মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

বাজারে উঠেছে আম

ন্যায্যমূল্যের আশা করছে কৃষক

জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রধান আকর্ষণ পাকা আম। দেশের প্রধান আম উৎপাদন কেন্দ্র রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় চলতি মৌসুমে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রত্যাশা, চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে ৯০১ কোটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩ হাজার ১৫০ কোটি ও নওগাঁয় ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকার ব্যবসা হবে। বাগানে থোকায় থোকায় দুলছে গোপালভোগ, ক্ষীরশাপাতি, রানীপছন্দ, ল্যাংড়া, ফজলি, আশ্বিনা, বারি-৪, আম্রপালিসহ নানা জাতের আম। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বাগানগুলোয় এমন দৃশ্য সবার নজর কাড়ছে। বিক্রির জন্য বাজারে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন জাতের আম। গত দুই বছর আমের দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হয়েছে এ অঞ্চলের চাষিদের। চলতি মৌসুমে করোনার প্রভাব কেটে যাওয়ায় ও বাজারজাতকরণে বাধা না থাকায় আমের ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন তারা। এ বছর গাছে আম পাকলেই সে আম বাজারে নিতে পারবেন কৃষক। তবে কেউ অপরিপক্ব আম বাজারে নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। আম একদিকে যেমন পুষ্টিকর ফল তেমন তা চাষিদের জন্য সৌভাগ্যের হাতছানি। শুধু বৃহত্তর রাজশাহী নয়, রংপুর, দিনাজপুরে বিপুল পরিমাণ আম উৎপাদন হচ্ছে। সাতক্ষীরার আম রপ্তানি হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। দেশের জন্য মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। রাজশাহীর আমেরও চাহিদা রয়েছে দেশে-বিদেশে। করোনাভাইরাসের কারণে গত দ্ইু বছর আম চাষিরা সত্যিকার অর্থেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। করোনাভাইরাসের ভয়ে অনেকে আম কেনা থেকেও বিরত ছিলেন। এ বছর আমের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে কোনো অন্তরায় না থাকায় কৃষক ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের কৃষির স্বার্থে আম চাষিদের ন্যায্যমূল্য পাওয়া জরুরি। এজন্য আম উৎপাদনকারী এলাকায় আম প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপনে সরকার উৎসাহ জোগাতে পারে। আমজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে যা ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর