতো তা তিনি পেয়েছেন মওলানা ভাসানীর কাছ থেকে। দুই রাজনৈতিক গুরুর মতাদর্শগত দ্ব›েদ্ব ১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনের পর শেখ মুজিব শহীদ সোহরাওয়ার্দীর দিকে ঝুঁকে পড়লেও মওলানা ভাসানীর আত্মিক প্রভাব থেকে কখনো মুক্ত হতে পারেননি। ষাটের দশকের সবচেয়ে তোলপাড় করা ঘটনা হলো ঊনসত্তরের মহান গণঅভ্যুত্থান। ছাত্রসমাজের নেতৃত্বে সংঘটিত এ গণঅভ্যুত্থানে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন মওলানা ভাসানী। এ আন্দোলনের মুখেই পাকিস্তান সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য হয়। মুক্তি পান বঙ্গবন্ধু। ক্ষমতা থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন পাকিস্তানের স্বৈরশাসক ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান।     

জাফর খান

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর