বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ছয় নির্দেশনা

সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হবে

করোনা-পরবর্তী ধকল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আরও কিছু কারণে ২০২৩ সাল সংকটের বছর হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। দ্য ফিন্যানশিয়াল টাইমসের সূত্র ধরে ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে সংকটের যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তা কাটাতে প্রধানমন্ত্রী ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছেন। সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে দেওয়া ওই নির্দেশনায় বলা হয়, সর্বাবস্থায় খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। ফেডারেল রিজার্ভের হার বেড়ে যাওয়ার ফলে যেসব দেশ ঋণ নিয়ে কাজ করে বা যাদের আমদানি বেশি, তাদের দুই দিক থেকে অসুবিধা হচ্ছে। এর একটি হলো, যখন টাকা দেওয়া হচ্ছে তখন বেশি দিতে হচ্ছে, আবার যখন নেওয়া হচ্ছে তখন কম পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য সবাইকে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে হবে। দ্বিতীয়ত, বিদেশে অদক্ষ শ্রমিক না পাঠিয়ে দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে হবে। তাতে উচ্চ বেতনে কাজ করা সম্ভব হবে। সংশ্লিষ্ট দেশের চাহিদা অনুসরণ করে দক্ষ লোক পাঠাতে হবে। তৃতীয়ত, প্রবাসী আয় বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক পরিপত্র দেবে; রেমিট্যান্স পাঠাতে আলাদা ফি দেওয়া লাগবে না। যে ব্যাংকে পাঠাবে, সেই ব্যাংকই বিষয়টি দেখবে। চতুর্থত, বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এজন্য বিনিয়োগের শর্ত নমনীয় করা যায় কি না দেখতে হবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষেই কয়েকটি শাখা থাকবে। লাইসেন্সের জন্য যেন বিনিয়োগকারীদের পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনে যেতে না হয়। এ ছাড়া খাদ্যের মজুদ সব সময় ভালো অবস্থায় রাখার বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বর্তমানে খাদ্যের মজুদ পরিস্থিতি খুবই ভালো। বেসরকারি খাতকে প্রায় ১৫ লাখ টন খাদ্য আমদানি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে উৎসে কর জাতীয় কিছু করের বিষয়ে নমনীয় হতে এনবিআরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট যে ঘনীভূত হয়ে উঠতে পারে তা ইতোমধ্যে লক্ষ করা যাচ্ছে। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে থাকলেও সম্ভাব্য সংকটকে উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। এ জন্য সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর