অক্টোবরেই চালু হবে দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল। তবে এ প্রকল্প শেষে শাহজালালে আরও একটি রানওয়ে নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে নতুন আরেকটি রানওয়ে নির্মাণের কোনো বিকল্পই নেই। থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের সময় ভবিষ্যতের কথা ভেবে প্রকল্পে পরিবর্তন আনা হয়েছে। বোর্ডিং ব্রিজ ১২টির বদলে ২৬টি নির্মাণ করা হচ্ছে। বানানো হচ্ছে ভিআইপি টার্মিনাল। এর ফলে অপারেশনাল কাজ বিঘ্ন ছাড়াই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে বর্তমানে যে দুটি টার্মিনাল রয়েছে, তার যাত্রীধারণ ক্ষমতা বছরে প্রায় ৭০ লাখ। তৃতীয় টার্মিনাল তৈরি হলে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ২ কোটির কাছাকাছি। ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি প্লেন রাখার অ্যাপ্রোন নির্মাণ করা হচ্ছে। টার্মিনাল ভবন হবে ২ লাখ ৩০ হাজার স্কয়ার মিটারের। ভবনের ভিতরে থাকবে পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য ও অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ছোঁয়া। নির্মাণাধীন টার্মিনালটিতে বেশ কয়েকটি স্ট্রেইট এসকেলেটর লাগানো হবে। যারা বিমানবন্দরের ভিতরে দীর্ঘ পথ হাঁটতে পারবেন না, তাদের জন্য এ ব্যবস্থা। সিঙ্গাপুর, ব্যাংককসহ বিশ্বের অত্যাধুনিক বিমানবন্দরগুলোয় বেশি যাত্রীপ্রবাহের জায়গায় এসকেলেটরগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি যাত্রীদের মসৃণ যাত্রার অভিজ্ঞতা দেবে। বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে মেট্রোরেল। তৈরি হবে পৃথক একটি মেট্রোরেল স্টেশনও। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের না হয়েই মেট্রোরেলে নিজেদের গন্তব্যে যেতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়া-আসা যাত্রীর সংখ্যা বিপুলভাবে বেড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ভবিষ্যতে আরও একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দরকার হবে। তার আগে শাহজালালে বাড়তি চাহিদা পূরণে আরেকটি রানওয়ে নির্মাণে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।