শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ আপডেট:

রেডিমেড প্রার্থী, শর্টকাটে এমপি

সৈয়দ বোরহান কবীর
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
রেডিমেড প্রার্থী, শর্টকাটে এমপি

ডিসেম্বর, ১৯৯০। সবে এরশাদ সরকারের পতন ঘটেছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছে। নির্বাচনী হাওয়া বইছে দেশজুড়ে। সঙ্গে তিন জোটের রূপরেখা বাস্তবায়নের তাগিদ। ‘স্বৈরাচারের দালাল’দের প্রতিহত করার ডাক দিয়েছে সম্মিলিত ছাত্রঐক্য। এর মধ্যেই এক বিকালে দুই সচিব ৩২ নম্বরে ‘বঙ্গবন্ধু ভবনে’ হাজির হলেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তারা দেখা করতে চান। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী নির্বাচন, তিন জোটের কার্যক্রম ইত্যাদি নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত। তিনি আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এক নেতাকে দায়িত্ব দিলেন ওই দুই আমলার কথা শুনতে। আমলা মহলে জনপ্রিয় এবং প্রভাবশালী ওই নেতা কেরামত আলী এবং এম কে আনোয়ারের সঙ্গে কথা বললেন। দুই আমলা জানালেন তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। এলাকায় তাদের বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। এখন দরকার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন। আওয়ামী লীগের ওই দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা এই দুই আমলার বক্তব্য দলীয় প্রধানকে জানালেন। কিন্তু শেখ হাসিনা তাদের প্রস্তাব নাকচ করে দিলেন। দুটি কারণে শেখ হাসিনা এম কে আনোয়ার এবং কেরামত আলীকে ফিরিয়ে দিলেন। প্রথমত, এই দুজনই এরশাদের দোসর হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত। তিন জোটের রূপরেখায় সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল, এরশাদের সহযোগী কাউকে তিন জোটের কোনো দল আশ্রয় দেবে না। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তিন জোটের রূপরেখার প্রতি সম্মান দেখালেন। দ্বিতীয়ত, আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক সংগঠন। রাজনৈতিক সংগঠনে দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তি দীর্ঘ রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ব্যাপার। রাজনীতিতে মনোনয়ন প্রাপ্তির কোনো শর্টকাট পথ নেই। হুট করে এসে কেউ মনোনয়ন পান না। দুই আমলার জন্য আওয়ামী লীগের দরজা বন্ধ হয়ে গেল। কিন্তু ঘটনাচক্রে সে সময় বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতা এসেছিলেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ‘বঙ্গবন্ধু ভবনে’। তিন জোটের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে। বৈঠক শেষে পেলেন ওই দুই আমলাকে। তাদের আগ্রহের কথা শুনে তাদের নিয়ে গেলেন বিএনপি কার্যালয়ে। বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করালেন। তারা পরদিন সরকারি চাকরি থেকে পদত্যাগ করলেন। আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন। নির্বাচনের জন্য বিএনপির মনোনয়ন পেতেও কষ্ট হলো না এম কে আনোয়ার এবং কেরামত আলীর। বিএনপির রেডিমেড প্রার্থী হিসেবে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন এবং বিজয়ী হলেন। ’৯১-এর ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি সবাইকে চমকে দিয়ে জাতীয় সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল। জামায়াতের সহযোগিতায় সরকার গঠন করল বিএনপি। এম কে আনোয়ার এবং কেরামত আলী দুজনই বিএনপি সরকারের মন্ত্রীও হলেন। তাদের মধ্যে এম কে আনোয়ার মৃত্যু পর্যন্ত বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে শর্টকাটে এমপি এবং মন্ত্রী হওয়ার এটি একটি ক্ল্যাসিক উদাহরণ। আদর্শ চর্চা নেই। রাজনৈতিক চর্চা নেই। দলের প্রতি আনুগত্য নেই। দলের লক্ষ্য এবং আদর্শ সম্পর্কে জানাশোনা নেই। আলাদীনের চেরাগের মতো এক লহমায় এমপি, মন্ত্রী হয়ে গেলেন। এরশাদ জামানায় প্রতাপশালী দুই আমলা রাষ্ট্রের অর্থ খরচ করে এলাকায় উন্নতি করেছিলেন। রেডিমেড প্রার্থীও হয়েছিলেন। ’৯১ সালের নির্বাচনে এম কে আনোয়ার এবং কেরামত আলীর কেরামতি রাজনীতির ‘শর্টকাট’ পথ উন্মোচন করে দেয়। অবশ্য ’৭৫-এর পর থেকে রাজনীতিতে শর্টকাটে এমপি হওয়ার হিড়িক শুরু হয়। জিয়া বিএনপি গঠন করেন বিভিন্ন দল থেকে ভাড়াটে লোক দিয়ে। এখন এই প্রবণতা সর্বব্যাপী। শর্টকাটে এমপি হওয়ার প্রবণতা যেমন ব্যক্তিদের মধ্যে বাড়ছে তেমনি রাজনৈতিক দলগুলোরও দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী, পরীক্ষিতদের বাদ দিয়ে ‘রেডিমেড’ প্রার্থী খোঁজা এখন স্বাভাবিক ব্যাপার। ‘রেডিমেড’ প্রার্থী অনেকটাই রেডিমেড জামাকাপড়ের মতো। আপনি দোকানে গেলেন গায়ে চরিয়ে বেরুলেন। আপনি দলে ভেড়ালেন, তিনি টাকার জোরে এমপি হয়ে গেলেন। ’৯১-এর ফলাফল বিপর্যয়ের পর আওয়ামী লীগ তার প্রার্থী মনোনয়নের রক্ষণশীল অবস্থা থেকে সরে আসে। ’৯৬-এর নির্বাচন ছিল আওয়ামী লীগের অস্তিত্বের চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আওয়ামী লীগও রেডিমেড এমপি প্রার্থীর খোঁজ শুরু করে। বিএনপি আগে থেকেই রেডিমেড প্রার্থীনির্ভর দল। প্রধান দুটি দল যখন রেডিমেড প্রার্থীর দিকে ঝুঁকতে থাকে, তখন শর্টকাটে এমপি হওয়াটা স্বাভাবিক রাজনৈতিক চর্চা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ব্যবসায়ী, সাবেক আমলা, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা এমনকি আদম ব্যবসায়ী শর্টকাটে এমপি হওয়ার দৌড়ে শরিক হন। শর্টকাটে মনোনয়ন ইচ্ছুকদের জায়গা দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ’৯৬ সালের নির্বাচনে প্রয়াত অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, মোজাফফর হোসেন পল্টুুসহ বহু মাঠের রাজনীতিবিদকে মনোনয়নবঞ্চিত করে। শর্টকাটে এমপি হওয়ার ফর্মুলা কী? আপনি বিপুল বিত্তের মালিক হলেন (বৈধ বা অবৈধ পথে)। এলাকায় গিয়ে মসজিদ, মাদরাসা বানালেন। মানুষের বিয়েতে, অসুখে দান-খয়রাত করলেন। কোরবানির ঈদে এলাকায় ১০০ গরু কোরবানি দিয়ে সবাইকে চমকে দিলেন। ব্যস, কিছু মানুষ আপনার হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ, বিএনপির কিছু লোকজন প্রকাশ্যে গোপনে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তাদের আপনি কচকচে নতুন ঘ্রাণযুক্ত টাকা দেবেন। শর্টকাটে এমপি হওয়ার এটাই একমাত্র পথ নয়। আপনি সরকারি কর্মকর্তা। হঠাৎ দেখলেন, এলাকার লোকজন আপনার কাছে আসেন। এলাকায় রাস্তা নেই, ব্রিজ নেই। স্কুল এমপিওভুক্ত করতে হবে। মসজিদের ছাদ ঢালাই করতে হবে। আর এলাকার বেকারদের চাকরির ব্যবস্থা করে দিলে তো আপনাকে নিয়ে ধন্য ধন্য পড়ে যাবে। একজন আমলা যখন সচিব হন, তখন তার বিস্তর ক্ষমতা। এ আমলে তো সচিবদের ক্ষমতা আকাশ স্পর্শ করেছে। ২০২০ সালে করোনার প্রকোপ শুরু হলে জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয় সচিবদের। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জেলার সর্বময় ক্ষমতার মালিক হন সচিবরা। এমপি, মন্ত্রীদের পাত্তা নেই। আমলারাই জেলার সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এলাকায় তাদের কদর বাড়ছে। সুবিধাবাদী চাটুকাররা ভিড় জমাচ্ছে। তারা পরামর্শ দিচ্ছেন, আপনি তো সংসদ সদস্যের চেয়ে জ্ঞানী, বিচক্ষণ। আপনি এলাকার এমপি হলে তো এই এলাকাই পাল্টে যেত। জনগণ আপনাকেই চায়। চারপাশে চাটুকার পরিবেষ্টিত আমলারাও খুশিতে গদগদ। ভাবলেন তাই তো। এমপি এলাকায় কী করছেন। রাস্তা বানিয়ে দিলাম আমি। কাবিখার তালিকা তৈরি করছি আমি। আশ্রয়ণের ঘর কারা পাবে তার সিদ্ধান্ত আমার ওপর ন্যস্ত। তিনি হয়ে গেলেন আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় আওয়ামী লীগার। শর্টকাটে এমপি হওয়ার খায়েশ তাকে পেয়ে বসল। আগে শর্টকাটে এমপি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের সংখ্যা এখন জাতীয় সংসদে ৫০ ভাগের বেশি। এদের বেশির ভাগেরই রাজনীতির অতীত অভিজ্ঞতা নেই। ব্যবসা করছেন। ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়ে নানা ফাঁকফোকর দিয়ে পরিশোধ করছেন না। আবার ঋণখেলাপিও হচ্ছেন না। তারা এলাকায় নিজস্ব ভাড়াটে বাহিনী তৈরি করেছেন। ‘মাই ম্যান’দের দিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যেই আরেক আওয়ামী লীগ বানিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা শর্টকাটে এমপি হয়েছেন বা হওয়ার মিছিলে আছেন, তাদের এক ধরনের ব্যবসায়িক ‘মতলব’ আছে। এমপি বা মন্ত্রী হলে তার ব্যবসা বাগাতে সুবিধা হবে। সচিবালয়ে দেনদরবার সহজ হবে। ঘাটে ঘাটে ঘুষ দিতে হবে না। টেন্ডার পেতে সুবিধা হবে। কাজেই ব্যবসায়ীদের জন্য নির্বাচন ভালো বিনিয়োগ। ’৭৫-এর পর থেকে ব্যবসায়ীরা তাই রাজনৈতিক খাতে বিনিয়োগে ব্যাপক উৎসাহী। তাদের টাকার জোয়ারে জাতীয় সংসদে রাজনীতিবিদরা রীতিমতো কোণঠাসা। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের শর্টকাটে এমপি হওয়ার কারিশমায় মুগ্ধ অনেক উঠতি রাজনীতিবিদও প্রলুব্ধ হয়েছেন। তারা সততা, আদর্শবাদিতা, ত্যাগ ইত্যাদি সেলফে উঠিয়ে রেখেছেন। মনোনয়ন পেতে হলে টাকা লাগবে। নির্বাচন করতে টাকা লাগবে। টাকা বানানোর উপায় কী? টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য ইত্যাদি। রাজনীতিবিদ পরিচয়ের আড়ালে তারা লুটপাটের মিশনে নামছেন কোমর কষে। টাকা ছাড়া এমপি হওয়া যাবে না। তাই শর্টকাটে এমপি হওয়ার জন্য তারা শর্টকাটে বড়লোক হওয়ার দৌড়ে। এদের সংখ্যাও জাতীয় সংসদে কম না। সে তুলনায় জাতীয় সংসদে আমলাদের উপস্থিতি নগণ্য। এ নিয়ে আমলা মহলে কারও কারও অন্তহীন দুঃখ। চাকরিতে থাকতে প্রচণ্ড ক্ষমতাবান। চাকরির মেয়াদ শেষ হলেই আমলাদের ছোটাছুটি শুরু হয়। কেউ চেষ্টা করেন বয়স শেষ হওয়ার পর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেতে। কেউ চান কোনো কমিশন বা সংস্থার অবসরোত্তর চাকরি। কারও প্রত্যাশা নিদেনপক্ষে কোনো ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়া। এভাবে আমলারা প্রায় সব প্রতিষ্ঠান এবং পদ দখল করে ফেলেছেন। জাতীয় সংসদ এখনো তাদের নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এর প্রধান কারণ অবশ্য আমলাদের ব্যর্থতা নয়। এখন যেভাবে বর্ষার বিলের মাছের মতো ক্ষমতার চারপাশে আমলারা কিলবিল করেন, তাতে সংসদ ভবনে প্রবেশ তাদের মোটেও কঠিন কোনো কাজ নয়। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেন আমাদের করিৎকর্মা আমলারা। কিন্তু বাধা হয়ে আছে একটি আইনে। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ ১৯৭২। এই আইনের ১২(১) (চ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে কোনো ব্যক্তি সদস্য হিসেবে (সংসদ সদস্য) নির্বাচিত হওয়ার বা থাকার যোগ্য হবেন না, যদি-

(চ) তিনি প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগে কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসরে গেছেন এবং তার পদত্যাগ এবং অবসরে যাওয়ার পর তিন বছর অতিবাহিত না হয়।’ বাসি ফুলের যেমন কদর থাকে না, তেমনি অবসরের তিন বছর অতিবাহিত হলে আমলাদের ‘কৃত্রিম ক্ষমতা’ নিঃশেষ হয়ে যায়। তিন বছর অতিবাহিত হওয়ার পর রাজনীতির মাঠে যারা টিকে থাকেন, তারা নিজস্ব শক্তিতে অস্তিত্ব বজায় রাখেন। এ সময় তাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এতে হঠাৎ গজিয়ে ওঠা আমলা থেকে নেতারা ঝরে পড়েন। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আমলারাই (সামরিক এবং বেসামরিক) এ ধারাটিকে চ্যালেঞ্জ করতে চাচ্ছেন। গত ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এই ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগে একটি রিট পিটিশন করা হয়েছে। রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে, সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের তিন বছর পর সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিধান কেন সংবিধান পরিপন্থী নয়, হাই কোর্ট তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের ১২ (১) (চ) চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শামীম কামাল। কিছু দিন ধরেই আমলাদের পক্ষ থেকে এ ধারাটি বাতিলের চাপ ছিল। প্রথমে কিছু আমলা এ ধারাটি বাতিল করার জন্য সরকারকে প্ররোচিত করতে চেষ্টা করে। কিন্তু সরকার এখন পর্যন্ত স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আইন পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এর আগেও কয়েকজন আমলা আইনটি বাতিলের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু আদালতে রিট আবেদন করতে হলে আবেদনকারী সংক্ষুব্ধ হতে হবে- এই যুক্তিতে আবেদন আমলে নেয়নি হাই কোর্ট। এখন রিট আবেদনটি আদালতের বিচারাধীন বিষয়। বিচারকগণ স্বীয় বুদ্ধি এবং আইনগত দিক বিচার-বিশ্লেষণ করে এ সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এই আইনটির পক্ষে-বিপক্ষে দুই ধরনের যুক্তি আছে। একজন আমলা অবসরে যাওয়ার পর প্রথম এক বছর থাকেন অবসরোত্তর ছুটিতে। এ সময় তিনি কাজ করেন না বটে কিন্তু বেতন-ভাতাদি ভোগ করেন। পরবর্তী দুই বছরও তার গায়ে ক্ষমতার উত্তাপ লেগে থাকে। নির্বাচনী মাঠে তিনি বাড়তি সুবিধা পেতে পারেন, এরকম বিবেচনা থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য তিন বছর নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। যারা এর পক্ষে তারা মনে করেন, এই বিধান না থাকলে নির্বাচনের মাঠে আমলা প্রার্থীরা বাড়তি সুবিধা পাবেন। রাজনৈতিক দল প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিবেচনা করে নির্বাচনে কারা বেশি দাপট দেখাতে পারবেন। সদ্য অবসরে যাওয়া একজন আমলা নির্বাচন পরিচালনায় মাঠ প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার প্রতি পক্ষপাত দেখাবে। ফলে রাজনৈতিক দলগুলো আমলাদের মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহী হবে। তারাই হবে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন রেডিমেড প্রার্থী, যারা শর্টকাটে এমপি হতে পারবে।

আবার এর বিপক্ষের যুক্তিও উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়। সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের জন্য আইন সমান। সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।’ অবসরের পর একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং কর্মচারী আর ১০ জন সাধারণ নাগরিকের মতোই। কাজেই তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।

পক্ষে-বিপক্ষে এরকম আরও যুক্তি আছে। কিন্তু আমি মনে করি, আমলা, ব্যবসায়ী, লুটেরা, কালো টাকার মালিকদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করার সিদ্ধান্তটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক অঙ্গীকার। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ। ’৭৫-এর পর জিয়া ক্ষমতা দখল করে বলেছিলেন, তিনি রাজনীতি ‘ডিফিকাল্ট’ করে দেবেন। সত্যি সত্যি দেশে রাজনীতি, রাজনীতিবিদদের জন্য কঠিন হয়ে গেছে। সংসদ সদস্য হওয়ার মিছিলে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছেন সত্যিকারের রাজনীতিবিদরা। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো যে কোনো ধরনের নির্বাচনে জয়ী হতে চায়। আর জয়ী হওয়ার জন্য তারা রেডিমেড প্রার্থী খোঁজে। আবার বিপুল অবৈধ বিত্তকে আরও স্ফীত করতে এবং তাকে নিরাপদ রাখতে শর্টকাটে এমপি হওয়ার মিছিলও বড় হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপুলের কথা মনে আছে? টাকার জোরে উড়ে এসে এমপি হয়ে গিয়েছিলেন। স্ত্রীকেও টাকা দিয়ে মহিলা কোটায় সংসদ সদস্য বানিয়ে ছিলেন। অনেক পাপুলই এখন নির্বাচন করে দায়মুক্তি অর্জন করতে চায়। এ পরিস্থিতির মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারাও যদি এমপি হওয়ার প্রতিযোগিতায় নামেন তাহলে সত্যিকারের রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি আরও কঠিন হয়ে যাবে। দেশের জন্য অবদান রাখার অনেক উপায় আছে। যে যেখানে যে অবস্থানে আছেন সেখান থেকেই দেশের উন্নয়নে অবদান রাখা যায়। একজন ব্যবসায়ী দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবেন। এটাই তার পবিত্র কাজ। কেন তাকে এমপি হতে হবে? একজন সরকারি কর্মকর্তা সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেই দেশকে এগিয়ে নিতে পারেন। এ জন্য তার এমপি হওয়ার দরকার নেই। সমাজে প্রত্যেক পেশার নাগরিকের আলাদা আলাদা অবস্থান, ভূমিকা এবং দায়িত্ব আছে। ব্যবসায়ী কিংবা আমলাদের যেমন রাজনীতির মাঠ দখল শুভ লক্ষণ নয়, তেমনি রাজনীতিবিদদেরও ব্যবসায়ী হওয়াটা উচিত নয়। দেশের সবাই যদি এমপি-মন্ত্রী হতে চান, তাহলে ভারসাম্য নষ্ট হবে। যে ভারসাম্যহীতা এখনই লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী রাজনীতিবিদদের কাছে রাজনীতি ফিরিয়ে আনার কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন। একাধিক উপনির্বাচনে তিনি দলের ত্যাগী পরীক্ষিত রাজনীতিবিদদের মনোনয়ন দিয়ে একটি বার্তা দিয়েছেন। সংসদীয় দলের সভাতেও আগামী নির্বাচনে দলের পরীক্ষিতদের সামনে আনার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন। কিন্তু ঝুঁকিবিহীন, গুরুত্বহীন উপনির্বাচনে তিনি এমনটা করতে পারছেন বটে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিপক্ষ যখন রেডিমেড প্রার্থী খুঁজবে, তখন আওয়ামী লীগ কি শর্টকাটে এমপি হতে ইচ্ছুকদের উপেক্ষা করতে পারবে? ২০১৮’র নির্বাচনে বিএনপিতে দেখা গেল রেডিমেড প্রার্থীর হিড়িক। এহছানুল হক মিলনের মতো জাতীয়ভাবে পরিচিত নেতাকে বসিয়ে টাকাওয়ালা রেডিমেড প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে বিএনপি তার আসল রাজনীতি প্রকাশ করেছিল। আগামী নির্বাচনে বিএনপিতে যে রেডিমেড প্রার্থীর হিড়িক পড়বে তা সহজেই অনুমান করা যায়। আওয়ামী লীগেও অনেক আসনে পরিবর্তনের তাগিদ আছে। ব্যক্তিরা অগ্রাধিকার পাবেন নাকি শর্টকাটে এমপি বানাতে আওয়ামী লীগও রেডিমেড প্রার্থী খুঁজবে?

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা সংশয়ের কথা বলা হয়। বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না। অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কি না। কিন্তু আমি মনে করি, আগামী নির্বাচন রাজনীতির জন্য এক অগ্নিপরীক্ষা। শর্টকাটে রেডিমেড এমপিদের হাতে যেন জাতীয় সংসদ জিম্মি না হয়, সেটি এখন এক বড় চ্যালেঞ্জ। রাজনীতি রাজনীতিবিদের হাতে থাকবে কি না, তা আগামী নির্বাচনের এক বড় পরীক্ষা।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

[email protected]

এই বিভাগের আরও খবর
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
নির্বিঘ্ন নির্বাচন
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
শান্তি ফেরাতে নির্বাচনই সমাধান
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
ভীতিকর ভূমিকম্প
ভীতিকর ভূমিকম্প
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
ডলফিন বাঁচবে কী করে
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
নগরের ছাদে সবুজ বিপ্লব
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
সর্বশেষ খবর
ফিলিস্তিনে ইসহাক (আ.)-এর স্মৃতি ও সমাধি
ফিলিস্তিনে ইসহাক (আ.)-এর স্মৃতি ও সমাধি

২৫ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

রবিআহ ইবনে হারিছ (রা.) যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন
রবিআহ ইবনে হারিছ (রা.) যেভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন

৪৮ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ঘরের মাঠে ম্যানসিটিকে হারাল নিউক্যাসল
ঘরের মাঠে ম্যানসিটিকে হারাল নিউক্যাসল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও বায়ার্নের গোলবন্যা
দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও বায়ার্নের গোলবন্যা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফারহানের ঝড়ো ইনিংসে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা
ফারহানের ঝড়ো ইনিংসে উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট আটক
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট আটক

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাম্প ন্যুয়ে ফেরার ম্যাচে বার্সেলোনার দাপুটে জয়
কাম্প ন্যুয়ে ফেরার ম্যাচে বার্সেলোনার দাপুটে জয়

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা
ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উচ্চ শিক্ষার বিস্তারে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
উচ্চ শিক্ষার বিস্তারে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভূমিকা প্রশংসনীয়: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ
বিএনপি যখন ক্ষমতায় থাকে, নারীরা তখন ভালো থাকে: শামা ওবায়েদ

৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

৫ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৈশভোজের আয়োজন
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে প্রধান উপদেষ্টার নৈশভোজের আয়োজন

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা
ভূমিকম্পের পর এবার এলো ‘ঘূর্ণিঝড়’ সতর্কতা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত
মিয়ানমারে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা
আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম, কিন্তু আমি ভুল ছিলাম: সামান্থা

৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের
টানা দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম লিভারপুলের

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত
মেট্রোরেলের লাইনে ড্রোন পতিত

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১
শাহজালাল বিমানবন্দরে ১৩০০ গ্রাম স্বর্ণসহ আটক ১

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
১৫ দিনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ

৭ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’
‘শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে’

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মহাখালীতে বাসে আগুন
মহাখালীতে বাসে আগুন

৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব
লালদিয়া ও পানগাঁও কনটেইনার টার্মিনাল চুক্তি, আধিপত্যবাদ না অংশীদারিত্ব

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা
তরুণদের উদ্যোগে শতাধিক মানুষকে চিকিৎসা সেবা

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল সংগীতশিল্পীর

৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক
ভাড়া দিতে না পারা সেই বাড়ির মালিক এখন কার্তিক

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
নির্বাচনকালীন এসপি নিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশের মানুষ শুধু পরিবর্তন নয়, সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়’
‘দেশের মানুষ শুধু পরিবর্তন নয়, সুশাসনের নিশ্চয়তা চায়’

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা
এখন শান্তিচুক্তি না করলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ আরও খারাপ হবে: যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত
রাজধানীতে আবারও ভূকম্পন অনুভূত

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল : ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীবাসীর

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত
ফের নরসিংদীতে ভূকম্পন অনুভূত

১৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ
কী কী পাচ্ছেন মিস ইউনিভার্স ফাতিমা বশ

১৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ

১৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস
বাইপাইল নয়, আজকের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলও নরসিংদীতে: আবহাওয়া অফিস

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল
শেষ মুহূর্তের গোলে মরক্কোকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিল

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স
চাপের মুখে রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করল ভারতের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী রিলায়েন্স

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে ইনশাআল্লাহ : সালাউদ্দিন

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান
গাজায় সাত কিলোমিটার লম্বা টানেলে ৮০টি কক্ষের সন্ধান

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল
গত ১০ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত : মির্জা ফখরুল

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন
ভূমিকম্পে হতাহতদের আর্থিক সহায়তা দেবে ঢাকা জেলা প্রশাসন

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে হবে: জামায়াত আমির

১৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক
ভারতের ‘চিকেন নেকে’ সর্বোচ্চ সতর্কতা: শিলিগুড়িতে উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা বৈঠক

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’
‘আমার বিজয় এমনভাবে হবে, ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না’

১৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল
সাকিবকে টপকে দেশের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তাইজুল

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে বাধ্য ভারত : মুনিরুজ্জামান

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়
ভূমিকম্পের উৎপত্তি এবার ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ
শতকোটি টাকার গাড়ি এখন ভাঙারির স্তূপ

পেছনের পৃষ্ঠা

বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট
বগুড়ায় ধানের শীষেরই দাপট

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন
সারা দেশে নির্বাচনি শোডাউন

পেছনের পৃষ্ঠা

রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা
রিপু নিয়ন্ত্রণের আবশ্যকতা

সম্পাদকীয়

সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনই

সম্পাদকীয়

নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা
নির্বাচনে রাজনৈতিক ভূমিকম্পের শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

নিরাপত্তাহীনতায় পপি
নিরাপত্তাহীনতায় পপি

শোবিজ

অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি
অপ্রতিরোধ্য সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা
নির্বাচনের জেনোসাইড হওয়ার আশঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক
রংপুরে ধানের দাম নিয়ে চিন্তিত কৃষক

পেছনের পৃষ্ঠা

একই অঙ্গে এত রূপ
একই অঙ্গে এত রূপ

শোবিজ

চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে
চ্যালেঞ্জ যতই হোক দুই ভোট এক দিনে

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ
বাংলাদেশ-নেপাল রাগবি সিরিজ

মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি
শেখ হাসিনার মুখে এখনো দেখে নেওয়ার হুমকি

সম্পাদকীয়

জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা
জেরার মুখে সেই রাঘববোয়ালরা

প্রথম পৃষ্ঠা

সৌদি প্রো লিগ
সৌদি প্রো লিগ

মাঠে ময়দানে

বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
বাজি ধরে বার্গার গিলতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক
বাবরি মসজিদ ইস্যু ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিতর্ক

পেছনের পৃষ্ঠা

চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের
চট্টগ্রাম বন্দর অবরোধের ডাক দুই সংগঠনের

প্রথম পৃষ্ঠা

বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি
বিমানবাহিনীর কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি

পেছনের পৃষ্ঠা

আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে
আতঙ্ক কাটেনি নরসিংদীতে

প্রথম পৃষ্ঠা

হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২
হাতিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২২

পেছনের পৃষ্ঠা

হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই
হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রায় এ মাসেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত
ফ্যাসিবাদবিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি জামায়াত

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : পাকিস্তান

পেছনের পৃষ্ঠা

পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা
পুলিশের দাবি শ্বাসকষ্ট ভাই বললেন হত্যা

পেছনের পৃষ্ঠা

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে
শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাস্তবায়ন হবে

পেছনের পৃষ্ঠা

অগ্নিকাণ্ড রোধে কঠোর নির্দেশনা জারি
অগ্নিকাণ্ড রোধে কঠোর নির্দেশনা জারি

পেছনের পৃষ্ঠা