মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

আতশবাজি ও ফানুস

প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে

থার্টিফার্স্ট নাইটে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ হলেও সে নিষেধাজ্ঞা কোনো কাজে আসেনি। ফলে বাজির শব্দে গভীর রাতে রাজধানী ঢাকাকে মনে হয়েছে ভয়ংকর কোনো যুদ্ধ ক্ষেত্র। আর ফানুসের কারণে আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাজধানীতে। এমনকি স্বপ্নের মেট্রোরেলও দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখা হয়েছিল দুর্ঘটনার ভয়ে। কারণ থার্টিফার্স্ট নাইটে ওড়ানো কয়েকটি ফানুস সদ্য উদ্বোধন করা মেট্রোরেলের বৈদ্যুতিক তারের ওপর এসে পড়ে। দুর্ঘটনা এড়াতে বাধ্য হয়ে সেগুলো অপসারণের জন্য রবিবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। ফানুস অপসারণের পর সকাল সোয়া ১০টা থেকে মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। ফানুস থেকে শনিবার রাতে রাজধানীর কমপক্ষে চারটি স্পটে আগুন লেগেছে। এসব আগুনে হতাহতের কোনো কারণ না ঘটলেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জাতীয় জরুরি সেবা ট্রিপল নাইন থেকে জানানো হয়েছে, নববর্ষের প্রথম প্রহরে আতঙ্কিত মানুষের প্রচুর ফোন পেয়েছেন তারা। পটকার শব্দ থেকে রক্ষার আকুতি জানিয়ে এসব মানুষ ৯৯৯-এ ফোন করেন। শনিবার রাত ১২টার পর একটি ফানুস পুরান ঢাকার লালবাগের মৌলভীবাজারে বিদ্যুতের তারের ওপর গিয়ে পড়ে এবং আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় একই সময় আগুনের অন্য ঘটনাটি ঘটেছে পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকায়। সদরঘাটের হকার্স মার্কেটের ছাদে একটি ফানুস পড়লে আগুন ধরে যায়। স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। তবে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে যায়। মিরপুরেও আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। থার্টিফার্স্ট নাইটে নতুন

বছরকে স্বাগত জানাতে যারা উৎসবে মেতে ওঠেন, তাদের ব্যাপারে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন কারওই আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু সে উৎসব যদি মাত্রা ছাড়ায়, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ফানুসের দ্বারা অতীতে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ বছর মেট্রোরেল চলাচলেও যেভাবে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে তাতে ভবিষ্যতে নির্লিপ্ত থাকার সুযোগ নেই। আমরা আশা করব প্রশাসন আগামীতে আতশবাজি ও ফানুসপ্রেমীদের ব্যাপারে কঠোর হবে। এটি তাদের দায়িত্ব বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর