বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

তওবার মরতবা আবদুর রশিদ

মুমিন বান্দার প্রতি যাবতীয় গুনাহের কাজ থেকে তওবা করা ফরজ, সে পুরুষ হোক বা মহিলা। আর এ তওবার জন্য পরিকল্পনা না করে বরং সঙ্গে সঙ্গে তওবা করা অত্যাবশ্যক, বিলম্ব করা জায়েজ হবে না। তওবা পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য শর্ত হলো- অতীতের কৃত গুনাহগুলোর জন্য আল্লাহপাকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং বান্দার হক নষ্ট করলে এর ক্ষতি পূরণ করা। আল্লাহপাক ইরশাদ করেন- হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহপাকের কাছে তওবা কর। নিশ্চয় তোমরা তাতে সফলকাম হবে। আল্লাহপাক আরও বলেন, হে মুমিন বান্দাগণ, তোমরা আল্লাহপাকের কাছে তওবা কর বিশুদ্ধ ও খাঁটিভাবে। শিগগিরই মহান আল্লাহ তোমাদের জীবনের যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা করে এমন বেহেশতে প্রবিষ্ট করাবেন যার পাশ দিয়ে নদীগুলো প্রবাহিত হচ্ছে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রসুলে পাক (সা.) বলেন, আল্লাহর কসম! আমি দৈনিক সত্তর বারেরও বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং তওবা করি। বুখারি শরিফ। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রসুলে পাক (সা.) বলেন, মুমিন বান্দা যখন কোনো গুনাহ করে তখন তার অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে। অতঃপর সে যদি তওবা করে এবং ক্ষমা চায় তাহলে তার অন্তর সাফ হয়ে যায়। আর সে যদি তওবা না করে গুনাহ বেশি করতে থাকে তাহলে কালো দাগ বৃদ্ধি পায়। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রসুলে পাক (সা.) বলেন, শয়তান বলল হে প্রভু! তোমার ইজ্জতের কসম! আমি তোমার বান্দাদের গোমরাহ করতে থাকব যে পর্যন্ত তাদের প্রাণ তাদের দেহে আছে। তখন মহান আল্লাহ বলেন, আমার ইজ্জত, মহত্ত্ব ও উচ্চ মর্যাদার  কসম, আমি তাদের ক্ষমা করতে থাকব যাতে তারা আমার কাছে মাফ চাইতে থাকবে। (আহমদ শরিফ)। হজরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রসুলে পাক (সা.) বলেন, গুনাহ থেকে তওবাকারী ওই ব্যক্তির ন্যায় যার কোনো গুনাহ নেই। (ইবনে মাজা)। আল্লাহপাক আমাদের তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনাকারী এবং আল্লাহমুখী বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করে দিন।

লেখক : ইসলাম বিষয়ক গবেষক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর