ধর্ষিতা সানজিদা আক্তারকে শেষ পর্যন্ত মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বিনা চিকিৎসায় চলে যেতে হলো না ফেরার দেশে। আইনের ফাঁক গলিয়ে গণধর্ষণের হোতারা জামিনে মুক্তি পেয়ে সানজিদা ও তার পঙ্গু বাবাকে মামলা প্রত্যাহারে চাপ সৃষ্টি করে। যার পরিণতিতে সানজিদার কর্মস্থল মমিন টেক্সটাইলে যাওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়। ধর্ষিতা হওয়ার পর মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে সানজিদা। তার বাবা হারিছুল হক প্রতিবন্ধী হওয়ায় অর্থাভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হয়। মা-ও ধর্ষকদের হুমকি ও ভয়ভীতির কারণে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। সানজিদা আক্তার বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করত নরসিংদীর সাটিরপাড়া ইউএমসি এলাকার শফি হাজির বাড়িতে। তারা তিন বোন মমিন টেক্সটাইলে শ্রমিকের কাজ করত। এরই মধ্যে সানজিদার ওপর চোখ পড়ে প্রতিবেশী রফিক মিয়ার। তিনি সানজিদাকে প্রায়ই অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন। এতে সাড়া না মেলায় ৭ অক্টোবর রাতে রফিক, ফয়সাল ও ফারুক মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ঘটনা কাউকে জানালে বা মামলা করলে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা। ঘটনার সাত দিন পর ১৪ অক্টোবর সানজিদা নিজেই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করে। মামলা দায়েরের পর পুলিশ প্রধান আসামি রফিক, সহযোগী ফয়সাল ও ফারুককে গ্রেফতার করে। আসামিরা কিছুদিন জেল খাটার পর জামিনে মুক্তিলাভ করে। তারপর থেকে শুরু হয় ভিকটিমের পরিবারের ওপর সর্বাত্মক চাপ। সেই চাপের মুখে বিপর্যস্ত হয়ে জীবন দিতে হলো সানজিদাকে। যে মৃত্যু আমাদের সমাজব্যবস্থাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে। এলাকাবাসী ধর্ষকদের পুলিশের হাতে তুলে দিলেও মামলায় ফাঁকফোকর থাকায় আসামিদের জামিন পেতে অসুবিধা হয়নি। সানজিদার মৃত্যু আমাদের সমাজে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে। আর কাউকে যাতে সানজিদার মতো প্রাণ হারাতে না হয় সে জন্য সবার বোধোদয় হবে আমরা এমনটিই দেখতে চাই।
শিরোনাম
- নব্বই দশকের আলোচিত নায়িকা বনশ্রী নিঃসঙ্গেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন
- সুপার ফোরের আশা বাঁচাল বাংলাদেশ, তবে এখন কী সমীকরণ?
- স্পিনে শুরু, পেসে শেষ: কোথায় জিতল বাংলাদেশ?
- এশিয়া কাপে থ্রিলার ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ
- ছক্কার রাজা এখন তানজিদ হাসান তামিম
- চাঁদপুরে জব্দকৃত ৬০ কেজি গাঁজা ধ্বংস
- নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে শাবিপ্রবিতে স্মারকলিপি
- শ্রীমঙ্গলে জামায়াতের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভা
- নতুন নেতৃত্বে গোবিপ্রবি সাহিত্য সংসদ
- যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ‘স্পষ্ট অবস্থান’ জানতে চান জেলেনস্কি
- কারাগারগুলোতে চলছে মাসব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান-ডোপ টেস্ট
- চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে বিজ্ঞান মেলা শুরু
- সিলেটে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা সরাতে আল্টিমেটাম
- ভালুকায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
- বোয়ালমারীতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা
- পাঁচ ব্যাংক একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, বসছে প্রশাসক
- বিশ্বব্যাপী জলবায়ু কর্ম সপ্তাহে কলাপাড়ায় মানববন্ধন
- গাজায় গণহত্যা চলছে, দায়ী ইসরায়েল: জাতিসংঘ তদন্ত কমিশন
- সিদ্ধিরগঞ্জে আহতদের পুনর্বাসন, জুলাই যোদ্ধাকে দোকান উপহার
- ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবে দেখা উচিত