বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ফ্রন্ট বনাম ফ্রন্ট

মাকিদ হায়দার

ফ্রন্ট বনাম ফ্রন্ট

বাংলাদেশে কবে কখন কোথায় মানুষের বসতি শুরু হয়েছিল তা জানার কোনো উপায় নেই, তবে হাজার হাজার বছরের ব্যবধানে দুটি যুগের সন্ধান পাওয়া গেছে। বাঙালি জাতির উৎপত্তি সম্পর্কে ইতিহাসবিদ প্রফেসর রমেশচন্দ্র মজুমদারের তথ্যমতে দুটি যুগকে তিনি বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। (১) প্রত্ন প্রস্তর যুগ (২) নব্য প্রস্তর যুগ। নব্য প্রস্তর যুগে মানুষের সভ্যতা বৃদ্ধির বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেমন তারা আগুন উৎপাদন করতে পারত, জানত মাটি পুড়িয়ে মাটির তৈজসপত্র বানাতে এবং রন্ধন প্রণালিতে তাদের স্ত্রীরা ছিলেন বিশেষ পারদর্শী। অন্যদিকে পুরুষরা আবিষ্কার করেছিলেন ধাতুর। পাথর কেটে বানাতে শিখেছিলেন আত্মরক্ষার অস্ত্র।

সেই আদিতে বাঙালি জাতির উন্মেষকালে, জাতিগত বিভাজন ছিল কি না সে কথা জানা না গেলেও জানা গেছে, বাংলায় আদিম অধিবাসীরা আর্য জাতির নয়। বিভিন্ন প্রান্তে কিছু কিছু অন্ত্যজ জাতির বসবাস বাংলায় দেখা যায়। যাদের আমরা কোল-শবর-পুলিন্দ-হাড়ি-ডোম-চন্ডাল হিসেবেই জানি এবং ওইসব প্রান্তজন বাংলার আদি অধিবাসীদের বংশধর। বলা যেতে পারে, সেসব বংশধরের নিশ্চয়ই কেউ না কেউ তাদের সমাজের দায়ভার গ্রহণের মধ্য দিয়ে হয়েছিলেন সমাজপতি। সমাজের বা নিজ সম্প্রদায়ের জনগণের জন্য সেকালে এবং একালেও সেই দায়দ্ধতার ভিতরে এগোতে হয়েছে সমাজপতিকে- দেশ এবং দশের কল্যাণের দিকে। তবে সেই আদিকালে ‘ভোট’ ছিল কি না, কিংবা যুক্তফ্রন্ট, অথবা ঐক্যফ্রন্ট আদৌ ছিল কি না বাংলাদেশের ইতিহাস লেখক প্রফেসর মজুমদারের গ্রন্থে সেসবের উল্লেখ নেই। স্বভাবতই পাঠক হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে ‘ভোট’ নামক ভীতিকর শব্দের উদ্ভব সেই নব্য প্রস্তর যুগে অথবা বাংলায় তখনো হয়নি। এমনকি ব্যালট পেপার, নমিনেশন পেপার, দেয়াল লিখন, পাড়ায় পাড়ায় রংবেরঙের পোস্টার, এমনকি সরকারি, বেসরকারি, বিরোধী শব্দগুলোর উদ্ভব হয়নি বলেই আমার নিজের বিশ্বাস। কেননা নব্য প্রস্তর যুগে যারা এসেছিলেন তাদের জীবনযুদ্ধ করতে হয়েছিল আগামীর শুভদিনের জন্য। কারও ব্যক্তিগত পকেট ভারী করার জন্য অবশ্যই নয়।

আমার বয়স যখন মাত্র সাত বছর সে সময় সমগ্র পূর্ববাংলায় যুক্তফ্রন্ট নামে একটি রাজনৈতিক মোর্চার আবির্ভাব হয়েছিল আমাদের ভূমিতে। তার আগে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সেই মাটিতেই অনেক তরুণ প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার দাবিতে। তখনকার দিনে পূর্ববাংলার প্রধান সমাজপতি ছিলেন নূরুল আমিন। জনাব আমিনের নির্দেশেই রক্তধারা বয়ে গিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে। ঠিক তার বছর দু-এক পরই মুসলিম লীগের বিরোধীরা একত্রিত হয়ে বানিয়েছিলেন একটি জোট। নাম দিয়েছিলেন যুক্তফ্রন্ট। ওই ফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমানসহ আরও অনেকে। সেটি ছিল ১৯৫৪ সাল। সেই যুক্তফ্রন্ট নেতাদের কাছে হেরে গিয়েছিল সমাজপতি নূরুল আমিনের দল, খুনি মুসলিম লীগ।

আমাদের পাবনা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণের মহল্লাটির নাম আটুয়া, ইছামতী নদীর পশ্চিম প্রান্তে। সেই আটুয়া মহল্লাটিতেই বসবাস করতেন মুসলিম লীগের এক বড় নেতা। তিনি পেশায় ছিলেন ডাক্তার (খুব সম্ভব এলএমএফ) মোফাজ্জল হোসেন মুনশি। ১৯৫৪ সালের ভোটাভুটিতে মুসলিম লীগের পক্ষ থেকে শক্তিশালী ক্যান্ডিডেট হিসেবে নূরুল আমিন তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন এমএনএ হওয়ার জন্য। যুক্তফ্রন্টের বিরুদ্ধে জনাব হোসেন দাঁড়িয়েছিলেন, অখ্যাত এক ক্যান্ডিডেটের বিপক্ষে। তবে তার আগেই নিরিবিলি এই শহরের আনাচ-কানাচ হাতে লেখা পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিল। ছেয়ে দিয়েছিল বেশ কিছু মজার মজার সেøাগানে। প্রতিদিনই ফ্রন্টের সমর্থকরা মাইকিং করতেন মুসলিম লীগের প্রতীকের বিপক্ষে। সে সময় মুখরোচক একটি সেøাগান শহরময় ছড়িয়ে পড়ে। শহরের উত্তর দিকের ‘শিঙ্গার শ্মশান’ থেকে শুরু করে দক্ষিণের সাধুপাড়া পর্যন্ত স্লোগান ওঠে, ‘মুসলিম লীগের ভাঙা লণ্ঠন দে নিভাইয়া দে রে ...’।

ভাঙা লণ্ঠন বা হ্যারিকেন যা-ই হোক, যেহেতু সেটি ছিল লীগের প্রতীক তাই জনগণ সহজেই  গ্রহণ করে। তারা সমস্বরে চিৎকার করে গেয়ে বেড়াত সেই স্লোগান। শহরের হামিদ রোড থেকে জ্যাকসন রোড হয়ে চাঁপা মসজিদ হয়ে নতুন ব্রিজ পাড়ি দিয়ে ফ্রন্টের লোকেরা জড়ো হতেন জিন্নাহ পার্কে। সেই পার্কেই সমর্থকরা জানাতেন তাদের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ। ওই রকমের আরও ব্যঙ্গাত্মক সেøাগানের মাধ্যমে। সে বছর ভোটে দাঁডিয়ে মুসলিম লীগের প্রার্থী ডা. হোসেন বিধ্বস্তভাবে হেরে গিয়েছিলেন যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী পাবনা জজ কোর্টের এক অজ্ঞাত উকিলের কাছে। মধুসূদন সরকার যিনি স্বপ্নেও কোনো দিন ভাবতে পারেননি, অথচ তাঁর সৌভাগ্য তাঁকে যুক্তফ্রন্ট থেকে মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ এনে দেয়। মধুসূদনকে তাঁর মক্কেলরা বলতেন উকিলবাবু গরিবের বন্ধু, মামলা-মোকদ্দমায় টাকা-পয়সা খুব বেশি দাবি করেন না। তিনি আমাদের অগত্যা মধুসূদন। উকিল সাহেবের বাড়ি শহরের গোপালপুর মহল্লায় হলেও শহরের আশপাশের মহল্লা থেকে একত্রিত হয়েছিলেন যুক্তফ্রন্টের হাজার হাজার সমর্থক, এমনকি মধুসূদন বাবু এমএনএ-মন্ত্রী হওয়ার পর শহরের উত্তর দিকের মহল্লার শাল গাড়িয়ায় বিখ্যাত আতশবাজি প্রস্তুতকারক হাজরা মালাকার অনেক আতশবাজি ও ফানুস বানিয়ে মধুসূদন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। হাজরা মালাকারকে পরবর্তীতে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট রাওয়ালপিন্ডি নিয়ে গিয়েছিলেন সেই ১৯৫৯ অথবা ’৬০-এর দিকে। যখন চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ-এন-লাই পাকিস্তান সফরে এসেছিলেন, তখন পাবনা থেকে হাজরাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তিনি আতশবাজি ও ফানুস বানিয়ে চীনা প্রধানমন্ত্রীকে দেখিয়েছিলেন ফানুসের মধ্যে আইয়ুব খানের এবং চৌ এন লাইয়ের যৌথ ছবি। এসবই আমার শোনা কথা। আমাদের শহরের বাড়ি ছিল জিলাপাড়া মহল্লায়। জিলাপাড়া থেকে গোপালপুর মহল্লা মাইলখানেক উত্তরে।

মধুসূদন সরকার এমএনএ হওয়ার পর তরুণরা মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে একদিন সেøাগান দিতে দিতে আটুয়ায় গিয়ে ডা. হোসেনের বাড়ির সামনে দাঁডিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগালিসহ ডাক্তারের বাড়ির দিকে ইট, ছেঁড়া স্যান্ডেল, মরা মুরগি ছুড়তে শুরু করে। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে ডা. হোসেন এবং তার বড় মেয়ে তাদের লাইসেন্সকৃত দোনলা বন্দুক দিয়ে নিজ বাড়ির নিচতলার জানালার ফাঁক দিয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। পরিস্থিতি শান্ত হয় জেলা প্রশাসক, পুলিশের বিশেষ অভিযানে। আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে। পরিস্থিতি শান্ত হলেও আটুয়া-কেষ্টপুর-লাইব্রেরিপাড়ার দিকে শহরের পূর্ব প্রান্তের যুক্তফ্রন্টের নেতা-কর্মীরা যেতে ভয় পেতেন আবার হাঙ্গামার ভিতরে পড়তে না হয়। সেই গোলাগুলিতে কেউ মারা না গেলেও আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। ফলে পিতা এবং কন্যাকে যেতে হয়েছিল নিম্ন আদালতের লাল কাপড়ে ঘেরা বিশেষ একটি স্থানে। জনৈক ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল সেদিন। ডা. হোসেনের পিতা, মগরেব মুনশির যথেষ্ট প্রতিপত্তি ছিল তাঁর মহল্লায়। এমনকি তিনি যখন কলকাতায় পড়ালেখা করতেন সে সময় থেকেই তিনি পাকিস্তানের সপক্ষে সেøাগান, মিটিং, মিছিলে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার সুবাদে লীগের বড় বড় নেতার দৃষ্টিতে ছিলেন এক নম্বরে। একাধারে কলেজছাত্রদের ভিতরে সবচেয়ে ভালো ইংরেজি বলতে এবং লিখতে পারতেন মগরেব মুনশি।

১৯৪৭-এ দেশ ভাগ হওয়ার অনেক আগেই সংসারধর্ম শুরু করেছিলেন বিধায় পুত্র-কন্যা মিলিয়ে প্রায় ১৬ থেকে ১৮ জনের ভিতরে একজন ছিলেন ডা. মোফাজ্জল হোসেন মুনশি। ডা. হোসেনও পড়ালেখায় এমনকি ইংরেজিতে পিতার মতোই ছিলেন দক্ষ। সেই ইংরেজি জানা এবং লেখার খবর কোনো না কোনোভাবে পেয়েছিলেন মুসলিম লীগ নেতা নূরুল আমিন। এমনও আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল যদি যুক্তফ্রন্ট হেরে যায় এবং মুসলিম লীগ জিতে যায় ডা. মোফাজ্জল হোসেন মুনশিকে মন্ত্রী বানানো হবে, কিন্তু বিধিবাম! সবই আমার শোনা কথা। যেহেতু তখন আমার বয়স মাত্র সাত বছর। পরে শুনেছিলাম আমার পিতা শেখ মোহাম্মদ হাকিম উদ্দিনের কাছ থেকে। পিতা ছিলেন পাবনা শহর মুসলিম লীগের সম্ভবত অর্থ সম্পাদক। পিতার যেহেতু ব্যবসা-বাণিজ্য ভালোই ছিল- পিতা একদিন কথা প্রসঙ্গে আমার মাতামহকে বলেছিলেন, ডা. হোসেন আমার নিকটজন হলেও ভোটাভুটিতে হারজিত তো হবেই, তাই বলে গোলাগুলি করা সমীচীন হয়নি। আমাদের পিতার শ্বশুরালয় ওই কেষ্টপুরেই।

১৯৫৪ সালের পর ২০২১ সাল পর্যন্ত বছরের ব্যবধান মাত্র ৬৭ বছর এবং আমার বয়স এখন ৭৫ বছর। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন দল-উপদল, উপদলের শাখা-প্রশাখা বিভিন্ন জেলায় জেলায় জন্মালেও তারা সব সময়ই ছিল কোথায় গেলে সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। পারমিট, বিদেশ ভ্রমণ, ব্যাংকের অর্থ নিয়ে ফেরত না দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য গাড়ি-বাড়ি করা যায় এই ছিল অনেকের লক্ষ্য।

সেই দিনগুলো অনেক আগে নিঃশেষ হয়েছে বলেই আমার ধারণা। তবে পরবর্তী সময়ে ১৪ দল এবং আরও অনেক পরে ২০ দল প্রতিষ্ঠিত হলেও হয়নি যুক্তফ্রন্ট।

এবার এই বছরে হয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের হাজার অভিযোগ- মৃত গণতন্ত্রকে প্রাণ দিতে হবে। অথচ বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র পালিয়ে গিয়েছিল ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর থেকে ১৯৯০-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত। তখন কারও মুখে শুনিনি- গণতন্ত্র মৃত। আবার আজকের ঐক্যফ্রন্ট নেতারা নিজেদের ধরা দিয়ে পেয়েছিলেন সচিবালয়ে মন্ত্রীর মনোমুগ্ধকর চেয়ারখানা। তখন তারা ভুল করেও বলেননি- গণতন্ত্র রাজপথে ট্রাকে চাপা পড়ে মারা গেছে। এখন বলছেন বলার সুযোগ করে দিয়েছেন বর্তমান সরকার, যদি এ সরকার নব্বই-পূর্ববর্তী স্বৈরাচার সরকার হতো তাহলে শোভা পেত গণতন্ত্রকে মৃত বলার। বলা যেতে পারে বাঙালি যেহেতু বিস্মৃতিপ্রধান একটি জাতি তাই অনেকেই স্মৃতি থেকে হারিয়ে ফেলেছেন ২০১৪ সালের তান্ডবের কথা, ভুলে গেছেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদের চাঁদে ছবি দেখার কথা। তারাই আজ ঐক্যজোটের শরিক, তারাই আজ উদ্ধার করবেন মৃত গণতন্ত্রকে।

সংবাদটি শুভ বলেই শুভ। এই পৌষ ১৪২৮ সালে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় গ্রামে-গঞ্জে, শীতের দিনের উষ্ণ বাতাস বইতে শুরু করেছে, ভোটানন্দে। যেটি খুবই সুখকর সংবাদ। তবু একটি শঙ্কা আমার ভিতরে মাঝেমধ্যে খোঁচা দেয়- যদি ঐক্যফ্রন্টের কোনো নেতা, ১৪ দলের ভাঙাচোরা অথচ সৎ রাম-রহিমের কাছে পরাজিত হন, সেই ডা. হোসেনের মতো, তবে পরাজিত জন যেন মোফাজ্জল হোসেন এবং তদীয়কন্যার মতো জানালার ফাঁক দিয়ে গুলি চালিয়ে গণতন্ত্র হত্যা না করেন। অন্যদিকে ১৪ দলের প্রার্থীর প্রতি ওই একই আবেদন আমার।

বরং জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে যদি পরাজিত প্রার্থী দুজনে দুজনার কুশলাদি জিজ্ঞাসা করেন আর যদি আমি মিডিয়ার মাধ্যমে দেখতে পাই তখনো ভাবব গণতন্ত্র মৃত নয়, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক ছেঁড়াফাঁড়া দলের উদ্ভব হয়েছে যাদের নাম আমার এ ৭৫ বছরে শুনিনি, এমনকি ১৯৭২ সালের পরও না। নিষিদ্ধ দলের প্রার্থীরাও জানিয়েছেন তাদের দলের নিবন্ধন বাতিল হলেও তারা জাতীয়তাবাদী দলের ঐক্যফ্রন্টের আশীর্বাদ নিয়ে মাঠে নামবেন আগামী নির্বাচনে।

বাঙালি চরিত্র সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ আমাদের জানিয়েছেন, ‘আমরা দলাদলি ঈর্ষা ক্ষুদ্রতায় জীর্ণ। আমরা একত্র হতে পারি না, পরস্পরকে বিশ্বাস করতে চাহি না।’ [রাজা প্রজা/ইংরেজ ও ভারতবাসী]।

আমার মনে হয়, গণতন্ত্রের ছায়াতলে আমরা দাঁড়িয়ে সমস্বরে বলব- গণতন্ত্র দীর্ঘজীবী হোক, দীর্ঘজীবী হোক জাতির জনক শেখ মুজিবের বানানো এই দেশ। ড. আর সি মজুমদার বেঁচে থাকলে তিনি নিশ্চয়ই বাংলাদেশের পঞ্চম খন্ড লিখতেন।

                লেখক : কবি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর